× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The boat sank 262 A League leaders
google_news print-icon

নৌকা ডোবালেন ২৬৭ আওয়ামী লীগ নেতা

ভোটারদের দীর্ঘ সারি
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোলার একটি কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। ছবি: নিউজবাংলা
রোববারের ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি ধরাশায়ী করেছেন খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে আওয়ামী লীগের যতজন জিতেছেন, তার প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে জয় পেয়েছেন মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা। আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান থাকা ঢাকা ও রংপুর বিভাগেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী নেতা হারিয়ে দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীদের। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা তুলনামূলক কম ভালো করেছেন।

রোববারের ভোটে সারা দেশে যেসব ইউনিয়নে ভোট হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটিতে ফলাফল স্থগিত আছে। বাকিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩৯টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছে নৌকা মার্কা নিয়ে লড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৭টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে লড়াই করা প্রার্থীরা।

এর আগের দুই ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকা ডুবিয়েছেন কয়েক শ আওয়ামী লীগ নেতা। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বহিষ্কারের পদক্ষেপ, ভবিষ্যতে আর কখনও মনোনয়ন না দেয়ার সতর্কতার পরেও বিদ্রোহী নেতারা সেসব গা করেননি। বরং প্রায় ৩০০ এলাকায় তাদের জয় এটা নির্দেশ করছে যে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আসলে ভুল মানুষের হাতে উঠেছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আব্দুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দল থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাদের বিচার-বিবেচনা করেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। আমরা মনে করি, তাদের জয়ে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণে যে নির্বাচন হয়েছে এটা নির্বাচনের সৌন্দর্য।’

বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকবে আওয়ামী লীগ বলে জানান দলের এই নেতা। বলেন, ‘তাদের জন্য আগের চেয়ে কঠোর সিদ্ধান্তও আসতে পারে।’

জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর বাকি থাকতে স্থানীয় সরকারের মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে তৃণমূলে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, তা আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না- এমন প্রশ্নে আবদুর রহমান বলেন, ‘এটা আমরা মনে করি না। কারণ একজন প্রার্থী স্থানীয় নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে গেলেও তিনি একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। তাই জাতীয় নির্বাচনে তিনি ঠিক দলের বিরুদ্ধে যাবেন না।’

রোববারের ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি ধরাশায়ী করেছেন খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে আওয়ামী লীগের যতজন জিতেছেন, তার প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে জয় পেয়েছেন মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান থাকা ঢাকা ও রংপুর বিভাগেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী নেতা হারিয়ে দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীদের। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা তুলনামূলক বিচারে কম ভালো করেছেন।

নৌকা ডোবালেন ২৬৭ আওয়ামী লীগ নেতা

নৌকা-বিদ্রোহী সমানে সমান

খুলনা বিভাগে নৌকা নিয়ে ৬০ জন নেতার জয়ের মধ্যে ৫৮ জনই জিতে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিদ্রোহী নেতারা।

এই বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে ভোট হয়েছে ৯টিতে। এর মধ্যে চার জেলাতেই বিদ্রোহীরা জিতেছেন দলের প্রার্থীর চেয়ে বেশি। একটিতে ‘দুই পক্ষের’ আসন সমান সমান।

এর মধ্যে নড়াইলে নৌকা নিয়ে জিতেছেন কেবল দুজন। অপরপক্ষে দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন ১০টিতে।

খুলনার রূপসা ও তেরোখাদা উপজেলার মধ্যে ভোট হয়েছে ৭টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে জিতেছেন ৫ নেতা। দুজন নৌকা না পেয়ে প্রার্থী হয়ে জিতেছেন।

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ এবং দেবহাটা উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৭টি ইউনিয়নে।

এর মধ্যে নৌকা জিতেছে মোট ৬টিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিতেছেন ৫টিতে।

এই বিভাগের বাগেরহাটে তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়নি।

যশোরের তিন উপজেলা শার্শা, বাঘারপাড়া ও মনিরামপুরের ৩৫টি ইউনিয়নের ২১টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। বাকিগুলোর মধ্যে ১১টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভোট হয়েছে মোট ১৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা জিতেছেন ৪টিতে। ৯টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

মেহেরপুর সদর ও গাংনী মিলিয়ে ভোট হয়েছে ৬টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে তিনটিতে। তিনটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ভোট হয়। এদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৫ জন। বাকি ৮ স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন। এদের মধ্যে ৭ জনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী।

মাগুরার মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৫ ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে মোট ৯টিতে। পাঁচটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

নৌকা ডোবালেন ২৬৭ আওয়ামী লীগ নেতা

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা নিয়ে জয় পেয়েছেন দুজন। বাকি ১০ জনের সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে ভোটে লড়েছেন।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জের ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হন তিনজন। রোববারের ভোটে জেতেন ৫ জন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছেন ৬ জন।

একই বিষয় দেখা গেছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই বিভাগে নৌকা নিয়ে ৩৮ জন পাস করেছেন। অন্যদিকে নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছেন ৩২ নেতা।

এই বিভাগের চার জেলার মধ্যে নেত্রকোণায় নৌকার প্রার্থীর চেয়ে বেশি জিতেছেন বিদ্রোহীরা। ময়মনসিংহ জেলায় দুই পক্ষের অবস্থান প্রায় সমান সমান।

ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল ও মুক্তাগাছা মিলিয়ে ভোট হয়েছে মোট ২৭টি ইউনিয়নে। এসব ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টিতে জিতেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ১১টিতে জিতেছেন বিদ্রোহীরা।

নেত্রকোণায় ভোট হয়েছে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও পূর্বধলা উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে ৮টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। ১৩টিতে নৌকাকে হারিয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২১টি ইউনিয়নে।

এর মধ্যে নকলায় ৯ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে নৌকা, ৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, নালিতাবাড়ীর ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা জিতেছে। বাকি ৭টির দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন।

সব মিলিয়ে এই জেলায় নৌকা জিতেছে মোট ৯টি, ৬টিতে জিতেছেন বিদ্রোহী নেতারা।

জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। বাকি ১০টির মধ্যে রোববার ৭টিতে নৌকা জিতেছে। একটিতে ফলাফল স্থগিত। দুটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতারা।

রংপুর বিভাগে নৌকা জিতেছে মোট ৫৯টি ইউনিয়নে। আর বিদ্রোহীরা জিতেছেন ৩৮টিতে। এর মধ্যে দিনাজপুরে নৌকা নিয়ে যতজন জিতেছেন, দলীয় প্রতীক না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছেন তার চেয়ে বেশি।

এর মধ্যে রংপুরের সদর, কাউনিয়া ও তারাগঞ্জ উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৩ ইউনিয়নে। এর মধ্যে সদরের দুই ইউনিয়নেই জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতারা।

কাউনিয়ায় নৌকা জিতেছে তিনটি ইউনিয়নে। নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী নেতারাও জয় পেয়েছেন তিনটিতে।

তারাগঞ্জ উপজেলায় নৌকা জিতেছে একটিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন দুটিতে।

সব মিলিয়ে এই জেলায় নৌকা জিতেছে চারটিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জিতেছেন সাতটিতে।

কুড়িগ্রামের ৩টি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ১০টি ইউনিয়নে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহ করা নেতারা জয় পেয়েছেন ৪টিতে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৯টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ৪টিতে। দলের বিদ্রোহীরা জিতেছেন তিনটিতে।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৬টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে ৭টিতে। বাকিগুলোর মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতা।

লালমনিরহাট সদর ও কালিগঞ্জ উপজেলার মোট ১৭টি ইউনিয়নে হয়েছে ভোট। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৭ ইউনিয়নে। দলের বিদ্রোহী নেতারা জয় পেয়েছেন ৪টিতে।

পঞ্চগড় সদর ও আটোয়ারী উপজেলার মোট ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন ছয়টি ইউনিয়নে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন তিনটিতে।

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট হয়েছে মোট ২৩টি ইউনিয়নে।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক জিতেছে সাতটিতে। ৯টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী নেতারা।

ঠাকুরগাওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ১৪টিতে। একটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েও ভোটে লড়া এক নেতা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের যে চিত্র

ঢাকা বিভাগে নৌকা নিয়ে ৫৯ জনের জয়ের বিপরীতে দলের বিদ্রোহী নেতারা জয় পেয়েছেন ৩৮টি ইউনিয়নে। এই বিভাগের দুই জেলা মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে ভোট হয়েছে দলীয় প্রতীক ছাড়া।

ঢাকা বিভাগের দুই জেলা গাজীপুর ও ফরিদপুরে নৌকা নিয়ে জিতেছেন যথাক্রমে এক ও দুজন। বিপরীতে দলের বিদ্রোহীরা জিতেছেন যথাক্রমে ৬ ও ১২ জন।

ঢাকা বিভাগের মধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে কেবল একটিতে। বাকি ৬টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ৪ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬ প্রার্থী জয় পেয়েছেন। তাদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চারজন।

সোমবার ভোট হয় চারটিতে। এর মধ্যে দুটিতে জিতেছেন নৌকার প্রার্থী, একটিতে জাতীয় পার্টি এবং একটিতে কোনো দল না করা নেতা জিতেছেন।

মুন্সিগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২১টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ১১টিতে। এই জেলায় কোনো বিদ্রোহী নেতা জেতেননি।

নরসিংদী সদর ও রায়পুরার মোট ২২টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ১৪টি ইউনিয়নে। ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন ৭টি ইউনিয়নে।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মধুপুর ও কালিহাতী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন মোট ১৬টিতে। দলের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন চারটি ইউনিয়নে।

কিশোরগঞ্জ জেলার তিন উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২৩টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে কুলিয়ারচর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের সবকটিতে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা জিতেছেন।

নিকলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আর একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীরা, ৫টিতে জিতেছেন দলের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহীরা।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১০টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন মোট আটটিতে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা নেতারা জিতেছেন দুটিতে।

রাজবাড়ীর কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় ভোট হয় মোট ১৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে ৯টিতে জিতেছেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। পাঁচটিতে জিতেছেন নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করা নেতারা।

ফরিদপুরের জেলার ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসনের মোট ১৫টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ জিতেছে একটিতে। নৌকা না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জিতেছেন ১২টিতে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টিতে জিতেছে আওয়ামী লীগের নৌকা। একটিতে জিতেছেন দলের মনোনয়ন না পেয়ে লড়াই করা ক্ষমতাসীন দলের নেতা। দুটিতে জিতেছেন কোনো দলীয় রাজনীতি না করা স্বতন্ত্র প্রার্থী।

মাদারীপুর সদর উপ‌জেলার ১৪টি ইউপিতে স্বতন্ত্র সবাই বিজয়ী হ‌য়ে‌ছেন। এই উপ‌জেলায় আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় ম‌নোনয়ন দেয়া হয়‌নি। সেখানে আওয়ামী লীগ পদটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

শরীয়তপুরের সোগাইরহাট উপজেলার ৭টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ কোনো দলীয় প্রার্থী দেয়নি। যারা জিতেছেন সবাই ক্ষমতাসীন দলেরই নেতা এবং তারা স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করেছেন।

চট্টগ্রামের দুই উপজেলা হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়ায় ভোট হয়েছে মোট ২৬ উপজেলায়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১০ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয়েছে ১৬টিতে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে জিতেছেন ১১ জন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিতেছেন ৪টিতে।

রাঙামা‌টির কাউখালী, কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে জয় পেয়েছেন মোট ৭টিতে। এদের মধ্যে তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয় মোট ৫টিতে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ৪টিতে। ১টিতে জেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থী।

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও দীঘিনালার ৭টি ইউনিয়নে ভোট হয় রোববার। এর মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনটির ফলাফল স্থগিত। দুটিতে জয় পেয়েছে জনসংহতি সমিতির নেতারা।

বান্দরবানের রুমা ও আলীকদমের ৮ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে ৫ ইউনিয়নে। ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন দুটিতে এবং বিএনপির স্থানীয় নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী পরিচয়ে জিতেছেন একটিতে।

কক্সবাজারের চকোরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৬ ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ৬টিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন ৫টিতে।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগের এক নেতা জয় পেয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। বাকি ৪টির মধ্যে দুটি পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, দুটি পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়া বিএনপি নেতা।

ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায় ভোট হয়েছে মোট ৮টি ইউনিয়নে। এর সবগুলোতেই জয় পেয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার ২০ ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি ছয়জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে তিনজন আগেই নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয়েছে বাকি ১৭টিতে।

কুমিল্লার দাউদকান্দি, বরুড়া ও হোমনা উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নে রোববার ভোট হয়।

এর মধ্যে ১৫ ইউনিয়নে জয় পেয়েছে নৌকা আর ১১ ইউনিয়নে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণে ভোট হয়েছে মোট ১৮ ইউনিয়নে। এর মধ্যে একটিতে ফলাফল স্থগিত আছে। বাকি ১৭টির মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা জিতেছেন ১০টি ইউনিয়নে। নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন ৬ ইউনিয়নে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৩২ ইউনিয়নে ভোট হয়। ৮ প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান। রোববার ভোট হয় বাকি ২৪টিতে। এর মধ্যে নৌকা জেতে ৯টিতে। ১১টিতে জয় পান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

অন্য তিন বিভাগের চিত্র

বাকি তিন বিভাগ রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন। তবে অন্য পাঁচ বিভাগের মতো সংখ্যাটি এত বেশি নয়।

রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন।

একটি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় ১১ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বাকি ৫টির একটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী নেতা জিতেছেন।

চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি। ওই দুই ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

নওগাঁর মান্দা ও বদলগাছি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে।

এর মধ্যে মান্দায় ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে তিনজন জিতেছেন। সেখানে নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা আওয়ামী লীগের নেতারা জিতেছেন ৪ ইউনিয়নে।

বদলগাছী উপজেলার আটটির মধ্যে নৌকা জিতেছে ৫টিতে। বাকি তিনটির মধ্যে দুটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতারা। একজন কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।

নাটোরের লালপুর এবং বাগাতিপাড়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকে ৫টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন।

নৌকার চেয়ে বেশি জিতেছেন স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা জয় পেয়েছেন মোট ৬টি ইউনিয়নে।

পাবনার ঈশ্বরদী, চাটমোহর, সাঁথিয়া এই তিন উপজেলার ২৭টি ইউনিয়ন ও বেড়া পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। বেড়া পৌরসভাসহ ২০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক ও ৭টি ইউনিয়নে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা নেতারা।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও বেলকুচি উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৬টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জিতেছেন।

এদের মধ্যে ২ জন জিতেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয়েছে বাকি ১৭টিতে। এর মধ্যে ১৪টিতে জয় পান নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ৩টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

বগুড়ায় ভোট হয়েছে মোট ২৭টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের ১২ নেতা, ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহ করা নেতারা জিতেছেন চারটি ইউনিয়নে।

জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এর মধ্যে একটিতে জয় এসেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয় বাকি চারটিতে।

সিলেট বিভাগে সিলেট জেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে আওয়ামী লীগ, ৩টিতে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।

সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জে ভোট হয়েছে।

সদর উপজেলার ৯ ইউনিয়নের একটিতেও জয় পায়নি নৌকা মার্কা। তবে দলের বিদ্রোহী নেতারা জয় পেয়েছেন দুটি ইউনিয়নে।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে দুটিতে। নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন তিনটিতে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জিতেছেন ১২টিতে। দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন মোট ৭টিতে।

হবিগঞ্জের ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতে নৌকা প্রতীক জয় পেয়েছে। ছয়টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা।

বরিশাল বিভাগে নৌকা জিতেছে ১১টিতে, বিদ্রোহীরা ৬টিতে।

এর মধ্যে রিশালের পাঁচটি ইউ‌নিয়‌নে চেয়ারম্যান প‌দে উ‌জিরপু‌রের বামরাইল ও মুলাদীর বাটামারায় আওয়ামী লী‌গের দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

রোববার উ‌জিরপুরের হারতা ও বাবু‌গঞ্জের রহমতপু‌রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেতেন। উজিরপুরের গুঠিয়ায় জেতেন দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেখানে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

পি‌রোজপুরের দুটি ইউনিয়নেই জিতেছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপ‌জেলার ছয়টি ইউ‌নিয়‌নের মধ্যে চার‌টি‌তে নৌকা ও দুটি‌তে স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লী‌গের বি‌দ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন।

বরগুনার পাথরঘাটায় চার‌টি ইউ‌নিয়‌নের মধ্যে একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন আওয়ামী লী‌গের প্রার্থী। বা‌কি তিন‌টি‌তেও জেতেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা।

ভোলার চরফ্যাশন উপ‌জেলার সাত‌টি ইউ‌নিয়‌নের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেতেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

বা‌কি দুটির ম‌ধ্যে এক‌টি‌তে আওয়ামী লী‌গের প্রার্থী এবং অপর‌টি‌তে আওয়ামী লী‌গের বি‌দ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ ক‌রেন। ‌

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিউজবাংলার জেলা প্রতিনিধিরা

আরও পড়ুন:
৩ বিদ্রোহীর দাপটে জামানত খোয়ালেন নৌকার প্রার্থী
হার্ট অ্যাটাকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু
নৌকার পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ককটেল নিক্ষেপ
সমান ভোট পেলেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী
মারিয়াজয়ী পাকিস্তানি বোসরাকে দেখতে ভিড়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Raksu Chaksu elections will be held well and beautifully Home Advisor

রাকসু-চাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাকসু-চাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে রাকসু ও চাকসু নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সভা শেষে ব্রিফিং করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: বাসস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, এসব নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই, ভালোভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। এজন্য আপনাদের (সাংবাদিক) সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে রাকসু ও চাকসু নির্বাচন-২০২৫ উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি রাকসু ও চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা দেশের সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, শুধু দেশেই না বিদেশেও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত । যারা ভোট দেবে তারাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত।

তিনি বলেন, ‘তাদের অভিজ্ঞতা আজ শেয়ার করলাম। যেহেতু আমাদের একটা জাতীয় নির্বাচন আছে ফেব্রুয়ারিতে, এই নির্বাচনগুলো দেখে আমাদের কিছু অভিজ্ঞতা হচ্ছে। সেটা আমরা জাতীয় নির্বাচনে কীভাবে প্রয়োগ করতে পারবো সেজন্য আজকে বসেছিলাম।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা আজ ভালো ভালো সাজেশন দিয়ে গেছে। সেই সাজেশন আমরা ভবিষ্যতে কাজে লাগাবো। একইসঙ্গে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় তাদেরও উপকার হয়েছে। যেহেতু দুইটা নির্বাচন হয়েছে। সেখানে নির্বাচনে কী করতে হবে, ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি থাকলে সেগুলো কীভাবে সমাধান করা হবে, এসব নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সভায় তারা কোনো ধরনের শঙ্কার কথা জানায়নি।

আজকের সভায় কি ধরনের সাজেশন এসেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে তারা বলেছে- কতগুলো সেন্টার হওয়া দরকার, ভোট গণনা কীভাবে হবে, কালি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, এসব নিয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত ফল ঘোষণার জন্যও কি ব্যবস্থা নেয়া যায়, আলোচনা হয়েছে। ভোটারদের ছবিযুক্ত আইডি কার্ড ও ভোটার তালিকা যেন স্বচ্ছ থাকে এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, রাকসু ও চাকসু নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দুটি নির্বাচন থেকে অনেক কিছু শনাক্ত হয়েছে। এসব নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো কাজ করেছে বা কোন বিষয়গুলো কাজ করেনি, তার একটি ধারণা পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে আমরা এখানে এসেছি। আজকের সভায় ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এ দুটি নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আছে। ভালো নির্বাচন হবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি পেশ

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি পেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৭ তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম।

বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ জবানবন্দি পেশ শেষ করেন নাহিদ। তিনি গতকাল জবানবন্দি পেশ শুরু করেন।

আজ বিকেলে তাকে জেরা করবেন এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এ মামলায় প্রসিকিউসন পক্ষে আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করেন। সেই সাথে অপর প্রসিকিউটররা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

একপর্যায়ে এ মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীকালে এ মামলার ৩৬ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Female fishermen should also have cards with men in the family Fisheries and Livestock Advisor

পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের দেওয়া জেলে কার্ডে পুরুষ জেলেদের নামই আসে, মাত্র ৪ শতাংশ সেখানে নারী। পরিবারে একজন চাকরি করলে তিনিই চাকরিজীবী হোন কিন্তু যারা মাছ ধরে তার পুরো পরিবার এ কাজে যুক্ত। এ প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ সময় নারীদের বেশি কাজ করতে হয়। তাই পুরুষ জেলেদের সঙ্গে নারীদেরও কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ বুধবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বেসরকারি গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) আয়োজিত “টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় নীতি সংলাপ”-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এ সেমিনার এসে দায়িত্ব বেড়ে গেছে। আমাদের জেলেদের বিশেষ করে নারী জেলেদের নিয়ে আরো বেশি কাজ করতে হবে। এখন পর্যন্ত নারীদেরকে কৃষকের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আর নারী জেলেদের কথা তো বলাই বাহুল্য। অথচ নারী জেলেরা তার পরিবার পরিজনের জন্য নদীতে মাছ ধরে। স্বামীর অবর্তমানে সংসার চালায়।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, "এ পেশায় পুরো পরিবারকে নিয়ে কাজ করতে হয়। মান্তা সম্প্রদায়ের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে খুব কষ্ট পেলাম।" জেলে সম্প্রদায়ের আইনগত সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড় তুফানে অনেক জেলে মারা যায়, কেউ হারিয়ে যায়, সেসব পুরুষের হদিস না থাকায় ব্যাংকের টাকাও তুলতে পারে না তাদের স্ত্রীরা। তা ছাড়া নারীকে বিধবা ভাতাও দেওয়া যায় না। এসব আইনি জটিলতা দূর করতে হবে।

তিনি বলেন, "আমাদের আইনগুলো পুরুষদের কথা চিন্তা করে করা। সেখানে নারীদের স্থান খুব কম। আর আগের মৎস্য আইনও একই ধরনের। তাই মৎস্য আইনের খসড়া ২০২৫ -এ আমরা এসকল সমস্যার সমাধানে দৃষ্টি দিয়েছি। আর নারীদের স্বীকৃতি দিলে হলে সংখ্যার স্বীকৃতি দিতে হবে। অথচ আমাদের তালিকায় নারীজেলের সংখ্যা খুবই নগন্য, মাত্র ৪ শতাংশ। কিন্তু সমাজে অসংখ্য নারী জেলে রয়েছে। এসব ঘাটতি পূরণে আমরা কাজ করছি। "

অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আগের তালিকা অনুসন্ধান করে দেখেছি অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে। এখন সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। আমরা চাই যেন প্রকৃত জেলেরা কার্ড পেতে পারে। সেইসঙ্গে যে পরিবারে পুরুষ জেলের কার্ড থাকবে সেখানে নারীদেরও থাকতে হবে।

কাঁকড়া ও ঝিনুক মানুষের খাদ্যের অংশ এটিকে বন অধিদপ্তরের সংজ্ঞা থেকে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তা ছাড়া যারা কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ ধরছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জলমহাল ইজারা সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, জলমহালের কাছের মানুষের নামে অন্যরা জলমহাল ইজারা নেয়। এক্ষেত্রে জৈবভিত্তিক ইজারা দিতে হবে, অর্থাৎ এ পেশার সঙ্গে জড়িত জেলেদের দিতে হবে। বাওড়ে ইজারা জেলেদের দেওয়ার কথা নিশ্চিত হচ্ছে, তবে হাওর নিয়েও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা চলছে। যাতে প্রকৃত জেলেরা তা পায়।

নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা সময়ে যতজনকে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় সহযোগিতা দেওয়া দরকার তা দেওয়া সম্ভব হয় না। এর পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে চাই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, নারী শ্রমিকরা পুরুষের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম মজুরি পায়। তা ছাড়া আমাদের জলমহাল ইজারা রাজস্বভিত্তিক দেওয়া হয়। এটি বাতিল করে জাল যার জলা তার নীতিতে নিতে হবে। জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড নিশ্চিত করে জেলে কার্ড দেওয়া হবে। বর্তমানে আমাদের নিবন্ধনে ১৭ লাখ জেলের মধ্যে ৪৪ হাজার রয়েছে নারী। এ সংখ্যা আমরা বৃদ্ধি করতে হবে।

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএনআরএস এর পরিচালক মি. এম. আনিসুল ইসলাম। এমপাওয়ারিং উমেন থ্রু সিভিল সোসাইটি অ্যাক্টর্স ইন বাংলাদেশ (ইডাব্লিউসিএসএ) প্রকল্পের পরিচিতি উপস্থাপন করেন অক্সফাম বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর শাহজাদী বেগম।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএনআরএস-এর পরিচালক ড. এম. আমিনুল ইসলাম এবং জাগো নারী টিম লিডার রিসার্চ আহমেদ আবিদুর রেজা খান।

সংলাপ শেষে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নারী মৎস্যজীবীদের ক্ষমতায়ন ও টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপিত হয়।

সংলাপে সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সিভিল সোসাইটি, শিক্ষাবিদ এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যসম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government is committed to make worship a peaceful and festive atmosphere Home Advisor

পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বুধবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : বাসস

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গত বছরের চেয়ে এবার পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে হামলার কোনো হুমকি নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ বুধবার রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় রমনা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি অপর্ণা রায়সহ কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর বলেন, পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানের জন্য ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করা হবে। সে কারণে একটি নতুন অ্যাপ খোলা হয়েছে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটিকে নজরদারি করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সে কারণে ধর্মীয় নিয়ম মেনে সবাই এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিগত সরকারের সময় ২ কোটি টাকা পূজা উপলক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হতো। বর্তমান সরকার তা থেকে বাড়িয়ে গত বছর এ লক্ষ্যে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল; এবার সেটি থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পূজা মণ্ডপের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো সহায়তা করা হবে।

মন্তব্য

কিশোর পত্রিকা 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময়

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ শিশুদের স্মৃতি নিয়ে লেখা প্রকাশে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান
কিশোর পত্রিকা 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, যেসব শিশু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হয়েছে, তাদের লেখা ও স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে 'নবারুণ' পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে উপদেষ্টা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। বুধবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) ঢাকার তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত কিশোর মাসিক পত্রিক 'নবারুণ'-এর লেখকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।

'নবারুণ' পত্রিকা নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এই পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবি ও লেখা গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করতে হবে। 'নবারুণ' পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের লেখা ও ছবি বেশি পরিমাণে প্রকাশিত হলে তারা অনুপ্রাণিত হবে। এতে তাদের সৃজনশীলতা বিকশিত হবে।

মাহফুজ আলম বলেন, "যে সরকারই দায়িত্বে আসুক না কেন, শিশু-কিশোরদের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকা উচিত।" তিনি ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-সহ আর্থসামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখালিখি করার জন্য লেখকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

'নবারুণ' পত্রিকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রকাশনার শুরু থেকে (১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ) এ পর্যন্ত 'নবারুণ' পত্রিকার সকল সংখ্যা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। এতে পাঠক অনলাইনে পুরাতন সংখ্যা পড়ে সমৃদ্ধ হতে পারবেন।

'নবারুণ' পত্রিকার কলেবর বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'নবারুণ' পত্রিকায় নতুন লেখকদের জন্য আলাদা বিভাগ চালু করা উচিত। পত্রিকার প্রতি সংখ্যায় কমপক্ষে পাঁচ জন নতুন লেখকের লেখা প্রকাশের জন্য তিনি কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। তিনি শিশু-সাহিত্যিকদের নিয়ে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, যেসব লেখক ৪০-৫০ বছর ধরে লিখছেন, তাঁদের লেখা 'নবারুণ' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে হবে। এতে পত্রিকা আরও সমৃদ্ধ হবে। তিনি 'নবারুণ' পত্রিকার লেখক-সম্মানি বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন।

সভায় 'নবারুণ' পত্রিকার লেখকরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা 'নবারুণ'-কে একটি অসাধারণ ও সাহসী পত্রিকা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা পত্রিকাটির মানোন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদা বেগম। সভার শুরুতে 'নবারুণ' পত্রিকা বিষয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপনা করেন পত্রিকার সম্পাদক ইসরাত জাহান। মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালন করেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সিনিয়র সম্পাদক শাহিদা সুলতানা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The chief adviser

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে জানান, ‘আমরা ইতোমধ্যেই নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের ঠিক আগে।’

তিনি উল্লেখ করেন, জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে নির্বাচনী উৎসাহ বাড়ছে, কারণ দীর্ঘদিন পর—কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় পর—ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।’ তিনি যোগ করেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের মতো ভোট দেবে।

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে—জাতির জন্য এক নতুন যাত্রা।’

এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন।

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। একজন আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

একজন ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয় দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান।

বিশেষ করে সম্প্রতি অর্থাভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করতে সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কারগুলো তুলে ধরে বলেন, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Participation at the GICC Conference of the Secretary of the Bridge Division

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবে'র অংশগ্রহন

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবে'র অংশগ্রহন

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে ওয়েস্টিন পারনাস হোটেলে আজ থেকে ০৩(তিন) দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। সম্মেলনে সেতু সচিব সেতু বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সেতু সচিব প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করেন সেতু বিভাগের কয়েকটি প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ/ইডিপিএফ (EDCF/EDPF) অর্থানয়ের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের লক্ষ্য কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করা এবং বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্থবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করা। এটি মূলত একটি বিজনেস-টু-বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বিদেশী সরকার, প্রজেক্ট ডেভেলপার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা রয়েছেন।

এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো: বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রজেক্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, নতুন প্রজেক্টে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিতি করা।

এছাড়াও সম্মেলনের বাকী অংশে বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে।

মন্তব্য

p
উপরে