× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The list of anti boat MPs ministers is Nasim
google_news print-icon

নৌকাবিরোধী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা হচ্ছে: নাছিম

নৌকাবিরোধী-এমপি-মন্ত্রীদের-তালিকা-হচ্ছে-নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ছবি: সংগৃহীত
নিউজবাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর আধিক্য এবং বিদ্রোহীদের শাস্তি দেয়া নিয়ে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতির সংলাপের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রসঙ্গেও।  

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সাবেক সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও। নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপে তিনি চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলে যে বিতর্ক হচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতির সংলাপের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রসঙ্গেও।

প্রশ্ন: এবার যে কয়েকটি ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের ফল বিপর্যয় হয়েছে। বিদ্রোহীরা নৌকার জয় কেড়ে নিয়েছে। আপনার মন্তব্য?

বাহাউদ্দিন নাছিম: যতগুলো ধাপে নির্বাচন হয়েছে, তাতে মাঠে নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহী হয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে আওয়ামী লীগেরই স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আওয়ামী লীগ যেহেতু শৃঙ্খলার ভেতর দিয়ে দলকে পরিচালিত করে, সে জন্য যারাই দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করছে, তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে, শোকজ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে, বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যেহেতু মাঠে অন্য দল নেই, আওয়ামী লীগই আছে, এ কারণে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এটাকে ইতিবাচক দিক হিসেবে আমরা নিচ্ছি না।

আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। জনগণ ভোট কেন্দ্রে আসুক, জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে, আমরাও কাজ করছি। একটি অর্থবহ নির্বাচন হচ্ছে এটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত যতটুকু তথ্য উপাত্ত আছে, তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই মেজরিটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। কারণ যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছে, তারাও আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী। নৌকামার্কা ও স্বতন্ত্র এক সঙ্গে যোগ করলে তার ফলাফল কিন্তু আওয়ামী লীগই হবে।

মাঠে তো আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই রয়েছে। আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার বাইরে যারা আছে, তারাও তো আওয়ামী লীগেরই। তাহলে এখানে বিপর্যয়টা কোথায়? আমরা মনে করি, এখানে বিপর্যয়টা হলো যারা নির্বাচন করল না, কিংবা দলীয় পরিচয় গোপন করে যারা নির্বাচন করল, সেই বিএনপির। তাদের প্রার্থীরা জনগণের কাছে জায়গা করতে পারেনি বলে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি। দলীয় পরিচয় আড়াল করে নির্বাচন করায় বিএনপি সত্যিকার অর্থে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে এর মাশুল গুণতে হবে।

নৌকাবিরোধী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা হচ্ছে: নাছিম
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীদের মধ্যে অনেককে পরাজয় দেখতে হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

প্রশ্ন: শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে বলা হচ্ছে, ফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ তৃণমূল থেকে সঠিক তথ্য-উপাত্ত না আসা। তা হলে কেন্দ্রের কাজ কী? কেন্দ্র তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: তৃণমূল থেকে যে তথ্য-উপাত্ত আসছে, সেটা সব সঠিক না। তবে এটা বলা যাবে না, সব ভুল। কোনটা সঠিক, কোনটা ভুল, সেটা একটু সময় নিয়ে বুঝতে হয়। এই মুহূর্তে যে তথ্য আসবে, দুই সপ্তাহ পর আরও যে তথ্য আসছে, সেটা মিলিয়ে দেখে বিচার-বিশ্লেষণ করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে।

সিদ্ধান্ত দেয়া ও নেয়ার ক্ষেত্রে নানা দিক বিবেচনা করে সময় নিয়ে করাটাই ভালো। আমরা সময় নিয়েই সিদ্ধান্তে আসব। কারণ তথ্য-উপাত্ত যেগুলো আসছে, সেখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যত্যয় হয়েছে। তবে পুরোটাই হয়েছে, এমন নয়। আমরা দেখেছি, অনেক জেলা-উপজেলা থেকেই সঠিক তথ্য পাঠিয়েছে। যেখানে ব্যত্যয় হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। ইতোমধ্যে যারা ভুল তথ্য পাঠিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আলোচনা হয়েছে। সেটা অবশ্যই সময় মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রশ্ন: কী ব্যবস্থা নেয়া হবে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগে গঠনতন্ত্রের বিধি অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। সেটা বহিষ্কার, শোকজ হতে পারে। কাউকে আগামীতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সুযোগ দেয়া হবে না, একটি কিংবা দুটি নির্বাচনে। আর পাপের মাত্রা বেশি হলে তাকে চিরস্থায়ী বহিষ্কার কিংবা প্রাথমিক সদস্যপদ কেড়ে নেয়া যেতে পারে। কাউকে দলের মূল নেতৃত্বে আসার সুযোগ দেয়া থেকে বিরত রাখা হতে পারে।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অনেকগুলো ধাপ আছে, যার যেটা প্রাপ্য তাকে সেটা দেয়া হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনা করেই তা দেয়া হবে। আমাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা এসব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রশ্ন: নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে যেসব সংসদ সদস্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তৃণমূল থেকে দাবি উঠেছে। সেই ব্যবস্থা নেয়া কত দূর?

বাহাউদ্দিন নাছিম: কঠিন একটি আপেক্ষিক শব্দ। প্রায়োগিক শব্দ। এই শব্দটি রাজনৈতিকভাবে আমরা বিভিন্নখানে বলি। যে যত টুকু অন্যায় করবে, সে অনুসারে তার শাস্তি হবে। যেটা আমি আগেও বলেছি। কারও জন্য সেটা সহজ, কারও জন্য কঠিন হবে। কারও জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যাদের যা শাস্তি হবে, তা সাংগঠনিক বিধি-বিধানের ভেতরেই হবে। রাজনৈতিক দলে তো আর মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সুযোগ নেই।

প্রশ্ন: যারা বিদ্রোহীদের মদদদাতা তাদের কি কোনো তালিকা করা হচ্ছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: নির্বাচনের আগে যে সিদ্ধান্ত আছে, এদের ব্যাপারে শেষ ধাপের নির্বাচনের ফলাফলের পরেই ব্যবস্থা নেব। এগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জায়গা হলো আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি।

নৌকাবিরোধী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা হচ্ছে: নাছিম

প্রশ্ন: অনেক জায়গায় বেশির ভাগ বিদ্রোহী পাস করেছে। এমন জায়গার এমপি-মন্ত্রীদের প্রতি কেন্দ্রের বার্তা কী থাকবে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: অনেক জায়গায় এমন খবর আছে, এর সত্যতাও আছে। এ সকল ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে নেত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের একটি সভা হয়েছে, সেখানে তালিকা প্রণয়নের কাজ করা হচ্ছে। তবে তালিকা প্রণয়ন করা আসলে এত সহজ নয়। এসব ক্ষেত্রে দোষারোপের আসলে একটি বিষয় থাকে। অনেক ঢালাও দোষারোপ করা হয়। আমরা আসলে এ ক্ষেত্রে প্রকৃত দোষী কে, এটা যাচাই করছি। সেভাবেই (এর ওপর নির্ভর করে) একটি তালিকা করা হবে। যদি এমন পাওয়া যায় যে, কোনো এমপি-মন্ত্রী এমনটা করেছে, নিশ্চয়ই সে ক্ষেত্রে তার নাম উপস্থাপন করা হবে। সেখানে কে কত ক্ষমতাশালী, এটা বিষয় না। দলের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার কর্মটাই বিবেচ্য। যারা এটা করবেন, সেটা সুষ্ঠুভাবে করেছেন কিনা সেটাও দেখার বিষয়। এ জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকরা তথ্য নিচ্ছেন, এটা নেত্রীর কাছে জমা দেবেন।

প্রশ্ন: ইউপি নির্বাচনে যারা দলের বিদ্রোহী, তাদের স্থানীয়ভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এটা কি তারা করতে পারেন? কারণ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুসারে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠানোর কথা। এ বিষয়ে দল কী ভাবছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: যারা দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে, এটা আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সে অনুসারে স্থানীয়ভাবে উপজেলা ও জেলা থেকে সুপারিশের আলোকেই শোকজ, বহিষ্কার করা হয়। এমনই বলা হয়েছে, জেলা থেকে সেগুলো কেন্দ্রে আসবে। কোনো কোনো জায়গায় পদ্ধতিগতভাবে অন্য ধরন আছে। এটা আমরা জানি। তবে যা কিছু হবে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই হবে।

প্রশ্ন: জাতীয় নির্বাচনের খুব বেশি দেরি নেই। এমন বাস্তবতায় ইউপি নির্বাচনে দলের এই বিপর্যয় কি জাতীয় পর্যায়ে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন?

বাহাউদ্দিন নাছিম: এ যাবৎকালে তো প্রভাব পড়েনি। এ ধরনের প্রভাব কীভাবে উতরানো যায়, যদি পড়ে, সেটা নিয়েও আমরা একই সময় সিদ্ধান্ত নেব। এতে শঙ্কিত হওয়ার কিংবা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আওয়ামী লীগ সব সময় দলীয়, স্থানীয় ও জাতীয় সব ধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল, অনেক যোগ্য প্রার্থী এখানে রয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন দিতে হয় একজনকে, সকলকে দেয়া যায় না। সে কারণে আমাদের ভেতরে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকে। কাজের ক্ষেত্রেও তো হোঁচট খেতে হয়, আবার সেটা ঠিক হয়ে যায়।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ইতিহাসে এগুলো আছে, থাকবে। এগুলো নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। যে সময় বাকি আছে, তার আগেই আমরা দলের মধ্যে এগুলো মিটমাট করে নেব। আওয়ামী লীগকে ঠিকঠাক করে আবারও আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেব।

প্রশ্ন: নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করেছেন। সংলাপ প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আপনারা কী প্রস্তাব রাখবেন?

বাহাউদ্দিন নাছিম: আসুক আমাদের দাওয়াতের চিঠি, আমরা আলোচনা করছি দলের ভেতরে। কী প্রস্তাব দেয়া হবে, সেটা এখনও দলের ভেতরের পর্যায়ে। এগুলো নিয়ে মিডিয়াতে সময় আসলে বলব।

প্রশ্ন: নির্বাচন কমিশন গঠনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে তো অন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশন আইন করার প্রস্তাব রেখেছে। আওয়ামী লীগ কি তার পক্ষে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: নির্বাচন কমিশন আইন আগামী দিনে হবে। এবার তো সময় কম থাকায় সম্ভব হবে না। অদূর ভবিষ্যতে যাতে নির্বাচন কমিশন আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়, সেটা সময়ের দাবি। আমরাও এটা প্রত্যাশা করি।

প্রশ্ন: এত দিন ক্ষমতায় থাকার পরও কেন আওয়ামী লীগ এই আইনটি করল না?

বাহাউদ্দিন নাছিম: ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ কত দিন ক্ষমতায় ছিল? এই ৫০ বছরের ২১ বছরে যে জঞ্জাল তৈরি হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জর্জরিত হয়েছে, সেই বাংলাদেশে ৫০ বছরে আমরা এখানে উপনীত হয়েছি। আমি বলতে চাই, এটা শুধু আওয়ামী লীগের একার দায়িত্ব না। সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বেশি। আমরা বলব, যেটা হয়নি, সেটা যাতে হয়। আর যাতে সময় নষ্ট না হয়।

প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন সব দলের অংশগ্রহণে সংলাপ শেষ হবে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: সব দল অংশ নিক, এটা আমরা চাই। সারা দুনিয়াতেই সংলাপ চলে। কিছু মানবো না, শুনব না, যাব না, কিছু করা যাবে না, এ ধরনের মানসিকতায় কোনো দেশ, জাতি এগিয়ে যেতে পারবে না। এ মানসিকতা যারা রাখেন, দেশের স্বার্থে তা বাদ দিতে হবে। সংলাপে এলো সকলেই, নাও এক মত হতে পারেন। তবে কোনো আলাপ-আলোচনাই ব্যর্থ হয় না।

আমরা উন্নত দেশে দেখি, সংলাপের প্রয়োজনীয়তা তারা সকলেই উপলব্ধি করেন, বার বার করেন। যারা চান গণতন্ত্র শক্তিশালী হোক, তারা এ কথা বলেন। সংলাপকে প্রত্যাখান করা, সংলাপ এড়িয়ে চলার মানসিকতা কোনো ভাল মানসিকতা না। এটা জাতির প্রত্যাশিত নয়।

যারা সংলাপকে বিতর্কিত করেছে, তারা সকল কাজকেই প্রশ্নবাণে বিতর্কিত করে। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়, জাতির প্রয়োজনে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। বিএনপিসহ কয়েকটি দল নানা কথা বলছেন। তবে আমরা চাই শেষ পর্যন্ত তারা সংলাপে আসুক।

প্রশ্ন: বিএনপিসহ যারা আসবেন না বলছেন, এটা কী কারণে বলে আওয়ামী লীগ মনে করে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: মূলত যে কোনো সাংবিধানিক বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করাই বিএনপি-জামায়াতের কাজ। তারা পারলে বাংলাদেশকেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। দেশপ্রেমিক নাগরিকরা যেভাবে বাংলাদেশকে দেখে তারা সেভাবে এ দেশকে ভাবতে পারে না।

আরও পড়ুন:
যুব মহিলা লীগ থেকে অব্যাহতি ‘মানেন না’ তুহিন
আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে শতাধিক আহত
সিলেট আ.লীগে ‘বিদ্রোহী’ ৪ নেতা বহিষ্কার
আওয়ামী লীগের ভরসার জায়গা ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক: হানিফ
ইউপি নির্বাচন: এমপির পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Fakhrul calls for the interim government to rewrite the election schedule

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’

অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’

ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।

তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’

ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।

ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’

ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Yunus Tarek meeting is the main event of politics right now Fakhrul

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠক রাজনীতিতে এই মুহূর্তে প্রধান ইভেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও এই ইভেন্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে রাজনীতির নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ অনেক কিছুর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতারা সেটাকে কীভাবে নেবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এই সাক্ষাৎকারে তার সাফল্য প্রার্থনা করছি।

বৈঠকের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকলেও আগামী নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা এর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাদের যথেষ্ট রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। তবে, তারা প্রত্যেকে নিজ-নিজ সেক্টরে যথেষ্ট অভিজ্ঞ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants elections next December

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীর উদ্দেশ‌্যে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিহিত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ‌্যেই নির্বাচনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি।

শনিবার (৭ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দলটি।

বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও জনতার বিপুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের অযৌক্তিক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।’

এ সময় রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি।

এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়বস্তু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এই ঘোষণা দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ঐকমত্য গঠনের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব‌্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

তারা বলেন, ‘এ কারণে বৈঠকে মনে করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না; তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাষ‌্যে, এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন দিলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, যা পরবর্তীতে নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়— এমন কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এক পর্যায়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে রূপ নেয়।

দীর্ঘ ওই ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন বন্দর ও করিডর ইস্য অন্তবর্তী সরকারের তিনটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

এ ছাড়াও ওই ভাষণে ব্যবহৃত কিছু শব্দ রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mirza Fakhrul is returning home at night after treatment

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চোখের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে আজ শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মির্জা ফখরুলের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শুক্রবার দুপুরে বাসস’কে জানান, দলের মহাসচিব রাতে দেশে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘রাত ১১টায় ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মির্জা ফখরুল। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এর আগে, চোখের জটিলতাসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে গত ১৩ মে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP called the budget a one sided void

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে অকার্যকর ও গতানুগতিক এবং একতরফা বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও দরিদ্রতার মতো অর্থনৈতিক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে এবারের বাজেট সুর্নিদিষ্ট কৌশল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে অন্তর্বতী সরকারকে। আমরা আশা করেছিলাম যে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট তৈরি করবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ন্যূনতম স্তর তৈরি হয়।’

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও যুব প্রতিনিধিদের নিকট থেকে মতামত নিতে পারত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি এমনটি হতো, তাহলে বাজেট একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হত। এটি দেশের বিভিন্ন অংশের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করত। কিন্তু সেই সুযোগটি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে, বাজেটটি একপেশে, অংশগ্রহণমূলক নয় এবং গতানুগতিক হয়ে গেছে। এতে নতুন চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন নেই।’

বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বাজেট চূড়ান্ত করার আগে এই ধরনের আলোচনা আরও জরুরি ছিল, যেহেতু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।

প্রস্তাবিত বাজেটের উপর তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে বিএনপি।

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।

বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানকে মাথায় রেখে তৈরি করা উচিত উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সেই বৈষম্যমুক্ত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি, যার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর যেমন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, দরিদ্রতা বৃদ্ধি, কম বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের কম সুযোগের স্পষ্ট সমাধান দেওয়া হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, বাজেটটি অপ্রয়োজনীয় এবং দুর্নীতিপ্রবণ প্রকল্পগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Salahuddin has been accused of disappearing against seven people including Hasina in the tribunal

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে গুমের অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। মঙ্গলবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তিন এই অভিযোগ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য যাদের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ বেলা ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন সালাহউদ্দিন। এ সময়ে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ আইনজীবীরা সাথে ছিলেন। পরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগ তুলে দেন তিনি।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহউদ্দিনকে তুলে নেওয়া হয় বলে তখন অভিযোগ করেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। অন্যদিকে তখন বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সালাহউদ্দিনকে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।

সে সময় সালাহউদ্দিন বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।

২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন। আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য আসাম রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান। দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৬ আগস্ট সালাহউদ্দিন দেশে ফেরার জন্য ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস পান। ১১ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
EC locked Nahids NID while he was an adviser

উপদেষ্টা থাকাকালে নাহিদের এনআইডি লক করেছিল ইসি

উপদেষ্টা থাকাকালে নাহিদের এনআইডি লক করেছিল ইসি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম। পরে পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হন নাহিদ। তবে নাহিদ ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) উপদেষ্টা পদে থাকাবস্থায় লক করে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডির তথ্য ফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি।

তবে অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় ৫ দিন পর আনলক করে দেওয়া হয় নাহিদের এনআইডি।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগকে এনটিএমসি জানায়, ‘ভণ্ডবাবা’ গ্রুপের অ্যাডমিন নাহিদ ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তার এনআইডির নম্বরও দেওয়া হয় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগকে। এরপর তদন্তে নামে অনুবিভাগ। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর লক করা হয় নাহিদের এনআইডি।

তদন্তে বেরিয়ে আসে, ‘ভণ্ডবাবা’ হোয়াটসঅ্যাপের কোনো গ্রুপ নয়। এটি টেলিগ্রামের একটি গ্রুপ। আর নাহিদ ওই গ্রুপের অ্যাডমিন নন।

তার এনআইডির বিপরীতে কোনো তথ্য পাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায়, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এনআইডি আনলক করে দেয় সংস্থাটি।

এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু এই ভোটার কর্তৃক ডাটা সরবরাহ করার বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি এবং অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, সেহেতু মো. নাহিদ ইসলামের এনআইডি আনলক করার জন্য সুপারিশ করে কমিটি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নথি উত্থাপন করা হলে ২২ সেপ্টেম্বর এনআইডির মহাপরিচালক তখন এনআইডিটি আনলক করার সিদ্ধান্ত দেন।

এভাবেই পাঁচ দিনের জন্য লক থাকে সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এনআইডি।

বর্তমান এনআইডি মহাপরিচালক এসএম হুমাযুন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, সে সময় আমি ছিলাম না। তাই সেটি আমার বিবেচনার বিষয় নয়। আর পুরোনো বিষয় যেটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, সেটির মতামতও দিতে চাই না।

মন্তব্য

p
উপরে