বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন জাহিদ হাসান। ভোরের আলস্যে ঘুম ভাঙতে একটু দেরি হয়ে যায় তার। থাকেন সিদ্ধেশ্বরীতে। গন্তব্য বনানী। আড়মোড়া ভেঙে রাস্তায় এসে ডাকেন উবার।
একটু অপেক্ষার পর একটি গাড়ির সন্ধান দিল উবার। ফোন করতেই চালক জানালেন, ‘টাকা ক্যাশে দেবেন নাকি বিকাশে?’ জাহিদের তখন অফিস পৌঁছানোর তাড়া। চালকের উদ্দেশে বললেন, ‘যেভাবে আপনার সুবিধা।’
আবারও প্রশ্ন এলো। এবার জানতে চাওয়া হলো, ‘কোন দিকে যাবেন?’
জাহিদ বললেন, ‘বনানীর দিকে।’ তবে এই গন্তব্য পছন্দ হলো না চালকের। তাই না করে দিলেন জাহিদকে।
বেশ বিরক্ত হলেন জাহিদ। উবারে যে রিকোয়েস্ট বাতিল করে দেবেন, সেটাও হচ্ছে না।
কারণ, অ্যাপটি এমনভাবে বানানো, যাত্রী যদি নিজের ইচ্ছায় কোনো রাইড রিকোয়েস্ট বাতিল করেন, সে ক্ষেত্রে তাকে জরিমানা গুনতে হয়।
অপরদিকে চালক যেতে রাজি না হলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চান না তারা। কারণ, তাতে তার রেটিং কমে যাবে। ফলে তাড়াহুড়োর মধ্যে যাত্রীকে ক্ষতিটা মেনে নিয়ে আরেকটি উবার বা বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে যেতে হয়।
জাহিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন হয়রানি যদি চলতে থাকে, তবে এই সেবা দিয়ে আমার কী লাভ হবে?’
গণপরিবহনে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে উবারসহ রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলোকে স্বাগত জানিয়েছিল নগরবাসী। কিন্তু বছর কয়েকের ব্যবধানে বদলে গেছে সেই ধারণা।
যাত্রীদের অভিযোগ, উবারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে হয়রানি।
তিন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিকাশে পেমেন্ট নিতে অনীহা, লোকেশন পছন্দ না হওয়া আর যাত্রীদের রিকোয়েস্ট বাতিল করতে বাধ্য করা।
এ বিষয়ে উবারের বক্তব্য জানতে চাইলে সময়ক্ষেপণ করলেও সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য তারা দেয়নি।
দেশে রাইড শেয়ারিংয়ের শুরু ২০১৫ সালে। গণপরিবহনের হয়রানি থেকে রেহাই পেতে নগরে নতুন সুবিধা রাইড শেয়ারিংয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয় যাত্রীরা। একই বছর আসে দেশি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ‘পাঠাও’।
বেশি আলোচনা হয় বহুজাতিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘উবার’ চালু নিয়ে। অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি কল দিয়ে স্বল্প খরচে যেকোনো জায়গায় যাওয়ার সুবিধা রাজধানীতে ট্যাক্সির অভাব অনেকটাই পূরণ করেছিল।
তবে সেবাটির ‘মধুচন্দ্রিমা’ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। একের পর এক হয়রানির অভিযোগ বাড়তে থাকে রাইড শেয়ারিং সেবার বিরুদ্ধে।
উবার কিছু পদক্ষেপ ও সুবিধা যোগ করলেও তা অল্প দিনের জন্য স্থায়ী হয়। নতুন করে অভিযোগ আসতে থাকে যখন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে চালকের টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়।
নিউজবাংলার অনুসন্ধানে উবারের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগগুলো স্পষ্ট হয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, গন্তব্য বাছাইয়ে চালকের যথেচ্ছাচার। গন্তব্য পছন্দ না হলে চালকেরা যেতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে যাত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সরোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যাত্রীর গন্তব্যের সঙ্গে চালকের পছন্দ মেলে না। আর এতে চালক বারবার ট্রিপ ফরোয়ার্ড করতে থাকেন, যা একধরনের ভোগান্তি। এ ছাড়া চালকের অহেতুক বিরক্তি প্রকাশ ও অসদাচরণও মেনে নিতে হয়।
তিনি বলেন, ‘সেবা পাচ্ছি টাকার বিনিময়ে। তবে কেন এত ভোগান্তি হবে?’
সরোয়ার আরও অভিযোগ করেন, একবার এক চালক তার এক হাজার টাকার নোট ভাঙতি দিতে পারেননি। তখন তিনি বিকাশে পেমেন্টের কথা বললে তাতেও চালক রাজি হননি। বাধ্য হয়ে তাকে দোকান থেকে কিছু কিনে টাকা ভাঙাতে হয়েছে।
মেরুল বাড্ডায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তাকরিম আহমেদ অভিযোগ করেন, ‘চালকের প্রান্ত থেকে সমস্যা হলেও যাত্রীদের ট্রিপ ক্যানসেল করতে বাধ্য করা হয়। গন্তব্যের মিল না হলে চালক ট্রিপ ক্যানসেল করতে বলেন।’
তিনি বলেন, ‘রিকোয়েস্ট পাঠালে চালক যাত্রীর গন্তব্য দেখতে পান না। তিনি গন্তব্য জানার পর যেতে না চাইলে ট্রিপ ক্যানসেল করতে বলেন, যা আমার জন্য জরিমানা। এ ক্ষেত্রে আমাকে বাধ্য হয়ে ক্যানসেল করতে হয়। এটা অনেক বড় ধরনের হয়রানি।’
গত বছর ১১ আগস্ট করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে ক্যাশ টাকার পরিবর্তে বিকাশে পেমেন্টের কথা ঘোষণা করে উবার। তখন বলা হয়, এতে নগদ বা ভাঙতি টাকার ঝামেলা ছাড়াই রাইডের ভাড়া যাত্রীর বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধ করা যাবে।
বিশেষ করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাত্রী ও চালক উভয়কে রক্ষা করতে ক্যাশলেস এই পেমেন্ট ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়।
তবে বিকাশের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ মানতে নারাজ চালকেরা। তাদের কথা, এই পেমেন্টের টাকা হাতে পেতে তাদের অনেক বেশি সময় লেগে যায়। ক্যাশ টাকা হাতে পেলে তাদের সুবিধা বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চালক নিউজবাংলাকে বলেন, সব চালকের ব্যবহার বা আচার-আচরণ এক হবে না। মাঝে মাঝে যাত্রীরাও গন্তব্য নিয়ে ঝামেলা করেন। তবে তারা মেনে নেন যে, বিকাশে পেমেন্ট দিলে তাদের টাকা পেতে ঝামেলা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উবারের এক চালক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তো লোকেশন দেখতে পারি না। এমন অনেক সময় হয় যে দিনের শেষ ট্রিপ নেব নিজের বাসার কাছাকাছি। তখন যদি গন্তব্য না মেলে তবে ফরোয়ার্ড করে দিই।
‘এটা আমার ক্ষেত্রে হয়। অন্যদের কথা জানি না। কিন্তু লোকেশন না দেখতে পাওয়া একটা বড় সমস্যা আমাদের জন্য।’
উবার জবাব দেয় না
বাংলাদেশে উবারের নিজস্ব কার্যালয় নেই। বেঞ্চমার্ক পিআর নামে একটি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে উবারের কর্মকাণ্ড সমন্বয় করে।
এসব অভিযোগের জবাব পেতে বেঞ্চমার্ক পিআর-এর সঙ্গে ১১ ফেব্রুয়ারি যোগাযোগ করে লিখিত প্রশ্ন পাঠানো হয়। তখন বেঞ্চমার্ক পিআর থেকে জানানো হয়, এই প্রশ্নগুলো তারা উবারকে পাঠাবে।
এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি বেঞ্চমার্ক পিআরের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করা হলে তারা উবারের ২০২০ সালের ‘ফিরে দেখা’ নামে একটি বিবৃতি পাঠায়, যেখানে সমস্যাগুলো নিয়ে কোনো উত্তর ছিল না।
বেঞ্চমার্ক পিআরের পরিচালক (পাবলিক অ্যাফেয়ার্স) এ এফ এম আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, তারা প্রশ্নগুলো উবারকে পাঠিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত উবার থেকে কোনো উত্তর তারা পাননি।
কবে উত্তর পাওয়া যাবে, জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘উবার প্রশ্ন যাচাইবাছাই করে। আমরা এখান থেকে পাঠিয়েছি। ওরা বলল, আমরা দেখছি।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩১৩টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
অনেকে মনে করেন ভাত খেলেই ওজন বেড়ে যায়, বাড়ে ভুঁড়ি। তাই অনেকেই ভাত খাওয়া কমিয়ে দেন বা একেবারেই ছেড়ে দেন। অথচ পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভাতেরও রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ—যা শরীরের জন্য অপরিহার্য।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ সুরভি আগরওয়াল জানান, ভাত ভিটামিন বি, ফলিক অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস। এটি অন্ত্র ও ত্বকের জন্য উপকারী। কালো চাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, বাদামি চাল ফাইবারে ভরপুর এবং লাল চাল প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। নিয়ম মেনে খেলে ভাত এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে।
অন্য পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরী বলেন, ভাতে কার্বোহাইড্রেট ও স্টার্চ বেশি থাকায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) উঁচু হয়, ফলে ওজন ও রক্তে শর্করা বাড়তে পারে। তবে রান্নার পদ্ধতি ও খাবারের সঙ্গে মিশ্রণে এ প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
রান্নার সঠিক নিয়ম
চাল আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে নতুন পানিতে ভাত রান্না করুন।
মাড় গালা ভাত খেলে স্টার্চ কমে যায়, ফলে কার্বোহাইড্রেটও কমবে।
কতটুকু খাবেন?
দিনে ৩০ গ্রাম চাল দিয়ে রান্না করা এক কাপ ভাত যথেষ্ট (১৫০–১৭০ ক্যালোরি)।
ভাতের সঙ্গে সবজি, মাছ, সালাদ খেলে ওজন বাড়ে না।
কখন খাবেন?
দিনে ভাত খাওয়া নিরাপদ, কারণ নড়াচড়া বেশি হয়।
রাতে ভাত না খেয়ে হালকা খাবার খাওয়াই ভালো।
ভাত খাওয়ার পর করণীয়
ভাত খাওয়ার পর ভাতঘুম নয়, বরং হালকা হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করুন।
চাইলে গ্রিন টি পান করতে পারেন, এতে হজমে সহায়তা হয়।
যশোরের কেশবপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টম্বর) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ওই প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ, সেনাবাহি-নীর ওয়ারেন্ট অফিসার ফখরুল ইসলাম, কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান শরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির প্রভাষক জাকির হোসেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন আলা,উপজেলা এনসিপির সমন্বয়ক সম্রাট হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল চন্দ্র সাহা, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমুখ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু। সভায় কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৯৭টি মন্দিরে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন আলোচনা করেন বক্তারা। এবার কেশবপুর উপজেলার যে সকল এলাকায় পূজা উদযাপন হবে। ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে একটি,২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে ১৩ টি, ৩ নং মজিদপুর ইউনিয়নে ৬টি, ৪ নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ৫ টি, ৫নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ৫ টি, ৬ নং সদর ইউনিয়নে ৭ টি, ৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৮ টি, ৮নং সুপলাকাটি ইউনিয়নে ১২ টি, ৯নং গৌরিঘোনা ইউনিয়নে ১৩ টি, ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ১২ টি, ১১ নং হাসানপুর ইউনিয়নে ০৮ টি, কেশবপুর পৌর সভায় ৭টি সহ সর্বমোট ৯৭ টি পূজা মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন পূজা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সুন্দর ভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান টি উদযাপনের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রেকসোনা খাতুন বলেন কেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাইনোর চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
জয়পুরহাটে অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ভুক্তভোগীদের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম)। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের পাঁচুর মোড় জিরো পয়েন্টে বিডিইআরএম ও নাগরিক উদ্যোগের যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো- অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধার ও হস্তান্তর, ভুক্তভোগী রবিদাস পরিবার উচ্ছেদ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি বসতবাড়ি পুনর্নির্মাণে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ এবং ভুক্তভোগীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এসময় জেলা দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের (বিডিইআরএম) আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বাবুল রবিদাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস, আদিবাসী সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ এইচ আল মুরাদ (দোয়েল), জেলা রবিদাস ফোরামের সভাপতি মনিলাল রবিদাস, জেলা সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক ওবায়দুল্লাহ মুসা এবং জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সুধীর তিরকি প্রমুখ।
জলবায়ু পরিবর্তন : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি বিষয়ক কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি সংস্থা আফাদ এর মিলনায়তনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নারী পক্ষ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন,জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত উপপরিচালক মো: আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা খান,জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজার মাইদুল ইসলাম, আফাদ এর নির্বাহী পরিচালক সাইদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
ইউএনওমেন এর অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন,ফেইস প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
দিনব্যাপী কৃষক সংলাপ সদর উপজেলাসহ রাজারহাট, চিলমারী, উলিপুর, ফুলবাড়ি,নাগেশ্বরী এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৫০জন কৃষক- কৃষাণীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।
দিনব্যাপি কৃষক সংলাপে নারী নেতৃত্বাধীন সুশীল সমাজ সংগঠনের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক গঠন,সভা, পরামর্শ সভা এবং ডায়লোগ সেশন আয়োজন করা,স্থানীয় প্রশাসন, সুশীল সমাজের কর্মীদের ও কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা,কমিউনিটি পর্যায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন এর মূলক উপকরণ তৈরি,জেন্ডার সংবেদনশ প্রণোদনা প্রয়োশে মাধ্যমে কমিউনিটিকে সহায়তা করাসহ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে মৎস্য, কৃষি, প্রাণী সম্পদ বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লা হত্যা মামলায় নুরাল পাগলার দরাবার থেকে জেনারেটর চুরির দায়ে মো. মিজানুর রহমান (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান রাজবাড়ীর লক্ষীকোল সোনাকান্দা এলাকার হারুনার রশিদ এর ছেলে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা গোয়েন্দা ডিবি ও গোয়ালন্দ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে জেনারেটর সহ গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব।
তিনি জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে মিজানুর রহমান নুরাল পাগলার দরবার থেকে একটি জেনারেটর নিয়ে যাচ্ছে। ফুটেজের উপর ভিত্তি করে তাকে শনাক্ত করা হয়। পরে তাকে নুরাল পাগলার দরবারের ভক্ত রাসেলের পিতা আজাদ মোল্লার দায়ের করা মামলায় গুরুতর জখম, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, কবর থেকে লাশ উত্তোলন, পোড়ানো মামলায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলামকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দুটি মামলায় এ পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাস সেবা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে পৌঁছে দিতে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে জব্বারের মোড় থেকে দুটি বাস টাউন হলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে একই স্থান থেকে বাসগুলো শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনবে।
পরিবহন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ জানান, উপাচার্যের নির্দেশে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থবির পরিস্থিতির কারণে প্রথমে বাস চালুর পরিকল্পনা না থাকলেও পরে উপাচার্যের নির্দেশে সার্ভিসটি চালু করা হয়।
মন্তব্য