অল্প সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আইএসএস। মহাকাশ কেন্দ্রটিতে রাশিয়ার নতুন পৌঁছানো একটি মডিউলে অসাবধানতাবশত আগুন ধরে গেলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, কারিগরি ত্রুটি ঠিক করার মাধ্যমে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং বর্তমানে স্বাভাবিকভাবেই সব কার্যক্রম চলছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আট দিনের যাত্রা শেষে আইএসএসে বৃহস্পতিবার অবতরণ করে নাউকা মডিউলটি। এর বেশ কয়েক ঘণ্টা পর ত্রুটির বিষয়টি সামনে আসে।
পরে আইএসএসের অন্যান্য মডিউল চালু করে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় মহাকাশ কেন্দ্রটি। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে মহাকাশ কেন্দ্রটিতে সাতজন নভোচারী আছেন। এ ঘটনায় তাদের কোনো বিপদ হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নাসা জানায়, হঠাৎ ত্রুটির কারণে নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে ৪৫ ডিগ্রি সরে গিয়েছিল মহাকাশ স্টেশনটি। সে সময় বেশ কয়েক মিনিটের জন্য যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন নভোচারীরা।
ত্রুটি ঠিক করে আবারও স্টেশনটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে ৩০ জুলাই আইএসএসে বোয়িংয়ের মানববিহীন একটি মহাকাশযান পাঠানোর কথা ছিল বোয়িং ও নাসার।
দুর্ঘটনার পর এ কার্যক্রম অন্তত ৩ আগস্ট পর্যন্ত পেছানো হয়েছে।
১৩ মিটার দীর্ঘ ও ২০ টন ওজনের নাউকা মডিউলটি কক্ষপথে আইএসএসের পেছনের অংশে যুক্ত ছিল। স্টেশনে রাশিয়ার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করত এটি।
চীন ও মঙ্গোলিয়া সীমান্তের আকাশে ৪২০ কিলোমিটার উচ্চতায় আইএসএসের সঙ্গে যুক্ত হয় নাউকা।
২০০৭ সালে মডিউলটি চালু করার কথা থাকলেও মূলত অর্থসংস্থানে ঘাটতির কারণে বারবার সে সময় পিছিয়েছে। এ ছাড়া প্রকৌশলীরাও এটি তৈরির সময় বেশ কিছু কারিগরি জটিলতার মুখে পড়েছিলেন।
এক সপ্তাহ আগে কাজাখস্তানের বাইকোনূর কসমোড্রোম থেকে আইএসএসের উদ্দেশে রওনা দেয় মডিউলটি। তখন মস্কো থেকে মডিউলটি নিয়ন্ত্রণের সময়েও জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত তারিখেই আইএসএসে অবতরণে সফল হয় মডিউলটি।
নতুন মডিউলটির মাধ্যমে আইএসএসে ৭০ ঘনমিটার জায়গা বাড়বে। এই বাড়তি জায়গায় নভোচারীরা পণ্য মজুত করবেন এবং এখান থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা পরিচালনা করবেন।
মডিউলটির সঙ্গে একটি বড় যান্ত্রিক হাত আছে, যা সরবরাহ করেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি ইএসএ। ১১ মিটার দীর্ঘ যন্ত্রটি আইএসএসে রাশিয়ার অংশগুলোতে কাজ করতে পারবে। ‘কনুই’য়ের অংশের সাহায্যে এটি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করবে।
বিশ্রামের জায়গা হিসেবেও ব্যবহৃত হবে মডিউলটি। এতে একটি টয়লেটও আছে।
আইএসএসে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্নের মধ্যেই নাউকা মডিউলটি যুক্ত হলো মহাকাশ স্টেশনটিতে।
বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা একমাত্র মহাকাশ স্টেশন আইএসএসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২৪ সালে মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আইএসএসের।
আইএসএসে অংশ নিতে দেয়া হয়নি চীনকে। পৃথিবীর কক্ষপথে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় নতুন মহাকাশ স্টেশন নিয়ে কাজ করছে চীন। চলতি বছরের এপ্রিলে ভবিষ্যৎ স্টেশনের প্রথম মডিউলও মহাকাশে পাঠিয়েছে বেইজিং।
২০২২ সালের মধ্যে নতুন স্টেশনটিতে পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করবে বলে আশাবাদী চীন। পরিকল্পনা সফল হলে ২০২৪ সালে পৃথিবীর বাইরে একমাত্র মহাকাশ স্টেশনটি হবে চীনের। আকারে এটি আইএসএসের চার ভাগের এক ভাগ। কিন্তু এতে মহাকাশ গবেষণাগারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে চীনের।
আরও পড়ুন:বাবা জেমি স্পিয়ার্সের সঙ্গে চলা আইনি বিরোধ মিটিয়ে ফেলছেন আমেরিকান পপ আইকন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। বিষয়টির নিষ্পত্তি করা নিয়ে দু’পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ব্রিটনির অ্যাটর্নিরা।
লস অ্যাঞ্জেলেস সুপিরিয়র কোর্টে নিষ্পত্তিটি দায়ের করা হযয়েছে। তাদের চলমান আইনি বিরোধের বিষয়ে চুক্তির কোনো শর্ত প্রকাশ করা হয়নি।
আদালত ২০২১ সালের শেষের দিকে পপ তারকার ১৩ বছরের কনজারভেটরশিপ অবসানের পক্ষে রায় দেয়। এর ফলে তার ব্যক্তিগত ও আর্থিক লেনদেনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান তার বাবা। তবে জেমি স্পিয়ার্স মেয়ে ব্রিটনির কাছে প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার আইনি ফি দাবি করে বসেন। এ নিয়ে নতুন করে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন বাবা ও মেয়ে।
বিরোধ নিষ্পত্তির ফল সম্পর্কে উভয় পক্ষের অ্যাটর্নিরা ইতিবাচক কথা বলেছেন।
গায়িকার অ্যাটর্নি ম্যাথিউ রোজেনগার্ট সিএনএনকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তিনি বিষয়টি নিয়ে আদালতে উপস্থিত হতে বা জড়িত থাকতে চাননি। তার স্বাধীনতার ইচ্ছা এখন সত্যিকার অর্থেই পূর্ণতা পেয়েছে।’
জেমি স্পিয়ার্সের অ্যাটর্নি অ্যালেক্স উইনগার্টেন বলেন, ‘এসব শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি আনন্দিত। আমার মেয়েকে আমি খুব ভালোবাসি। তাকে রক্ষা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। ব্রিটনির জন্য সেরাটা আশা করি।’
আদালতের নির্দেশিত কনজারভেটরশিপের আওতায় ২০০৮ সালে ব্রিটনির বাবা ১৩ বছর তার কনজারভেটর হিসেবে কাজ করেন। তিনি তার প্রাপ্তবয়স্ক কন্যার সব আর্থিক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করেন।
তবে ২০২১ সালের জুনে ব্রিটনি বিচারকের কাছে কনজারভেটরশিপকে অপমান হিসেবে উল্লেখ করে এর থেকে তাকে মুক্ত করার অনুরোধ জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, কনজারভেটরশিপ চলাকালীন ম্যানেজমেন্ট তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সফরে যেতে বাধ্য করে। তাকে লিথিয়াম দেয়া হয়, যার কারণে তিনি মাতাল বোধ করেন এবং তাকে বিয়ে করার বা সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। এ কারণে তিনি জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য আইইউডি ব্যবহার করতে বাধ্য হন।
ব্রিটনির কনজারভেটরশিপ শেষ হওয়ার দু’মাস আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে একজন বিচারক স্পিয়ার্সের বাবা জেমিকে তার মেয়ের সংরক্ষকের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাশ মানি ট্রায়ালের অষ্টম দিনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ থাকা পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্পের কার্যালয়ে দেখেছেন বলে আদালতে দাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী রোনা গ্রাফ।
এবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলার শুনানি কার্যক্রমে শুক্রবার দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয় রোনা গ্রাফকে।
ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে ৩৪ বছর কাজ করা গ্রাফ আদালতকে জানান, তার অস্পষ্টভাবে মনে আছে যে তিনি স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্প টাওয়ারের ২৬ তলার রিসেপশনে দেখেছেন।
ট্রাম্পের আইনজীবী অবশ্য এ দাবিকে খারিজ করে দিয়ে আদালতকে বলেন, ওই সময় ট্রাম্প রিয়েলিটি টিভি শো ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ নিয়ে কাজ করছিলেন। ওই শো-র জন্য অনেককেই নিজের অফিসে ডাকতেন ট্রাম্প।
গ্রাফের পর সাক্ষ্য দিতে আসেন ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের সিনিয়ন ম্যানেজিং ডিরেক্টর গ্যারি ফারো। তিনি জানান, ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে রেসোল্যুশন কনসালট্যান্টস এলএলসি নামে নতুন একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে সাহায্য করেন তিনি।
সরকার পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে এই কোম্পানির মাধ্যমেই কোহেন ট্রাম্পের হয়ে ড্যানিয়েলসকে ১৩০ হাজার ডলার দিয়েছেন। এটিই ‘হাশ মানি’ হিসেবে পরিচিত।
এদিন শুনানির শুরুতে চতুর্থবারের মতো আদালতে হাজির হন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়্যারারের প্রকাশক ডেভিড পেকার। তাকেও নানাভাবে প্রশ্ন করেন দু’পক্ষের আইনজীবীরা।
পেকার জানান, ২০১৫ সালে ট্রাম্প টাওয়ারে এক আলোচনার পর তিনি এনকোয়্যারার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নেতিবাচক প্রতিবেদন সম্পর্কে আগে থেকেই কোহেনকে অবহিত করতে রাজি হন।
পেকার এও দাবি করেন যে ট্রাম্প টাওয়ারের ওই বৈঠকে তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন অর্থের বিনিময়ে না ছাপতে দেয়া বা ‘ক্যাচ অ্যান্ড কিল’ কৌশল নিয়ে আলোচনা করেননি।
তিনদিন বিরতি শেষে মঙ্গলবার পুনরায় এই মামলার শুনানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনারের কার্যালয়কে ৩০ ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটির ‘কল্যাণ ও সুরক্ষা’য় সহায়তার জন্য এ অর্থ দেয়া হচ্ছে বলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, শিশু, সহিংসতায় আক্রান্ত নাগরিকসহ ইউক্রেনের সর্বসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগে সহায়তার অংশ হিসেবে কাতার এ অর্থ দিচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়টির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে সংঘাতপীড়িত পরিবারগুলোকে সাহায্যের জন্য ক্রমবর্ধমান আইনি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এ অর্থ।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, মানুষের মর্যাদাকে সম্মান করা হয় এবং প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকারের সুরক্ষা দেয়া হয়, এমন বিশ্ব গড়ে তোলার প্রয়াসের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাটি।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানান, কাতারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ হামলার পর জোর করে রাশিয়ায় পাঠানো ইউক্রেনীয় ১৬ শিশু।
জেলেনস্কি বুধবার জানান, কাতারের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সুবাদে শিশুরা মুক্ত হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছে।
আরও পড়ুন:ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় হামলায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) দুই সদস্য নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয়, যেটি জঙ্গিরা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের একটি দল নারানসেইনা গ্রামের পাহাড়ি অংশ থেকে উপত্যকা অঞ্চলের দিকে সিআরপিএফের চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর জবাবে সিআরপিএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এরই মধ্যে চৌকিতে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বাহিনীর চার সদস্য।
এ চারজনকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও দুজনের মৃত্যু হয়। অপর দুজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, মণিপুরে সংকট শুরুর প্রথম বার্ষিকীর ছয় দিন আগে এ হামলা হলো। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হামলা আগামী দিনগুলোতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাণ হারানো দুই সিআরপিএফ সদস্য ১২৮ ব্যাটালিয়নের হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন, যাদের কর্মস্থল ছিল নারানসেইনা এলাকায়। এ দুজন হলেন উপপরিদর্শক এন সরকার ও প্রধান কনস্টেবল অরূপ সাইনি।
আহত দুজন হলেন পরিদর্শক যাদব দাস ও কনস্টেবল আফতাব দাস।
হামলাকারীরা শুক্রবার মধ্যরাতে হামলা শুরু করে বলে খবর পাওয়া যায়, যেটি চলে রাত সোয়া দুইটা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:ভারতের ১৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এর আগে ভারতের ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল।
দ্বিতীয় দফার ভোটে সবচেয়ে বেশি ও সবচেয়ে কম সম্পদ নিয়ে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের তথ্য দিয়ে শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হলেন কর্নাটকের কংগ্রেস প্রার্থী ভেঙ্কটরমন গৌড়া। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা অনুযায়ী, ৬২২ কোটি রুপি সমমূল্যের সম্পদ রয়েছে তার। তিনি এ নির্বাচনে এইচডি কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন।
দ্বিতীয় ধনী প্রার্থী হলেন কংগ্রেসের ডিকে সুরেশ। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৯৩ কোটি রুপি। ডিকে সুরেশ বেঙ্গালুরু গ্রামীণ আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন।
তৃতীয় ধনী প্রার্থী হলেন বিজেপি নেত্রী এবং অভিনেত্রী হেমা মালিনী। তিনি মথুরা লোকসভা আসন থেকে লড়ছেন। তার সম্পদের পরিমাণ ২৭৮ কোটি রুপি। মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় শর্মা চতুর্থ ধনী প্রার্থী, তার সম্পদের পরিমাণ ২৩২ কোটি রুপি।
সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে কম যাদের
লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে কম সম্পদ নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন নাগোরাও পাটিল। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার সম্পদ রয়েছে ৫০০ রুপি এবং তার কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই।
এরপরেই আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজেশ্বরী কেআর। তিনি কেরালার কাসারাগড় আসন থেকে লড়ছেন। তার সম্পদের পরিমাণ ১০০০ রুপি।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লোকসভায় ৩৫৩টি আসন পায় এনডিএ, যেখানে বিজেপির একক আসনের সংখ্যা ৩০৩টি।
ভারতে এবার ১৮তম লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে, যার ব্যাপ্তিকাল ৪৪ দিন। দেশটিতে মোট সাত দফায় এ ভোট হবে। লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট ১ জুন।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়।
দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
তিনি বলেছেন, “যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমি লজ্জিত হই। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনও অনেক পিছিয়ে আছে।”
সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে, কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গত বুধবার সিন্ধ সিএম হাউসে একটি মতবিনিময় সভা করেন শাহবাজ শরিফ।
সে সভায় মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শাহবাজ শরিফ বলেন, “আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম...তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।”
এদিকে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গেও ব্যবসাবিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সঙ্কটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার’ জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শাহবাজ।
মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অপরদিকে রাশিয়া ও চীনের উত্থাপিত সংশোধনী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে পরিষদ।
মস্কো স্যাটেলাইট ধ্বংস করতে সক্ষম এমন একটি পারমাণবিক ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সমর্থিত উদ্বেগের মধ্যে বুধবার এমন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।
রাশিয়ার অ্যাম্বাসেডর ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জাতিসংঘের খসড়াটিকে একটি ‘নোংরা প্রদর্শনী’ এবং প্রস্তাবের সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তৈরি করা ‘খামখেয়ালি চাল’ বলে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ফেব্রুয়ারিতে নিশ্চিত করে বলেন, রাশিয়া স্যাটেলাইট বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন করছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্র পরে সিএনএনকে জানায়, এই অস্ত্র বিস্ফোরিত হয়ে ব্যাপক শক্তির তরঙ্গ তৈরি করে স্যাটেলাইটকে ধ্বংস করতে পারে।
জাতিসংঘে ভোটাভুটির আগে যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, ওই প্রস্তাবে ভেটো দিলে বুঝতে হবে রাশিয়া কিছু গোপন করার চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বুধবার ভোটাভুটির পর তার বক্তব্যে এসব দাবির প্রতিধ্বনি করেন।
প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘কেন? আপনি যদি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে কেন এমন একটি প্রস্তাব সমর্থন করবেন না? আপনি কী লুকাতে পারেন? এটা বিস্ময়কর এবং এটি লজ্জাজনক।’
ভোটাভুটির সময় চীনের অনুপস্থিতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বেইজিং দেখিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী বিস্তার রোধ ব্যবস্থাকে রক্ষা করার পরিবর্তে তারা বরং রাশিয়াকে তাদের অংশীদার হিসেবে রক্ষা করবে।’
থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘বুধবারের ভোটে অনুপস্থিতি বিদ্যমান অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বাধ্যবাধকতার ওপর অতিপ্রয়োজনীয় আস্থা পুনর্নির্মাণের একটি সত্যিকারের সুযোগ হারানো।’
যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের খসড়া প্রস্তাব ৬০টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে আন্তঃআঞ্চলিক সমর্থন পেয়েছে।
জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপনের জন্য পরিকল্পিত পারমাণবিক অস্ত্র বা গণবিধ্বংসী অন্যান্য অস্ত্র তৈরি না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
মন্তব্য