× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bargaining for recruitment of teachers in Chittagong University
google_news print-icon

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ‘দরকষাকষি’

চট্টগ্রাম-বিশ্ববিদ্যালয়ে-শিক্ষক-নিয়োগে-দরকষাকষি
তবে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, অডিও ক্লিপটির বিষয়ের পর তারা হাটহাজারী থানায় অভিযোগ করেছেন। উপাচার্যের পিএস পদ থেকে মোকাররম হোসেন রবীনকে প্রত্যাহার করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর আহমদ হোসেনকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ আগে থেকেই। এবার চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে নিয়োগের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের চেষ্টার কয়েকটি ফোনালাপের ক্লিপ ফাঁস হয়েছে।

ফোনালাপের তিনটি ক্লিপ নিউজবাংলার হাতে এসেছে। এতে একজন আবেদনকারীর কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বলা হয়, তৃতীয় শ্রেণির একটা চাকরির জন্য এখন ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা লাগে। মালি, প্রহরীর মতো চতুর্থ শ্রেণির চাকরির জন্য লাগে ৮ লাখ টাকা।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের 'ম্যানেজ’ করতেই অর্থের প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়।

চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যারা কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য শিরীণ আখতারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোকাররম হোসেন রবীন, অপরজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টস শাখার কর্মচারী আহমদ হোসেন এবং ফার্সি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জসীম উদ্দিন বলে তথ্য মিলেছে।

তিনজনের ফোনালাপেই এই লেনদেনে উপাচার্য সম্পৃক্ত থাকবেন বলে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, উপাচার্য রাজি না থাকলে মন্ত্রী বা আরও বড় কেউ চাকরি দিতে পারবেন না।

তবে রবীন ও আহমদ হোসেন দাবি করেছেন, তারা কারও সঙ্গে এসব কথা বলেননি। এগুলো তাদেরকে বিপদে ফেলার জন্য বানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি তিনি ফোন ধরেননি বলে।

তবে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, অডিও ক্লিপটির বিষয়ের পর তারা হাটহাজারী থানায় অভিযোগ করেছেন। উপাচার্যের পিএস পদ থেকে মোকাররম হোসেন রবীনকে প্রত্যাহার করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর আহমদ হোসেনকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

এই নিয়োগ নিয়ে এর আগেও নানা অভিযোগ ছিল। এমনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে ১০ দিন সময় দেয়া হলেও নিয়োগপ্রার্থীরা কার্যত কেবল এক দিন সময় পেয়েছেন। অনলাইনে আবেদনপত্র ডাউনলোডের সুযোগও দেয়া হয়নি। পরে একজন প্রার্থী উচ্চ আদালতে গেলে তার আবেদনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় তা করেনি।

এখানেই শেষ নয়, মৌখিক পরীক্ষার জন্য সবাইকে ভাইভা কার্ড না পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। আবার কার্ড ছাড়াই পরীক্ষা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আবার নিয়োগ বোর্ডে কোনো ফার্সি বিশেষজ্ঞকে রাখা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, পছন্দের কোনো প্রার্থীকে নিয়োগ দিতেই এতসব করা হচ্ছে।

প্রথম ফোনালাপ

একটি কল রেকর্ডে প্রভাষক পদের আবেদনকারী এক নিয়োগপ্রার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পিএসকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়।

সেই ফোনালাপে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন পরিচয় দিয়ে নিয়োগপ্রার্থীকে বলেন, ‘আমি ম্যাডামের (উপাচার্য) সঙ্গে দেখা হলে তোমার কথা বলব। ম্যাডাম যেভাবে বলে সেভাবে হবে।’

সেই নিয়োগপ্রার্থী নিজেকে রবীনের (পিএস) শ্বশুরবাড়ির এলাকার বলে উল্লেখ করলে রবীন বলেন, 'আপনি চিটাইংগায়ের (চট্টগ্রামের) দেখেই তো আমি একটু টান দিলাম।’


আরও পড়ুন: চবির ফার্সি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এতকিছু!

অর্থিক বিষয়ে ইঙ্গিত করে রবীন বলেন, ‘ঝামেলার বিষয়গুলোতে আমি আসলে যেতে চাই না। প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা হলো এগুলাই হচ্ছে। আমি তোমার ভাবির (রবীনের স্ত্রী) জন্যও চেষ্টা করেছি। কিন্তু গতবার আমি শুধু এটা (টাকা) দেই নাই বলেই হয় নাই (চাকরি)।

‘আমার স্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে। বর্তমানে সে (আমার স্ত্রী) সাউদার্ ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আছে। কিন্তু আমি সেই সুযোগটা পাইনি। আমি যদি এগ্রি (টাকার বিষয়ে সম্মত) করতাম তাহলে এতদিনে হয়ে যেত।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এগুলোর কিছু আমি জানি না। শুনে পরে কথা বলব এ বিষয়ে।’

‘অর্ধেক নিয়োগের আগে, অর্ধেক পরে’

আরেকটি কথোপকথনে শোনা যায়, একজন নিজেকে অ্যাকাউন্টস অফিসের কর্মচারী আহমদ হোসেন নামে পরিচয় দিয়ে এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি অ্যাকাউন্টস শাখার প্রহরী হলেও পিয়নের কাজ করেন।

লবিং করেছেন কি না জানতে চেয়ে ওই নিয়োগপ্রার্থীকে বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো কিছুর মধ্যে লেনদেন ছাড়া কোনো কিছু হয় না। এ জন্য মন্ত্রীর সুপারিশ বলেন বা যার সুপারিশই বলেন, কোনো কিছুই কার্যকর হবে না।’

তিনি বলেন, ‘এখন কথা হলো, আপনাকে যদি ম্যাডামের (উপাচার্য) সঙ্গে বসিয়ে দিই, আর ম্যাডাম যদি রাজি হন- তাহলে আপনাকে অর্ধেক পেমেন্ট (টাকা) আগে দিয়ে ফেলতে হবে। আর বাকি অর্ধেক আপনি অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার পাওয়ার পর দেবেন।’

নিয়োগপ্রার্থী ওই কর্মচারীর কাছে টাকার পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অ্যামাউন্ট হলো ১৬ (লাখ)। তৃতীয় শ্রেণির একটা চাকরির জন্য এখন ১০-১২ লাখ টাকা লাগে। চতুর্থ শ্রেণির- যেমন মালি, প্রহরীর এসব চাকরির জন্য লাগে ৮ লাখ টাকা। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলো সর্বোচ্চ সম্মানী পদ। কাজেই এখানে ১৬ লাখের কম দিলে হবে না।’


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ‘দরকষাকষি’


টাকা কীভাবে নেয়া হবে এই প্রশ্নের জবাবে অ্যাকাউন্টস বিভাগের কর্মচারী পরিচয় দেয়া ব্যক্তি বলেন, ‘ম্যাডাম(উপাচার্য) কি সরাসরি (টাকা) নেবেন নাকি? তাছাড়া ম্যাডাম আবার মন্ত্রণালয়ে লাইনঘাট সব ম্যানেজ করবেন। যাই হোক, এটা আমি জানি বলেই আপনাকে জানাচ্ছি। এখন আপনার যদি সম্মতি থাকে তাহলে আমি আলাপ করে দেখতে পারি।

‘ম্যাডাম যদি হ্যাঁ বলেন, তাহলে আপনি অর্ধেক পেমেন্ট করবেন এবং পেমেন্ট যে করছেন সেটার একটা চেক অথবা ডকুমেন্ট দিতে হবে। কিন্তু ম্যাডাম যদি না বলেন, তাহলে মন্ত্রীও যদি ব্যক্তিগতভাবে সুপারিশ করেন কোনো কাজ হবে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহমদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এগুলোর বিষয়ে আমি জানিও না, শুনিও নাই। আমি একজন ছোট চাকরিজীবী।

‘আমার মোবাইল হারিয়ে গেছে অনেক দিন আগে। সেই মোবাইল আমি ব্যবহার করছি না সিমও ব্যবহার করছি না। আমার সিম থেকে কেউ যদি কিছু বলে থাকে সেটা শত্রুতামি করে আমাকে বিপদে ফেলার জন্য করেছে। এগুলা আমি জানি না।’

মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না জিডি করিনি। জিডি করা লাগে সেটাও আমি জানি না।’

তৃতীয় ফোনালাপে যা শোনা গেল

তৃতীয় অডিও ক্লিপটিতে জসিম উদ্দিন নামের ফার্সি বিভাগের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় ওই নিয়োগপ্রার্থীর।

সেখানে জসিম বলেন, ‘ওয়াক্কাস নামের এক নিয়োগপ্রার্থী রবিন স্যারের কাছে গেছেন। রবিন স্যার আমাকে বলছেন, ম্যাডাম নাকি বলেছেন চট্টগ্রামের দুই একটা ছেলে আছে না? ওরা তো যোগাযোগ করল না।..

‘আমি ওয়াক্কাসকে বলি, রবিন স্যার তোকে কনফার্ম করে দেবে। এখানে টাকা পয়সার একটা ব্যাপার আছে। ওয়াক্কাসকে রবিন স্যার নাকি বলেছে পাঁচ লাখ টাকা দিতে। তবে এখন না। নিয়োগপত্র পাওয়ার পর। এটা কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।’

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার যা বললেন

বিশ্ববিদ্যালের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অনেক আগেই ব্যবস্থা নিয়েছি। হাটহাজারী থানায় এ বিষয়ে আমাদের অভিযোগ দেয়া আছে। এটা তদন্তের মধ্যে আছে।’

তদন্ত কমিটি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটি আমাদের পক্ষ থেকে এখনও হয় নাই, হচ্ছে।’

অভিযুক্তদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে তদন্ত চলছে। এরপর আমরা আমাদের মতো ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন:
চবির ফার্সি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এতকিছু!
শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন আরও ১১৬ জন
ইউজিসি সচিব হলেন ফেরদৌস জামান
চবিতে ছাত্রলীগের দুই দলের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bhola Borhanuddin upazila

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় লাগামহীন মাদকের বিস্তার

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়  লাগামহীন মাদকের বিস্তার প্রতীকী ছবি।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দিনদিন বেড়েই চলেছে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার। মাদকের নীল দংশন থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের শত চেষ্টা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাদক ব্যাবসায়ীরা তাদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক বিরোধী র‍্যালী সেমিনার কোনো কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছেনা মাদকের ভয়াবহ বিস্তার। ৫ই আগষ্টের আগে প্রশাসনের তৎপরতা থাকায় উপজেলায় মাদকের ভয়াবহতা কিছুটা কম থাকলেও সম্প্রতি আবার বেড়েছে মাদকের বিস্তার।

মাদকের এই ভয়াবহ বিস্তারে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছেন উপজেলার অভিভাবকরা।

কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় মাদক কারবারীরা মাদকের কেনাবেচা করে থাকে। এর মধ্যে পৌর শহরেই রয়েছে বেশ কয়েকটি মাদকের স্পট। পৌর ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা রোড, আঃ জঃ কলেজ গেইট ও তৎসংলগ্ন এলাকা, উত্তর বাসষ্টান্ড, দক্ষিণ বাসষ্টান্ড, পঞ্চায়েত বাড়ির চৌরাস্তা, পৌর ৯নং ওয়ার্ডের বিএনপি বাজার, পৌর ১নং ওয়ার্ডের জয়া সড়ক, পৌর ৪নং ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন কমিশনারের বাড়ির পাশে রয়েছে ২টি স্পট। এছাড়া বড়মানিকা ইউনিয়নের মানিকার হাট বাজারের পাশে একটি স্পট, কুতুবা ইউনিয়নের ছাগলা গ্রাম, পক্ষিয়া ইউনিয়নের বোরহানগঞ্জ বাজার, টবগী ইউনিয়নের রাস্তার মাথা, নতুন ও পুরান হাকিমুদ্দিন বেড়িবাধ এলাকা, হাসাননগর ইউনিয়নের খাসমহল, কাজীরহাট সহ এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি স্পট রয়েছে।

জানা যায়, বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের প্রানকেন্দ্র কুঞ্জেরহাট ও এর পাশে ফুলকাচিয়ায় রয়েছে ইয়াবা ও গাজার সবচেয়ে বড়স্পট আর এসব স্পটের নিয়ন্ত্রক ওই এলাকার প্রভাবশালী জ্বীন প্রতারকরা। এদের রয়েছে বেশ শক্তিশালী সিন্ডিকেট এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের হাত ধরে মাদকের চালান পৌছে যায় খুচরা ব্যাবসায়ীদের হাতে। সুত্রটি জানায় এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে অটোরিকশা ড্রাইভার, মটরসাইকেল ড্রাইভার, এরা এই পেশায় কাজ করলেও এরা মাদক বহন করে নিরাপদে কাষ্টমারের কাছে মাদকের চালান পৌছে দেয়।

আরও জানা যায়, ২০২৪ সালের (২২ডিসেম্বর) টবগী ইউনিয়নের হাকিমুদ্দিন বেড়িবাধ এলাকার মাদক বিক্রেতা ইউসুফ কে স্থানীয় জনতা মাদক বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক করে। একইদিনে টবগী ইউনিয়নের বেড়িবাধ সংলগ্ন গুচ্ছগ্রামে ঐ এলাকার এক মাদক বিক্রেতা ইয়াবা ডেলিভারি দিতে আসলে স্থানীয় লোকজন দাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির লোকজনের সহায়তায় পালিয়ে যায়।

এসব জীবন বিধ্বংসী ক্ষতিকারক দ্রব্য সেবনের ফলে যুবসমাজের সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটছে। এরই পরিণাম স্বরূপ ছেলেমেয়ের হাতে মা-বাবা খুন, মাদকের টাকা জোগাড় করতে না পেড়ে বাবা- মায়ের কাছে টাকা চেয়ে টাকা না পেয়ে অভিমান করে আত্নহত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি এখনকার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। মাদকাসক্ত হওয়ার প্রধান কারণ হলো মাদকের সহজলভ্যতা।

পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করে মাদক বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে যুবসমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন এখানকার সচেতন মহল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bhola arrested in connection with the attack on a journalist

ভোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার -১

ভোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার -১

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলমান একটি জলকপাট নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার স্বীকার দৈনিক ইত্তেফাকের তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি রফিক সাদী ও আজকের ভোলার প্রতিনিধি মো: ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ।

শুক্রবার সকালে তজুমদ্দিন উপজেলার স্লুইস গেট এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে এই মামলার এজাহারভূক্ত আসামি আজগর (৪০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজগর হাজারীগঞ্জ এলাকার মো: মোস্তফার পুত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক এর প্রতিনিধি রফিক সাদী ও আজকের ভোলা প্রতিনিধি মো: ফারুক নির্মাণস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোলাম রাব্বানী কন্সট্রাকশন এর কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করে তাদের সাথে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।

পরবর্তীতে হামলার শিকার ওই দুই সাংবাদিকদের মধ্যে মো: ফারুক তজুমদ্দিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পলাতক রয়েছে।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মোহাব্বত খাঁন জানান, সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে ১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Feni does not have water in tube wells 

ফেনীতে নলকূপে পানি নেই 

চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ
ফেনীতে নলকূপে পানি নেই 

দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ফেনীর কয়েকটি উপজেলায়। এসব এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ নলকূপে পানি নেই। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জি.এম.হাট ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির নলকূপে মিলছে না সুপেয় পানি। বেশিরভাগ গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। একই চিত্র দেখা দিয়েছে পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, দাগনভূঁঞা ও সদর উপজেলায়। ফলে পানি সংগ্রহে বেশ দূরে ছুটছেন ভুক্তভোগীরা। বাধ্য হয়ে পুকুর বা ডোবার জীবাণুযুক্ত পানি ফুটিয়ে পান করতে হচ্ছে অনেককে।

প্রায় এলাকায় পুকুর, খাল ও জলাশয়ের পানি শুকিয়ে গেছে। অনাবৃষ্টির পাশাপাশি গরমের তীব্রতা বাড়ায় ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে গভীর নলকূপেও পাওয়া যাচ্ছে না পানি। জেলার লক্ষাধিক নলকূপে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

‘গত দুই-তিন মাস ধরে গভীর নলকূপে পানি পাচ্ছি না। পানির জন্য এলাকার লোকজন হাহাকার করছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে নলকূপ দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি করছি,’ এসব কথা বলেন ফুলগাজী উপজেলার জি.এম.হাট ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ উদ দৌলা।

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা আছমত আরা শিরি বলেন, ‘নলকূপে পানি না উঠায় আমরা পানির জন্য কষ্ট করছি। অপরদিকে নলকূপের সঙ্গে থাকা মোটরেও পানি উঠছে না। অনেক দূর থেকে পানি এনে পান করছি। ওখানেও পানি উঠছে না, দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে এক কলস পানি ভর্তি করতে হয়। নলকূপের পানির জন্য সরকার যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।’

এলাকাবাসী জানান, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গত ৪-৫ মাস ধরে তারা কোনো গভীর নলকূপে পানি পাচ্ছেন না। পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করা হচ্ছে।

ফেনী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিউল হক বলেন, ‘গত ছয় মাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির লেয়ার নিচে নেমে গিয়ে ফেনীর অনেক এলাকায় গভীর নলকূপে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পৃথিবীতে কোথাও এভাবে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে না। সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করে ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার নষ্ট করে ফেলছি। অপ্রয়োজনীয় পানি তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে। নলকূপের নির্ভরশীলতা থেকে ফিরে আসতে হবে। ফেনীতে দেড় লাখ নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নলকূপে পানি উঠছে না। বর্তমানে প্রতি ইউনিয়নে ৮টি করে নলকূপ বরাদ্দ রয়েছে। সামনে অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য চেষ্টা করছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The people of the river have begun in a severe breakdown in Jamuna

যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

বন্যার আগেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি
যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জিগাতলা এলাকায় যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ছবি: দৈনিক বাংলা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। সেইসঙ্গে অসময়ে শুরু হয়েছে নদীর পাড় ভাঙন। গত বছর নদীভাঙনের পর যেটুক ভূমি ছিল, সেটুকুও এবার ভাঙনের আশঙ্কায় চরম হতাশার দিন পার করছেন নদীপাড়ের শত শত ভাঙন-কবলিত মানুষ।

সরেজমিনে উপজেলার জিগাতলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জিগাতলা গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফসলিজমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। সেখানে এবার স্থানীয়রা ভুট্টা, তিল, বাদাম, বোরো ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করেছিল। এ ছাড়া রামপুর, গোপিনাথপুর, বাসুদেবকোল এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যায়।

গত বছরের মতো এবারও উপজেলার চিতুলিয়াপাড়া, ভালকুটিয়া, কষ্টাপাড়া ও মাটিকাটা, পাটিতাপাড়া, কোনাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকায় ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন নদীপাড়ের মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বারবার আশ্বাস দিলেও বাঁধের কাজ শুরু হচ্ছে না।

এদিকে প্রতিবছর বন্যায় ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেলা বাঁধের জিওব্যাগ আনলোড ড্রেজারগুলোর কারণে মাটি ধসে যাচ্ছে। যার ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা ও আধ পাকা সড়ক, গাইড বাঁধ, বসতবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, ছোট-বড় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

জিগাতলা গ্রামের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, এখান থেকে প্রতিবছর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হতো। সেসময় কোনো ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে পারত না, প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দিত। সাবেক এমপি ছোট মনির খোকার মাধ্যমে ঘাটটি পরিচালনা করতেন। এখন তার খেসারত দিচ্ছে এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, যমুনা নদীতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি যতদ্রুত সম্ভব ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। তা না হলে ফসলিজমির সঙ্গে তাদের ঘরবাড়িও নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আবদুল্লাহ খানকে একাধিবার মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শামীম মিয়া জানান, ভূঞাপুরের ইউএনও এসিল্যান্ডের সঙ্গে তিনি ভাঙন-কবলিত জিগাতলা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নদীভাঙনের স্থান থেকে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার নিকটে ঘরবাড়ি রয়েছে। সুতরাং এলাকাটি মনিটরিং করে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

যশোরে তক্ষকসহ দুই পাচারকারী আটক

যশোরে তক্ষকসহ দুই পাচারকারী আটক

যশোরে একটি তক্ষকসহ পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ মে) ভোরে উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের মাটিপুকুর গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন— মাটিপুকুর গ্রামের মৃত হাসেম আলী ব্যাপারীর ছেলে করিম হোসেন (৪৮) ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মামুনুর রশিদ (৪২)।

পুলিশ জানায়, গোপন খবরে মাটিপুকুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে করিমের বাসা থেকে একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।

এর আগেও করিমের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় একই অপরাধের দায়ে একটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয়েছে। আটকদের আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Teknaf gun battle Reduces 3 Yaba weapons detained

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ: গুলিবিদ্ধসহ আটক ৩, ইয়াবা অস্ত্র উদ্ধার

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ: গুলিবিদ্ধসহ 
 আটক ৩, ইয়াবা অস্ত্র উদ্ধার ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধসহ তিন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

আটকরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও গুলিবিদ্ধ আব্দুল শক্কুর (৪০)। গুলিবিদ্ধ শক্কুরকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের তুলাতলী ঘাটসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে একটি সন্দেহভাজন ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাকে থামার সংকেত দিলে পাচারকারীরা গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে কোস্ট গার্ড সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হন। প্রায় এক ঘণ্টার ধাওয়া শেষে নৌকাটি জব্দ করা হয়।

পরে নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ৯ মি.মি. বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় পাচারচক্রের আরও চার সদস্য সাগরে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।

কোস্ট গার্ড জানায়, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

অন্যদিকে স্থানীয় জেলেদের দাবি, সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আট জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। পরে গোলাগুলির ঘটনায় তাদের একজনের নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কায় স্বজনরা তুলাতলী ঘাটে ছুটে আসেন।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করছে কোস্ট গার্ড। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
1 injured in a truck microbus collision in Dinajpur

দিনাজপুরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫

দিনাজপুরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

সোমবার (১৯ মে) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের ২৬ মাইল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান জানান, গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে আজ (সোমবার) সকালে ঠাকুরগাঁওগামী একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক এবং ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুরমুখী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাস চালকসহ দুইজন নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

নিহতদের মধ্যে মাইক্রোবাস চালক মানিক (৩৫) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিহরপুর এলাকার মৃত আবুলের ছেলে।

দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত হওয়া যাত্রী দেলোয়ার হোসেন (৪৫) একই জেলার হাজীপাড়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় ট্রেজারি অফিসের একজন কর্মকর্তা। তিনি মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে।

তবে হাসপাতালে নেওয়ার সময় নিহত ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আহতদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মন্তব্য

p
উপরে