× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BNP also invited the companions of Jugpat to Golap Bagh
google_news print-icon

যুগপতের সঙ্গীদেরও গোলাপবাগে ডাকল বিএনপি

যুগপতের-সঙ্গীদেরও-গোলাপবাগে-ডাকল-বিএনপি
নানা ঘটনাপ্রবাহের পর শনিবার রাজধানীতে বিএনপির জনসভাস্থল গোলাপবাগ চূড়ান্ত হওয়ার পর বিকেল থেকেই নেতা-কর্মীরা ভিড় করতে থাকেন। রাত হতে না হতেই জনসভাস্থলের অনেকটাই পূর্ণ হয়ে যায়। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
‘আমি আপনাদের মাধ্যমে সকল নেতাকর্মী, সকল পর্যায়ের জনগণ ও আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে যুগপৎ আন্দোলনে যে সব দল, ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আগামীকাল গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ আমরা সকাল ১১ টা থেকে শুরু করব, আমরা আমাদের সকল নেতাকর্মী, সমর্থক, এবং অন্যান্য দল যারা ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করবে, তাদের সকলকে এই প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে আহ্বান জানাতে চাই, আপনারা আগামীকাল শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ সফল করার জন্য উপস্থিত হবেন।’

কথার লড়াই, এরপর সংঘাত সহিংসতার পথ মাড়িয়ে রাজধানীতে বিভাগীয় সমাবেশের জায়গা চূড়ান্ত হওয়ার পর বিএনপি সেখান থেকে সরকারকে বিদায়ের ১০ দফা ঘোষণার কথা জানিয়েছে। জোট ভেঙে গিয়ে যাদেরকে নিয়ে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন করতে চাইছে তাদেরকেও সেই সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সেই দলগুলো যেন নিজেরাও আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে, সে অনুরোধও করা হয়েছে।

নয়াপল্টন নাকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, এ নিয়ে বিরোধের মধ্যে বুধবারের সংঘর্ষের দুই দিন পর শুক্রবার বিএনপির প্রস্তাবেই গোলাপবাগ মাঠ তাদেরকে বরাদ্দ দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ। এরপর বিএনপি চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলটির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য।

বিএনপির হয়ে সেখানে দলের বক্তব্য তুলে ধরেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি গোলাপবাগে সমমনা দলগুলোকেও যোগ দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের মাধ্যমে সকল নেতাকর্মী, সকল পর্যায়ের জনগণ ও আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে যুগপৎ আন্দোলনে যে সব দল, ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন।

‘আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আগামীকাল গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ আমরা সকাল ১১ টা থেকে শুরু করব, আমরা আমাদের সকল নেতাকর্মী, সমর্থক, এবং অন্যান্য দল যারা ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করবে, তাদের সকলকে এই প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে আহ্বান জানাতে চাই, আপনারা আগামীকাল শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ সফল করার জন্য উপস্থিত হবেন।’

রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণকেও সমাবেশে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। মোশাররফ বলেন, ‘ঢাকার যারা জনসাধারণ আছে, আমাদের দলের নেতা কর্মী নয়, সেই সকল পর্যায়ের জনসাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই স্বৈরাচরি ও গায়ের জোরের সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে অপচেষ্টা করেছে, তার প্রতিবাদ ও জবাব চাওয়ার জন্য এবং নিজেদের মনের কথা বলার জন্য সমাবেশে উপস্থিত হোন।’

এই সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের নিন্দাও জানানো হয়। অভিযোগ করা হয়, বিএনপি যেন তার সমাবেশকে করতে না পারে, সে জন্যই জনসভাস্থল নিয়ে এত কিছু করা হয়েছে। তবে বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও বিএনপির এই সমাবেশ সফল হবে।

গোলাপবাগ তাদের নিজেদের চাওয়াই ছিল উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, ‘এত গড়িমসি করে এই গোলাপবাগ মাঠ আমাদেরকে দেয়া হয়েছে। এর একটিই উদ্দেশ্য আমরা মনে করি যে, এই ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে যেন সকল জনগণের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে না পারি, সেজন্য শুধুমাত্র আমাদের এই ভেন্যু নিয়ে এত লুকোচুরি....।’

সমাবেশে সরকার বিদায়ের দফা ঘোষণা

১০ ডিসেম্বর সমাবেশে কী হবে- এটা নিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে অভিযোগ করে মোশারফ বলেন, ‘আমাদের দলের মহাসচিব বলেছেন, বারবার বলেছেন যে, জনগণ বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে যে রায় দিয়েছে, যে মতামত ব্যক্ত করেছে...যেই আমাদের এখনকার যে দাবিগুলো, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধ করা, লোডশেডিংকে কন্ট্রোলে আনা, ভবিষ্যতে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন, এসব দাবিগুলোতে কিন্তু আমরা আমাদের সমাবেশগুলো করেছি।

'কালকেও এই দাবি নিয়েই সমাবেশ হবে। যে সমাবেশ থেকে আমরা আগামী দিনের এই সরকারের বিদায়ের জন্য কতগুলো চার্টার্ড ডিমান্ড বা দফা ঘোষণা করব।’

যুগপতের সঙ্গীদেরও গোলাপবাগে ডাকল বিএনপি
বিভাগীয় সমাবেশের আগের দিন রাজধানীর গোলাপবাগে জমায়েত হওয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাতে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতারা। ছবি: নিউজবাংলা

যাদেরকে সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তারাও যেন বিএনপির এই দফার পক্ষে মাঠে নামে, সেই আহ্বানও জানান মোশাররফ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি সেই, যুগপৎভাবেই আমাদের এই যে ১০ দফা প্রণয়ন করেছি, সেটাকে ঘোষণা করবেন এবং যার যার অবস্থান থেকে ভবিষ্যতে যুগপৎভাবে এই দফাগুলো আদায়ের জন্য আমাদের আন্দোলনকে শানিত করার জন্য যার যার অবস্থান থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন এবং এই দফাগুলোর সঙ্গে একাত্নতা প্রকাশ করবেন।’

গোলাপবাগে যাওয়া বিএনপির পরাজয় কি না

সংবাদ সম্মেলন শেষে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তারের পর সরকারের কথাতে বিএনপি যে গোলাপবাগে সমাবেশ করছে, সেটি দলটির পরাজয় কি না।

প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই উপস্থিত নেতাকর্মীরা ‘না’ ‘না’ বলতে থাকেন একসঙ্গে।

সেই সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তারা নানা সময় বলে দিয়েছেন যে খোলা জায়গায়ই সমাবেশ করতে হবে, সড়কে নয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের কথাতেই সমাবেশ করছে। আর প্রধান অতিথি ও প্রধান উপদেষ্টাকে ছাড়া এই সমাবেশ..সবকিছু মিলিয়ে নেতাকর্মীরা কীভাবে দেখছেন। বিএনপি কীভাবে এটি সফল করবেন।

জবাবে মোশারফ বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার এই স্থানটি আমাদের দেয়নি। এটা আমাদেরই প্রস্তাব। আমরা কালকে রাতে তা জানিয়েছি এবং মির্জা আব্বাস সাহেব নিজেই এই প্রস্তাব দিয়ে গেছেন পুলিশ কমিশনারকে। আর সেই প্রস্তাব নিয়েই আজকে আমাদের দুজন প্রতিনিধি এই প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিল। তাদের সামনেই পুলিশ কর্মকর্তা এই সম্মতি দিয়েছেন।

যুগপতের সঙ্গীদেরও গোলাপবাগে ডাকল বিএনপি
বিএনপি রাজধানীতে তাদের বিভাগীয় সমাবেশকে করতে চেয়েছিল নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে। তবে পুলিশ অনুমতি দেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তবু নয়াপল্টনে জড়ো হওয়ার ঘোষণা আসে। এ নিয়ে বুধবার হয় সংঘর্ষ। পরে অনেকটা নাটকীয়তার সঙ্গে বিএনপির জনসভাস্থল চূড়ান্ত হয়।

'আমরা চিঠিতে তাদের বলেছি যে, আমরা কমলাপুর স্টেডিয়ামে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আপনারা সেটিকে আমাদের সমাবেশের জন্য উপযুক্ত মনে করছেন না, সেক্ষেত্রে গোলাপবাগ মাঠে আমরা সমাবেশ করতে চাই। সেখানে মাঠ, মাইক ও সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

‘দ্বিতীয়ত এই যে আপনারা প্রশ্ন করেছেন যে মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা গ্রেপ্তারে পর তাদের অনুপস্থিতিতে সমাবেশ করছি...। আমি বলব, এই সমাবেশ এখন আর দলীয় কোনো সমাবেশ না, এটা হচ্ছে জনগণের সমাবেশ। তাই আমরা কেউ থাকলাম না থাকলাম আমরা মনে করি এটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ নয়, এই সমাবেশটিই গুরুত্বপূর্ণ।

‘আর সরকার এসব করছেই আমাদের সমাবেশ যেন না করি, তাই আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞ এই সমাবেশ জনগণের সমাবেশ জনগণই করবে।’

এ সময় পাশ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সমাবেশে উপস্থিতি যাতে কম হয় সেজন্য সরকার ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আর একটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজ করেছে তারা। সেটি হলো, আলোচনার কথা বলে তাদের (মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস) নিয়ে গিয়ে পরবর্তীতে আগের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। আজকে এই সারিতে আমাদের যাদেরকে দেখছেন, কালকে সমাবেশের মঞ্চে গেলে আপনারাও হতাশ হতে পারেন। অনুরূপ কাণ্ড সরকার আমাদের সঙ্গে করতে পারে এই আশঙ্কাও আছে। তারপরও জনগণের জনসভা তারাই সফল করবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, আবদুল মইন খান, স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নয়াপল্টনে নামাজ শেষে ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান, ‘জামায়াত’ বলে পুলিশের ধাওয়া
বিএনপির সমাবেশের ঠিকানা অবশেষে গোলাপবাগ
বন্ধুত্বটা নষ্ট করবেন না: যুক্তরাষ্ট্রকে কাদের
নয়াপল্টন থেকে ফেসবুক লাইভ করে আটক
বিএনপির ২৩ নেতা রিমান্ডে, ৪৪৫ জন কারাগারে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The Dengue Exam Request of Fever If the Department of Health

জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

জ্বর হওয়ার সাথে সাথে সবাইকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘সকল জ্বরের রোগীকে জ্বর হওয়ার সাথে সাথে নিকটস্থ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো এবং ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

মঈনুল আহসান বলেন, এক দিনে ডেঙ্গু রোগে ৯ জনের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। পর্যালোচনায় দেখা যায় ৯ জনের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তির দিনই মৃত্যুবরণ করেছেন।

মূলত হাসপাতালে আসতে দেরি করার কারণে ডেঙ্গু রোগ জটিল আকার ধারণ করেছিল বিধায় তাদের চিকিৎসা দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ছিল না। বাকি ২ জনের ১ জনও ভর্তির পরদিনই মৃত্যুবরণ করেছেন। দেরিতে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে উপস্থিত হওয়ার কারণে জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়ছে।

ডেঙ্গু চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ অত্যন্ত সতর্ক ও তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট, স্যালাইন এবং ওষুধ মজুত আছে।

তবে মৃত্যু কমানোর জন্য একইসাথে দ্রুত ডেঙ্গু শনাক্তকরণ, গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসাদান এবং মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The secretariat begins with the prohibition of plastic once used Environment Advisor

সচিবালয়কে দিয়েই একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধের যাত্রা শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা

সচিবালয়কে দিয়েই একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধের যাত্রা শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারি অফিসগুলোকে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক থেকে সরিয়ে আনতে সচিবালয়কে দিয়েই যাত্রা শুরু করা হয়েছে।

নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সচিবালয় সম্পূর্ণরূপে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পানির বোতলসহ একবার ব্যবহার্য অন্যান্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ডিসেম্বরের মধ্যে বন্ধ করা হবে। দেশে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আইনত নিষিদ্ধ না হলেও, সরকার এটিকে নিরুৎসাহিত করছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দূতাবাস ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসকে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করেছে।

এর আগে, সকালে সচিবালয়ের ২ ও ৫ নম্বর প্রবেশপথে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বাস্তবায়ন কার্যক্রম মনিটরিং করেন।

এ সময় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ ও ফাইল সংগ্রহ করে তাদের কাপড়ের বিকল্পে ব্যাগ সরবরাহ করা হয়।

সচিবালয়ের ভেতরে সচেতনতামূলক পোস্টার, বোর্ড ও স্ট্যান্ডি পরিদর্শনের পাশাপাশি পর্যটন করপোরেশনের ক্যাফেটেরিয়া ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্যান্টিনও ঘুরে দেখেন।

এছাড়া সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বহন রোধে তল্লাশি চালান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Buddhist religious leaders exchanged greetings with the main adviser on the occasion of Prabarna Purnima

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ সাক্ষাত করেন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধিদল।

আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা প্রবারণা পূর্ণিমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করে প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বিহার পরিদর্শনেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

এসময় রাজধানীর উত্তরায় বৌদ্ধদের শেষকৃত্যের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।

বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিষয়টি অবহিত করার পর ১০ দিনের মধ্যে শ্মশানের জন্য স্থান বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে। এটা ইতিহাসে অনন্য।

ঢাকায় বৌদ্ধধর্মের কেউ মারা গেলে শেষকৃত্যের জন্য বহু পথ পারি দিয়ে চট্টগ্রামে যেতে হতো। এখন মৃত্যুর পরে একটা জায়গা হলো।’

বৈঠকে এ বছর কঠিন চীবর দান উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।

পাশাপাশি, তীর্থযাত্রার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনা, বৌদ্ধ পন্ডিত, ধর্মগুরু ও দার্শনিক অতীশ দীপঙ্করের নামে সরকারিভাবে একটি জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের ভিক্ষু কল্যাণ জ্যোতি, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয় দত্ত বড়ুয়া এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, মং হলা চিং, সুশীল চন্দ্র বড়ুয়া, অধ্যাপক ববি বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া ও রাজীব কান্তি বড়ুয়া।

পাশাপাশি ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The fascist allies are behind the plot to destroy communal harmony Home Advisor

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। ছবি : বাসস

ধর্ষণের অভিযোগ তুলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করা এবং শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্তের পেছনে ফ্যাসিস্ট দোসরদের মদদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীরা কয়েকটি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগিয়ে ধর্মীয় বিভেদ, সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও সহিংসতা সৃষ্টির পায়তারা করেছিল। এ ঘটনায় কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীদেরও ইন্ধন ছিল।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী একটি দেশে দূর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির সময় আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে যেভাবে উপস্থাপনের সংবাদ পাওয়া গেছে, অসুরের মুখের দাড়ি লাগিয়ে দেওয়ার কাজটির মধ্যে তারই যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা, গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের কড়া নজরদারি এবং দূর্গাপূজা উদযাপনের জন্য গঠিত পূজমণ্ডপ কমিটির সহযোগিতাসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় কুচক্রীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। গতবারের ন্যায় এবারও সারাদেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজায় সারাদেশে ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে এত তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে, মেডিকেল রিপোর্টে সে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ পাহাড়ের সাধারণ জনগণের সহযোগিতায় এ ঘটনা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে মোকাবিলা করা সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যে পার্বত্য এলাকায় অবরোধ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও আইজিপি বাহারুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Directions of the National Board of Revenue to strengthen intelligence activities at the field level

মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা

মাঠ পর্যায়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা

ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে অধিকতর গতিময় করে কর ফাঁকি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মাঠ পর্যায়ের কর অঞ্চলসমূহের Intelligence & Investigation Cell (IIC) এর কার্যক্রম জোরদার করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর অডিট, ইন্টেলিগেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন) এর দপ্তর হতে জারীকৃত উক্ত নির্দেশনায় প্রতিটি কর অঞ্চল কর্তৃক Intelligence & Investigation টিম গঠন, টিমসমূহের কার্য পদ্ধতি, টিমের সুপারিশ প্রণয়নের ভিত্তি এবং ফাঁকি দেয়া কর পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।

বিভিন্ন প্রকারের গোয়েন্দা তথ্য, কর ফাঁকির অভিযোগ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য, আয়কর নথি ও বিভিন্ন রেজিস্টারে ঘষা-মাজা বা কাটা-ছেঁড়া, অস্বাভাবিক পরিমান করমুক্ত আয় প্রদর্শন, করযোগ্য আয় এবং পরিশোধিত করের তুলনায় সম্পদ বিবরণীতে অস্বাভাবিক পরিমান নীট সম্পদ প্রদর্শন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট টিম অনুসন্ধান ও তথ্য বিশ্লেষণ কার্যক্রম শুরু করবে।

অনুসন্ধান পর্যায়ে কর ফাঁকির সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট টিম রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে Intelligence & Investigation কমিটির অনুমোদনের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করবে। রাজস্ব ফাঁকির সুস্পষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকলে সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলের Intelligence & Investigation কমিটি রাজস্ব পুনরুদ্ধারের আইনি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুমোদন প্রদান করবে।

প্রতিটি কর অঞ্চলকে মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত ছকে তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করে Intelligence & Investigation কার্যক্রম হতে সৃষ্ট অতিরিক্ত দাবি এবং অতিরিক্ত দাবী হতে কর আদায়ের বিস্তারিত তথ্য পরবর্তি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

Intelligence & Investigation Cell এর কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে, কর ফাঁকি দেয়ার প্রবনতা হ্রাস পাবে এবং সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ কর সংস্কৃতির বিকাশ লাভ করবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।

-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh has strengthened anti human trafficking action US TIP Report

বাংলাদেশ মানবপাচার-বিরোধী পদক্ষেপ জোরদার করেছে : মার্কিন টিআইপি রিপোর্ট

বাংলাদেশ মানবপাচার-বিরোধী পদক্ষেপ জোরদার করেছে : মার্কিন টিআইপি রিপোর্ট

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৫ সালের মানবপাচার (টিআইপি) বিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্তরে স্থান দেওয়া হয়েছে। দেশের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন এবং বিশ্বব্যাপী অভিবাসনের চাপ সংশ্লিষ্ট চলমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মানবপাচার মোকাবিলায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য এবং টেকসই অগ্রগতির স্বীকৃতি এটি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার নির্মূলের সর্বনিম্ন মান সম্পূর্ণরূপে পূরণ না করলেও আগের তুলনায় এখন উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চলছে। বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের সময়ের তুলনায় সামগ্রিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা প্রদর্শন করেছে। সে কারণে বাংলাদেশের অবস্থান এই তালিকায় দ্বিতীয় স্তরে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ মানবপাচার রোধে ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তঃসংস্থা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে।

ভুক্তভোগী শনাক্তকরণ এবং সুরক্ষা পরিষেবা বৃদ্ধি, সম্মুখ সারির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ‘ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম’ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

সরকার ১ হাজার ৪৬২ জন পাচারের শিকারকে শনাক্ত করেছে। শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে ১৪৪ জন যৌনকর্মী হিসেবে পাচারের শিকার হয়েছে এবং ২৮৫ জনকে জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৩৩ জন অন্যান্য ধরনের পাচারের শিকার হয়েছে। পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে একই সময়ে ১ হাজার ২১০ জন ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের শনাক্ত করার পর সরকার তাদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সমাজকল্যাণ, প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় পরিচালিত কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে এসব ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সহায়তা ও আশ্রয়ের সুযোগও প্রদান করা হচ্ছে।

সরকার সুশীল সমাজের সঙ্গে সমন্বয় করে ভুক্তভোগীদের সেবার ব্যাপারে পুলিশ, অভিবাসন কর্মকর্তা ও শ্রম পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক মানবপাচার-বিরোধী মানদণ্ডের সঙ্গে জাতীয় চর্চাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার মূল পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।


আন্তর্জাতিক মানবপাচার নেটওয়ার্ক তদন্তে ইন্টারপোল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বৈশ্বিক অংশীজনদের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান সহযোগিতার কথাও স্বীকার করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

পাচারবিরোধী পক্ষগুলোকে শক্তিশালী করার এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)-এর মধ্যে সমন্বয় সুদৃঢ় করার জন্য সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরা হয়েছে এতে।

সরকার জাতীয় মানবপাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শক্তভাবে পাচার প্রতিরোধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাচার প্রতিরোধ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের জন্য এ বছর ৬২১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২৫ বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে। আগের বছরের তুলনায় এবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের পাচার-বিরোধী কমিটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মুদ্রিত পত্রিকা, রেডিও এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।

এভাবে প্রচারের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন, শ্রম অধিকার এবং প্রতারণামূলক নিয়োগের ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ১০৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে এবং বিদেশগামী কর্মীদের জন্য প্রস্থান-পূর্ব প্রশিক্ষণ সেশন চালু করেছে। এর মধ্যে নারী গৃহকর্মীদের জন্য ৩০ দিনের একটি বিশেষায়িত কোর্সও রয়েছে।

বিদেশে আমাদের দেশ থেকে যাওয়া শ্রমিকদের শোষণের ঝুঁকি কমানোই এসব পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য।

সরকার মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো প্রধান গন্তব্যস্থলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শ্রম চুক্তি জোরদার করেছে। এছাড়া, অভিবাসী শ্রমিকদের অতিরিক্ত ফি থেকে বাঁচানোর জন্য নিয়োগকর্তা প্রদত্ত নিয়োগ মডেল প্রতিষ্ঠা করেছে।

অভিবাসীদের ভবিষ্যত বিবেচনায় জাতীয় একটি নীতিও চালু করা হয়েছে। প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য গৃহীত একটি সমন্বিত পরিকল্পনা এটি। পাচার থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরাও এর অন্তর্ভুক্ত, যেন প্রত্যাবর্তনের পর তারা জীবিকার সুযোগ পায়।

ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যাবাসন এবং আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা সহজ করার জন্য ২০১৫ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ অব্যাহত রেখেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে পাচারবিরোধী সমন্বয় জোরদার করার জন্য ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছে।

প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, দেশের চলমান সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা সব ধরনের মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্তরে স্থান পাওয়ার বিষয়টি আইনের শাসন জোরদার, অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা এবং পাচারের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতি দেশটির ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতিকে নির্দেশ করে। সরকার মানবপাচার রোধে কাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। সূত্র : বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Buddhas education can play an important role in establishing world peace chief adviser

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড, মুহাম্মদ ইউনূস । ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বে বিরাজমান অস্থিতিশীল অবস্থা দূরীকরণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আগামীকাল ৫ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। তাঁর আদর্শ মানবিকতা ও ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। তাঁর অহিংস বাণী ও জীবপ্রেম আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য মিশে আছে। প্রাচীনকালে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চলটি এশিয়ার বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, যার প্রমাণ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার দেখা যায়।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল ধরে এদেশে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। জাতি হিসেবে আমাদের সকল অর্জন ও প্রাপ্তিতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অবদান রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতা আরো দৃঢ় ও অটুট হবে এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ানুগ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গঠনের অভিযাত্রা মসৃণ ও সাফল্যমন্ডিত হবে-এটাই আমার প্রত্যাশা।’

প্রধান উপদেষ্টা ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান’ উৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন। সূত্র : বাসস

মন্তব্য

p
উপরে