× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Fakhrul called Tareq a child freedom fighter
google_news print-icon

তারেককে শিশু মুক্তিযোদ্ধা বললেন ফখরুল

তারেককে-শিশু-মুক্তিযোদ্ধা-বললেন-ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি শিশু মুক্তিযোদ্ধা। তিনিও তখন মায়ের সঙ্গে কারাগারে ছিলেন।’

একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও যুক্তরাজ্যে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এবার শিশু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি শিশু মুক্তিযোদ্ধা। তিনিও তখন মায়ের সঙ্গে কারাগারে ছিলেন।’

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত হচ্ছে। সুতরাং ওই চিন্তা করে কোনো লাভ নেই। প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে শত শত জিয়াউর রহমান তৈরি হচ্ছে।’

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা তারেক রহমানকে মোট চারটি মামলায় সাজা দিয়েছে আদালত।

২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশে দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

দুই বছর পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তারেকের দণ্ড হয় ১০ বছর। এই মামলায় সাজা হয়েছে তার মা বেগম খালেদা জিয়ারও। বিচারিক আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলেও উচ্চ আদালত সাজা দ্বিগুণ করেছে। দুই বছরের বেশি সাজা ভোগের পর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় গত মার্চে বেগম জিয়া সাময়িক মুক্তি পান।

তারেকের বিরুদ্ধে তৃতীয় সাজার রায় আসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায়। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এই রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পরের বছর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি দেশে ফেরেননি।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়ার সাজা হলে তারেককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে বিএনপি।

আলোচনা সভায় এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরসহ অন্যরা।

আরও পড়ুন:
তারেক জিয়ার নতুন কৌশল গুজবসন্ত্রাস
তারেকের জন্মদিনের অনুষ্ঠান বাতিল করে খালেদার জন্য দোয়া
রাজনীতির স্বরবর্ণ-ব্যাঞ্জনবর্ণ বোঝেন না তারেক: জয়
মানুষ কী খাবে সরকারের খেয়াল নেই: ফখরুল
তারেক জিয়া তোমার সঙ্গে দেখা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
BNP wants electoral reforms on priority basis Salahuddin

বিএনপি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী সংস্কার চায়: সালাহউদ্দিন

বিএনপি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী সংস্কার চায়: সালাহউদ্দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সংস্কারে মানুষের মধ্যে নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে। নির্বাচনমুখী সংস্কারগুলো আগে বাস্তবায়ন করতে হবে।’

দ্রুত নির্বাচনের লক্ষ্যে বিএনপি নির্বাচনমুখী সংস্কারগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্মরণসভায় তিনি এ কথা জানান।

৯০-র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

ওই সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সংস্কারে মানুষের মধ্যে নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে। নির্বাচনমুখী সংস্কারগুলো আগে বাস্তবায়ন করতে হবে।

‘একটা নির্বাচিত সরকার লাগবে। সংবিধানে বর্তমানে যেখানে যা কিছুই থাকুক না কেন, তা অকার্যকর।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এ সদস্য বলেন, ‘গণপরিষদ গঠনের কথা অপ্রাসঙ্গিক। সুতরাং এই গণপরিষদের ভাবনা যারা বলছেন, তাদের আবারও ভাবা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য পতিত ফ্যাসিবাদ কিছুদিন পরপর প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখে। বিদেশে বসে দেশে অস্থিরতা চালাচ্ছেন শেখ হাসিনা, কিন্তু এটি সফল হবে না।’

আরও পড়ুন:
সাবেরের মুক্তি নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর
বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জলমহাল দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার 
সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি
ছাত্র হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি বিএনপি নেতা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শনিবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rizveer questions Sabers release

সাবেরের মুক্তি নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর

সাবেরের মুক্তি নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর সাবের হোসেন চৌধুরী। ফাইল ছবি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছেন। তার সহযোগী এ সাবের হোসেন। তিনি তো শেখ হাসিনার চেতনায় লালিত।’

আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর মুক্তি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বৃহস্পতিবার গুম-খুন হওয়া পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে সাবের হোসেনের বিচারের দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

রিজভী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। তিনি আইন উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় একজন খুনি কীভাবে জামিন পান? এই এলাকায় কী রকম জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতন চালিয়েছে।

‘কতজন হাত-পা হারিয়েছে। জনির মতো তরুণ ছেলে জীবন দিয়েছে। তাকে বাড়ি থেকে তুলে এই জায়গায় নিয়ে এসে ১৬টি গুলি করে হত্যা করেছে। সাবের হোসেন চৌধুরী এর জন্য দায়ী নন কি? তার নির্দেশেই (সাবের হোসেন চৌধুরী) ওই এলাকায় ১১ জন গুম, খুনের শিকার হয়েছে। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছেন। তার সহযোগী এ সাবের হোসেন। তিনি তো শেখ হাসিনার চেতনায় লালিত।

‘তাদের আমলে কেউ গণতন্ত্রের পক্ষে টুঁ শব্দ করতে পারেনি। বিএনপির পক্ষে, খালেদা জিয়ার পক্ষে, তারেক রহমানের পক্ষে কথা বলতে পারেনি। এ জন্যই তিনি (সাবের হোসেন চৌধুরী) গুম, খুনের কর্মসূচি সফল করেছেন।’

ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের আসিফ নজরুলের মতো মানুষ আছে। তারা থাকা অবস্থায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কীভাবে সাবের হোসেন চৌধুরী জামিনে মুক্তি পান। তাহলে এ সরকার কাকে প্রটেকশন দিচ্ছে?’

রিজভী আরও বলেন, ‘সাবের হোসেন চৌধুরী বিনা ভোটে বছরের পর বছর এমপি থেকেছেন। তার নির্দেশেই এতগুলো খুন, বিচার-বহির্ভূত হত্যা হয়েছে। তিনি যদি জামিনে মুক্তি পান, তাহলে যারা অর্থ কেলেঙ্কারিকে যেসব পুলিশ ক্রসফায়ার দিয়েছে, বাসা থেকে তুলে নিয়ে আঙুলের নখ তুলে ফেলেছে, মাথায় বন্দুক রেখে গুলি করে হত্যা করেছে, তারা তো কয়েক দিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যাবে। এর উত্তর কী দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’

পরে সাবের চৌধুরীর গ্রেপ্তারের দাবিতে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগর বিএনপির নেতা ইউনূস মৃধা, সাবেক কাউন্সিলর লিটন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্তসহ অনেকে।

আরও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী সাবের চৌধুরী পাঁচদিনের রিমান্ডে
সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছে বিএনপি
ছাত্র হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি বিএনপি নেতা
ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করা হোক: রিজভী
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ শনিবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rizveer called for quick elections to bring back democratic politics

গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর

গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘কোথায় যেন একটা ঢিলেঢালা ভাব! এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়, তাহলে বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি। আমরা আন্দোলনী ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদেরও শুনাব। তাই অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’

দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে বুধবার বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ-পূর্ব এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘কোথায় যেন একটা ঢিলেঢালা ভাব! এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়, তাহলে আমি বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি। আমরা আন্দোলনী ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদেরও শুনাব। যদি নিজেরা শুধরে না যান, যদি সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে রহস্য থাকে তাহলে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতিরোধের ঝড়ের নিনাদ শুনতে হবে। তাই সুষ্ঠু ধারায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’

বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণের সমর্থনের সরকার। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে গণতন্ত্র ও জনগণ ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার মতো কুলাঙ্গারের যেন প্রত্যাবর্তন না হয়, এটাই জনগণ চায়।’

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। গত ১৬/১৭ বছর নিরন্তর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দলটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চাঙ্গা রেখেছে। এ কারণে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রোষানলে পড়ে গুম-খুনের শিকার হতে হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। অনেককে হাত-পা ভেঙে পঙ্গুত্ব বরণে বাধ্য করেছে। অনেককে অন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার পুলিশ! কিন্তু কেন যেন মনে হয়, কতিপয় উপদেষ্টা সেই বিএনপিকে একচোখে দেখার চেষ্টা করছেন।’

জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক আমরা চাই। কিন্তু সফলতার নামে, সংস্কারের নামে নির্বাচন আয়োজন দীর্ঘায়িত করা হলে মানুষ তাদেরকে সন্দেহ করবে।’

বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দীন আলম, সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
গণতন্ত্রকামীদের পক্ষের মেধাবী লোক প্রশাসনে বসান: রিজভী
স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন হলে দেশ ঘাতকের অভয়ারণ্য হবে: রিজভী
ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করা হোক: রিজভী
গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে খালাস পেলেন ফখরুল, রিজভীসহ আটজন
বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে ভালো হবে না

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNPs promise to prosecute incidents of persecution of Hindus

হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনার বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির

হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনার বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির ছবি: সংগৃহীত।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক পালাবদলকে খাটো করতে কিছু বিদেশি গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট ও মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি বলব না যে কিছুই হয়নি। তবে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে কিছু ঘটনা সাম্প্রদায়িক নয়, রাজনৈতিক।’

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের নির্যাতনের সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।

দুর্গাপূজার প্রথম দিনে বুধবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের আট দফার প্রতি বিএনপির সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা যে আট দফা উল্লেখ করেছেন, আমরা তা বিবেচনা করছি। আট দফার মূল ইস্যুর প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে।

‘আমরা আপনাদের বলতে পারি যে অতীতে যেমন প্রতিটি সমস্যায় আপনাদের পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’

আওয়ামী লীগের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ত্রাণকর্তা বলে দাবি করা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অতীতে তাদের ওপর যেসব নিপীড়ন হয়েছে তার সবগুলোর সঙ্গে জড়িত।

‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি ও সম্পত্তি দখলের ঘটনার পেছনেও তারা (আওয়ামী লীগের লোকজন) ছিল। ভবিষ্যতে আমাদের দল সরকার গঠন করলে প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা নিজ সম্প্রদায়ের আট দফা দাবি তুলে ধরে সংখ্যালঘুরা অন্যায় ও নির্যাতনের শিকার হলে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক পালাবদলকে খাটো করতে কিছু বিদেশি গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট ও মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি বলব না যে কিছুই হয়নি। তবে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে কিছু ঘটনা সাম্প্রদায়িক নয়, রাজনৈতিক।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ভয়াবহ দানবীয় শক্তিকে পরাজিত করে সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না, ধর্মান্ধতা থাকবে না, সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না। এক বর্ণের সঙ্গে আরেক বর্ণের কোনো প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা বা ঘৃণার কোনো রাজনীতি থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘পরিবর্তনের সুযোগ সবাইকে নিতে হবে। এই দেশটা কারও একার নয়। ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম…। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল সত্যিকার অর্থেই অসাম্প্রদায়িক, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র, একটা সমাজ নির্মাণ করব। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

বিএনপি মহাসচিব সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী দেড় হাজারের বেশি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং শহীদদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও তাদের পরিবারকে সহায়তা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমার দলের পক্ষ থেকে, দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই শারদীয় দুর্গাপূজা আপনাদের জীবনে অনাবিল আনন্দ নিয়ে আসুক, একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করুক, সত্যিকার অর্থেই একটা সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক এই কামনা করছি।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের বৈদেশিক বাজার দখলের পাঁয়তারা করছে ভারত: ফখরুল
নির্বাচন যত দ্রুত হবে ততই দেশের জন্য কল্যাণকর: ফখরুল
শেখ হাসিনার দেশে ফিরে জবাবদিহি করা উচিত: ফখরুল
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায় ভারত: ফখরুল
খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটির ঘটনা পতিতদের ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three leaders of BNP were dismissed and acquitted

মামলা খারিজ, খালাস পেলেন বিএনপির তিন নেতা

মামলা খারিজ, খালাস পেলেন বিএনপির তিন নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও রুহুল কবির রিজভী। কোলাজ: নিউজবাংলা
উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় বুধবার ধার্য তারিখে বাদী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। বাদী এবি সিদ্দিক এ নিয়ে ২০ বার আদালতে অনুপস্থিত রয়েছেন। পরে আদালত মামলাটি খারিজ করে আসামিদের বেখসুর খালাস দেয়।

উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে খালাস দিয়েছে আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত বুধবার মামলাটি খারিজ করে তাদের খালাস দেয়।

এদিন মামলার ধার্য তারিখ ছিল। তবে এ নিয়ে মামলার বাদী এবি সিদ্দিক ২০ বার আদালতে অনুপস্থিত রয়েছেন। পরে আদালত মামলাটি গরহাজির দেখিয়ে খারিজ করে দেয় এবং আসামিদের বেখসুর খালাস দেয়।

দাঙ্গা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ এনে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২২ সালের ৯ জুন আদালত মামলাটি আমলে নেয়।

আরও পড়ুন:
বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‌ঊর্মির নামে মামলা, সমন
গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে খালাস পেলেন ফখরুল, রিজভীসহ আটজন
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে দুই কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamaats 41 proposals for state reform

রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাব

রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাব গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। ছবি: জামায়াতে ইসলামী
পুলিশের আইন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, বদলি ও পদোন্নতির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। কোনো সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না। পুলিশ ট্রেনিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা রাখতে হবে। মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে।

রাষ্ট্র সংস্কারে ৪১টি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে অন্যতম বিচার বিভাগ সংস্কার, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল, পুলিশি আইন সংস্কার ও সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের সময়সীমা ৬২ বছর করা।

গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।

ওই সময় দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যারা জীবন দিয়েছে আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আওয়ামী লীগ দেশকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য একনায়কতন্ত্র কায়েম করে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য প্রশাসন, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করেছিল। হাজার হাজার মামলা দায়ের করে জুলুমের রাজনীতি কায়েম করেছিল।’

বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা কারার প্রস্তাব দিয়ে তাহের বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আইন সংস্কার করতে হবে। দেওয়ানি মামলা ৫ বছর ও ফৌজদারি মামলা ৩ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিল। এখন এটি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং ইভিএম বাতিল করতে হবে।’

পুলিশের আইন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, বদলি ও পদোন্নতির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। কোনো সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না। পুলিশ ট্রেনিংয়ের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা রাখতে হবে। মারণাস্ত্রের ব্যবহার কমাতে হবে।

জামায়াত নেতা সরকারি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনা মূল্যে করতে হবে। চাকরিতে বয়স সময়সীমা আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ ও পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর আর অবসরের বয়স হবে ৬২ বছর।’

সরকারি চাকরিতে প্রশ্নফাঁস বা দুর্নীতি করে যারা চাকরি পেয়েছে, তাদের নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানায় জামায়াত। একই সঙ্গে দুদককে শক্তিশালী করে স্বাধীনভাবে কাজ করার ব্যবস্থার প্রস্তাব দেয় দলটি।

পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন প্রস্তাব দিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ব্যবহারে ভাগভাগি থাকতে হবে।

ওই সময় শিক্ষা ও দেশের বিনোদন খাত নিয়েও সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয় জামায়াতের পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়, সব শ্রেণিতে হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর বিষয় যুক্ত করতে হবে। নাটক, সিনেমা ও কন্টেন্ট ‘অশ্লীলতামুক্ত’ করতে হবে।

জামায়াতের প্রস্তাবে বলা হয়, চীন, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নিতে হবে। পররাষ্ট্র বিষয়ে সাম্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক রাখতে হবে।

হজ ও ওমরার খরচ কমানোর জন্য কার্যকরী উদ্যেগ নেওয়ার কথাও বলা হয় প্রস্তাবে।

অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণহত্যায় জড়িত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আগে নির্বাচন, না আগে সংস্কার, এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘দুটি রোডম্যাপ হবে। একটা সংস্কারের আর একটা নির্বাচনের, তবে সময় যেন অতি দীর্ঘ না হয়, আবার অতি সংক্ষিপ্ত না হয়।

‘দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। একটি বর্ণাঢ্য সংসদের জন্য জনগণকে কোনো ব্যক্তিকে না, দলকে ভোট দিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ইতালি ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ হাজার ভিসা নিষ্পত্তি করবে
শেখ হা‌সিনা ভারতে না অন্য কোথাও, জানে না সরকার
পূজার নিরাপত্তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে উস্কানিমূলক খবর প্রচার হচ্ছে
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য হলেন যারা
দুর্গাপূজায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pro democracy talent in administration Rizvi

গণতন্ত্রকামীদের পক্ষের মেধাবী লোক প্রশাসনে বসান: রিজভী

গণতন্ত্রকামীদের পক্ষের মেধাবী লোক প্রশাসনে বসান: রিজভী বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার গুলশানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘প্রশাসনে স্বৈরাচার থাকলে দেশ বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়বে। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, পুনরুত্থান মানে দেশ হবে এক ভয়ংকর বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমি যাতে তৈরি না হয় সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’

পতিত স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ প্রশাসনের মধ্যে থাকলে তারা দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের এসব কীটপতঙ্গ সরিয়ে গণতন্ত্রকামীদের পক্ষের মেধাবী লোকজন প্রশাসনে বসাতে হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘মানবতা অবশ্যই রাখবেন। কিন্তু যারা নিজেরা মানবতা দেখায়নি, যারা শেখ হাসিনাকে উদ্বুদ্ধ করেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে গুলি করতে, সেই স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ যদি প্রশাসনের মধ্যে থাকে, আপনাদের পদে পদে বাধা দেবে।

‘স্বৈরাচারের এসব কীটপতঙ্গকে অতি দ্রুত চিহ্নিত করে গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে যারা ছিল অথবা যারা নিরপেক্ষ ছিল তারা যে দলেরই সমর্থক হোক না কেন এসব মেধাবী লোকদের প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বসান।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, পুনরুত্থান মানে দেশ হবে এক ভয়ংকর বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমি যাতে তৈরি না হয় সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।

‘সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তাদেরও অন্তরে সততার আলো নিয়ে খুব দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে। সেই পথ, সেই মত তৈরি করতে হবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে মাঠ দরকার, সেটি তাদের তৈরি করতে হবে।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘তিনি আবু সাঈদের মতো একজন মহিমান্বিত আত্মদানকারীকে বলছেন সন্ত্রাসী। তাকে বলছেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। এদের মতো লোকজন প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় আছে।

‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তো প্রশাসনের একটি অংশ; তাহলে আজকে সচিবালয় থেকে শুরু করে বিচারালয় থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে এই স্বৈরাচারের দোসররা একটি বিপ্লবের সরকারকে ব্যর্থ করতে চাইবে, সেটা তো আমরা প্রত্যেকেই জানি।’

রিজভী বলেন, ‘প্রশাসনে যাদের নতুন প্রমোশন হচ্ছে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- আওয়ামী প্রশাসন জনগণের টাকা লুট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আপনারা বঞ্চিত ছিলেন। আপনাদের চিহ্নিত করা হয়েছিল বিরোধী দলের লোক হিসেবে। এখন আপনারা যদি মনে করেন এতদিন বঞ্চিত ছিলাম এখন ভাগ-বাঁটোয়ারা করে সেটি পূরণ করব, তাহলে কিন্তু এই জাতি চিরদিনের জন্য অন্ধকারে চলে যাবে।’

বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
স্বৈরশাসকের পুনর্বাসন হলে দেশ ঘাতকের অভয়ারণ্য হবে: রিজভী
ভারতের সঙ্গে করা সব গোপন চুক্তি প্রকাশ করা হোক: রিজভী
গাড়ি পোড়ানোর মামলা থেকে খালাস পেলেন ফখরুল, রিজভীসহ আটজন
বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে ভালো হবে না
শেখ পরিবার ভদ্রতা-শিষ্টাচার শেখেনি: রিজভী

মন্তব্য

p
উপরে