× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
নির্মাণের এক মাসের মধ্যে সড়ক বিলীন
google_news print-icon

নির্মাণের এক মাসের মধ্যে সড়ক বিলীন

নির্মাণের-এক-মাসের-মধ্যে-সড়ক-বিলীন
আলফাডাঙ্গার টগরবন্দ ইউনিয়নে সড়ক নির্মাণের এক মাসের মধ্যে রাস্তা বিলীন হওয়ায় এভাবেই পার হচ্ছেন স্থানীয়রা। ছবি: নিউজবাংলা
আলফাডাঙ্গায় সংসদ সদস্যের বরাদ্দের উন্নয়ন কাজ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। গ্রামে যেসব সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর মান নিয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন। কিছু সড়ক বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে।

ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন বুলবুলের বরাদ্দ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

একটি সড়ক নির্মাণের এক মাসের মধ্যে সেটির একটি অংশ পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া নির্মাণের ১০ দিনের মধ্যে ইটের রাস্তার বিভিন্ন অংশ ধসে গেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) করা হয়েছে সংসদ সদস্যর কাছের লোকজনদের। এ কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম হলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।

২০২০-২১ অর্থবছরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মনজুর হোসেন বুলবুল বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ দেন। অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা/কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল নিচুপাড়ায় একটি মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের তৃতীয় কিস্তির বরাদ্দের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা। ওই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইফতেখার আলম।

আরেকটি প্রকল্প চরবাকাইলে মাটির রাস্তায় মাটির কাজ ও ইটের সোলিং নির্মাণ কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা। ওই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি খন্দকার জাহিদুল ইসলাম ওরফে জয় বকুল। টগরবন্দ ইউনিয়নে আরেকটি মাটির রাস্তা নির্মাণেও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

এছাড়া পানাইল আরেকটি রাস্তার ইটের সোলিং করা ও প্যালাসাইডিং নির্মাণ কাজে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পানাইল কবরস্থানে মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা। ওই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সুলতান মাহামুদ। এছাড়া চরকাতলাসুর ৭ নং ওয়ার্ডে মাটির রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ লাখ টাকা। পানাইল পশ্চিম পাড়ায় একটি ইটের রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। চরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ভরাট প্রকল্পে ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সরেজমিনে টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল নিচুপাড়া ইমরুলের বাড়ি থেকে কাশেমের বাড়ির অভিমুখে মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে বিলের মধ্যে নিচু জায়গায়। ইতিমধ্যেই পানি বাড়ায় একটি অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া রাস্তাটিতে কোনোরকমে মাটি ফেলা হয়েছে। সমানও করা হয়নি রাস্তাটি।

নির্মাণের এক মাসের মধ্যে সড়ক বিলীন


স্থানীয় বাসিন্দা ওবায়দুর রহমান জানান, বিলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় বর্ষামৌসুমে সম্পূর্ণ তলিয়ে যাবে। পানি বাড়ায় ইতিমধ্যেই রাস্তাটির মাঝের একটি অংশ বিলীন হয়ে গেছে। জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাস্তাটি নির্মাণ করা হলেও এখন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাস্তা পারাপার হতে পানির মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয়।

ওই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইফতেখার আলমের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরবর্তীতে ফোন ধরেন তার মেয়ে। তিনি জানান, তার বাবা বাসায় নেই। কখন আসবেন তিনি জানেন না। বলে ফোনের লাইন কেটে দেন তিনি।

টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল নজির আহম্মেদের বাড়ি থেকে চরডাঙ্গা আলমগীর হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির মাঝখানে একটি অংশ কেটে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, ওইখানে একটি কালভার্ট বসানো হবে। এ জন্য কেটে রাখা হয়েছে।

ওই সড়ক দিয়েও চলাচল করতে কোমর সমান পানি পার হয়ে পারাপার হতে হয় জনসাধারণকে। এদিকে এই রাস্তাটি নির্মাণের সময় যে মাটি লেগেছিল, তা নেওয়া হয় রাস্তার পাশের জমি থেকে। ওই সময় জমির মালিকদের বলা হয়েছিল, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। নামমাত্র ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা রমজান শেখ বলেন, রাস্তা নির্মাণের পর নামমাত্র ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, যাদের জমি থেকে মাটি নেওয়া হয়েছে, সেই জায়গায় এখন হাঁটুপানি। কোনো ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে না ওই জমিতে। তিনি আরো জানান, এই রাস্তা নির্মাণের সময় সংসদ সদস্যের চাচাতো ভাই দেখাশোনা করেছেন। এ কারণে ভয়ে কেউ কিছু বলেনি।

পানাইল পশ্চিমপাড়ার আলী মোল্যার বাড়ি থেকে মুরাদ জমাদ্দারের বাড়ি পর্যন্ত ইটের রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ ধসে গেছে। রাস্তা নির্মাণের মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ধসে গেছে একাধিক জায়গা। ওই রাস্তা দিয়ে স্থানীয়দের এখন পায়ে হেঁটে চলাচল করতেও সমস্যা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা লিমন শেখ জানান, রাস্তার বিভিন্ন অংশ ধসে যাওয়ায় চলাচলে খুব কষ্ট হচ্ছে। ভ্যানে কোনো মালামাল বাড়িতে আনতে পারছেন না তিনি। এর চেয়ে মাটির রাস্তাই তাদের ভালো ছিল। তিনি জানান, প্রকল্পটির পিআইসি ছিলেন খন্দকার জাহিদুল ইসলাম ওরফে জয় বকুল। রাস্তা ধসে যাওয়ার পরপরই তাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়নি।

নির্মাণের এক মাসের মধ্যে সড়ক বিলীন


ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মনজুর হোসেন বুলবুলের বরাদ্দ প্রকল্পগুলোর বেশিভাগের বাস্তবায়ন কমিটিতে রয়েছেন খন্দকার জাহিদুল ইসলাম ওরফে জয় বকুল। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন হওয়ায় বেশিরভাগ নির্মাণকাজই করে থাকেন খন্দকার জাহিদুল ইসলাম ওরফে জয় বকুল। আর বেশিরভাগ কাজেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায় না।

খন্দকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, পানাইলের যে অংশে ইটের সোলিংয়ের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি নিচু হওয়ায় আশপাশের বাড়ি থেকে বৃষ্টির ঢলের পানি এসে রাস্তার উপরে পড়ে। মেশিন দিয়ে কেটে ফেলানো নতুন বালি ধসে যায়। তবে ওই ক্ষতিগ্রস্ত অংশটুকু মেরামত করা হচ্ছে।

অন্যান্য প্রকল্পের ব্যাপারে জানতে চাইলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিয়ম মেনেই প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে, তবে কিছু প্রকল্প নিচু এলাকায় হওয়ায় সমস্যা হয়েছে, সেগুলো সমাধান করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।

পানাইল কবরস্থানে মাটি ভরাটের প্রকল্পটিতেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি (পিআইসি) সুলতান মাহামুদ বলেন, ‘এখনও প্রকল্পের কাজ চলমান। বৃষ্টির কারণে মাটি ভরাটের কাজ সাময়িক বন্ধ। অনিয়মের প্রশ্নই আসে না। সঠিকভাবেই কাজ সম্পন্ন করা হবে।’

টগরবন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিক ফকির বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে সংসদ সদস্যর কোনো যোগাযোগ নেই। সংসদ সদস্য তার নিজস্ব কিছু লোকজন দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করিয়ে থাকেন। এ কারণে উন্নয়নমূলক কোনো কাজের ব্যাপারে আমরা খোঁজ খবর রাখি না। অনিয়ম হলেও আমরা দেখতে যাই না। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ নেই।’

আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে এমপি মহোদয়ের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি স্থানীয় বিএনপি, জামায়াতের লোকজনদের নিয়ে চলাফেরা করে থাকেন। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর সাথে তার কোনো কথাবার্তাও হয় না।’

তিনি বলেন, ‘এলাকায় তার নিজস্ব কিছু লোকজন রয়েছে, তাদের নামেই প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এমনকি একেকজনের নামে একাধিক প্রকল্পও দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে লোকমুখে শুনেছি। যেহেতু তিনি আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখেন না, সে কারণে ওই কাজগুলোর ব্যাপারে আমরা কোনো খোঁজ খবর রাখি না।’

প্রকল্পের নির্মাণকাজের বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান বলেন, ‘এলাকায় অনেক উন্নয়ন কাজ করছেন এমপি মনজুর হোসেন বুলবুল। বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে। আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি, এলাকায় গিয়ে সকল প্রকল্প পরিদর্শন করব। যারা এই প্রকল্পগুলোর কাজ করছেন, তারা যদি অনিয়ম করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রণব পান্ডে বলেন, ‘বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ লোকমুখে শুনেছি। প্রকল্পগুলোর বিল এখনও দেওয়া হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে বিল দেয়া হবে।’

আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ একটু দেরিতে আসায় বর্ষা মৌসুমেই কাজ করতে হচ্ছে। এ কারণে কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি, চলমান রয়েছে। কাজ শেষ হলে সরেজমিনে পরিদর্শন শেষেই বিল প্রদান করা হবে। অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। নিয়ম অনুযায়ী যেভাবে প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার কথা সেভাবেই পিআইসিদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেওয়া হবে। তারপরেই বিল প্রদান করা হবে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মনজুর হোসেন বুলবুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

তবে তার এপিএস মমিন ইমনের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ‘কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে, কিছু প্রকল্পের কাজ এখনও চলমান রয়েছে। কিছু জায়গায় বর্ষার পানির কারণে সমস্যা হয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বাস-নছিমন সংঘর্ষে নিহত ১
ট্রাকের ধাক্কায় নিহত মোটরসাইকেলচালক
মোটরসাইকেল-আলমসাধু সংঘর্ষে নারী নিহত
ট্রাকের নিচে অটোরিকশা, নিহত ২
মোটরসাইকেল-অটোরিকশার সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

বিশেষ
Loss of Tk 10 Crores Those three officers of Agrani Bank have been dismissed

দশ কোটি টাকা লোপাট: অগ্রণী ব্যাংকের সেই তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত

দশ কোটি টাকা লোপাট: অগ্রণী ব্যাংকের সেই তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত ছবি: নিউজবাংলা
অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার আফজাল হোসেন বলেন, ‘ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে পুলিশে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরে অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে শনিবার দুপুরে জানান অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার আফজাল হোসেন।

বরখাস্ত হওয়া ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন- কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার আবু জাফর ও ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী।

আফজাল হোসেন বলেন, ‘ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে পুলিশে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত দল পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে। দলটির প্রধান হলেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আনোয়ার হোসেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের শুক্রবার বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

মন্তব্য

বিশেষ
Frogs wedding in hope of rain

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে ছবি: নিউজবাংলা
মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ও বৃষ্টির আসায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নেচে গেয়ে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন স্থানীয়রা। লোকজন।

উপজেলার চন্দ্রখানা বালাটারি গ্রামে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠান চলে।

ওই এলাকার বাসিন্দা সাহাপুর আলীর স্ত্রী মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

বিয়ের আয়োজনকারী মল্লিকা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরে তীব্র গরম। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে আমরা কষ্টে রয়েছি; গ্রামের মানুষজন অস্তিত্বতে আছে। কেউই কোনো কাজ কামাই করতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আগের যুগের মানুষরা ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হতো। সেই বিশ্বাস থেকেই আজ ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছি।’

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

বিয়ে দেখতে আসা জাহিদ নামের একজন বলেন, “আমার জীবনে প্রথম ব্যাঙের বিয়ে দেখলাম। খুবই ভালো লেগেছে। ‘বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে’ বিষয়টি প্রথম জানলাম।”

বৃদ্ধ আজিজুল হক বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আবাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছি।’

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কুড়িগ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। আজ (শনিবার) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

মন্তব্য

বিশেষ
The death of the child fell from the mothers lap due to the impact of the autorickshaw

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে কাঁদছেন শিশু হুমাইরা আক্তারের স্বজন। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষকালে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগম ধাক্কা খান। এ সময় শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে এক বছরের শিশু হুমাইরা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার মদিনা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মদিনা বাজারের উত্তর পাশে খানকা শরীফের সামনের সড়কে দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ সময় রাস্তার পাশে এক বছরের শিশু সন্তান হুমাইরাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগমের ধাক্কা খান অটোরিকশার সঙ্গে। এতে শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অটোরিকশা দুটি আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া দুই চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

মন্তব্য

বিশেষ
Field workers of Pran RFL died of heatstroke in Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর ফাইল ছবি
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হিটস্ট্রোকের লক্ষণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে সাখাওয়াত হোসেন মুকুল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির মাঠ পর্যায়ের বিপনন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

২৭ বছর বয়সী মুকুলের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায়।

প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির মুন্সীগঞ্জ শহরের সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ মোহাম্মদ রোকন জানান, শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ শহরের অদূরে মুন্সীরহাট এলাকায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অবস্থায় তীব্র গরমের কারণে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস হাসান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের হিটস্ট্রোকের লক্ষণ রয়েছে বলে জানান তিনি।

নিহতের মরদেহ তার নিজ জেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন:
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও

মন্তব্য

বিশেষ
Hundreds of houses were destroyed in Kamalganj in the rampage of Kalbaisakhi

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে ঝড়ে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোকে। ছবি: নিউজবাংলা
ঝড়ে গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে এবং তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

আকস্মিক কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ও শমশেরনগর ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে আরও বেশ কিছু বাড়িঘর। ঝড়ের পর খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে অর্ধশতাধিক পরিবার।

এ ছাড়াও গাছপালা উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে এবং তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এই ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। প্রায় সাড়ে ১৫ ঘণ্টা পর শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার, ধূপাটিলা, উসমানগড়, ব্রাহ্মণঊষারসহ ৮টি গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘর এবং শমশেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি, ভাদাইরদেউল গ্রামে আরও কয়েকটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছ-বাঁশ উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

পতনঊষার ইউনিয়নের নেছার মিয়া, ময়নুল মিয়া, খুশবা বেগম, লিপি বেগম, রহমান মিয়া, সুফিয়ান মিয়া, কালাম মিয়া, আনু মিয়া, ফখরুল মিয়াসহ অসংখ্য পরিবার দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, গতরাতে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে তীব্র শিলাবৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যে তাদের ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যায়। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। সহোযোগিতা না পেলে আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে।’

পতনঊষার ইউপি সদস্য তোয়াবুর রহমান জানান, আকস্মিক ঝড়ে পতনঊষার গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে সেসব দরিদ্র পরিবারের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কমলগঞ্জে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তাদের দ্রুত সহায়তার প্রয়োজন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাহেবকে অবহিত করা হয়েছে।’

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক মীর বলেন, ‘ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। অনেক স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। এসব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।’

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ ইউএনও জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান বাড়িঘর বিধ্বস্তের কথা বলেছেন। তবে পরিপূর্ণ হিসাব জানা যায়নি। চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেয়ার জন্য। দ্রুত তাদের সহোযোগিতা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
মধ্যরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎহীন কুলাউড়া
বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে ৭ জনের প্রাণহানি

মন্তব্য

বিশেষ
Chuadanga is burning at a temperature of 426 degrees Celsius

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা প্রখর রোদে মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে চুয়াডাঙ্গাবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত অতি তীব্র তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।

শনিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র থেকে অতি তীব্র আকার ধারণ করছে জেলার তাপপ্রবাহ। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি নেই কোথাও। আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণের সঙ্গে কোনোভাবেই খাপ খাওয়াতে পারছে না জেলাবাসী। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের ইজিবাইক চালক হারেজ আলী বলেন, ‘কঠিন তাপ পড়চি। সূর্য মনে হচ্চি মাতার উপর চলি এসিচে। আমরা গরীব মানুষ, পেটের দায়ে বাইরি বের হয়িচি। মাজে মাজে রাস্তার পাশের দুকান থেকি শরবত খেয়ি ঠান্ডা হচ্চি।’

৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম; নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

মৌসুমের প্রায় সময়জুড়েই উত্তপ্ত থাকে চুয়াডাঙ্গা। এবারও চৈত্রের মধ্যভাগ থেকে শুরু হওয়া তাপমাত্রার এমন দাপট বৈশাখের আবহাওয়াকে জটিল করে তুলছে। এ যেন মরুর উষ্ণতা অনুভব করছে মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ মাসের শেষের কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

আরও পড়ুন:
রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ
৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

মন্তব্য

বিশেষ
Passenger bus ditches to avoid collision with easy bikes

ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে

ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে ছবি: নিউজবাংলা
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী সজীব হোসেন বলেন, ‘ইজিবাইক পাশ দিতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ইজিবাইক নছিমন বন্ধ করা উচিত।’

মাদারীপুরে ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে সেটিকে পাশ দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস খাড়ে পড়ে যায়। এতে অল্পের জন্যে জীবন রক্ষা পেয়েছে বাসের অন্তত ৬৫ যাত্রীর। তবে এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর জেলার ঘটকচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে বাস ও আহতদের উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাওলাদার পরিবহনের একটি বাস প্রায় ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘটকচর এলাকায় আসলে একটি ইজিবাইক রাস্তার মাঝে চলে আসে। দুর্ঘটনা এড়াতে ইজিবাইকটিকে পাশ দিতে বাসচালক দ্রুত মোড় নেয়ায় বাসটি রাস্তার পাশের খাদে চলে যায়। তবে খাদটি বেশি গভীর না হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছে বাসের যাত্রীরা। তবে আঘাত পেয়ে বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীদের হাত-পায়ে একাধিক স্থানে কেটে গেছে। এ ঘটনায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে মোস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় যাত্রীদের উদ্ধার করে।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী সজীব হোসেন বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজে সাতক্ষীরা যাচ্ছিলাম। ঘটকচর স্ট্যান্ডের কিছুটা দূরে আসার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ একটা ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে গেলাম। পরে দেখি বাসটি খাদে পড়ে গেছে। আমার নাকে কিছুটা আঘাত পেয়েছি। অন্য যাত্রীদেরও বেশ আঘাত লেগেছে।’

তিনি বলেন, ‘ইজিবাইক পাশ দিতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ইজিবাইক নছিমন বন্ধ করা উচিত।’

এ ব্যাপারে মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মারুফ রহমান বলেন, ‘বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে অন্তত ৬৫ জন যাত্রী। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ইজিবাইকটি আটক করা যায়নি।’

আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

মন্তব্য

p
উপরে