রাজশাহী নগরীতে ‘ধর্ষণের শিকার’ হওয়ায় মাদ্রাসা থেকে শিশু শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারীয়া পেরেরা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে রোববার তদন্তের এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর নজরে আসে। ঘটনা তদন্তে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই উদ্যোগ নেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জয়া বলেন, ‘ওই ছাত্রীর বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা ঘটনাটি তদন্ত করব। আমরা বাচ্চাটিকে সেখানে পড়ারও ব্যবস্থা করে দেব। কেন সে সেখানে পড়তে পারবে না? এটি তার অধিকার।
‘জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ আমরা সোমবারই সেখানে যাব, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলব। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
জয়া জানান, তদন্ত শেষে ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
‘ধর্ষণের শিকার’ শিশুটি পড়ার সুযোগ পেল না মাদ্রাসাতেও শিরোনামে এ ঘটনার সংবাদ প্রথম প্রকাশ করে নিউজবাংলা।
ওই শিশুটির বয়স ৮। দুই বছর আগে তাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় প্রতিবেশী এক কিশোরকে, যে এখন আছে কারাগারে।
শিশুর মা নিউজবাংলাকে জানান, চলতি মাসের শুরুতে নগরীর হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকার উম্মাহাতুল মুমিনীন মহিলা মাদ্রাসায় মেয়েকে ভর্তি করিয়েছিলেন। ভর্তির তিন দিন পরই শিশুটিকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। ফেরত দেয়া হয় ভর্তি ও আবাসিকের জন্য জমা দেয়া টাকাও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. হাবিবুল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটার ব্যাপারে অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এসে অভিযোগ করে আমাকে বলেছিল যে, তার সমস্যা আছে। আমি নাকি যাকে-তাকে ভর্তি নিয়ে নিচ্ছি। অভিভাবকদের আপত্তি থাকায় এই মেয়েটার ভর্তি বাতিল করতে হয়েছে। টাকাও ফেরত দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ভুল প্রতিপাদ্যের ব্যানারেই বিশ্ব জাদুঘর দিবস-২০২২ পালন করল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)।
এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘দ্য পাওয়ার অব মিউজিয়ামস’। কিন্তু বুধবারের অনুষ্ঠানের র্যালির ব্যানারে লেখা ছিল ‘দ্য ফিউচার অব মিউজিয়ামস: রিকভার অ্যান্ড ইমাজিন’।
মূলত এ প্রতিপাদ্যটি গত বছরের। সেই প্রতিপাদ্যটিই এবারের অনুষ্ঠানে লেখা হয়েছে, তাও ভুলভাবে।
আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস ২০২১-এর প্রতিপাদ্য ছিল ‘দ্য ফিউচার অব মিউজিয়ামস: রিকভার অ্যান্ড রিইমাজিন’। যেখানে চবির বুধবারের অনুষ্ঠানে ‘রিইমাজিনের’ জায়গায় লেখা হয়েছে ‘ইমাজিন’। একই ভুল ছিল জাদুঘর দিবসের র্যালির ক্যাপেও।
বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ব জাদুঘর দিবস-২২ উপলক্ষে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে চবি জাদুঘর ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে আলোচনা সভা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে।
ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামসের (আইসিওএম) আহবানে ১৯৭৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস পালিত হচ্ছে। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আইসিওএম। এর সদস্য হিসেবে বর্তমানে ১০৭ দেশের ২৮ হাজার জাদুঘর যুক্ত রয়েছে। প্রতি বছরই একটি স্লোগান সামনে রেখে এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দ্যা পাওয়ার অব মিউজিয়ামস’।
তবে জাদুঘর দিবসের প্রতিপাদ্যে এমন ভুল কেন? জানতে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ও জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক বলেন, ‘আমি একটা মিটিংয়ে আছি। কথা বলা সম্ভব না।’
জাদুঘরের সেকশন অফিসার আবদুস শুকুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা আমরা অনেক যাচাই-বাছাই করে ইন্টারনেট থেকে নিয়েছিলাম। তবে আজকে সকালে দেখলাম সেটা পরিবর্তন করেছে। আমরা বিষয়টা জানতাম না। নতুনটা আমরা আজকেই দেখছি।’
জাদুঘর শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমরা দুই দিন আগে ব্যানার ও দাওয়াত কার্ড করেছি। পরশু পর্যন্ত ২২ সালের থিমে আমরা দেখেছিলাম ‘দ্যা ফিউচার অব মিউজিয়ামস: রিকভার অ্যান্ড ইমাজিন’ লেখা ছিল। আজকে আমরা দেখেছি থিম চেঞ্জ হয়েছে।’
সকালে পরিবর্তন করা হয়নি কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকালে আমাদের নজরে আসেনি। আপনি বলার পর বিষয়টা আমরা দেখলাম।’
চবি আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় তার যে নির্ধারিত দায়িত্ব, দক্ষতা ও যোগ্যতা এ সমস্ত জায়গা থেকে আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে। এটা যে প্রথমবারের মতো ভুল হয়েছে এমন নয়। এর আগেও হয়েছে।
‘শুধু একটা ঘটনা নয়, একের পর এক ধারবাহিকভাবে এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তার মানে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতার অভাব রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একবার ঘটলে সেটা মানবিক ভুল। কিন্তু একই ঘটনা বারবার ঘটা দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক। তারা দায়িত্ব এড়ানোর জন্য বারবার বলে আজকে দেখেছি। এটা দায়িত্বহীনতা।’
আরও পড়ুন:বর্ষার আগেই সিলেটের নদীগুলো খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এই দুই নদী খনন করতে হবে। এ ব্যাপারে আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক।’
নগরের চালিবন্দর এলাকায় বুধবার দুপুরে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে এই মৌসুমে সব সময়ই ঢল নামে। আমরা ছেলেবেলাতেও এমনটি দেখেছি। কিন্তু পানি আটকে থাকত না। চলে যেত। কারণ আমাদের আগে অনেক পুকুর ও দিঘি ছিল। প্রত্যেক বাড়ির সামনে পুকুর ছিল। আর সিলেটকে বলা হতো দিঘির শহর। কিন্তু এখন আমরা নগরের ভেতরের সব পুকুর-দিঘি ভরাট করে বড় বড় বিল্ডিং করেছি। হাওরগুলো ভরাট করে ফেলেছি।
‘এ ছাড়া প্রধান নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। খালি মাঠগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে পানি নামতে পারছে না। যেকোনো দুর্যোগেই সিলেটের জন্য এটা একটি ভয়ের কারণ।’
মন্ত্রী নগরের ভেতরের পুকুর-দিঘিসহ জলাশয়গুলো রক্ষায় সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া ড্রেনগুলো খনন করা ও আরও বড় করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সিস্টেমটাকে নষ্ট করা যাবে না।
বন্যার্তদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই পানি বেশি দিন থাকবে না। দ্রুতই নেমে যাবে। ফলে কয়েকটা দিন কষ্ট করতে হবে। এই সময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।’
ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকায় ২৫ লাখ টাকা ও ২০০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেয়া হবে।
‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত আছে। আমরা আজকে সিলেটের দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখব। প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করব। সবার সঙ্গে আলাপ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানব। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই এই অঞ্চলে ঢল নামে। কিন্তু এবার ব্যাপক আকারে ঢল নামছে। সিলেটের উজানে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবার বন্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।’
বন্যা মোকাবিলায় আগামী দিনে এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান এই প্রতিমন্ত্রীও। তিনি বলেন, নদীর পানি ধারণক্ষমতা কমে গেছে। এই নদীগুলো ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চালিবন্দরে ত্রাণ বিতরণ শেষে দুই মন্ত্রী মিরাবাজার এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন। এরপর সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।
আরও পড়ুন:বিয়ের দু সপ্তাহের মাথায় স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ করেন নিহত শিশু সামিউলের মা। এর কারণও ছিল সামিউল। বিয়েবিচ্ছেদের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন ফজলুল হক। তাই প্রতিশোধ নিতে খুন করেন শিশু সামিউলকে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে বগুড়ার শাজাহানপুরের লাউয়ের ক্ষেত থেকে ৮ বছরের শিশু সামিউলের গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিকেলে সামিউলের সৎ বাবা ফজলুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ও সহযোগিতা করার অপরাধে অনীতা রাণীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফজলুল শাজাহানপুরের খরনা ইউনিয়নের কমলাচাপড় গ্রামের এবং অনীতা চেলোগ্রামের বাসিন্দা। তারা একসঙ্গে দিনমজুরের কাজ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি সুদীপ কুমার জানান, সামিউলের বাবা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে মা সালেহা বেগম গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ফজলুল হককে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ফজলুল সৎ ছেলে সামিউলকে মেনে নিতে পারেননি।
তিনি প্রায়ই সামিউলকে সালেহার মা ও বোনের কাছে রেখে আসতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। ফজলুল প্রায়ই রাতের বেলা সামিউলকে ঘরের বাইরে রেখে দরজা বন্ধ করে দিতেন। এমনকি খাবার না দিয়ে তাকে অনাহারে রাখতেন। ঈদে সামিউল তার মায়ের সঙ্গে বেড়াতে যেতে চাইলে ফজলুল তাদের মারধর করে সালেহার বোনের বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এসব কারণে গত ১১ মে সালেহা ফজলুলের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ করেন। এ ঘটনার পর থেকেই ক্ষুব্ধ হন ফজলুল।
এসপি আরও জানান, পরে ১৬ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সামিউলের মাদ্রাসায় যান ফজলুল। সেখানে গিয়ে সামিউলকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান। কিন্তু মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী মায়ের অনুমতি ছাড়া ছাত্রদের বাইরে যাওয়ার নিষেধ থাকায় অসম্মতি জানান মাদ্রাসার শিক্ষক আবু মুছা।
এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অনীতা রানী সামিউলের মা সেজে মোবাইলে কথা বলেন মাদ্রাসা শিক্ষকের সঙ্গে। কথা বলে নিশ্চিত হলে সামিউলকে ফজলুলের সঙ্গে যেতে দেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
এর পরপরই ফজলুল সামিউলকে মানিকদিপা এলাকার লাউ ক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে সামিউলের গলায় সুতার রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
সুদীপ কুমার বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড ফজলুল একাই করেছে। অনীতা মোবাইলে নকল মা সেজে ফজলুলকে সহযোগিতা করায় অপরাধ করেছে। তবে অনিতা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতেন না। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুইজনের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন:খুলনা রেলওয়ের স্টেশনের পাচঁ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগ এনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার গত ১৬ মে খুলনা রেলওয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিটি করেন।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খবির আহমেদ জানিয়েছেন, অভিযোগ তদন্তের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন খুলনা রেল স্টেশনের টিএক্সআর বাইতুল ইসলাম, আইডাব্লিউ জাফর মিয়া ও তোতা মিয়া, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আশিক আহমেদ ও মো. জাকির হোসেন। এছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয় ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নামে ভুয়া টিকিটের চাহিদা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করেন। টিকিট না দিলে বহিরাগতদের ডেকে এনে তাকে চাপ দেন। সম্প্রতি তাদের চাহিদা এতটা বেড়েছে যে, টিকিট না পেলে স্টেশন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারধর করার মত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পাঁয়তারা করছেন।
অভিযুক্তরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন। স্টেশনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদে নির্দেশে এই জিডি করা হয়েছে।
ওসি খবির আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাধারণ ডায়েরিটি তদন্তের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জ সদরে পানিতে ভাসমান হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার মালেঙ্গায় মধুমতী বিলরুট চ্যানেল থেকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম বেলাল হোসেন। তিনি কাশিয়ানী উপজেলার কুমরিয়া গ্রামের বসার বিশ্বাসের ছেলে।
এর আগে উলপুর ইউনিয়নের নারী মেম্বার ফারজানা বেগম মরদেহটি ভাসতে দেখে ৯৯৯-এ ফোন দেন।
বৌলতলি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এ এইচ এম জসিমউদ্দিন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করতে হাত-পায়ে ছয়টি ইট বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকার কলসীদীঘি পারের দোকাপাট ও বসতবাড়িতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার।
তিনি বলেন, ‘আগুনে নিভলেও এখনও কয়েক জায়গায় ধোঁয়া দেখছি। সেগুলোতে পানি ছিটানো হচ্ছে। অর্ধশতাধিক কাঁচাঘর ও দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।
‘যে বৃদ্ধ মারা গেছেন তিনি আগুন লাগার সময় একটি লেপ-তোশক বানানোর দোকানে ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। উনি চোখে দেখতেন না, কানেও শুনতেন না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ওই বৃদ্ধ আগুনের তাপে ও ধোঁয়ায় মারা গেছেন।’
তিনি জানান, বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকায় আগুন লাগে। এরপর তা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। সেখানে একটি ঘর থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুই ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের পোশাক কারখানার গুদামে লাগা আগুন।
ফায়ার সার্ভিসের ছয় ইউনিটের চেষ্টায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় নূর গ্রুপের রাইয়ান নিট কম্পোজিট লিমিটেডের গুদামে আগুন লাগে।
কারখানার শ্রমিক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চায়না থেকে আমদানি করা প্রচুর ফেব্রিকস কারখানার পঞ্চম তলার গুদামে মজুত করা ছিল। সকালে হঠাৎ গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখি। এরপর সবাই দ্রুত কারখানা থেকে বেরিয়ে আসি।’
ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর সাইফুল জানান, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কালিয়াকৈরের তিনটি ও ইপিজেডের তিনটি ইউনিট কাজ করে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে গুদামের অনেক মালামাল পুড়ে গেছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য