× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The fear of splitting UP in the national elections is in the A League
google_news print-icon

ইউপির বিভক্তি জাতীয় নির্বাচনে পড়ার শঙ্কা আ.লীগে

ইউপির-বিভক্তি-জাতীয়-নির্বাচনে-পড়ার-শঙ্কা-আলীগে
সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অবনী মোহন দাস বলেন, ‘এখানে লড়াই হচ্ছে নিজেদের মধ্যেই। এ কারণে দ্বন্দ্ব, দূরত্ব বাড়বে। প্রতিহিংসা নির্বাচনের আগে ও পরে থাকবে।’ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীদের এই বিভক্তি আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।’

তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বিদ্রোহীদের কারণে ভরাডুবির পর চতুর্থ ধাপে চারও চার উপজেলায় একই কারণে কোণঠাসা ক্ষমতাসীন দল।

এই চার উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে নৌকার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন ৩৯ জন।

কেবল একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে দল থেকে কেউ চ্যালেঞ্জ করেনি। বাকিগুলোর মধ্যে দুটি ইউনিয়নে চারজন করে বিদ্রোহীও আছে।

একটি দলের এক প্রার্থী দলের কর্মী-সমর্থকদের জন্য তৈরি করেছে বিড়ম্বনা। ভোট ভাগাভাগি হলে নৌকার প্রার্থীর জয়ের আশা কমে আসবে বলেও মনে করছেন তারা।

এই নির্বাচনকে ঘিরে দলে স্থানীয় পর্যায়ে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে, সেটি আগামী জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে বলে শঙ্কার কথা বলছেন জেলা কমিটির নেতারাই।

শাল্লার হবিবপুর ইউনিয়নের ভোটার রাজন দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এলাকার বেশির ভাগ ভোটারই আওয়ামী লীগের সমর্থক। কিন্তু এখন আমরা বিব্রত অবস্থায় আছি। নির্বাচনে সবই দেখি আওয়ামী লীগের লোক, ইকানো প্রতীক দেয়ার কোনো দরকারই আছিল না। ছোট্ট একটা উপজেলায় এত চেয়ারম্যান প্রার্থী যেটায় আমরা হতাশ।’

একই উপজেলার আনন্দপুর এলাকার বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের পাশের উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামে দলীয় প্রতীক নেই। আমাদের উপজেলায়ও সেভাবে হলে ভালো হতো, দলীয় প্রতীক এখানে থাকায় দলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে এবং নির্বাচনের দিন একটি সহিংসতা হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।’

সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অবনী মোহন দাস বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দলের কর্মী হিসেবে মেনে নিতে হবে। তবে এখানে লড়াই হচ্ছে নিজেদের মধ্যেই। এ কারণে দ্বন্দ্ব দূরত্ব বাড়বে। প্রতিহিংসা নির্বাচনের আগে ও পরে থাকবে। এটি নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন।’

জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীদের এই বিভক্তি আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।’

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘যেসব নির্বাচনি এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন, সেখানে নৌকা প্রতীক না দিলেই ভালো হতো। তবে যারা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে।

বিদ্রোহীর দাবি, কর্মীদের চাপে প্রার্থী হতে হয়েছে

শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন নান্টু চৌধুরী। দল প্রতীক না দিলেও তিনি ভোটে আছেন।

এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক স্থানে দলীয় বিধি ভেঙে প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়েছে। তাই ভোটারদের চাপে ও দলের তৃণমূল কর্মীদের আহ্বানে আমি প্রার্থী হয়েছি।’

সাচনাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সায়েম পাঠান বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিয়েছেন। আমি চাই জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতারা নেত্রীর নির্দেশনায় কাজ করবেন। আমি সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাই।’

কোন ইউনিয়নে কারা বিদ্রোহী

ধর্মপাশা উপজেলা সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে নাসরিন সুলতানা দীপাকে। দলের মনোনয়ন না পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন সুমন সরকার, মোহিতলাল মুন ও জাকির হোসেন।

সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরী। সঙ্গে বিদ্রোহী হিসেবে আছেন মোকারম হোসেন।

ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে জোবায়ের পাশা হিমুকে। সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দলের বিদ্রোহী নেতা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও তুঘলক আহমদ।

সেলবরষ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সুলতান আহমদ তালুকদার। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন আলা উদ্দিন শাহ।

পাইকরহারি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমএ রেজা। বিদ্রোহী হিসেবে আছেন ইকবাল হোসেন।

জয়শ্রী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সঞ্জয় রায় চৌধুরীর সঙ্গে বিদ্রোহী হিসেবে আছেন নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।

মধ্যনগর উপজেলার চার ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন আরও সাতজন।

মধ্যনগর সদর ইউনিয়নে নৌকা দেয়া হয়েছে প্রবীর বিজয় তালুকদারকে। সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সঞ্জীব তালুকদার।

চামরদানী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আলমগীর খসরু। বিদ্রোহী প্রার্থী চারজন। এরা হলেন প্রভাকর তালুকদার পান্না, আসাদুজ্জামান রোকন, মোস্তফা কামাল খোকন এবং মিল্টন তালুকদার।

বংশিকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আজিম মাহমুদকে। বিদ্রোহী হিসেবে আছেন বিপ্লব বিশ্বাস।

বংশিকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আনোয়ার হোসেনকে। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রচারণায় আছেন জালাল উদ্দিন।

শাল্লা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১৬ জন।

আটগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমদাদুল হকের সঙ্গে সুলতান রানা, জাকির হোসেন ও মাশিকুল ইসলাম বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

হবিবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রঞ্জিত কুমার দাস। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস, শক্তি দা ও তপন কুমার দাস, আজিজুল ইসলাম, রাজিব কান্তি দাস, জগদীশ চৌধুরী।

বাহারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজল বরণ চৌধুরী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বিধান চৌধুরী, নান্টু চৌধুরী, তকবির হোসেন ও নরেশ অধিকারী।

শাল্লা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস সাত্তার। সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জামান চৌধুরী ফুল মিয়া, আবুল লেইছ চৌধুরী ও আব্দুল গণি।

জামালগঞ্জের চার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাতজন।

তবে সাচনা বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সায়েম পাঠান ছাড়া দলের আর কোনো প্রার্থী নেই।

বেহেলি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুবত্র সামন্ত সরকার। সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার, অজিত কুমার রায়, সারোয়ার হোসেন ও ফয়েজ আহমদ হাবলু।

ভিমখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আখতারুজ্জামান শাহের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া।

ফেনারবাক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজল তালুকদার। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মতিউর রহমান ও নূরু মিয়া।

আরও পড়ুন:
নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় ৯ নেতাকে অব্যাহতি
আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ১০ জন আহত 
আদর্শের রাজনীতিকে ঢেলে সাজাতে হবে
ইউপিতে বিদ্রোহীদের জয়ে ‘চিন্তিত নয়’ আওয়ামী লীগ
দুর্ঘটনায় বেপরোয়া গাড়ি ও পথচারী সমান দায়ী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ভোলায় সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই যুবক নিহত

ভোলায় সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই যুবক নিহত ভোলার তজুমদ্দিন থানা ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়দের ভাষ্য, ভূঁইয়া বাড়িতে একদল ব্যক্তির গরু চুরি করতে ঢোকেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরদের ধাওয়া করেন। এর একপর্যায়ে জনতার হাতে দুই যুবক ধরা পড়ে, যাদের সংঘবদ্ধভাবে পেটানো হয়।

ভোলার তজুমদ্দিনে স্থানীয়দের সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।

সোনাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাড়িতে বৃহস্পতিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

পিটুনিতে প্রাণ হারানো দুজন হলেন তজুমদ্দিনের বালিয়াকান্দি গ্রামের মো. নয়ন (৩০) ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার খাসমহল এলাকার আমির হোসেন (২৮)। তারা নিয়মিত গরু চুরি করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় পিটুনিতে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ভূঁইয়া বাড়িতে একদল ব্যক্তির গরু চুরি করতে ঢোকেন। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরদের ধাওয়া করেন। এর একপর্যায়ে জনতার হাতে দুই যুবক ধরা পড়ে, যাদের সংঘবদ্ধভাবে পেটানো হয়।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‌‘ভোরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গণপিটুনির শিকার দুই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’

ওসি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ইচ্ছা থেকে ট্রেনচালকের আসনে ফরিদা

চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ইচ্ছা থেকে ট্রেনচালকের আসনে ফরিদা নানা প্রতিকূলতার মাঝেও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন ফরিদা আক্তার। কোলাজ: ইউএনবি
ফরিদা আক্তার বলেন, ‘কাজটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমি বেছে নিয়েছি। ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল চ্যালেঞ্জিং পেশায় যাব। ২০১৪ সালে ট্রেনচালক হিসেবে রেল বিভাগে যুক্ত হই।’

ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল চ্যালেঞ্জিং পেশা বেছে নেওয়ার। সে ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ট্রেনচালক হিসেবে কাজ করছেন ফরিদা আক্তার।

লালমনিরহাট রেল বিভাগে একমাত্র নারী ট্রেনচালক (এলএম) ফরিদা। নানা প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালনে অনড় ৪ সন্তানের এ জননী।

মাত্র ১০ মাসের সন্তানকে বাড়িতে রেখে নিয়মিত ট্রেন চালাচ্ছেন ফরিদা। তার এ সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসে মুগ্ধ রেল বিভাগ।

স্বামী টুটুল ও চার সন্তান নিয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেন ফরিদা আক্তার। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। টুটুল লালমনিরহাটে বেসরকারি চাকরি করেন।

ফরিদা আক্তার বলেন, ‘কাজটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমি বেছে নিয়েছি। ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল চ্যালেঞ্জিং পেশায় যাব। ২০১৪ সালে ট্রেনচালক হিসেবে রেল বিভাগে যুক্ত হই।’

তিনি বলেন, ‘পরিবার যদি সাপোর্ট না করে, তাহলে আপনি এ পেশায় আসতে পারবেন না। পাশাপাশি একজন পুরুষ ট্রেনচালকেরও সাপোর্ট প্রয়োজন আছে।

‘একজন নারী ট্রেনচালক হিসেবে সমাজে কে কী বলল, সেটা নিয়ে আমি ভাবি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে। সবচেয়ে ছোট ১০ মাসের মেয়েকে রেখে আমি ট্রেন চালাতে আসি। কাজে বের হলেও তারা কোনোদিন বিরক্ত হয় না।’

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন ফরিদা আক্তার। চার সন্তানের মা হয়েও তিনি বেছে নেন ট্রেন চালানোর মতো চ্যালেঞ্জিং পেশা।

শুরুর দিকে একটু ভয় পেলেও এখন ট্রেনের স্টেশন থেকে স্টেশনে ছুটে চলার কাজটিকে ভালোবেসে ফেলেছেন ফরিদা। ২০১৪ সালে চাকরিতে যোগ দিয়ে ১০ বছরের বেশি সময় অতিক্রম করে ফেলেছেন এ নারী।

নারী হওয়ায় দায়িত্ব পালনে তাকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, কিন্তু সেসব নিয়ে কখনও দমে যাননি ফরিদা।

তিনি জানান, ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি হলে নিজেই তা সমাধানের চেষ্টা করেন।

লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় লোকো ইনচার্জ কাজী সুমন বলেন, ‘নারীরা এখন আর ঘরের মধ্যে বন্দি নেই। তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।

‌‘নারী চালকদের কাজে কোনো গাফিলতি নেই। ফরিদার মতো নারীরা দেখিয়ে দিচ্ছেন, কোনো পেশাই নারীদের জন্য অসম্ভব নয়।’

আরও পড়ুন:
লালমনিরহাটে আলু ক্ষেতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মরদেহ
সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রশিক্ষণে ভাগ্য বদলেছে দীনেশের
পানি কমেছে তিস্তা ধরলার, এখনও প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
লালমনিরহাটে গরু ব্যবসায়ী হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Illegal brick kiln in Meherpur is a fine of Tk 4 lakh

মেহেরপুরে অবৈধ ৪ ইটভাটাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা

মেহেরপুরে অবৈধ ৪ ইটভাটাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের শুকুরকান্দি গ্রামে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত চারটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে। ছবি: নিউজবাংলা
অভিযানে দেখা যায়, ভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছিল না এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছিল। এর ফলে পরিবেশের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়ছিল।

মেহেরপুরে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা এবং পরিবেশ দূষণের ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালত চারটি ইটভাটাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের শুকুরকান্দি গ্রামে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত চারটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানটি পরিচালনা করেন গাংনী উপজেলা (ভূমি) সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেন ।

অভিযানে দেখা যায়, ভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছিল না এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছিল। এর ফলে পরিবেশের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়ছিল।

ইটভাটাগুলোর মধ্যে থ্রি স্টারকে ১ লাখ টাকা, জনতা ব্রিকসকে ১ লাখ, রুপসা ব্রিকসকে ১ লাখ এবং সমতা ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় ইটভাটাগুলোর চুলা পানি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাঁচা ইটগুলো পানি দিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত জানিয়েছে, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন:
দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
অবৈধ ইটভাটায় সয়লাব যশোর
মেহেরপুর সীমান্তে ১৮ স্বর্ণের বারসহ ভারতীয় নাগরিক আটক
সড়কের পাশে মাঠে পড়ে ছিল যুবদল নেতার গলা কাটা মরদেহ
ভাইদের হাতে বোন হত‍্যা মামলায় দুজন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The annual meeting of former students of Comilla Polytechnic

কুমিল্লা পলিটেকনিকের সাবেক শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা পলিটেকনিকের সাবেক শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত পিকনিকে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়াও সাবেক শিক্ষার্থীর সন্তানদের মধ্যে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন, তাদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আয়োজক কমিটির সব পৃষ্ঠপোষকদের ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
এ বছরের অনুষ্ঠানটি ‘আমরা সবাই একসাথে-এখন ও চিরকাল’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।

ঢাকার সাভারের আলাদিনস পার্কে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন সিপিআই এক্স স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বার্ষিক পিকনিক ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ বছরের অনুষ্ঠানটি ‘আমরা সবাই একসাথে-এখন ও চিরকাল’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি সিপিআই এক্স স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক নাজিমুজ্জামান হাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন প্যারাডাইজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল আমিন ভূঁইয়া, কুমিল্লা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফা, শান্তি নিবাস প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কুমিল্লা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি মো. আবুল কাশেম, সিপিআই ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান কবির প্রিন্স, ইঞ্জিনিয়ার সাদেকুল আমিন, পিকনিক কমিটির সচিব এমরান হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জাবেদ হোসেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান কনক, মো. মাসুদ রানা, ফেরদৌস, নেছার পাটোয়ারি, মিশকাত, মো. সাইদুল ইসলাম মিঠু, মো. শিহাব, কামরুল, প্রান্ত, তুষার ও সাইমুনসহ কুমিল্লা পলিটেকনিকের বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে দুপুরে যোগ দেন ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও কুমিল্লা পলিটেকনিকের ১৯৮৩-১৯৮৪ সেশনের ছাত্র প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন। তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

বিভিন্ন ইভেন্ট ও পুরস্কার বিতরণ

পিকনিকে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সবাইকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়াও সাবেক শিক্ষার্থীর সন্তানদের মধ্যে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন, তাদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আয়োজক কমিটির সব পৃষ্ঠপোষকদের ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করা হয়।

র‍্যাফেল ড্রর পুরস্কার বিতরণ

বার্ষিক মিলনমেলার অংশ হিসেবে আয়োজিত র‍্যাফেল ড্রর পুরস্কারগুলো ছিল আকর্ষণীয়। প্রথম পুরস্কার হিসেবে ওয়াশিং মেশিন, দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ৪৩ ইঞ্চি 4K Smart টিভি, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন, চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ইলেকট্রিক ওভেন এবং আরও ২০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার ছিল। র‌্যাফেল ড্র লটারি টিকিটের মূল্য ছিল ১০০ টাকা।

নতুন কার্যকরী কমিটি ঘোষণা

উৎসবের শেষে নির্বাচন উপকমিটি প্রস্তাবিত ২০২৫-২০২৬ সালের ৪১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি ও সাত সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়।

নতুন কার্যকরী কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন রেজাউল করিম রেজা। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গোলাম মোস্তফা (ভিপি) , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শাহজাহান কবির প্রিন্স এবং অর্থ সম্পাদক হিসেবে মাসুদ রানা নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু তদন্তে কমিটি, সেনা কমান্ডার প্রত্যাহার
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা: আইএসপিআর
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
চেতনানাশক খাইয়ে সাতজনকে হত্যা করেন জাহাজের লস্কর: র‌্যাব 
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় কুমিল্লায় পাঁচজন আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The youth of Thakurgaon demanded the rescue of arrested weapons in the operation

ঠাকুরগাঁওয়ে অভিযানে যুবক আটক, অস্ত্র উদ্ধারের দাবি

ঠাকুরগাঁওয়ে অভিযানে যুবক আটক, অস্ত্র উদ্ধারের দাবি ঠাকুরগাঁওয়ে বিশেষ অভিযানে আটক যুবক। ছবি: নিউজবাংলা
প্রাথমিকভাবে আসামি কোনো স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কি না কিংবা তার নামে আগে কোনো মামলা আছে কি না জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি আবারও জানানো হবে। তবে আগের কোনো মামলা তার বিরুদ্ধে নেই।’

ঠাকুরগাঁওয়ে বিশেষ অভিযানে সোহেল রানা (৩৩) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সদর থানা পুলিশ পৌর শহরের গোবিন্দনগরের বিসিক এলাকা থেকে সোমবার ভোররাতে তাকে আটক করে।

পুলিশের দাবি, ওই যুবকের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

আটককৃত সোহেল রানা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহমানপুর ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ বাজারে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে কর্মরত।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ টিম বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কক্ষের বিছানার নিচ থেকে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান বলেন, ‌‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, তার বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে তার স্বয়ং কক্ষের বিছানার নিচে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটি বিদেশি পিস্তল মনে হয়েছে।

‘একজনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে যুবকের আটক হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

ঠাকুরগাঁও পুলিশের অভিযানের বিষয় তুলে ধরে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ জাহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, আটক যুবকের নামে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তার কাছ থেকে পাওয়া বন্দুকে কোনো গুলি ছিল না।

প্রাথমিকভাবে আসামি কোনো স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কি না কিংবা তার নামে আগে কোনো মামলা আছে কি না জানতে চাইলে এসপি আরও বলেন, ‘তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি আবারও জানানো হবে। তবে আগের কোনো মামলা তার বিরুদ্ধে নেই।’

আরও পড়ুন:
‌‌‘মিথ্যা সাক্ষী দেয়নি বলেই কি বাবা জেলে?’
নিপুণকে লন্ডন যেতে বাধা, বিমানবন্দর থেকে ফেরত
ফেনী সীমান্তে নাইজেরিয়ান নাগরিক আটক
নলডাঙ্গার বিলে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ
ভারতে আটক বাংলাদেশের ৬ জেলেকে বেনাপোলে হস্তান্তর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Start the admission war in Jabi

জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু

জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। ফাইল ছবি
সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মোট পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে রবিবার, যা চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মোট পাঁচ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরের দিন সোমবার প্রথম চার শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রথম দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটে ছাত্রীদের এবং দ্বিতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন তৃতীয় শিফট থেকে পঞ্চম শিফট পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়াও বুধবার পাঁচ শিফটে ‘এ’ ইউনিটের ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর বৃহস্পতিবার ছয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম তিন শিফটে ছাত্রীদের এবং পরবর্তী তিন শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন সোমবার প্রথম শিফটে ‘সি১’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরের তিন শিফটে ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে প্রথম দুই শিফটে ছাত্রী এবং তৃতীয় শিফটে ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।’

সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে রোভার স্কাউট সদস্য, সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ১৫০ জন পোশাকধারী সশস্ত্র ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ ফোর্স এবং অতিরিক্ত ৬০ জন আনসার সদস্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন।

ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বিভিন্ন ভবনে ১২০ জন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্য শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক (ডেইরি গেট), জয় বাংলা ফটক (প্রান্তিক গেট) ও বিশমাইল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) চালু রাখা হয়েছে।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাতে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
জবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর
জবি শিক্ষার্থী নিহত: রিকশাচালকের বিচার দাবিতে মশাল মিছিল
রিকশার ধাক্কায় ছাত্রী নিহত: জাবিতে অবরোধ শিক্ষার্থীদের
জাবি ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় ছাত্রী নিহত
মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
APPRESS Devil Hunt Detained in Gazipur

‌‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: গাজীপুরে আটক ৪০

‌‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: গাজীপুরে আটক ৪০ গাজীপুরের একটি এলাকা। ছবি: ইউএনবি
গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক জানান, অভিযান পরিচালনা শেষে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামের অভিযানে গাজীপুরে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সমর্থক সন্দেহে ৪০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী জাবের সাদেক জানান, অভিযান পরিচালনা শেষে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।

জেলায় শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সহিংস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুন:
গাজীপুরসহ দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০
কাজী নেচার ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ট্রেইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের

মন্তব্য

p
উপরে