ব্যস্ত নাগরিক জীবন, প্রযুক্তিগত আসক্তি, উচ্চাকাঙ্ক্ষাসহ বিভিন্ন কারণে অভিভাবকের সঙ্গে পরিবারের ছোট সদস্যদের দূরত্ব বাড়ছে। এর জের ধরে তৈরি হচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সংবাদমাধ্যমের শিরোনামও হয়েছে।
পরিবারে শিথিল সম্পর্কের কারণ ও মানসিক বিচ্ছিন্নতা নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীদের সঙ্গে; কথা হয়েছে অপরাধবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম মনে করেন, এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে পারিবারিক বন্ধন, নৈতিক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ, সন্তানের জন্য প্রথম রোল মডেল মা-বাবা। এই সম্পর্কে কোনো প্রকার ঘাটতি দেখা দিলেই সন্তান বিভ্রান্ত হতে পারে। সমবয়সী বন্ধুদের রোল মডেল হিসেবে ধরে তাদের মতো চলতে শুরু করে। আর বিপত্তিটা ঘটে তখনই।
মনোবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যখন একটা শিশু জন্ম নেয়, সাইকোলজির ভাষায় আমরা তাকে মানুষ বলি না, প্রাণী বলি। কারণ ওই সময় তার কোনো কিছু ভাবার ক্ষমতা বা স্মৃতি থাকে না। জন্মের পর শিশুদের ব্রেন থাকে পুরোপুরি ব্লাঙ্ক।
‘জন্মের পর দিনের পর দিন যা সে দেখবে, জানবে, শুনবে- সেসব দিয়েই তার মেমোরি তৈরি হবে। এগুলোর বেসিসে তার নীতিনৈতিকতা আর বুদ্ধি-বিবেচনা তৈরি হবে। আর এক্ষেত্রে জন্মক্ষণ থেকেই শিশু তার সামনে মডেল হিসেবে পায় মা-বাবাকেই।’
ড. মাহফুজা খানম মনে করেন, সামাজিকতার জায়গা থেকে নামমাত্র মা-বাবা না হয়ে প্রকৃত অর্থে মা-বাবার রোল বলতে যা বোঝায়, সেগুলো পালনের মাধ্যমে সন্তানকে নৈতিক আদর্শ ও বাস্তবমুখী শিক্ষা দেয়া গেলে সেই বাচ্চার বিকাশ স্বাভাবিক ও আশানুরূপ হবে।
তিনি বলেন, ‘সন্তান জন্ম দেয়ার পর মা-বাবা যদি শুধুই তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে তারা তাদের সন্তানের কাছে কী আদর্শ আশা করবেন? কারণ শিশুটির স্মৃতিতে মা-বাবার তেমন কোনো ভূমিকা থাকে না। তার মস্তিষ্কে আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষার বিষয়টিই কাজ করে না।’
বর্তমান সমাজে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মা-বাবা তাদের সন্তানদের কাছে রোল মডেল হতে পারছেন না মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মনোবিজ্ঞানী বলেন, ‘আর সে জন্য অনেক সন্তানের মধ্যে তাদের মা-বাবাকে যথাযোগ্য সম্মান দিতে দেখা যায় না। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ গড়ে ওঠে না। আদর-স্নেহের অভাবে সন্তানও একটা সময় আর মা-বাবার কাছে মনের কথা খুলে বলার সাহস পায় না। এর ফলে মা-বাবার সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে সন্তানের বিপথে চলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
‘আবার কিছু মা-বাবা আছেন, যারা তাদের সন্তানকে অতিরিক্ত শাসন বা অসুস্থ রুলসের মধ্য দিয়ে এমনভাবে গড়ে তোলেন যে তারা নিজেরাও বুঝতে পারেন না তাদের মধ্যে আসলে কী পরিমাণ দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তারা সন্তানদের আত্মার আত্মীয় হতে পারেন না; বন্ধুও হতে পারেন না। নিজেদের অজান্তেই সন্তানের সঙ্গে গড়ে তোলেন সংকোচ, ভয়, লজ্জা নামের এক অভিভাবকের সম্পর্ক।’
ড. মাহফুজা খানম বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা দেখি অভিভাবক ও সন্তানের মধ্যে বিরাট গ্যাপ তৈরি হয়ে আছে। বাচ্চাদের যতটুকু সময় দেয়ার কথা তার কানাকড়িও অনেক অভিভাবক দিতে পারেন না বা দিচ্ছেন না। সে তখন তার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাটায়। এবং বন্ধুকেই সে রোল মডেল হিসেবে ধরে নেয়।
‘কারণ স্মৃতিতে তার মা-বাবার উপস্থিতি কম। যেহেতু বাচ্চাটা সমবয়সী বন্ধুকে রোল মডেল ভাবতে শুরু করছে, তখন তার চিন্তাভাবনা, বিচার-বিবেচনা স্বাভাবিক হবে- এমনটা ভাবা বোকামি। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকের সঙ্গে তার শেয়ারিং-কেয়ারিংয়ের মনোভাব থাকবে না সেটাও স্বাভাবিক।’
এই মনোবিজ্ঞানীর ধারণা, বাংলাদেশের অনেক পরিবারই এখন এই সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলন, ‘অবস্থা যখন এমন, তখন সমাজের বিরাট অংশের মানসিকতায় প্রভাব পড়বে সেটাও আমাদের মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। এমন প্রভাবের কারণে নানা অপ্রীতিকর, অস্বাভাবিক, ন্যক্কারজনক ঘটনা প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশে ঘটতেই থাকবে।
‘শুধু কি তাই? দেখবেন অনেক পরিবার বা অভিভাবক সব সময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেই গুরুত্ব দেয়। এ ক্ষেত্রে সন্তান তাদের কাছে গৌণ হয়ে পড়ে। হোক সেটা তারা যখন কর্মক্ষম, কিংবা সন্তান যখন কর্মক্ষম তখনও। টাকাটাই এখানে মুখ্য ভাবনা। সন্তান এত টাকা পাচ্ছে কোথায়? তার এমনভাবে চলাফেরা করাটা সঠিক কি না- এগুলো ভাবার সময় থাকে না তাদের।
‘অর্থাৎ কিছু অভিভাবক মনস্তাত্ত্বিকভাবে অসৎ হওয়ার কারণেই সন্তানরা আদর্শিক জায়গায় থাকতে পারে না। সুস্থ-সুন্দর চিন্তাও করতে পারে না। এই বাস্তবতা এখন পুরো সমাজের না হলেও সমাজের বড় একটি অংশের।’
ড. মাহফুজা খানম বলেন, ‘এসব অস্বাভাবিক বাস্তবতার কোনো একটা যখন সবার সামনে উঠে আসছে, তখন আমরা যার যার অবস্থান থেকে দোষারোপের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ছি। এই প্রবণতা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি দেখা যাচ্ছে।
‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা আলোচনার মাধ্যমে- যেভাবেই হোক না কেন, এসব ঘটনার নগ্ন বিশ্লেষণ প্রতিনিয়ত যখন ছড়াচ্ছে, তখন সেগুলোর সঙ্গে আমরাও অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। মেনে নিচ্ছি এগুলো হওয়ারই ছিল। কিংবা পরিণতি যাই হোক, বাধ্য হচ্ছি মেনে নিতে। বলছি- ওমুক খারাপ, তমুক ভালো।’
অস্থির পরিস্থিতির জন্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম।
তিনি বলেন, ‘সর্বোপরি আমি বলব, আমাদের দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই মানুষের প্রতি মানুষের সহিংসতার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।’
সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমরা দেখছি এখনকার সমাজের বেশির ভাগ ইয়াং জেনারেশন উচ্চাকাঙ্ক্ষী। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হওয়াটা কিন্তু খারাপ; আবার খারাপ না। খারাপ না এই অর্থে যে আমি আমার অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন চাই। এই পরিবর্তনের জন্য স্টেপ বাই স্টেপ পার হয়ে উপরে উঠতে হয়। পড়াশোনা, পরিশ্রম, সাধনা, সততা এমন অনেক কিছু করতে হয়। কিন্তু এগুলো তো কষ্টসাধ্য।
‘বর্তমান সমাজের বেশির ভাগ ইয়াং স্বাভাবিক গতিতে জীবন বদলানোর কথা চিন্তা না করে শর্ট টাইমে, এমনকি রাতারাতি জীবন বদলানোর চিন্তা করে। এ ক্ষেত্রে চরিত্র বিসর্জন দিতেও অনেকের কাছে কোনো ব্যাপার না বলে মনে হয়। এটাই হলো খারাপ উচ্চাকাঙ্ক্ষা। সত্যি বলতে, এমন ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষীরা সব সময়ের জন্য বিকল্প রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়ে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু যারা তাদের ব্যবহার করছে- বা এমন অনিশ্চিত পথে নিয়ে আসছে তারা কিন্তু মেয়েগুলোর পরিবার থেকে অনেক বেশি ক্ষমতাবান। ব্যবসা-বাণিজ্য বলেন, রাজনীতি বলেন সব জায়গায় তাদের হাত আছে। এমন পরিস্থিতিতে যখন সহিংসতা হয় তখন সাধারণ মানুষ খুব অসহায় হয়ে পড়ে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়া রহমান মনে করেন, আমাদের দেশে বেশ আগে থেকে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে গেছে। কারণ সমাজে যেসব অপরাধ ঘটে বা ঘটছে সেসব অপরাধ কেন ঘটছে, যারা ঘটাচ্ছে তাদের মানসিকতা কেমন, তারা কোন সোসাইটি বা পরিবারে বিলং করছিল সেসব নিয়ে কোনো গবেষণা নেই।
এই কারণেই যারা অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িত হচ্ছে বা ঘটনার ভিকটিম হচ্ছে, তাদের আত্মোপলব্ধি হয়নি বা হচ্ছে না। ফলে অপরাধ দিন দিন বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা না থাকার জন্যই আমরা কোনো সমাধানের পথে এগোতে পারছি না। কোনো ঘটনা ঘটলে দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধারণামূলক বা আন্দাজ করে একটা কিছু বলা হয়ে থাকে।’
জিয়া রহমান বলেন, ‘তাছাড়া মানুষের অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়ার আরও কিছু বিষয় আছে। তার মধ্যে বড় একটি হলো কালচারাল গ্যাপ। অর্থাৎ আমরা যেসব সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছি, আমাদের ইয়াং জেনারেশন কিন্তু সেসব থেকে বহু দূরে। সংস্কৃতির সংস্পর্শ যদি না পাওয়া যায় তাহলে সেই মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থ চিন্তার দিকে ঝুঁকবে।
‘আরেকটা বিষয় হলো, বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষের টেনডেন্সি হলো শর্টকাটে নিজের অবস্থার উন্নতি করা। এটা তো আর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া না। ফলে শর্টকাটে বড়লোক হতে গিয়ে অনেক সময় অপরাধের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে অনেকে।’
দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ৭ জুন ঈদুল আজহা পালিত হবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে আরবি ১৪৪৬ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা কমিটির সভা এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।
এতে সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আজ চাঁদ দেখা দেওয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। এছাড়া সৌদি আরবে মঙ্গলবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।
সে হিসাবে দেশটিতে ১০ জিলহজ আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। গালফ নিউজের খবরে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ইন্দোনেশিয়া একই দিন ঈদুল আজহা উদ্যাপনের ঘোষণা দেয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল ৩০তম নিক্কেই ফোরাম ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য প্রদান করবেন।
তিনি ‘অসহিষ্ণু বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে আরও টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গঠনে এশিয়ার দেশসমূহের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত পদক্ষেপের ওপর জোর দেবেন।
আগামীকাল নিক্কেই ফোরামের সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে, নিক্কেই ইনকর্পোরেশনের শীর্ষ নির্বাহীরা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন।
পরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত একটি মানবসম্পদ উন্নয়ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন। যেখানে ৩শ’ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি এই অনুষ্ঠানে বিশেষ ভাষণ দেবেন। ভাষণে জাপানের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করা হবে।
অধ্যাপক ইউনূস জাইকার প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকোর সঙ্গে একটি বৈঠকেও মিলিত হবেন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন সহযোগিতা ও জাইকা অর্থায়িত প্রকল্পসমূহ পর্যালোচনা করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রণীত কর্মসূচি অনুযায়ী, তিনি জাপানের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম- নিক্কেই, এনএইচকে, আসাহি শিম্বুন, আসাহি টিভি ও নিপ্পন টিভিকে একান্ত সাক্ষাৎকার দেবেন।
আগামীকাল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা নিক্কেই ফোরামের সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংবাদপত্র পাঁচদিন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। নোয়াব জানিয়েছে, ৫ থেকে ৯ জুন সংবাদপত্রে ঈদের ছুটি থাকবে। এ কারণে ৬ থেকে ১০ জুন সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে।
বুধবার নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ থেকে ৯ জুন ঈদের ছুটি পালন করা হবে। তাই ৬ থেকে ১০ জুন কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে না।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাগুলোতে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছে।
লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ খবর জানানো হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মাছধরা ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, লঘুচাপের কারণে আজ (বুধবার) ভোর থেকে পটুয়াখালিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনবির পটুয়াখালীর প্রতিনিধি।
তিনি আরও জানান, পটুয়াখালীর আকাশ আজ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ না বাড়লেও অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়েছে উঠেছে।
তাছাড়া, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে অন্তত পাঁচ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চলসহ বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
এর ফলে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ (বুধবার) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমার আভাস দেওয়া হয়েছে।
পরের তিন দিন একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে জানানো হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে, তবে পরের দুদিন প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এছাড়াও পঞ্চম দিন রবিবারও বৃষ্টিপাতের পর এই প্রবণতা কমে ফের গরম বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭’র বাছাইপর্বের ম্যাচকে সামনে রেখে ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
বাংলাদেশের জার্সিতে আগেই অভিষিক্ত হামজা চৌধুরিতো রয়েছেনই, সাথে আরো যোগ হয়েছেন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলা শমিত সোম ও ইতালিয়ান লিগে খেলা ফাহমিদুল ইসলাম। ইতোমধ্যেই ফাহমিদুল জাতীয় দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। হামজা ও শমিতও দ্রুতই চলে আসবেন।
আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বহুল প্রতিক্ষিত ম্যাচটি নিয়ে ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে বিপুল আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। তার আগে ভুটানের বিপক্ষে ৪ জুন একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অংশ নিবে বাংলাদেশ।
এই দুই ম্যাচকে সামনে রেখে শুক্রবার থেকে ক্যাম্প শুরু করবেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। দলে নতুন কোন চমক নেই। স্ট্রাইকার সুমন রেজা শুধু দলে ফিরেছেন।
বাংলাদেশ দল :
গোলরক্ষক : মিতুল মারমা, সুজন হোসাইন ও মেহেদী হাসান শ্রাবণ
ডিফেন্ডার : শাকিল আহাদ তপু, জাহিদ হাসান শান্ত, রহমত মিয়া, ঈসা ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ ও সাদ উদ্দিন
মিডফিল্ডার : মোহাম্মদ হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজিম, সোহেল রানা, মজিবর রহমান জনি, শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম
ফরোয়াডর্ : ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেন, শাহরিয়ার ইমন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আল আমিন, ফাহমিদুল ইসলাম ও সুমন রেজা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে বুধবার (২৮ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের যে ন্যায্য দাবি অবৈধ কালাকানুন বা কালো আইন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি একটি সবুজ সংকেত পেয়েছি। আশা করি, আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যে ফলাফল আসবে আশা করি এতে তারা (কর্মচারী) সন্তুষ্ট হবেন।’
ইতিমধ্যে অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে উত্থাপিত দাবি নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বিষয়টির কুফল সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। এই কালো বা নিবর্তনমূলক আইন রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ ও কর্মচারীদের জন্য ফলপ্রসূ নতুন কোন কিছু বয়ে আনবে না।’
‘রাষ্ট্রের স্বার্থ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে কর্মচারীদের মান-মর্যাদা ও কর্মস্থলের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুকূল কর্মপরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আমরা উপদেষ্টামণ্ডলীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। সচিব পর্যায়েও আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি বাদিউল বলেন, ‘গতকালকে সাতজন সচিবের সঙ্গে আমাদের যে বৈঠক হয়েছে, সেটার ধারাবাহিকতায় ওই সচিবরা আজকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয়ের সঙ্গে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেছেন। তারা পরিষ্কারভাবে কোনো কিছু না বললেও বিষয়টি আমাদের বুঝতে বাকি নেই, আমরা আশা করছি, তাদের এই আলোচনায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয় ইতিবাচক কোনো কিছু আমাদের জন্য এনে দিতে পারবেন।’
কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেই কাঙ্ক্ষিত বিষয়টির একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, রাষ্ট্রের ক্রান্তিকাল অতিক্রম হতে চলছে। আপনারা জানেন সামনেই কোরবানির ঈদ এবং বাজেট ঘোষণার সময়। যেহেতু আমরা সাধারণ মানুষের সেবক। সাধারণ মানুষের দুঃখ লাঘবে আমরা সেবা প্রদান করে থাকি। সরকারি কর্মচারীরা যাতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কারণ না হয় আমরা সেই বিষয়টিও বিবেচনায় এনেছি।’
এই কর্মচারী নেতা বলেন, ‘আমরা সব বিষয় চিন্তা-ভাবনায় রেখে আগামী দিনগুলোতে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা জরুরি সেবার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সচিবালয়ে শুধু প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি চলতে থাকবে। মাঠ পর্যায়ে সব দপ্তর, পরিদপ্তর, অধিদপ্তর এবং ডিসি অফিস, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত, আমাদের পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।’
কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘এর সঙ্গে সঙ্গে আপনাদেরকে একটি বিষয়ে অবহিত না করলেই নয়; সারাদেশে যে সব জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আছে, বাজেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং যারা হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন, সেই সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাই-বোনদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে- আপনারা আপনাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যত কম সময় কর্মবিরতি পালন করতে পারেন, অভ্যন্তরীণভাবে আপনারা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
‘তবে আমার প্রস্তাব আধা-ঘণ্টার বেশি নয়। যদি আরও কম সময় আপনারা কর্মবিরতি পালন করে সাধারণ মানুষের সেবাটা নিশ্চিত করতে পারেন, সেই বিষয়টি বিবেচনার জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইলো,’ যোগ করেন তিনি।
‘আমরা এর মধ্যেই উপদেষ্টা মহোদয়দের কাছে এ বিষয়ে যৌক্তিকতা আরও নিবিড়ভাবে বোঝানোর জন্য ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং স্মারকলিপির মাধ্যমে তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করব।’
প্রধান উপদেষ্টা আসা পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বাদিউল কবীর। অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সবুজ সংকেত কিভাবে পেয়েছেন জানতে চাইলে- তিনি বলেন, ‘সার্ভিসে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতার সূত্রটি আমরা অ্যাপ্লাই করেছি- কোন কাজের কোন আলোচনার কি ফলাফল আসতে পারে।’
নাটোরের লালপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে খলশিডাঙ্গা নদীর পাড় ভাঙন রোধে কোটি টাকা ব্যয়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ করেছিল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। তবে নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও রড-সিমেন্ট কম দেওয়ায় ছয় মাসের মধ্যেই দেয়ালে ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। এতে ওই এলাকার দুই শ পরিবার নদী ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের গাফিলতি ও যোগসাজশের কারণে এমন দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। গাইড ওয়াল ও সড়কের মাঝে ফাঁকা জায়গা ভরাটের জন্য নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, বর্ষা শুরু হলে ক্ষতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে খননযন্ত্র (ভেকু) ব্যবহার করে অবৈধভাবে মাটি তোলা হচ্ছে এবং সেটি ওয়াল ও সড়কের ফাঁকা জায়গায় দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কেশবপুর গ্রামের আঞ্চলিক রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং বাড়িঘরও ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম আলী ও মাহফুজুর রহমান জানান, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বিএমডিএ প্রকৌশলীদের যোগসাজশে অনিয়ম করে এসব কাজ করা হয়। কাজের কিছুদিন পরই সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে নদী ভাঙন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে। তারা দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার গোলাপ আলী জানান, এই প্রকল্পে কাজটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ঠিকাদার দ্বারা সম্পন্ন করা হয়েছে। বাইরে থেকে মাটি কেনা সম্ভব না হওয়ায় প্রকৌশলীর নির্দেশনা অনুযায়ী নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে ব্যবহার হচ্ছে।
বিএমডিএর বড়াইগ্রাম জোনের লালপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল বাসার জানান, গত বর্ষায় সময় স্বল্পতার কারণে ওয়ালের ব্যাক সিলিংয়ে মাটি দেওয়া হয়নি, যা বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের জন্য নদী থেকেই মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওয়ালের কিছু মাটি সরার ফলে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে এসব প্রকল্পের বরাদ্দ কত সেটা জানা নেই।
এ বিষয়ে বিএমডিএর বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়গুলো সরাসরি উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেখে থাকেন, তাই তিনিই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য