× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Customs one stop service when?
google_news print-icon

কাস্টমসের ওয়ান স্টপ সেবা মিলবে কবে?

কাস্টমসের-ওয়ান-স্টপ-সেবা-মিলবে-কবে?
এনবিআরের প্রধান কার্যালয়। ফাইল ছবি
চলতি বছরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। এনবিআর কর্মকর্তারা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারিসহ নানা কারণে কাজ পিছিয়ে গেছে। এ প্রকল্পের মূল কাজ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি আরও বাড়াতে পাঁচ বছর আগে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মূলত কাস্টমস প্রক্রিয়াকে সহজ করার মাধ্যমে ওয়ান স্টপ বা একই জায়গা থেকে সব সেবা দিতে এ পরিকল্পনা নেয়া হয়।

‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’ নামে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে একই প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত করে সেবা নিশ্চিত করা।

চলতি বছরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারিসহ নানা কারণে কাজ পিছিয়ে গেছে। এ প্রকল্পের মূল কাজ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এখন আমদানি-রপ্তানির জন্য বাণিজ্য সম্পর্কিত পারমিট, সনদ, শুল্কসহ যে কোনো সেবা নিতে যেতে হয় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সিসিআইএফ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কাছে।

ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু হলে একই জায়গা থেকে সব সেবা পাওয়া যাবে। তখন আমদানি-রপ্তানিকারকেদের প্রয়োজনীয় কাজে অন্য সংস্থার কাছে ধরনা দিতে হবে না।

৫৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে আলোচ্য প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১৭ সালে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ ৫০০ কোটি টাকা। বাকি ৮০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের।

বর্তমানে দেশে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ প্রতিষ্ঠান।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলেছেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আমদানি-রপ্তানি করতে যা কিছু প্রয়োজন, তা এক জায়গায় পাওয়া যাবে। এতে ব্যবসার খরচ কমবে।

আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সব সেবাকে একই ছাদের নিচে আনতে ২০১৮ সালে সরকারি-বেসরকারি খাতের ৩৯টি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সাথে সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ স্বাক্ষর করে এনবিআর। এর পর থেকে প্রকল্পটির কাজ তেমন এগোয়নি।

সূত্র বলেছে, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করতে হলে এর জন্য বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করতে হবে। এটা করা হলে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন বা ডিজিটাল সংযোজন স্থাপন করা যাবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এনবিআরের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সফটওয়্যার ডেভেলপ করার জন্য এরই মধ্যে দরপত্র ডাকা হয়েছে। তিনটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ম প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করে একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হবে। এখন মূল্যায়ন চলছে। চূড়ান্ত বাছাইয়ের পর সর্বনিম্ম দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আগামী বছরের মার্চে চুক্তি সই হতে পারে।’

এনবিআর বলেছে, শুল্ক আদায় প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার জন্য ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো একটি আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতি। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বাড়বে। এ পদ্ধতিতে অটোমেশন পদ্ধতির মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত যত রকমের লেনদেন আছে, তা এক জায়গায় হবে।

আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে অ্যাডভান্স রুলিং প্রবর্তনের সুযোগ থাকবে। এর মাধ্যমে আমদানিকারক বা নতুন উদ্যোক্তারা পণ্যের শ্রেণিকরণ বা এইচএস কোড এবং তাদের পণ্য আমদানির উৎস সম্পর্কে আগেই জানতে পারবে। এতে পণ্য আমদানি সহজ হবে।

ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নে বেশি গুরুত্ব দেয়ার জন্য গত অর্থবছরের বাজেটে বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দ্রুত অগ্রগতির চাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে।

এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের সুবিধার্থে শুল্ককে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার বিকল্প নেই।

এতে আরও বলা হয়, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো যথাসময়ে কার্যকর করা গেলে বাংলাদেশ দ্য ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে উন্নতি করবে, বিনিয়োগ সহজতর হবে এবং দেশের অর্থনীতির চাকা আরও ত্বরান্বিত হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

বর্তমানে বিভিন্ন কাস্টমস ও বন্দরগুলোর মাধ্যমে আমদানি পণ্য খালাসে গড়ে আট থেকে দশ দিন এবং রপ্তানি পণ্যের জন্য পাঁচ থেকে ছয় দিনের প্রয়োজন হয়।

এনবিআরের তথ্যমতে, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো পদ্ধতি চালু হলে এ ক্ষেত্রে সময় কমে আসবে অর্ধেকে।

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি সামস মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো পদ্ধতির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। কারণ, এ সিস্টেম চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হবে, পাশপাশি বাড়বে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।’

এনবিআরের সাবেক সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারলে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি ও আমদানি কার্যক্রমের ঝামেলা কমবে। ফলে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।’

তবে তিনি মনে করেন, আমদানির ক্ষেত্রে এখনও পণ্যের শ্রেণিকরণ বা এইচএস কোড নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ছোট-বড়-মাঝারি সব ব্যবসায়ী এতে হয়রানি শিকার হচ্ছেন। তাই, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন করার আগে এইচএস কোডকে সুষম (হারমোনাইজড) করতে হবে। এটা না করলে ন্যাশনাল সিঙ্গেল সিস্টেমের কোনো সুফল পাবে না ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন:
রাজস্ব আয়ে হঠাৎ ছন্দপতন
বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা বাড়তি ভ্যাট আদায়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Democracy must work unitedly to restore Tareq Rahman

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: তারেক রহমান

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: তারেক রহমান

বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে। গণতন্ত্রের সারবত্তা ও এর অন্তর্নিহিত শক্তি সম্পর্কে বিশ্বসম্প্রদায়ের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই দিবসটি পালিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র চর্চার লক্ষ্যে প্রচলিত একটি বিশেষ দিন। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি। সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
তিনি আরো বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন একদলীয় বাকশালের আগ্রাসী থাবা থেকে।
তার কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। আর প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তিই হচ্ছে মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ও সাম্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অগ্রগামী করেছিলেন শহীদ জিয়ার চিন্তা ও দর্শনকে। আর এ জন্য তাকে সহ্য করতে হয়েছে বিভিন্ন সময়ের স্বৈরতন্ত্রের হিংস্র আক্রমণ।
বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকেই বারবার স্বৈরতন্ত্র হানা দিয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা, ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা ইত্যাদি অনাচার করা হয়েছে রাষ্ট্রশক্তিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে। একটি ভীতিকর ও কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছিল ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার স্বপ্নে বিভোর হয়ে। গত দেড় দশক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আত্মপ্রকাশে গণতন্ত্র ছিল অবরুদ্ধ, বন্দি রাখা হয়েছিল সারা জাতিকে। গণতন্ত্রের নীতিমালা প্রচার ও সমুন্নত রাখার যেকোনো প্রচেষ্টাকেই পতিত আওয়ামী সরকার নির্দয়ভাবে প্রতিহত করেছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য, ‘অ্যাচিভিং জেন্ডার ইকুইলিটি অ্যাকশন বাই অ্যাকশন’, অর্থাৎ পদক্ষেপের পর পদক্ষেপ গ্রহণ করে লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে হবে। গণতন্ত্রে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোনো লিঙ্গের মানুষ লিঙ্গ-নির্বিশেষে সবার সমান সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করে। এটি একটি মূল মানবাধিকার। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজে কেউ বঞ্চনার শিকার হলে জোরালো প্রতিবাদের পরিবেশ থাকে, সে কারণে নারী-পুরুষ বা অন্য যেকোনো লিঙ্গের ভেদরেখা তীব্র হতে পারে না এবং ক্রমান্বয়ে সমানাধিকার নিশ্চিত হওয়ার পথে অগ্রসর হয়।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র হলো একটি সর্বজনীন মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক পদ্ধতি, জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসর নির্ধারণে স্বাধীনভাবে প্রকাশিত ইচ্ছা এবং জীবনের সব ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণ অংশগ্রহণের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার এক নজিবিহীন গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসে এক ভয়ংকর স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। এখন তাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ। ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Implementation of 5 percent recommendations of the Reform Commission by December is possible Asif Nazrul

ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কমিশনের ৭০ ভাগ সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব: আসিফ নজরুল

ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কমিশনের ৭০ ভাগ সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব: আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য টিম হিসেবে কাজ করছে। এরই মধ্যে সুপারিশের প্রায় অর্ধেক বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের তাৎক্ষণিক কার্যকর করার মতো প্রায় ৭০ ভাগ সুপারিশ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রথম যে ছয়টি কমিশন গঠিত হয়, তাদের প্রস্তাবিত সুপারিশের মধ্যে থেকে আশু বাস্তবায়নযোগ্যগুলো বাছাই করে ইতোমধ্যেই অর্ধেকের মত বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের ইচ্ছা, ডিসেম্বরের মধ্যেই অন্তত ৭০ শতাংশ সম্পন্ন করে যেতে পারব।

তিনি আরও বলেন, যে সকল সংস্কার প্রস্তাব সংবিধান সংশ্লিষ্ট, সেসব বিষয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন। অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আমরা সংবিধান পরিবর্তন করতে পারি না।

উপদেষ্টা জানান, কিছু প্রস্তাব সংবিধান সংশ্লিষ্ট হিসেবে উপস্থাপিত হলেও বাস্তবে তা তেমন নয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কমিশনের সভাপতির সঙ্গেও আলোচনা করেছি। উদাহরণস্বরূপ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান কে হবেন, তা কেবল কার্যপ্রণালীর বিধি পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব; সংবিধান সংশোধনের দরকার নেই।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, কিছু প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি ছিল, কিছু তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মনে হয়েছে।

আবার কিছু প্রস্তাবে নিয়মিত কার্যক্রমের কথা উল্লেখ রয়েছে, যেমন দুর্নীতি দমন বিষয়ক কৌশলপত্র তৈরি।

আইন উপদেষ্টা জানান, বাকি পাঁচটি কমিশনের কোন সুপারিশগুলো বাস্তবায়নযোগ্য তা নিরূপণে বিদ্যুৎ,
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে কাজ চলছে। কিছু সুপারিশের বাস্তবায়ন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তে অবিচল রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, একবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে আর কোন আইনি সংশোধন আনা যাবে না, কারণ তা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। সে কারণেই প্রয়োজনীয় সব আইনি সংস্কার ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের কথা আমাকে খুব আশাবাদী করেছে। সবাই ঐক্যমত্যের ওপর ভিত্তি করে একটি ভালো সমাধান চায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মানুষের নিয়ত। আমাদের নিয়ত যদি গণভ্যুত্থানের ঐক্য সংরক্ষণ করা, দেশে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার সুযোগ না দেওয়া এবং নিজেদের বিপদমুক্ত রাখা হয়, তাহলে সমাধান কঠিন হবে না, ইনশাআল্লাহ।

‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।

জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় জড়িত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সভাটি পরিচালনা করেন।

সভায় কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া।

বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Coast Guard has arrested 4 deer hunters including about 5 kg of deer meat in Khulna and deer hunting traps

খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার মধ্যরাত ১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন কয়রা কর্তৃক খুলনার কয়রা থানাধীন ছোট অংটিহারা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, ১টি হরিণের মাথা এবং প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়।

পরবর্তীতে জব্দকৃত হরিণের মাংস, মাথা, শিকারের ফাঁদ এবং আটককৃত ব্যক্তির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কয়রার আন্দারমানিক ফরেস্ট অফিসের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Give information to the BGB to prevent the infiltration of illegal weapons

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে তথ্য দেওয়ার আহবান

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে তথ্য দেওয়ার আহবান

সম্প্রতি জানা যায় যে, কিছু অসাধুচক্র দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র অনুপ্রবেশ করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৩ মাসে বিজিবি ১৬টি দেশি-বিদেশি পিস্তল, ০২টি রিভলভার, ০২টি এসএমজি, ০৫টি রাইফেল, ১৬টি দেশীয় বন্দুক, ০৩টি শর্টগান, ০৩টি মর্টার শেল, ০৮টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২৭টি অন্যান্য অস্ত্র, ২১টি ম্যাগাজিন এবং ১০০৩ রাউন্ড বিভিন্ন অস্ত্রের গোলাবারুদ জব্দ করেছে।

সীমান্ত দিয়ে দেশে অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির টোল ফ্রি ০১৭৬৯৬০০৫৫৫ নাম্বারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করা যাচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Chief Advisor awarded the Youth Volunteer Award to 12 youths 

প্রধান উপদেষ্টা ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করলেন 

প্রধান উপদেষ্টা ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করলেন 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ১২ তরুণকে ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করেছেন। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ও তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণামূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে তরুণদের এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারও রয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Madaripur Sadar Parapur is making public suffering from the sandy sand business

মাদারীপুর সদরের পেয়ারপুরে জনদূর্ভোগ তৈরী করে চলছে রমরমা স্তূপকৃত বালুর ব্যবসা

মাদারীপুর সদরের পেয়ারপুরে জনদূর্ভোগ তৈরী করে চলছে রমরমা স্তূপকৃত বালুর ব্যবসা

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের রাস্তার পাশে জনবসতি এলাকায় বালুর স্তূপ করে চলছে রমরমা ব্যবসা। সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের প্রভাবশালী, অর্থ-বিত্ত-বৈভবের মালিক ইলিয়াস ব্যাপারী গং এ ব্যবসা চালিয়ে জনদূর্ভোগ তৈরী করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটা থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক পরিবার গৃহহীণ হওয়ার উপক্রম। এ পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

​পেয়ারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী ইলিয়াস ব্যাপারী জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালু বিক্রি করছেন। এর ফলে আঞ্চলিক সড়কগুলো বালুর স্তূপে বেশীরভাগ সময় অবরুদ্ধ থাকে, যা পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। ​ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নুরুল হক জমাদ্দার জানান, বালু ব্যবসাস্থলের জমি নিয়ে আমাদের আদালতে মামলা চলছে, বালু ব্যবসার আড়ালে বেরিকেড, কাদাপানি সহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরী করে কৌশলে আমাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্য বাড়ির সামনে বালুর স্তূপ করে রেখে রমরমা অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছেন ইলিয়াস ব্যাপারী গং। এ কারণে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বালুর স্তূপ করে চলাচলের রাস্তা টুকু বন্ধ্ করে দেয়া হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বালুর সাথে পানি মিশে কাদা হয়ে যায় এবং পানি সরাসরি আমাদের ঘরে ঢুকে যায়। পানির কারনে আমাদের বাড়ি-ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উক্ত এলাকায় আরেকজন বাসিন্দা আঃ আজিজ জমাদ্দার বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা ঠিকঠাকমতো স্কুলে যেতে পারে না, কারণ রাস্তা পুরোটাই পানি ও বালুতে ভরা থাকে। আমরা একাধিকবার আমাদের অসহনীয় দূর্ভোগের কথা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারা এখানে এলে সাময়িকভাবে তা বন্ধ করা হয় এবং চলে গেলে আবার তা চালু করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের কাছে আইনি প্রতিকার চেয়েছি।

​ তারা অবিলম্বে এ অবৈধ বালু বিক্রি ও দূর্ভোগ তৈরীকারী ব্যবসা বন্ধ বা অন্যত্র সরিয়ে নিতে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এলাকার মানুষের দাবি বালুর ব্যাবসা বন্ধ করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়া হোক।

​এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং আদালতের নির্দেশনা পেলে সে মোতাবেক দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

​স্থানীয়রা এখন তাকিয়ে আছেন আদালতের দিকে। কেননা আদালত তাদের আস্থার ও ন্যায়বিচার পাওয়ার স্থল- যেখানে তাদের আশা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তারা এ দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে বালু ব্যবসায়ী ইলিয়াস ব্যাপারী কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে কল করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Madhabpur the locals were injured in the bite of the mad dog

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী!

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক পাগলা কুকুরের কামড়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।উপজেলার চৌমুহনি ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ পুরো গ্রামবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু-কিশোররা ভয়ে স্কুলে যেতেও সাহস পাচ্ছে না।এ নিয়ে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একটি মসজিদে পাগাল কুকুরটি থেকে সাবধান থাকতে ও একে নিধন করতে মসজিদে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়।

আহতদের মধ্যে মিলাদ মিয়া ও মনোয়ারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ এক কুকুর গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কামড়ে একের পর এক মানুষকে আহত করে। আতঙ্কের মাত্রা বাড়তে থাকায় গ্রামবাসীকে সতর্ক করতে মসজিদে মাইকিং করা হয়। তবে কুকুরটিকে এখনও আটক বা নিধন করা যায়নি।

স্থানীয় সেলিম মিয়া বলেন, “পাগলা কুকুরের ভয়ে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না।কুকুরটির লাল বর্ণের কুকুরি। আমরা মসজিদ থেকে মাইকিং করেছি। সরকারি উদ্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।”

এ বিষয়ে মাধবপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার জানান, “কুকুরকে ধরে র‌্যাবিস টিকা দেয়ার প্রযুক্তি আমাদের নেই। এটি বন বিভাগ করলে করতে পারে। আপাতত এলাকাবাসীকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এদিকে গ্রামবাসী দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ ও স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে