বন্ধ হয়ে যাওয়া আলহাজ টেক্সটাইল এখন উৎপাদনে, রিংশাইনে শুরু হয়ে গেছে পরীক্ষামূলক উৎপাদন আর এমারেল্ড অয়েল উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
এগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পাল্টে দিয়ে এই উন্নতি ঘটাতে পেরেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আর গত কয়েক মাসে তিনটি কোম্পানিরই শেয়ার দর বেড়েছে।
তবে কোম্পানিগুলোর উৎপাদন চালুর কোনো আভাস নেই, এমনকি যেসব কোম্পানি চালুর বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আশাবাদী নয়, এসব কোম্পানির শেয়ারের দামও বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে।
বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানিগুলোতে প্রাণ ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন ভূমিকা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। এটি নিয়ে বেশ প্রশংসা যেমন হচ্ছে, তেমনি বাছবিচার ছাড়াই দুর্বল কোম্পানির দামে উল্লম্ফন নিয়ে নানা কথা হচ্ছে।
গত এক বছরে পুঁজিবাজারে ব্যাপক উত্থানে যখন একটি স্থিতিশীল বাজারের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, তখন এই প্রবণতায় আবার বিনিয়োগকারীদের টাকা আটকে যায় কি না, সেই সংশয়ও আছে। আর এর পেছনে কারসাজি থাকতে পারে বলেও জোর ধারণা রয়েছে।
গত তিন মাসে এমনও লোকসানি কোম্পানি আছে, যেগুলোর শেয়ার দর বেড়ে তিন গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। যদিও এসব বেশির ভাগ কোম্পানির রিজার্ভে নেই অর্থ।
অন্যদিকে নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়, মুনাফাও ভালো, ভবিষ্যতেও দুর্দশায় পড়ার আশঙ্কা নেই- এমন সব কোম্পানি উত্থানের মধ্যেও দর হারাচ্ছে বা দর দুই দিন বাড়লে কমছে চার দিন।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণে লেনদেন বাড়ছে বা সূচকের ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তাতে মৌলভিত্তির বা ভালো কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম। এসব কোম্পানির লোকসানে ভরা, এসব কোম্পানির ডে ট্রেডিংয়ের অংশ হিসাবে কিছু মুনাফা আসতে পারে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে ঝুঁকিই বেশি।’
পুঁজিবাজারের আরেক বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘বিএসইসি যখন খারাপ বা তুলনামূলকভাবে দুর্বল কোম্পানিগুলোর বোর্ড পুনর্গঠন করে দিচ্ছে, তখন এর প্রভাব সব দুর্বল কোম্পানির ওপর পড়েছে।
‘তখন এসব কোম্পানির শেয়ার দরও অনেক কম ছিল। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই ধারণা হয়েছে, বিএসইসি পর্যায়ক্রমে সব দুর্বল কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করে উৎপাদনে নিয়ে আসবে। এমন ধারণার কারণে এখন বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানির শেয়ারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।’
এভাবে দাম বাড়তে থাকায় কী ঝুঁকি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এসব কোম্পানির কোনোটিরই অবস্থাই ভালো না। কয়েকটি চালু করা যাবে, কয়েকটি হয়তো চালু করাই যাবে না। যেগুলো চালু করা যাবে না কিন্তু শেয়ারের দর বাড়ছে, সেগুলোতে অবশ্যই ঝুঁকি আছে।’
দুর্বল কোম্পানি কতগুলো
লভ্যাংশ দেয় না, যেসব কোম্পানি, সেগুলো জেড ক্যাটাগরিতে থাকে।
পুঁজিবাজারে ৩১টি জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি ছিল। গত ১৩ জুন চারটি কোম্পানি ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে এসে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ফলে এই ক্যাটাগরিতে কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫টি।
গত ১৫ জুলাই জেড ক্যাটাগরি থেকে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর হয়েছে। ২ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেয়ায় এই উন্নতি হয়েছে কোম্পানিটির। ফলে বর্তমানে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে ৩৪ কোম্পানি। এর মধ্যে দুটির লেনদেন স্থগিত, একটির লেনদেন হয়নি।
তিনগুণও হয়েছে দাম
সিএনএ টেক্সটাইল কোম্পানির শেয়ারদর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ২ টাকা। সোমবার তা দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ১৯৫ শতাংশ।
এই কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন করার পর দামে এই উল্লম্ফন হয়। তবে তিনটি কোম্পানি জীবন পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও এই কোম্পানিটি ব্যতিক্রম। বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানিয়েছেন, এটি এবং ফ্যামিলি টেক্সকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে নতুন বোর্ড আশাবাদী নয়। এ কারণে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার চিন্তা করছেন তারা। কিন্তু দুটির দাম বৃদ্ধি থামছে না।
১০০ শতাংশের বেশি যেগুলো
তুং হাই নিটিংয়ের দর বেড়েছে ১৬১.৫৩ শতাংশ। গত ২৮ এপ্রিল দর ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়াস।
ফ্যামিলি টেক্সের পর্ষদ পুনর্গঠনের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি শেয়ার দর ছিল ২ টাকা ৫০ পয়সা। ২৮ এপ্রিল তা ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। বর্তমান দর ৫ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ১২০.৮৩ শতাংশ।
জেনারেশন নেক্সটের দর বেড়েছে ১৩৫.৭১ শতাংশ। গত ২৮ এপ্রিল দর ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা। সোমবার দাঁড়ায় ৬ টাকা ৬০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ১০৯.৬৭ শতাংশ
ফারইস্ট ফিন্যান্সের দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ৩ টাকা ৪০ পয়সা। সোমবার দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা। শতকরা হিসেবে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১০৮.৮২ শতাংশ।
তাল্লু স্পিনিংয়ের দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা। বর্তমানে তা ৭ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ১০৭.৮৯ শতাংশ।
৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে যেগুলোর
আরএন স্পিনিংয়ের দর ২৮ এপ্রিল ছিল ৪ টাকা ২০ পয়সা। বর্তমান দর ৬ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৮৮.০৯ শতাংশ।
মেঘনা পেটের দাম গত ২৮ এপ্রিল ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। বর্তমান দাম ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৬৬.৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্সের দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ৪ টাকা ১০ পয়সা। সোমবার দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৬৩.৪১ শতাংশ।
মিথুন নিটিংয়ে দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ৮ টাকা ১০ পয়সা। বর্তমান দর ১৩ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৬২.৯৬ শতাংশ।
ইমাম বাটনের দাম গত ২৮ এপ্রিল ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। বর্তমান দাম ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। শতকরা হিসেবে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৫৬.০২ শতাংশ।
বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের গত ২৮ এপ্রিল ছিল ১২ টাকা। বর্তমান দাম ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।
জিলবাংলা সুগার মিলসের দর ২৮ এপ্রিল ছিল ১০১ টাকা। সোমবার দাঁড়িয়েছে ১৫৫ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৫৩.৬৬ শতাংশ।
জুট স্পিনার্সের দাম ২৮ এপ্রিল ছিল ৯৬ টাকা ২০ পয়সা। বর্তমান দাম ১৪৬ টাকা ৭০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৫২.৪৯ শতাংশ।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের গত ২৮ ছিল ৩ টাকা ৬০ পয়সা। বর্তমান দাম ৫ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৫১.৪২ শতাংশ।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ১০ টাকা। বর্তমান দাম ১৫ টাকা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
সাভার রিফ্যাক্টরিজের দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ১৫৭ টাকা ৪০ পয়সা। বর্তমান দাম ২২৮ টাকা ৫০ পয়সা। শতকরা হিসেবে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৪৫.১৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য