× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Jasim who sold tickets in the black market was arrested
google_news print-icon
নিউজবাংলায় সংবাদ প্রকাশ

কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করা সেই জসিম গ্রেপ্তার

কালোবাজারে-টিকিট-বিক্রি-করা-সেই-জসিম-গ্রেপ্তার
জসিম গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের বাসিন্দা। ছবি: সংগৃহীত
গাইবান্ধা রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘২৩ তারিখ রাতে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের ১৩ যাত্রী কালোবাজারিতে টিকিট কিনে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ হয় নিউজবাংলায়। খবর প্রকাশের পর আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তা তদন্ত করা হয়।’

অনলাইন নিউজপোর্টাল নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমে সংবাদ প্রকাশের পর গাইবান্ধায় কালোবাজারে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করায় অভিযুক্ত জসিমকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা এ মামলায় সোমবার সন্ধ্যায় বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গাইবান্ধার রেলওয়ে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।

সাঘাটা উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের বাসিন্দা জসিমকে গ্রেপ্তার এবং কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম।

এর আগে গত রোববার ‘কালোবাজারে জসিমের কাছ থেকে টিকিট কিনে বিপাকে, অভিযোগ ১২ যাত্রীর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় নিউজবাংলায়।

বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশ জানায়, এর আগেও জসিমকে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির সময় বোনারপাড়ায় চারটি টিকিটসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

নিউজবাংলার ২৮ এপ্রিলের প্রতিবেদনে যা তুলে ধরা হয়

লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেসে’ ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাতের ঘটনা।

ট্রেনটি রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গিয়ে বোনারপাড়া স্টেশনে প্রবেশ করে রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে। সেদিন ‘ঞ’ বগিতে বেশ কিছু যাত্রী ওঠেন ওই স্টেশন থেকে।

ট্রেনে উঠেই এক নারী যাত্রীসহ চারজনের মধ্যে আসন নিয়ে বিবাদ তৈরি হয়। কারণ তাদের হাতে যে টিকিট ছিল, তার প্রতিটিতে একই আসন নম্বর।

মূলত কোনটি কার আসন, সেটিই নিয়েই বিবাদের শুরু হয়। পরে উপস্থিত যাত্রীদের সহায়তায় বিষয়টির সমাধান হয় এবং কামরার ‘ঞ’ বগির ৫, ৬, ৭ ও ১১ নম্বর আসনে বসেন বিবাদে জড়ানো যাত্রীরা।

যাত্রীদের মধ্যে বিবাদ হওয়া টিকিটে দেখা যায়, চার যাত্রীর হাতে আলাদা দুটি টিকিট থাকলেও তা ছিল মূলত দুটি টিকিটেরই প্রিন্ট কপি, যার নম্বরগুলো ছিল একই।

টিকিট দুটি ১৩ এপ্রিল একই তারিখে কেনা, যার একটিতে ঞ-৫, ৬, ৭, ও ১১ এই চারটি আসন নম্বর দেয়া আছে। আর নারীর হাতের অপর টিকিটেও রয়েছে ঞ-৫ ও ৭ ও ১১ আসন নম্বর। ওই টিকিটে যাত্রীরা বোনারপাড়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত যেতে পারবেন।

ঘটনার এখানেই শেষ নয়। ওই দিন ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করলে রাত একটার পর সান্তাহার-নাটোর স্টেশনের মাঝামাঝিতে ট্রেনের ‘ঞ’ বগিতে আসেন টিকিট কালেক্টর ‘টিটিই’।

ওই সময় টিকিট চেক করার একপর্যায়ে এ দুটি টিকিটসহ একই ধরনের পাঁচটি টিকিট দেখতে পান তিনি, যা দেখে ওই সব টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে চটে যান টিকিট কালেক্টর। রাগান্বিত হয়ে কোথায় আর কার কাছ থেকে কেনা হয়েছে এসব টিকিট, এমন প্রশ্ন করতে থাকেন তিনি।

দুই সন্তানসহ ঢাকাগামী এক নারী জানান, তিনি তার স্বামীর সহায়তায় পেয়েছেন টিকিট। তার স্বামী কীভাবে কিনেছেন, তা জানা নেই। এ ছাড়া যাত্রী শাহীন, মুকিম ও শাকিলসহ ১২ জনই বলেন জসিম নামটি।

যাত্রীদের ভাষ্য, তারা বোনারপাড়ার জসিমের কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে কিনেছেন এসব টিকিট।

এসব টিকিট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একই তারিখে কেনা টিকিটে আসন ছিল ১৩টি, যার মধ্যে দুটি টিকিটে আট যাত্রী এবং একটিতে দুই যাত্রী ট্রেনে চড়েন। অপর দুটি টিকিটে আসন সংখ্যা সাত দেয়া থাকলেও যাত্রী ছিলেন তিনজন।

যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজন জানান, তারা কেউ কাউকেই চেনেন না। এ ছাড়া টিকিট ক্রয়ে যে এনআইডি, মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে এবং যাদের নামে কেনা হয়েছে, তাদের চেনেন না যাত্রীদের কেউই।

টিকিট পাঁচটির মধ্যে একটিতে দেখা যায়, ১৩ এপ্রিল কেনা টিকিটের ক্রয়কারীর নাম মো. আবদুর রাজ্জাক। আরেকটি টিকিটে দেখা যায় টিকিট ক্রয়কারীর নাম হাওয়া আকতার হাসি।

এসব টিকিটে ঢাকাগামী যাত্রীদের মধ্যে একজন শাহিন। তার বাড়ি বোনারপাড়ায়। তিনি ফার্নিচারের ব্যবসা করেন, জরুরি কাজে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

তার কাছে থাকা টিকিটের আসন নম্বর ঞ-৫, ৬, ৭ ও ১১। টিকিট দেয়ার সময় তাকে বলা হয়েছে তার আসন নম্বর ঞ-৭।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে অপর তিনটি আসন কার। এ ছাড়া তার এ টিকিটে ক্রেতার নাম আবদুর রাজ্জাক।

জানতে চাইলে যাত্রী শাহিন বলেন, ‘কয়েক দিন চেষ্টা করেও টিকিট পাইনি। পরে জসিমের থেকে বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ দামে টিকিট কিনেছি। কিছু করার নাই। সবখানেই একই অবস্থা। যেতে হবে তো।’

‘আপনার হাতের টিকিটে আবদুর রাজ্জাক কে? এনআইডি আর এই মোবাইল নম্বরই বা কার?’

উল্লিখিত দুটি প্রশ্নের উত্তরে যাত্রী শাহিন বলেন, ‘মোবাইল নম্বর এবং এনআইডি কার জানি না। আর আবদুর রাজ্জাককেও আমি চিনি না।’

এ ছাড়া যাত্রীদের মধ্যে ওই নারীর বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার শিমুলতাইর গ্রামে। তার স্বামী দুলু মিয়া ঢাকায় বেসরকারি চাকরি করেন। ওই নারীর হাতে যে টিকিটটি ছিল, তাতে আসন নম্বর ছিল ঞ-৫, ৭, ও ১১ নম্বর।

ওই নারী যাত্রীর দাবি, তাকে বলা হয়েছে তার আসন নম্বর ৫ ও ৭। তাহলে কোচের ১১ নম্বর আসনের যাত্রী কে, তা নিয়ে ওই নারী বলেন, ‘ঢাকা যাওয়ার জন্য আমার স্বামী দুটি টিকিট ১ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে কিনেছে। স্টেশন থেকে নয়, তবে কার থেকে কিনেছে টিকিট, তা জানা নেই।’

টিকিট কেনা আরেক যাত্রী শাকিল। তার কাছে একটি নয়, ছিল দুটি টিকিট। ওই দুই টিকিটে আসন সংখ্যা আটটি। এসব টিকিটে ঢাকা যাচ্ছিলেন শাকিলসহ আটজন।

শাকিলের হাতে থাকা দুটি টিকিটই কাউন্টার থেকে প্রিন্ট করা, যার মধ্যে ১, ৪, ২৮ ও ৩০ নম্বরের চারটি আসনের একটি টিকিটে যাত্রীর নাম দেখাচ্ছে হাওয়া বেগম।

ওই হাওয়া বেগম কে জানতে চাইলে শাকিল টিটিইকে বলেন, ‘চিনি না।’

‘তাহলে তার নামের টিকিটটি তোমার হাতে এলো কীভাবে?

টিটিইর উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে শাকিল বলেন, ‘বোনারপাড়ার জসিম ভাইয়ের থেকে প্রতিটি টিকিট ৮০০ টাকা করে কিনেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জসিম মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন টিকিট সব অনলাইনে। আর টিকিটে আমার নাম বা আমার নম্বর নাই। বোনারপাড়াতে মানুষকে ভালোবেসে কিছু করতে যায়া (গিয়ে) আমার নামে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। তারপর থেকে আমি অনেকটাই দূরে।’

ওই সময় তিনি বলেন, ‘বোনারপাড়া স্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে সবাই এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মূলত তারাই এসব টিকিট বিক্রি করে।

‘যদি কোনো সমস্যা হয়, তারা আমার (জসিম) নামটা তাদের বলতে বলে দেয়। ট্রেনে সেদিনের ঘটনা আমি শুনেছি। যাত্রীরা নাকি আমার নাম বলেছে।’

টিকিট কালেক্টর গোলাম হাফিজ রিজু বলেন, “এই ‘ঞ’ বগির পাঁচটি টিকিটে থাকা ১৩ যাত্রীর প্রত্যেকেই ব্ল্যাকে টিকিট কিনেছেন। বিধি মোতাবেক তারা প্রত্যেকেই অবৈধ যাত্রী।

‘কেননা তাদের কাছে থাকা টিকিট ক্রয়ে যে এনআইডি ব্যবহার করা হয়েছে, সেই নামের বা সেই এনআইডিধারী ব্যক্তি মূলত যাত্রী নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিকিট কালোবাজারি যেকোনোভাবে ওই আইডি বা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে টিকিট ক্রয় করেছেন এবং বেশি দামে বিক্রি করেছেন।’

টিকিট এবং আসন সংক্রান্ত এসব ঘটনা নিউজবাংলায় তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ হলে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে একই দিন জসিমকে একমাত্র আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করে রেলওয়ে পুলিশ।
ওই মামলায় সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গাইবান্ধা রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৩ তারিখ রাতে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের ১৩ যাত্রী কালোবাজারিতে টিকিট কিনে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ট্রেনের ভেতরে যাত্রীরা তা নিয়ে বিপাকেও পড়েছিলেন। এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ হয় নিউজবাংলায়। খবর প্রকাশের পর আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তা তদন্ত করা হয়।

‘তদন্তে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রেতা জসিমের বিরুদ্ধে ওই সকল যাত্রীদের কাছে কালোবাজারিতে টিকিট বিক্রির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়।’

তিনি জানান, এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর টিকিট কালোবাজারে টিকিট বিক্রির সময় বোনারপাড়া থেকে গ্রেপ্তার হন জসিম। ওই সময় তার কাছ থেকে ট্রেনের চারটি টিকিট উদ্ধার করা হয়। পরে একই তারিখে রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার নামে মামলা করে।

আরও পড়ুন:
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে মাঠে র‍্যাব
কালোবাজারিতে ক্ষুব্ধ কক্সবাজারের পর্যটকরা
টিকিট কালোবাজারি: যাত্রীদেরকেই প্রতিরোধের পরামর্শ রেলমন্ত্রীর
কনফেকশনারিতে পাওয়া যাচ্ছিল রেলের টিকিট
টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে ৫ রেল কর্মকর্তাকে বদলি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The trial of Abu Saeeds murder began in the tribunal tearful father

আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু, ট্রাইবুনালে অশ্রুসিক্ত বাবা

আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু, ট্রাইবুনালে অশ্রুসিক্ত বাবা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হলো।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আজ এই মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এরপর আবু সাঈদকে গুলি করার দুটি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন মনিটরে ছেলেকে গুলির দৃশ্যের ভিডিও দেখে বার বার চোখ মুছছিলেন।

এরপর প্রসিকিউসনের আবেদনে আগামীকাল এই মামলায় প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ৩০ জুলাই প্রসিকিউসনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এই মামলায় অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে, আসামী পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়।

এরপর গত ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

এই মামলার যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়, তাদের মধ্যে গ্রেফতার ৬ জন আজ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।

এরা হলেন-বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কর্মচারী মো. আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৩০ জুন ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ।

২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে, সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন।

ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে, একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে।

জাজ্জ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transferred to 20 judges simultaneously

একযোগে ২৩০ বিচারককে বদলি

একযোগে ২৩০ বিচারককে বদলি

ঢাকাসহ ১৯ জেলায় ৪১ জন জেলা জজসহ একযোগে জেলা আদালতের ২৩০ বিচারককে বদলি করা হয়েছে। বদলি করা এসব বিচারকের মধ্যে রয়েছেন ৫৩ জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, ৪০ জন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং ৯৬ জন সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

গতকাল সোমবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলির আদেশ দেয়।

বদলি করা জেলা ও দায়রা জজদের আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে বর্তমান পদের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The policeman accused of raping a woman policeman in the police jail

নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ অভিযুক্ত সেই পুলিশ সদস্য কারাগারে

নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ অভিযুক্ত সেই পুলিশ সদস্য কারাগারে

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দ্বিতীয়তলার নারী ব্যারাকে ঢুকে নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা একই থানায় কর্মরত সাফিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২১ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমলে নেয় বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৫ দিন ধরে ঘুরে মামলা দায়ের করতে না পারা ভুক্তভোগীকে পুলিশ লাইন্স থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে তাকে বাদী করে ধর্ষণ মামলা রুজু করানো হয়েছে। আর ওই মামলাতেই সাফিউরকে আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগের যাচাই-বাছাই শেষে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সাফিউরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সদস্য নিজে বাদী হয়ে শুক্রবার মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলাতেই গত শুক্রবার রাতে সাফিউরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে চালান করা হয়। বিষয়টি আরও গভীরভাবে জানতে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সাফিউরের বিরুদ্ধে আদালতের কাছে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এর আগে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দ্বিতীয়তলার নারী ব্যারাকে ঢুকে এক নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে একই থানায় কর্মরত সাফিউর রহমান নামে আরেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত ৬ মাস ধরে থানা ব্যারাকেই ওই নারী সদস্যকে ধর্ষণ করে ওই পুলিশ সদস্য। সবশেষ গত ১৫ আগস্ট রাত আড়াইটার দিকেও সাফিউর থানা ব্যারাকের ওই নারীর রুমে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। এর প্রতিকার চেয়ে গত ৫ দিন ধরে ঘুরেও থানায় মামলা করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chief Justice of the proposal to establish a separate commercial court

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও বিচার ব্যবস্থার চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি পৃথক বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

গতকাল রোববার সিলেটের দ্য গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে বাণিজ্যিক আদালত শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো পৃথক বিচারিক ফোরাম নেই। এখন কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক বিরোধগুলো ছোটখাটো দেওয়ানি মামলার সঙ্গে একই সারিতে নিষ্পত্তি করতে হওয়ায় দ্রুত, কার্যকর বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এটি আমাদের বিচারকদের প্রতি কোনো সমালোচনা নয়। তাদের নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। বরং এটি একটি কাঠামোগত অসংগতি। ফলে মামলার জট যেমন বাড়ছে, তেমনি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত শুধু অর্থঋণ আদালতে প্রায় ২৫ হাজারের বেশি মামলা অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কারও একক কোনো দাবি নয় বরং বাণিজ্যিক মামলাগুলো বিশেষায়িত আদালতে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও কার্যকর রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য বৃহৎ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী সবাই দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এই দাবি জানিয়ে আসছে।

প্রধান বিচারপতি বৈশ্বিক উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, রুয়ান্ডা, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো বাণিজ্যিক আদালত গড়ে তুলে একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এসব দেশের অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা বহন করে।

প্রধান বিচারপতি প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক আদালত ব্যবস্থার সাতটি মূল স্তম্ভের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো- স্পষ্ট ও একীভূত এখতিয়ার নির্ধারণ, আর্থিক সীমারেখা ও স্তরভিত্তিক কাঠামো, বাধ্যতামূলক কেস ম্যানেজমেন্ট ও কঠোর সময়সীমা, সমন্বিত মধ্যস্থতা ব্যবস্থা, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার (যেমন, ই-ফাইলিং, ডিজিটাল ট্র্যাকিং, হাইব্রিড শুনানি), সবার জন্য ন্যায়সংগত প্রবেশাধিকার এবং জবাবদিহি ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাণিজ্যিক আদালতের কার্যক্রম হবে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক এবং বাণিজ্যের পরিবর্তনশীল চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সেমিনারে সূচনা বক্তব্য দেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sagar Rooney Murder Report Report is a record of 120 times

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড

সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্ত প্রতিবেদন ১২০ বার পেছানোর রেকর্ড

বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আবার পেছানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত গতকাল সোমবার আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

এ পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা মোট ১২০ বার পিছিয়ে এসেছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন। ঘটনার সময় বাসায় তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামিরা হলেন — রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তা রক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান।

এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন, বাকিরা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।

তদন্ত প্রতিবেদন বারবার পিছিয়ে আসায় এ মামলার দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশায় সংশ্লিষ্ট পক্ষের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abu Saeed Murder Hearing the charges against the accused today

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের সদস্যসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি আজ।

সোমবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি করবেন বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এই ছয় আসামি হলেন— সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলাম, রাফিউল, আনোয়ার পারভেজ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী আশেক।

গত ১০ জুলাই পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে, ৩০ জুন আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের সদস্যসহ মোট ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই বিকালে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। আবু সাঈদ ছিলেন জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রথম শিক্ষার্থী।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former Chief Justice ABM Khairul Haque arrested

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি জানান, তথ্য এলে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালে খায়রুল হক শপথ নেন। পরের বছর ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

২০১৩ সালে তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা একই পদে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।

মন্তব্য

p
উপরে