× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Jasim is the name on the lips of 13 passengers in trouble after buying black tickets
google_news print-icon

কালোবাজারে জসিমের কাছ থেকে টিকিট কিনে বিপাকে, অভিযোগ ১২ যাত্রীর

কালোবাজারে-জসিমের-কাছ-থেকে--টিকিট-কিনে-বিপাকে-অভিযোগ-১২-যাত্রীর
লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’। ছবি: নিউজবাংলা
ওই দিন ট্রেনের একটি বগির ১৩ যাত্রীকে দ্বিগুণ মূল্য দিয়ে টিকিট কিনেও পড়তে হয় তোপের মুখে। ট্রেনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ১৩ জন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, টিকিটগুলো ছিল কালোবাজারে ক্রয় করা।

লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রেনে চড়া দামে ট্রেনের টিকিট কিনেও বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।

হাতে টিকেট থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের কাছে ‘অবৈধ যাত্রী’ সাব্যস্ত হন ওই ট্রেনে চড়া ১৩ জন।

লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেসে’ মঙ্গলবার রাতে ঘটে এমন ঘটনা।

ওই দিন ট্রেনের একটি বগির ১৩ যাত্রীকে দ্বিগুণ মূল্য দিয়ে টিকিট কিনেও পড়তে হয় তোপের মুখে। ট্রেনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ১৩ জন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, টিকিটগুলো ছিল কালোবাজারে ক্রয় করা।

ওই ট্রেনে মঙ্গলবার নাটোর যাচ্ছিলেন নিউজবাংলার গাইবান্ধার প্রতিবেদক।

কোথায় আর কীভাবে পেয়েছেন এসব টিকিট, এমন প্রশ্নের জবাবে কেবল এক নারী ছাড়া অপর ১২ যাত্রীর প্রত্যেকের মুখে ছিল, বোনারপাড়ার ‘জসিম’ নামের এক ব্যক্তির নাম।

বুড়িমারী এক্সপ্রেস মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গিয়ে বোনারপাড়া স্টেশনে প্রবেশ করে রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে। সেদিন ‘ঞ’ বগিতে বেশ কিছু যাত্রী ওঠেন ওই স্টেশন থেকে।

ট্রেনে উঠেই এক নারী যাত্রীসহ চারজনের মধ্যে আসন নিয়ে বিবাদ তৈরি হয়। কারণ তাদের হাতে যে টিকিট ছিল, তার প্রতিটিতে একই আসন নম্বর।

মূলত কোনটি কার আসন, সেটিই নিয়েই বিবাদের শুরু হয়। পরে উপস্থিত যাত্রীদের সহায়তায় বিষয়টির সমাধান হয় এবং কামরার ‘ঞ’ বগির ৫, ৬, ৭ ও ১১ নম্বর আসনে বসেন বিবাদে জড়ানো যাত্রীরা।

যাত্রীদের মধ্যে বিবাদ হওয়া টিকিটে দেখা যায়, চার যাত্রীর হাতে আলাদা দুটি টিকিট থাকলেও তা ছিল মূলত দুটি টিকিটেরই প্রিন্ট কপি, যার নম্বরগুলো ছিল একই।

টিকিট দুটি ১৩ এপ্রিল একই তারিখে কেনা, যার একটিতে ঞ-৫, ৬, ৭, ও ১১ এই চারটি আসন নম্বর দেয়া আছে। আর নারীর হাতের অপর টিকিটেও রয়েছে ঞ-৫ ও ৭ ও ১১ আসন নম্বর। ওই টিকিটে যাত্রীরা বোনারপাড়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত যেতে পারবেন।

ঘটনার এখানেই শেষ নয়। ওই দিন ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করলে রাত একটার পর সান্তাহার-নাটোর স্টেশনের মাঝামাঝিতে ট্রেনের ‘ঞ’ বগিতে আসেন টিকিট কালেক্টর ‘টিটিই’।

ওই সময় টিকিট চেক করার একপর্যায়ে এ দুটি টিকিটসহ একই ধরনের পাঁচটি টিকিট দেখতে পান তিনি, যা দেখে ওই সব টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে চটে যান টিকিট কালেক্টর। রাগান্বিত হয়ে কোথায় আর কার কাছ থেকে কেনা হয়েছে এসব টিকিট, এমন প্রশ্ন করতে থাকেন তিনি।

দুই সন্তানসহ ঢাকাগামী এক নারী জানান, তিনি তার স্বামীর সহায়তায় পেয়েছেন টিকিট। তার স্বামী কীভাবে কিনেছেন, তা জানা নেই। এ ছাড়া যাত্রী শাহীন, মুকিম ও শাকিলসহ ১২ জনই বলেন জসিম নামটি।

যাত্রীদের ভাষ্য, তারা বোনারপাড়ার জসিমের কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে কিনেছেন এসব টিকিট।

এসব টিকিট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একই তারিখে কেনা টিকিটে আসন ছিল ১৩টি, যার মধ্যে দুটি টিকিটে আট যাত্রী এবং একটিতে দুই যাত্রী ট্রেনে চড়েন। অপর দুটি টিকিটে আসন সংখ্যা সাত দেয়া থাকলেও যাত্রী ছিলেন তিনজন।

যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজন জানান, তারা কেউ কাউকেই চেনেন না। এ ছাড়া টিকিট ক্রয়ে যে এনআইডি, মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে এবং যাদের নামে কেনা হয়েছে, তাদের চেনেন না যাত্রীদের কেউই।

টিকিট পাঁচটির মধ্যে একটিতে দেখা যায়, ১৩ এপ্রিল কেনা টিকিটের ক্রয়কারীর নাম মো. আবদুর রাজ্জাক বেরারি। আরেকটি টিকিটে দেখা যায় টিকিট ক্রয়কারীর নাম হাওয়া আকতার হাসি।

এসব টিকিটে ঢাকাগামী যাত্রীদের মধ্যে একজন শাহিন। তার বাড়ি বোনারপাড়ায়। তিনি ফার্নিচারের ব্যবসা করেন, জরুরি কাজে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

তার কাছে থাকা টিকিটের আসন নম্বর ঞ-৫, ৬, ৭ ও ১১। টিকিট দেয়ার সময় তাকে বলা হয়েছে তার আসন নম্বর ঞ-৭।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে অপর তিনটি আসন কার। এ ছাড়া তার এ টিকিটে ক্রেতার নাম আব্দুর রাজ্জাক।

জানতে চাইলে যাত্রী শাহিন বলেন, ‘কয়েক দিন চেষ্টা করেও টিকিট পাইনি। পরে জসিমের থেকে বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ দামে টিকিট কিনেছি। কিছু করার নাই। সবখানেই একই অবস্থা। যেতে হবে তো।’

‘আপনার হাতের টিকিটে আবদুর রাজ্জাক কে? এনআইডি আর এই মোবাইল নম্বরই বা কার?’

উল্লিখিত দুটি প্রশ্নের উত্তরে যাত্রী শাহিন বলেন, ‘মোবাইল নম্বর এবং এনআইডি কার জানি না। আর আবদুর রাজ্জাককেও আমি চিনি না।’

এ ছাড়া যাত্রীদের মধ্যে ওই নারীর বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার শিমুলতাইর গ্রামে। তার স্বামী দুলু মিয়া ঢাকায় বেসরকারি চাকরি করেন। ওই নারীর হাতে যে টিকিটটি ছিল, তাতে আসন নম্বর ছিল ঞ-৫, ৭, ও ১১ নম্বর।

ওই নারী যাত্রীর দাবি, তাকে বলা হয়েছে তার আসন নম্বর ৫ ও ৭। তাহলে কোচের ১১ নম্বর আসনের যাত্রী কে, তা নিয়ে ওই নারী বলেন, ‘ঢাকা যাওয়ার জন্য আমার স্বামী দুটি টিকিট ১ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে কিনেছে। স্টেশন থেকে নয়, তবে কার থেকে কিনেছে টিকিট, তা জানা নেই।’

টিকিট কেনা আরেক যাত্রী শাকিল। তার কাছে একটি নয়, ছিল দুটি টিকিট। ওই দুই টিকিটে আসন সংখ্যা আটটি। এসব টিকিটে ঢাকা যাচ্ছিলেন শাকিলসহ আটজন।

শাকিলের হাতে থাকা দুটি টিকিটই কাউন্টার থেকে প্রিন্ট করা, যার মধ্যে ১, ৪, ২৮ ও ৩০ নম্বরের চারটি আসনের একটি টিকিটে যাত্রীর নাম দেখাচ্ছে হাওয়া বেগম।

ওই হাওয়া বেগম কে জানতে চাইলে শাকিল টিটিইকে বলেন, ‘চিনি না।’

‘তাহলে তার নামের টিকিটটি তোমার হাতে এলো কীভাবে?

টিটিইর উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে শাকিল বলেন, ‘বোনারপাড়ার জসিম ভাইয়ের থেকে প্রতিটি টিকিট ৮০০ টাকা করে কিনেছি।’

ওই সময় টিকিট কালেক্টর গোলাম হাফিজ রিজু বলেন, “এই ‘ঞ’ বগির পাঁচটি টিকিটে থাকা ১৩ যাত্রীর প্রত্যেকেই ব্ল্যাকে টিকিট কিনেছেন। বিধি মোতাবেক তারা প্রত্যেকেই অবৈধ যাত্রী।

‘কেননা তাদের কাছে থাকা টিকিট ক্রয়ে যে এনআইডি ব্যবহার করা হয়েছে, সেই নামের বা সেই এনআইডিধারী ব্যক্তি মূলত যাত্রী নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘টিকিট কালোবাজারি যেকোনোভাবে ওই আইডি বা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে টিকিট ক্রয় করেছেন এবং বেশি দামে বিক্রি করেছেন।’

কে এই জসিম

ওই দিন একটি বগির ১৩ যাত্রী যার কাছ থেকে কালোবাজারে টিকিট কেনার কথা জানিয়েছেন, সেই জসিমের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের বাসিন্দা জসিম। তিনি একসময় বোনারপাড়া স্টেশনে ব্যবসা করতেন।

রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জসিম ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর টিকিট কালোবাজারে বিক্রির সময় বোনারপাড়া থেকে গ্রেপ্তার হন। ওই সময় তার কাছ থেকে ট্রেনের চারটি টিকিট উদ্ধার করা হয়। পরে একই তারিখে রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার নামে মামলা করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জসিম মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন টিকিট সব অনলাইনে। আর টিকিটে আমার নাম বা আমার নম্বর নাই। বোনারপাড়াতে মানুষকে ভালোবেসে কিছু করতে যায়া (গিয়ে) আমার নামে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। তারপর থেকে আমি অনেকটাই দূরে।’

ওই সময় তিনি বলেন, ‘বোনারপাড়া স্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে সবাই এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মূলত তারাই এসব টিকিট বিক্রি করে।

‘যদি কোনো সমস্যা হয়, তারা আমার (জসিম) নামটা তাদের বলতে বলে দেয়। ট্রেনে সেদিনের ঘটনা আমি শুনেছি। যাত্রীরা নাকি আমার নাম বলেছে।’

বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. খলিল মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টিকিট কালোবাজারির বিষয়টি দেখার দায়িত্ব জিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ) এবং আরপিএমপির (রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ)। তারা কী করে?

‘টিকিট এখন শতভাগ অনলাইনে। যদি কেউ আমার কথা বলে থাকে, তা মিথ্যা বলেছে। আমি জসিমকে সে রকমভাবে চিনিও না।’

কথা হয় গাইবান্ধা রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত জসিমকে ২০১৯ সালে কালোবাজারে টিকিট বিক্রিকালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় রেলওয়ে পুলিশ। এ অভিযোগের বিষয়টিও অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।

‘এ ছাড়া ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়ে সবসময়ই সজাগ রয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।’

এ বিষয়ে ডিভিশনাল ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট (লালমনিরহাট) আবদুল্লাহ আল মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে শতভাগ টিকিট এখন অনলাইনে। অনেক সময় সিন্ডিকেটরা এক সিটের টিকিট একাধিক ব্যক্তিকে দিয়ে থাকেন।

‘সে ক্ষেত্রে ট্রেনে থাকা সংশ্লিষ্টরা যাদের টিকিটের সাথে নাম বা এনআইডির মিল পায়, তাদেরকে ওই সিটে বসিয়ে দেয় এবং অন্যজনকে জরিমানাসহ নতুন টিকিট করে দেয়া হয়।’

ওই সময় স্টেশনের আশপাশে টিকিট কালোবাজারি থাকার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘স্টেশনের আশপাশে, চিপায়চাপায় ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির একটি সিন্ডিকেট আছে। যারা টিকিট কেনে, তারাও বিষয়টি জানে। বিষয়টি একটি ফৌজদারি অপরাধ। ওই সব ধরার দায়িত্ব পুলিশের।’

ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেয়া সত্ত্বেও এখনও কালোবাজারি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি স্বীকার করে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘একজন কৃষক যখন কোনো দোকানে টিকিট নিতে যান, আর সেই দোকানদার যদি সিন্ডিকেট হয়, তাহলে তার আইডি দিয়েই ওরা চারটি টিকিট ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করে থাকে।’

যাত্রীদের সচেতন করে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘নিজেদের এনআইডি দিয়ে টিকিট ক্রয় করে নিজেদেরই যাত্রা করতে হবে। অন্যের আইডি দিয়ে ক্রয় করা টিকিট নিয়ে ট্রেন ভ্রমণ বৈধ নয়। আমরা সবসময়ই যাত্রীদের এ ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি।’

এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ জানান, এ বিষয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ কালোবাজারি নির্মূলে শতভাগ চেষ্টা করছে; তৎপর রয়েছে। টিকিট সিন্ডিকেট ধরতে রেলওয়ে পুলিশের আন্তরিকতার কমতি নেই।’

আরও পড়ুন:
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে মাঠে র‍্যাব
কালোবাজারিতে ক্ষুব্ধ কক্সবাজারের পর্যটকরা
টিকিট কালোবাজারি: যাত্রীদেরকেই প্রতিরোধের পরামর্শ রেলমন্ত্রীর
কনফেকশনারিতে পাওয়া যাচ্ছিল রেলের টিকিট
টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে ৫ রেল কর্মকর্তাকে বদলি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
ACCs Sharifs direction to return the job to the High Court

দুদকের সেই শরীফকে চাকরি ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

দুদকের সেই শরীফকে চাকরি ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (৯ জুলাই) বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

তিন বছর আগে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ-সংক্রান্ত দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪(২) বিধির বৈধতা নিয়ে ও চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে একই বছরের ১৩ মার্চ শরীফ রিট করেন।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক পদ থেকে শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতির আদেশ কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বেতন, সব সুবিধাসহ তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয় রুলে। দুদকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

রুলের ওপর গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত আজ রায়ের জন্য দিন রেখেছিলেন। রুল যথাযথ (অ্যাবসোলিউট) ঘোষণা করে আজ রায় দেওয়া হলো।

রায়ের সময় শরীফ উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে শরীফ উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দীন দোলন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দীন দোলন বলেন, শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতির আদেশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। জ্যেষ্ঠতা ও সব সুযোগ-সুবিধাসহ তাঁকে চাকরিতে ৩০ দিনের মধ্যে পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, রায়ের বিষয়টি দুদককে জানানো হবে। আপিল করবে কি না, সে বিষয়ে দুদক সিদ্ধান্ত নেবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The online fraudulent cycle of Narails hundreds of families is finally in the police net

নড়াইলের শত শত পরিবারকে নিঃস্ব করা অনলাইন প্রতারক চক্র অবশেষে পুলিশের জালে

নড়াইলের শত শত পরিবারকে নিঃস্ব করা অনলাইন প্রতারক চক্র অবশেষে পুলিশের জালে

নিজেদের রাজকীয় জীবনযাপন আর মাদকের অর্থ যোগাতে অনলাইনে প্রতারণায় নামেন তারা। লোভনীয় প্রতারণার জাল ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে করেন শত শত পরিবারকে নিঃস্ব। অবশেষে ধরা পড়লেন নড়াইল জেলা ডিবি পুলিশের হাতে। কেবল বিলাসী জীবনই না, তাদের রয়েছে অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মও।

সোমবার (৭ জুলাই) কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ও যাদবপুরে আটঘণ্টা অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা ৬টি মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের শুকুর আলী মুন্সির ছেলে মুসাব্বির মুন্সি ছিপাতুল্যা (২৮), যাদবপুর গ্রামের শেখ বাহার উদ্দিনের দুই ছেলে নাজমুল হুসাইন (৩১) ও বাপ্পি হাসান অভি (২৭) এবং একই গ্রামের আফসার মীনার ছেলে রনি মীনা (৪১)।

ডিবি জানায়, অনলাইনে চমকপ্রদসব বিজ্ঞাপনের পরতে পরতে বুনে রাখা হয় প্রতারণার জাল। আর সেই জালে পা দিলেই নিঃস্ব হয় মানুষ। এমনই অনলাইন প্রতারক চক্রের সুচতুর সদস্যদের ধরতে অভিযানে নামে তারা।

দুটি মামলার সূত্র ধরে সোমবার দিনের আলো ফুটে ওঠার আগেই কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুরে হানা দেয় পুলিশ। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় মুসাব্বির মুন্সি ছিপাতুল্যাকে।

‘পরের গন্তব্য ছিল পার্শ্ববর্তী গ্রাম যাদবপুরে। নবনির্মিত একতলা ভবনে তখনও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন দুই ভাই নাজমুল হুসাইন ও বাপ্পি হাসান অভি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সব প্রমাণ সরিয়ে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করেন তাদের স্ত্রীরা। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, সিমসহ গ্রেফতার করা হয় দুই ভাইকে। একই এলাকা থেকে রনি মীনা নামে আরও এক অনলাইন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়,’ জানিয়েছে ডিবি।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানান, অতিরিক্ত টাকা উপার্জনের আশায় অনলাইন প্রতারণাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে কালিয়া উপজেলার যাদবপুর, রঘুনাথপুর, চাঁদপুর, মহিষখোলাসহ আশপাশের অন্তত ১০ গ্রামের হাজারো পরিবার।

তারা আরও জানান, প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া অর্থ পারিবারিক প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি নিজেদের বিলাসী জীবন, মাদক ও অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মে খরচ করেন তারা।

প্রতারণার শিকার মাদারীপুরের নয়ন ঠিকাদার বলেন, ‘মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন দেখে প্রথমে ৩০০ টাকা দিই। পরে তাদের ফাঁদে পড়ে ৩ হাজার টাকার ফোনের জন্য ২১ হাজার টাকা দিছি। আমার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য জমানো টাকা ছিল ওটা। কান্নাকাটি করছি, অনেকবার কল দিছি তাদের; আমার ফোন, টাকা–কোনোটাই দেইনি তারা।’

আরেক ভুক্তভোগী আহাদ বলেন, ‘একটা মোটরসাইকেলের জন্য কয়েক দফায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা তাদের দিছি। গাড়ি দেয়ার কথা বলে আমাকে এক মাস ধরে হয়রানি করছে। বাংলাদেশের আইনের বাইরেও যদি কোনো বিচার থাকে–প্রতারক চক্রের যেন কঠোর শাস্তি হয়।’

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পুলিশের অভিযানে অনলাইন প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ ও প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রথমে ফেসবুক পেজে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেয়। পরে পেজগুলো বুস্টিংয়ের মাধ্যমে বেশি মানুষের কাছে তাদের বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেয়। আর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোম্পানির এজেন্টদের মাধ্যমে চড়া দামে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কিনে সেগুলো দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে লেনদেন করে।

নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে এসব অনলাইন প্রতারক চক্র নির্মূলের আশ্বাসের পাশাপাশি অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two young students are free after 3 and a half years after taking

তুলে নেওয়ার পর সাড়ে ৫ বছর পর জামিনে মুক্ত দুই খুবি শিক্ষার্থী

তুলে নেওয়ার পর সাড়ে ৫ বছর পর জামিনে মুক্ত দুই খুবি শিক্ষার্থী

জঙ্গি সন্দেহে তুলে নেওয়ার সাড়ে ৫ বছর পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মাদ অনিক এবং মোজাহিদুল ইসলাম।

সোমবার (৭ জুলাই) রাতে খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। এর আগে গত সপ্তাহে উচ্চ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমসহ বর্তমান প্রশাসনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে বিস্ফোরক মামলাসহ ছয়টি মামলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্তি মিললো দুই শিক্ষার্থী অনিক ও মোজাহিদুলের।

জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে করা মামলায় এই দুই শিক্ষার্থীর ৩০ বছরের সাজা হয়েছিল। তবে ছাত-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ার পর কারা অভ্যন্তরে তারা অনশন শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া শুরু করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট বেগম আক্তার জাহান রুকু। মামলা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেল।

সহপাঠীরা জানান, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ওই দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ১৭ দিন অজানা স্থানে রেখে তাদের নির্যাতন করা হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি তাদের বিস্ফোরক দ্রব্যসহ গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। সেদিনই তাদের খুলনার কৃষক লীগ কার্যালয় ও আড়ংঘাটা থানার গাড়ির গ্যারেজে বোমা হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর একে একে তাদের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা করে পুলিশ। সেই থেকে গত পাঁচ বছর তারা কারাবন্দি ছিলেন।

অভ্যুত্থানের পরে তাদের মুক্তির দাবিতে খুবি ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন সহপাঠী, রুমমেট, শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা।

গ্রেপ্তারের সময় অনিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে এবং রাফি পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনে অধ্যয়নরত ছিলেন। তাদের গ্রেপ্তারের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ক্যাম্পাসে একাধিকবার মানববন্ধন, প্রতিবাদ ও সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন সহপাঠী, শিক্ষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আকতার জাহান রুকু বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় খালাস, দুটিতে জামিন এবং সোনাডাঙ্গা থানার দুটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সাজা হওয়া দুটি মামলায় উচ্চ আদালতে জামিন চাওয়া হলে হাইকোর্ট সেটি মঞ্জুর করেন।’

তিনি আরও জানান, জামিন আদেশ আশুরার ছুটির কারণে কারাগারে পৌঁছাতে দেরি হয়। সোমবার আদেশ পৌঁছানোর পর সন্ধ্যায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম জানান, তাদের অনশনের বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। পরবর্তীতে কারাবন্দি দুই শিক্ষার্থীর জামিনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল সেলের পরিচালক এস এম শাকিল রহমানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former law minister Anisul Haque in the arms case is on remand for 2 days

অস্ত্র মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২ দিনের রিমান্ডে

অস্ত্র মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর বনানী থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ তাকে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অপর দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুল ইসলাম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। স্থগিতকৃত লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ তারিখের মধ্যে কোন অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় জমা না দেওয়া হলে, তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

তবে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি আনিসুল হক তার একটি আগ্নেয়াস্ত্র নিজে অথবা অন্য কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে বনানী থানায় বা অন্য কোন থানায় জমা দিয়েছেন কি-না, সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তিনি থানাকে অবহিতও করেন নাই। তার অস্ত্রের লাইসেন্সে উল্লেখিত ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে বাসায় কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত ২৪ মে অস্ত্র আইনের ১৯(১) ধারায় আনিসুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বনানী থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. জানে আলম দুলাল।

উল্লেখ, গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The second day of hearing about the complaint in the murder case of Chankharpool

চানখাঁরপুলে হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু

চানখাঁরপুলে হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলি করে ছয় জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসামি পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চাওয়ার শুনানি শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় গ্রেফতার চার আসামি হাজির রয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন সংক্রান্ত প্রথম কোন শুনানি শুরু হওয়ায়, সে দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর।

এর আগে, এই মামলার পলাতক চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে গত ৩ জুন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দেয়া হয়।

তবে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরেও পলাতক আসামীরা হাজির না হওয়ায়, তাদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. কুতুবউদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আসামিগণ কর্তৃক নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয় এবং শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, শহীদ মো ইয়াকুব, শহীদ মো রাকিব হাওলাদার, শহীদ মো ইসমামুল হক ও শহীদ মানিক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে।

জাজ্বল্যমান এ সব অপরাধের বিচার এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Hasinas six month imprisonment for contempt of court

আদালত অবমাননার দায়ে শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

আদালত অবমাননার দায়ে শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

আদালত অবমাননার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার অপসারণের পর এটাই প্রথম কোনো আদালতের রায়, যাতে তাকে দণ্ডিত করা হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) আইসিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

একই মামলায় গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এই ধরনের মামলায় পলাতক আসামির জন্য আইনজীবী নিয়োগের পূর্ব নজির না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ অক্টোবর শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।

সেই অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘২২৬ জনকে মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’—যা বিচারব্যবস্থার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে আদালত। পরে এই ঘটনায় আইসিটিতে মামলা করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ৩০ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত শুনানিতে দুই আসামিকে ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ধার্য তারিখে তারা হাজির হননি। কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। সেদিন ট্রাইব্যুনাল দুই আসামিকে সশরীর হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন।

পরদিন দুটি সংবাদপত্রে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দুজনকে গত ৩ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়। সেদিনও তারা হাজির হননি। পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৯ জুন তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

১৯ জুন এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয় ২৫ জুন।

২৫ জুন মামলায় প্রস্তুতি নিতে অ্যামিকাস কিউরি মশিউজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এক সপ্তাহ সময় দেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় ২ জুলাই। আজ দুই আসামিকে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিলেন ট্রাইব্যুনাল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Padma bridge has found evidence of corruption initially in appointment of consultants
দুদক চেয়ারম্যান

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন।

মঙ্গলবার দুদকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকার পরও এই মামলা পরিসমাপ্তি করা হয়। গেল জানুয়ারিতে শুরু হওয়া অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গায়ের জোরেই পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির চেয়ারম্যানের দাবি, বেশকিছু দুর্নীতির তথ্য মিলেছে। এই মামলায় আসামির অব্যাহতির পেছনে তৎকালীন কমিশনের দায় আছে কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানান তিনি।

আব্দুল মোমেন বলেন, নতুন তদন্তে কারো সংশ্লিষ্টতা মিললে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে করা মামলা নিষ্পত্তির দীর্ঘ একযুগ পর; গত জানুয়ারি মাসে সেই মামলা পুনরায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গঠন করা হয় উচ্চ পর্যায়ে কমিটি।

জানা যায়, ২০১২ সালে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক। তবে ২০১৪ সালে অদৃশ্য কারণে মামলাটি পরিসমাপ্তি করে তৎকালীন বদিউজ্জামান ও শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশন।

মন্তব্য

p
উপরে