× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The boat sank 262 A League leaders
google_news print-icon

নৌকা ডোবালেন ২৬৭ আওয়ামী লীগ নেতা

ভোটারদের দীর্ঘ সারি
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোলার একটি কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। ছবি: নিউজবাংলা
রোববারের ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি ধরাশায়ী করেছেন খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে আওয়ামী লীগের যতজন জিতেছেন, তার প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে জয় পেয়েছেন মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা। আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান থাকা ঢাকা ও রংপুর বিভাগেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী নেতা হারিয়ে দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীদের। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা তুলনামূলক কম ভালো করেছেন।

রোববারের ভোটে সারা দেশে যেসব ইউনিয়নে ভোট হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটিতে ফলাফল স্থগিত আছে। বাকিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩৯টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছে নৌকা মার্কা নিয়ে লড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৭টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে লড়াই করা প্রার্থীরা।

এর আগের দুই ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকা ডুবিয়েছেন কয়েক শ আওয়ামী লীগ নেতা। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বহিষ্কারের পদক্ষেপ, ভবিষ্যতে আর কখনও মনোনয়ন না দেয়ার সতর্কতার পরেও বিদ্রোহী নেতারা সেসব গা করেননি। বরং প্রায় ৩০০ এলাকায় তাদের জয় এটা নির্দেশ করছে যে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আসলে ভুল মানুষের হাতে উঠেছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আব্দুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দল থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাদের বিচার-বিবেচনা করেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। আমরা মনে করি, তাদের জয়ে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণে যে নির্বাচন হয়েছে এটা নির্বাচনের সৌন্দর্য।’

বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকবে আওয়ামী লীগ বলে জানান দলের এই নেতা। বলেন, ‘তাদের জন্য আগের চেয়ে কঠোর সিদ্ধান্তও আসতে পারে।’

জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর বাকি থাকতে স্থানীয় সরকারের মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে তৃণমূলে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, তা আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না- এমন প্রশ্নে আবদুর রহমান বলেন, ‘এটা আমরা মনে করি না। কারণ একজন প্রার্থী স্থানীয় নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে গেলেও তিনি একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। তাই জাতীয় নির্বাচনে তিনি ঠিক দলের বিরুদ্ধে যাবেন না।’

রোববারের ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি ধরাশায়ী করেছেন খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে আওয়ামী লীগের যতজন জিতেছেন, তার প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে জয় পেয়েছেন মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান থাকা ঢাকা ও রংপুর বিভাগেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী নেতা হারিয়ে দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীদের। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা তুলনামূলক বিচারে কম ভালো করেছেন।

নৌকা ডোবালেন ২৬৭ আওয়ামী লীগ নেতা

নৌকা-বিদ্রোহী সমানে সমান

খুলনা বিভাগে নৌকা নিয়ে ৬০ জন নেতার জয়ের মধ্যে ৫৮ জনই জিতে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিদ্রোহী নেতারা।

এই বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে ভোট হয়েছে ৯টিতে। এর মধ্যে চার জেলাতেই বিদ্রোহীরা জিতেছেন দলের প্রার্থীর চেয়ে বেশি। একটিতে ‘দুই পক্ষের’ আসন সমান সমান।

এর মধ্যে নড়াইলে নৌকা নিয়ে জিতেছেন কেবল দুজন। অপরপক্ষে দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন ১০টিতে।

খুলনার রূপসা ও তেরোখাদা উপজেলার মধ্যে ভোট হয়েছে ৭টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে জিতেছেন ৫ নেতা। দুজন নৌকা না পেয়ে প্রার্থী হয়ে জিতেছেন।

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ এবং দেবহাটা উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৭টি ইউনিয়নে।

এর মধ্যে নৌকা জিতেছে মোট ৬টিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিতেছেন ৫টিতে।

এই বিভাগের বাগেরহাটে তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়নি।

যশোরের তিন উপজেলা শার্শা, বাঘারপাড়া ও মনিরামপুরের ৩৫টি ইউনিয়নের ২১টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। বাকিগুলোর মধ্যে ১১টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভোট হয়েছে মোট ১৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা জিতেছেন ৪টিতে। ৯টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

মেহেরপুর সদর ও গাংনী মিলিয়ে ভোট হয়েছে ৬টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে তিনটিতে। তিনটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ভোট হয়। এদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৫ জন। বাকি ৮ স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন। এদের মধ্যে ৭ জনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী।

মাগুরার মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৫ ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে মোট ৯টিতে। পাঁচটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

নৌকা ডোবালেন ২৬৭ আওয়ামী লীগ নেতা

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা নিয়ে জয় পেয়েছেন দুজন। বাকি ১০ জনের সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে ভোটে লড়েছেন।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জের ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হন তিনজন। রোববারের ভোটে জেতেন ৫ জন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছেন ৬ জন।

একই বিষয় দেখা গেছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই বিভাগে নৌকা নিয়ে ৩৮ জন পাস করেছেন। অন্যদিকে নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছেন ৩২ নেতা।

এই বিভাগের চার জেলার মধ্যে নেত্রকোণায় নৌকার প্রার্থীর চেয়ে বেশি জিতেছেন বিদ্রোহীরা। ময়মনসিংহ জেলায় দুই পক্ষের অবস্থান প্রায় সমান সমান।

ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল ও মুক্তাগাছা মিলিয়ে ভোট হয়েছে মোট ২৭টি ইউনিয়নে। এসব ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টিতে জিতেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ১১টিতে জিতেছেন বিদ্রোহীরা।

নেত্রকোণায় ভোট হয়েছে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও পূর্বধলা উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে ৮টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। ১৩টিতে নৌকাকে হারিয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২১টি ইউনিয়নে।

এর মধ্যে নকলায় ৯ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে নৌকা, ৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, নালিতাবাড়ীর ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা জিতেছে। বাকি ৭টির দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন।

সব মিলিয়ে এই জেলায় নৌকা জিতেছে মোট ৯টি, ৬টিতে জিতেছেন বিদ্রোহী নেতারা।

জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। বাকি ১০টির মধ্যে রোববার ৭টিতে নৌকা জিতেছে। একটিতে ফলাফল স্থগিত। দুটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতারা।

রংপুর বিভাগে নৌকা জিতেছে মোট ৫৯টি ইউনিয়নে। আর বিদ্রোহীরা জিতেছেন ৩৮টিতে। এর মধ্যে দিনাজপুরে নৌকা নিয়ে যতজন জিতেছেন, দলীয় প্রতীক না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছেন তার চেয়ে বেশি।

এর মধ্যে রংপুরের সদর, কাউনিয়া ও তারাগঞ্জ উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৩ ইউনিয়নে। এর মধ্যে সদরের দুই ইউনিয়নেই জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতারা।

কাউনিয়ায় নৌকা জিতেছে তিনটি ইউনিয়নে। নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী নেতারাও জয় পেয়েছেন তিনটিতে।

তারাগঞ্জ উপজেলায় নৌকা জিতেছে একটিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন দুটিতে।

সব মিলিয়ে এই জেলায় নৌকা জিতেছে চারটিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জিতেছেন সাতটিতে।

কুড়িগ্রামের ৩টি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ১০টি ইউনিয়নে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহ করা নেতারা জয় পেয়েছেন ৪টিতে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৯টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ৪টিতে। দলের বিদ্রোহীরা জিতেছেন তিনটিতে।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৬টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে ৭টিতে। বাকিগুলোর মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতা।

লালমনিরহাট সদর ও কালিগঞ্জ উপজেলার মোট ১৭টি ইউনিয়নে হয়েছে ভোট। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৭ ইউনিয়নে। দলের বিদ্রোহী নেতারা জয় পেয়েছেন ৪টিতে।

পঞ্চগড় সদর ও আটোয়ারী উপজেলার মোট ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন ছয়টি ইউনিয়নে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন তিনটিতে।

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট হয়েছে মোট ২৩টি ইউনিয়নে।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক জিতেছে সাতটিতে। ৯টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী নেতারা।

ঠাকুরগাওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ১৪টিতে। একটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েও ভোটে লড়া এক নেতা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের যে চিত্র

ঢাকা বিভাগে নৌকা নিয়ে ৫৯ জনের জয়ের বিপরীতে দলের বিদ্রোহী নেতারা জয় পেয়েছেন ৩৮টি ইউনিয়নে। এই বিভাগের দুই জেলা মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে ভোট হয়েছে দলীয় প্রতীক ছাড়া।

ঢাকা বিভাগের দুই জেলা গাজীপুর ও ফরিদপুরে নৌকা নিয়ে জিতেছেন যথাক্রমে এক ও দুজন। বিপরীতে দলের বিদ্রোহীরা জিতেছেন যথাক্রমে ৬ ও ১২ জন।

ঢাকা বিভাগের মধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে কেবল একটিতে। বাকি ৬টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ৪ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬ প্রার্থী জয় পেয়েছেন। তাদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চারজন।

সোমবার ভোট হয় চারটিতে। এর মধ্যে দুটিতে জিতেছেন নৌকার প্রার্থী, একটিতে জাতীয় পার্টি এবং একটিতে কোনো দল না করা নেতা জিতেছেন।

মুন্সিগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২১টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ১১টিতে। এই জেলায় কোনো বিদ্রোহী নেতা জেতেননি।

নরসিংদী সদর ও রায়পুরার মোট ২২টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ১৪টি ইউনিয়নে। ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন ৭টি ইউনিয়নে।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মধুপুর ও কালিহাতী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন মোট ১৬টিতে। দলের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন চারটি ইউনিয়নে।

কিশোরগঞ্জ জেলার তিন উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২৩টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে কুলিয়ারচর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের সবকটিতে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা জিতেছেন।

নিকলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আর একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীরা, ৫টিতে জিতেছেন দলের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহীরা।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১০টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন মোট আটটিতে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা নেতারা জিতেছেন দুটিতে।

রাজবাড়ীর কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় ভোট হয় মোট ১৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে ৯টিতে জিতেছেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। পাঁচটিতে জিতেছেন নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করা নেতারা।

ফরিদপুরের জেলার ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসনের মোট ১৫টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ জিতেছে একটিতে। নৌকা না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জিতেছেন ১২টিতে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টিতে জিতেছে আওয়ামী লীগের নৌকা। একটিতে জিতেছেন দলের মনোনয়ন না পেয়ে লড়াই করা ক্ষমতাসীন দলের নেতা। দুটিতে জিতেছেন কোনো দলীয় রাজনীতি না করা স্বতন্ত্র প্রার্থী।

মাদারীপুর সদর উপ‌জেলার ১৪টি ইউপিতে স্বতন্ত্র সবাই বিজয়ী হ‌য়ে‌ছেন। এই উপ‌জেলায় আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় ম‌নোনয়ন দেয়া হয়‌নি। সেখানে আওয়ামী লীগ পদটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

শরীয়তপুরের সোগাইরহাট উপজেলার ৭টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ কোনো দলীয় প্রার্থী দেয়নি। যারা জিতেছেন সবাই ক্ষমতাসীন দলেরই নেতা এবং তারা স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করেছেন।

চট্টগ্রামের দুই উপজেলা হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়ায় ভোট হয়েছে মোট ২৬ উপজেলায়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১০ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয়েছে ১৬টিতে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে জিতেছেন ১১ জন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিতেছেন ৪টিতে।

রাঙামা‌টির কাউখালী, কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে জয় পেয়েছেন মোট ৭টিতে। এদের মধ্যে তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয় মোট ৫টিতে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ৪টিতে। ১টিতে জেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থী।

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও দীঘিনালার ৭টি ইউনিয়নে ভোট হয় রোববার। এর মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনটির ফলাফল স্থগিত। দুটিতে জয় পেয়েছে জনসংহতি সমিতির নেতারা।

বান্দরবানের রুমা ও আলীকদমের ৮ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে ৫ ইউনিয়নে। ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন দুটিতে এবং বিএনপির স্থানীয় নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী পরিচয়ে জিতেছেন একটিতে।

কক্সবাজারের চকোরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৬ ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ৬টিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন ৫টিতে।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগের এক নেতা জয় পেয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। বাকি ৪টির মধ্যে দুটি পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, দুটি পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়া বিএনপি নেতা।

ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায় ভোট হয়েছে মোট ৮টি ইউনিয়নে। এর সবগুলোতেই জয় পেয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার ২০ ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি ছয়জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে তিনজন আগেই নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয়েছে বাকি ১৭টিতে।

কুমিল্লার দাউদকান্দি, বরুড়া ও হোমনা উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নে রোববার ভোট হয়।

এর মধ্যে ১৫ ইউনিয়নে জয় পেয়েছে নৌকা আর ১১ ইউনিয়নে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণে ভোট হয়েছে মোট ১৮ ইউনিয়নে। এর মধ্যে একটিতে ফলাফল স্থগিত আছে। বাকি ১৭টির মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা জিতেছেন ১০টি ইউনিয়নে। নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন ৬ ইউনিয়নে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৩২ ইউনিয়নে ভোট হয়। ৮ প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান। রোববার ভোট হয় বাকি ২৪টিতে। এর মধ্যে নৌকা জেতে ৯টিতে। ১১টিতে জয় পান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

অন্য তিন বিভাগের চিত্র

বাকি তিন বিভাগ রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন। তবে অন্য পাঁচ বিভাগের মতো সংখ্যাটি এত বেশি নয়।

রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন।

একটি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় ১১ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বাকি ৫টির একটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী নেতা জিতেছেন।

চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি। ওই দুই ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

নওগাঁর মান্দা ও বদলগাছি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে।

এর মধ্যে মান্দায় ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে তিনজন জিতেছেন। সেখানে নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা আওয়ামী লীগের নেতারা জিতেছেন ৪ ইউনিয়নে।

বদলগাছী উপজেলার আটটির মধ্যে নৌকা জিতেছে ৫টিতে। বাকি তিনটির মধ্যে দুটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতারা। একজন কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।

নাটোরের লালপুর এবং বাগাতিপাড়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকে ৫টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন।

নৌকার চেয়ে বেশি জিতেছেন স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা জয় পেয়েছেন মোট ৬টি ইউনিয়নে।

পাবনার ঈশ্বরদী, চাটমোহর, সাঁথিয়া এই তিন উপজেলার ২৭টি ইউনিয়ন ও বেড়া পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। বেড়া পৌরসভাসহ ২০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক ও ৭টি ইউনিয়নে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা নেতারা।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও বেলকুচি উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৬টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জিতেছেন।

এদের মধ্যে ২ জন জিতেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয়েছে বাকি ১৭টিতে। এর মধ্যে ১৪টিতে জয় পান নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ৩টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

বগুড়ায় ভোট হয়েছে মোট ২৭টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের ১২ নেতা, ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহ করা নেতারা জিতেছেন চারটি ইউনিয়নে।

জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এর মধ্যে একটিতে জয় এসেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয় বাকি চারটিতে।

সিলেট বিভাগে সিলেট জেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে আওয়ামী লীগ, ৩টিতে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।

সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জে ভোট হয়েছে।

সদর উপজেলার ৯ ইউনিয়নের একটিতেও জয় পায়নি নৌকা মার্কা। তবে দলের বিদ্রোহী নেতারা জয় পেয়েছেন দুটি ইউনিয়নে।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে দুটিতে। নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন তিনটিতে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জিতেছেন ১২টিতে। দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন মোট ৭টিতে।

হবিগঞ্জের ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতে নৌকা প্রতীক জয় পেয়েছে। ছয়টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা।

বরিশাল বিভাগে নৌকা জিতেছে ১১টিতে, বিদ্রোহীরা ৬টিতে।

এর মধ্যে রিশালের পাঁচটি ইউ‌নিয়‌নে চেয়ারম্যান প‌দে উ‌জিরপু‌রের বামরাইল ও মুলাদীর বাটামারায় আওয়ামী লী‌গের দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

রোববার উ‌জিরপুরের হারতা ও বাবু‌গঞ্জের রহমতপু‌রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেতেন। উজিরপুরের গুঠিয়ায় জেতেন দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেখানে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

পি‌রোজপুরের দুটি ইউনিয়নেই জিতেছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপ‌জেলার ছয়টি ইউ‌নিয়‌নের মধ্যে চার‌টি‌তে নৌকা ও দুটি‌তে স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লী‌গের বি‌দ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন।

বরগুনার পাথরঘাটায় চার‌টি ইউ‌নিয়‌নের মধ্যে একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন আওয়ামী লী‌গের প্রার্থী। বা‌কি তিন‌টি‌তেও জেতেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা।

ভোলার চরফ্যাশন উপ‌জেলার সাত‌টি ইউ‌নিয়‌নের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেতেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

বা‌কি দুটির ম‌ধ্যে এক‌টি‌তে আওয়ামী লী‌গের প্রার্থী এবং অপর‌টি‌তে আওয়ামী লী‌গের বি‌দ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ ক‌রেন। ‌

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিউজবাংলার জেলা প্রতিনিধিরা

আরও পড়ুন:
৩ বিদ্রোহীর দাপটে জামানত খোয়ালেন নৌকার প্রার্থী
হার্ট অ্যাটাকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু
নৌকার পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ককটেল নিক্ষেপ
সমান ভোট পেলেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী
মারিয়াজয়ী পাকিস্তানি বোসরাকে দেখতে ভিড়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The price of potatoes may rise somewhat within the next 6 months trade adviser

আগামী ১মাসের ভেতর আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আগামী ১মাসের ভেতর আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে সরকারি সফর করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শুক্রবার তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার উপজেলার গোপীনাথপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। হেলিকপ্টার থেকে নামার পর জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আগামী এক মাসের ভেতর আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে। আমরা আলু রপ্তানীতে প্রণোদনা দিচ্ছি এবং রপ্তানিতে সহযোগিতা করছি। চাহিদা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।

গোপীনাথপুর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বগুড়ার দুঁপচাচিয়া উপজেলার মর্তুজাপুর গ্রামে গিয়ে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জুম্মার নামাজ আদায়ের পর তার শ্বশুর মরহুম আব্দুর রাজ্জাক আকন্দের কবর জিয়ারত করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টাককে ও হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক লোকজনের ভিড়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসছেন এমন খবর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানাজানি হয়।

সরকারি সফরসূচি অনুযায়ী, বাণিজ্য উপদেষ্টার হেলিকপ্টার শুক্রবার সকাল ১১ টায় গোপীনাথপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। সকাল থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। সকাল ১০টার আগেই গণমাধ্যম কর্মীরাও গোপীনাথপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আসেন। তখন থেকেই উৎসুক জনতা গোপীনাথপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দুটি ফটকে বাণিজ্য উপদেষ্টা ও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় করছিলেন। তবে দেড় ঘন্টা বিলম্বে দুপুর পৌঁনে একটার দিকে উপদেষ্টাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে।

গোপীনাথপুর এলাকার আবু রায়হান তার দুই বছরের নাতিকে কাঁধে নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে ও হেলিকপ্টার দেখতে আসেন। তিনি বলেন, আমার নাতি হেলিকপ্টার দেখার বয়না ধরেছে। নাতিকে কাঁধে নিয়ে হেলিকপ্টার দেখতে এসেছি। বাণিজ্য উপদেষ্টা গোপীনাথপুরে এসেছেন। গোপীনাথপুরের বাসিন্দা হিসেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আগে কখনও সরকারের কোনা মন্ত্রী গোপীনাথপুরের এসেছিল কি না তা জানি না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The contribution of scientists in the country to the fisheries sector is like boasting Fisheries adviser

মৎস্য খাতে দেশের বিজ্ঞানীদের অবদান গর্ব করার মতো: মৎস্য উপদেষ্টা

মৎস্য খাতে দেশের বিজ্ঞানীদের অবদান গর্ব করার মতো: মৎস্য উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মৎস্য খাতে এ দেশের বিজ্ঞানীদের অবদান গর্ব করার মতো। তাই মৎস্য সম্পদ রক্ষায় গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

শুক্রবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী তৃতীয় ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর সাসটেইনেবল ফিশারিজ (আইসিএসএফ)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা ও গবেষণার উন্নয়ন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি বিনিময় এবং অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অতিরিক্ত মাছ শিকার এবং অবৈধ জাল যেমন চায়না জাল ও ট্রল ডোর ব্যবহার করে মাছ শিকার অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে মাছের ক্ষতি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের কথা কেউ ভাবছে না।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, শীতকালে কৃষিকাজে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বর্ষা মৌসুমে সেই বিষ পানিতে মিশে মাছের ক্ষতি করছে। কীভাবে কৃষিতে বালাইনাশকের ব্যবহার কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং মৎস্যসম্পদ রক্ষা করা যায় সে লক্ষ্যে কৃষি খাতে বালাইনাশক ব্যবহার সীমিত করতে ইতোমধ্যে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ইলিশের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর ইলিশ আহরণের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টি সময়মতো না হওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ এবং নদীর নাব্যতা হ্রাসসহ নানা কারণে ইলিশ আহরণ কমে গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মিঠা পানির মাছচাষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে মিঠা পানির মাছের চাষ বাড়াতে হবে। তাই মাছের বৈচিত্র রক্ষা এবং হাওড়, নদীসহ প্রজনন ক্ষেত্রগুলো সংরক্ষণে জোর দিতে হবে।

হাওড়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাওড়ে অপরিকল্পিত সড়ক বা অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করা যাবে না। হাওড় গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে সমন্বয় করে কীভাবে হাওড় রক্ষা করা যায়, সে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম। মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নির্মল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-এলাহি, কোয়ালিটি ফিডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম কায়সার রহমান।

সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ স্পিকার হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল ওয়াহাব। তিন দিনব্যাপী ওই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ১১টি সেশনে প্রায় আড়াই শতাধিক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Doctors should be humanitarian to rise above the party Health Advisor

দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে চিকিৎসকদের ‘মানবিক’ হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে চিকিৎসকদের ‘মানবিক’ হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে চিকিৎসকদের ‘মানবিক চিকিৎসক’ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, চিকিৎসকদের সবসময় রোগীদের প্রতি মানবিক ব্যবহার এবং তাদের সেবার মাধ্যমে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে মা ও শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করতে এসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মা ও শিশু হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নূরজাহান বেগম বলেন, ঢাকায় সবক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ হাসপাতাল থাকলেও চট্টগ্রামে জনসাধারণের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালের মাধ্যমে সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়া হলেও এখানকার জনসাধারণের তুলনায় তা খুব কম। তার ওপর সরকারি হাসপাতালগুলোতে যন্ত্রপাতির সংকট এবং বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হতো না। বর্তমান সরকার দায়িত্বে নেওয়ার পর এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

জাপানে সামনে ১ হাজার দক্ষ নার্স পাঠানো হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফরে গিয়ে যে ১লাখ দক্ষ জনবল নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন জাপান সরকারকে, তারই ধারাবাহিকতায় জাপানে সামনে ১ হাজার দক্ষ নার্স পাঠানো হবে। আমাদের বাইরে নানা ক্ষেত্রে দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনবল পাঠানোর সুযোগ থাকলেও নানা অব্যবস্থাপনা, দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণের অভাবে আমরা তা পারছি না।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে সরকারিভাবে আমাদের ১০হাজার চিকিৎসক এবং ১২হাজার নার্সের সংকট রয়েছে। সে সংকট কাটানোর লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে ৩হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে, সামনে আরও ২হাজার নিয়োগ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। নার্সের সংকট নিরসনে সাড়ে ৩ হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে।

উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ক্যান্সার এবং হার্টের রিং এর দাম কমিয়েছে। সামনে তিনশ’ ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। ডেঙ্গুর কিটের দাম সরকারিভাবে ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারাদেশে উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বিষধর সাপের কামড়ের রোগীদের জন্য এনটিভেনম সরবরাহ করা হচ্ছে। চিকিৎসা খাতের সংকট দূর করার জন্য আরও ৩৫০কোটি টাকার বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং ওষুধ আমদানি করা হবে।

মা ও শিশু হাসপাতালের সভাপতি সৈয়দ মো. মোরশেদ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বী, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গভর্নিং বডির সদস্য ড. মনজুরুল ইসলাম, মা ও শিশু হাসপাতালের সহসভাপতি আবদুল মান্নান রানা, ডা. কামরুন্নাহার দস্তগীর, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ হাসান, মো. সগীর, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. রেজাউল করিম প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The contribution of scientists of this country to the fisheries sector is like boasting Fisheries and Livestock Advisor

মৎস্য খাতে এ দেশের বিজ্ঞানীদের অবদান গর্ব করার মতো : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য খাতে এ দেশের বিজ্ঞানীদের অবদান গর্ব করার মতো : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মৎস্য খাতে এ দেশের বিজ্ঞানীদের অবদান গর্ব করার মতো। মৎস্যসম্পদ রক্ষায় গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। তাই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
উপদেষ্টা আজ সকালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী তৃতীয় ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর সাসটেইনেবল ফিশারিজ (আইসিএসএফ)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা ও গবেষণার উন্নয়ন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি বিনিময় এবং অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ কনফারেন্স আয়োজন করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অতিরিক্ত মাছ শিকার, অবৈধ জাল যেমন চায়না জাল ও ট্রল ডোর ব্যবহার করে মাছ শিকার অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা এভাবে সাময়িক লাভের জন্য মাছ শিকার করছে, তারা প্রকৃত মৎস্যজীবী নয়। এতে মাছের ক্ষতি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতের কথা কেউ ভাবছে না। মৎস্য অধিদপ্তর ও বিএফআরআইকে এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, শীতকালে কৃষিকাজে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বর্ষা মৌসুমে সেই বিষ পানিতে মিশে মাছের ক্ষতি করছে। কীভাবে কৃষিতে বালাইনাশকের ব্যবহার কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং মৎস্যসম্পদ রক্ষা করা যায়— সে লক্ষ্যে কৃষিখাতে বালাইনাশক ব্যবহার সীমিত করতে ইতোমধ্যে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইলিশের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এ বছর ইলিশ আহরণের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি সময়মতো না হওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ এবং নদীর নাব্যতা হ্রাসসহ নানা কারণে ইলিশ আহরণ কমে গেছে। তবে ইলিশ যাতে সাধারণ মানুষের পাতে পৌঁছায়, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্টদের তিনি আরো গুরুত্বপ্রদানের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মিঠা পানির মাছ চাষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাছের প্রাপ্যতা বাড়লেও তা নিরাপদ কিনা, সে বিষয়েও নজর দিতে হবে। নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে মিঠা পানির মাছের চাষ বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাছের বৈচিত্র্যের দিক থেকে বাংলাদেশ অনন্য। তাই মাছের বৈচিত্র রক্ষা এবং হাওড়, নদীসহ প্রজননক্ষেত্রগুলো সংরক্ষণে জোর দিতে হবে। নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকার সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
হাওড়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাওড়ে অপরিকল্পিত সড়ক বা অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করা যাবে না। হাওড় গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটকে সমন্বয় করে কীভাবে হাওড় রক্ষা করা যায়, সে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার মাধ্যমে মাছ, গবাদিপশু ও ফসলের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করছে, যা দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ খাতে আরও ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। দেশে উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন বৃহৎ পরিসরে উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হলে শুধু দেশের চাহিদা পূরণ নয়, বরং তা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও পথ খুলে দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নির্মল চন্দ্র রয়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-এলাহি, কোয়ালিটি ফিডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম কায়সার রহমান।
কনফারেন্সের কী-নোট স্পিকার হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল ওয়াহাব।
তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ১১টি সেশনে প্রায় আড়াই শতাধিক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এতে দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট খাতের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা অংশ নিচ্ছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Fisheries Departments premises held a meeting meeting to keep hundreds of tobacco free

মৎস্য অধিদপ্তরের প্রাঙ্গণ শতভাগ তামাকমুক্ত রাখতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মৎস্য অধিদপ্তরের প্রাঙ্গণ শতভাগ তামাকমুক্ত রাখতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

অধূমপায়ীদের সুরক্ষা এবং তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের অফিস প্রাঙ্গণ শতভাগ তামাকমুক্ত রাখার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে তামাক বিরোধী সংগঠন তাবিনাজ (তামাক বিরোধী নারী জোট)। সভাটি আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুর রউফ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (প্রশাসন), পরিচালক (অভ্যন্তরীণ মৎস্য), প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উপপরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আতাউর রহমান মাসুদ। তিনি তামাকজাত দ্রব্যের ভয়াবহ ক্ষতিকর দিক এবং এর বহুমুখী প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাবিনাজের পরিচালক সীমা দাস সীমু তার বক্তব্যে ধোঁয়ামুক্ত ও ধোঁয়াযুক্ত তামাকজাত দ্রব্য এবং গবেষণালব্ধ তথ্য তুলে ধরেন। তাবিনাজ কর্মী শারমিন কবীর বীণা গ্রামীণ তামাক চাষ ও এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা অফিস প্রাঙ্গণ শতভাগ তামাকমুক্ত রাখতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ও কর্মপরিকল্পনা দেন।

সুপারিশসমূহ:
১. অফিস প্রাঙ্গণে ধূমপানের জন্য কোনো স্মোকিং জোন থাকবে না।
২. ক্যান্টিনে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হবে।
৩. দেশব্যাপী মৎস্য অধিদপ্তরের সকল অফিস প্রাঙ্গণকে শতভাগ তামাকমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
৪. সকল অফিস প্রাঙ্গণে ‘তামাকমুক্ত এলাকা’ লেখা সম্বলিত সাইনেজ প্রতিস্থাপন করা হবে।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা তামাকমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার প্রয়াসে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
National University Vice Chancellor is working to build skilled human resources to address challenges

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য

অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে স্নাতকে (অনার্স) তথ্য প্রযুক্তি ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আধুনিক পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে গতকাল বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের এটুআই প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এসব কথা বলেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাক্রমের আইসিটি বিষয়ের ‘টিচিং, লার্নিং অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক এ কর্মশালার প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর।

উপাচার্য বলেন, কলেজগুলোতে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষাদানে শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে সহায়তার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সব টেকনিক্যাল কলেজ ও কম্পিউটার কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের কলেজ শিক্ষার্থীদের মেধার ঘাটতি নেই। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে তারা সহজেই তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠবে।

শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, সময়োপযোগী ও কর্মমুখী তথ্য প্রযুক্তি পাঠ্যক্রম প্রণয়নে সরকারের এটুআই প্রোগ্রাম ও শিক্ষাবিদদের প্রতি আহ্বান জানান অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।

কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন কলেজের ৮টি বিভাগের ৪০ জন তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. নাজমা তারা এবং মির্জা মোহাম্মদ দিদারুল আনাম।

এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Meeting of the Advisory Council held

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

p
উপরে