উদ্যোক্তা হতে প্রয়োজন ব্যাংক ঋণ; কিন্তু সেই ঋণ নেবার ক্ষেত্রে বাড়ছে না নারীর অংশগ্রহণ। এক দশকে মোট বিতরণ হওয়া ঋণের মাত্র ৪ শতাংশ পেয়েছেন নারী। এতেই স্পষ্ট, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় নারীর অংশগ্রহণ কতটা বিস্তৃত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নারীদের স্বাবলম্বী করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংকগুলো কাজ করে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলো পরিদর্শনের সময়ও বলা হয় বছরে তিনজন নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। তারপরও ঋণ বিতরণ সেই হারে বাড়েনি। কেন ঋণ বাড়ছে না সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ঋণ নেবার ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহ কম, নাকি ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহজলভ্যতা একটি বড় বাধা, সেটা বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নারীর নামে ঋণের আবেদন করছেন তার স্বামী। এ জন্য ঋণের হার কম। কিন্তু মূল নারী উদ্যোক্তারা ঋণ চাইলে ব্যাংক তাদের ঋণ দেবে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, যেকোনো ব্যবসা শুরু এবং তা টিকিয়ে রাখাও নারীদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। ঋণ নেয়ার জন্য নারীদের নির্দিষ্ট উদ্যোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আবার ঋণের টাকা যথাযথভাবে ফেরত দেয়ার মতো বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
এখন নারীর ঋণ পাওয়া আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। এরপরও ব্যাংক ব্যবস্থা, এনজিও বা সমবায়- সব উৎস থেকেই ঋণ নেবার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নারী। নারীকে সামনে রেখে অনেক পুরুষ ঋণ নিতে চান। ব্যাংক এসব খতিয়ে দেখে ঋণ দেয় বলে প্রকৃত নারী উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তি হার কম।
নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ উদ্যোগ নারীর নামে চালানোকে অন্যতম বাধা হিসেবে দেখে ব্যাংকগুলো। বিভিন্ন ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ঋণের জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা জোগাড় না করেই ব্যাংকে যান নারীরা। আবার ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না পেয়ে অনেক সময় উদ্যোক্তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
নারী উদ্যোক্তাদের জামানতের অপর্যাপ্ততা থাকে। কারণ, আর্থিক বিষয়ে নারীরা পুরুষদের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল।
কেন নারী উদ্যোক্তা ঋণ পাচ্ছেন না, জানতে চাইলে পিপলস ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডসের স্বত্বাধিকারী রেজবিন হাফিজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর আগ্রহ কম। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীদের অজ্ঞতাও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ঋণ নেয়ার জন্য এত বেশি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বা কাগজপত্র দেখাতে হয়, যা হয়রানির পর্যায়ে চলে যায়।’
‘বানিস ক্রিয়েশন’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী তাহমিনা আহমেদ বাণী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন মূল উদ্যোক্তার সংখ্যা খুব কম। ফেসবুক বা এফ-কমার্স উদ্যোক্তা বেশি। আগে মূল উদ্যোক্তা চিহ্নিত করতে হবে। অনেক নারী জানেনই না যে ব্যবসা করার জন্য ঋণ নেয়া যায়। আবার অনেকে মনে করেন, ঋণ নেয়া ঝামেলার একটা বিষয়। ব্যাংকে কোথায় যাবেন, কার কাছে যাবেন- এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেকের ধারণা স্পষ্ট নয়।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, গত এক দশকে (২০১০-২০২০) নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ হয়েছে ৪৪ হাজার ৭২৯ কোটি টাকার ঋণ, যা মোট বিতরণ হওয়া ঋণের মাত্র ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ।
এ সময় শিল্প খাতে নারী উদ্যোক্তারা ঋণ নিয়েছেন ১৪ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার। এ ছাড়া সেবা খাতে ৬ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার এবং ব্যবসা খাতে ২৩ হাজার ৫৫২ কোটি টাকার ঋণ পেয়েছে নারী।
ঋণ তেমন না বাড়লেও এ সময় বেড়েছে নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। ২০১০ সালে দেশে নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ২৩৩টি। ২০২০ সাল শেষে সেটা বেড়ে হয়েছে ৬৬ হাজার ১৮৯টি।
তবে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও ঋণ আশানুরূপ বাড়েনি। ২০১০ সালে মোট ঋণের ৩ দশমিক ৩৭ ভাগ বা ১ হাজার ৮০৪ কোটি টাকার ঋণ পেয়েছেন নারী উদ্যোক্তারা। ১০ বছর পরে সেটা সামান্য বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
নারীদের অর্থনীতিতে এগিয়ে নিতে ছোট ও মাঝারি শিল্প খাতে তাদের সহায়তা দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর মোট এসএমই ঋণের একটি অংশ নারীদের জন্য বিতরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ অর্থায়নের আওতায় নারীরা মাত্র ৭ শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছেন। পুরুষ উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে এ হার ৯ শতাংশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ অর্থায়নের আওতায় এসএমই খাতে বিতরণ করা ঋণের অন্তত ১৫ শতাংশ নারীদের মাঝে দেওয়া বাধ্যতামূলক। ২০২৪ সাল নাগাদ এসএমই খাতে একটি ব্যাংকের বিতরণ করা মোট এসএমই ঋণের অন্তত ১৫ শতাংশ নারীদের দিতে হবে।
আবার করোনাভাইরাসের ক্ষতি পোষাতে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিলের ৫ শতাংশ নারীদের জন্য বরাদ্দ দিতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসব উদ্যোগের পরও ব্যাংক ঋণে নারীদের অংশ সেভাবে বাড়ছে না।
গত বছরের ডিসেম্বর শেষে নারী উদ্যোক্তাকে দেয়া হয়েছে মাত্র ৫ হাজার ২৯০ কোটি টাকার ঋণ। এর মানে, মোট ঋণের মাত্র ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ পেয়েছেন নারীরা। ২০১৯ সালে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা ঋণের ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ পেয়েছিলেন নারীরা। ২০১৮ সালে দেয়া হয় ৫ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। যা এসএমই খাতে বিতরণকৃত ঋণের ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত ১০ বছরের চিত্র একই রকম।
দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। এদের প্রায় ৮৭ শতাংশই করোনাকালে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। আর বাকি ১৩ শতাংশ কেবল টিকে থাকার লড়াইয়ে যুদ্ধ করছেন।
জরিপ বলছে, করোনা মহামারিতে পুরুষের চেয়ে নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষতির মাত্রা ছিল বেশি। নারীদের প্রতি ১০০ জনে ৮৭ জনই ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
নারী উদ্যোক্তারা বলছেন, অনেকে ব্যাংক ঋণ চেয়েও খালি হাতে ফিরেছেন । ব্যবসায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে সামাজিক বাধা ও ঋণ পাবার বাধা দুটোই দূর করতে হবে।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে পাঁচ দিনে চতুর্থবারের মতো কমল স্বর্ণের দাম। শনিবার ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। সে হিসাবে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি দাঁড়াচ্ছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।
জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাজুস এর আগে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল দুই হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা কমানো হয় প্রতি ভরিতে।
এর আগে টানা তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল এক হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল এক হাজার ৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম শনিবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকেই কার্যকর হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেট এক লাখ সাত হাজার ৭৯৯ টাকা ও ১৮ ক্যারেট ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। তবে সব ধরনের স্বর্ণের দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে প্রতি ভরি ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম দুই হাজার ছয় টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম দুই হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম এক হাজার ২৮৩ টাকা।
আরও পড়ুন:অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পুঁজিবাজার, পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বিভিন্ন শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজি ও গুজব রটিয়ে মার্কেটকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
রাজধানীতে শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আমির হোসাইন ওরফে নুরনুরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২) ও আবদুল কাইয়ুম (৩৯)।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার একটি স্পর্শকাতর জায়গা; দেশের অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করে থাকেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, কমিশনের চেয়্যারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা, ভুয়া এবং প্রতারণামূলক তথ্য সরবরাহ করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে আসছে। ‘সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে আসছে। এ বিষয়ে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় উক্ত মামলায় তদন্ত করে মামলা সংশ্লিষ্ট তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।’
হারুন বলেন, ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন রমনা মডেল থানায় মামলা করার পর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ এই চক্রটির সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করতে থাকে। গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রুপগুলোতে আসামিরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, কমিশনের চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার নামে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য প্রদান করে বিভিন্ন প্রকার প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন (মূল্য সংবেদনশীল তথ্য) আগেভাগে প্রকাশ করে দেয়, যা বেশির ভাগ সময় বানোয়াট ও মিথ্যা, যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে রাস্তা দখল করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে।
‘তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ওইসব কোম্পানি সম্পর্কে অনলাইনে অপপ্রচার শুরু করে। এমনকি কোম্পানির অফিসগুলোতেও হামলা করে।’
ডিবির আইসিটি বিভাগের উপকমিশনার শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ডিএমপি ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সর্বদা কাজ করে চলেছে। এ বিষয়ে নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং এবং সাইবার পেট্রলিং পরিচালনা হচ্ছে। পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উসকানি দিয়ে কেউ যাতে স্বার্থ হাসিল করতে না পারে, সে বিষয়ে অভিযান চলছে।
ডিএমপি ডিবিপ্রধান বলেন, ‘পুঁজিবাজার ও দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য দেশের চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি জড়িত, যারা এই চক্রের বিভিন্ন গ্রুপে সক্রিয়।
‘চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন কৌশলে চাঁদাবাজি করে আসছে। এদের সঙ্গে যুক্ত আট থেকে ১০টি গ্রুপ শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন চেয়ারপারসন নির্বাচিত হলেন ফারুক আহমেদ।
ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৬তম সভায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফারুক আহমেদ ২৭ এপ্রিল থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ফারুক আহমেদের উন্নয়ন খাতে রয়েছে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা।
তিনি এক সময় ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন এবং ঢাকায় বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেনেভাভিত্তিক গ্যাভি, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (এঅঠও)-এর বোর্ড সদস্য ছিলেন, এছাড়া তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ফারুক আহমেদ সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) এন্টারপ্রাইজের পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ওয়ার্কিং গ্রুপেরও একজন সদস্য।
ফারুক আহমেদ ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে আরডিআরএস-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আরডিআরএস বিশ্বাস করে, ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে সংস্থাটি দেশজুড়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখতে এবং এ সম্পর্কিত কার্যক্রমকে বেগবান করতে সক্ষম হবে। প্রেস রিলিজ
দেশের বাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে স্বর্ণের নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হবে।
বাজুস এর আগে চলতি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ভালো মানের স্বর্ণের ভরিতে ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। মাঝে ২০ এপ্রিল ভরিতে ৮৪০ টাকা দাম কমানোর পরদিন ২১ এপ্রিল আবার ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।
এবার শুরু হয় দাম কমানোর পালা। সবশেষ দাম বাড়ানোর দু’দিন পর ২৩ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে তিন হাজার ১৩৮ টাকা ও ২৪ এপ্রিল দু’হাজার ৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। আর বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ টানা তিন দিনে স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।
সোনার দামে এমন উত্থান-পতনের কারণ জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন নতুন পদ্ধতি বা পলিসি অনুসরণ করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করি। সেটি হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল পলিসি।
‘এতদিন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করতাম। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে যখন স্বর্ণের দাম কমত তখন আমরা কমাতাম। আর যখন বাড়ত তখন বাড়াতাম।’
তিরি আরও বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের স্বর্ণের সবচেয়ে বড় বাজার তাঁতীবাজারের বুলিয়ান মার্কেট ফলো করে দর নির্ধারণ করি। এই বাজারে স্বর্ণের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় উঠা-নামা করে। সেটা অনুসরণ করে আমরা নতুন দর নির্ধারণ করে থাকি। সেক্ষেত্রে দিনে দু’বারও গোল্ডের দাম বাড়ানো-কমানো হতে পারে।’
আরও পড়ুন:ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে।
ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৫ জুন ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৬ মে।
সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সঙ্গে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন:কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সমগ্র বিশ্ব যখন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হয়, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
যদিও একটি শ্রেণি বাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে বরাবরই সক্রিয় ছিল। তবে দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে বিনিয়োগকারীদের অর্থের সুরক্ষা দিতে বারবার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেননি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে পুঁজিবাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এ পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে বাজারকে স্থিতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে গতকাল ফ্লোর প্রাইসমুক্ত সব শেয়ারে একদিনের দর কমার নিম্নসীমা (সার্কিট ব্রেকার) ৩ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সময়োপযোগী এমন পদক্ষেপ বাজারকে আবারও টেনে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সন্দেহভাজন বেশকিছু লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে বাজারে। এতে বিশেষ একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বাজারকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করছে। কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও এতে জড়িত রয়েছে। বাজারে অবাঞ্ছিত বিক্রির আদেশ দিয়ে তারা অস্থিরতা তৈরি করছে। তাছাড়া বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে বাজারে একটা শ্রেণি স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে বাজার কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু ট্রেডার নিজেদের মধ্যে যোগশাজসের মাধ্যমে প্রথমে কম দরে শেয়ার বিক্রি করত। পরে তাদের দেখাদেখি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যখন প্যানিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করত তখন তারা আবার কম দরে শেয়ারগুলো কিনে নিত। এভাবে তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার লেনদেন করে প্যানিক সৃষ্টির মাধ্যমে ভালো শেয়ারগুলোর দাম কমাত। এই কাজে তাদের বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও সহযোগিতা করত।’
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ারের দর কমার কথা নয়। গুটি কয়েক অসাধু ট্রেডারের কারসাজিতে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে বড় বড় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, ‘এক শ্রেণির অসাধু বিনিয়োগকারী চাচ্ছেন বর্তমান কমিশন বিদায় হয়ে নতুন কেউ দায়িত্বে আসুক, যাতে তারা নতুন করে আরও সুযোগ নিতে পারেন। তারাই বিভিন্ন দুর্বল শেয়ারে কারসাজি করে সুবিধা নিচ্ছেন।
‘ফোর্সড সেলের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার তারা কম দরে কিনে নিচ্ছেন। কমিশনের উচিত হবে কারসাজিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, যাতে তারা বারবার বাজারকে ম্যানিপুলেট করার সাহস না পায়।’
এদিকে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
ওই আদেশে বলা হয়, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। বর্তমানে দরভেদে কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।
দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের এ সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকর করতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আজকের এই সার্কিট ব্রেকার আরোপ বাজারে কারসাজি রোধ করবে। এটি সন্দেহভাজন লেনদেন বন্ধ করবে। আর এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো শেয়ার বর্তমানে আন্ডারভ্যালুতে আছে। এখানে তারা বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
সার্কিট ব্রেকার বাজারের দরপতন ফেরাতে ব্যর্থ হলে আবারও ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশা করছি, আমাদের বাজারে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস দিতে হবে না। শিগগিরই বাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরবে।’
আরও পড়ুন:দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ারের দরপতনের গতি কমিয়ে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার আগের দিনের শেষ হওয়া দরের ভিত্তিতে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না।
শেয়ারের দাম কমার ক্ষেত্রে আগে মূল্যসীমা ছিল ১০ শতাংশ। তবে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বুধবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, যেসব শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের আওতায় আছে সেসব শেয়ারের ক্ষেত্রে নতুন আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বাজার সূচকের অবাধ পতন ঠেকাতে এর আগে ২০২২ সালের জুলাই শেষে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস ছিল ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ও তার আগের চার দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়।
বর্তমানে বেক্সিমকো, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানির ক্ষেত্রে ওই ফ্লোর প্রাইস কার্যকর রয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য