× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
UGC found evidence of illegal recruitment in Sylhet Medical University
google_news print-icon

সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগের প্রমাণ পেল ইউজিসি

সিলেট-মেডিক্যাল-বিশ্ববিদ্যালয়ে-অবৈধ-নিয়োগের-প্রমাণ-পেল-ইউজিসি
সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক। ফাইল ছবি
তদন্ত কমিটির এক সদস্য সোমবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের তদন্ত প্রতিবেদনে আমরা অনুমোদিত পদের বাইরে অতিরিক্ত ১০৯ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিতে হয়।’

সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অনুমোদিত পদের বাইরে অতিরিক্ত ১০৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

তদন্ত কমিটির এক সদস্য সোমবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের তদন্ত প্রতিবেদনে আমরা অনুমোদিত পদের বাইরে অতিরিক্ত ১০৯ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১১২টি পদের। এর মধ্যে সব পদে এখনও নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে ১০৯টি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির নীতিমালা ও নিয়োগের নিয়ম মানা হয়নি।’

তদন্ত প্রতিবেদনে কী কী সুপারিশ করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা অস্থায়ীভাবে আর নিয়োগ না দেয়া, যেসব পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের মেয়াদ না বাড়িয়ে অনুমোদিত পদে উন্মুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছি। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পদে (রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালকসহ) উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করেছি।’

জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। প্রতিবেদনে আমরা নিয়োগে যেসব নিয়মের ব্যত্যয় পেয়েছি, তা উল্লেখ করেছি। এর বাইরে আমার বলার কিছু নেই।’

ইউজিসি থেকে জানা যায়, তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে ইউজিসি। এ ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ইউজিসির এক সদস্য এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ইউজিসি সচিবকে রাখার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

যেসব অনিয়ম উঠে এসেছে

ইউজিসি থেকে জানা যায়, তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের অস্তিত্ব না থাকলেও আটজনকে ডিন নিয়োগ দেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া উপাচার্যের আত্মীয় ও নানাজনের সুপারিশে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

দেশের চতুর্থ এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা ২০১৮ সালে। সে বছরের ১৪ নভেম্বর ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়। এখনও শুরু হয়নি নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ। শুরু হয়নি নিজস্ব শিক্ষা কার্যক্রমও।

এ অবস্থায় উপাচার্যের বিশেষ ক্ষমতাবলে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় ১৭২ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ) নঈমুল হক চৌধুরী। এ দুজনের বিরুদ্ধেই নিয়োগবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

বর্তমানে নগরীর চৌহাট্টায় অস্থায়ী কার্যালয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। দক্ষিণ সুরমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি অধিগ্রহণ হলেও সেখানে জমি ও অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয়নি।

এই বিপুলসংখ্যক জনবলের বসার জায়গাও নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে; নেই তেমন কোনো কার্যক্রমও। অর্থের বিনিময়ে ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ নিয়ে গত ২৫ অক্টোবর নিউজবাংলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস-শিক্ষার্থী কিছুই নেই, জনবল প্রায় ২০০ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এরপর বিষয়টি তদন্তে কমিটি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। গত বছরের ১৬ নভেম্বর ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন।

এর আগে ১ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটিও নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত করতে সিলেট যান।

অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগের কথা স্বীকার করে সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী এর আগে নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘জরুরি প্রয়োজন মেটাতে অ্যাডহক ভিত্তিতে শখানেক লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বেশির ভাগই কর্মচারী পদে নিয়োগ পেয়েছেন। যথাযথ নিয়ম মেনেই তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Professor Fazlul Halim Chowdhurys 28th death anniversary today

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের বাবা অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৯ এপ্রিল)।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৫১ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কো দিল্লির বিজ্ঞান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফলিত রসায়ন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সভাপতি।

অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কুমিল্লা জেলার কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল আজিজ চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ, মাতা আফিফা খাতুন।

বরেণ্য এ অধ্যাপকের মেয়ে হয়েছেন বাবার মতো গুণী। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Time to collect admit card is nearing its end
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষের পথে

প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষের পথে ফাইল ছবি।
সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের আসন বিন্যাসও দেখতে পারবেন।

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিজেদের আইডিতে প্রবেশ করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের আসন বিন্যাসও দেখতে পারবেন।

এছাড়াও যেসব ভর্তিচ্ছুর ছবি বা সেলফি কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী আপলোড করা হয়নি, তাদেরকেও সোমবারের মধ্যে সংশোধিত ছবি বা সেলফি আপলোডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার সোমবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার বলেন, ‘২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের সুযোগ আজই (সোমবার) শেষ হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ২৩ মার্চ এটি উন্মুক্ত করা হয়।

‘যেসব আবেদনকারীর ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুযায়ী গৃহীত হয়নি, তারা সোমবার রাত ১০টার মধ্যে অবশ্যই জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবি বা সেলফি অথবা উভয়টি আপলোড সম্পন্ন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। না হলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।’

উপাচার্য অধ্যাপক নাছিম আখতার জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়েছে। এবার মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

এ বছর প্রায় ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬। এবার প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে গড়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ২৭ এপ্রিল শনিবার (এ ইউনিট-বিজ্ঞান), ৩ মে শুক্রবার (বি ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (সি ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা এবং অন্য দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন:
ঢাবিতে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চয়তায় সাইফুল
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম যারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল ঘোষণা
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
HC orders BUET rabbi to return hall seat

বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট। ফাইল ছবি
বুয়েটের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছে।

এর আগে রোববার ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে বুয়েটের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে ইমতিয়াজের হলে সিট ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সোমবার ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন।

জানা যায়, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে ২৭ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের একটি দল প্রবেশ করে। এর প্রতিবাদে ২৯ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল (আবাসিকতা) বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

পরে ২৯ মার্চ রাতে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদারের নির্দেশে ইমতিয়াজ হোসেনের হলের আসন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বুয়েটের রেজিস্ট্রার মো. ফোরকান উদ্দিন।

একইসঙ্গে জানানো হয়, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এদিকে ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়। ২০১৯ সালে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থগিত করে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন:
বুয়েটের ছাত্রলীগমনা ২১ শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি
রাজনীতিমুক্ত বুয়েটের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ছাত্রদলের সংহতি প্রত্যাখ্যান করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা
‘হত্যার হুমকি’ পাচ্ছেন বুয়েটের ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা, উপাচার্যের কাছে আবেদন
প্রধানমন্ত্রীকে বুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি, প্রয়োজনে আইন সংশোধনের অনুরোধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Distribution of Chhatra Leagues Eid materials among the needy

অসহায়-ছিন্নমূলদের মাঝে ছাত্রলীগের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

অসহায়-ছিন্নমূলদের মাঝে ছাত্রলীগের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অসহায়-ছিন্নমূল ৭০০ পরিবারের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু। পুরো রমজান মাসজুড়ে অসহায়-ছিন্নমূল মানুষের মাঝে সেহেরি বিতরণ করছেন তিনি।

রোববার ওই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ উপলক্ষে সজল কুন্ডু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুরকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আবহমানকাল থেকে এখানে সব ধর্মের মানুষ একত্রে বসবাস করছে। এই সম্প্রীতি আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তি আজ দেশের সর্বমহলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে ধর্মীয় উৎসব পালন করছে। আমাদের মাঝে কোনো ভেদাভেদ নাই। সবসময় আমাদের এই ভাতৃত্বের বন্ধন অটুট থাকবে।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো সংকটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। আগামী ২০৪১ সালের উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Distribution of Eid gifts among street children in DU

ঢাবিতে পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

ঢাবিতে পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সুইমিংপুল সংলগ্ন মাঠে বিতরণের এ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে নতুন কাপড় তাদের ঈদের খুশি এনে দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে থাকা ভাসমান সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের পক্ষ থেকে এই উপহার বিতরণ করেছেন।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সুইমিংপুল সংলগ্ন মাঠে বিতরণের এ আয়োজন করা হয়। আয়োজন শেষে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে নতুন কাপড় তাদের ঈদের খুশি এনে দিয়েছে।

ঈদ উপহার পেয়ে টিএসসির এক সুবিধাবঞ্চিত শিশু রাব্বি বলেন, আমাদের সবাইকে অনেক সুন্দর সুন্দর কাপড় দিয়েছে। অনেক খুশি লাগছে আমার। এবার ঈদের দিন এই পাঞ্জাবিটা পরে ইদ করবো আমি৷

এই আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম বাসেত বলেন, প্রত্যেক বাগান মালিই তার বাগানের ফুলগুলোর যত্ন করে। ওরা আমাদের বাগানের ফুল, আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ ওদের যত্ন নেয়া। আমাদের সভাপতি শয়ন ভাই সবসময় ওদের খোঁজ খবর রাখেন।

এসময় সেখানে অন্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদিন, রেজাউল করিম রিয়াদ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মাউনজিরা বিশ্বাস সুরভী, নাট্য ও বিতর্ক উপসম্পাদক সাইফ আকরাম, মানবসম্পদ উপসম্পাদক মিজানুর রহমান, গণযোগাযোগ উপসম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ তিতাস প্রমুখ।
মনিরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Scam in the name of job vice chancellor by opening fake email

ভুয়া ইমেইল খুলে জবি উপাচার্যের নামে স্ক্যাম

ভুয়া ইমেইল খুলে জবি উপাচার্যের নামে স্ক্যাম কোলাজ: নিউজবাংলা
সবাইকে এই অসাধু উদ্দেশ্যে তৈরি ইমেইল থেকে আসা সব বার্তা পরিহার করে চলতে ও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতেও অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নামে ভুয়া ইমেইল আইডি খুলে করে বিভিন্ন মানুষকে স্ক্যাম মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি অসাধু মহল [email protected] নামের ইমেইল অ্যাড্রেসটি থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে স্ক্যাম মেসেজ পাঠাচ্ছে। এই ইমেইলটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নয় এবং এর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়র কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই।

স্ক্যামের উদ্দেশ্যে তৈরি করা এ ইমেইলটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া সবাইকে এই অসাধু উদ্দেশ্যে তৈরি ইমেইল থেকে আসা সব বার্তা পরিহার করে চলতে এবং এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি শাহীনুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের অধীনে পরিচালিত সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

‘তারা বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ জিডির বিস্তারিত গোপন রেখেছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
21 students of BUETs Chhatra League open letter to the Prime Minister

বুয়েটের ছাত্রলীগমনা ২১ শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি

বুয়েটের ছাত্রলীগমনা ২১ শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা এই খোলা চিঠি পাঠ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
এর আগে প্রয়োজনে আইন সংস্কার করে হলেও বুয়েটকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি দিয়েছিল ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

নিরাপদ ক্যাম্পাস, নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা এবং সাহসের সঙ্গে প্রগতিশীল রাজনীতি চর্চা করার অধিকার চেয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই খোলা চিঠি পাঠ করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বুয়েটের ২১ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আমাদের এই খোলা চিঠি।’

এর আগে প্রয়োজনে আইন সংস্কার করে হলেও বুয়েটকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি দিয়েছিল ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রলীগমনা শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠিতে বলা হয়, ‘হে দেশরত্ন, বঙ্গবন্ধু তনয়া, আমাদের সাহায্য করুন। আমরা স্বাভাবিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা চাই। আমরা চাই না যে আমাদের ক্যাম্পাস জঙ্গী তৈরির কারখানা হোক। আমরা চাই না দেশে দ্বীপ ভাই, সনি আপু ও আবরার ফাহাদ ভাইয়ের মতো নির্মম ঘটনা ঘটুক। আমরা দ্বিতীয় কোনো হলি আর্টিসান ঘটনাও চাই না। আমরা চাই না তন্ময় ভাইয়ের মতো কেউ শিবিরের নৃশংস হামলার ক্ষতচিহ্ন নিয়ে জীবনযাপন করুক।’

হিজবুত তাহারীর বা শিবিরের সন্ত্রাসী আক্রমণ থেকে কতটা নিরাপদ বুয়েটের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি- এমন প্রশ্ন তুলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র মেধাবীদের এই ক্যাম্পাসকে কতটা নজরদারিতে রেখেছে বা এর প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করছে আমরা জানি না। যেকোনো বড় ধরনের নাশকতার ঘটনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলে হলি আর্টিসানের মতো কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশংকা করছি আমরা ক্যাম্পাসের প্রগতিশীল ছাত্রসমাজ।’

তারা বলেন, ‘এ বিষয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা কতটুকু তাও আমরা জানি না। অতিসত্ত্বর বুয়েট নিয়ে তাদের কার্যক্রম জোরদার করার দাবি জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খোলা চিঠিতে বলা হয়, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতিকে একপ্রকার নিষিদ্ধ কাজ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আমরা প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তাধারায় বিশ্বাসী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরাও অংশ নিতে চাই দেখে আমাদের ক্যাম্পাসে দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক নিপীড়ন চলে আসছে, যা বর্তমানে আমাদের জীবনের হুমকিতে রূপ নিয়েছে।

প্রধামন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়ে খোলা চিঠিতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার প্রতি এবং আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমরা আমাদের আকূল আর্জি রাখলাম, আমাদের নিরাপদ ও স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্যাম্পাস উপহার দিন। দেশ ও দশের প্রতি ভালোবাসা রেখে সকলের কল্যাণকে মাথায় রেখে আমরা ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিস্থিতি চাই এবং জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমরা বুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপদে এবং সৎ সাহসের সঙ্গে প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চা করতে চাই।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের অপদস্ত হতে হচ্ছে দাবি করে চিঠিতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আমরা বলতে চাই, শুধুমাত্র স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য যে পরিমাণ বুলিং করা হয়েছে আমাদের ওপর, তা অকথ্য। আবরার ফাহাদ ভাইয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়, কিন্তু এরপর র‍্যাগিং বা এর সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আইনভঙ্গের অভিযোগ না থাকলেও সংখ্যালঘু ছাত্রদের ওপর শুরু হয় পাবলিক হিউমিলিয়েশন (গণ অপদস্ত) এবং ডিফেমেশন (সম্মানহানি) যা হয় শুধুমাত্র স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হওয়ার কারণে।

শিবির এবং হিজবুত তাহরীরের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে শিক্ষার্থীদের জবাবদিহিতা, বুলিং এবং সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে খোলা চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মনন চর্চার মুক্তমঞ্চ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদ-বিরোধী অবস্থান রাখাকে কীভাবে অভিযোগ হিসেবে তুলে ধরা হয় তা আজও জবাবদিহিতা চাওয়া প্রত্যেক ছাত্রের প্রশ্ন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের দুইজন সহপাঠীকে আহসান উল্লাহ হলে রাত এগারোটা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত জবাবদিহিতার নামে প্রহসনমূলক র‍্যাগিং বা বুলিং এবং কমন রুম ও মাঠে একটানা অপমান করা হয়। আমাদের নিচু দেখিয়ে কথা বলাও শুরু হয় এবং হল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র মতপ্রকাশ করেছিলাম। স্বধীন এই বাংলায় এই অধিকার কি আমাদের নেই? পরবর্তীকালে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ছাত্ররা এক রাতে একসঙ্গে বসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা ও খাওয়া-দাওয়া করলে আবারও ছুটে আসে সোশ্যাল ডিফেমেশন এর কালো ছায়া। এতে প্রমাণবিহীনভাবে রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিত থাকার বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল গ্রুপ থেকে বের করে দেয়া হয়।

‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ সদস্যদের ক্লাব থেকে বের করে দেয়া হয়। এমনকি ক্লাস শিডিউল ও পরীক্ষার রুটিন সঠিক সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রদের না জানানোর আদেশ দেয়া হয়। আমরা এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করলেও কোনো মীমাংসা আজও পাইনি।’

চিঠিতে বলা হয়, সর্বশেষ ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ক্যাম্পাসে আসা এবং তার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাতের কারণে ইমতিয়াজ রাব্বিকে বহিষ্কারের দাবি করা হয় এবং উপাচার্য মহোদয় কোনো তদন্ত ছাড়াই সেই দাবি গ্রহণ করেন। এই আন্দোলন ক্যাম্পাসে শান্তির পরিবেশ নষ্ট করে যা পরীক্ষা বয়কটের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এরই সঙ্গে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানি এবং ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আমাদের উক্তিতে উঠে আসা ঘটনাগুলোতে সবসময়ই হোতা কিছু নির্দিষ্ট মানুষই, যাদের সঙ্গে শিবির সন্দেহে আটককৃতদের সম্পৃক্ততা এবং মৌলবাদী চিন্তা পালনের দৃষ্টান্ত মেলে। অনেক ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক মতামত প্রতিষ্ঠার জোরও চালানো হয় তাদের দ্বারা। তবে এই অন্ধকার রাজনীতি আড়াল নেয় আবরার ফাহাদ ভাইকে হারানোর বেদনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনা’ বিষয়ক ক্লাব প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে- দাবি করে চিঠিতে বলা হয়, এর জন্যই কি আমাদের এই স্বাধীনতা? জাতির জনকের জন্মবার্ষিকীতে ইফতার বিতরণ কীভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়?

চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে এই সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আমাদের জীবন হুমকিসহ নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে। শিবির দ্বারা পরিচালিত ‘বাঁশের কেল্লা’র পক্ষ থেকে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হচ্ছে। আমাদের জীবন হুমকিতে। হে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আমাদের রক্ষক, আপনি সহযোগিতা করুন, আমাদের আবেদন শুনুন।’

আরও পড়ুন:
রাজনীতিমুক্ত বুয়েটের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মন্তব্য

p
উপরে