তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বিদ্রোহীদের কারণে ভরাডুবির পর চতুর্থ ধাপে চারও চার উপজেলায় একই কারণে কোণঠাসা ক্ষমতাসীন দল।
এই চার উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে নৌকার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন ৩৯ জন।
কেবল একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে দল থেকে কেউ চ্যালেঞ্জ করেনি। বাকিগুলোর মধ্যে দুটি ইউনিয়নে চারজন করে বিদ্রোহীও আছে।
একটি দলের এক প্রার্থী দলের কর্মী-সমর্থকদের জন্য তৈরি করেছে বিড়ম্বনা। ভোট ভাগাভাগি হলে নৌকার প্রার্থীর জয়ের আশা কমে আসবে বলেও মনে করছেন তারা।
এই নির্বাচনকে ঘিরে দলে স্থানীয় পর্যায়ে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে, সেটি আগামী জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে বলে শঙ্কার কথা বলছেন জেলা কমিটির নেতারাই।
শাল্লার হবিবপুর ইউনিয়নের ভোটার রাজন দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এলাকার বেশির ভাগ ভোটারই আওয়ামী লীগের সমর্থক। কিন্তু এখন আমরা বিব্রত অবস্থায় আছি। নির্বাচনে সবই দেখি আওয়ামী লীগের লোক, ইকানো প্রতীক দেয়ার কোনো দরকারই আছিল না। ছোট্ট একটা উপজেলায় এত চেয়ারম্যান প্রার্থী যেটায় আমরা হতাশ।’
একই উপজেলার আনন্দপুর এলাকার বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের পাশের উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামে দলীয় প্রতীক নেই। আমাদের উপজেলায়ও সেভাবে হলে ভালো হতো, দলীয় প্রতীক এখানে থাকায় দলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে এবং নির্বাচনের দিন একটি সহিংসতা হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।’
সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অবনী মোহন দাস বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দলের কর্মী হিসেবে মেনে নিতে হবে। তবে এখানে লড়াই হচ্ছে নিজেদের মধ্যেই। এ কারণে দ্বন্দ্ব দূরত্ব বাড়বে। প্রতিহিংসা নির্বাচনের আগে ও পরে থাকবে। এটি নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন।’
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীদের এই বিভক্তি আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।’
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘যেসব নির্বাচনি এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন, সেখানে নৌকা প্রতীক না দিলেই ভালো হতো। তবে যারা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে।
বিদ্রোহীর দাবি, কর্মীদের চাপে প্রার্থী হতে হয়েছে
শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন নান্টু চৌধুরী। দল প্রতীক না দিলেও তিনি ভোটে আছেন।
এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক স্থানে দলীয় বিধি ভেঙে প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়েছে। তাই ভোটারদের চাপে ও দলের তৃণমূল কর্মীদের আহ্বানে আমি প্রার্থী হয়েছি।’
সাচনাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সায়েম পাঠান বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিয়েছেন। আমি চাই জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতারা নেত্রীর নির্দেশনায় কাজ করবেন। আমি সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাই।’
কোন ইউনিয়নে কারা বিদ্রোহী
ধর্মপাশা উপজেলা সুখাইর রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে নাসরিন সুলতানা দীপাকে। দলের মনোনয়ন না পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন সুমন সরকার, মোহিতলাল মুন ও জাকির হোসেন।
সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরী। সঙ্গে বিদ্রোহী হিসেবে আছেন মোকারম হোসেন।
ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে জোবায়ের পাশা হিমুকে। সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দলের বিদ্রোহী নেতা ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও তুঘলক আহমদ।
সেলবরষ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সুলতান আহমদ তালুকদার। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন আলা উদ্দিন শাহ।
পাইকরহারি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমএ রেজা। বিদ্রোহী হিসেবে আছেন ইকবাল হোসেন।
জয়শ্রী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সঞ্জয় রায় চৌধুরীর সঙ্গে বিদ্রোহী হিসেবে আছেন নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।
মধ্যনগর উপজেলার চার ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন আরও সাতজন।
মধ্যনগর সদর ইউনিয়নে নৌকা দেয়া হয়েছে প্রবীর বিজয় তালুকদারকে। সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সঞ্জীব তালুকদার।
চামরদানী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আলমগীর খসরু। বিদ্রোহী প্রার্থী চারজন। এরা হলেন প্রভাকর তালুকদার পান্না, আসাদুজ্জামান রোকন, মোস্তফা কামাল খোকন এবং মিল্টন তালুকদার।
বংশিকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আজিম মাহমুদকে। বিদ্রোহী হিসেবে আছেন বিপ্লব বিশ্বাস।
বংশিকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আনোয়ার হোসেনকে। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রচারণায় আছেন জালাল উদ্দিন।
শাল্লা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১৬ জন।
আটগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমদাদুল হকের সঙ্গে সুলতান রানা, জাকির হোসেন ও মাশিকুল ইসলাম বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
হবিবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রঞ্জিত কুমার দাস। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস, শক্তি দা ও তপন কুমার দাস, আজিজুল ইসলাম, রাজিব কান্তি দাস, জগদীশ চৌধুরী।
বাহারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজল বরণ চৌধুরী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বিধান চৌধুরী, নান্টু চৌধুরী, তকবির হোসেন ও নরেশ অধিকারী।
শাল্লা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস সাত্তার। সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জামান চৌধুরী ফুল মিয়া, আবুল লেইছ চৌধুরী ও আব্দুল গণি।
জামালগঞ্জের চার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাতজন।
তবে সাচনা বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সায়েম পাঠান ছাড়া দলের আর কোনো প্রার্থী নেই।
বেহেলি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুবত্র সামন্ত সরকার। সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার, অজিত কুমার রায়, সারোয়ার হোসেন ও ফয়েজ আহমদ হাবলু।
ভিমখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আখতারুজ্জামান শাহের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া।
ফেনারবাক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজল তালুকদার। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মতিউর রহমান ও নূরু মিয়া।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে যানজট নিরসনে ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক ও ফুটপাত থেকে শতাধিক হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করা হয়।
প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্থায়ী কিছু ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে ব্যবসা করে আসছেন। এতে করে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পথচারীদের সুবিধার্থে যানজট দূর করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান।
উচ্ছেদ অভিযানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মো. তসলিম মিয়া ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানাসহ থানা পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠির রাজাপুরে নদীর তীর থেকে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো যুবকের মামুন হোসেন, যার বয়স ২৫ বছর। তিনি রাজাপুরের পশ্চিম সাতুরিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে।
ভ্যানচালক মামুন দুই দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন জানিয়ে রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সাতুরিয়া গ্রামের ইদুরবাড়ি এলাকায় কচা নদীর তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। লাশের ময়নাতদন্তসহ পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা, সেটি তদন্তে বের হবে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পূর্ব পূয়ালী গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের একমাত্র ছেলে রাব্বি হাওলাদার।
২৫ বছর বয়সী রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট। ডাক্তারের পরামর্শ তার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রাব্বির কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য এতো টাকা লাগবে শোনার পর থেকেই তার কৃষক বাবা সাহায্যের জন্য ছুটছেন চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় বিত্তবানদের কাছে। কেন না তার সবকিছুই বিক্রি করে দিলেও এক থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি জোগাড় করার সামর্থ্য হচ্ছে না।
রাব্বি বর্তমানে ঢাকার মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন অবস্থায় কৃষক বাবা তার সন্তানকে বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। দেশের বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেই হয়ত বেঁচে যাবে তার সন্তান।
রাব্বির পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাব্বি হাওলাদার কয়েক মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবার। সেখানে চিকিৎসক তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল রাব্বির, কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ওপরে শুধু হাসপাতাল ও ওষুধের বিল দিতে হয়েছে। দরিদ্র এই পরিবারটি আত্মীয়স্বজনসহ সবার সহায়তায় ওই বিল দেয়া সম্ভব হয়।
রাব্বির মা রেভা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এভাবে আর কয়দিন চিকিৎসা করাতে পারব জানি না। কারণ আমাদের সামর্থ্য শেষ হয়ে এসেছে। শুধু টাকার অভাবে তাকে ভালো কোনো হাসপাতালেও নিতে পারছি না, কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপারেশনের ধকল সহ্য করার মতো সুস্থ অবস্থায় আনা খুব জরুরি।’
রাব্বির বাবা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে আপনাদের ভালোবাসা ও সাহায্য আমাদের খুব প্রয়োজন। কারণ শুধু টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় আমার একমাত্র ছেলে অকালে ঝরে যাবে তা আমার জীবন থাকতে মানতে পারছি না।’
তাকে কেউ সাহায্য করতে চাইলে ০১৯৯৭-২২৮৯৭৫ ও ০১৯৮৭-৩৬৬৫৬৮ (বিকাশ-পার্সোনাল) নাম্বারে পাঠাতে পারেন ও যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার উজানপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে মাদানী সিএনজি পাম্প সংলগ্ন উজানপাড়ায় একটি বাস ইউটার্ন নেয়ার সময় অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বছর বয়সী এক মেয়ের মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ৩৩ বছর বয়সী অটোরিকশার চালক শরিফুল ইসলাম ও অন্য একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন ত্রিশালের রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী মনি আক্তার ও একই গ্রামের শামীম আহমেদের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী সাহিদা আক্তার।
ফরিদপুর সদরে যৌনপল্লি থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই পল্লির এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার রাতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮) জেলার রথখোলা যৌনপল্লির বাসিন্দা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আপন (৩০), জহির (৩০) ও ববি (৩৮)।
গ্রেপ্তার না হওয়া এ তিনজনের মধ্যে ববি যৌনপল্লির সর্দারনি হিসেবে পরিচিত। আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানা এলাকা থেকে এক তরুণীকে গত ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন। দুই দিন সেখানে রেখে তাকে (তরুণী) তিন ব্যক্তির হাতে তুলে দেন তিনি। ওই তিন ব্যক্তি ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় তরুণীকে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। পরের দিন একটি সাদা কাগজে তরুণীর স্বাক্ষর নিয়ে জানানো হয়, এখন থেকে তিনি যৌনপল্লির লাইসেন্সধারী সদস্য।
এতে আরও বলা হয়, মেয়েটিকে পারুর বাসায় রেখে ববি ও অন্যদের মাধ্যমে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। এর মাঝে মেয়েটি বাড়িতে যোগাযোগের জন্য একজন খদ্দেরকে তার ছোট বোনের মোবাইল নম্বর দেন। পরে ওই খদ্দেরের মোবাইল কলের মাধ্যমে মেয়েটির সন্ধান পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ও ফুফা রথখোলায় এসে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশকে জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ যৌনপল্লিতে অভিযান চালানোর পর ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেক তরুণীও তাকে উদ্ধারে পুলিশের সাহায্য চান। ওই তরুণী জানান, তাকেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় এক রাত রেখে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান জানান, যৌনপল্লিতে তরুণীকে নেয়ার ঘটনায় তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
নোয়াখালীর কবিরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে সহোদর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বপুর গ্রামের ছর আলী মাঝি বাড়ির পুকুরে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুই শিশু হলো সাত বছর বয়সী বিবি ফাতেমা বেগম ও তার চার বছরের ভাই আবিদ হোসেন। শিশুদ্বয় ছর আলী মাঝি বাড়ির আবদুল হাইয়ের সন্তান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই ভাই-বোন সকালে ঘরের পাশে পুকুরে দাঁত ব্রাশ করতে যায়। এ সময় হাত-মুখ ধোয়ার সময় একজন পুকুরে পড়ে গেলে আরেকজন উদ্ধার করতে পানিতে নামে।
‘পরে দুজনই পানিতে ডুবে যায়। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়।’
আরও পড়ুন:ইস্টার সানডে, শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)।
আগামী ৩১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ছুটি শেষ হবে ১৮ এপ্রিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো.মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘৩১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল ১৯ দিন সকল ধরনের ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৩১ মার্চ ইস্টার সানডে উপলক্ষে এক দিন এবং ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল ১২ দিন পবিত্র শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস বন্ধ থাকবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সকল ধরনের সিকিউরিটি ও জরুরি সেবাসমূহ বহাল থাকবে।’
মন্তব্য