× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The list of anti boat MPs ministers is Nasim
google_news print-icon

নৌকাবিরোধী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা হচ্ছে: নাছিম

নৌকাবিরোধী-এমপি-মন্ত্রীদের-তালিকা-হচ্ছে-নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ছবি: সংগৃহীত
নিউজবাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর আধিক্য এবং বিদ্রোহীদের শাস্তি দেয়া নিয়ে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতির সংলাপের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রসঙ্গেও।  

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সাবেক সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও। নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপে তিনি চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলে যে বিতর্ক হচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতির সংলাপের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রসঙ্গেও।

প্রশ্ন: এবার যে কয়েকটি ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের ফল বিপর্যয় হয়েছে। বিদ্রোহীরা নৌকার জয় কেড়ে নিয়েছে। আপনার মন্তব্য?

বাহাউদ্দিন নাছিম: যতগুলো ধাপে নির্বাচন হয়েছে, তাতে মাঠে নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহী হয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে আওয়ামী লীগেরই স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আওয়ামী লীগ যেহেতু শৃঙ্খলার ভেতর দিয়ে দলকে পরিচালিত করে, সে জন্য যারাই দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করছে, তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে, শোকজ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে, বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যেহেতু মাঠে অন্য দল নেই, আওয়ামী লীগই আছে, এ কারণে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এটাকে ইতিবাচক দিক হিসেবে আমরা নিচ্ছি না।

আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। জনগণ ভোট কেন্দ্রে আসুক, জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে, আমরাও কাজ করছি। একটি অর্থবহ নির্বাচন হচ্ছে এটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত যতটুকু তথ্য উপাত্ত আছে, তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই মেজরিটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। কারণ যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছে, তারাও আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী। নৌকামার্কা ও স্বতন্ত্র এক সঙ্গে যোগ করলে তার ফলাফল কিন্তু আওয়ামী লীগই হবে।

মাঠে তো আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই রয়েছে। আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার বাইরে যারা আছে, তারাও তো আওয়ামী লীগেরই। তাহলে এখানে বিপর্যয়টা কোথায়? আমরা মনে করি, এখানে বিপর্যয়টা হলো যারা নির্বাচন করল না, কিংবা দলীয় পরিচয় গোপন করে যারা নির্বাচন করল, সেই বিএনপির। তাদের প্রার্থীরা জনগণের কাছে জায়গা করতে পারেনি বলে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি। দলীয় পরিচয় আড়াল করে নির্বাচন করায় বিএনপি সত্যিকার অর্থে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে এর মাশুল গুণতে হবে।

নৌকাবিরোধী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা হচ্ছে: নাছিম
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীদের মধ্যে অনেককে পরাজয় দেখতে হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

প্রশ্ন: শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে বলা হচ্ছে, ফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ তৃণমূল থেকে সঠিক তথ্য-উপাত্ত না আসা। তা হলে কেন্দ্রের কাজ কী? কেন্দ্র তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: তৃণমূল থেকে যে তথ্য-উপাত্ত আসছে, সেটা সব সঠিক না। তবে এটা বলা যাবে না, সব ভুল। কোনটা সঠিক, কোনটা ভুল, সেটা একটু সময় নিয়ে বুঝতে হয়। এই মুহূর্তে যে তথ্য আসবে, দুই সপ্তাহ পর আরও যে তথ্য আসছে, সেটা মিলিয়ে দেখে বিচার-বিশ্লেষণ করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে।

সিদ্ধান্ত দেয়া ও নেয়ার ক্ষেত্রে নানা দিক বিবেচনা করে সময় নিয়ে করাটাই ভালো। আমরা সময় নিয়েই সিদ্ধান্তে আসব। কারণ তথ্য-উপাত্ত যেগুলো আসছে, সেখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যত্যয় হয়েছে। তবে পুরোটাই হয়েছে, এমন নয়। আমরা দেখেছি, অনেক জেলা-উপজেলা থেকেই সঠিক তথ্য পাঠিয়েছে। যেখানে ব্যত্যয় হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। ইতোমধ্যে যারা ভুল তথ্য পাঠিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আলোচনা হয়েছে। সেটা অবশ্যই সময় মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রশ্ন: কী ব্যবস্থা নেয়া হবে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগে গঠনতন্ত্রের বিধি অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। সেটা বহিষ্কার, শোকজ হতে পারে। কাউকে আগামীতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সুযোগ দেয়া হবে না, একটি কিংবা দুটি নির্বাচনে। আর পাপের মাত্রা বেশি হলে তাকে চিরস্থায়ী বহিষ্কার কিংবা প্রাথমিক সদস্যপদ কেড়ে নেয়া যেতে পারে। কাউকে দলের মূল নেতৃত্বে আসার সুযোগ দেয়া থেকে বিরত রাখা হতে পারে।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অনেকগুলো ধাপ আছে, যার যেটা প্রাপ্য তাকে সেটা দেয়া হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনা করেই তা দেয়া হবে। আমাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা এসব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রশ্ন: নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে যেসব সংসদ সদস্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তৃণমূল থেকে দাবি উঠেছে। সেই ব্যবস্থা নেয়া কত দূর?

বাহাউদ্দিন নাছিম: কঠিন একটি আপেক্ষিক শব্দ। প্রায়োগিক শব্দ। এই শব্দটি রাজনৈতিকভাবে আমরা বিভিন্নখানে বলি। যে যত টুকু অন্যায় করবে, সে অনুসারে তার শাস্তি হবে। যেটা আমি আগেও বলেছি। কারও জন্য সেটা সহজ, কারও জন্য কঠিন হবে। কারও জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যাদের যা শাস্তি হবে, তা সাংগঠনিক বিধি-বিধানের ভেতরেই হবে। রাজনৈতিক দলে তো আর মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সুযোগ নেই।

প্রশ্ন: যারা বিদ্রোহীদের মদদদাতা তাদের কি কোনো তালিকা করা হচ্ছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: নির্বাচনের আগে যে সিদ্ধান্ত আছে, এদের ব্যাপারে শেষ ধাপের নির্বাচনের ফলাফলের পরেই ব্যবস্থা নেব। এগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জায়গা হলো আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি।

নৌকাবিরোধী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা হচ্ছে: নাছিম

প্রশ্ন: অনেক জায়গায় বেশির ভাগ বিদ্রোহী পাস করেছে। এমন জায়গার এমপি-মন্ত্রীদের প্রতি কেন্দ্রের বার্তা কী থাকবে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: অনেক জায়গায় এমন খবর আছে, এর সত্যতাও আছে। এ সকল ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে নেত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের একটি সভা হয়েছে, সেখানে তালিকা প্রণয়নের কাজ করা হচ্ছে। তবে তালিকা প্রণয়ন করা আসলে এত সহজ নয়। এসব ক্ষেত্রে দোষারোপের আসলে একটি বিষয় থাকে। অনেক ঢালাও দোষারোপ করা হয়। আমরা আসলে এ ক্ষেত্রে প্রকৃত দোষী কে, এটা যাচাই করছি। সেভাবেই (এর ওপর নির্ভর করে) একটি তালিকা করা হবে। যদি এমন পাওয়া যায় যে, কোনো এমপি-মন্ত্রী এমনটা করেছে, নিশ্চয়ই সে ক্ষেত্রে তার নাম উপস্থাপন করা হবে। সেখানে কে কত ক্ষমতাশালী, এটা বিষয় না। দলের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার কর্মটাই বিবেচ্য। যারা এটা করবেন, সেটা সুষ্ঠুভাবে করেছেন কিনা সেটাও দেখার বিষয়। এ জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকরা তথ্য নিচ্ছেন, এটা নেত্রীর কাছে জমা দেবেন।

প্রশ্ন: ইউপি নির্বাচনে যারা দলের বিদ্রোহী, তাদের স্থানীয়ভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এটা কি তারা করতে পারেন? কারণ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুসারে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠানোর কথা। এ বিষয়ে দল কী ভাবছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: যারা দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে, এটা আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সে অনুসারে স্থানীয়ভাবে উপজেলা ও জেলা থেকে সুপারিশের আলোকেই শোকজ, বহিষ্কার করা হয়। এমনই বলা হয়েছে, জেলা থেকে সেগুলো কেন্দ্রে আসবে। কোনো কোনো জায়গায় পদ্ধতিগতভাবে অন্য ধরন আছে। এটা আমরা জানি। তবে যা কিছু হবে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই হবে।

প্রশ্ন: জাতীয় নির্বাচনের খুব বেশি দেরি নেই। এমন বাস্তবতায় ইউপি নির্বাচনে দলের এই বিপর্যয় কি জাতীয় পর্যায়ে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন?

বাহাউদ্দিন নাছিম: এ যাবৎকালে তো প্রভাব পড়েনি। এ ধরনের প্রভাব কীভাবে উতরানো যায়, যদি পড়ে, সেটা নিয়েও আমরা একই সময় সিদ্ধান্ত নেব। এতে শঙ্কিত হওয়ার কিংবা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আওয়ামী লীগ সব সময় দলীয়, স্থানীয় ও জাতীয় সব ধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল, অনেক যোগ্য প্রার্থী এখানে রয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন দিতে হয় একজনকে, সকলকে দেয়া যায় না। সে কারণে আমাদের ভেতরে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকে। কাজের ক্ষেত্রেও তো হোঁচট খেতে হয়, আবার সেটা ঠিক হয়ে যায়।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ইতিহাসে এগুলো আছে, থাকবে। এগুলো নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। যে সময় বাকি আছে, তার আগেই আমরা দলের মধ্যে এগুলো মিটমাট করে নেব। আওয়ামী লীগকে ঠিকঠাক করে আবারও আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেব।

প্রশ্ন: নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করেছেন। সংলাপ প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আপনারা কী প্রস্তাব রাখবেন?

বাহাউদ্দিন নাছিম: আসুক আমাদের দাওয়াতের চিঠি, আমরা আলোচনা করছি দলের ভেতরে। কী প্রস্তাব দেয়া হবে, সেটা এখনও দলের ভেতরের পর্যায়ে। এগুলো নিয়ে মিডিয়াতে সময় আসলে বলব।

প্রশ্ন: নির্বাচন কমিশন গঠনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে তো অন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশন আইন করার প্রস্তাব রেখেছে। আওয়ামী লীগ কি তার পক্ষে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: নির্বাচন কমিশন আইন আগামী দিনে হবে। এবার তো সময় কম থাকায় সম্ভব হবে না। অদূর ভবিষ্যতে যাতে নির্বাচন কমিশন আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়, সেটা সময়ের দাবি। আমরাও এটা প্রত্যাশা করি।

প্রশ্ন: এত দিন ক্ষমতায় থাকার পরও কেন আওয়ামী লীগ এই আইনটি করল না?

বাহাউদ্দিন নাছিম: ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ কত দিন ক্ষমতায় ছিল? এই ৫০ বছরের ২১ বছরে যে জঞ্জাল তৈরি হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জর্জরিত হয়েছে, সেই বাংলাদেশে ৫০ বছরে আমরা এখানে উপনীত হয়েছি। আমি বলতে চাই, এটা শুধু আওয়ামী লীগের একার দায়িত্ব না। সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বেশি। আমরা বলব, যেটা হয়নি, সেটা যাতে হয়। আর যাতে সময় নষ্ট না হয়।

প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন সব দলের অংশগ্রহণে সংলাপ শেষ হবে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: সব দল অংশ নিক, এটা আমরা চাই। সারা দুনিয়াতেই সংলাপ চলে। কিছু মানবো না, শুনব না, যাব না, কিছু করা যাবে না, এ ধরনের মানসিকতায় কোনো দেশ, জাতি এগিয়ে যেতে পারবে না। এ মানসিকতা যারা রাখেন, দেশের স্বার্থে তা বাদ দিতে হবে। সংলাপে এলো সকলেই, নাও এক মত হতে পারেন। তবে কোনো আলাপ-আলোচনাই ব্যর্থ হয় না।

আমরা উন্নত দেশে দেখি, সংলাপের প্রয়োজনীয়তা তারা সকলেই উপলব্ধি করেন, বার বার করেন। যারা চান গণতন্ত্র শক্তিশালী হোক, তারা এ কথা বলেন। সংলাপকে প্রত্যাখান করা, সংলাপ এড়িয়ে চলার মানসিকতা কোনো ভাল মানসিকতা না। এটা জাতির প্রত্যাশিত নয়।

যারা সংলাপকে বিতর্কিত করেছে, তারা সকল কাজকেই প্রশ্নবাণে বিতর্কিত করে। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়, জাতির প্রয়োজনে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। বিএনপিসহ কয়েকটি দল নানা কথা বলছেন। তবে আমরা চাই শেষ পর্যন্ত তারা সংলাপে আসুক।

প্রশ্ন: বিএনপিসহ যারা আসবেন না বলছেন, এটা কী কারণে বলে আওয়ামী লীগ মনে করে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: মূলত যে কোনো সাংবিধানিক বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করাই বিএনপি-জামায়াতের কাজ। তারা পারলে বাংলাদেশকেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। দেশপ্রেমিক নাগরিকরা যেভাবে বাংলাদেশকে দেখে তারা সেভাবে এ দেশকে ভাবতে পারে না।

আরও পড়ুন:
যুব মহিলা লীগ থেকে অব্যাহতি ‘মানেন না’ তুহিন
আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে শতাধিক আহত
সিলেট আ.লীগে ‘বিদ্রোহী’ ৪ নেতা বহিষ্কার
আওয়ামী লীগের ভরসার জায়গা ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক: হানিফ
ইউপি নির্বাচন: এমপির পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Slavery with BNP Kader

বিএনপির সঙ্গে দাসত্বের তকমা: কাদের

বিএনপির সঙ্গে দাসত্বের তকমা: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
বিএনপির বিষয়ে কাদের বলেন, ‘তারা জনগণের সমর্থনকে মূল মনে করে না। তারা মনে করে যে, বিদেশি প্রভুরদের দাসত্ব করলে ক্ষমতা রক্ষা করা যায়, ক্ষমতায় যাওয়া যায়।’

বিএনপির সঙ্গে দাসত্বের তকমা লেগে আছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতা পাওয়ার জন্য বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটি।

জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিন নেতার মাজারে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির বিষয়ে কাদের বলেন, ‘তারা জনগণের সমর্থনকে মূল মনে করে না। তারা মনে করে যে, বিদেশি প্রভুরদের দাসত্ব করলে ক্ষমতা রক্ষা করা যায়, ক্ষমতায় যাওয়া যায়।’

তার অভিযোগ, দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়, সেই দুরভিসন্ধি করছে বিএনপি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল আমি মনে করি না। কারণ তাদের ইতিহাসটাই হলো গণতন্ত্র হত্যার। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে এবং গণতান্ত্রিক বিধি-বিধান তারা দলের মধ্যে কোনোদিন মানেনি।

‘আজকে দলটির যে নেতারা বড় কথা বলেন, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে এবং তাদের কোথায় কাউন্সিল হয়েছে? সাত-আট বছর আগে লা মেরিডিয়ানে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে। ৫০১ জনের জাম্বুজেট মার্কা কমিটি। কাজেই যাদের নিজেদের দলের ভেতরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, এ আশা আমরা করি না।’

তিন নেতার মাজারে শনিবার আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ও পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ওই সময় উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

পরে সাংবাদিকদের কাছে বাংলার সাধারণ মানুষের কল্যাণে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অবদান তুলে ধরেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘তিনি (শেরো বাংলা) আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন। এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। সাধারণ মানুষকে এই দেশে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন সর্বকালের সবার সেরা বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম- বাংলার কৃষকরা কোনোদিন ভুলতে পারবে না।

‘তিনি চিরদিন তাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন প্রজাস্বত্ব আইন এবং ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে তিনি মহাজনদের নিপীড়ন-অত্যাচার থেকে বাংলার কৃষককূলকে রক্ষা করেছিলেন। সে জন্য তিনি এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন। আজকের দিনে আমাদের যে প্রত্যয়, যে অঙ্গীকার, সেটা হচ্ছে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক—অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের।’

আরও পড়ুন:
উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের
নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চক্রান্তে দেশি-বিদেশি শক্তি: কাদের
তাপপ্রবাহের কারণে সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
বিএনপির অবস্থা টালমাটাল: কাদের
সিলেটে ভোটে থাকছে ‘বিএনপি’, কেন্দ্রের নির্দেশ উপেক্ষা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dhaka Bangkok will work together on the Rohingya issue

রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক

রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রী মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। ছবি: বাসস
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।

থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।

দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।

এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।

সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
We must work for the development of the country and people Prime Minister

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফাইল ছবি
গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।

থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের

প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বঙ্গবন্ধু তার অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতাকে অসময়ে হত্যা করা হলেও ‘তার আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমি তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন।

গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান। এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে থাই সরকারের সাথে কথা বলবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP expelled 73 leaders who went to the polls
উপজেলা নির্বাচন

ভোটে যাওয়া ৭৩ নেতাকে দলছাড়া করল বিএনপি

ভোটে যাওয়া ৭৩ নেতাকে দলছাড়া করল বিএনপি
চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ অংশ নিচ্ছেন, এমন ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সমস্ত নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে দেশের ১৫২টি উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে যায়নি বিএনপি। এর আগে-পরে সব নির্বাচনই বয়কট করে নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে দলটি।


বহিষ্কার হলেন যারা

চট্টগ্রাম বিভাগ

মোসা. শিরীন আক্তার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, বান্দরবান জেলা মহিলা দল বান্দরবান জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

মো. রিটন মো. রিটন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক, আলীকদম উপজেলা বিএনপি বান্দরবান জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

মোসা. জাহানারা জাহাঙ্গীর সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা মহিলা দল। জেলা কক্সবাজার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

জাহাদুল হুদা সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা যুবদল। জেলা কক্সবাজার। ভাইস চেয়ারম্যান রাজশাহী বিভাগ

কায়সার আহমেদ সাবেক সহ—সভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

মো. কামাল উদ্দীন সদস্য, ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

মোসা. রেশমাতুল আরস রেখা মহিলাদল নেত্রী, ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

মোহা. আনোয়ারুল ইসলাম সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

বাবর আলী বিশ্বাস সদস্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

আতাউর রহমান খসরু আহ্বায়ক, মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপি কালাই উপজেলা, জয়পুরহাট জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান ১১. শামীমা আক্তার (বেদেনা) সদস্য, জয়পুরহাট জেলা মহিলাদল ও সহ-সভাপতি, ক্ষেতলাল উপজেলা মহিলাদল।
জয়পুরহাট জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

ইমতিয়াজ আহমেদ হীরা সাবেক ভিপি, নাটোর সদর উপজেলা। নাটোর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

আফজাল হোসেন সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, নাটোর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

মোসা. মহুয়া পারভিন সভাপতি নলডাঙ্গা উপজেলা মহিলাদল নাটোর জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

ময়মনসিংহ বিভাগ

এ বি এম কাজল সরকার সাবেক ছাত্রনেতা হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

মোসা. সুমি বেগম সহ-কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলাদল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

মোসা. মনোয়ারা বেগম সহ-সভাপতি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলাদল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

হাসনাত তারেক সদস্য, আইনজীবী ফোরাম হালুয়াঘাট উপজেলা ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

জাহাঙ্গীর আলম খান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদল, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

শামসুর রশিদ মজনু সাবেক সহ-সভাপতি ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

ইমরান হাসান পল্লব সাবেক সাধারণ সম্পাদকফুলপুর পৌর বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

কামাল উদ্দীন যুগ্ম আহ্বায়ক পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
(প্রত্যাহার করেছেন)

নাজমুল আলম সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি ও ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক, সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

নাজমুল আলম সদস্য, হোসেনপুর উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

ফরিদ আল-রাজি সাবেক সদস্য, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদল। কুমিল্লা বিভাগ

সাজ্জাদ মোর্শেদ সহ—প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল, নাসিরনগর উপজেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

ওমরাহ খান সাবেক সহ-সভাপতি নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

শামীম ইস্কান্দার সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জিয়া পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

হানিফ আহমেদ সবুজ সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, সরাইল উপজেলা যুবদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
রৌমারী উপজেলা মহিলাদল, কুড়িগ্রাম জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

শাহ মো. ফরহাদ হোসেন অনু যুগ্ম আহ্বায়ক, পীরগাছা উপজেলা বিএনপি, রংপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
ফরিদপুর বিভাগ

জানে আলম সদস্য সচিব, চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষকদল, ফরিদপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

ফারুক মৃধা প্রাথমিক সদস্য, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

শাহিদ আল-ফারুক যুগ্ম আহ্বায়ক, ফরিদপুর জেলা কৃষকদল, সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান

এ কে এম নাজমুল হাসান সাবেক সদস্য কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল ও সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

রউফ উন-নবী সাবেক সভাপতি, সদর উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান

শারমিন আক্তার টুকটুকি সহ-সভাপতি, রাজবাড়ী জেলা মহিলা দল, সদর, রাজবাড়ী জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pakistan also appreciates development of Bangladesh BNP does not Kader

পাকিস্তানও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে, বিএনপি করে না: কাদের

পাকিস্তানও বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে, বিএনপি করে না: কাদের ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।’

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন, অথচ বিএনপি দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।’

শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। খবর বাসসের

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে বিএনপি নেতাদের প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত। তখন পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপি যতটা অপপ্রচার করে তাদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

বৃহস্পতিবার করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে তাকালে এখন তাদের লজ্জা হয়। সে সময় ‘পূর্ব পাকিস্তানকে’ দেশের বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু তারা শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ-সংঘাতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আগ্রাসী অভিযান শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সব প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
14 BNP leaders in jail in Moulvibazar

মৌলভীবাজারে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে

মৌলভীবাজারে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।

মৌলভীবাজারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিতসহ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উচ্চ আদালতের মঞ্জুরকৃত জামিন শেষ হওয়ায় তারা আদালতে হাজির হন।

মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, যুবদলের এমএ নিশাদ, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুল ইসলাম, যুবদলের ওয়াহিদুর রহমান জুনেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের রোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুনুর রশিদ ও যুবদলের জাহেদ আহমেদ।

মৌলভীবাজার জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ইউনুছ মিয়া জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP leaders have become disinterested Kader

বিএনপি নেতারা হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন: কাদের

বিএনপি নেতারা হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন: কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এমনকি জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।’

ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া বিএনপি নেতারা হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এমনকি জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।’

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বোধগম্য হয় না যে আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে, জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। তাই জনগণকে হাতিয়ার করে নয়, জনকল্যাণের রাজনীতি করে জনগণের মন জয় করেই তাদেরকে ক্ষমতায় যেতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে তারা শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিমরোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তারা সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ। দলটি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধ্যগ্রন্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।

‘সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ নিলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালান।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।

‘সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

আরও পড়ুন:
উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা না সরলে ব্যবস্থা: কাদের
নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চক্রান্তে দেশি-বিদেশি শক্তি: কাদের
বিএনপির অবস্থা টালমাটাল: কাদের
উপজেলা নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন সম্মেলন বন্ধ: কাদের
উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর আওয়ামী লীগ: কাদের

মন্তব্য

p
উপরে