× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
98 people are the chairman of BNP in the boycott vote
google_news print-icon

‘বর্জনের ভোটে’ চেয়ারম্যান বিএনপির ৯৬ জন

বর্জনের-ভোটে-চেয়ারম্যান-বিএনপির-৯৬-জন
রোববারের ভোটে সবচেয়ে বেশি ৪৩৯ ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করা আওয়ামী লীগ নেতারা। আরও বেশ কিছু ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন অন্তত ২৬৭ এলাকায়। সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, যারা জিতেছে ১৫টির মতো ইউনিয়নে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ৮ জন নেতা জিতেছেন স্বতন্ত্র পরিচয়ে।

আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জন করলেও তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেশ ভালো ফল করেছেন বিএনপির নেতারা। রোববারের এই ভোটে সারা দেশে অন্তত ৯৬ জন বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিতে এসেছেন।

বিভাগওয়ারি হিসাব করলে বিএনপির এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে ভালো করেছেন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে। রংপুর বিভাগে জিতেছেন ২৪ জন আর রাজশাহী বিভাগে ২০ জন নেতা।

এ ছাড়া সিলেট বিভাগে ১৩ জন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন করে এবং খুলনা বিভাগে জিতেছেন ৯ জন নেতা। কেবল বরিশাল বিভাগে কেউ জিততে পারেননি।

তৃণমূলের ভোটে বিএনপি নেতাদের জিতে আসার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের সাধারণ জনগণ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তারা জনগণের সরকার চায়। তারই প্রতিচ্ছবি এটা; এখন যার প্রমাণ আপনারাও পাচ্ছেন।’

গত কয়েক বছরে বিএনপি জাতীয় ও স্থানীয় যেসব নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়েছে, তাতে তারা ভালো ফল করতে পারেনি। দলটির পক্ষ থেকে অবশ্য ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তাদের সমর্থকদের ভোট দিতে দেয়া হয় না, প্রচারেও বাধা দেয়া হয়।

চলতি বছর পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনার পর বর্তমান সরকার আর নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো ভোটে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ফলে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাদের কোনো প্রার্থী নেই।

এই নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ভোট হয়েছে তিন ধাপে, যার মধ্যে সবশেষ ভোট হয় রোববার।

এই ধাপে নির্বাচন কমিশন ১ হাজার ৭টি ইউনিয়নে ভোটের তফসিল ঘোষণা করে। তবে রোববার ভোট হয় সাড়ে আটশর কিছু বেশি এলাকায়। এর আগেই বেশ কিছু এলাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে যান।

তৃতীয় ধাপের এই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী না দিলেও বিভিন্ন এলাকায় দলের নেতারা ভোটে অংশ নেন স্বতন্ত্র পরিচয়ে। দলের পুরো সমর্থনও তারা পেয়েছেন নানা এলাকায়।

গত ২ নভেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যা বলেন, তাতে এটা স্পষ্ট যে বিএনপি এই ভোটে না থেকেও আছে।

তিনি সেদিন বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করাটা সঠিক নয়। তাই বিএনপি এ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে না। তবে বিএনপি থেকে কেউ স্বতন্ত্র হয়ে অংশ নিলে সেখানে বাধা নেই।’

রোববারের ভোটে সবচেয়ে বেশি ৪৩৯ ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করা আওয়ামী লীগ নেতারা। আরও বেশ কিছু ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন অন্তত ২৬৭ জন। দলীয় প্রতীকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, যারা জিতেছে ১৫টির মতো এলাকায়।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ৮ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র পরিচয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছেন। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে দুজন আর রাজশাহী বিভাগে আছেন ছয়জন।

এই ছয়জনের মধ্যে দুজন সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের। তিনজন আছেন রাজশাহীর নওগাঁর, দুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আর একজন আছেন রাজশাহীর।

ইসলামী আন্দোলন, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন ৩২ জন প্রার্থীও জিতে এসেছেন রোববারের ভোটে।

রংপুর বিভাগে জিতলেন বিএনপির যে নেতারা

এই জেলায় বিএনপির নেতারা সবচেয়ে ভালো করেছেন দিনাজপুরে। দুই উপজেলায় মোট ছয়টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন তারা।

এই জেলার ফুলবাড়ীর ১ নম্বর এলুয়াড়ী ইউনিয়নে নবিউল ইসলাম, বিরামপুর উপজেলায় ৪নং দিওড় ইউনিয়নে আব্দুল মালেক ও ৫নং বিনাইল ইউপিতে হুমায়ন কবীর বাদশা জয় পেয়েছেন।

নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২ নম্বর বিনোদনগড় ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম, ৪ নম্বর শালখুরিয়া ইউনিয়নে তারা মিয়া এবং ৫ নম্বর পুটিমারা ইউনিয়নে আনিছুর রহমান জয় পেয়েছেন।

বিএনপি ভালো করেছে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটেও। দুই জেলাতেই পাঁচজন করে নেতা জয় পেয়েছেন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ঘোগাদহ ইউনিয়নে আবদুল মালেক, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে সাইদুর রহমান, নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে শফিউল আলম শফি, রায়গঞ্জ ইউনিয়নে আরিফুল ইসলাম দীপ ও নারায়ণপুর ইউনিয়নে মো. মোস্তফা পেয়েছেন জয়।

লালমনিরহাটে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে আব্দুল মজিদ মণ্ডল, কুলাঘাট ইউনিয়নে ইদ্রিস আলী, বড়বাড়ি ইউনিয়নে হবিবর রহমান হবি, দলগ্রাম ইউনিয়নে ইকবাল হোসেন এবং ভোটমারী ইউনিয়নে জিতেছেন ফরহাদ হোসেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে জিতেছেন বিএনপির তিন নেতা। এর মধ্যে পীরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, সেনগাঁওয়ে সাইদুর রহমান এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নে জিতেছেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম।

আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থানের এই জেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৮টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে ১৪টিকে নৌকা আর একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জিতেছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও আওয়ামী লীগের মাহাবুবার রহমানের ভোট সমান হওয়ায় ফলাফল ড্র হয়েছে।

এই বিভাগের পঞ্চগড় ও গাইবান্ধায় জয় পেয়েছেন বিএনপির দুজন করে নেতা।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নে রবিউল ইসলাম ও আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে জিতেছেন আবদুস সামাদ, যাদেরকে বিএনপি মার্কা না দিলেও সমর্থন দিয়েছিল।

গাইবান্ধায় পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নে মাহাবুবুর রহমান মণ্ডল ও হরিনাথপুর ইউনিয়নে মো. কবির হোসাইন জাহাঙ্গীর জয় পেয়েছেন।

নীলফামারী জেলায় জিতেছেন বিএনপির একজন নেতা। কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে জিতেছেন মোস্তাকিনুর রহমান।

রাজশাহী বিভাগে বিএনপির যে নেতাদের জয়

এই বিভাগের মধ্যে বিএনপির নেতারা সবচেয়ে বেশি জিতেছেন বগুড়ায়। দলটির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জেলাটিতে ১০ জন নেতা জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।

এদের মধ্যে সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়নে সহিদুল ইসলাম সরকার, সাবগ্রাম ইউনিয়নে ফরিদ উদ্দিন সরকার, লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নে জুলফিকার আবু নাসের আপেল মাহমুদ, শেখেরকোলা ইউনিয়নে জিতেছেন রশিদুল ইসলাম মৃধা।

ধনুট উপজেলায় জিতেছেন কালেরপাড়া ইউনিয়নে সাজ্জাদ হোসেন, চিকাশি ইউনিয়নে জাকির হোসেন, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নে মাসুদুল হক বাচ্চু, ভাণ্ডারবাড়ী ইউনিয়নে বেলাল হোসেন, শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নে আতিকুর রহমান এবং মাদলা ইউনিয়নে আতিকুর রহমান।

এই বিভাগে চারজন করে বিএনপির নেতা জিতেছেন নাটোর ও নওগাঁয়।

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়ারদিয়ার ইউনিয়নে এসএম লেলিন, জামনগরে গোলাম রাব্বানী, লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নে আব্দুল আজিজ রঞ্জু আর বিলমাড়িয়া ইউনিয়নে জিতেছেন সিদ্দিক আলী মিষ্টু।

নওগাঁর প্রসাদপুর ইউনিয়নে আব্দুল মতিন, বিষ্ণপুর ইউনিয়নে এসএম গোলাম আজম, গণেশপুর ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী এবং কাঁশোপাড়া ইউনিয়নে আব্দুস সালাম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নে মাহমুদুল হক হায়দারী এবং পাঁকা ইউনিয়নে জিতেছেন আব্দুল মালেক।

সিলেট বিভাগে বিএনপির যে নেতারা জিতলেন

গোটা বিভাগে বিএনপির নেতারা সবচেয়ে ভালো করেছেন সুনামগঞ্জে। এই জেলার সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৭টি ইউনিয়নে। এর ছয়টিতে জিতেছেন বিএনপি নেতারা। পক্ষান্তরে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ জিততে পেরেছে কেবল দুটি ইউনিয়নে।

‘বর্জনের ভোটে’ চেয়ারম্যান বিএনপির ৯৬ জন



সদর উপজেলা রঙ্গারচর ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে জিতেছেন বিএনপি নেতা মো. আব্দুল হাই, মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে জিতেছেন নুরুল হক, লক্ষণশ্রী ইউনিয়নে জিতেছেন আব্দুল ওয়াদুদ৷

শান্তিগঞ্জে স্বতন্ত্র পরিচয়ে জয়ী বিএনপির নেতারা হলেন দরগাপাশা ইউনিয়নে ছুফি মিয়া, পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে মাসুক মিয়া ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে লুৎফর রহমান জায়গীরদার খোকন।

লক্ষণশ্রী ইউনিয়নে নির্বাচিত জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের জবাব দিয়েছে। আমাদের শঙ্কা ছিল ক্ষমতাসীনরা কিছু করে কি না। তবে সবকিছুকে হারিয়ে জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে আমাকে জয়ী করেছে। আমি এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান হয়েছি। মানুষও জানে কাকে ভোট দিলে মেহনতি মানুষের উন্নয়ন হয়।’

হবিগঞ্জের ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে জয় পেয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা হলেন সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নে আব্দুল মন্নান, নবীগঞ্জ উপজেলার দিঘলবাগ ইউনিয়নে মোহাম্মদ ছালিক মিয়া এবং বাউসা ইউনিয়নে সাদিকুর রহমান শিশু।

সিলেট ও মৌলভীবাজারে জয় পেয়েছেন বিএনপির দুজন করে নেতা। এদের মধ্যে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্তে বাহারুল আলম বাহার ও গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুরে জিতেছেন শাহাব উদ্দিন।

মৌলভীবাজারের এর মধ্যে বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নে জিতেছেন জয়নাল আবেদীন। কুলাউড়া উপজেলায় ভূকশিমইলে জিতেছেন আজিজুর রহমান। তিনি গতবারও জিতেছিলেন।

ঢাকা বিভাগে যারা জিতলেন

এই বিভাগে বিএনপির নেতারা সবচেয়ে টাঙ্গাইলে। এ জেলায় তিনজন সক্রিয় বিএনপি নেতা এবং একজন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া নেতা জিতেছেন। এই জেলায় ভোট হয়েছে মোট তিনটি উপজেলায়। এর মধ্যে বিএনপি সম্পৃক্তরা জিতেছেন কেবল নাগরপুর ইউনিয়নে।

এরা হলেন গয়হাটা ইউনিয়নে সামছুল হক, ভাদ্রা ইউনিয়নে শওকত হোসেন ও সহবতপুর ইউনিয়নে তোফায়েল আহমেদ। পাকুটিয়া ইউনিয়নে জয়ী সিদ্দিকীকুর রহমানও বিএনপি করতেন। তবে সম্প্রতি তিনি দলীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান।

দ্বিতীয় দুজন করে নেতা জয় পেয়েছেন মুন্সীগঞ্জ ও ফরিদপুরে।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের তোতা মিয়া মুন্সী আর টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকা ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন রোকনুজ্জামান রিগ্যান।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নে ইয়াকুব আলী (বিএনপি সমর্থক), বর্তমানে কোনো পদে নেই) এবং চরহরিরামপুর ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর কবির (বিএনপি সমর্থক), বর্তমানে কোনো পদে নেই)।

কিশোরগঞ্জে কুলিয়ারচর, নিকলী ও সদর উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২৩টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে বিএনপি থেকে জিতেছেন একজন নেতা। সদর উপজেলায় চৌদ্দশত ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন দলটির নেতা আতহার আলী।

নরসিংদীতেও জয় পেয়েছেন বিএনপির একজন নেতা। চিনিশপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হয়েছেন মেহেদী হাসান ভূইয়া তুহিন।

চট্টগ্রাম বিভাগে জয় যাদের

এই বিভাগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলায় বিএনপির তিনজন করে নেতা জয় পেয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় পাকশিমুল ইউনিয়নে কাওসার হোসেন, সদর ইউনিয়নে আবদুল জব্বার, চুন্টা ইউনিয়নে জিতেছেন মনসুর আহমেদ।

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর আলম, ঘাগটিয়া ইউনিয়নে মফিজুল ইসলাম গনি ও ঘারমোড়া ইউনিয়নে জিতেছেন শাহজাহান মোল্লা। বিএনপির এই তিন নেতার পক্ষে দলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচারে ছিলেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় জয় পেয়েছেন বিএনপির দুই নেতা। এরা হলেন ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে আবদুর রহমান ও কাবিলপুর ইউনিয়নে বাহার হোসেন।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ছিপাতলী ইউনিয়নে জিতেছেন বিএনপি নেতা নূরুল আহসান লাভু।

চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলার এখলাশপুর ইউনিয়নে জিতেছেন বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুল ইসলাম।

খুলনা বিভাগে বিজয়ী বিএনপির নেতারা

এই বিভাগে এক জেলায় বিএনপির সর্বোচ্চ তিনজন নেতা জিতেছেন সাতক্ষীরায়। এরা হলেন কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগরে জাহাঙ্গীর আলম, পারুলিয়ায় গোলাম ফারুক বাবু এবং দেবহাটা উপজেলার দেবহাটা ইউনিয়নে আব্দুল মতিন।

বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুজন নেতা জয় পেয়েছেন যশোরে। এরা হলেন মনিরামপুর উপজেলায় মনিরামপুর সদরে নিস্তার ফারুক এবং মনোহরপুরে আকতার ফারুক মিন্টু।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে জিতেছেন খোয়াজ হোসেন মাস্টার।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়নে জিতেছেন আব্দুল মান্নান।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নে বিএনপি বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোটরসাইকেল) তোবারক হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

মাগুরার শালিখা উপজেলার শালিখা ইউনিয়নে জিতেছেন ইউনিয়নে বিএনপির আহ্বায়ক হুসেইন শিকদার।

ময়মনসিংহ বিভাগের জয়ীরা

এই বিভাগে বিএনপির নেতারা সবচেয়ে বেশি জিতেছেন শেরপুরে। এই জেলায় দলটির পাঁচজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন।

তারা হলেন নকলা উপজেলার ৭ নম্বর টালকি ইউনিয়নের মোজাফফর আহমদ বুলবুল, নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের আতাউর রহমান, মরিচপুরান ইউনিয়নের আয়ুব আলী, কলসপাড় ইউনিয়নের আবদুল মজিদ ও নয়াবিল ইউনিয়নের মিজানুর রহমান।

নেত্রকোনায় জিতেছেন বিএনপির তিন নেতা। তারা হলেন কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের সাইদুর রহমান ভুইয়া, রংছাতি ইউনিয়নের আনিসুর রহমান খান পাঠান বাবুল ও দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের আব্দুল আওয়াল।

ময়মনসিংহে জিতেছেন দুজন। তারা হলেন ত্রিশাল উপজেলার ৩ নম্বর কাঁঠাল ইউনিয়নের নূরে আলম সিদ্দিকী ও মুক্তাগাছা উপজেলার ৬ নম্বর মানকোন ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম।

এই বিভাগের অন্য জেলা জামালপুরে বিএনপির কোনো নেতা চেয়ারম্যান হতে পারেননি।

প্রতিবেদনটি প্রস্তুত হয়েছে সারা দেশে নিউজবাংলার প্রতিবেদকদের তথ্যে

আরও পড়ুন:
ইউপিতে বিদ্রোহীদের জয়ে ‘চিন্তিত নয়’ আওয়ামী লীগ
চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি বড় ভাই, ছোট ভাই স্বতন্ত্র
জামাইয়ের পর শ্বশুরের জয়
ঈশ্বরদীতে নির্বাচনি সংঘাত, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
ভোট নিয়ে বিবাদে বাড়িঘরে আগুন গুলি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Feni does not have water in tube wells 

ফেনীতে নলকূপে পানি নেই 

চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ
ফেনীতে নলকূপে পানি নেই 

দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ফেনীর কয়েকটি উপজেলায়। এসব এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ নলকূপে পানি নেই। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জি.এম.হাট ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির নলকূপে মিলছে না সুপেয় পানি। বেশিরভাগ গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। একই চিত্র দেখা দিয়েছে পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, দাগনভূঁঞা ও সদর উপজেলায়। ফলে পানি সংগ্রহে বেশ দূরে ছুটছেন ভুক্তভোগীরা। বাধ্য হয়ে পুকুর বা ডোবার জীবাণুযুক্ত পানি ফুটিয়ে পান করতে হচ্ছে অনেককে।

প্রায় এলাকায় পুকুর, খাল ও জলাশয়ের পানি শুকিয়ে গেছে। অনাবৃষ্টির পাশাপাশি গরমের তীব্রতা বাড়ায় ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে গভীর নলকূপেও পাওয়া যাচ্ছে না পানি। জেলার লক্ষাধিক নলকূপে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

‘গত দুই-তিন মাস ধরে গভীর নলকূপে পানি পাচ্ছি না। পানির জন্য এলাকার লোকজন হাহাকার করছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে নলকূপ দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি করছি,’ এসব কথা বলেন ফুলগাজী উপজেলার জি.এম.হাট ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ উদ দৌলা।

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা আছমত আরা শিরি বলেন, ‘নলকূপে পানি না উঠায় আমরা পানির জন্য কষ্ট করছি। অপরদিকে নলকূপের সঙ্গে থাকা মোটরেও পানি উঠছে না। অনেক দূর থেকে পানি এনে পান করছি। ওখানেও পানি উঠছে না, দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে এক কলস পানি ভর্তি করতে হয়। নলকূপের পানির জন্য সরকার যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।’

এলাকাবাসী জানান, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গত ৪-৫ মাস ধরে তারা কোনো গভীর নলকূপে পানি পাচ্ছেন না। পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করা হচ্ছে।

ফেনী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিউল হক বলেন, ‘গত ছয় মাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির লেয়ার নিচে নেমে গিয়ে ফেনীর অনেক এলাকায় গভীর নলকূপে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পৃথিবীতে কোথাও এভাবে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে না। সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করে ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার নষ্ট করে ফেলছি। অপ্রয়োজনীয় পানি তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে। নলকূপের নির্ভরশীলতা থেকে ফিরে আসতে হবে। ফেনীতে দেড় লাখ নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নলকূপে পানি উঠছে না। বর্তমানে প্রতি ইউনিয়নে ৮টি করে নলকূপ বরাদ্দ রয়েছে। সামনে অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য চেষ্টা করছি।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The people of the river have begun in a severe breakdown in Jamuna

যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

বন্যার আগেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি
যমুনায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জিগাতলা এলাকায় যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ছবি: দৈনিক বাংলা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। সেইসঙ্গে অসময়ে শুরু হয়েছে নদীর পাড় ভাঙন। গত বছর নদীভাঙনের পর যেটুক ভূমি ছিল, সেটুকুও এবার ভাঙনের আশঙ্কায় চরম হতাশার দিন পার করছেন নদীপাড়ের শত শত ভাঙন-কবলিত মানুষ।

সরেজমিনে উপজেলার জিগাতলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জিগাতলা গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফসলিজমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। সেখানে এবার স্থানীয়রা ভুট্টা, তিল, বাদাম, বোরো ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করেছিল। এ ছাড়া রামপুর, গোপিনাথপুর, বাসুদেবকোল এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যায়।

গত বছরের মতো এবারও উপজেলার চিতুলিয়াপাড়া, ভালকুটিয়া, কষ্টাপাড়া ও মাটিকাটা, পাটিতাপাড়া, কোনাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকায় ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন নদীপাড়ের মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বারবার আশ্বাস দিলেও বাঁধের কাজ শুরু হচ্ছে না।

এদিকে প্রতিবছর বন্যায় ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেলা বাঁধের জিওব্যাগ আনলোড ড্রেজারগুলোর কারণে মাটি ধসে যাচ্ছে। যার ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা ও আধ পাকা সড়ক, গাইড বাঁধ, বসতবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, ছোট-বড় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

জিগাতলা গ্রামের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, এখান থেকে প্রতিবছর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হতো। সেসময় কোনো ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে পারত না, প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দিত। সাবেক এমপি ছোট মনির খোকার মাধ্যমে ঘাটটি পরিচালনা করতেন। এখন তার খেসারত দিচ্ছে এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, যমুনা নদীতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি যতদ্রুত সম্ভব ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। তা না হলে ফসলিজমির সঙ্গে তাদের ঘরবাড়িও নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আবদুল্লাহ খানকে একাধিবার মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শামীম মিয়া জানান, ভূঞাপুরের ইউএনও এসিল্যান্ডের সঙ্গে তিনি ভাঙন-কবলিত জিগাতলা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নদীভাঙনের স্থান থেকে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার নিকটে ঘরবাড়ি রয়েছে। সুতরাং এলাকাটি মনিটরিং করে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

যশোরে তক্ষকসহ দুই পাচারকারী আটক

যশোরে তক্ষকসহ দুই পাচারকারী আটক

যশোরে একটি তক্ষকসহ পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ মে) ভোরে উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের মাটিপুকুর গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন— মাটিপুকুর গ্রামের মৃত হাসেম আলী ব্যাপারীর ছেলে করিম হোসেন (৪৮) ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মামুনুর রশিদ (৪২)।

পুলিশ জানায়, গোপন খবরে মাটিপুকুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে করিমের বাসা থেকে একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।

এর আগেও করিমের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় একই অপরাধের দায়ে একটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয়েছে। আটকদের আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Teknaf gun battle Reduces 3 Yaba weapons detained

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ: গুলিবিদ্ধসহ আটক ৩, ইয়াবা অস্ত্র উদ্ধার

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ: গুলিবিদ্ধসহ 
 আটক ৩, ইয়াবা অস্ত্র উদ্ধার ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধসহ তিন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

আটকরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও গুলিবিদ্ধ আব্দুল শক্কুর (৪০)। গুলিবিদ্ধ শক্কুরকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের তুলাতলী ঘাটসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে একটি সন্দেহভাজন ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাকে থামার সংকেত দিলে পাচারকারীরা গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে কোস্ট গার্ড সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হন। প্রায় এক ঘণ্টার ধাওয়া শেষে নৌকাটি জব্দ করা হয়।

পরে নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ৯ মি.মি. বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় পাচারচক্রের আরও চার সদস্য সাগরে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।

কোস্ট গার্ড জানায়, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

অন্যদিকে স্থানীয় জেলেদের দাবি, সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আট জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। পরে গোলাগুলির ঘটনায় তাদের একজনের নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কায় স্বজনরা তুলাতলী ঘাটে ছুটে আসেন।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করছে কোস্ট গার্ড। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
1 injured in a truck microbus collision in Dinajpur

দিনাজপুরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫

দিনাজপুরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

সোমবার (১৯ মে) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের ২৬ মাইল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান জানান, গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে আজ (সোমবার) সকালে ঠাকুরগাঁওগামী একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক এবং ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুরমুখী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাস চালকসহ দুইজন নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

নিহতদের মধ্যে মাইক্রোবাস চালক মানিক (৩৫) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিহরপুর এলাকার মৃত আবুলের ছেলে।

দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত হওয়া যাত্রী দেলোয়ার হোসেন (৪৫) একই জেলার হাজীপাড়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় ট্রেজারি অফিসের একজন কর্মকর্তা। তিনি মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে।

তবে হাসপাতালে নেওয়ার সময় নিহত ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আহতদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Water in Khulna does not match 5 percent tubewell

খুলনায় ৮৫ শতাংশ টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

খুলনায় ৮৫ শতাংশ টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

ভোর হয়নি তখনো। কিন্তু খুলনার বটিয়াঘাটার গ্রামে ব্যস্ততা। কারো হাতে কলস, কারো কাঁধে বালতি। পায়ে ছোপ ছোপ ধুলা, মুখে নীরব প্রার্থনা- দ্রুত একটু পানি মিলবে তো?

এটা কোনো উৎসব নয়, বেঁচে থাকার সম্বল পানির জন্য এক কঠিন প্রতিযোগিতা। সেখানের নিমাই চন্দ্র রায়ের বাড়ির উঠোনটা যেন হয়ে উঠেছিল গ্রামের জীবনধারণের কেন্দ্র। ২০০৪ সালে নিজের খরচে বসানো ডিপ টিউবওয়েল তখন স্বপ্ন দেখাতো- যেন এই পানির ধারা কখনো শুকাবে না।

প্রতিদিন ফজরের আজানের আগেই জড়ো হতেন আশপাশের দুই ডজন পরিবারের মানুষ। নারীর কণ্ঠে প্রার্থনা, শিশুর ক্লান্তি, পুরুষের ব্যস্ত মুখ- সব মিলিয়ে একটা জলের মহাযজ্ঞ।

কিন্তু এ বছরের মার্চে সেই উৎসও যেন নীরব অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যতই চাপ দেওয়া হোক, টিউবওয়েল এখন বোবা। মোটর লাগানো হয়েছে, সেই আশাও নিঃশেষ।

নিমাই বলেন, ‘আগে ১৫-২০ মিনিট চাপ দিলে একটু পানি আসত। এখন তো আর কিছুই আসে না।’ এই শূন্যতা শুধু তার একার নয়। পুরো খুলনা ও পার্শ্ববর্তী জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে পানিশূন্যতার দীর্ঘশ্বাস।

নিমাইয়ের বাড়ির মতো খুলনা ও আশপাশের জেলাগুলোতে এখন লক্ষাধিক হ্যান্ড-পাম্প টিউবওয়েল অচল হয়ে গেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) তথ্য অনুযায়ী, খুলনা বিভাগে থাকা ১,০১,৩৫০টি হ্যান্ড-পাম্পের ৮৫ শতাংশই এখন পানিশূন্য। খুলনা জেলাতেই রয়েছে ২৮,৪৫২টি, যার অধিকাংশই অকার্যকর।

বটিয়াঘাটায় ৪,১৮৫টি ডিপ টিউবওয়েলের মধ্যে ৮০ শতাংশেই এখন আর পানি ওঠে না। যশোরেও দুই-তৃতীয়াংশ ২৪,৩০৩টি টিউবওয়েল শুকিয়ে গেছে।

ডিপিএইচই এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যান্ড-পাম্প টিউবওয়েল ২৬ ফুটের নিচে পানি থাকলে তা তুলতে পারে না। মোটর পাম্পও ব্যর্থ হয় যদি পানি স্তর ৩০-৩৫ ফুটের নিচে নামে। কেবল সাবমার্সিবল পাম্পই সেই গভীরতা থেকে পানি তুলতে পারে। অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন, জলাশয়ের ঘাটতি এবং অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনাই এই সংকটের মূল কারণ।

নিমাইয়ের প্রতিবেশী গুরুদাসী বৈরাগী এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অপেক্ষা করেন কাচারিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র কার্যকর টিউবওয়েলে। ‘২০ লিটারের কলসি ভরতে ১৮০-১৯০ বার চাপ দিতে হয়। প্রতিদিন এখানে ৩০০-৩৫০ জন আসে।’ বলেন তিনি।

তিনি জানান, তার গ্রামে ৫-৬ বছর আগেও অধিকাংশ হ্যান্ড-পাম্প ঠিকঠাক কাজ করত। একই সুরে বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান পল্লব বিশ্বাস বলেন, ইউনিয়নের ১৮টি গ্রামের মধ্যে ৯০ শতাংশ টিউবওয়েল এখন অচল।

এ ছাড়া গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের ঝরভাঙা গ্রামের মিলন কান্তি মণ্ডল ১৯৮৯ সালে একটি ডিপ টিউবওয়েল বসিয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে সেটিও নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তিনি প্রতিদিন দুই কিলোমিটার হাঁটেন পানির সন্ধানে। আমার গ্রামে ১৮টির মধ্যে মাত্র একটি টিউবওয়েল কাজ করে। প্রায় ৩০০ পরিবার এখন পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে- জানান তিনি।

গঙ্গারামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসলাম হালদার বলেন, ইউনিয়নের ২৭টি গ্রামের মধ্যে ২৫টিতেই এখন পানি সংকট চলছে। কিছু এলাকায় এমনকি ১,২০০ ফুট গভীরতায়ও পানি মিলছে না

ডিপিএইচই জানায়, ২০১৫-১৬ সালে খুলনা অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ছিল ১৮ থেকে ২২ ফুট। বর্তমানে তা নেমে গেছে ২৪ থেকে ৩২ ফুটে।

এই সংকট মোকাবেলায় ডিপিএইচই সাবমার্সিবল পাম্প বসানো, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে উৎসাহ দেওয়া ও সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প স্থাপন শুরু করেছে।

যশোরে ডিপিএইচই নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ পারভেজ জানান, জেলার সদর, বাঘারপাড়া, ঝিকরগাছা ও শার্শার অনেক জায়গায় পানির স্তর ৩০-৩৫ ফুটের বেশি নিচে নেমে গেছে। ১২,৫০০ সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছে। পাশাপাশি ‘তারা নম্বর ৬’ টিউবওয়েল ও সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প বসানো হচ্ছে।

ডিপিএইচইর খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জামানুর রহমান বলেন, উপকূলীয় খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছরে আমরা ‘তারা নম্বর ৬’ টিউবওয়েল বসাচ্ছি, যা ৬০-৭০ ফুট গভীর থেকে পানি তুলতে পারে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের হার পুনঃভরণ হারের চেয়ে বেশি হওয়ায় পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন, লবণাক্ততার বিস্তার ও বৃষ্টিপাতের ঘাটতিও এই সংকট বাড়াচ্ছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ‘যতটা পানি উত্তোলন হচ্ছে, ততটা ফিরে আসছে না। তাই টিউবওয়েলগুলো অচল হয়ে পড়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rupganj drivers are increasing in sick competition

রূপগঞ্জে গাড়ি চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বাড়ছে দুর্ঘটনা

রূপগঞ্জে গাড়ি চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বাড়ছে দুর্ঘটনা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা বাইপাস সড়কসহ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে ট্রাকসহ যানবাহনের চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। এতে দীর্ঘ হচ্ছে সড়কে মৃত্যুর মিছিলও। পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবনযাপন করছেন অনেকে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা, শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতিতে যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জণসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি এই দুর্ঘটনা ও যানজটের প্রধান কারণ। সড়কে স্পিড ব্রেকার ও রোড ডিভাইডার না থাকায়ও দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তায় চালকদের অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতায়ও ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা।

সড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচলেও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা ও বায়ুদূষণ দুই ক্ষেত্রেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি দায়ী। ঈদ এলেই ভাঙাচোরা, ফিটনেসবিহীন লক্কর-ঝক্কর ও পুরোনো পরিবহনের মেরামত কাজ চলে। পরিবহনে রং দিয়ে নতুন করে সাজানো হয়। এসব দিয়েই চলছে পরিবহন খাত। চলাচলে অনুপযোগী পরিবহন দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন বেড়ে যায়, আবার সড়কের মধ্যে বিকল হয়ে পড়ায় অসহনীয় যানজটের দুর্বিষহ ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।

মেঘলা পরিবহনের হেলপার রাকিবুল আলম বলেন, যাত্রীরা এখন শৌখিন। রং না করলে বাসে কেউ উঠতে চায় না। তাই রং দিয়ে গাড়ি ঝকঝকে করা হয়। ভুলতা গাউছিয়া এলাকার এনজিও কর্মী জয়নাল আবেদীন বলেন, চালকদের সচেতন করে তুলতে হবে। ট্রাফিক আইন মানার প্রবণতা সৃষ্টি করতে হবে। দুর্ঘটনা বন্ধে রাস্তায় অসম ও অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে। তবেই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমে আসবে।

মুড়াপাড়া বানিয়াদী এলাকার কামাল হোসেন বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে কে বাঁচতে চায়। তবুও আজ ভয় হয় রাস্তায় চলতে। সড়কে গাড়ি চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ঘটছে দুর্ঘটনা। তাতে বেড়েই চলছে প্রাণহানি।’

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলমান আছে। অভিযুক্ত গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে