× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রভাব পরিবারে বাড়ছে দূরত্ব
google_news print-icon

উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রভাব পরিবারে, বাড়ছে দূরত্ব

উচ্চাকাঙ্ক্ষার-প্রভাব-পরিবারে-বাড়ছে-দূরত্ব
‘সন্তান জন্ম দেয়ার পর মা-বাবা যদি শুধুই তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে তারা তাদের সন্তানের কাছে কী আদর্শ আশা করবেন? কারণ শিশুটির স্মৃতিতে মা-বাবার তেমন কোনো ভূমিকা থাকে না। তার মস্তিষ্কে আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষার বিষয়টিই কাজ করে না।’

ব্যস্ত নাগরিক জীবন, প্রযুক্তিগত আসক্তি, উচ্চাকাঙ্ক্ষাসহ বিভিন্ন কারণে অভিভাবকের সঙ্গে পরিবারের ছোট সদস্যদের দূরত্ব বাড়ছে। এর জের ধরে তৈরি হচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সংবাদমাধ্যমের শিরোনামও হয়েছে।

পরিবারে শিথিল সম্পর্কের কারণ ও মানসিক বিচ্ছিন্নতা নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে মনোবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীদের সঙ্গে; কথা হয়েছে অপরাধবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম মনে করেন, এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে পারিবারিক বন্ধন, নৈতিক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ, সন্তানের জন্য প্রথম রোল মডেল মা-বাবা। এই সম্পর্কে কোনো প্রকার ঘাটতি দেখা দিলেই সন্তান বিভ্রান্ত হতে পারে। সমবয়সী বন্ধুদের রোল মডেল হিসেবে ধরে তাদের মতো চলতে শুরু করে। আর বিপত্তিটা ঘটে তখনই।

মনোবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যখন একটা শিশু জন্ম নেয়, সাইকোলজির ভাষায় আমরা তাকে মানুষ বলি না, প্রাণী বলি। কারণ ওই সময় তার কোনো কিছু ভাবার ক্ষমতা বা স্মৃতি থাকে না। জন্মের পর শিশুদের ব্রেন থাকে পুরোপুরি ব্লাঙ্ক।

‘জন্মের পর দিনের পর দিন যা সে দেখবে, জানবে, শুনবে- সেসব দিয়েই তার মেমোরি তৈরি হবে। এগুলোর বেসিসে তার নীতিনৈতিকতা আর বুদ্ধি-বিবেচনা তৈরি হবে। আর এক্ষেত্রে জন্মক্ষণ থেকেই শিশু তার সামনে মডেল হিসেবে পায় মা-বাবাকেই।’

ড. মাহফুজা খানম মনে করেন, সামাজিকতার জায়গা থেকে নামমাত্র মা-বাবা না হয়ে প্রকৃত অর্থে মা-বাবার রোল বলতে যা বোঝায়, সেগুলো পালনের মাধ্যমে সন্তানকে নৈতিক আদর্শ ও বাস্তবমুখী শিক্ষা দেয়া গেলে সেই বাচ্চার বিকাশ স্বাভাবিক ও আশানুরূপ হবে।

তিনি বলেন, ‘সন্তান জন্ম দেয়ার পর মা-বাবা যদি শুধুই তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে তারা তাদের সন্তানের কাছে কী আদর্শ আশা করবেন? কারণ শিশুটির স্মৃতিতে মা-বাবার তেমন কোনো ভূমিকা থাকে না। তার মস্তিষ্কে আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষার বিষয়টিই কাজ করে না।’

বর্তমান সমাজে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মা-বাবা তাদের সন্তানদের কাছে রোল মডেল হতে পারছেন না মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মনোবিজ্ঞানী বলেন, ‘আর সে জন্য অনেক সন্তানের মধ্যে তাদের মা-বাবাকে যথাযোগ্য সম্মান দিতে দেখা যায় না। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ গড়ে ওঠে না। আদর-স্নেহের অভাবে সন্তানও একটা সময় আর মা-বাবার কাছে মনের কথা খুলে বলার সাহস পায় না। এর ফলে মা-বাবার সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে সন্তানের বিপথে চলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

‘আবার কিছু মা-বাবা আছেন, যারা তাদের সন্তানকে অতিরিক্ত শাসন বা অসুস্থ রুলসের মধ্য দিয়ে এমনভাবে গড়ে তোলেন যে তারা নিজেরাও বুঝতে পারেন না তাদের মধ্যে আসলে কী পরিমাণ দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তারা সন্তানদের আত্মার আত্মীয় হতে পারেন না; বন্ধুও হতে পারেন না। নিজেদের অজান্তেই সন্তানের সঙ্গে গড়ে তোলেন সংকোচ, ভয়, লজ্জা নামের এক অভিভাবকের সম্পর্ক।’

ড. মাহফুজা খানম বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা দেখি অভিভাবক ও সন্তানের মধ্যে বিরাট গ্যাপ তৈরি হয়ে আছে। বাচ্চাদের যতটুকু সময় দেয়ার কথা তার কানাকড়িও অনেক অভিভাবক দিতে পারেন না বা দিচ্ছেন না। সে তখন তার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাটায়। এবং বন্ধুকেই সে রোল মডেল হিসেবে ধরে নেয়।

‘কারণ স্মৃতিতে তার মা-বাবার উপস্থিতি কম। যেহেতু বাচ্চাটা সমবয়সী বন্ধুকে রোল মডেল ভাবতে শুরু করছে, তখন তার চিন্তাভাবনা, বিচার-বিবেচনা স্বাভাবিক হবে- এমনটা ভাবা বোকামি। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকের সঙ্গে তার শেয়ারিং-কেয়ারিংয়ের মনোভাব থাকবে না সেটাও স্বাভাবিক।’

এই মনোবিজ্ঞানীর ধারণা, বাংলাদেশের অনেক পরিবারই এখন এই সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলন, ‘অবস্থা যখন এমন, তখন সমাজের বিরাট অংশের মানসিকতায় প্রভাব পড়বে সেটাও আমাদের মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। এমন প্রভাবের কারণে নানা অপ্রীতিকর, অস্বাভাবিক, ন্যক্কারজনক ঘটনা প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশে ঘটতেই থাকবে।

‘শুধু কি তাই? দেখবেন অনেক পরিবার বা অভিভাবক সব সময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেই গুরুত্ব দেয়। এ ক্ষেত্রে সন্তান তাদের কাছে গৌণ হয়ে পড়ে। হোক সেটা তারা যখন কর্মক্ষম, কিংবা সন্তান যখন কর্মক্ষম তখনও। টাকাটাই এখানে মুখ্য ভাবনা। সন্তান এত টাকা পাচ্ছে কোথায়? তার এমনভাবে চলাফেরা করাটা সঠিক কি না- এগুলো ভাবার সময় থাকে না তাদের।

‘অর্থাৎ কিছু অভিভাবক মনস্তাত্ত্বিকভাবে অসৎ হওয়ার কারণেই সন্তানরা আদর্শিক জায়গায় থাকতে পারে না। সুস্থ-সুন্দর চিন্তাও করতে পারে না। এই বাস্তবতা এখন পুরো সমাজের না হলেও সমাজের বড় একটি অংশের।’

ড. মাহফুজা খানম বলেন, ‘এসব অস্বাভাবিক বাস্তবতার কোনো একটা যখন সবার সামনে উঠে আসছে, তখন আমরা যার যার অবস্থান থেকে দোষারোপের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ছি। এই প্রবণতা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি দেখা যাচ্ছে।

‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা আলোচনার মাধ্যমে- যেভাবেই হোক না কেন, এসব ঘটনার নগ্ন বিশ্লেষণ প্রতিনিয়ত যখন ছড়াচ্ছে, তখন সেগুলোর সঙ্গে আমরাও অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। মেনে নিচ্ছি এগুলো হওয়ারই ছিল। কিংবা পরিণতি যাই হোক, বাধ্য হচ্ছি মেনে নিতে। বলছি- ওমুক খারাপ, তমুক ভালো।’

অস্থির পরিস্থিতির জন্য সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম।

তিনি বলেন, ‘সর্বোপরি আমি বলব, আমাদের দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই মানুষের প্রতি মানুষের সহিংসতার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।’

সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমরা দেখছি এখনকার সমাজের বেশির ভাগ ইয়াং জেনারেশন উচ্চাকাঙ্ক্ষী। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হওয়াটা কিন্তু খারাপ; আবার খারাপ না। খারাপ না এই অর্থে যে আমি আমার অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন চাই। এই পরিবর্তনের জন্য স্টেপ বাই স্টেপ পার হয়ে উপরে উঠতে হয়। পড়াশোনা, পরিশ্রম, সাধনা, সততা এমন অনেক কিছু করতে হয়। কিন্তু এগুলো তো কষ্টসাধ্য।

‘বর্তমান সমাজের বেশির ভাগ ইয়াং স্বাভাবিক গতিতে জীবন বদলানোর কথা চিন্তা না করে শর্ট টাইমে, এমনকি রাতারাতি জীবন বদলানোর চিন্তা করে। এ ক্ষেত্রে চরিত্র বিসর্জন দিতেও অনেকের কাছে কোনো ব্যাপার না বলে মনে হয়। এটাই হলো খারাপ উচ্চাকাঙ্ক্ষা। সত্যি বলতে, এমন ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষীরা সব সময়ের জন্য বিকল্প রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়ে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু যারা তাদের ব্যবহার করছে- বা এমন অনিশ্চিত পথে নিয়ে আসছে তারা কিন্তু মেয়েগুলোর পরিবার থেকে অনেক বেশি ক্ষমতাবান। ব্যবসা-বাণিজ্য বলেন, রাজনীতি বলেন সব জায়গায় তাদের হাত আছে। এমন পরিস্থিতিতে যখন সহিংসতা হয় তখন সাধারণ মানুষ খুব অসহায় হয়ে পড়ে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়া রহমান মনে করেন, আমাদের দেশে বেশ আগে থেকে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে গেছে। কারণ সমাজে যেসব অপরাধ ঘটে বা ঘটছে সেসব অপরাধ কেন ঘটছে, যারা ঘটাচ্ছে তাদের মানসিকতা কেমন, তারা কোন সোসাইটি বা পরিবারে বিলং করছিল সেসব নিয়ে কোনো গবেষণা নেই।

এই কারণেই যারা অপরাধগুলোর সঙ্গে জড়িত হচ্ছে বা ঘটনার ভিকটিম হচ্ছে, তাদের আত্মোপলব্ধি হয়নি বা হচ্ছে না। ফলে অপরাধ দিন দিন বাড়ছে।

তিনি বলেন, ‘গবেষণা না থাকার জন্যই আমরা কোনো সমাধানের পথে এগোতে পারছি না। কোনো ঘটনা ঘটলে দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধারণামূলক বা আন্দাজ করে একটা কিছু বলা হয়ে থাকে।’

জিয়া রহমান বলেন, ‘তাছাড়া মানুষের অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়ার আরও কিছু বিষয় আছে। তার মধ্যে বড় একটি হলো কালচারাল গ্যাপ। অর্থাৎ আমরা যেসব সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছি, আমাদের ইয়াং জেনারেশন কিন্তু সেসব থেকে বহু দূরে। সংস্কৃতির সংস্পর্শ যদি না পাওয়া যায় তাহলে সেই মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থ চিন্তার দিকে ঝুঁকবে।

‘আরেকটা বিষয় হলো, বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষের টেনডেন্সি হলো শর্টকাটে নিজের অবস্থার উন্নতি করা। এটা তো আর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া না। ফলে শর্টকাটে বড়লোক হতে গিয়ে অনেক সময় অপরাধের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে অনেকে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
MV Abdullah is preparing to return to another port after unloading coal

কয়লা খালাস শেষে আরেক বন্দরে যাচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ, ফেরার প্রস্তুতি

কয়লা খালাস শেষে আরেক বন্দরে যাচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ, ফেরার প্রস্তুতি
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, ‘দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার রাতে জাহাজটি মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এমভি আবদুল্লাহ। এটি মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩ নাবিকসহ চট্টগ্রামে নোঙর করবে বলে আশা করছি।’

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাহাজে বহন করা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এটি এখন দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দর থেকে আমিরাতের আরেক বন্দর মিনা সাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। সেখানে পণ্য লোড করার পর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা করবে।

মে মাসের মাঝামাঝিতে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছবে বলে ধারণা করছে মালিক পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ।

২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ২১ এপ্রিল বিকেলে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। জেটিতে নোঙর ফেলে ২২ এপ্রিল। এরপর শুরু হয় কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার রাতে জাহাজটি মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এমভি আবদুল্লাহ। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করবে বলে আমরা আশা করছি।’

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। পরে মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি ১৩ এপ্রিল রাতে ছাড়া পায়। অর্থাৎ জিম্মি করার ৩২ দিন পর জাহাজটি মুক্তি পায়।

আরও পড়ুন:
দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছে এমভি আব্দুল্লাহ
দুবাই উপকূলের পথে এমভি আবদুল্লাহ
এমভি আব্দুল্লাহ একদিন আগেই দুবাইয়ের বন্দরে পৌঁছবে
জাহাজে ২১ ও উড়োজাহাজে ২ নাবিক দেশে ফিরবেন
আবদুল্লাহ এখনও ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-সীমানায়, পাহারায় যুদ্ধজাহাজ

মন্তব্য

বিশেষ
Two leaders of the A League arrested the candidate for show cause by threatening the rival
সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচন

প্রতিদ্বন্দ্বীকে হুমকি দিয়ে আ. লীগের দুই নেতা আটক, প্রার্থীকে শো-কজ

প্রতিদ্বন্দ্বীকে হুমকি দিয়ে আ. লীগের দুই নেতা আটক, প্রার্থীকে শো-কজ আটক সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়। ছবি: নিউজবাংলা
আটককৃতরা হলেন সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকলে হাত, দাঁত ও চাপার হাড্ডি ভেঙে যমুনা নদীতে নিক্ষেপের হুমকিদাতা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে (আনারস) শো-কজ করেছেন জেলা রিটার্ননিং কর্মকর্তা।

শনিবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আটককৃতরা হলেন সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।

লিখিত বক্তব্যে শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে তার দুই কর্মী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উস্কানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে হুমকিদাতা দু’জনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরিষাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

মামলা হওয়ার পর শনিবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেপ্তার করে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নির্বাচনী পথসভায় অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদের জবান আমরা বন্ধ করে দেব। আমরা আগামী ৮ মে'র নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আমরা অন্য কোনো মার্কার কোনো এজেন্ট দিতে দেবো না। রফিক সাহেবকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আজকেই ঘোষণা দিলাম।’

প্রতিপক্ষের লোকদের হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাবধান হয়ে যান, আমাদের মাঝে অসন্তোষ ও হানাহানির চেষ্টা করবেন না। আপনাদের দাঁত ভেঙে দেয়া হবে। যাদের দাঁত নেই, তাদের চাপার হাড্ডি ভেঙে দেয়া হবে।’

এরপর পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয় একই সভায় বলেন, ‘অন্য কোনো মার্কার এজেন্ট কোনো কেন্দ্রে দিতে দেব না। এজেন্ট দিলে তার হাত বাড়ি দিয়ে ভেঙে আমরা যমুনা নদীতে নিক্ষেপ করবো।’

এ সময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে রফিকুল ইসলাম (আনারস) ও তালেব উদ্দিন (দোয়াত-কলম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Loss of Tk 10 Crores Those three officers of Agrani Bank have been dismissed

দশ কোটি টাকা লোপাট: অগ্রণী ব্যাংকের সেই তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত

দশ কোটি টাকা লোপাট: অগ্রণী ব্যাংকের সেই তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত ছবি: নিউজবাংলা
অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার আফজাল হোসেন বলেন, ‘ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে পুলিশে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরে অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে শনিবার দুপুরে জানান অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার আফজাল হোসেন।

বরখাস্ত হওয়া ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন- কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার আবু জাফর ও ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী।

আফজাল হোসেন বলেন, ‘ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে পুলিশে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত দল পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে। দলটির প্রধান হলেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আনোয়ার হোসেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের শুক্রবার বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

মন্তব্য

বিশেষ
Three foreign forces worked to keep the Awami League in power GM Quader

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে তিনটি বিদেশি শক্তি কাজ করেছে: জিএম কাদের

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে তিনটি বিদেশি শক্তি কাজ করেছে: জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে- এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই।’

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘তিন বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল। আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।’

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শনিবার জাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে।

‘নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কী না সন্দেহ ছিল। তাই নির্বাচনে গিয়েছি।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি। মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিল।

‘আর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে- এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। ফলে বিএনপি এক কিংবা ১০ লাখ বা এক কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও তাদের আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝতে পেরেছিলাম।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে নির্বাচন ভালো হয়নি। সরকার জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায়। তবে তা কখনও সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী দল ছিল না এবং আমরা গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি নই।’

মন্তব্য

বিশেষ
Frogs wedding in hope of rain

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে ছবি: নিউজবাংলা
মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ও বৃষ্টির আসায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নেচে গেয়ে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন স্থানীয়রা। লোকজন।

উপজেলার চন্দ্রখানা বালাটারি গ্রামে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠান চলে।

ওই এলাকার বাসিন্দা সাহাপুর আলীর স্ত্রী মল্লিকা বেগমের আয়োজনে বিয়েতে অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। নাচ গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

বিয়ের আয়োজনকারী মল্লিকা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরে তীব্র গরম। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে আমরা কষ্টে রয়েছি; গ্রামের মানুষজন অস্তিত্বতে আছে। কেউই কোনো কাজ কামাই করতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আগের যুগের মানুষরা ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হতো। সেই বিশ্বাস থেকেই আজ ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছি।’

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

বিয়ে দেখতে আসা জাহিদ নামের একজন বলেন, “আমার জীবনে প্রথম ব্যাঙের বিয়ে দেখলাম। খুবই ভালো লেগেছে। ‘বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে’ বিষয়টি প্রথম জানলাম।”

বৃদ্ধ আজিজুল হক বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আবাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছি।’

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘কুড়িগ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। আজ (শনিবার) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল প্রাণ-আরএফএলের মাঠকর্মীর
৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

মন্তব্য

বিশেষ
The death of the child fell from the mothers lap due to the impact of the autorickshaw

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে কাঁদছেন শিশু হুমাইরা আক্তারের স্বজন। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষকালে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগম ধাক্কা খান। এ সময় শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে এক বছরের শিশু হুমাইরা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলার মদিনা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মদিনা বাজারের উত্তর পাশে খানকা শরীফের সামনের সড়কে দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ সময় রাস্তার পাশে এক বছরের শিশু সন্তান হুমাইরাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবা বেগমের ধাক্কা খান অটোরিকশার সঙ্গে। এতে শিশু হুমাইরা মায়ের কোল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটিকে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অটোরিকশা দুটি আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া দুই চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

মন্তব্য

বিশেষ
DNCC is sprinkling water in the city to relieve the heat

গরমে স্বস্তি দিতে নগরে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি

গরমে স্বস্তি দিতে নগরে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম শনিবার আগারগাঁওয়ে ডিএনসিসির পানি ছিটানো কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে একটি টাকাও পান না। সিটি করপোরেশনে তার বসার ব্যবস্থাও নেই। তাকে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান।’

চলমান তাপপ্রবাহে সারা দেশের সঙ্গে পুড়ছে রাজধানী ঢাকাও। প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ নগর জীবন। এ অবস্থায় রাজধানীর সড়ক-মহাসড়কে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে এমন উদ্যোগ নিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, ‘দুটি স্প্রে ক্যানন প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না৷ গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য দশটি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হবে।

‘এছাড়াও ডিএনসিসির পার্কগুলোতে স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শে চলমান তীব্র দাবদাহে জনগণকে স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো এবং ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সংবলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে।’

চিফ হিট অফিসারের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। হিট অফিসার একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কাজগুলো আমাদের সবাইকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন যে চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন। বাস্তবে সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। এমনকি সিটি করপোরেশনে তার কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই।

‘হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক)। প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে সাতজন চিফ হিট অফিসার নিয়োগ করেছে এবং তারা সবাই নারী।’

ওয়াটার স্প্রে পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে