× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The fear of splitting UP in the national elections is in the A League
google_news print-icon

ইউপির বিভক্তি জাতীয় নির্বাচনে পড়ার শঙ্কা আ.লীগে

ইউপির-বিভক্তি-জাতীয়-নির্বাচনে-পড়ার-শঙ্কা-আলীগে
সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অবনী মোহন দাস বলেন, ‘এখানে লড়াই হচ্ছে নিজেদের মধ্যেই। এ কারণে দ্বন্দ্ব, দূরত্ব বাড়বে। প্রতিহিংসা নির্বাচনের আগে ও পরে থাকবে।’ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীদের এই বিভক্তি আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।’

তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বিদ্রোহীদের কারণে ভরাডুবির পর চতুর্থ ধাপে চারও চার উপজেলায় একই কারণে কোণঠাসা ক্ষমতাসীন দল।

এই চার উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে নৌকার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন ৩৯ জন।

কেবল একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে দল থেকে কেউ চ্যালেঞ্জ করেনি। বাকিগুলোর মধ্যে দুটি ইউনিয়নে চারজন করে বিদ্রোহীও আছে।

একটি দলের এক প্রার্থী দলের কর্মী-সমর্থকদের জন্য তৈরি করেছে বিড়ম্বনা। ভোট ভাগাভাগি হলে নৌকার প্রার্থীর জয়ের আশা কমে আসবে বলেও মনে করছেন তারা।

এই নির্বাচনকে ঘিরে দলে স্থানীয় পর্যায়ে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে, সেটি আগামী জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে বলে শঙ্কার কথা বলছেন জেলা কমিটির নেতারাই।

শাল্লার হবিবপুর ইউনিয়নের ভোটার রাজন দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এলাকার বেশির ভাগ ভোটারই আওয়ামী লীগের সমর্থক। কিন্তু এখন আমরা বিব্রত অবস্থায় আছি। নির্বাচনে সবই দেখি আওয়ামী লীগের লোক, ইকানো প্রতীক দেয়ার কোনো দরকারই আছিল না। ছোট্ট একটা উপজেলায় এত চেয়ারম্যান প্রার্থী যেটায় আমরা হতাশ।’

একই উপজেলার আনন্দপুর এলাকার বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের পাশের উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামে দলীয় প্রতীক নেই। আমাদের উপজেলায়ও সেভাবে হলে ভালো হতো, দলীয় প্রতীক এখানে থাকায় দলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে এবং নির্বাচনের দিন একটি সহিংসতা হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।’

সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অবনী মোহন দাস বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দলের কর্মী হিসেবে মেনে নিতে হবে। তবে এখানে লড়াই হচ্ছে নিজেদের মধ্যেই। এ কারণে দ্বন্দ্ব দূরত্ব বাড়বে। প্রতিহিংসা নির্বাচনের আগে ও পরে থাকবে। এটি নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন।’

জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীদের এই বিভক্তি আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।’

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘যেসব নির্বাচনি এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন, সেখানে নৌকা প্রতীক না দিলেই ভালো হতো। তবে যারা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে।

বিদ্রোহীর দাবি, কর্মীদের চাপে প্রার্থী হতে হয়েছে

শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন নান্টু চৌধুরী। দল প্রতীক না দিলেও তিনি ভোটে আছেন।

এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক স্থানে দলীয় বিধি ভেঙে প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়েছে। তাই ভোটারদের চাপে ও দলের তৃণমূল কর্মীদের আহ্বানে আমি প্রার্থী হয়েছি।’

সাচনাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সায়েম পাঠান বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিয়েছেন। আমি চাই জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতারা নেত্রীর নির্দেশনায় কাজ করবেন। আমি সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাই।’

কোন ইউনিয়নে কারা বিদ্রোহী

ধর্মপাশা উপজেলা সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে নাসরিন সুলতানা দীপাকে। দলের মনোনয়ন না পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন সুমন সরকার, মোহিতলাল মুন ও জাকির হোসেন।

সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরী। সঙ্গে বিদ্রোহী হিসেবে আছেন মোকারম হোসেন।

ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে জোবায়ের পাশা হিমুকে। সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দলের বিদ্রোহী নেতা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও তুঘলক আহমদ।

সেলবরষ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সুলতান আহমদ তালুকদার। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন আলা উদ্দিন শাহ।

পাইকরহারি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমএ রেজা। বিদ্রোহী হিসেবে আছেন ইকবাল হোসেন।

জয়শ্রী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সঞ্জয় রায় চৌধুরীর সঙ্গে বিদ্রোহী হিসেবে আছেন নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।

মধ্যনগর উপজেলার চার ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন আরও সাতজন।

মধ্যনগর সদর ইউনিয়নে নৌকা দেয়া হয়েছে প্রবীর বিজয় তালুকদারকে। সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সঞ্জীব তালুকদার।

চামরদানী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আলমগীর খসরু। বিদ্রোহী প্রার্থী চারজন। এরা হলেন প্রভাকর তালুকদার পান্না, আসাদুজ্জামান রোকন, মোস্তফা কামাল খোকন এবং মিল্টন তালুকদার।

বংশিকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আজিম মাহমুদকে। বিদ্রোহী হিসেবে আছেন বিপ্লব বিশ্বাস।

বংশিকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আনোয়ার হোসেনকে। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রচারণায় আছেন জালাল উদ্দিন।

শাল্লা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১৬ জন।

আটগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমদাদুল হকের সঙ্গে সুলতান রানা, জাকির হোসেন ও মাশিকুল ইসলাম বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

হবিবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রঞ্জিত কুমার দাস। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস, শক্তি দা ও তপন কুমার দাস, আজিজুল ইসলাম, রাজিব কান্তি দাস, জগদীশ চৌধুরী।

বাহারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজল বরণ চৌধুরী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বিধান চৌধুরী, নান্টু চৌধুরী, তকবির হোসেন ও নরেশ অধিকারী।

শাল্লা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস সাত্তার। সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জামান চৌধুরী ফুল মিয়া, আবুল লেইছ চৌধুরী ও আব্দুল গণি।

জামালগঞ্জের চার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাতজন।

তবে সাচনা বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সায়েম পাঠান ছাড়া দলের আর কোনো প্রার্থী নেই।

বেহেলি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুবত্র সামন্ত সরকার। সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার, অজিত কুমার রায়, সারোয়ার হোসেন ও ফয়েজ আহমদ হাবলু।

ভিমখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আখতারুজ্জামান শাহের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া।

ফেনারবাক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজল তালুকদার। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মতিউর রহমান ও নূরু মিয়া।

আরও পড়ুন:
নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় ৯ নেতাকে অব্যাহতি
আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ১০ জন আহত 
আদর্শের রাজনীতিকে ঢেলে সাজাতে হবে
ইউপিতে বিদ্রোহীদের জয়ে ‘চিন্তিত নয়’ আওয়ামী লীগ
দুর্ঘটনায় বেপরোয়া গাড়ি ও পথচারী সমান দায়ী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Tourists arrived at the beach and were declared dead at the hospital

সমুদ্র সৈকতে এসে পর্যটক অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা

সমুদ্র সৈকতে এসে পর্যটক অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মীরা অসুস্থ পর্যটককে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ছবি: নিউজবাংলা
ওসমান গণি বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মীরা গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সৈকতের বালিয়াড়িতে ওই পর্যটক ঘোরাঘুরি করছিলেন। একপর্যায়ে ফোনে কথা বলার সময় তিনি বালিয়াড়িতে ঢলে পড়ে অবচেতন হন।’

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ঢলে পড়া এক পর্যটককে মৃত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানান সাগরে গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মো. ওসমান গণি।

প্রাণ হারানো মতিউর রহমানের (৪০) বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়।

ওসমান গণি বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মীরা গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সৈকতের বালিয়াড়িতে ওই পর্যটক ঘোরাঘুরি করছিলেন। একপর্যায়ে ফোনে কথা বলার সময় তিনি বালিয়াড়িতে ঢলে পড়ে অবচেতন হন।’

তিনি জানান, লাইফ গার্ড কর্মীরা ঘটনাটি দেখে তাৎক্ষণিক ওই পর্যটককে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, ‘সকাল ৯টার পরপরই সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মীরা এক পর্যটককে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন, কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু ঘটে।’

আরএমও বলেন, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে নাকি অন্য কোনো কারণে ওই পর্যটক মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মতিউরের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান এ চিকিৎসক।

আরও পড়ুন:
দুর্বৃত্তের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবকের মৃত্যু
ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৬ বন্যপ্রাণী
আইসিসির এলিট প্যানেলে আম্পায়ার সৈকত
টেকনাফের অপহৃত চারজন ফিরেছেন ‘মুক্তিপণ দিয়ে’, এক কৃষকের খোঁজ নেই
ইফতারে ব্যাটারির পানির শরবত পান করে হাসপাতালে চারজন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three van passengers killed by truck in Bagerhat

বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত

বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত বাগেরহাটে শনিবার সকালে ট্রাকের চাপায় তিনজন ভ্যানযাত্রী নিহত হয়েছেন। ছবি: নিউজবাংলা
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার জানান, সকালে মোংলাগামী একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী ভ্যানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

বাগেরহাটের খুলনা-মোংলা মহাসড়কে ট্রাকের চাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত হয়েছেন।

উপজেলার চেয়ারম্যান বাড়ি মোড় এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো তিনজন হলেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ঝনঝননিয়া গ্রামের সাঈদ মোড়ল (৪৫), একই গ্রামের মো. আজাদ (৩৫) ও কুমরাই গাববুনিয়া গ্রামের মো. মনি (৪৫)।

এ ঘটনায় ট্রাকটির চালক যশোরের চৌগাছার চানাদা-আফরা গ্রামের বাসিন্দা গাজি সাফায়েত হোসেনকে (১৮) আটক ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে মোংলাগামী একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী ভ্যানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে সাঈদ মোড়লের মরদেহসহ আহত দুইজনকে ট্রাকের চাকার নিচ থেকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়।

খুলনা-মোংলা জাতীয় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত
মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
15 were injured in the attack due to filing a case of assault

হামলার মামলা করায় ফের হামলা, আহত ১৫

হামলার মামলা করায় ফের হামলা, আহত ১৫ আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছবি: নিউজবাংলা
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রিপন হাওলাদারের আগের ঘটনার মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা করায় ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় ‘হাতবোমার’ আঘাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কানাইপুরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় দক্ষিণ কানাইপুরের প্রয়াত মালেক সরদারের ছেলে দুবাই প্রবাসী রিপন সরদার বাড়িতে আসেন। এ খবর পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ একই এলাকার আনসার হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার লোকজন নিয়ে রিপনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় পরবর্তীতে গত ২৩ এপ্রিল রিপন সরদারের স্ত্রী রুনিয়া বেগম বাদী হয়ে কালকিনি থানায় ২২ জনের নামে একটি মামলা করেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য, এরই জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় রিপনের চাচাত ভাই ও আলীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীদ পারভেজের সমর্থক জামাল সরদার স্থানীয় বাজারে যান। মাঝপথে সাবেক চেয়ারম্যান মিলন সরদারের কর্মী মহসিন লোকজন নিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করে বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় একাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রিপন হাওলাদারের আগের ঘটনার মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন:
শেরপুরে ‘ভূমিদস্যুদের’ হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় নারীর শাস্তি
ট্রান্সকম গ্রুপের ৩ কর্মকর্তা দুর্নীতির মামলায় রিমান্ডে
সিংড়া উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ
‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The jute field is burning

দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত

দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত বৈশাখের তপ্ত রোদে পাটক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ছবি: নিউজবাংলা
কৃষকরা জানান, এবার প্রতি বিঘা পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ টাকার মতো। যা গতবারের চেয়ে অন্তত দুই হাজার বেশি। এরপরে গাছ শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য সেচ দিচ্ছেন তারা। ফলে আরও বাড়তে পারে উৎপাদন ব্যয়।

দাবদাহ আর বৃষ্টিহীনতায় পুড়ছে মাদারীপুরের পাটক্ষেত। বৈশাখের তপ্ত রোদে পাটক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পাটের জমিতে ঘন ঘন সেচ দেয়ায় যেমন উৎপাদন খরচ বাড়ছে, তেমনি খরায় জমির আগাছা পরিষ্কার করতে পারছেন না কৃষকরা।

এমনটা চলতে থাকলে উৎপাদন অনেকটা হুমকির মুখে পড়বে বলেও আশঙ্কা কৃষকদের।

সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচক এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনের তীব্র দাবদাহে পাট গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতেই মরে যাচ্ছে পাট গাছ। কোথাও শুকিয়ে মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে ঘন ঘন সেচ দিয়েও গাছের আশানুরূপ পরিবর্তন আনতে পারছেন না।

অনাবৃষ্টির কারণে পাট গাছের বৃদ্ধি না হওয়ায় জমিতে আগাছার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্বিগুণ হারে।

কৃষকরা জানান, এবার প্রতি বিঘা পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ টাকার মতো। যা গতবারের চেয়ে অন্তত দুই হাজার বেশি। এরপরে গাছ শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য সেচ দিচ্ছেন তারা। ফলে আরও বাড়তে পারে উৎপাদন ব্যয়।

খোয়াজপুরের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে মাঠ ফেটে চৌচির। পাটগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। একটুখানি বড় হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন চললে এবার পাট আবাদ ধসে পড়বে। অনেকেই সেচ দিলেও এক দুই দিন পরে আবার শুকিয়ে যায়। এতে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে উঠছে।’

আর মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এবার ৩৭ হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ জমিতে বপন কাজ শেষ হয়েছে এবং অনেক স্থানে চারা বড় হয়ে গেছে, কিন্তু রোগের কারণে পাটের ক্ষতি হওয়ায় চাষিদের বিকেলে পানি সেচ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আবদুল মতিন বিশ্বাস বলেন, ‘এই গরমে পাটের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই, তবে কৃষকদের বলছি, যেন বিকেলে সেচের মাধ্যমে পাট গাছ জীবিত রাখে। এতে গাছ মরবে না।’

মাদারীপুর জেলায় অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে পাটের অবস্থান শীর্ষে। গত বছর পাটের মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকরাও এবার বেশি জমিতে পাট চাষ করেছেন।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ: ৭ দিন বন্ধ স্কুল কলেজ
‘১০০ কেজি বেগুন ৫০০ টাকায় বিক্রি করি’
বেগুনে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক, ‘সেক্স ফেরোমন ফাঁদ’ পাতার পরামর্শ
১৫২ কৃষক পেলেন কোটি টাকার বেশি ঋণ
দিল্লি অভিমুখে লক্ষাধিক কৃষক, আটকাতে সড়কে কংক্রিটের দেয়াল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The temperature in Pabna has exceeded 42 degrees

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা ছবি: নিউজবাংলা
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The robber who killed the driver to rob a rickshaw is in jail

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে আশরাফ আলী কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন।

গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।

ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3 bank officials in jail on charges of irregularities of Tk 10 crores

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে ওই শাখার তিন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ সেদিন রাতেই তাদের তিনজনকে আটক করে।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

আরও পড়ুন:
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মন্তব্য

p
উপরে