ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বিএনপির নিখোঁজ এক নেতার বাসভবনে যাওয়ার পর যা যা হয়েছে তার মধ্য দিয়ে এই কূটনীতিককে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলটি। এই ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে নষ্ট হবে বলে মনে করছে তারা।
বুধবারের ঘটনাপ্রবাহের পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হবে। বাংলাদেশে যে আজ গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই, এখানে যে অপশাসন চলছে সেটা আরও ফুটে উঠবে।’
২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের সময় যানবাহনে একের পর এক পেট্রল বোমা হামলার মধ্যে নিখোঁজ হন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন।
তার বোন গড়ে তুলেছেন মায়ের ডাক নামে একটি সংগঠন। গত কয়েক বছরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা এই সংগঠনে আছেন। তারা প্রায়ই নানা কর্মসূচি পালন করে সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে হঠাৎ করেই রাজধানীর শাহীনবাগে সুমনের বাসায় যান পিটার হাস। সেখানে অবস্থান করেন ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। তবে তিনি বা বিএনপি নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
সুমনের বাড়িতে যাওয়ার পর সেখানে যান ‘মায়ের কান্না’ নামের আরেক সংগঠনের সদস্যরা। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সেনা ও বিমান বাহিনীতে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা গড়ে তুলেছেন এই সংগঠন। তারা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এবং তাদের স্বজনদের সঙ্গে হয়ে যাওয়া অন্যায়ের ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন।
পিটার হাসকে এই সংগঠনের সদস্যরা একটি স্মারকলিপি দেয়ার চেষ্টা করেন। এতে ৪৫ বছর আগের গুমের ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত চাওয়ার পাশাপাশি সামরিক শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের প্রটোকল অফিসাররা তাদেরকে কাছে ঘেঁষতে দেয়নি। তারা হাসকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের দূত সোজা চলে যান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে গিয়ে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান তিনি।
মোমেন তখন তার কাছে জানতে চান, কোনো হামলা হয়েছে কি না। ‘না’ জবাব আসার পর তিনি প্রস্তাব দেন নিরাপত্তা বাড়াতে। তবে এটি জানিয়ে দেন, কোনো সংগঠনের কর্মসূচি তারা আটকাতে পারেন না।
হাসের এই পদক্ষেপে সরকার যে অসন্তুষ্ট তা গোপন করার চেষ্টা হয়নি এতটুকু।
সেদিনই বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমেরিকা খুনিদের মানবাধিকার নিয়ে ব্যস্ত।’
একই আলোচনায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পিটার হাসকে উদ্দেশ করে জানতে চান- আমেরিকায় মাসে কত গুম, খুন ও ধর্ষণ হয়।
পরদিন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, তিনি মনে করেন, হাসের সেই বাড়িতে যাওয়া উচিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না তাকে কে পরামর্শ দিয়েছে সেই দিনে মায়ের ডাক নামের সংগঠনের কো-অর্ডিনেটরের বাসায় যেতে। যারাই এ পরামর্শ দিয়েছে, তারা সঠিক পরামর্শ দেয়নি। আমি মনে করি, যেই পরামর্শ দিক, সিদ্ধান্ত তো নিজের। কাজেই উনারও আসলে দিবসের দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার ছিল।’
হাসের পাশে বিএনপি
সরকারের পক্ষ থেকে হাসের পদক্ষেপের সমালোচনা হলেও বিএনপি সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্রের দূতকে। তাদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের দূতের গাড়িতে হামলা হয়েছে।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘পিটার হাসের সঙ্গে রাজধানীর শাহীনবাগে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা দুঃখজনক। আওয়ামী দুঃশাসনের কবল থেকে শুধু দেশের জনগণ নয়, বিদেশিরাও নিরাপদ নয়। রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের গাড়িতে হামলা তারই প্রমাণ।
‘আওয়ামী লীগের নির্দেশেই এটি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’
এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন, তারও সমালোচনা করেন এই বিএনপি নেতা।'
তিনি বলেন, ‘এসব বক্তব্যই প্রমাণ করে যে এর সঙ্গে তারা জড়িত। তারাই উসকানি দিয়ে, সেখানে লোক পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাবাহী গাড়িতে আঘাত করিয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে হেনস্তা করা হয়েছে। এর আগেও রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে এই সরকারের নির্দেশে হামলা করা হয়েছে। এই কথা কেউ ভুলে যায়নি।’
‘সংঘাত এড়াতে গণমিছিল স্থগিত’
সংঘাত এড়াতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি স্থগিত করার কথা জানান প্রিন্স।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে ঘোষণা করা ১০ দফা দাবি আদায়ে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিলের ডাক দেয়া হয়।
পরে বিএনপি যাদেরকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলছে, তারাও একই দিনে একই কর্মসূচির ডাক দেয়।
কিন্তু সেদিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। একই দিনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর এই কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি হয়।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির এই কর্মসূচিকে ‘সরাসরি সংঘাতের উসকানি’ বলে সমালোচনা করা হয়। পরে বিএনপি সেই কর্মসূচি স্থগিত করে।
প্রিন্স বলেন, সংঘাত এড়াতে ২৪ ডিসেম্বরের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।‘
সেই মিছিল কবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সিদ্ধান্ত হলে জানিয়ে দেয়া হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:তুরস্ক ও সীমান্তবর্তী দেশ সিরিয়ায় সোমবার ভোররাতের ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার নাগরিকদের মৃত্যুতে আগামী ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ০১ (এক) দিনের শোক পালন করা হবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এ উপলক্ষে আগামী ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য দেশের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।’
স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এরই মধ্যে প্রায় ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষ।
ভূমিকম্পের ৪৮ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধার করা হচ্ছে। কাহরামানমারাসে মঙ্গলবার ১৪ বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধারের অভিযান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
ওই ঘটনার মধ্য দিয়ে আরও অনেককে জীবিত উদ্ধারের আশা করা হচ্ছিল, তবে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেড়েই চলছে মৃতের সংখ্যা।
আরও পড়ুন:এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসে মেয়েরা এগিয়ে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে বুধবার বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগে দেয়া বক্তব্যে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও এমন পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার পর গত বছর অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা ফল হস্তান্তর করেন।
ফল হস্তান্তর শেষে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বক্তব্য দেন।
দুই মন্ত্রীর পরে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কোনো দেশ উন্নত হতে পারে না। এ কারণে জাতির পিতা শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে শিক্ষার হার বাড়ানোয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার শিক্ষাকে বহুমুখী করেছে। প্রতি জেলায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। তা ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হয়েছে; শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ওই সময় তিনি পরীক্ষার ৫৭ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
পাসের হার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাসের হারে মেয়েদের সংখ্যাটা বেশি। ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, মেয়েরা সুযোগ পেলে অসাধ্য সাধন করতে পারে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোয়ন চূড়ান্ত করতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা থেকে তাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সরকারি দলের সভা কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদীয় দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানাান।
সভায় ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। এরপর দলের সব সংসদ সদস্য এই প্রস্তাব সমর্থন করেন।
সবমিলে দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সেক্ষেত্রে তারিখটি ১৯ ফেব্রুয়ারি হতে পারে। কারণ ওইদিন রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের কয়েক এমপি জানান, বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নের প্রসঙ্গটি তোলেন। এ বিষয়ে তিনি এমপিদের মতামত চাইলে শুরুতে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের সভায় বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে সে দায়িত্ব আমরা সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে আমাদের সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিতে চাই। তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন প্রয়োজন হলে আমরা সবাই তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব।’
উপস্থিত এমপিরা সবাই সমস্বরে তার বক্তব্য সমর্থন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন বেশ কঠিন হবে। ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ নেই। এই নির্বাচনে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হবে। নানা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হবে। এসব বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের যেসব উন্নয়ন আছে সেসব নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানোর নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রসঙ্গ, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। পরদিন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে ভোট নেয়া হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি।
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন। তবে একাধিক প্রার্থী না থাকলে ১৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন।
অবশ্য একাধিক প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আর আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী দেয়ার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে নওগাঁ জেলায় হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।
এদিকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ’ বিল পাসের খবরে আনন্দে ভাসছে নওগাঁ। এমন বড় উপহার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
সংসদ অধিবেশনে বিলটির উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। পরে বিলটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয় সংসদীয় কমিটি।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষত বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকারের কোনো পদে প্রার্থী হতে চাইলে ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন।
আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ-১৯৭৩ এর বিধানাবলি পরিপালন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তিনি নির্ধারিত শর্তে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে চার বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ করবেন। নিয়োগ বাতিলের ক্ষমতাও তাঁর হাতে থাকবে।
নওগাঁয় আনন্দ মিছিল
জাতীয় সংসদে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ’ বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার খবরে আনন্দে ভাসছে নওগাঁ। এমন বড় উপহার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের হয়েছে। তাদের এই খুশির স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলার নিয়ামতপুর, সাপাহার, মহাদেবপুর, বদলগাছী ও পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
পাবলিক এই বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে নওগাঁবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নওগাঁ কিংবা উত্তারাঞ্চল নয়, পুরো দেশের জন্যই শিক্ষার নতুন দার উন্মোচন করবে। সরকারি সফরে জাপানে থাকায় মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমকে এই অভিব্যক্তি জানান তিনি।
নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার বলেন, এটি নওগাঁবাসীর জন্য আশীর্বাদ।
সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। আমার পিতা প্রয়াত নেতা আব্দুল জলিলেরও স্বপ্ন ছিলো এমন একটি বিদ্যাপিঠ প্রতিষ্ঠার। দীর্ঘদিন পর হলেও এমন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর উদ্ধার কাজের জন্য একটি দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। ১০ সদস্যের এই উদ্ধারকারী দলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন করে সদস্য থাকবেন। একইসঙ্গে জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে আরেকটি মেডিক্যাল টিম যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
দলে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্য থাকছেন
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে পাঠানো সম্মিলিত সাহায্যকারী দলের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে উদ্ধারকারী দলের সদস্য হিসেবে যারা যাচ্ছেন তারা ইন্টারন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অ্যাডভাইজারি গ্রুপ-এর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিধ্বস্ত ভবনে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ পরিচালনা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য এটি ফায়ার সার্ভিসের প্রথম বিদেশ গমন। বর্তমান সরকারের সময়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির এটি একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য একটি অভাবনীয় স্বীকৃতি। আমি বিশ্বাস করি, ফায়ার সার্ভিসের সব সদস্য নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দেবেন।’
ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান এক বার্তায় জানান, বাংলাদেশ সরকার তুরস্ককে এই দুর্যোগে সহায়তা দিতে চেয়েছে। তারা আজ অথবা আগামীকাল উদ্ধারকারী দল পাঠাতে পারে।
সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দুই দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সংখ্যাটি আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পরপরই বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা তুরস্ক ও সিরিয়ায় সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কাছে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
সূত্র বলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকেই তুরস্ককে উদ্ধারকারী দল পাঠানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়। তুরস্ক দ্রুত এ বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা জানায়।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম উপ-প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা নূর এলাহি মিনা।
মঙ্গলবার তাকে স্ববেতনে প্রেষণে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নূর এলাহি মিনা বাংলাদেশ বেতারে উপপরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে প্রথম সচিব (প্রেস) হিসেবে সাড়ে ছয় বছর দায়িত্ব পালন করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে মিনা প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করেন। প্রথম দফায় ২০১০ থেকে ২০১৪ এবং ২০১৪ থেকে ২০১৬ মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি প্রায় সাড়ে ছয় বছর এ দায়িত্ব পালন করেন। তার এ দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করায় সরকার তাকে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে নিয়োগ দেয়।
সেখানে দায়িত্ব পালন শেষে প্রায় ১৫ দিন আগে তিনি দেশে ফিরে তার মূল কর্মস্থল বাংলাদেশ বেতারে যোগ দেন। এরপর তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপ-প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশনের দেখানো পথে হাঁটছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে নির্বাচনী এলাকাগুলো ছিল, তার খসড়া প্রকাশ করবে সাংবিধানিক এ সংস্থা। পাশাপাশি ইতোমধ্যেই স্বপ্রণোদিতভাবে ২৫টি আবেদন এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রাপ্ত আবেদন নিয়ে পরে সংসদীয় আসন চূড়ান্ত করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ১৪তম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব ইসি জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এদিন মাত্র পৌনে এক ঘণ্টায় নিজেদের কমিশন বৈঠক শেষ করে বর্তমান কমিশন।
আইন অনুযায়ী, প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগেই সংসদীয় আসনের সীমান পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় সেনা সমর্থিত শাসনব্যবস্থায় শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন নবম সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ সংসদীয় আসনে পরিবর্তন আনে।
তার পরবর্তী কাজী রকিবউদ্দিন কমিশন ৫৩ সংসদীয় আসনে পরিবর্তন আনে। আর বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশন পরিবর্তন আনে মাত্র ২৫ সংসদীয় আসনে।
প্রশাসনিক অখণ্ডতা বজায় রাখলে দ্বাদশ সংসদীয় আসনে প্রায় ৪৫টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন আসতে পারে।
ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান কমিশনের ১৪তম সভায় মূল আলোচ্যবিষয় ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকা বিভক্তিকরণ। কীভাবে এটি করা হবে সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত একটি সভা ছিল। এ সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অন্য সময়ে যেভাবে এলাকার বিভক্তিকরণ হয়। ওই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
কমিশন সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে নির্বাচনী এলাকাগুলো ছিল, সে এলাকার খসড়া প্রকাশ করা হবে। ওই বিভক্তিতে বিভিন্ন আপত্তিতে যে সমস্ত আপত্তি উত্থাপিত হবে। ইতোমধ্যেই ২৫টি আপত্তি এসেছে। ওই নির্দিষ্ট সময়ে যেসব আপত্তি, সেগুলো নিয়ে শুনানি করে বিধি- বিধানের আলোকে বিভক্তি এলাকা ঘোষণা করা হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচন ২৫টি সংসদীয় এলাকার পরিবর্তন হয়েছিল, এবার কত আসনের পরিবর্তন হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আমরা খসড়াটা চূড়ান্ত করবো আগেরটা। পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে আপত্তি আসবে সেই আপত্তি আর সুমোটো (স্বপ্রণোদিত আবেদন) যে আবেদন করেছেন সেগুলো শুনানিঅন্তে বলতে পারবো কয়টায় কি হয়েছে।
দ্বাদশ নির্বাচনের আগে যেভাবে করা হয়েছে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এখন যেটা চূড়ান্ত আছে একাদশের সেটা দিয়ে আমরা খসড়া প্রকাশ করে দেব। নির্দিষ্ট সময় থাকবে এত দিনের মধ্যে যদি আপত্তি থাকে সেই আপত্তি তারা দাখিল করবে। এছাড়া সুমটো অনেকগুলো আবেদন পেয়েছি, প্রায় ২৫টি। অন্যান্য নির্দিষ্ট সময়ে যে আবেদন হবে সেই আবেদন চূড়ান্ত হলেই বোঝা যাবে কয়টা চূড়ান্ত হচ্ছে, কয়টা হচ্ছে না।
আগামী সপ্তাহের মধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদের খসড়া প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাস্তবতা ও আইনের বিষয়টি তাই। অর্থাৎ আমাদের তো জানাতে হবে, তাদের কোনো আপত্তি থাকলে জানাবে। সরকারের বিধিমালা আইন আছে। প্রথম হচ্ছে ভৌগলিক অখণ্ডতা। তারপর আঞ্চলিক অভিবেজ্যতা। তারপর প্রশাসনিক এলাকা। তারপর জনসংখ্যার ঘনত্ব, ওগুলো বিবেচনায় নিয়ে যদি প্রয়োজন হয় সংশোধন, তাহলে পরিবর্তন হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য