× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The list of anti boat MPs ministers is Nasim
google_news print-icon

নৌকাবিরোধী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা হচ্ছে: নাছিম

নৌকাবিরোধী-এমপি-মন্ত্রীদের-তালিকা-হচ্ছে-নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ছবি: সংগৃহীত
নিউজবাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর আধিক্য এবং বিদ্রোহীদের শাস্তি দেয়া নিয়ে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতির সংলাপের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রসঙ্গেও।  

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সাবেক সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও। নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপে তিনি চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলে যে বিতর্ক হচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতির সংলাপের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান প্রসঙ্গেও।

প্রশ্ন: এবার যে কয়েকটি ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের ফল বিপর্যয় হয়েছে। বিদ্রোহীরা নৌকার জয় কেড়ে নিয়েছে। আপনার মন্তব্য?

বাহাউদ্দিন নাছিম: যতগুলো ধাপে নির্বাচন হয়েছে, তাতে মাঠে নির্বাচন করছে আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহী হয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে আওয়ামী লীগেরই স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আওয়ামী লীগ যেহেতু শৃঙ্খলার ভেতর দিয়ে দলকে পরিচালিত করে, সে জন্য যারাই দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করছে, তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে, শোকজ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে, বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যেহেতু মাঠে অন্য দল নেই, আওয়ামী লীগই আছে, এ কারণে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এটাকে ইতিবাচক দিক হিসেবে আমরা নিচ্ছি না।

আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। জনগণ ভোট কেন্দ্রে আসুক, জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে, আমরাও কাজ করছি। একটি অর্থবহ নির্বাচন হচ্ছে এটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত যতটুকু তথ্য উপাত্ত আছে, তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই মেজরিটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। কারণ যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছে, তারাও আওয়ামী লীগেরই প্রার্থী। নৌকামার্কা ও স্বতন্ত্র এক সঙ্গে যোগ করলে তার ফলাফল কিন্তু আওয়ামী লীগই হবে।

মাঠে তো আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই রয়েছে। আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার বাইরে যারা আছে, তারাও তো আওয়ামী লীগেরই। তাহলে এখানে বিপর্যয়টা কোথায়? আমরা মনে করি, এখানে বিপর্যয়টা হলো যারা নির্বাচন করল না, কিংবা দলীয় পরিচয় গোপন করে যারা নির্বাচন করল, সেই বিএনপির। তাদের প্রার্থীরা জনগণের কাছে জায়গা করতে পারেনি বলে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি। দলীয় পরিচয় আড়াল করে নির্বাচন করায় বিএনপি সত্যিকার অর্থে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে এর মাশুল গুণতে হবে।

নৌকাবিরোধী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা হচ্ছে: নাছিম
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীদের মধ্যে অনেককে পরাজয় দেখতে হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

প্রশ্ন: শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে বলা হচ্ছে, ফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ তৃণমূল থেকে সঠিক তথ্য-উপাত্ত না আসা। তা হলে কেন্দ্রের কাজ কী? কেন্দ্র তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: তৃণমূল থেকে যে তথ্য-উপাত্ত আসছে, সেটা সব সঠিক না। তবে এটা বলা যাবে না, সব ভুল। কোনটা সঠিক, কোনটা ভুল, সেটা একটু সময় নিয়ে বুঝতে হয়। এই মুহূর্তে যে তথ্য আসবে, দুই সপ্তাহ পর আরও যে তথ্য আসছে, সেটা মিলিয়ে দেখে বিচার-বিশ্লেষণ করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে।

সিদ্ধান্ত দেয়া ও নেয়ার ক্ষেত্রে নানা দিক বিবেচনা করে সময় নিয়ে করাটাই ভালো। আমরা সময় নিয়েই সিদ্ধান্তে আসব। কারণ তথ্য-উপাত্ত যেগুলো আসছে, সেখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যত্যয় হয়েছে। তবে পুরোটাই হয়েছে, এমন নয়। আমরা দেখেছি, অনেক জেলা-উপজেলা থেকেই সঠিক তথ্য পাঠিয়েছে। যেখানে ব্যত্যয় হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। ইতোমধ্যে যারা ভুল তথ্য পাঠিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আলোচনা হয়েছে। সেটা অবশ্যই সময় মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রশ্ন: কী ব্যবস্থা নেয়া হবে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগে গঠনতন্ত্রের বিধি অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। সেটা বহিষ্কার, শোকজ হতে পারে। কাউকে আগামীতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সুযোগ দেয়া হবে না, একটি কিংবা দুটি নির্বাচনে। আর পাপের মাত্রা বেশি হলে তাকে চিরস্থায়ী বহিষ্কার কিংবা প্রাথমিক সদস্যপদ কেড়ে নেয়া যেতে পারে। কাউকে দলের মূল নেতৃত্বে আসার সুযোগ দেয়া থেকে বিরত রাখা হতে পারে।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অনেকগুলো ধাপ আছে, যার যেটা প্রাপ্য তাকে সেটা দেয়া হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনা করেই তা দেয়া হবে। আমাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা এসব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রশ্ন: নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে যেসব সংসদ সদস্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তৃণমূল থেকে দাবি উঠেছে। সেই ব্যবস্থা নেয়া কত দূর?

বাহাউদ্দিন নাছিম: কঠিন একটি আপেক্ষিক শব্দ। প্রায়োগিক শব্দ। এই শব্দটি রাজনৈতিকভাবে আমরা বিভিন্নখানে বলি। যে যত টুকু অন্যায় করবে, সে অনুসারে তার শাস্তি হবে। যেটা আমি আগেও বলেছি। কারও জন্য সেটা সহজ, কারও জন্য কঠিন হবে। কারও জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যাদের যা শাস্তি হবে, তা সাংগঠনিক বিধি-বিধানের ভেতরেই হবে। রাজনৈতিক দলে তো আর মৃত্যুদণ্ড দেয়ার সুযোগ নেই।

প্রশ্ন: যারা বিদ্রোহীদের মদদদাতা তাদের কি কোনো তালিকা করা হচ্ছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: নির্বাচনের আগে যে সিদ্ধান্ত আছে, এদের ব্যাপারে শেষ ধাপের নির্বাচনের ফলাফলের পরেই ব্যবস্থা নেব। এগুলো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জায়গা হলো আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি।

নৌকাবিরোধী এমপি-মন্ত্রীদের তালিকা হচ্ছে: নাছিম

প্রশ্ন: অনেক জায়গায় বেশির ভাগ বিদ্রোহী পাস করেছে। এমন জায়গার এমপি-মন্ত্রীদের প্রতি কেন্দ্রের বার্তা কী থাকবে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: অনেক জায়গায় এমন খবর আছে, এর সত্যতাও আছে। এ সকল ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে নেত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের একটি সভা হয়েছে, সেখানে তালিকা প্রণয়নের কাজ করা হচ্ছে। তবে তালিকা প্রণয়ন করা আসলে এত সহজ নয়। এসব ক্ষেত্রে দোষারোপের আসলে একটি বিষয় থাকে। অনেক ঢালাও দোষারোপ করা হয়। আমরা আসলে এ ক্ষেত্রে প্রকৃত দোষী কে, এটা যাচাই করছি। সেভাবেই (এর ওপর নির্ভর করে) একটি তালিকা করা হবে। যদি এমন পাওয়া যায় যে, কোনো এমপি-মন্ত্রী এমনটা করেছে, নিশ্চয়ই সে ক্ষেত্রে তার নাম উপস্থাপন করা হবে। সেখানে কে কত ক্ষমতাশালী, এটা বিষয় না। দলের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার কর্মটাই বিবেচ্য। যারা এটা করবেন, সেটা সুষ্ঠুভাবে করেছেন কিনা সেটাও দেখার বিষয়। এ জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকরা তথ্য নিচ্ছেন, এটা নেত্রীর কাছে জমা দেবেন।

প্রশ্ন: ইউপি নির্বাচনে যারা দলের বিদ্রোহী, তাদের স্থানীয়ভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এটা কি তারা করতে পারেন? কারণ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুসারে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠানোর কথা। এ বিষয়ে দল কী ভাবছে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: যারা দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে, এটা আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সে অনুসারে স্থানীয়ভাবে উপজেলা ও জেলা থেকে সুপারিশের আলোকেই শোকজ, বহিষ্কার করা হয়। এমনই বলা হয়েছে, জেলা থেকে সেগুলো কেন্দ্রে আসবে। কোনো কোনো জায়গায় পদ্ধতিগতভাবে অন্য ধরন আছে। এটা আমরা জানি। তবে যা কিছু হবে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই হবে।

প্রশ্ন: জাতীয় নির্বাচনের খুব বেশি দেরি নেই। এমন বাস্তবতায় ইউপি নির্বাচনে দলের এই বিপর্যয় কি জাতীয় পর্যায়ে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন?

বাহাউদ্দিন নাছিম: এ যাবৎকালে তো প্রভাব পড়েনি। এ ধরনের প্রভাব কীভাবে উতরানো যায়, যদি পড়ে, সেটা নিয়েও আমরা একই সময় সিদ্ধান্ত নেব। এতে শঙ্কিত হওয়ার কিংবা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আওয়ামী লীগ সব সময় দলীয়, স্থানীয় ও জাতীয় সব ধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল, অনেক যোগ্য প্রার্থী এখানে রয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন দিতে হয় একজনকে, সকলকে দেয়া যায় না। সে কারণে আমাদের ভেতরে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকে। কাজের ক্ষেত্রেও তো হোঁচট খেতে হয়, আবার সেটা ঠিক হয়ে যায়।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ইতিহাসে এগুলো আছে, থাকবে। এগুলো নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। যে সময় বাকি আছে, তার আগেই আমরা দলের মধ্যে এগুলো মিটমাট করে নেব। আওয়ামী লীগকে ঠিকঠাক করে আবারও আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেব।

প্রশ্ন: নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করেছেন। সংলাপ প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আপনারা কী প্রস্তাব রাখবেন?

বাহাউদ্দিন নাছিম: আসুক আমাদের দাওয়াতের চিঠি, আমরা আলোচনা করছি দলের ভেতরে। কী প্রস্তাব দেয়া হবে, সেটা এখনও দলের ভেতরের পর্যায়ে। এগুলো নিয়ে মিডিয়াতে সময় আসলে বলব।

প্রশ্ন: নির্বাচন কমিশন গঠনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে তো অন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশন আইন করার প্রস্তাব রেখেছে। আওয়ামী লীগ কি তার পক্ষে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: নির্বাচন কমিশন আইন আগামী দিনে হবে। এবার তো সময় কম থাকায় সম্ভব হবে না। অদূর ভবিষ্যতে যাতে নির্বাচন কমিশন আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়, সেটা সময়ের দাবি। আমরাও এটা প্রত্যাশা করি।

প্রশ্ন: এত দিন ক্ষমতায় থাকার পরও কেন আওয়ামী লীগ এই আইনটি করল না?

বাহাউদ্দিন নাছিম: ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ কত দিন ক্ষমতায় ছিল? এই ৫০ বছরের ২১ বছরে যে জঞ্জাল তৈরি হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জর্জরিত হয়েছে, সেই বাংলাদেশে ৫০ বছরে আমরা এখানে উপনীত হয়েছি। আমি বলতে চাই, এটা শুধু আওয়ামী লীগের একার দায়িত্ব না। সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বেশি। আমরা বলব, যেটা হয়নি, সেটা যাতে হয়। আর যাতে সময় নষ্ট না হয়।

প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন সব দলের অংশগ্রহণে সংলাপ শেষ হবে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: সব দল অংশ নিক, এটা আমরা চাই। সারা দুনিয়াতেই সংলাপ চলে। কিছু মানবো না, শুনব না, যাব না, কিছু করা যাবে না, এ ধরনের মানসিকতায় কোনো দেশ, জাতি এগিয়ে যেতে পারবে না। এ মানসিকতা যারা রাখেন, দেশের স্বার্থে তা বাদ দিতে হবে। সংলাপে এলো সকলেই, নাও এক মত হতে পারেন। তবে কোনো আলাপ-আলোচনাই ব্যর্থ হয় না।

আমরা উন্নত দেশে দেখি, সংলাপের প্রয়োজনীয়তা তারা সকলেই উপলব্ধি করেন, বার বার করেন। যারা চান গণতন্ত্র শক্তিশালী হোক, তারা এ কথা বলেন। সংলাপকে প্রত্যাখান করা, সংলাপ এড়িয়ে চলার মানসিকতা কোনো ভাল মানসিকতা না। এটা জাতির প্রত্যাশিত নয়।

যারা সংলাপকে বিতর্কিত করেছে, তারা সকল কাজকেই প্রশ্নবাণে বিতর্কিত করে। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা নয়, জাতির প্রয়োজনে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। বিএনপিসহ কয়েকটি দল নানা কথা বলছেন। তবে আমরা চাই শেষ পর্যন্ত তারা সংলাপে আসুক।

প্রশ্ন: বিএনপিসহ যারা আসবেন না বলছেন, এটা কী কারণে বলে আওয়ামী লীগ মনে করে?

বাহাউদ্দিন নাছিম: মূলত যে কোনো সাংবিধানিক বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করাই বিএনপি-জামায়াতের কাজ। তারা পারলে বাংলাদেশকেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। দেশপ্রেমিক নাগরিকরা যেভাবে বাংলাদেশকে দেখে তারা সেভাবে এ দেশকে ভাবতে পারে না।

আরও পড়ুন:
যুব মহিলা লীগ থেকে অব্যাহতি ‘মানেন না’ তুহিন
আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে শতাধিক আহত
সিলেট আ.লীগে ‘বিদ্রোহী’ ৪ নেতা বহিষ্কার
আওয়ামী লীগের ভরসার জায়গা ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক: হানিফ
ইউপি নির্বাচন: এমপির পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
People will decide to ban the government nine A League Dr Zahid

সরকার নয়, আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: ডা. জাহিদ

সরকার নয়, আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: ডা. জাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নতুন করে রাজনীতিতে প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয় আইন-আদালত বা সরকারি সিদ্ধান্ত নয়, এই সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ। গণহত্যাকারী, গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজহার-শফিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য বিএনপি সোচ্চার। গণহত্যাকারী যারা আদেশ দিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী হোক আর অতি উৎসাহী যেই হোক– বিএনপি বারবার বলেছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আইন-আদালত করবে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, বিএনপির বক্তব্য পরিষ্কার। সব সময়ই তা বলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কথা বলে, কিন্তু তাদের ২৪-এর গণহত্যা নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই। আয়নাঘর, লুটপাট যারা করেছে, প্রতিহিংসা যারা করেছে, দিনের ভোট রাতে যারা করেছে, তাদের কোনো অনুশোচনা আছে? তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিঃশর্তভাবে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তাদের ক্ষমা করবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে।
ডা. জাহিদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের একটি সম্ভাবনা রয়েছে, আমরা চাই সেটা হোক। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সেই সুযোগটা আসুক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভাবতে হবে এই সমাজটা আমাদের সবার। এই ভাবনাটা যদি না আসে তাহলে কিন্তু ইনক্লুসিভনেস তৈরি হবে না। আর তা তৈরি না হলে সমাজে সাস্টেনেবিলিটি আসবে না। সমাজের প্রবীণ মানুষদের জন্য আলাদা উইন্ডো তৈরি করার জন্য একটা চিন্তা দরকার। তাদের জন্য সামান্য বাজেট রাখা দরকার।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaat announces a 12 day movement program demanding PR approach

পিআর পদ্ধতির দাবিতে ১২ দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের

পিআর পদ্ধতির দাবিতে ১২ দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দফায় ১২ দিনের যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নতুন কর্মসূচি হিসেবে ৫ দফা গণদাবির পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে গণসংযোগ পালন করা হবে। এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা, গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। ১০ অক্টোবর রাজধানীসহ সকল বিভাগীয় শহরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে এবং ১২ অক্টোবর সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।

জামায়াতের ৫ দফা দাবি হলো:

১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।

২. নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।

৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

৪. গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।

৫. বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার করতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোমাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মূসা প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP next to the sick leader of Hefazat e Islam

হেফাজতে ইসলামের অসুস্থ নেতার পাশে বিএনপি

হেফাজতে ইসলামের অসুস্থ নেতার পাশে বিএনপি

হেফাজতে ইসলামের অসুস্থ এক নেতার খোঁজখবর নিয়েছে বিএনপির নেতারা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এবং জামিয়া কাসিমিয়া আশরাফুল উলুম ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল খতিবে বাংলার আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীবের শারীরিক খোঁজখবর নিতে রোববার হাসপাতালে যান বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Zia Manch is the approval of the 22 member committee of Faridpur metropolis

জিয়া মঞ্চ ফরিদপুর মহানগরের ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন

কাইয়ুম আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এনামুল করিম
জিয়া মঞ্চ ফরিদপুর মহানগরের ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম ও জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ ইকবালের নির্দেশক্রমে ফরিদপুর মহানগর জিয়া মঞ্চের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরিদপুরের জিয়ার সৈনিক, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার মোহাম্মদ কাইয়ুম মিয়াকে আহ্বায়ক ও এনামুল করিমকে সদস্য সচিব করে ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোববার জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দপ্তর সম্পাদকের চলতি দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার মো. জামাল হোসেনের স্বাক্ষরীত এক পত্রে ফরিদপুর মহানগর জিয়া মঞ্চের ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবর রহমান দিলীপ, যুগ্ম আহ্বায়ক নাইম আক্তার মুকুল, মাহবুবুর রহমান আজাদ, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, ফরিদ হোসেন, কিবরিয়া জামান, সম্রাট আলম, আসাদুজ্জামান, ডা. মোফাজ্জুল হোসেন চৌধুরী, সদস্য মোহাম্মদ নাসির মিয়া, উজ্জল মিয়া, শেখ আব্দুল আলীম মুক্তি, মাসুদ খান, নয়ন শেখ, তুষার আহমেদ, আব্দুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান আরিফ, ইউসুফ শেখ ও শহীদ আলম চৌধুরী ফরহাদ।

এদিকে জিয়া মঞ্চ ফরিদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন মহানগর জিয়া মঞ্চের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তারুণ্যদীপ্ত নতুন এই কমিটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশকে বুকে ধারণ করে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে তোলবে। এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
PR means Permanent Restlace Salahuddin Ahmed

পিআর মানে হলো ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’: সালাহউদ্দিন আহমদ

পিআর মানে হলো ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’: সালাহউদ্দিন আহমদ

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনব্যবস্থা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ ও অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না। সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো দাবি মেনে নিলে তা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ব্রিটিশ ল স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্সের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
পিআর পদ্ধতি কার্যকর হলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, পিআর মানে হচ্ছে, ‘পারমানেন্ট রেস্টলেসনেস’ (স্থায়ী অস্থিরতা)।
উদাহরণ টেনে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিআর চালুর পর দেখা গেছে, সরকার গঠন করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। কোথাও এক বছর বা দেড় বছর পর সরকার গঠিত হয়েছে। আবার সরকার গঠনের পর তা টেকসই হয়নি। কয়েক মাস বা এক বছরের মধ্যেই সরকার ভেঙে গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি চালুর মূল উদ্দেশ্য স্রেফ সংসদীয় আসনের সংখ্যা বাড়ানো নয়, বরং ঘন ঘন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা। এতে লাভবান হবে সেই শক্তি, যারা চায়, দেশ সব সময় অনিশ্চয়তায় থাকুক।
পিআর নিয়ে যেসব জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এক জরিপে দেখা গেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর বোঝে না। আবার অন্য জরিপে দাবি করা হয়েছে, ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। এটা জাতিকে বিভ্রান্ত করার শামিল।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জনগণ যদি আগে থেকে জানতে না পারে, তাদের ভোটে কোন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন, তাহলে জনগণের সরাসরি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ কোথায় রইল? এতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহি দুর্বল হয়ে পড়বে।
সংবিধান ও আইনের শাসনের বাইরে গিয়ে কোনো সংস্কার দেশের জন্য শুভ হবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় থাকতে চাই। কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ, অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না।’
ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাগিব রউফ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ওয়াসি পারভেজ তাহসিন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nobody abused Mirza Fakhrul in New York Ruhul Kabir Rizvi

নিউইয়র্কে মির্জা ফখরুলকে কেউ লাঞ্ছিত করেননি : রুহুল কবির রিজভী

নিউইয়র্কে মির্জা ফখরুলকে কেউ লাঞ্ছিত করেননি : রুহুল কবির রিজভী

নিউইয়র্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেউ লাঞ্ছিত করেননি বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, নিউইয়র্কে মির্জা ফখরুলকে কেউ লাঞ্ছিত করেননি। তাকে নিয়ে নানা অপপ্রচার শুরু হয়েছে। সবকিছু মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নবনির্বাচিত পিরোজপুর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, নিউইয়র্কে অন্তর্বর্তী সরকার দক্ষতা দেখাতে পারলে ফ্যাসিবাদের দোসররা এমন কর্মকাণ্ড ঘটানোর সাহস পেত না। সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় দোসরদের প্রেতাত্মারা দেশে নামতে পারছে, বিদেশের মাটিতে কার্যক্রম চালাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দোসরদের সঙ্গে বিএনপির কোনো আতাঁত নেই।

ভয়ংকর ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের প্রতীক শেখ হাসিনা। বহু ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাস্টারপ্ল্যান চলছে। জুলাই শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখনো অর্থ লুটপাটকারীদের টাকা দেশে ফেরত আনতে পারেনি, বিচারও করতে পারেনি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP did not give a green signal to any candidate

কোনো প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেয়নি বিএনপি

কোনো প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেয়নি বিএনপি

বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য কোনো আসনে বা কোনো প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সম্প্রতি ‘প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দিচ্ছে বিএনপি’ সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। রিজভী জানিয়েছেন, সবুজ সংকেত সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোকে মনগড়া।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রুহুল কবির রিজভী।

নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়নের নামে নাম প্রকাশ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত তৈরির চেষ্টা করছে একটি মহল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উপযুক্ত সময়েই দলের নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যাচাই-বাছাই করে যোগ্য ও সর্বোপরি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় প্রার্থীকেই বেছে নিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে।’

প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব পার্লামেন্টারি বোর্ড পালন করে এবং এ ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়।

তাই তফসিল ঘোষণার পরেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তথা বিএনপির কেন্দ্র থেকে ঘোষণা ব্যতিত পত্রিকায় প্রকাশিত কোন মনগড়া সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সারা দেশের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

মন্তব্য

p
উপরে