× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The prime minister wants to go to the election like an electionFakhrul
google_news print-icon

নির্বাচনের মতো নির্বাচনে যেতে চাই, প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল

নির্বাচনের-মতো-নির্বাচনে-যেতে-চাই-প্রধানমন্ত্রীকে-
ফখরুল
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা
কেউ ভোটে না এলে কিছু করার নেই বলে শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি নেতা বলেন, ‘ওনারা তো চানই যে বিরোধী দল না আসুক। ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার বদভ্যাস হয়ে গেছে ওনাদের।’ সে সুযোগ আপনারা দেবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো বলেছি, এই ইলেকশন জনগণ মানবে না।’

কোনো দল না এলেও ভোট হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখার পর দিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি উদার গণতান্ত্রিক দল হিসেবে তারা নির্বাচনে যেতে চান। কিন্তু সেটি হতে হবে নির্বাচনের মতো নির্বাচন। তামাশা হলে চলবে না।

২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন তামাশা হওয়ার জন্য তো না যে ভোটের আগের রাতে নির্বাচন হয়ে গেল, ভোট নিয়ে চলে গেল, একজনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে দিল।…কেউ আসলে তিনি ক্যামপেইন করতে নামতে পারবেন না, তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হবে, দেশে একটা অরাজনীতিকরণ করা হবে, এটা তো হতে পারে না।’

শুক্রবার দলীয় চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অন্য এক প্রসঙ্গে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আগের দিনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এবং ভোট বর্জনের হুমকির বিষয়ে এক প্রশ্নে সরকার প্রধান বলেছেন, ‘নির্বাচন হলে রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত কে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, কে করবে না। সেখানে আমরা কিছু চাপিয়ে দিতে পারি না। রাজনীতি করতে হলে দলগুলো নিজের সিদ্ধান্ত নেবে।’

এমনকি এবার আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে সংলাপেরও কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে জানিয়ে দেন শেখ হাসিনা।

এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফখরুল বলেন, ‘ওনারা তো চানই যে বিরোধী দল না আসুক। ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার বদভ্যাস হয়ে গেছে ওনাদের।’

সে সুযোগ আপনারা দেবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো বলেছি, এই ইলেকশন জনগণ মানবে না।’

আগেরদিনের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আর কোন মুখে জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাবে? আগুন দিয়ে পোড়ানো, মানুষ খুন করা, বোমা মারা, গ্রেনেড মারা-সব জায়গাতে তো আছে। তারা যদি সামনে এসে দাঁড়ায়, ভোট চাইতে আসছেন, আমার এই অবস্থা। কী জবাব দেবে বিএনপি? এজন্যই বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে বেড়ায়। দেশের মানুষের কাছে যায় না।’

জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ভয় পাওয়ার প্রশ্ন নেই। উল্টো তারা ভীত হয়ে আছে। তারা সন্ত্রস্ত আছে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহরে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এটা হচ্ছে মূল কথাটা। সে জন্য তারা কলা কৌশল, বিভিন্ন রকম কৌশল নিয়ে জনগণকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত করে দিয়েছে ভোটদান থেকে। মানুষই তো ভোট দিতে যায় না কেউ।’

নির্বাচনের মতো নির্বাচনে যেতে চাই, প্রধানমন্ত্রীকে 
ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ভোটে না আসার বিষয়ে বিএনপির ঘোষণা নিয়ে আগের দিন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কেউ ভোটে না এলে কিছু করার নেই

একজন গণমাধ্যমকর্মী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনাদের মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কোনো পুঁজি নেই। আপনারা ভোটে জিততে পারবেন না, এ কারণেই ভোটে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছেন।’

জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এটা তো অনেক দিন ধরে বলছে। আজ নতুন কথা বলছে না। রাজনৈতিক দল তার কথা বলবেন। শেখ হাসিনাও তার কথা বলবেন। এভাবে টিকে আছেন তিনি। জনগণকে প্রতারণা করে, মিথ্যা বলে ভয় ভীতি দেখিয়ে তিনি টিকে আছেন।’

বিএনপি যে সরকারপতনের একদফা আন্দোলনের কথা বলছে, সেটি কবে শুরু হবে- জানতে চাইলে ফখরুল কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দেননি। বলেন, ‘সময়টা তো বলা যাবে না। আমরা আলোচনা করছি। আলোচনা যখন শেষ হবে, যখন সময়টা আসবে, তখন।’

বিএনপি যে আলোচনা করছে, তাতে আওয়ামী লীগকে ডাকা হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা? আমরা কেন সংলাপে ডাকব? আমরা তো দাবি দিচ্ছি, এই দাবিগুলো মানতে হবে। আমাদের তাদের সঙ্গে তো সংলাপের প্রশ্নই নেই।

‘আমরা আলাপ করছি তাদের সঙ্গে যারা এই সরকারকে মানে না, যারা মনে করে এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে আমরা সংলাপ করছি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের কোনো সুযোগ নেই।

‘দে মাস্ট লিভ, তাদেরকে চলে যেতে হবে। আমরা বারবার বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ক্ষমতা দিতে হবে।’

-তারা যদি নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় ডাকে?

‘প্রশ্নই উঠে না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কোনো আলোচনা হবে না।’

‘অবরোধ আসা উচিত সরকারের ওপর’

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অন্য এক প্রশ্নে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি বরাবর এই কথাটা বলে আসছি যে, স্যাংশনটা আসা উচিত বর্তমান সরকারের ওপর। কারণ, যা কিছু হচ্ছে সরকারের নির্দেশেই হচ্ছে। এখানে তো মন্ত্রণালয় জড়িত, তাদের যে হাইকমান্ড, সেখান থেকেই আসার পর সব কিছু করা করা হয়।

‘মূল উদ্দেশ্যটা কী, উদ্দেশ্যটা হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা। যাতে আন্দোলন না হয়, তারা যে অবৈধভাব ক্ষমতা দখল করে আছে, তার বিরুদ্ধে যেন কোনো প্রতিবাদ না হয়, সোচ্চার না হয়, জনগণ যাতে রাস্তায় বের হতে না পারে, সে জন্য তারা এই কাজগুলো করছে।’

বিএনপির আন্দোলনে পুলিশের গুলির কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘ভোলাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে যে আন্দালন, সেখানে তারা গুলি করে হত্যা করেছে। নারায়ণগঞ্জে করেছে, মুন্সিগঞ্জে করেছে। তারা বৃষ্টির মতো গুলি করছে। জনগণের সমর্থন যখন তাদের পক্ষে নেই, তখন তারা মরিয়া হয়ে গেছে।

‘গোটা জাতিই হুমকির মুখে পড়েছে। একটি বাহিনীর ওপর স্যাংশন দেয়া মানে কী? গোটা জাতির ওপর স্যাংশন দেয়া। আমরা আগেই বলেছি, এটা আমাদের জন্য লজ্জা, এটা কলঙ্কের যে আমাদের একটা বাহিনী, তার ওপর স্যাংশন এসেছে। এই স্যাংশন তো আমরা আশা করিনি।’

বিরোধী দলের নেতা, সংগঠন ও দাতাদের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশের অনুরোধ

সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হওয়া একটি বেতার বার্তা ভাইরাল হয়েছে জানিয়ে ফখরুল দাবি করেন, রাঙ্গামাটি জেলার পুলিশ সুপার গত ২৫ সেপ্টেম্বর জেলার সব থানার ওসিদেরকে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল ও সংগঠনের নেতা, সংগঠক এমনকি দাতাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশের বিশেষ শাখার সদরদপ্তরের নির্দেশেই এই বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘সারা দেশের সব জেলার পুলিশ সুপাররাই থানার ওসিদের একই নির্দেশ দিয়েছেন।’

নির্বাচনের মতো নির্বাচনে যেতে চাই, প্রধানমন্ত্রীকে 
ফখরুল
ফখরুলের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি বিএনপির অন্য নেতারা।

এই নির্দেশনাকে অত্যন্ত ভয়ংকর, অপ্রত্যাশিত, অসাংবিধানিক, এখতিয়ার বহির্ভূত, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আচরণবিধি পরিপন্থী এবং রাজনৈতিক দল তথা গণমানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও আন্দোলন সমাবেশ করার মৌলিক অধিকার বিরোধী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধান, কিংবা দেশের অন্য কোন প্রচলিত আইন বা বিধি বিধানের আওতায় তারা করতে পারেনা। পুলিশ সুপার তার আওতাধীন ওসিদের নিকট বেতার বার্তা বা অন্য কোনো ব্যবস্থায় যে সব তথ্য চেয়েছেন, তা যে কোনো মানদণ্ডে বেআইনি, স্বেচ্ছাচারি এবং অননুমোদিত পদক্ষেপ। এ

ফখরুল বলেন, ‘উল্লিখিত বেতার বার্তার বিষয়বস্তু থেকে এটি প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থসমূহ বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্দেশে একটি নীল নকশার অধীনে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে গুঁড়িয়ে দমন করার জন্য একযোগে কাজ করছে।’

যেসব ‘অতি উৎসাহী দলবাজ কর্মকর্তা‘সরকারি পদবির অপব্যবহার করে এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে দেশের সচেতন নাগরিকরা চিহ্নিত করে রাখবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নে ‘না’ বোধক জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীকে এবং বাহিনীগুলোকে জানিয়ে দিয়েছি যে, এসব কর্মকাণ্ড বেআইনি। তারা যেন এসব কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখেন।’

অন্য এক প্রশ্নে ফখরুল বলেন, পুলিশের এই নির্দেশ অসাংবিধানিক এ কারণে যে, সংবিধান অনুযায়ী যে কারও কোনো দল করার, সমর্থন করার এমনকি অনুদান দেয়ার অধিকার আছে। এটা সারা দুনিয়ায় স্বীকৃত।

বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মদ আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল‌ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
দেবী দুর্গার আবির্ভাব সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায়: ফখরুল
সরকার পতন আন্দোলনে বিএনপির নেতৃত্ব চান অলি
আন্দোলনে সাফল্য নির্ভর করে ঢাকার ওপর: তৃণমূল বিএনপি
যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ঐকমত্য
বিএনপি-কল্যাণ পার্টি সংলাপ, আন্দোলনে ঐকমত্য

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Spreading confusion over the selection of a party Mirza Abbas

একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: মির্জা আব্বাস

একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী খিলগাঁও বাগিচা এবং শাহজাহানপুর এলাকায় গণসংযোগ এবং নিজ বাসভবনে উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘পিআরসহ কিছু অযৌক্তিক দাবিতে নির্বাচন বানচালের হুমকি দিয়ে একটি ধর্ম ব্যবসায়ী দল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। একদিকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। এ দলটি সবসময়ই জাতিকে অন্ধকারে রাখতে পছন্দ করে। তারা মুখে এক কথা বলে আর বাস্তবে ভিন্নরূপ।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রকম ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ। বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি দল দেশের প্রশাসন দখল করে নিয়েছে। স্কুল-কলেজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ সকল জায়গা দখল নিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ী এদলটি, যা দৃশ্যমান।’
তিনি বলেন, ‘এই দলটি মুখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেও তলে তলে তারা পতিত দোসরদের সাথে আঁতাত করছে। কয়েকদিন আগেও জামায়াত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল। আর এখন বলছে সব আওয়ামী লীগার খারাপ না।’
দিনব্যাপী গণসংযোগকালে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মির্জা খোকন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, সাবেক কমিশনার সাজ্জাদ জহির, আরিফুর রহমান আরিফ, ফজলে রূবায়েত পাপ্পুসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
PROCIAL Jamaat

পিআর আন্দোলনের আড়ালে নির্বাচনের প্রস্তুতি জামায়াতের

৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত, সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হলে ১০০ আসন ছাড়: গোলাম পরওয়ার
পিআর আন্দোলনের আড়ালে 
নির্বাচনের প্রস্তুতি জামায়াতের

ইসলামী সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যের সমঝোতা হলে জামায়াত ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গতকাল শুক্রবার খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা আয়োজিত সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭-২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘যদিও আমরা ৩০০ আসন চূড়ান্ত করেছি, প্রাথমিক বাছাই হয়ে গেছে, তবে যাদের সঙ্গে আমরা সমঝোতা করব, যাদের সঙ্গে ঐক্য হবে, যে কয়টি দলের সঙ্গেই হোক, কিছু সিট তো আমাদের ছাড়া লাগবে, তা নাহলে তো ঐক্য হবে না। আমিরে জামায়াত আমাকে একটা আইডিয়া দিয়েছেন, এমনও হতে পারে, সমঝোতা করতে করতে শেষ পর্যন্ত একশ আসনও আমাদের ছেড়ে দিতে হতে পারে। আমাদের বলেছেন মাইন্ড সেট রাখবেন, কমপক্ষে ২০০ আসনে আমরা ইনশাআল্লাহ নির্বাচন করব।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দ্বীনকে সংসদে পাঠানোর জন্য এখনই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। যারা একসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে এখন আবার সক্রিয় হয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। আমিরে জামায়াত বলেছেন, ‘মুসলমানদের সামনে ৫৪ বছরের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের শক্তিকে পার্লামেন্টে নেওয়ার এমন অবারিত সুযোগ অতীতে আর কোনো দিন আসেনি।’ ভবিষ্যতেও আসবে কি না আমরা জানি না। ফ্যাসিস্ট আমাদের গর্তে ঢোকাতে চেয়েছিল, আল্লাহ তাআলা তাদের গর্তে দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে।’
জামায়াত নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই সেক্রেটারি বলেন, এখন থেকে আপনারা পরিকল্পনা করেন যার যার নির্বাচনী এলাকায় কবে বাড়ি যাবেন, যতক্ষণ যেতে দেরি হবে নিজের উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার কথাও বলেন তিনি।
পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনে আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চেয়েছি, তবে একটি বড় দলের বাধায় জুলাই সনদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মৌলিক সংস্কার চায় না। তারা মনে করছে তারা ক্ষমতায় চলে গেছে, এটা ভেবেছে বলেই ডাকসু, জাকসু নির্বাচনে ফল পেয়েছে।’ একইসঙ্গে নির্বাচন ও আন্দোলন দুই প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জামায়াত বলেও জানান তিনি।
খুলনা মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হোসাইনের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল ও নড়াইল জেলা জামায়াতের আমীমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
People will decide to ban the government nine A League Dr Zahid

সরকার নয়, আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: ডা. জাহিদ

সরকার নয়, আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: ডা. জাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নতুন করে রাজনীতিতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয় আইন-আদালত বা সরকারি সিদ্ধান্ত নয়, এই সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। গণহত্যাকারী, গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজহার-শফিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য বিএনপি সোচ্চার। গণহত্যাকারী যারা আদেশ দিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী হোক আর অতি উৎসাহী যেই হোক– বিএনপি বারবার বলেছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আইন-আদালত করবে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, বিএনপির বক্তব্য পরিষ্কার। সব সময়ই তা বলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কথা বলে, কিন্তু তাদের ২৪-এর গণহত্যা নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই। আয়নাঘর, লুটপাট যারা করেছে, প্রতিহিংসা যারা করেছে, দিনের ভোট রাতে যারা করেছে, তাদের কোনো অনুশোচনা আছে? তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিঃশর্তভাবে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তাদের ক্ষমা করবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে।
ডা. জাহিদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটি সম্ভাবনা রয়েছে, আমরা চাই সেটা হোক। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সেই সুযোগটা আসুক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভাবতে হবে এই সমাজটা আমাদের সবার। এই ভাবনাটা যদি না আসে তাহলে কিন্তু ইনক্লুসিভনেস তৈরি হবে না। আর তা তৈরি না হলে সমাজে সাস্টেনেবিলিটি আসবে না। সমাজের প্রবীণ মানুষদের জন্য আলাদা উইন্ডো তৈরি করার জন্য একটা চিন্তা দরকার। তাদের জন্য সামান্য বাজেট রাখা দরকার।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaat announces a 12 day movement program demanding PR approach

পিআর পদ্ধতির দাবিতে ১২ দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের

পিআর পদ্ধতির দাবিতে ১২ দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দফায় ১২ দিনের যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নতুন কর্মসূচি হিসেবে ৫ দফা গণদাবির পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে গণসংযোগ পালন করা হবে। এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা, গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। ১০ অক্টোবর রাজধানীসহ সকল বিভাগীয় শহরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে এবং ১২ অক্টোবর সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।

জামায়াতের ৫ দফা দাবি হলো:

১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।

২. নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।

৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

৪. গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।

৫. বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার করতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোমাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP next to the sick leader of Hefazat e Islam

হেফাজতে ইসলামের অসুস্থ নেতার পাশে বিএনপি

হেফাজতে ইসলামের অসুস্থ নেতার পাশে বিএনপি

হেফাজতে ইসলামের অসুস্থ এক নেতার খোঁজখবর নিয়েছে বিএনপির নেতারা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এবং জামিয়া কাসিমিয়া আশরাফুল উলুম ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল খতিবে বাংলার আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীবের শারীরিক খোঁজখবর নিতে রোববার হাসপাতালে যান বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Zia Manch is the approval of the 22 member committee of Faridpur metropolis

জিয়া মঞ্চ ফরিদপুর মহানগরের ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন

কাইয়ুম আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এনামুল করিম
জিয়া মঞ্চ ফরিদপুর মহানগরের ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম ও জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ ইকবালের নির্দেশক্রমে ফরিদপুর মহানগর জিয়া মঞ্চের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরিদপুরের জিয়ার সৈনিক, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার মোহাম্মদ কাইয়ুম মিয়াকে আহ্বায়ক ও এনামুল করিমকে সদস্য সচিব করে ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোববার জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দপ্তর সম্পাদকের চলতি দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার মো. জামাল হোসেনের স্বাক্ষরীত এক পত্রে ফরিদপুর মহানগর জিয়া মঞ্চের ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবর রহমান দিলীপ, যুগ্ম আহ্বায়ক নাইম আক্তার মুকুল, মাহবুবুর রহমান আজাদ, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, ফরিদ হোসেন, কিবরিয়া জামান, সম্রাট আলম, আসাদুজ্জামান, ডা. মোফাজ্জুল হোসেন চৌধুরী, সদস্য মোহাম্মদ নাসির মিয়া, উজ্জল মিয়া, শেখ আব্দুল আলীম মুক্তি, মাসুদ খান, নয়ন শেখ, তুষার আহমেদ, আব্দুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান আরিফ, ইউসুফ শেখ ও শহীদ আলম চৌধুরী ফরহাদ।

এদিকে জিয়া মঞ্চ ফরিদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন মহানগর জিয়া মঞ্চের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তারুণ্যদীপ্ত নতুন এই কমিটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশকে বুকে ধারণ করে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে তোলবে। এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
PR means Permanent Restlace Salahuddin Ahmed

পিআর মানে হলো ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’: সালাহউদ্দিন আহমদ

পিআর মানে হলো ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’: সালাহউদ্দিন আহমদ

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনব্যবস্থা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ ও অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না। সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো দাবি মেনে নিলে তা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ব্রিটিশ ল স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
পিআর পদ্ধতি কার্যকর হলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, পিআর মানে হচ্ছে, ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’ (স্থায়ী অস্থিরতা)।
উদাহরণ টেনে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিআর চালুর পর দেখা গেছে, সরকার গঠন করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। কোথাও এক বছর বা দেড় বছর পর সরকার গঠিত হয়েছে। আবার সরকার গঠনের পর তা টেকসই হয়নি। কয়েক মাস বা এক বছরের মধ্যেই সরকার ভেঙে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি চালুর মূল উদ্দেশ্য স্রেফ সংসদীয় আসনের সংখ্যা বাড়ানো নয়, বরং ঘন ঘন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা। এতে লাভবান হবে সেই শক্তি, যারা চায়, দেশ সব সময় অনিশ্চয়তায় থাকুক।
পিআর নিয়ে যেসব জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর বোঝে না। আবার অন্য জরিপে দাবি করা হয়েছে, ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। এটা জাতিকে বিভ্রান্ত করার শামিল।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জনগণ যদি আগে থেকে জানতে না পারে, তাদের ভোটে কোন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন, তাহলে জনগণের সরাসরি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ কোথায় রইল? এতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহি দুর্বল হয়ে পড়বে।
সংবিধান ও আইনের শাসনের বাইরে গিয়ে কোনো সংস্কার দেশের জন্য শুভ হবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় থাকতে চাই। কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ, অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না।’
ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাগিব রউফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ওয়াসি পারভেজ তাহসিন।

মন্তব্য

p
উপরে