× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Is there a chance to call Khaleda Zia a freedom fighter?
google_news print-icon

খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলার সুযোগ আছে কি

খালেদা-জিয়াকে-মুক্তিযোদ্ধা-বলার-সুযোগ-আছে-কি
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো। ছবিটি মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পরের। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দেয়ার পর যুক্তি হিসেবে বলছে, তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেনানিবাসে ছিলেন। তাই তিনি যোদ্ধা। তবে মুক্তিযুদ্ধের যে সংজ্ঞা আছে, তাতে এই বিষয়টি নেই। তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বয়স সে সময় যথাক্রমে সাড়ে তিন ও দেড় বছর থাকলেও তাদেরকেও মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা।

বাংলাদেশের বয়স ৫০ পার হওয়ার পর বিএনপি তার নেত্রী বেগম খলেদা জিয়াকে হঠাৎ করেই মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিন একটি বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে প্রথমবার যখন বক্তব্য রাখেন, সে সময় বিষয়টি যে দলটির এজেন্ডায় পরিণত হবে সেটা বোঝা যায়নি। কিন্তু এরপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং ফখরুল নিজে যখন একাধিক বক্তব্যে বিষয়টি আবার উল্লেখ করেন, তখন এটা স্পষ্ট যে বিএনপি ইচ্ছে করেই বিষয়টি তুলতে চাইছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনানিবাসে দুই পুত্রকে নিয়ে অবস্থান করা খালেদা জিয়ার মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা নিয়ে বিএনপি কখনও গর্বভরে কিছু বলেছে এমন নয়, বরং রাজনীতিতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এ বিষয়ে নানা সময় কটাক্ষকর বক্তব্যেও বিএনপি কোনো জবাব দেয়নি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিএনপির এই দাবিকে ‘তামাশা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম খেতাব পাওয়া রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনানিবাস থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যেতে লোক পাঠিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু বিএনপি নেত্রী যাননি। উল্টো যারা তাকে নিতে এসেছিলেন, তারাই প্রাণ হারিয়েছেন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে।

আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। আমাদের নেত্রী তখন যুদ্ধও করেছেন। তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। এখন তো কত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছেন, সনদ নিয়ে ঘোরেন। তবে সনদের অপেক্ষায় তো আর ইতিহাস বদলে যাবে না। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, অবশ্যই সেটা মানতে হবে।

এর মধ্যে বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকীর আগে কেবল দলের নেত্রীকে নয়, সে সময় তার দুই শিশুপুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকেও মুক্তিযোদ্ধা বলতে ছাড়েননি নেতারা।

তবে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তারেক রহমানের বয়স ছিল ৪ বছরের কম আর কোকোর বয়স ২ বছরের কম।

একজন নেতা এমনও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছেন।

তবে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা, তাতে কোনোভাবেই এদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলার সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য হলো, এই সংজ্ঞা সরকার তাদের ইচ্ছামতো তৈরি করেছে।

তবে কোন যুক্তিতে খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলতে হবে- সে বিষয়টি তুলে ধরছেন না বিএনপি নেতারা।

জানতে চাইলে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অবশ্যই একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ৭১ সালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তা ছাড়া উনি পাকহানাদার বাহিনীর কাছে বন্দি ছিলেন। এটা সবারই জানা। এতে সন্দেহ নেই।’

বিএনপি কি এখন তার নেত্রীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা সনদ চাইবে?

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সব মুক্তিযোদ্ধা কি তালিকাভুক্ত হয়েছেন? এখনও অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা স্বেচ্ছায় আবেদন করেননি। তারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন।’

বেগম খালেদা জিয়া অবশ্যই একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ৭১ সালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তা ছাড়া উনি পাকহানাদার বাহিনীর কাছে বন্দি ছিলেন। এটা সবারই জানা। এতে সন্দেহ নেই

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি তাকে ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক’ আখ্যা দিয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিতর্ক করেছে।

এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একটি রায়ও হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রের ওপর ভিত্তি করে সেই রায়ে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইট শুরুর পর প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ২৭ মার্চ যে ঘোষণা দেন, তার আগেও সেখান থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে সেনা-কর্মকর্তাদের হিসাবে জিয়াউর রহমানের ঘোষণাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সেটিই বেশি আলোচিত হয়েছে।

উচ্চ আদালতের রায়ের পরও বিএনপি তাদের প্রতিষ্ঠাতাকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ আখ্যা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে তাদের নেত্রীকে এবার ‘প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা’ উল্লেখ করল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরুদ্দিন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জিয়াউর রহমানের অনুপস্থিতিতে তখন আমাদের নেত্রী প্রয়োজনীয় সব পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে শিশুসন্তানদের নিয়ে পালিয়ে বেরিয়েছেন। তারপরে তো কারাবন্দিই ছিলেন।

খালেদা জিয়া সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বলেও দাবি দলের স্থায়ী কমিটির আরেক নেতার। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। আমাদের নেত্রী তখন যুদ্ধও করেছেন। তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। এখন তো কত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছেন, সনদ নিয়ে ঘোরেন। তবে সনদের অপেক্ষায় তো আর ইতিহাস বদলে যাবে না। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, অবশ্যই সেটা মানতে হবে।‘

মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া ছিলেন ক্যান্টনমেন্টে। অনেকবার বলেছি, খালেদা জিয়াকে আমি নিতে এসেছিলাম। আমার বন্ধু শহীদ জুয়েলসহ আরও দুইজন। তখন গভীর রাত ছিল। কথা ছিল, আমাদের সঙ্গে তিনি যাবেন ওইপার (সীমান্তের ওপারে)। পরের দিন গিয়ে দেখলাম, তিনি চলে গেছেন ক্যান্টনমেন্টে। দীর্ঘ ৯ মাস ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন।

মন্ত্রী কী বলছেন

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা (খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি) আসলে একটা তামাশা। বিএনপি ভালো তামাশা করতে পারে তা নতুন কিছু না। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সেই তামাশার এমন দশা তা আর কী বলব? শেষ পর্যন্ত তারা স্বাধীনতা নিয়ে, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তামাশা করতে ছাড়েনি। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করার সমান, দেশকে কটাক্ষ করার সমান।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা, তা অনুযায়ী যারা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপি কি বলতে চায় যে খালেদা জিয়া পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন? এটা তো তারা খোলাসা করছেন না।’

এটা (খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি) আসলে একটা তামাশা। বিএনপি ভালো তামাশা করতে পারে তা নতুন কিছু না। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সেই তামাশার এমন দশা তা আর কী বলব? শেষ পর্যন্ত তারা স্বাধীনতা নিয়ে, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তামাশা করতে ছাড়েনি। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করার সমান, দেশকে কটাক্ষ করার সমান।

‘তিনি স্বেচ্ছায় ক্যান্টনমেন্টে গিয়েছেন আরামে থাকার জন্য। ইতিহাস কী বলে, সেটা দেশবাসীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখলাম’-বলেন একাত্তরের রণাঙ্গনের যোদ্ধা মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি তাদের নেত্রীকে আদর করে ভালোবেসে কোনো উপাধি দিতে চায়, সেটা আলাদা কথা। তবে সেখানেও আমার আপত্তি আছে, আদর করে মা ডাকেন, মুক্তিযোদ্ধা না।’

‘খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় সেনানিবাসে ছিলেন’

সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন, এই যে এসব কথা, এগুলো কি তাদের (বিএনপি) কল্পনা? যখন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠিয়েছেন খালেদা জিয়াকে নিয়ে যেতে, তখন কয়জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন? এসব ইতিহাস ঘাঁটলে বিএনপি কোথায় পালাবে তা জানা নেই। উনি মুক্তিযোদ্ধার মধ্যেই পড়েন না।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা আলোচিত অভিযান চালানো অপারেশন ক্র্যাক প্লাটুনের যোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এক আলোচনায় ১৯৭১ সালের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া ছিলেন ক্যান্টনমেন্টে। অনেকবার বলেছি, খালেদা জিয়াকে আমি নিতে এসেছিলাম। আমার বন্ধু শহীদ জুয়েলসহ আরও দুইজন। তখন গভীর রাত ছিল। কথা ছিল, আমাদের সঙ্গে তিনি যাবেন ওইপার (সীমান্তের ওপারে)। পরের দিন গিয়ে দেখলাম, তিনি চলে গেছেন ক্যান্টনমেন্টে। দীর্ঘ ৯ মাস ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন।’

মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় যা রয়েছে

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী তারাই মুক্তিযোদ্ধা, যারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধে অংশ নিতে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন অথবা বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন, বিশ্বে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন অথবা যুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে কর্মকর্তা বা কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অথবা সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ইপিআর, আনসার বাহিনীর সদস্য যারা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন অথবা পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত নারী।

যেভাবে সামনে আসে প্রসঙ্গটি

গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়া হচ্ছেন সেই নেতা, ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে যার ভূমিকা একজন মুক্তিযোদ্ধার। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন। আর আমাদের (বিএনপির) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি শিশু মুক্তিযোদ্ধা। তিনিও তখন মায়ের সঙ্গে কারাগারে ছিলেন।’

দুই দিন পর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় তিনি বলেন, ‘এই দেশের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় তারা আটক করে রেখেছে। তিনি এখন অত্যন্ত অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ।’

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের জন্মের বয়স হিসাব করলে তাদের যুদ্ধ বা রাজনীতি বোঝার কথা নয়। তারেকের জন্ম ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার বয়স ছিল সাড়ে তিন বছরের কম। অন্যদিকে কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্ট। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার বয়স দেড় বছরের কিছু বেশি।

২০ ডিসেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে আরেক আলোচনায় ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে দুই শিশুর হাত ধরে, আজকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর হাত ধরে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।’

তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের জন্মের বয়স হিসাব করলে তাদের যুদ্ধ বা রাজনীতি বোঝার কথা নয়।

তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার বয়স ছিল সাড়ে তিন বছরের কম।

অন্যদিকে কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্ট। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার বয়স দেড় বছরের কিছু বেশি।

শুধু মির্জা ফখরুল নন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও একাধিক আলোচনায় খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বক্তব্য রেখেছেন।

গত বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৮ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়াসহ তার দুই সন্তানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কারাগারে মাসের পর মাস কাটাতে হয়েছে। তারা মুক্তিযোদ্ধা। তাদের প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা।‘

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তোমরা সত্য জানার চেষ্টা করো। মনে রাখবে জ্ঞান তাই যা সত্য। মিথ্যা জানা জ্ঞান নয়। যারা মিথ্যা জানাতে চায় তারা আমাদেরকে অজ্ঞানতার অভিশাপে আবদ্ধ করতে চায়। কাজেই সত্য জানার আবেগ ও উৎসাহ আরও জাগ্রত হোক।’

আরও পড়ুন:
এই মুহূর্তেই রাস্তায় নামতে চান রিজভী
খালেদার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে: রিজভী
খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে রিট
বিএনপির বিজয় র‍্যালিতে ‘অসুস্থ খালেদা’
খালেদা প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, দাবি ফখরুলের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will take drastic action to collect interest free loans M Sakhawat Hossain

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Foreign Adviser

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলের নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।

বাংলাদেশে সফররত ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. মাহমুদ সিদকি আল-হাব্বাশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানান।

ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. আল-হাব্বাশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের স্থায়ী সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।

ফিলিস্তিনিদের নিরন্তর সমর্থনের জন্য দেশটির প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ওপরও জোর দেন।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে ড. আল-হাব্বাশ তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The welfare of journalists requires public private joint venture Information and broadcasting adviser

সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। এ ধরনের উদ্যোগ সাংবাদিকদের পেশাগত ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। সোমবার (৮ই সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে গ্রুপ বিমা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসির সঙ্গে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রায় দুই হাজার সদস্যের মধ্যে বিমা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে শুধু সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়, বেসরকারি খাতকেও এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বিমা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও সাংবাদিকদের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে প্রতি তিন মাস পরপর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। গত অর্থবছরে সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। উপদেষ্টা জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মপরিধি বাড়ানো হয়েছে।

মাহফুজ আলম বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়া লেজিসলেটিভ বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নেও সরকার কাজ করছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানে যাঁরা ত্যাগস্বীকার করেছেন, তাঁদের লড়াইয়ের গল্প জনগণের নিকট তুলে ধরতে হবে। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের অবদান গণমাধ্যমে প্রচার করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজিম উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Publish notifications regarding the export of hilsa fish

ইলিশ মাছ রপ্তানি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ইলিশ মাছ রপ্তানি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ইলিশ মাছ রপ্তানি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তাণি ২ শাখার উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়,প্রতিবছরের ন্যায় চলতি ২০২৫ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১,২০০ (এক হাজার দুইশত) মে.টন ইলিশ ভারতে শর্তসাপেক্ষে রপ্তানির জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সে আলোকে আগ্রহী রপ্তানিকারকগণের নিকট হতে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকাল ৫টা পর্যন্ত) হার্ড কপিতে আবেদন আহবান করা যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে।

প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২.৫ মার্কিন ডলার সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে যারা আহবান ব্যতিরেকেই আবেদন করেছেন, তাদেরকেও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Unbelievable progress in the shipping sector The shipping adviser highlighted the significant success of the revenue infrastructure infrastructure and the maritime sector

নৌপরিবহন খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি: রাজস্ব আয়, অবকাঠামো উন্নয়ন ও মেরিটাইম সেক্টরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নৌপরিবহন খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি: রাজস্ব আয়, অবকাঠামো উন্নয়ন ও মেরিটাইম সেক্টরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের কর্মকাণ্ডে এসেছে বহুমুখী সাফল্য। সংস্কার ও বিশেষ কার্যক্রম, অবকাঠামো উন্নয়ন, নৌ যোগাযোগ সম্প্রসারণ, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও আধুনিকায়নের পাশাপাশি রাজস্ব আয়েও হয়েছে উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি। আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নৌপরিবহন খাতে গত এক বছরের উল্লেখযোগ্য অর্জন, কার্যক্রম ও উন্নয়ন সম্পর্কে এসব তথ্য তুলে ধরেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে নৌপরিবহন খাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার মোট রাজস্ব আয় ৬৫৭৫.৯৭ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৯.৪০৮% বেশি। একই সময়ে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে ২২২৩.৩৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ২১.৮১% বেশি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ রাজস্ব আয় করেছে ৫২২৭.৫৫ কোটি টাকা, তন্মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে ১৭৬১.৯৭ কোটি টাকা । চট্টগ্রাম বন্দর গত অর্থ বছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ (৩২,৯৬,০৬৭টি) কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ৪% এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ৬.০৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দরের ইয়ার্ড থেকে ২০ বছর যাবৎ পড়ে থাকা ৩৯৭টি গাড়ী অপসারণ করা হয়েছে এবং নিলামযোগ্য ১০ হাজার TEUs কন্টেইনার অপসারণের কার্যক্রম চলমান আছে। চট্টগ্রাম ড্রাইডক কর্তৃক নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেশনে যাওয়ার পর পূর্বের তুলনায় দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সময় এবং ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে আন্তর্জাতিক রুটে ৫টি জাহাজ পরিচালনা করে ৩০০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে যা বিএসসি’র ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন কর্তৃক শেয়ারহোল্ডারদের ২৫% লভ্যাংশ প্রদান করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার সংস্কারমূলক কার্যক্রমে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নৌপরিবহন উপদেষ্টা জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক এই প্রথম বারের মতো জাইকার কারিগরি সহায়তায় ন্যাশনাল পোর্টস স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করা হচ্ছে। ২৮ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অকার্যকর ৩টি স্থলবন্দর বন্ধ এবং ১টি স্থলবন্দর এর অপারেশনাল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ৩৬৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৯.৮০ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে যার মূল্য প্রায় ২৮ কোটি টাকা। এছাড়াও, কক্সবাজার জেলার বাঁকখালী নদী হতে ৪৯৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৬৩ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ নৌরুটে স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহনের জন্য কিলোমিটার প্রতি নৌরুটের ভাড়া সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়াকে নতুন নদীবন্দর হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ১৫টি স্থাপনা এবং নৌযানের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। দেশের বিচ্ছিন্ন জনপদ যেমন কুতুবদিয়া, ভাসানচর ইত্যাদি এলাকার সাথে নৌ যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। চর কুকরিমুকরি, কচ্ছপিয়া, ঢালচর, কলাতলী রুটে নৌ চলাচল চালু করা হয়েছে।

সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের বহরে দুটি আধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও তিনটি জাহাজ ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনাল, নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ও লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রায় ২৪৩৮১.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে একনেক কর্তৃক মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য ৬৩৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

দেশীয় অর্থনীতিতে সম্ভাবনাময় মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরসহ অন্যান্য স্থলবন্দর আধুনিকায়নের ফলে বন্দরের সক্ষমতা, নিরাপত্তা ও কার্যক্রমে গুণগত উন্নয়ন হয়েছে। মোংলায় এবং চট্টগ্রামের মাঝের চরে ফ্রি ইকোনমিক জোন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পায়রা বন্দরের অবকাঠামো ও টার্মিনাল নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে; ২০২৬ সালের জুলাই মাসে পূর্ণাঙ্গ অপারেশন চালু হবে।

মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প, বিআইডব্লিউটিএ’র মিঠামইন প্রকল্প, বিআইডব্লিউটিএ’র ৩৫ ড্রেজার প্রকল্প, মেরিন একাডেমির সিমুলেটর প্রকল্প, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্পসমূহ থেকে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ যাচাই-বাছাইপূর্বক ২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।

গত ৫৪ বছরে প্রথমবারের মতো নৌযানের ডাটাবেইজ তৈরির লক্ষ্যে নৌশুমারির জন্য বিবিএস এর সাথে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। ২০২৪ সালের UNCTAD রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাহাজ মালিকদের তালিকায় ৩৫তম স্থান অর্জন করে।

দেশের নৌকেন্দ্রীক পর্যটন সুবিধা বিকশিত করার লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পর্যটনের উদ্দেশ্যে ১২৫ বছরের পুরাতন স্টিমার পিএস মাহসুদ চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩৫ জলযান প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীতব্য সী-ট্রাক/ক্রুজ শীপ চালু এবং শিমুলিয়াতে একটি গ্রীণ পোর্ট ও পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সেবা সম্প্রসারণে, বাঁশবাড়িয়া (সীতাকুন্ড)-সন্দ্বীপ (গুপ্তছড়া) রুটে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে, কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে সী-ট্রাক সার্ভিস চালু করা হয়েছে এবং বিভিন্ন নদীপথে নাব্যতা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে গতি সঞ্চার হয়েছে। পাশাপাশি, পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনালে বিশ্বমানের শিপিং কোম্পানি মেডিটেরিনিয়ান শিপিং কোম্পানি (MSC) বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা শিগগিরই দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) হিসেবে যুক্ত হবে।

বিশেষ চুক্তি ও সহযোগিতা ক্ষেত্রে গত এক বছরে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মেরিটাইম শিক্ষা ও সার্টিফিকেটের পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি এবং ফিলিপাইনের মেরিটাইম একাডেমির সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া চীনের পরিবহন মন্ত্রণালয় মোংলা বন্দরের উন্নয়ন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে, এ সময় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন সংস্থায় হাজারেরও অধিক নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার নাবিকের সাইন অন সম্পন্ন হয়েছে।

মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে মেরিন একাডেমি ও মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে জনবল নিয়োগ, অত্যাধুনিক সিমুলেটর সংগ্রহ ও পাঠ্যক্রম আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিমুলিয়ায় একটি ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালু করা হয়েছে। ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটি, মাদারীপুরের নিজস্ব ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো নাবিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের জন্য মেরিন একাডেমিগুলোতে স্কলারশিপ চালু করায় বাংলাদেশের সামুদ্রিক শিক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও প্রসারিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ২০২৪-২৫ মেয়াদে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের সি-ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনেও (২০২৬-২৭ মেয়াদ) সি-ক্যাটাগরিতে সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং আইএমওভুক্ত অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন চেয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

নৌপরিবহন খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। অবকাঠামো উন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং বন্দর ও শিপিং খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি—এসব কার্যক্রম আগামী দিনে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে আশাবাদ ব্যক্ত করেদন নৌপরিবহন উপদেষ্টা।

সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে