ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ময়লাবাহী গাড়ির সংখ্যা ৩৩০টি। অথচ স্থায়ী চালক আছেন অর্ধেকেরও কম, ১২৯ জন। যান্ত্রিক ত্রুটি না থাকলে শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সব গাড়িই ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। তাহলে বাকি অর্ধেক গাড়ি চালান কারা?
বাস্তবতা হলো, দুই সিটির অর্ধেকের বেশি গাড়ি চালান মাস্টাররোল ও দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োজিত চালকরা। স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত চালকদের বাইরে যারা ময়লা বহনকারী ভারী ট্রাকগুলো চালান, তাদের একটা বড় অংশই অপেশাদার। তদের অধিকাংশেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।
আবার যারা স্থায়ী নিয়োগ পেয়ে চালক হিসেবে আছেন, তাদেরও একটা অংশ নিজে গাড়ি না চালিয়ে চাবি তুলে দেন অন্যের হাতে। সেই প্রক্সি চালকও আবার লাইসেন্সধারী নন।
দুই সিটির পরিসংখ্যান ও সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চালক সংকট এবং স্থায়ী চালকদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ময়লাবাহী ভারী ট্রাকগুলো চালাচ্ছেন অদক্ষরা। এর জনবহুল নগরে হামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ।
গত সপ্তাহে ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী এবং একজন সাবেক সংবাদকর্মী মারা যান।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, অপেশাদার এবং লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তিদের দিয়ে ময়লাবাহী গাড়িগুলো চালানোর কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। সাম্প্রতিক দুটি মৃত্যু সেটাই প্রমাণ করে।
গত ২৪ নভেম্বর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে হল মার্কেটের পাশের সড়কে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান নটর ডেম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান।
ঘটনাস্থল থেকেই রাসেল নামে চালককে আটক করা হয়। রাসেলের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, তিনি মাস্টাররোলে একসময় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেই চাকরি আগেই চলে গেছে। তিনি হারুন নামে একজনের কাছ থেকে গাড়িটা নিয়ে চালাচ্ছিলেন।
পুলিশ ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, হারুনও দুর্ঘটনা ঘটানো গাড়িটির প্রকৃত চালক নন। তিনিও পরিচ্ছন্নতাকর্মী। হারুন গাড়িটি নিয়েছেন স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত চালক ইরানের কাছ থেকে। রাসেল ও হারুন গ্রেপ্তার হলেও পলাতক রয়েছেন ইরান।
নাঈমের মৃত্যুর পর থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আবার আন্দোলন শুরু করেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালেই বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথে আহসান কবীর খান নামে এক সাবেক সংবাদকর্মী মারা যান। উত্তর সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী একটি গাড়ির চাপায় তিনি প্রাণ হারান।
চালক হানিফ গাড়ি ফেলে পালিয়ে গেলেও গত শনিবার তাকে চাঁদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর হানিফ র্যাবকে জানিয়েছেন, তিনি উত্তর সিটি করপোরেশনের বেতনভুক্ত চাকরিজীবী নন। সিটি করপোরেশনের গাড়ি থেকে তেল চুরি করে বিক্রিই হানিফের আয়ের উৎস।
দক্ষিণে গাড়ি ১৮৫, চালক ৯৫
বাসা, মার্কেট, প্রতিষ্ঠান থেকে ময়লা নিয়ে রাখা হয় সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে। সেখান থেকে ময়লা সংগ্রহ করে ময়লাবাহী ভারী ট্রাক মাতুয়াইলে ভাগাড়ে ফেলে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, তাদের ময়লাবাহী ভারী ট্রাকের সংখ্যা ১৮৫টি। এর বিপরীতে তাদের নিয়োগ করা চালকের সংখ্যা ৯৫। এই ৯৫ জনের মধ্যে ১৯ জন গত মাসে নিয়োগ পেয়েছেন।
বাকি গাড়িগুলো দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কর্মচারী দিয়ে চালানো হয়।
সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের পাশে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির স্ট্যান্ড। সোমবার ওই স্ট্যান্ডে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন চালকের সঙ্গে। তারা জানান, পর্যাপ্ত চালক না থাকায় সিটি করপোরেশনের যেসব কর্মচারী গাড়ি চালাতে পারেন, তাদের দিয়ে ভারী ট্রাকগুলো চালানো হয়।
এ ছাড়া স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজন অসাধু চালক নিজেরা না চালিয়ে অন্যকে দিয়ে গাড়ি চালান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন পুরোনো চালক নিউজবাংলাকে বলেন, যারা প্রকৃত চালকের বদলি হিসেবে চালান, তারা কিছু টাকা ওই চালকের কাছ থেকে পান। বাকি টাকা বরাদ্দ তেলের অংশ বিক্রি করে তারা আয় করেন। সিটি করপোরেশন এদের কোনো টাকা দেয় না।
মহিউদ্দিন নামে এক চালক বলেন, ‘রাতে জ্যাম ঠেলে দুই থেকে তিনটি ট্রিপ দেয়া যায়। প্রতি ট্রিপ পৌঁছানোর পর স্লিপ দেয়া হয়। সেই স্লিপ অনুযায়ী আমরা তেল পাই। ট্রিপ প্রতি গড়ে এক থেকে দুই লিটার তেল থাকে।’
অনেক সময় গাড়ির কাজ নিজেকেই করাতে হয় বলে দাবি করেন এই চালক। এতে অনেক সময়ই তেল বিক্রি করে পাওয়া টাকা ও গাড়ি মেরামতের খরচ সমান সমান হয়ে যায়।
মো. আলী নামে এক চালক বলেন, ‘আমাদের চালকের সংখ্যা কম এটা সত্য। কিন্তু বর্তমান মেয়র উদ্যোগ নিলে এ সমস্যা থাকবে না। আমি ’৯৬ সাল থেকে গাড়ি চালাই। আমার গাড়ি কোনোদিন কাউকে দেইনি। অন্য কেউ দিলে সেটা আমার জানা নেই।’
এই চালকের সঙ্গে কথা বলার সময় এগিয়ে আসেন আরেক চালক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার পর নিয়োগ পাওয়া সব চালকই গাড়ি চালাচ্ছেন। আগে তাদের অনেকে নিজেরা না চালিয়ে অন্যদের দিয়ে গাড়ি চালাতেন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া চালকদের বাইরে যারা গাড়ি চালান, তারাও সিটি করপোরেশনের কর্মচারী, অন্য কাজ করেন। বাড়তি হিসেবে দৈনিক মজুরিতে তারা ময়লার গাড়ি চালিয়ে থাকেন।’
দৈনিক মজুরিতে যারা গাড়ি চালান, তারা কত করে পান এবং প্রত্যেকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স আছে কি না সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি আবু নাছের।
চালক সংকটের মাঝে কীভাবে ময়লাবাহী গাড়িগুলো সচল রাখা হয়েছে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি দক্ষিণ সিটির মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস।
নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসও রয়েছেন। গত ২৪ নভেম্বর গঠিত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন জমার আগে কোনো মন্তব্য করতে চান না বিপুল চন্দ্র।
উত্তরে গাড়ি ১৪৭, চালক ৩৪
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ময়লা বহনকারী গাড়ির সংখ্যা ১৪৭টি। তাদের মধ্যে স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত চালক ৩৪ জন। এর বাইরে ৬৭ জন চালক আছেন, যারা মাস্টাররোলে চালক হিসেবে চাকরি করেন। বাকি ৪৬ জন দক্ষ শ্রমিক, যারা উত্তর সিটিতে চাকরি করেন। বাড়তি কাজ হিসেবে গাড়ি চালান।
১৪৭ জন চালকেরই গাড়ি চালানোর লাইসেন্স আছে বলে দাবি করেন ডিএনসিসির মহাব্যবস্থাপক(পরিবহন) মিজানুর রহমান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেক চালকের লাইসেন্স আছে। সেকেন্ডারি স্টেশন থেকে তারা রাতের বেলা গাড়িতে করে আমিনবাজার পেরিয়ে বুলিয়ারপুর ল্যান্ডফিল্ডে ময়লা ফেলে আসে।’
ময়লাবাহী গাড়িগুলো ভারী যান হলেও পান্থপথে গাড়িচাপায় একজনের মৃত্যুতে মারুফ নামে যে চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল না। তার কাছে হালকা যান চালানোর লাইসেন্স ছিল।
তিনি কীভাবে ভারী গাড়ি চালাচ্ছিলেন-এমন প্রশ্নে মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তনাধীন। তদন্ত শেষে বলা যাবে।’
ময়লাবাহী গাড়ি নিয়ে অব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা যারা যুক্ত, প্রত্যেককে বিচার এবং জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সারওয়ার জাহান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ময়লাবাহী গাড়িগুলোর বেপরোয়া চলাচল, উল্টোপথে যাওয়া, অদক্ষ চালক দিয়ে চালানো- সব অভিযোগ পুরনো। এর ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। শুধু চালক-শ্রমিক নন, যারা এই অব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে। যাদের অবহেলায় এগুলো হচ্ছে, তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।'
রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।
বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।
বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩৪৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।
সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
বেশ কয়েক দিন পর বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষস্থানে রদবদল হয়েছে। আজ রবিবার সকালে চিরচেনা লাহোর, দিল্লির কোনো শহরই শীর্ষ দশের ধারেকাছে নেই। তবে এই তালিকায় আজ চলে এসেছে ব্রাজিলের সাও পাউলোর নাম।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ১২৩ একিউআই স্কোর নিয়ে অষ্টম শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহর হয়ে ওঠে সাও পাউলো। আইকিউ এয়ারের সূচক অনুযায়ী যার মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
তবে এই সময়ে ১৬৪ একিউআই স্কোর নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছিল ইন্দোনেশিয়ার বাতাম শহরের বাসিন্দারা। ১৬৩ ও ১৫২ স্কোর নিয়ে তার পরেই ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কঙ্গোর কিনশাসার অবস্থান।
আর দিল্লির বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ৯৫। লাহোরের বাতাসে দূষণের মান তখন আরও কম, ৮৪। অর্থাৎ প্রতিবেশী দুই দেশের শহরদুটির বাতাসের মান ছিল ‘মাঝারি’।
ঠিক সেই সময়ে তালিকার উপরের দিকে খুঁজেও ঢাকার নাম পাওয়া যায়নি। যাবে কীভাবে? ঢাকার অবস্থান তখন তলানির দিকে, বিশ্বের স্বাস্থ্যকর বায়ুর শহরগুলো মধ্যে। ৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে সেই সময় স্বাস্থ্যকর বাতাস গ্রহণ করছে ঢাকাবাসী। তালিকার ৬৮তম স্থানে ছিল ঢাকার নাম।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
জামালপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার জন্যই এটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই ভূখন্ড হতো না। কিন্তু বাপের সম্পত্তি বানিয়ে হাসিনা এটাকে পঁচিয়ে দিয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে একটা শ্রেণী বলার চেষ্টা করে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। সন্তান একবারই জন্মগ্রহণ করে। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানচিত্র দিয়েছে সেটাই স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বাধীনতা হতে পারে না। জামালপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা নতুন আবিষ্কার হয়েছে পিআর পদ্ধতি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা ভোট দেয় তারা তাদের প্রার্থীকে দেখতে চায়। যার ভোট সে দিবে, একজনকে ভোট দিবে, যাকে ভোট দিবে তাকে চিনতে হবে। পিআর মানুষ খায়ও না পড়েও না বিশ্বাসও করে না।
শনিবার (২৩ আগষ্ট) শহরের বেলটিয়া এলাকায় স্থানীয় একটি মাঠে জামালপুর জেলা বিএনপি এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শরিফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এবারের সম্মেলনে ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌর শাখা বিএনপির ১ হাজার ৫১৫ জন কাউন্সিলরসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। ৯ বছর পর আয়োজিত জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
আজ সোমবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। আজ সকালে ঢাকার আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। বৃষ্টি কমে রোদ উঠতেই ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৬। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত হয়েছে।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘ভালো’, দূষণ-মান ছিল ৫০। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৭৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা। তবে আজ আবার তালিকার ২৬তম স্থানে উঠে এসেছে শহরটি।
এদিকে, গতকালের তুলনায় পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গেছে। ৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার ১২ তম স্থানে রয়েছে লাহোর। তবে ভারতের দিল্লির বায়ুদূষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। ১২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
একই সময়ে ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ এবং ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
মন্তব্য