× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
The Taliban is at the center of the interest of world powers
google_news print-icon

বিশ্ব পরাশক্তিদের আগ্রহের কেন্দ্রে তালেবান

বিশ্ব-পরাশক্তিদের-আগ্রহের-কেন্দ্রে-তালেবান
আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা দখলের দাবি করেছে তালেবান। ছবি:এএফপি
আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় এলে সংকটে পড়তে পারে কিছু দেশের স্বার্থ। তালেবানের ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা যত বাড়ছে, গোষ্ঠীটির সঙ্গে নানা দরকষাকষি ও বোঝাপড়া করে নিতে চাইছে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলো।

তালেবানদের পুনরুত্থান আফগানিস্তানকে আবার বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রে নিয়ে আসছে। পরাশক্তিগুলোর নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। ভারত, চীন, রাশিয়াসহ কয়েকটি শক্তিশালী দেশকে নতুন করে হিসাব-নিকাশ কষতে হচ্ছে।

দুই দশক পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে দেশটিতে নিজেদের প্রধান বিমান ঘাঁটি থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে তারা। এর পরপরই আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের দখল নেয়া শুরু করেছে কট্টর ধর্মীয় গোষ্ঠী তালেবান।

দেশটিতে তালেবান ক্ষমতায় এলে সংকটে পড়তে পারে কিছু দেশের স্বার্থ। তালেবানের ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা যত বাড়ছে, গোষ্ঠীটির সঙ্গে নানা দরকষাকষি ও বোঝাপড়া করে নিতে চাইছে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলো।

দুশ্চিন্তায় ভারত

আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে হারি নদীর ওপর থাকা সালমা ড্যাম ছিল দেশটিতে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এটি নতুন করে তৈরির পর নাম দেয়া হয়েছিল ভারত-আফগানিস্তান মৈত্রী সেতু। ২০১৬ সালে বাঁধটি উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

৬ জুলাই বাঁধটিতে হামলা চালিয়ে ১৬ নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যা করেছে কট্টর ধর্মীয় গোষ্ঠীটি।

এ ঘটনার কয়েক দিন পরেই কান্দাহার শহরের ভারতীয় কনস্যুলেটে কর্মরত কূটনীতিকদের দিল্লিতে ফিরিয়ে আনে ভারত ।

আফগান-ভারত সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত ওই বাঁধে হামলার পর তালেবানের উদ্দেশ্য নিয়ে মধ্যে শঙ্কিত দেশটি।

বিশ বছর আগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানে তালেবান ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পর আফগানিস্তানে প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়াতে সবচেয়ে তৎপর হয়েছিল ভারত।

৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই দেশের ৮৫ শতাংশ এলাকা নিজেদের কবজায় নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তালেবান।

জুন মাসে ফাঁস হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনা প্রত্যাহারের ছয় মাসের মধ্যে বর্তমান কাবুল সরকারের পতন হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে তালেবানের উত্থান ভারতকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে, কেননা আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি স্বার্থ ভারতের।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারে গত দুই দশকে প্রায় ৪০০ সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে ৩০০ কোটি ডলারেও বেশি বিনিয়োগ করেছে ভারত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ডজন ডজন প্রকল্প ছাড়াও দিলারাম-জারাঞ্জ মহাসড়ক নামে ২১৮ কিমি দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক তৈরি করে দিয়েছে দেশটি। কাবুলে নতুন আফগান পার্লামেন্ট ভবনটিও তৈরি করেছে তারা।

মধ্য এশিয়ার বাজারে ঢোকার জন্য ভারতের জন্য আফগানিস্তানকে দরকার। আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে ইরান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে দুটো পাইপলাইন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।

এছাড়া কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে এবং লাদাখ নিয়ে চীনের সাথে বিপজ্জনক দ্বন্দ্ব রয়েছে ভারতের। এখন তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান শত্রু রাষ্ট্রে পরিণত হলে ভারতের জন্য সেটি বড়রকমের দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।

কেননা এর আগে আফগানিস্তান থেকে মুজাহিদরা এসে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। তালেবান ক্ষমতায় এলে বা তাদের প্রভাব বাড়লে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।

তালেবান ক্ষমতায় আসলে ভারতের এসব স্বার্থ ও সংকটের কী হবে এমন চিন্তায় পড়েছে দেশটি।

তালেবানের উত্থানের সম্ভাবনায় অন্য সব আঞ্চলিক পরাশক্তি গোষ্ঠীটির সঙ্গে নানা দেনদরবারে গেলেও ভারত বিষয়টিকে এড়িয়ে আসছিল। এর অন্যতম কারণ ছিল বর্তমান আফগান সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ও তালেবানের পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতা।

বিশ্ব পরাশক্তিদের আগ্রহের কেন্দ্রে তালেবান

আফগানিস্তানের হেরাতে সালমা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনে ২০১৬ সালে দেশটি সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি

তবে শেষ মুহূর্তে ভারতও তালেবানের সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতায় আসতে চাইছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।

২১ জুন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমটিকে নিশ্চিত করেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড রেডিয়েশন অফ কনফ্লিক্ট রেজুলেশনে কাতারের বিশেষ দূত মুতলাক বিন মাজেদ আল কাহতানি।

তবে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ভারত।

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেও মস্কো যাওয়ার পথে ইরানের তেহরানে নামেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি যখন ওইসব দেশের রাজধানীতে যান, তখন সেখানে তালেবান নেতারাও ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তালেবানের ক্ষমতা দখলের বিষয়ে সন্দিহান থাকার চেয়ে গোষ্ঠীটির সঙ্গে এবার সরাসরি আলোচনায় যেতে চাইছে ভারত।

২৯ জুন তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পাকিস্তানের সাংবাদিক সামি ইউসুফজাই এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘তালেবান সূত্র নিশ্চিত করেছে তালেবান নেতা মোল্লা বারাদার ও খায়রুল্লাহ শেখ দিলওয়ারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। যেখানে তালেবান নেতারা তাকে ভরসা দিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক পাকিস্তানের ইচ্ছামতো হবে না।’

চীন-তালেবান সুসম্পর্ক

আফগানিস্তানের প্রধান কয়েকটি শহর দখলের পর বুধবার প্রথমবারের মতো তালেবানের কোনো শীর্ষ নেতা হিসেবে চীন সফর করেছেন দলটির সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার।

দেশটির উত্তরাঞ্চলের শহর তিয়ানজিনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ির সঙ্গে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ঘানি বারাদারের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন।

এ সময় ওয়াং য়ি বলেন, ‘তালেবান আফগানিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি। দেশের শান্তি, সংহতি ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়াতেও গোষ্ঠীটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রতিবেশী চীনের প্রায় ৮০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ওয়াখান করিডর নামে ওই অঞ্চলটি পড়েছে চীনের উইঘুর মুসলমান অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে। অভিযোগ রয়েছে, উইঘুরদের বিভিন্ন ক্যাম্পে আটকে রেখে নিপীড়ন চালাচ্ছে চীন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিনজিয়াংয়ের স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসছে ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম)।

চীনের ভয়, তালেবান ক্ষমতা দখল করলে আরও নির্বিঘ্নে ওয়াখান করিডর ব্যবহার করতে পারবে ইটিআইএম যোদ্ধারা।

বুধবারের বৈঠকের পর তালেবান নেতা মোল্লা বারাদার প্রতিশ্রুতি দেন, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে চীনের বিরুদ্ধে কাউকে তৎপরতা চালাতে দেবে না তালেবান।

চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক হু জিজিন এক নিবন্ধে লিখেছেন, তালেবানকে আর সন্ত্রাসী সংগঠন বলে না যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসলে তাদের সঙ্গে কাজ করবে দেশটি। এমন মুহূর্তে চীন যদি তালেবানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকে, তাহলে সেটি হবে নিজেই কূটনৈতিক ফাঁদে পড়ার মতো ঘটনা।

বিশ্ব পরাশক্তিদের আগ্রহের কেন্দ্রে তালেবান
বুধবার চীনের তিনজিয়ান শহরে এক বৈঠকের আগে তালেবান নেতা মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদারকে স্বাগত জানাচ্ছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক র‍্যান্ড করপোরেশনের বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যান ফরেন পলিসিতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী আফগানিস্তানে আরেকটি কারণে নিজের অবস্থান সংহত করতে চাইছে চীন। সেটি হলো দেশটির পর্বতাঞ্চলে মাটির নিচে থাকা ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদ। চীন এই খনিজ সম্পদ উত্তোলন করতে চায়।

এছাড়া আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে পাকিস্তানের পেশওয়ার শহর পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে চীন। এটি চীন ও পাকিস্তানকে যুক্ত করবে। এর ফলে চীনের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের সঙ্গেও যুক্ত হবে কাবুল।

আফগানিস্তানে এসব সুবিধা পাওয়ার আগে দেশটিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখার বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে চীনকে। আফগান সরকারের সঙ্গে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে তালেবানের ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা যত জোরালো হচ্ছে, আফগানিস্তানে চীনের জন্য সুখবরও তত বাড়ছে।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব চায়নার অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, ‘আফগানিস্তানে সরাসরি অর্থনৈতিক এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের চেয়ে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা এখন চীনের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

রাশিয়ার উদ্বেগ

তালেবানের ক্ষমতা দখল নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে রাশিয়াও। নব্বইয়ের দশকে তালেবানের প্রতিষ্ঠার অনেক আগেই এর অনেক সদস্য আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। সেই সূত্রেও রাশিয়ার সঙ্গে এক ধরনের ঐতিহাসিক বিরোধ রয়েছে গোষ্ঠীটির।

১ জুলাই কাবুলের পাশের বাগরামের প্রধান বিমান ঘাঁটি থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। এর তিন দিন পর ৪ জুলাই তালেবানের হামলার ভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে তাজিকিস্তানে চলে যায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ১ হাজার সদস্য।

তাজিকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদাখশানের অন্তত ছয়টি প্রধান জেলা দখল করেছে তালেবান।

তাজিকিস্তানের দুশানবেতে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি থাকায় এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন দেশটি নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে।

বিশ্ব পরাশক্তিদের আগ্রহের কেন্দ্রে তালেবান
মস্কোতে রাশিয়ার বিশেষ দূতের সঙ্গে দেখা করার আগে তালেবান নেতারা।

৮ জুলাই মস্কোতে আফগানিস্তানে রাশিয়ার বিশেষ দূত জামির কুবালোভের সঙ্গে দেখা করে তালেবানের একটি প্রতিনিধি দল। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, উত্তর আফগানিস্তানে সংঘাত বাড়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন কুবালোভ। একই সঙ্গে এই সংঘাত যেন আফগানিস্তানের বাইরেও ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে তালেবানের প্রতিনিধি দল জানায়, তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সীমান্তকে অস্থির করে হয়ে উঠতে দেবে না। একই সঙ্গে জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট আফগানিস্তানে যাতে ঘাঁটি গাড়তে না পারে রাশিয়াকে সেই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থান

এদিকে ১৩ জুলাই ডেইলি টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসলে তাদের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাজ্য। তবে তালেবান মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হলে এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানান তিনি।

বেন ওয়ালেস বলেন, ‘তালেবান যা চায় সেটি হলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। জাতি গঠনের জন্য তাদের টাকা ও সহায়তা দরকার। সন্ত্রাসী তকমা থাকলে সেটি তারা করতে পারবে না।’

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়ায় আপনি সহযোগী না হলে বিচ্ছিন্নতার ভয় রয়েছে। এটি তাদেরকে সেখানেই নিয়ে যাবে, এর আগে তারা (তালেবান) যা ছিল।’

এদিকে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সব সেনা সেপ্টেম্বরে চলে যাওয়ার ঘোষণার পরও কাবুলের প্রধান বিমানবন্দর পাহারায় নিজেদের কয়েকজন সেনা রেখে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ তালেবান দেশটিকে সতর্ক করে দিয়েছে।

তুরস্কের এ পরিকল্পনার বিষয়ে তালেবান এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তান তুরস্কের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছে। তুরস্কের কর্মকর্তারা তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় ব্যর্থ হলে এবং আমাদের দেশ দখলের প্রক্রিয়া জারি রাখলে ইসলামিক আমিরাত তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।’

বিশ্ব পরাশক্তিদের আগ্রহের কেন্দ্রে তালেবান
কাবুলে আফগান শিশুদের চকোলেট দিচ্ছেন তুরস্কের এক সেনা। ছবি: এএফপি

তালেবান আরও জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে পরিণতির দায় তাদের নিতে হবে, যারা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে।

এমন বিবৃতির পর আফগানিস্তানে তালেবানের কর্মকাণ্ডের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে তুরস্ক।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সামনে দেয়া এক বক্তব্যে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করতে চান বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

বিমানবন্দরে নিজেদের সেনা রাখার বিষয়টি টেনে তিনি বলেন, ‘তালেবান যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে, তারা তুরস্কের সঙ্গে একই বিষয় নিয়ে আরও সহজে আলোচনা করতে পারে।’

সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি যাতে তৈরি না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে সম্মত হয়েছে তালেবান। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে আসলেও নতুন চুক্তিপত্রের কোথাও গোষ্ঠীটিকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। চুক্তিপত্রে শান্তিপূর্ণ সংলাপের ভেতর দিয়ে আফগানিস্তানে যেই সরকার গঠন করুক না কেন, এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করারও অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পুরো ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় ও নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছে তালেবান নেতারা।

বিশ্ব পরাশক্তিদের আগ্রহের কেন্দ্রে তালেবান
আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরের রাস্তায় কয়েকজন তালেবান যোদ্ধা। ছবি: এএফপি

ভারতে দুই দিনের সফরে এসে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানান, আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আলোচনার শান্তিপূর্ণ পথেই এগোতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তালেবান বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইছে। চাইছে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হোক, তাদের নেতারা যেন দুনিয়ায় অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারেন।

‘কিন্তু আফগানিস্তানে জোর করে ক্ষমতা দখল করতে গেলে বা নিজেদের লোকদের ওপর অত্যাচার করে সে লক্ষ্য পূরণ হবে না।’

ব্লিংকেন বলেন, ‘এটা ঠিক যে গত সপ্তাহে আমরা বেশ কয়েকটি জেলা সদরে তালেবানের অগ্রযাত্রা দেখেছি। প্রাদেশিক কয়েকটি রাজধানীও তারা কবজা করতে চাইছে। যে সব এলাকা তারা দখল করেছে, সেখানে নির্যাতন চালানোরও খবর আসছে, যেগুলো সত্যিই বিচলিত করার মতো।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলা চালানো জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে তালেবানের সম্পর্কের জেরে আফগানিস্তানে সে সময় সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।

বিশ্ব পরাশক্তিদের আগ্রহের কেন্দ্রে তালেবান
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি মসজিদ প্রাঙ্গণ। ছবি:এএফপি

মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে ওই বছরই আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে তালেবানকে উৎখাত করা হয়। তালেবান উৎখাত হলেও আফগানিস্তানে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র ন্যাটোভুক্ত দেশের সেনারা। চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরাতে নিজেদের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এপ্রিলে বাইডেনের ওই ঘোষণার পর ন্যাটোর অন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোও আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের কথা বলে এবং ধীরে ধীরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে বিদেশি সেনা সরতে শুরু করে।

এর ধারাবাহিকতায় ১ জুলাই বিদেশি সেনাদের গুরুত্বপূর্ণ বাগরাম বিমানঘাঁটি ছেড়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র বাহিনী। তবে সেপ্টেম্বর নয়, ৩১ আগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহারের এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Mass arrests at various US universities as protests spread
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্যাম্প স্থাপন করে বিক্ষোভ চলছে। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি হামলা-হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে কলাম্বিয়া, এনওয়াইইউ, ইয়েল, বার্কলের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান, এমারসন কলেজ এবং টাফ্টসে ক্যাম্প স্থাপন করে বিক্ষোভ হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ থামাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে প্রশাসন।

নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে (এনওয়াইইউ) বিক্ষোভকারীদের একটি ক্যাম্প ভাঙতে সোমবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দিনের শুরুতে ইয়েল থেকে বহুসংখ্যক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি সশরীরে ক্লাস বাতিল করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে ইহুদি-বিদ্বেষ ছড়ানোর উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণগ্রেপ্তার
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এনওয়াইইউ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

গাজার শাসক দল হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালানোর পর সাঁড়াশি হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেই থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে বিক্ষোভ ও উত্তপ্ত বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বেড়েই চলেছে।

উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীরাই বলছেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি-বিদ্বেষ ও ইসলাম-বিদ্বেষ উভয় ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ গত সপ্তাহে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেকে এনে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করার পর এই বিক্ষোভ-আন্দোলনের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।

এরপর থেকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। এনওয়াইইউ এবং ইয়েল ছাড়াও বার্কলের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি), ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান, এমারসন কলেজ এবং টাফ্টসে ক্যাম্প স্থাপন করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা-হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

অন্যান্য বিক্ষোভকারীর মতো এনওয়াইইউ-এর বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে ইসরায়েলি দখলদারত্বে আগ্রহী অস্ত্র প্রস্তুতকারক এবং সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আর্থিক অনুদান না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আলেহান্দ্রো তানন নামের এক শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একটি সংকটময় মুহূর্তে রয়েছে। এই বিক্ষোভ ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও সাউথ আফ্রিকার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনীয়।’

এক বিক্ষোভকারী সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমরা প্যালেস্টাইনের পাশে আছি এবং সব মানুষের মুক্তির পক্ষে।’

এনওয়াইইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিজনেস স্কুলের বাইরে মূল ক্যাম্পে ৫০ জন ছিল। তারা এই বিক্ষোভকে অননুমোদিত বলে বর্ণনা করে বলেছে, এর ফলে ক্লাস ব্যাহত হচ্ছে।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার শুরু করে। তবে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে কানেক্টিকাটের নিউ হ্যাভেনের ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। তাদের অনেকেই বিক্ষোভস্থল থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।

সোমবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষার্থীদের ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানিমূলক আচরণের উল্লেখ করে ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। সেখানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:
ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের
ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর
পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে

মন্তব্য

বিশেষ
Iran has a strong message to Israel not to make mistakes again

ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের

ফের ‘ভুল’ না করতে ইসরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটি লাহোরে (জিসিইউএল) মঙ্গলবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনের প্রভাবশালীদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: প্রেস টিভি
ইসরায়েলকে ফের ভুল না করার বিষয়ে সতর্ক করে রাইসি বলেন, ‘জায়নবাদী সরকার যদি আরেকবার ভুল করে ইরানের মাটিতে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে এবং এই শাসনব্যবস্থার কতটা অবশিষ্ট থাকবে, তা পরিষ্কার নয়।’

ইরানের মাটিতে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, আরেকবার ‘ভুল’ করলে তেহরানের জবাব হবে বিপর্যয়কর।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নমেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটি লাহোরে (জিসিইউএল) মঙ্গলবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সংস্কৃতি ও শিক্ষাঙ্গনের প্রভাবশালীদের সঙ্গে বৈঠকে রাইসি এ বার্তা দেন বলে জানায় প্রেস টিভি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, বক্তব্যে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে সম্প্রতি ইসরায়েলের মাটিতে তেহরানের আক্রমণের বিষয়টি তুলে ধরেন রাইসি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, দামেস্কে ইসরায়েলের হামলাটি ছিল সব আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের বিরোধী। এ কারণে ইসরায়েলকে শাস্তি দিয়েছে ইরান।

ইসরায়েলকে ফের ভুল না করার বিষয়ে সতর্ক করে রাইসি বলেন, ‘জায়নবাদী সরকার যদি আরেকবার ভুল করে ইরানের মাটিতে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে এবং এই শাসনব্যবস্থার কতটা অবশিষ্ট থাকবে, তা পরিষ্কার নয়।’

গত ১৩ এপ্রিল ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’ নামে অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক শ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এ কাজে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র রাষ্ট্রগুলো।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর
পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে
হামলার জবাব এখনই নয়: ইরানের কর্মকর্তা

মন্তব্য

বিশেষ
Biggest post election challenge in India Unemployment Survey

ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ

ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ ভারতের দিল্লিতে পণ্যবাহী গাড়ি টেনে নিচ্ছেন এক শ্রমিক। ছবি: রয়টার্স
গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬ জন অর্থনীতিবিদের ওপর জরিপ চালায় রয়টার্স, যাদের মধ্যে ১৫ জনই বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারের জন্য বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বেকারত্ব।

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসা সরকারের জন্য বেকারত্ব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

বার্তা সংস্থাটি অর্থনীতিবিদদের ওপর চালানো জরিপের ফল বুধবার এক প্রতিবেদনে তুলে ধরে।

জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদদের আশা, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বড় অর্থনীতিগুলোর ‍তুলনায় দ্রুততম গতিতে ভারতের প্রবৃদ্ধি হলেও বিপুল ও ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।

গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬ জন অর্থনীতিবিদের ওপর জরিপ চালায় রয়টার্স, যাদের মধ্যে ১৫ জনই বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারের জন্য বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বেকারত্ব।

অন্যদিকে আট অর্থনীতিবিদ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটির গ্রামাঞ্চলে ভোগকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন। অন্যদিকে দুজন অর্থনীতিবদ মূল্যস্ফীতি এবং একজন দারিদ্র্যকে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দল বিজেপি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল। চলতি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারে দলটি।

বিজেপির প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেকারত্বের হার পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন:
ভারতীয় পণ্য বর্জন বাস্তবসম্মত কি না, প্রশ্ন কাদেরের
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের সময় পাশে ছিল ভারত: কাদের
বিহারে নির্মাণাধীন সেতু ধসে একজন নিহত
দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার
গুজরাটে ‘তারাবির নামাজ পড়ায়’ হামলা, আহত ৫ বিদেশি ছাত্র

মন্তব্য

বিশেষ
Hizbollah attacks deep into Israel

ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর

ইসরায়েলের গভীরে হামলা হিজবুল্লাহর ইসরায়েলি হামলায় এক যোদ্ধা নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ইসরায়েলে হামলাটি চালানো হয় বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। ছবি: এএফপি
হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।

ইসরায়েলের একর শহরের উত্তরে দেশটির ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের এত ভেতরে এটিই হিজবুল্লাহর প্রথম হামলা।

হিজবুল্লাহ মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানায়, ফাঁদ সৃষ্টিকারী ও বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে আকাশপথ থেকে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল একর ও নাহারিয়ার মধ্যবর্তী ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি।

ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির ভাষ্য, ইসরায়েলি হামলায় তাদের এক যোদ্ধা নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ইসরায়েলে হামলাটি চালানো হয়।

হামলার একটি ছবি প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ, যেটি দৃশ্যত স্যাটেলাইট চিত্র। এতে হামলাস্থল চিহ্নিত করা হয়েছে লাল দাগ দিয়ে।

হিজবুল্লাহর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের কোনো স্থাপনায় হিজবুল্লাহর হামলার বিষয়ে তথ্য নেই।

এর আগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের কাছে ‘আকাশপথে আসা দুটি লক্ষ্য’ প্রতিহত করা হয়েছে।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হানিনে আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হন।

আরও পড়ুন:
পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল পাস প্রতিনিধি পরিষদে
হামলার জবাব এখনই নয়: ইরানের কর্মকর্তা
ইরানে হামলার খবরে পুঁজিবাজারে ধস, তেলের দামে উল্লম্ফন

মন্তব্য

বিশেষ
10 killed in mid air collision between two planes in Malaysia

মালয়েশিয়ার আকাশে দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, নিহত ১০

মালয়েশিয়ার আকাশে দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, নিহত ১০
রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজের জন্য একটি সামরিক মহড়া চলাকালীন মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর ওই দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়।

মালয়েশিয়ায় একটি সামরিক মহড়ার সময় মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজের সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলভার সাড়ে ৯টার দিকে মালয়েশিয়ার লুমু শহরে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

প্রতিবেদন বলছে, রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজের জন্য একটি সামরিক মহড়া চলাকালীন মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর ওই দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়। পরে বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায় বাহন দুটি। কেউই বেঁচে নেই।

নানা মাধ্যমে এর ফুটেজও প্রকাশিত হয়েছে।

রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ১০ জনকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। লুমুত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মরদেহ শনাক্তের জন্য। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

যে দুটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে এর মধ্যে একটি হলো এইচওএম এম৫০৩-৩। এতে সাতজন আলোরী ছিলেন। চলমান ট্র্যাকে বিধ্বস্ত হয়েছে এই উড়োজাহাজটি। অন্যটি ফেনেক এম৫০২-৬। এতে ছিলেন তিনজন আরোহী। এটি বিধ্বস্ত হয় কাছাকাছি একটি সুইমিং পুলে।

রাজ্যের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার বিষয়য়ে সতর্ক করা হয়েছিল।

এর আগে গত মার্চ মাসে একটি মালয়েশিয়ান কোস্ট গার্ড উড়োজাহাজ প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় মালয়েশিয়ার আংসা দ্বীপের কাছে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনার পর পাইলট, কো-পাইলট এবং এতে থাকা দুই যাত্রীকে জেলেরা উদ্ধার করেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Taiwan was shaken by more than 80 earthquakes

ভূমিকম্পে ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান

ভূমিকম্পে ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান গত ৩ এপ্রিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল। ছবি: এপি
১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত আনে। এতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যায়।

এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্পে দফায় দফায় কেঁপে উঠল তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব কম্পন অনুভূত হয়।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তীব্রতার ভূমিকম্পের উৎপত্তি পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েনে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশিমক ৩।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসনের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে প্রথম যে ভূমিকম্প আঘাত হানে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশিমক ৫। রাজধানী তাইপেতেও এ কম্পন অনুভূত হয়। এরপর দফায় দফায় কম্পন অনুভূত হতে থাকে। বিশেষ করে মঙ্গলবার সকালে আঘাত হানা দুটি ভূমিকম্প ছিল তীব্র।

রিখটার স্কেলে প্রথমটির তীব্রতা ছিল ৬.০ এবং দ্বিতীয়টির ৬.৩।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল। এতে অন্তত ১৭ জন মারা গেছে। অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

তীব্র এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে।

তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত আনে। তাতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা যায়।

এদিকে নতুন এ ভূমিকম্পের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপক দলকে পাঠানো হয়েছে।
কেউ হতাহত হয়নি বলে তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বলে তাইওয়ানে ঘন ঘন ভূমিকম্প আঘাত হানে।

আরও পড়ুন:
মৃদু ভূমিকম্পে কাঁপল চুয়াডাঙ্গা
চীনে আঘাত হানল ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
জাপানে ভূমিকম্পে নিহত ৩০, চলছে উদ্ধারকাজ
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
চীনে ভূমিকম্পে নিহত শতাধিক

মন্তব্য

বিশেষ
UK passes law to send migrants to Rwanda

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে যুক্তরাজ্যে আইন পাস

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে যুক্তরাজ্যে আইন পাস অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে আইন পাস করেছে যুক্তরাজ্য। ছবি: বিবিসি
এর আগে নথিপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরের জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাজ্য। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বাইরুতার সঙ্গে এ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।

নথিপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে আইন পাস করেছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউজ অফ লর্ডসের বিরোধিতা এবং নানা বিতর্কের পর পার্লামেন্টে মঙ্গলবার সকালে এ সংক্রান্ত বিলটি পাস করে আইনে পরিণত করা হয় বলে জানায় বিবিসি।

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসে বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ৩১৭টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩৭ টি। মোটামুটি বড় ব্যবধানেই বিলটি পাস হয়।

এ আইনে রুয়ান্ডাকে একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সেখানে কিছু আশ্রয়প্রার্থী পাঠানো সরকারের পরিকল্পনার একটি মূল অংশ।

হাউস অব লর্ডস থেকে এই বিলের বিষয়ে দুটি আপত্তি জানানো হয়। সেই বিষয়ে হাউস অব কমনসে বিতর্ক শুরু হয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে। পরে দীর্ঘ বিতর্ক শেষে মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে বিলটি পাস হয়।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সোমবার জানান, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর ফ্লাইট ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই শুরু করতে চান। প্রথম ফ্লাইট জুলাইয়ে রুয়ান্ডায় রওনা হবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার ঋষি বলেন, ‘আমরা বিমানঘাঁটি প্রস্তুত রেখেছি। বাণিজ্যিক বিমান ভাড়া করেছি এবং অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরকে পাহারা দিয়ে রুয়ান্ডায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫০০ স্টাফকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আর কোনো যদি এবং কিন্তু নেই। ফ্লাইটগুলো রুয়ান্ডায় যাচ্ছে। আমরা প্রস্তুত, ফ্লাইটগুলো পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’

এর আগে নথিপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরের জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাজ্য। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বাইরুতার সঙ্গে এ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নিজ দেশের অভিবাসী কেন্দ্রগুলো থেকে সব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে রুয়ান্ডা পাঠাবে ব্রিটেন। সেই সঙ্গে ব্রিটেন থেকে যাওয়া অভিবাসীদের অন্য কোনো দেশে পাঠানো যাবে না বলে রুয়ান্ডারকে শর্ত দেয়া হয়েছে।

ওই সময় চুক্তিতে মতানৈক্য থাকায় যুক্তরাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন রবার্ট জেনরিক।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশিদের ভোট দেয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না: যুক্তরাজ্য
মতের দ্বন্দ্বে পদত্যাগ করলেন যুক্তরাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রী
সরকারে ক্যামেরন, ব্রিটেনের রাজনীতিতে আলোড়ন
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান বরখাস্ত
সিগারেট নিষিদ্ধ হচ্ছে যুক্তরাজ্যে!

মন্তব্য

p
উপরে