বন্ধ হয়ে যাওয়া আলহাজ টেক্সটাইল এখন উৎপাদনে, রিংশাইনে শুরু হয়ে গেছে পরীক্ষামূলক উৎপাদন আর এমারেল্ড অয়েল উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
এগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পাল্টে দিয়ে এই উন্নতি ঘটাতে পেরেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আর গত কয়েক মাসে তিনটি কোম্পানিরই শেয়ার দর বেড়েছে।
তবে কোম্পানিগুলোর উৎপাদন চালুর কোনো আভাস নেই, এমনকি যেসব কোম্পানি চালুর বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আশাবাদী নয়, এসব কোম্পানির শেয়ারের দামও বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে।
বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানিগুলোতে প্রাণ ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন ভূমিকা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। এটি নিয়ে বেশ প্রশংসা যেমন হচ্ছে, তেমনি বাছবিচার ছাড়াই দুর্বল কোম্পানির দামে উল্লম্ফন নিয়ে নানা কথা হচ্ছে।
গত এক বছরে পুঁজিবাজারে ব্যাপক উত্থানে যখন একটি স্থিতিশীল বাজারের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, তখন এই প্রবণতায় আবার বিনিয়োগকারীদের টাকা আটকে যায় কি না, সেই সংশয়ও আছে। আর এর পেছনে কারসাজি থাকতে পারে বলেও জোর ধারণা রয়েছে।
গত তিন মাসে এমনও লোকসানি কোম্পানি আছে, যেগুলোর শেয়ার দর বেড়ে তিন গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। যদিও এসব বেশির ভাগ কোম্পানির রিজার্ভে নেই অর্থ।
অন্যদিকে নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়, মুনাফাও ভালো, ভবিষ্যতেও দুর্দশায় পড়ার আশঙ্কা নেই- এমন সব কোম্পানি উত্থানের মধ্যেও দর হারাচ্ছে বা দর দুই দিন বাড়লে কমছে চার দিন।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেসব কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণে লেনদেন বাড়ছে বা সূচকের ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তাতে মৌলভিত্তির বা ভালো কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম। এসব কোম্পানির লোকসানে ভরা, এসব কোম্পানির ডে ট্রেডিংয়ের অংশ হিসাবে কিছু মুনাফা আসতে পারে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে ঝুঁকিই বেশি।’
পুঁজিবাজারের আরেক বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘বিএসইসি যখন খারাপ বা তুলনামূলকভাবে দুর্বল কোম্পানিগুলোর বোর্ড পুনর্গঠন করে দিচ্ছে, তখন এর প্রভাব সব দুর্বল কোম্পানির ওপর পড়েছে।
‘তখন এসব কোম্পানির শেয়ার দরও অনেক কম ছিল। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই ধারণা হয়েছে, বিএসইসি পর্যায়ক্রমে সব দুর্বল কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করে উৎপাদনে নিয়ে আসবে। এমন ধারণার কারণে এখন বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানির শেয়ারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।’
এভাবে দাম বাড়তে থাকায় কী ঝুঁকি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এসব কোম্পানির কোনোটিরই অবস্থাই ভালো না। কয়েকটি চালু করা যাবে, কয়েকটি হয়তো চালু করাই যাবে না। যেগুলো চালু করা যাবে না কিন্তু শেয়ারের দর বাড়ছে, সেগুলোতে অবশ্যই ঝুঁকি আছে।’
দুর্বল কোম্পানি কতগুলো
লভ্যাংশ দেয় না, যেসব কোম্পানি, সেগুলো জেড ক্যাটাগরিতে থাকে।
পুঁজিবাজারে ৩১টি জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি ছিল। গত ১৩ জুন চারটি কোম্পানি ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে এসে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ফলে এই ক্যাটাগরিতে কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫টি।
গত ১৫ জুলাই জেড ক্যাটাগরি থেকে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর হয়েছে। ২ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেয়ায় এই উন্নতি হয়েছে কোম্পানিটির। ফলে বর্তমানে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে ৩৪ কোম্পানি। এর মধ্যে দুটির লেনদেন স্থগিত, একটির লেনদেন হয়নি।
তিনগুণও হয়েছে দাম
সিএনএ টেক্সটাইল কোম্পানির শেয়ারদর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ২ টাকা। সোমবার তা দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ১৯৫ শতাংশ।
এই কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন করার পর দামে এই উল্লম্ফন হয়। তবে তিনটি কোম্পানি জীবন পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও এই কোম্পানিটি ব্যতিক্রম। বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানিয়েছেন, এটি এবং ফ্যামিলি টেক্সকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে নতুন বোর্ড আশাবাদী নয়। এ কারণে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার চিন্তা করছেন তারা। কিন্তু দুটির দাম বৃদ্ধি থামছে না।
১০০ শতাংশের বেশি যেগুলো
তুং হাই নিটিংয়ের দর বেড়েছে ১৬১.৫৩ শতাংশ। গত ২৮ এপ্রিল দর ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়াস।
ফ্যামিলি টেক্সের পর্ষদ পুনর্গঠনের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি শেয়ার দর ছিল ২ টাকা ৫০ পয়সা। ২৮ এপ্রিল তা ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। বর্তমান দর ৫ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ১২০.৮৩ শতাংশ।
জেনারেশন নেক্সটের দর বেড়েছে ১৩৫.৭১ শতাংশ। গত ২৮ এপ্রিল দর ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা। সোমবার দাঁড়ায় ৬ টাকা ৬০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ১০৯.৬৭ শতাংশ
ফারইস্ট ফিন্যান্সের দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ৩ টাকা ৪০ পয়সা। সোমবার দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা। শতকরা হিসেবে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১০৮.৮২ শতাংশ।
তাল্লু স্পিনিংয়ের দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা। বর্তমানে তা ৭ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ১০৭.৮৯ শতাংশ।
৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে যেগুলোর
আরএন স্পিনিংয়ের দর ২৮ এপ্রিল ছিল ৪ টাকা ২০ পয়সা। বর্তমান দর ৬ টাকা ৯০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৮৮.০৯ শতাংশ।
মেঘনা পেটের দাম গত ২৮ এপ্রিল ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। বর্তমান দাম ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৬৬.৩২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্সের দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ৪ টাকা ১০ পয়সা। সোমবার দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৬৩.৪১ শতাংশ।
মিথুন নিটিংয়ে দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ৮ টাকা ১০ পয়সা। বর্তমান দর ১৩ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৬২.৯৬ শতাংশ।
ইমাম বাটনের দাম গত ২৮ এপ্রিল ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। বর্তমান দাম ২৯ টাকা ৮০ পয়সা। শতকরা হিসেবে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৫৬.০২ শতাংশ।
বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের গত ২৮ এপ্রিল ছিল ১২ টাকা। বর্তমান দাম ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।
জিলবাংলা সুগার মিলসের দর ২৮ এপ্রিল ছিল ১০১ টাকা। সোমবার দাঁড়িয়েছে ১৫৫ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৫৩.৬৬ শতাংশ।
জুট স্পিনার্সের দাম ২৮ এপ্রিল ছিল ৯৬ টাকা ২০ পয়সা। বর্তমান দাম ১৪৬ টাকা ৭০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৫২.৪৯ শতাংশ।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের গত ২৮ ছিল ৩ টাকা ৬০ পয়সা। বর্তমান দাম ৫ টাকা ৩০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৫১.৪২ শতাংশ।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ১০ টাকা। বর্তমান দাম ১৫ টাকা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
সাভার রিফ্যাক্টরিজের দর গত ২৮ এপ্রিল ছিল ১৫৭ টাকা ৪০ পয়সা। বর্তমান দাম ২২৮ টাকা ৫০ পয়সা। শতকরা হিসেবে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৪৫.১৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য