× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BRTA doesnt know that passengers are cheating
google_news print-icon

এখনও ওয়েবিল, জানেই না বিআরটিএ

এখনও-ওয়েবিল-জানেই-না-বিআরটিএ
বাসের ওয়েবিলে যাত্রীসংখ্যা লিখছেন চেকার। ছবি: নিউজবাংলা
ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর বাসভাড়া বাড়িয়ে বিআরটিএ ঘোষণা দিয়েছিল, ওয়েবিল পদ্ধতিতে কোনো বাস চলবে না। একই ঘোষণা ছিল মালিকদেরও। কিন্তু চার মাস পর দেখা যাচ্ছে ঢাকার প্রায় সব বাস চলে ওয়েবিলে। আর এতে নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ আদায় করা হচ্ছে। যাদের নিয়ন্ত্রণ করার কথা, সেই বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও ট্রাফিক পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন কোন বাস ওয়েবিলে চলে, নিউজবাংলার কাছে তার তালিকা চেয়েছেন।

মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে বিকাশ পরিবহনে করে কুড়িল পর্যন্ত দূরত্ব ৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার। নির্ধারিত ২ টাকা ১৫ পয়সা হিসেবে ভাড়া হওয়ার কথা ২১ টাকা, কিন্তু বিকাশ পরিবহন নিচ্ছে ৪০ টাকা।

এই টাকায় অবশ্য যাওয়া যায় উত্তরার কামারপাড়া পর্যন্ত। সেই দূরত্বের হিসাবে ভাড়া হয়তো ঠিক আছে। যাত্রীদের প্রশ্ন হলো, কুড়িল গিয়ে কামারপাড়ার ভাড়া কেন দিতে হবে?

আবার কামারপাড়ার ভাড়া নিয়ে যাত্রী কুড়িলে নামিয়ে দেয়ার পরও সেখান থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত যাত্রী তুলতেই থাকে বাসটি।

আরও পড়ুন: ওয়েবিলে বাস চলবে না: মালিক সমিতি

বাড়তি ভাড়া আদায়ে গত কয়েক বছর ধরে ওয়েবিল পদ্ধতি চালু হয়েছে রাজধানীতে। এই পদ্ধতিতে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া না কেটে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক আদায় করা হয়। কেউ মাঝপথে নেমে গেলেও তার কাছ থেকে আদায় করা হয় পুরো পথের দূরত্ব, যা লোকাল বাসের ক্ষেত্রে কখনও হওয়ার কথা নয়।

আইনে এভাবে ভাড়া কাটার কোনো বৈধতা নেই। যখন বাসভাড়া নিয়ে শোরগোল হয়, তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে ঘোষণা করে, ‘এক টাকাও বাড়তি আদায় করা যাবে না। কেউ আদায় করলেই শাস্তি পেতে হয়।

আরও পড়ুন : বাসে যাত্রী ঠকানোর ‘ওয়েবিল’

গত নভেম্বরে ডিজেলের দাম বাড়ার পর ওয়েবিলের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিআরটিএ ঘোষণা দেয়, ওয়েবিলে কোনো বাস চলবে না। বাসমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহও সংবাদ সম্মেলন করে একই ঘোষণা দেন।

সে সময় বাড়তি বাসভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে ডেকে বেশ কয়েক দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিআরটিএ। দিনশেষে কত টাকা জরিমানা করা হলো, তাও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়।

এর আগেও একই পদ্ধতিতে কাজ করে শেষে ক্ষান্ত দিয়েছে বিআরটিএ। এবারও তারা তাই করেছে। এখন আর ওয়েবিলের নামে দ্বিগুণের বেশি ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে বিআরটিএর কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।

এমনকি ২৫টি বাসের রুট পারমিট বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে সেটির বিষয়েও আর কিছু করেনি সংস্থাটি। পরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেল, সেই বাসগুলো কথা দিয়েছে, তারা আইন মেনে ভাড়া কাটবে। এরপর রুট পারমিট বাতিল না করে তাদের আরও সময় দেয়া হয়েছে।

এখনও ওয়েবিল, জানেই না বিআরটিএ

রাজধানীর এই ছয়টি রুটে বাসভাড়া নতুন নির্ধারিত বাসভাড়ার দ্বিগুণেরও বেশি।

দুই কিলোমিটার পর পর ওয়েবিল, ভাড়া কিলোমিটারে ৫ টাকা

মোহাম্মদপুর থেকে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত চলা স্বাধীন পরিবহনেও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয় বিকাশ পরিবহনের কৌশলেই। নিউ ইস্কাটনের বিয়াম গলি থেকে রামপুরা পর্যন্ত ভাড়া নেয় ২০ টাকা। দূরত্ব চার কিলোমিটার। হিসাব করে দেখা যায়, প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া পড়ছে পাঁচ টাকা।

কিন্তু সরকার যে বাসভাড়া ঠিক করেছে, তাতে ভাড়া হওয়ার কথা ১০ টাকা। তাহলে কেন ২০ টাকা নেয়?

জবাব হলো দুটি ওয়েবিল বসানো হয়েছে। একটি ওয়েবিল থেকে আরেকটির দূরত্ব দুই কিলোমিটার। তাতে সর্বনিম্ন ভাড়া আসে ১০ টাকা, সেই হিসাবে চার কিলোমিটারে দুটি ওয়েবিল বসিয়ে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা।

মিরপুর-১ নম্বর থেকে বনশ্রী যাওয়া আলিফ পরিবহনে চলাচল করা যাত্রী মৌসুমী ইসলাম বলেন, ‘শেওড়াপাড়া থেকে বিএএফ শাহীন কলেজের সামনে নামলে নিচ্ছে ২০ টাকা। এই ২০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া যাবে গুলশান-১ পর্যন্ত। এর কারণ হচ্ছে ওয়েবিল। আমি শাহীনে নেমে কেন গুলশান-১-এর ভাড়া দেব?’

বাড্ডার নতুনবাজার থেকে বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত ৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার দূরত্বে রাইদা পরিবহন ভাড়া নিচ্ছে ৩০ টাকা।

মগবাজার থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার পথের জন্য প্রভাতী বনশ্রী ভাড়া নিচ্ছে ৪০ টাকা।

এখনও ওয়েবিল, জানেই না বিআরটিএ
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে স্বাধীন পরিবহনের বাসে ওয়েবিলে যাত্রীসংখ্যা লিখছেন চেকার। ছবি: নিউজবাংলা

ভাড়ার চার্ট ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, থাকলেও মানে না শ্রমিকরা

স্বাধীন পরিবহনে উঠে এক যাত্রী বাংলামোটর থেকে রামপুরা যাবেন বলে ১০ টাকা ভাড়া দিলেন। যিনি ভাড়া কাটছেন, তিনি বললেন, ‘২০ ট্যাকা দেন। দুইডা ওয়েবিল আছে। ১০ ট্যাকা কইরা ২০ টাকা।’

স্বাধীন পরিবহনের বেশির ভাগ বাসেই ভাড়ার চার্ট ছিঁড়ে ফেলা হলেও সেই বাসে ছিল। আর সেটি দেখিয়ে সেই যাত্রী বললেন, ‘তোর চার্টে দেখ কত ভাড়া।’

পরিবহন শ্রমিক বললেন, ‘চার্ট মাইন্যা বাস চলে না।’

এরপর বাসের অন্য যাত্রীরা পক্ষ নিলেন সেই যাত্রীর। আর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চুপ করে গেলেন শ্রমিক।

কিন্তু সব বাসে ভাড়ার চার্ট নেই। সেগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আবার আইন অনুযায়ী ভাড়ার কথা বললে শ্রমিকরা এভাবে চুপ হন না। আর ঝগড়াঝাটি করতে রাজি না হয়ে দাবি করা ভাড়া মিটিয়ে রাগে গজগজ করতে থাকেন যাত্রীরা।

আরও পড়ুন : যাবেন মগবাজার, ভাড়া দেবেন মতিঝিলের

ওয়েবিল আছে, জানেনই না বিআরটিএ চেয়ারম্যান

অনেক অভিযান, অনেক ঘোষণার পর ‘যেই লাউ সেই কদু’ পরিস্থিতি নিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের মুখোমুখি হয়ে নিউজবাংলা জানতে পেরেছে, এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান জানেনই না কোন কোন বাস ওয়েবিলে চলে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএ প্রধান বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট করে কোন গাড়ি, কত টাকা ভাড়া বেশি নিচ্ছে, সেটা বলেন। আমরা ওয়েবিল মানি না। ওয়েবিল তো স্বীকৃত না।’

তিনি পরে আবার বলেন, ‘যখনই যেটা পাড়তেছি, তাকে জরিমানা করছি। আপনি সুনির্দিষ্টভাবে বাসের নাম বলেন। আমরা ওই বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন : বাড়তি ভাড়া রোধে ব্যর্থ পুরোনো পথেই হাঁটছে বিআরটিএ

নিজেও ওয়েবিল মানেন না বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন বিআরটিএ প্রধান। বলেন, ‘ওয়েবিল মালিকদের মনগড়া। এটা তো আইন না। আমরা কোনো দিনই ওয়েবিলকে স্বীকার করি নাই, করবও না।’

যদি স্বীকার নাই করেন, তাহলে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন ছিল জনাব মজুমদারের কাছে।

জবাবে তিনি স্বীকার করতে চাননি যে বিআরটিএ নিষ্ক্রিয়। তিনি বলেন, ‘শাস্তি তো হচ্ছেই। আপনি নিজেও অভিযোগ করতে পারেন। মোবাইল কোর্ট তো আমাদের প্রতিদিনই আছে। কেউ বেশি ভাড়া নিলে বা যাত্রীরা অভিযোগ করলে জরিমানা করছে।

‘আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা জরিমানা করছেন, মামলা করছেন। যাত্রীরা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলবে যে তাদের থেকে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে।’

মোহাম্মদপুর থেকে স্বাধীন পরিবহনে চলা যাত্রী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিআরটিএ-র ম্যাজিস্ট্রেট কোথায় থাকেন তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের পেলে না অভিযোগ দেব।’

বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে এই যাত্রীর অভিযোগ জানালে তার বক্তব্য কিছুটা পাল্টায়। তখন তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের অলিতেগলিতে ঘুরে দেখার মতো ম্যাজিস্ট্রেট নাই আমার। আমার সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট কোথায় দেব বলেন?’

ওয়েবিলে কোন কোন বাস চলে, সেটি জানেন না ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমানও। তিনি নিউজবাংলাকে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নে বলেন, ‘আপনার কাছে তথ্য থেকে থাকলে কমিশনার স্যার বরাবর চিঠি দেন। আপনি উল্লেখ করে দেন কোন কোন পরিবহন কোন কোন রুটে ওয়েবিলের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছে। আমরা ব্যবস্থা নেব।’

ওয়েবিলে বাস চলবে না- এমন ঘোষণা দেয়ার পরও কেন চলছে, সে বিষয়ে জানতে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বক্তব্য পায়নি নিউজবাংলা। তাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: ২৫ বাস কোম্পানির রুট পারমিট বাতিলের সুপারিশ

সেই ২৫ বাসের রুট পারমিট বাতিল হয়নি

বিআরটিএ ২৫ বাসের রুট পারমিট বাতিলের ঘোষণা দিলেও সেসব বাসের যাত্রী টানার কারণ কী- এমন প্রশ্নে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোর আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির (মেট্রো আরটিসি) এর সভাপতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। মেট্রো আরটিসি থেকেই রুট পারমিট শুরু হয় এবং রুট পারমিট বাতিলের সিদ্ধান্ত সেখানে হয়।

‘২৫ বাসের রুট পারমিট বাতিল বিষয়ে আমরা তাদের চিঠি দিয়েছি। আমি জানি যে, এ বিষয়ে সেখানে একটা মিটিংও হয়েছে এবং সিদ্ধান্তও হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো আমরা লিখিত পাই নাই। মেট্রো আরটিসিতে একটু খবর নেন তারা কী করেছে।’

শফিকুল ইসলামের কাছেও জানা গেল না, সেই বাসগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কত দূর। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন তো এমন ৫০টা চিঠি আমি স্বাক্ষর করি। তিনি (বিআরটিএ চেয়ারম্যান) কবে চিঠি পাঠিয়েছেন সেটা সুনির্দিষ্টভাবে আমার মনে নাই। বিআরটিএ যদি এমন প্রস্তাব আমাদের কাছে পাঠিয়ে থাকে, তবে এটা বাতিল না করার কোনো কারণ নাই। তবে এটা করা হয়েছে কি না বা কী পর্যায়ে আছে সেটা আমি জানি না।’

পরে ডিএমপি কমিশনারের পরামর্শে এ বিষয়ে সবশেষ তথ্য জানতে যোগাযোগ করা হয় ডিএমপি ট্রাফিকের অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই ২৫ কোম্পানি আমাদের কাছে অঙ্গীকার করেছে যে তারা যেটা করেছে (অতিরিক্ত ভাড়া আড়ায়), সেটা ঠিক করেনি। তারা নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া নেবে এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘তারা আবেদন করায় কমিটি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই ২৫ কোম্পানির বাস বন্ধ করলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হবে। করোনার কারণে এমনিতেই বাস কমে গেছে, এই বাসগুলো বন্ধ করে দিলে আরও ঝামেলা হবে। ঢাকার মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আমরা তাদের অবজারবেশনে রেখেছি। পরবর্তী মিটিংয়ে গত তিন মাসের অবজারবেশন তুলে ধরা হবে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আর পড়ুন: ভাড়া বেশি নিলে বাস ডাম্পিং

‘ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে কী করেন, সেটা জনগণকে জানান’

যাত্রীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদের (বিআরটিএ) ম্যাজিস্ট্রেট যে কাজ করে তার ফলাফল কী? কিছুটা কমছে বলতে কতটা কমছে, সেটার রেজাল্ট দেন।’

এখনও ওয়েবিল, জানেই না বিআরটিএ

যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বাসভাড়া নেয়া কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া বেঁধে দিলেও তাতে গা নেই ড্রাইভার-হেল্পারদের। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘আমাদের (বিআরটিএ) অভিযান চালানোর আগে এই পথে ছিল ১৫ টাকা, অভিযান চালানোর পরে হয়েছে ১২ টাকা। এমন একটা উদাহরণ দিক তারা। না হলে আপনি কীসের কাজ করলেন?’

মোজাম্মেলের ধারণা, বাস মালিকদের ভয় পায় বিআরটিএ। নইলে অবৈধ ওয়েবিল কীভাবে খোদ রাজধানী শহরে চলে, সেই প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। বলেন, ‘বাসের রুট পারমিট বাতিল করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করলেও তারা মালিকদের বিরুদ্ধে কিছুই করবে না।’

আরও পড়ুন:
বাসে যাত্রী ঠকানোর ‘ওয়েবিল’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Kuchri Mahal is chaotic in the government office using BNP name Rizvi

বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

আয়কর অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নামে আন্দোলন চালিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘যারা আয়কর অফিসে বা অন্যান্য বিভাগে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন—তারা বিএনপির অংশ নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটা করছে।’

শুক্রবার (২৭ জুন) রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সরকারি অফিসে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নামে নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলেরই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারেক রহমান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’

রিজভী বলেন, তিনি এমন একজনের কথা শুনেছেন যিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে আয়কর অফিসে আন্দোলন করছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (সেই ব্যক্তি) এখন (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে অন্য কাউকে অপসারণের চেষ্টা করবেন। কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি নিজেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে একটি অফিসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে আরও অনেক বিএনপি নেতা আছেন, কেউ এ সম্পর্কে জানেন না।’

বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, ‘রক্তপাত এবং সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগ আগামী দিনে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা করলেও সরকারের ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনা অনুসারে, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘তার এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে (শেখ) হাসিনার আমলে সমস্ত নির্বাচন অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’

বিএনপি নেতা দাবি করেন, প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক—যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তারা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’

বাংলাদেশ
There is no legal barrier to allocating Shapala symbols to NCP

এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই

এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই

নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনসহ ১০১ জন আইনজীবী। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনা আক্তার লাভলী এবং লাবাবুল বাসার স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি জানানো হয় এই মত।

বিবৃতিতে বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(৩) এবং অন্যান্য বিদ্যমান আইন অনুসারে এনসিপির শাপলা প্রতীক বরাদ্দ পেতে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে উল্লেখ করে বলা হয়, ১৯৭২ সালের অর্ডারের তৃতীয় তফসিল এবং ১৯৭২ সালের বিধিমালার পরিশিষ্ট-ক তে জাতীয় প্রতীকের নকশা অংকিত আছে। নকশা অনুযায়ী জাতীয় প্রতীক হচ্ছে লালচে এবং হলুদ রঙের যুগল বৃত্তের ভেতরে লালচে এবং হলুদ রঙে অংকিত পানির ওপর ভাসমান শাপলা ফুল, দু’পাশে দুটি ধানের শীষ, উপরে তিনটি সংযুক্ত পাট পাতা যার ঠিক দুই পাশে দুটি করে চারটি তারকার সন্নিবেশ ও সামষ্টিক রূপ। অর্থাৎ জাতীয় প্রতীকের নকশা এবং রঙ ১৯৭২ সালের অর্ডারের ৩য় তফসিল ও বিধিমালার পরিশিষ্ট-ক দ্বারা সুনির্দিষ্ট। তাছাড়া জাতীয় প্রতীকের শাপলাটি পানিতে ভাসমান কিন্তু এনসিপি ‘ভাসমান শাপলা’ প্রতীক হিসেবে চায়নি।

একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতীকে হিসেবে জাতীয় প্রতীকের উপাদান বরাদ্দ দেওয়ার নজির উপস্থাপন করে বিবৃতিতে বলা হয়, ধানের শীষ, শাপলা, পাটপাতা এবং তারকা আলাদা আলাদা করে চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়। আর এই চারের সমষ্টিই হচ্ছে জাতীয় প্রতীক, যা দুই রঙের দুটি বৃত্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত। জাতীয় প্রতীকের উপাদানের মধ্যে দুইটি উপাদান ইতোমধ্যে দুইটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দকৃত। সুতরাং প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণসাপেক্ষে এনসিপির নিবন্ধিত হবার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আইন মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং প্রতীকের তালিকায় সংযোজনপূর্বক শাপলা প্রতীকটি এনসিপিকে বরাদ্দ দিবে বলে বিবৃতিদাতা আইনজীবীরা আশা প্রকাশ করেন।

মন্তব্য

মেট্রো রেল স্টেশনে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার মহড়া অনুষ্ঠিত

মেট্রো রেল স্টেশনে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার মহড়া অনুষ্ঠিত

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, উত্তরা সেন্টার, মেট্রো রেল স্টেশন, উত্তরা এবং বিজয় সরণিতে অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসা ও বহির্গমন বিষয়ক মহড়া করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ২৫ জুন সকাল ১১টায় উত্তরা সেন্টারে এবং বিকেল ৩টায় বিজয় সরণি সেন্টারে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ায় ওয়াটার টেন্ডার, পাম্প ক্যারিং টেন্ডার, সিজার লিফট, অ্যাম্বুলেন্স ও স্নোরকেল গাড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।

মেট্রো রেলে বা মেট্রো রেল স্টেশনে হঠাৎ করে অগ্নিদুর্ঘটনা সংঘটিত হলে কিভাবে যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে, কিভাবে অগ্নিনির্বাপণ করতে হবে, কিভাবে সাধারণ লোককে ইভাকুয়েট করতে হবে এবং আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক শুশ্রূষা প্রদান করে কিভাবে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে মহড়ায় তার বাস্তব অনুশীলন দেখানো হয়। মহড়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি মেট্রোরেলের নিরাপত্তা কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় ভলান্টিয়াররা অংশগ্রহণ করেন। মহড়া চলাকালীন মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যগণ যানবাহন নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।

মহড়া শেষে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন) একেএম খায়রুল আলম। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রকৃত দুর্ঘটনায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এবং যাত্রী সাধারণের কার কী করণীয় সে সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

মহড়া দুটি পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাজাহান শিকদার ও সিনিয়র স্টেশন অফিসার একেএম রায়হানুল আশরাফ। এ সময় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জোন প্রধানগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
NBR officials on the pen break wearing shroud clothes

কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতিতে এনবিআর কর্মকর্তারা

কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতিতে এনবিআর কর্মকর্তারা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আবারও তিন ঘণ্টার কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে কাফনের কাপড় পরে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

এর আগে শনিবার (২১ জুন) এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় এনবিআর কর্মকর্তাদের সংগঠন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

কাউন্সিলের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার এবং সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত কর কমিশনার সহেলা সিদ্দিকা পুনরায় এনবিআরে ‘যুক্তিসংগত সংস্কার’ বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তারা বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে, কারণ তার নেতৃত্ব সংস্কার প্রক্রিয়া শুধু বিলম্বিত হয়েছে।

এর আগেই তাকে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

গত ১৯ জুন গঠিত এনবিআর সংস্কার কমিটি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা।

এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, রাজস্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের লক্ষ্যে এনবিআরের কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের ছয়জন সদস্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, এ কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কোনো প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এমনকি তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা পর্যন্ত করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ১২ মে জারি করা এক অধ্যাদেশে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বাতিল করে সরকার রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করে।

এরপর থেকেই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এনবিআর কর্মকর্তারা নানা ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশ সংশোধনের ঘোষণা দেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার নতুন এই কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে, শিশুমেলা থেকে এনবিআর কার্যালয় পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রবিবার থেকে কার্যকর হওয়া নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Today the lock of the city building will be closed to the administrator engineers rooms

আজ খুলছে নগর ভবনের তালা, বন্ধ থাকবে প্রশাসক-প্রকৌশলীদের কক্ষ

আজ খুলছে নগর ভবনের তালা, বন্ধ থাকবে প্রশাসক-প্রকৌশলীদের কক্ষ

আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের সব কক্ষের তালা খুলে দেওয়া হবে। তবে প্রশাসক ও প্রকৌশলীদের কক্ষ তালাবদ্ধই থাকবে।

গতকাল রোববার দুপুরে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, নাগরিক সেবার স্বার্থে আঞ্চলিক অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো চালু রাখা এবং কর্মরতদের নিজ নিজ দফতরে ফিরে গিয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘ঢাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। একই সঙ্গে নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ না করিয়ে আদালত ও সংবিধান লঙ্ঘন করায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার অপসারণ দাবি করছি।’

মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ভাণ্ডার ও ক্রয়, হিসাব ও অডিট, সমাজ কল্যাণ, আইন, রাজস্ব, সম্পত্তি, পরিবহন, বিদ্যুৎ, যান্ত্রিক, সংস্থাপন, নিরাপত্তা, জনসংযোগ, আইসিটি সেল, নগর পরিকল্পনা বিভাগ এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দফতরে থেকে জন্ম-মৃত্যু সনদ, নাগরিক সনদ, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্র, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন, মশক নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ এবং সড়কবাতি সচল রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কোনও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, সাবেক সরকারের দোসর বা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর নগরভবন বা আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। দেখামাত্র প্রতিহত করা হবে। কোনও কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে নগর ভবনের বেশ কিছু কক্ষে শিকল দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালা খুললেও প্রশাসক ও প্রকৌশলীদের কক্ষ বন্ধই থাকবে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, নতুন করে কেউ নিয়োগ দিতে চাইলে সেটিও প্রতিহত করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Police movement

পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা

পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) অংশগ্রহণ করা সব প্রার্থীকে সনদ প্রদানের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

রবিবার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর ফলে ওই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

এর আগে, সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ বারবার সরে যেতে বললেও স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। পরে সাড়ে ১১টার দিকে তাদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ এবং প্রেসক্লাব ফাঁড়িতে বসেই তাদের কথা হবে।

আন্দোলনকারীরা জানান, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ভাইভায় রেকর্ড ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থীকে ইচ্ছে করে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তাদের দাবি, ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করে ভাইভায় অংশ নেওয়া সবাইকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিতে হবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন তারা এনটিআরসির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meeting rally in the NBR area from the capital of the capital

রাজধানীর শিশুমেলা থেকে এনবিআর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

রাজধানীর শিশুমেলা থেকে এনবিআর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোডের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আগামীকাল রবিবার (২২ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। শনিবার (২১ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘শেরেবাংলা নগর থানার অন্তর্গত শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোডে অবস্থিত এনবিআর কার্যালয় (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), বিডা কার্যালয় (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও আশেপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’

ডিএমপি জানিয়েছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী রবিবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে সই করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।

মন্তব্য

p
উপরে