বুধবারের সংঘর্ষের পরও বিএনপি নয়াপল্টনেই তার বিভাগীয় সমাবেশ করতে চায়। সরকারের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য বিকল্প না এলে সেদিন সকালে জনগণ নয়াপল্টনেই যাবে বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি বাধা আসে, তাহলে জনগণই ঠিক করবে তারা কী করবে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের জবাবে বারবার তিনি এ কথাটিই বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, গত ১২ অক্টোবর থেকে বিএনপি ৯টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছে, কোনো সমাবেশে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। এখানেও হওয়ার কারণ ছিল না। যা হয়েছে, তার জন্য সরকারই দায়ী সরকারই।
এই সমাবেশের দিন দাবি আদায়ে রাজপথে অবস্থান নেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও সাফ জানিয়ে দেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন, এ বিষয়ে যে প্রচার চলছে, সেটি আওয়ামী লীগের অপপ্রচার।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকে দেয়াল আর নানা স্থাপনার কারণে সেটি আর বড় সমাবেশ করার উপযোগী নয় বলেও মনে করেন বিএনপি নেতা।
এই সমাবেশস্থল হিসেবে বিএনপির প্রথম চাওয়া এখনও নয়াপল্টনই বলে জানান ফখরুল। বলেন, ‘আমরা তো বলছিই, নয়াপল্টনকে সমাবেশের জন্য জায়গা করে দেন। নয় তো এর দায় সম্পূর্ণভাবে সরকারের।’
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরাকরের দবিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি বিভাগীয় শহরগুলোতে ধারাবাহিক যে সমাবেশ করছে, তার শেষ কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীর এই জমায়েতের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আগের সমাবেশগুলো নির্বিঘ্নে হলেও রাজধানীর সমাবেশস্থল নিয়েই তৈরি হয়েছে বিরোধ। বিএনপি সেদিন জমায়েত হতে চায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, যেখানে যেতে আপত্তি আছে দলটির।
নয়াপল্টন না পেলে আরামবাগে অনুমতি দিতে বিএনপির মৌখিক অনুরোধ মৌখিকভাবেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে, গ্রহণযোগ্য বিকল্প স্থানের প্রস্তাব দেয়া না হলে সমাবেশ হবে নয়াপল্টনেই।
সেদিন দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি যেখানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে, সেখানেই হবে সমাবেশ। গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব করতে চাইলে সেটা করতে করতে হবে আওয়ামী লীগ ও সরকারকেই। তিনি এ-ও বলেন, ‘পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, বিএনপির কাজ বিএনপি।’
তার এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। নয়াপল্টনের সামনের সড়কে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। প্রাণ হারায় একজন, পুলিশ গ্রেপ্তার করে সাড়ে চার শ ব্যক্তিকে। দলীয় কার্যালয়ে চালানো হয় অভিযান, জব্দ করা হয় চাল, ডাল, তেল, মসলা এবং রান্না করা কয়েক ডেকচি খিচুড়ি।
সংঘর্ষের পর মির্জা ফখরুল নয়াপল্টনে গিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে বসে থাকেন সাড়ে তিন ঘণ্টা। পরদিন সকালে তিনি সেখানেও যেতে পারেননি। তাকে বিজয়নগরেই আটকে দেয়া হয়।
আগের রাতেই সংবাদ সম্মেলনে আসার কথা জানানো হয়। সেখানে বিএনপি আসলে শনিবার কী করবে, সে বিষয়ে বক্তব্য আসবে বলে গণমাধ্যমের দৃষ্টি ছিল। স্থানীয় নানা গণমাধ্যমের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরাও এতে উপস্থিত হয়ে নানা প্রশ্ন রাখেন।
নয়াপল্টন নিয়ে কী কথা
৩৮ মিনিটের এই সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ফখরুল বুধবারের সংঘর্ষের বর্ণনা দেন। এরপর নেন প্রশ্ন। একের পর এক প্রশ্ন আসলেও মূল জিজ্ঞাসা একটিই ছিল। সেটি হলো, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশটি আসলে কোথায় হবে।
-১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের ব্যাপারে পূর্বের অবস্থানে অটল আছেন কি না এবং নয়াপল্টনেই করবেন কি না- এমন প্রশ্ন ছিল এক গণমাধ্যমকর্মীর।
জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এক কথাই বলেছি আমরা। আমরা নয়াপল্টনের কথাই বলেছি। সরকারের কাছে আমরা এটাও বলেছি, আপনাদের যদি কোনো বিকল্প প্রস্তাব থাকে এবং সেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে আমরা সেটা বিবেচনা করব।’
-সেটা যদি মতিঝিল বা আরামবাগ হলেও করবেন?
ফখরুল বলেন, ‘আমি তো সে স্থান বলিনি আপনাকে। যেখানেই…
-আলোচনায় আসছে.. বলতে থাকেন সেই সাংবাদিক।
প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই ফখরুল বলেন, ‘আলোচনার মধ্যে আসতে পারে। আরামবাগে যাওয়া যেতে পারে।’
অন্য এক প্রশ্নে বিএনপি নেতা বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমরা সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করে আমরা গণসমাবেশ করব। এই গণসমাবেশ যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তার সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করার দায়িত্ব সরকারের। অন্যথায় এই দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।’
-নয়াপল্টন তো অবরুদ্ধ, অলিগলি বন্ধ। তাহলে সমাবেশ কোথায় হবে?
জবাব আসে, ‘আমরা সে জন্য দাবি করেছি যে অবিলম্বে সব বাধা দূর করতে হবে। সেখানে সমাবেশের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নইলে সব দায়িত্ব সরকারের।’
-বুধবারের ঘটনার পর এখন যে পরিস্থিতি, তাতে নয়াপলটনে বা আশেপাশে সমাবেশ কি করতে পারবেন?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এক শ ভাগ। কারণ, এটা আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি।’
-যদি সরকার অ্যালাউ না করে, তাহলে কী করবেন?
ফখরুল বলেন, ‘জনগণই তখন তার মতো করে ব্যবস্থা নেবে। আমরা স্পটে যাব। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে তারা কী করবে।’
-আপনারা কী করবেন পার্টি হিসেবে?
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘সব দায়িত্ব সরকারের। এটা বিরোধী দল ও জনগণের অধিকারের বিষয়।’
তখন আরেকজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, ‘পুলিশ তো বলছে রাস্তায় দাঁড়াতে দেবে না। কীভাবে প্রোগ্রাম করবেন? আপনারা বলছেন, কোনো সংঘাত চান না, সহিংসতা চান না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে চান। সরকার বা পুলিশের অবস্থান তো তারা স্পষ্ট করেছে। আপনাদের অবস্থান তাহলে কী?’
জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা তো স্পষ্ট করেছি। আমরা আমাদের যে সমাবশ, সেটা আমরা অনুষ্ঠান করব। সে জন্য আমরা চেয়ছিলাম নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে। এখন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে এই সমাবেশটাকে শান্তিপূরণভাবে পালন করতে দেবে। আমরা অবশ্যই আমাদের সমাবেশস্থলে যাব। আর জনগণ কী করবে সেটা তারা ঠিক করবে।’
শেষে অন্য একজন গণমাধ্যম কর্মী জানতে চান, ‘গতকালকের ঘটনা এবং আজকে পল্টনের যে অবস্থা, সব মিলিয়ে যদি বলতে চাই। ১০ তারিখ আপনারা যাবেন। যদি সরকার ব্যবস্থা না করে, তাতে করে কী সংঘাত তৈরি হতে পারে এবং পরে কী হবে?
ফখরুল বলেন, ‘২২ আগস্টের আগে আপনারা বলেছেন, বিএনপি কিছুই পারে না, দাঁড়াতে পারে না। ২২ আগস্টের পর ৯টি সমাবেশ হয়েছে। আপনারা নিজেরাই দেখেছেন জনগণ কীভাবে উঠে দাঁড়াছে। আমি নিজেই বিশ্বোস করি, এই দেশ বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। সেই গণতন্ত্রকে লুট করে নিয়ে গেছে। জনগণ ঘুরে দাঁড়চ্ছে। নদী সাঁতরে পার হচ্ছে। ১০০ মাইল সাইকেলে চিড়া মুড়ি গুড় নিয়ে ছুটছে।
‘অপেক্ষা করুন, ঢাকায় আপনারা যা দেখবেন, নিজেরাই দেখবেন।’
এর আগে লিখিত বক্তব্যে ফখরুল জানিয়েছিলেন, বুধবার তাকে এবং তার দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে ফোন করে জনসভাস্থল বরাদ্দের চিঠি দিয়ে যেতে বলেছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
একজন সাংবাদিক প্রশ্নোত্তর পর্বে জানতে চান, কোন সে স্থান।
জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমার সঙ্গে সে বিষয়ে কথা হয়নি। তিনি বলেছেন, তারা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী দলের এক আলোচনায় পাড়ায় মহল্লায় প্রস্তুত থাকার যে কথা বলেছেন, তাতে নতুন করে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কি না, এমন প্রশ্নও ছিল একজন সাংবাদিকের।
জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা তাদের কথা ও ইঙ্গিতে পরিষ্কার হয়ে গেছে তারা পুরোপুরিভাবে এটি সন্ত্রাসী দল। গণতন্ত্রের মূল কথা যে সহনশীলতা ও বিরোধী দলের রাজনীতিকে করতে দেয়া, সেটাতে তারা বিশ্বাস করে না। তারা যে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে দেশ পরিচালনা করছে, সেটাই স্পষ্ট হয়।
‘তারা ১০ ডিসেম্বরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নষ্ট করতে চায়।...সন্ত্রাস ও দর্নীতি আওয়ামী লীগের মজ্জাগত। সন্ত্রাস না করে রাজনীতি করতে পারে না, দুর্নীতি না করলে দেশ চালাতে পারে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান সংবাদ সম্মেলনের একেবারে শেষ দিকে মাইক নিয়ে বলেন, ‘আমদের তো মহাসচিব বলেছেন, ১২ অক্টোব থেকে ৯টি কর্মসূচি করেছি। আওয়ামী লীগও তো এ সময় অনেকগুলো সমাবেশ করেছে, ঢাকার ভেতর করেছে, ঢাকার বাইরে করেছে। তারা যে সমাবেশগুলো করেছে, তার স্থান কে নির্ধারণ করেছে, সেটা কি আওয়ামী লীগ নির্ধারণ করেছ নাকি বিএনপি নির্ধারণ করেছে নাকি পুলিশ নির্ধারণ করেছে। আমাদের সমাবেশের স্থান আমরা নির্ধারণ করব। পুলিশ নির্ধারণ করবে কেন?’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আপত্তি কেন?
এই প্রশ্নে ফখরুল বলেন, ‘সমস্যা অনেকগুলো। সেখানে এখন বড় সমস্যা করার উপযোগীই না, এত বেশি স্থাপনা করা হয়েছে সেখানে।
‘দুই নম্বর, ওখানে চার দিকে দেয়াল ঘেরা। যদি কোনো ধরনের গোলযোগ হয়, স্ট্যাম্পিড (পদদলিত) হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
‘আবার সেখানে আওয়ামী লীগের পরপর মিটিং হওয়াতে সেখানে বিশাল স্টেজের স্ট্রাকচার করা আছে। সেখানেই সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। তার মানে সেখানে চক্রান্তমূলক ঘটনা কিছু একটা আছে। যে কারণে তারা সেখানে জনসভা করতে দিয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব এও জানান, সোহরাওয়ারার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়ার আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা না করায় তারা ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠি দেয়ার পর কোনো আলোচনা না করেই কিন্তু আমাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আগে কিন্তু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ওয়েস্টিন পারনাস হোটেলে আজ থেকে ০৩(তিন) দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। সম্মেলনে সেতু সচিব সেতু বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সেতু সচিব প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করেন সেতু বিভাগের কয়েকটি প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ/ইডিপিএফ (EDCF/EDPF) অর্থানয়ের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের লক্ষ্য কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করা এবং বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্থবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করা। এটি মূলত একটি বিজনেস-টু-বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বিদেশী সরকার, প্রজেক্ট ডেভেলপার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা রয়েছেন।
এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো: বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রজেক্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, নতুন প্রজেক্টে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিতি করা।
এছাড়াও সম্মেলনের বাকী অংশে বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। এই সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের কোন বিকল্প নাই। সরকার দেশের নদ-নদীতে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
উপদেষ্টা আজ সকালে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,নারী কৃষক এবং স্হানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় নদীগুলোতে পলি পরার কারণে নাব্যতা হ্রাস, পানি দূষণ, চায়না জাল ব্যবহার ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে মাছ কারণে দিনদিন মাছের পরিমাণ কমছে। জোরালো অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করতে হবে। অভিযান চলমান রাখতে নদীগুলোতে স্পীড বোটের ব্যবহার করা হবে।
চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তারা সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।
খামারিদের উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যথাযথ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই এই অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, জুলাই যোদ্ধাগণ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের এই ঋণ ভুলবার নয়। এজন্য তিনি সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এরপর উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে নারী কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেন।
সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’
বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।
এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।
এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’
সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’
সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।
কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।
জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।
মন্তব্য