× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The boat sank 262 A League leaders
google_news print-icon

নৌকা ডোবালেন ২৬৭ আওয়ামী লীগ নেতা

ভোটারদের দীর্ঘ সারি
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোলার একটি কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। ছবি: নিউজবাংলা
রোববারের ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি ধরাশায়ী করেছেন খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে আওয়ামী লীগের যতজন জিতেছেন, তার প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে জয় পেয়েছেন মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা। আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান থাকা ঢাকা ও রংপুর বিভাগেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী নেতা হারিয়ে দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীদের। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা তুলনামূলক কম ভালো করেছেন।

রোববারের ভোটে সারা দেশে যেসব ইউনিয়নে ভোট হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটিতে ফলাফল স্থগিত আছে। বাকিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩৯টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছে নৌকা মার্কা নিয়ে লড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৭টি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে লড়াই করা প্রার্থীরা।

এর আগের দুই ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকা ডুবিয়েছেন কয়েক শ আওয়ামী লীগ নেতা। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বহিষ্কারের পদক্ষেপ, ভবিষ্যতে আর কখনও মনোনয়ন না দেয়ার সতর্কতার পরেও বিদ্রোহী নেতারা সেসব গা করেননি। বরং প্রায় ৩০০ এলাকায় তাদের জয় এটা নির্দেশ করছে যে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আসলে ভুল মানুষের হাতে উঠেছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আব্দুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দল থেকে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাদের বিচার-বিবেচনা করেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই। আমরা মনে করি, তাদের জয়ে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণে যে নির্বাচন হয়েছে এটা নির্বাচনের সৌন্দর্য।’

বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকবে আওয়ামী লীগ বলে জানান দলের এই নেতা। বলেন, ‘তাদের জন্য আগের চেয়ে কঠোর সিদ্ধান্তও আসতে পারে।’

জাতীয় নির্বাচনের দুই বছর বাকি থাকতে স্থানীয় সরকারের মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে তৃণমূলে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, তা আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না- এমন প্রশ্নে আবদুর রহমান বলেন, ‘এটা আমরা মনে করি না। কারণ একজন প্রার্থী স্থানীয় নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে গেলেও তিনি একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। তাই জাতীয় নির্বাচনে তিনি ঠিক দলের বিরুদ্ধে যাবেন না।’

রোববারের ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি ধরাশায়ী করেছেন খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে আওয়ামী লীগের যতজন জিতেছেন, তার প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে জয় পেয়েছেন মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থান থাকা ঢাকা ও রংপুর বিভাগেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী নেতা হারিয়ে দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীদের। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা তুলনামূলক বিচারে কম ভালো করেছেন।

নৌকা ডোবালেন ২৬৭ আওয়ামী লীগ নেতা

নৌকা-বিদ্রোহী সমানে সমান

খুলনা বিভাগে নৌকা নিয়ে ৬০ জন নেতার জয়ের মধ্যে ৫৮ জনই জিতে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিদ্রোহী নেতারা।

এই বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে ভোট হয়েছে ৯টিতে। এর মধ্যে চার জেলাতেই বিদ্রোহীরা জিতেছেন দলের প্রার্থীর চেয়ে বেশি। একটিতে ‘দুই পক্ষের’ আসন সমান সমান।

এর মধ্যে নড়াইলে নৌকা নিয়ে জিতেছেন কেবল দুজন। অপরপক্ষে দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন ১০টিতে।

খুলনার রূপসা ও তেরোখাদা উপজেলার মধ্যে ভোট হয়েছে ৭টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে জিতেছেন ৫ নেতা। দুজন নৌকা না পেয়ে প্রার্থী হয়ে জিতেছেন।

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ এবং দেবহাটা উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৭টি ইউনিয়নে।

এর মধ্যে নৌকা জিতেছে মোট ৬টিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিতেছেন ৫টিতে।

এই বিভাগের বাগেরহাটে তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়নি।

যশোরের তিন উপজেলা শার্শা, বাঘারপাড়া ও মনিরামপুরের ৩৫টি ইউনিয়নের ২১টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। বাকিগুলোর মধ্যে ১১টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভোট হয়েছে মোট ১৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা জিতেছেন ৪টিতে। ৯টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

মেহেরপুর সদর ও গাংনী মিলিয়ে ভোট হয়েছে ৬টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে তিনটিতে। তিনটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ভোট হয়। এদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৫ জন। বাকি ৮ স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন। এদের মধ্যে ৭ জনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী।

মাগুরার মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৫ ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে মোট ৯টিতে। পাঁচটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

নৌকা ডোবালেন ২৬৭ আওয়ামী লীগ নেতা

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা নিয়ে জয় পেয়েছেন দুজন। বাকি ১০ জনের সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে ভোটে লড়েছেন।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জের ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হন তিনজন। রোববারের ভোটে জেতেন ৫ জন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছেন ৬ জন।

একই বিষয় দেখা গেছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই বিভাগে নৌকা নিয়ে ৩৮ জন পাস করেছেন। অন্যদিকে নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছেন ৩২ নেতা।

এই বিভাগের চার জেলার মধ্যে নেত্রকোণায় নৌকার প্রার্থীর চেয়ে বেশি জিতেছেন বিদ্রোহীরা। ময়মনসিংহ জেলায় দুই পক্ষের অবস্থান প্রায় সমান সমান।

ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল ও মুক্তাগাছা মিলিয়ে ভোট হয়েছে মোট ২৭টি ইউনিয়নে। এসব ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টিতে জিতেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ১১টিতে জিতেছেন বিদ্রোহীরা।

নেত্রকোণায় ভোট হয়েছে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও পূর্বধলা উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে ৮টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। ১৩টিতে নৌকাকে হারিয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২১টি ইউনিয়নে।

এর মধ্যে নকলায় ৯ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে নৌকা, ৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, নালিতাবাড়ীর ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা জিতেছে। বাকি ৭টির দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন।

সব মিলিয়ে এই জেলায় নৌকা জিতেছে মোট ৯টি, ৬টিতে জিতেছেন বিদ্রোহী নেতারা।

জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। বাকি ১০টির মধ্যে রোববার ৭টিতে নৌকা জিতেছে। একটিতে ফলাফল স্থগিত। দুটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতারা।

রংপুর বিভাগে নৌকা জিতেছে মোট ৫৯টি ইউনিয়নে। আর বিদ্রোহীরা জিতেছেন ৩৮টিতে। এর মধ্যে দিনাজপুরে নৌকা নিয়ে যতজন জিতেছেন, দলীয় প্রতীক না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছেন তার চেয়ে বেশি।

এর মধ্যে রংপুরের সদর, কাউনিয়া ও তারাগঞ্জ উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৩ ইউনিয়নে। এর মধ্যে সদরের দুই ইউনিয়নেই জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতারা।

কাউনিয়ায় নৌকা জিতেছে তিনটি ইউনিয়নে। নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী নেতারাও জয় পেয়েছেন তিনটিতে।

তারাগঞ্জ উপজেলায় নৌকা জিতেছে একটিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন দুটিতে।

সব মিলিয়ে এই জেলায় নৌকা জিতেছে চারটিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জিতেছেন সাতটিতে।

কুড়িগ্রামের ৩টি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ১০টি ইউনিয়নে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহ করা নেতারা জয় পেয়েছেন ৪টিতে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৯টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ৪টিতে। দলের বিদ্রোহীরা জিতেছেন তিনটিতে।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৬টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে ৭টিতে। বাকিগুলোর মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতা।

লালমনিরহাট সদর ও কালিগঞ্জ উপজেলার মোট ১৭টি ইউনিয়নে হয়েছে ভোট। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৭ ইউনিয়নে। দলের বিদ্রোহী নেতারা জয় পেয়েছেন ৪টিতে।

পঞ্চগড় সদর ও আটোয়ারী উপজেলার মোট ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন ছয়টি ইউনিয়নে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন তিনটিতে।

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট হয়েছে মোট ২৩টি ইউনিয়নে।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক জিতেছে সাতটিতে। ৯টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী নেতারা।

ঠাকুরগাওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ১৪টিতে। একটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েও ভোটে লড়া এক নেতা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের যে চিত্র

ঢাকা বিভাগে নৌকা নিয়ে ৫৯ জনের জয়ের বিপরীতে দলের বিদ্রোহী নেতারা জয় পেয়েছেন ৩৮টি ইউনিয়নে। এই বিভাগের দুই জেলা মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে ভোট হয়েছে দলীয় প্রতীক ছাড়া।

ঢাকা বিভাগের দুই জেলা গাজীপুর ও ফরিদপুরে নৌকা নিয়ে জিতেছেন যথাক্রমে এক ও দুজন। বিপরীতে দলের বিদ্রোহীরা জিতেছেন যথাক্রমে ৬ ও ১২ জন।

ঢাকা বিভাগের মধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে কেবল একটিতে। বাকি ৬টিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ৪ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬ প্রার্থী জয় পেয়েছেন। তাদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চারজন।

সোমবার ভোট হয় চারটিতে। এর মধ্যে দুটিতে জিতেছেন নৌকার প্রার্থী, একটিতে জাতীয় পার্টি এবং একটিতে কোনো দল না করা নেতা জিতেছেন।

মুন্সিগঞ্জ সদর ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২১টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ১১টিতে। এই জেলায় কোনো বিদ্রোহী নেতা জেতেননি।

নরসিংদী সদর ও রায়পুরার মোট ২২টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ১৪টি ইউনিয়নে। ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন ৭টি ইউনিয়নে।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মধুপুর ও কালিহাতী উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন মোট ১৬টিতে। দলের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন চারটি ইউনিয়নে।

কিশোরগঞ্জ জেলার তিন উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ২৩টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে কুলিয়ারচর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের সবকটিতে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা জিতেছেন।

নিকলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আর একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীরা, ৫টিতে জিতেছেন দলের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহীরা।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১০টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন মোট আটটিতে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা নেতারা জিতেছেন দুটিতে।

রাজবাড়ীর কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় ভোট হয় মোট ১৪টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে ৯টিতে জিতেছেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। পাঁচটিতে জিতেছেন নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করা নেতারা।

ফরিদপুরের জেলার ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসনের মোট ১৫টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ জিতেছে একটিতে। নৌকা না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জিতেছেন ১২টিতে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টিতে জিতেছে আওয়ামী লীগের নৌকা। একটিতে জিতেছেন দলের মনোনয়ন না পেয়ে লড়াই করা ক্ষমতাসীন দলের নেতা। দুটিতে জিতেছেন কোনো দলীয় রাজনীতি না করা স্বতন্ত্র প্রার্থী।

মাদারীপুর সদর উপ‌জেলার ১৪টি ইউপিতে স্বতন্ত্র সবাই বিজয়ী হ‌য়ে‌ছেন। এই উপ‌জেলায় আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় ম‌নোনয়ন দেয়া হয়‌নি। সেখানে আওয়ামী লীগ পদটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

শরীয়তপুরের সোগাইরহাট উপজেলার ৭টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ কোনো দলীয় প্রার্থী দেয়নি। যারা জিতেছেন সবাই ক্ষমতাসীন দলেরই নেতা এবং তারা স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করেছেন।

চট্টগ্রামের দুই উপজেলা হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়ায় ভোট হয়েছে মোট ২৬ উপজেলায়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১০ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয়েছে ১৬টিতে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে জিতেছেন ১১ জন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিতেছেন ৪টিতে।

রাঙামা‌টির কাউখালী, কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে জয় পেয়েছেন মোট ৭টিতে। এদের মধ্যে তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয় মোট ৫টিতে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ৪টিতে। ১টিতে জেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থী।

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও দীঘিনালার ৭টি ইউনিয়নে ভোট হয় রোববার। এর মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনটির ফলাফল স্থগিত। দুটিতে জয় পেয়েছে জনসংহতি সমিতির নেতারা।

বান্দরবানের রুমা ও আলীকদমের ৮ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে ৫ ইউনিয়নে। ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন দুটিতে এবং বিএনপির স্থানীয় নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী পরিচয়ে জিতেছেন একটিতে।

কক্সবাজারের চকোরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৬ ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা জিতেছে ৬টিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন ৫টিতে।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগের এক নেতা জয় পেয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। বাকি ৪টির মধ্যে দুটি পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, দুটি পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়া বিএনপি নেতা।

ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায় ভোট হয়েছে মোট ৮টি ইউনিয়নে। এর সবগুলোতেই জয় পেয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার ২০ ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি ছয়জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে তিনজন আগেই নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয়েছে বাকি ১৭টিতে।

কুমিল্লার দাউদকান্দি, বরুড়া ও হোমনা উপজেলার ৩০টি ইউনিয়নে রোববার ভোট হয়।

এর মধ্যে ১৫ ইউনিয়নে জয় পেয়েছে নৌকা আর ১১ ইউনিয়নে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণে ভোট হয়েছে মোট ১৮ ইউনিয়নে। এর মধ্যে একটিতে ফলাফল স্থগিত আছে। বাকি ১৭টির মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা জিতেছেন ১০টি ইউনিয়নে। নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন ৬ ইউনিয়নে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৩২ ইউনিয়নে ভোট হয়। ৮ প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান। রোববার ভোট হয় বাকি ২৪টিতে। এর মধ্যে নৌকা জেতে ৯টিতে। ১১টিতে জয় পান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

অন্য তিন বিভাগের চিত্র

বাকি তিন বিভাগ রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন। তবে অন্য পাঁচ বিভাগের মতো সংখ্যাটি এত বেশি নয়।

রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন।

একটি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় ১১ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বাকি ৫টির একটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী নেতা জিতেছেন।

চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি। ওই দুই ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

নওগাঁর মান্দা ও বদলগাছি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে।

এর মধ্যে মান্দায় ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে তিনজন জিতেছেন। সেখানে নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা আওয়ামী লীগের নেতারা জিতেছেন ৪ ইউনিয়নে।

বদলগাছী উপজেলার আটটির মধ্যে নৌকা জিতেছে ৫টিতে। বাকি তিনটির মধ্যে দুটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতারা। একজন কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।

নাটোরের লালপুর এবং বাগাতিপাড়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকে ৫টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন।

নৌকার চেয়ে বেশি জিতেছেন স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা জয় পেয়েছেন মোট ৬টি ইউনিয়নে।

পাবনার ঈশ্বরদী, চাটমোহর, সাঁথিয়া এই তিন উপজেলার ২৭টি ইউনিয়ন ও বেড়া পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। বেড়া পৌরসভাসহ ২০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক ও ৭টি ইউনিয়নে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা নেতারা।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও বেলকুচি উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৬টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জিতেছেন।

এদের মধ্যে ২ জন জিতেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয়েছে বাকি ১৭টিতে। এর মধ্যে ১৪টিতে জয় পান নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ৩টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বিদ্রোহী নেতারা।

বগুড়ায় ভোট হয়েছে মোট ২৭টি ইউনিয়নে। এর মধ্যে নৌকা নিয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের ১২ নেতা, ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহ করা নেতারা জিতেছেন চারটি ইউনিয়নে।

জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এর মধ্যে একটিতে জয় এসেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। রোববার ভোট হয় বাকি চারটিতে।

সিলেট বিভাগে সিলেট জেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতে আওয়ামী লীগ, ৩টিতে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।

সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জে ভোট হয়েছে।

সদর উপজেলার ৯ ইউনিয়নের একটিতেও জয় পায়নি নৌকা মার্কা। তবে দলের বিদ্রোহী নেতারা জয় পেয়েছেন দুটি ইউনিয়নে।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জিতেছে দুটিতে। নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী নেতারা জিতেছেন তিনটিতে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জিতেছেন ১২টিতে। দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন মোট ৭টিতে।

হবিগঞ্জের ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতে নৌকা প্রতীক জয় পেয়েছে। ছয়টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা।

বরিশাল বিভাগে নৌকা জিতেছে ১১টিতে, বিদ্রোহীরা ৬টিতে।

এর মধ্যে রিশালের পাঁচটি ইউ‌নিয়‌নে চেয়ারম্যান প‌দে উ‌জিরপু‌রের বামরাইল ও মুলাদীর বাটামারায় আওয়ামী লী‌গের দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

রোববার উ‌জিরপুরের হারতা ও বাবু‌গঞ্জের রহমতপু‌রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেতেন। উজিরপুরের গুঠিয়ায় জেতেন দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেখানে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

পি‌রোজপুরের দুটি ইউনিয়নেই জিতেছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপ‌জেলার ছয়টি ইউ‌নিয়‌নের মধ্যে চার‌টি‌তে নৌকা ও দুটি‌তে স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লী‌গের বি‌দ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন।

বরগুনার পাথরঘাটায় চার‌টি ইউ‌নিয়‌নের মধ্যে একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন আওয়ামী লী‌গের প্রার্থী। বা‌কি তিন‌টি‌তেও জেতেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা।

ভোলার চরফ্যাশন উপ‌জেলার সাত‌টি ইউ‌নিয়‌নের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেতেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

বা‌কি দুটির ম‌ধ্যে এক‌টি‌তে আওয়ামী লী‌গের প্রার্থী এবং অপর‌টি‌তে আওয়ামী লী‌গের বি‌দ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ ক‌রেন। ‌

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিউজবাংলার জেলা প্রতিনিধিরা

আরও পড়ুন:
৩ বিদ্রোহীর দাপটে জামানত খোয়ালেন নৌকার প্রার্থী
হার্ট অ্যাটাকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু
নৌকার পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, ককটেল নিক্ষেপ
সমান ভোট পেলেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী
মারিয়াজয়ী পাকিস্তানি বোসরাকে দেখতে ভিড়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Another 120 people from Libya have been brought back home

লিবিয়া থেকে আরও ১২৩ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

লিবিয়া থেকে আরও ১২৩ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে

লিবিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করা আরও ১২৩ অনিবন্ধিত বাংলাদেশি নাগরিককে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব বাংলাদেশির সবাই বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে (ইউজেড ০২২২) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

উল্লেখ্য, প্রত্যাগতদের অধিকাংশই মানবপাচারের শিকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সমন্বিত উদ্যোগে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হয়েছে।

দেশে ফেরার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম-এর প্রতিনিধিরা তাদের স্বাগত জানান ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধিকাংশ বাংলাদেশি সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর উদ্দেশে অনিবন্ধিতভাবে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। লিবিয়ায় অবস্থানকালে তাদের অনেকেই মানব পাচারকারীদের দ্বারা অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।

সরকারি কর্মকর্তারা এসব অভিবাসীকে পরামর্শ দেন, যেন তারা অন্যদের এই ধরনের বিপজ্জনক ও অবৈধ পথে বিদেশ গমনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করেন এবং ভবিষ্যতে এমন যাত্রা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।

পুনর্বাসন সহায়তার অংশ হিসেবে আইওএম প্রত্যেককে নগদ ৬ হাজার টাকা, জরুরি খাদ্য সহায়তা, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে লিবিয়ার বিভিন্ন বন্দিশিবিরে আটক থাকা অন্যান্য বাংলাদেশির নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কাজ চলছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম যৌথভাবে এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য

তদন্ত কমিশনের সংবাদ সম্মেলন

গুমের শিকার ব‍্যক্তিদের চার ধরনের পরিণতি হতো

গুমের শিকার ব‍্যক্তিদের চার ধরনের পরিণতি হতো

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই গুম করা হতো বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি এসব তথ্য জানান। কমিশনে দাখিল করা অভিযোগ বিশ্লেষণে এসব তথ্য দেন তিনি।

তিনি বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের সম্ভাব্য যে ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে, তা হলো: ১. গুমের শিকার ব্যক্তিকে হত্যা করা। ২. বিচারের আগেই মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে জঙ্গি তকমা দিয়ে বাংলাদেশেই বিচারাধীন বা নতুন ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার দেখানো।৩. তাকে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করা। ৪. ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে, অল্পসংখ্যক ক্ষেত্রে মামলা না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া।

গুম কমিশনের ২য় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গত ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা দেওয়ার পর আজ দুপুরে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ সব কথা বলেন।

গুম কমিশনের সভাপতি বলেন, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত দমননীতির অংশ হিসেবে গুমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরেও বহু অপরাধী ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকায় অনেক জোরালো প্রমাণ ও নিদর্শন ধ্বংস, অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক অসহযোগিতা, সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানারকম ভীতিকর ও আতঙ্কজনক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তবুও বহু ভুক্তভোগী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের অভিযোগ ও অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিস্তারিতভাবে সে কাহিনি তুলে ধরেছেন।

গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির সভাপতি আরো বলেন, বিগত সরকারের শাসনামলে গুম একটি সুশৃঙ্খল ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপে ‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ অভিযানের ছায়াতলে ইসলামি উগ্রবাদের হুমকিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন ও শাসন দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশে পরিচালিত হয়েছিল। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ছিলেন- মেধাবী শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী ও সাংবাদিক থেকে সাধারণ জনগণ।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ প্রক্রিয়ায় তারা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র বানিয়েছিল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবাধীন করে এবং নির্যাতন ও গোপন আটকের সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চালু করেছিল। এমনকি সাধারণ নাগরিকদের বেআইনি পন্থায় বারবার ভারতীয় বাহিনীর হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছিল।

কমিশন অফ ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ধারা ১০ এ(১) ও (২) অনুযায়ী কমিশনে দাখিলকৃত ১৩১টি অভিযোগের বিষয়ে আইন মোতাবেক জিডি রেকর্ডপূর্বক ভিকটিমদের সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গোপন আটক কেন্দ্রের অস্তিত্ব এখন আর অস্বীকার করা যায় না। সকল ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা প্রায় একই ধরনের প্রক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। পদ্ধতিগত নির্যাতন, সন্ত্রাসী হিসেবে প্রচার, একই ধরনের আইন অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের ও একই ধরনের ভাষায় বর্ণনা। বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতার এই সামঞ্জস্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে।

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে ১৯ শতাংশ ফেরত না আসা ১২ জন ভিকটিমের বিষয়ে অগ্রগতি তুলে ধরেছি, যাদের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে। তাদের গুমের জন্য কারা দায়ী, তা প্রাথমিকভাবে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। চলমান অনুসন্ধানের স্বার্থে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ফিরে না আসা ভিকটিমদের বিষয়ে অপরাধী ও গুমের অপরাধ সংঘটনের স্থানসহ নানাবিধ বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি বা পুরোনো কললিস্ট না পাওয়াসহ নানারকম বিলম্বঘটিত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলেও কমিশন আন্তরিকতার সঙ্গে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিবেদনে কমিশন সন্ত্রাসবিরোধী যে সব মামলায় অপব্যবহার হয়েছে, তা ন্যায় বিচারের মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার মতো উপযুক্ত কাউন্টার টেরোরিজম মেথড বের করার জন্য দুটি সুপারিশ করা হয়।

এ সময় গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিশনের সদস্য নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকার কর্মী ও কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The accused in the murder case

আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি

আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে পুলিশকে মারধর করে পালিয়েছেন হত্যা মামলার এক আসামি।

আসামি শরিফুল ইসলাম (২২) দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মৃত শফিক আহম্মেদের ছেলে। তিনি রাজধানীর খিলগাঁও থানার জিসান হোসেন (১৪) হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার পর সংশ্লিষ্ট আদালতের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল শহিদুল্লাহকে মারধর করে ছুটে পালিয়ে যান আসামি শরিফুল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ এসআই রিপন।

তিনি বলেন, আসামিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় পুলিশকে আঘাত করে তিনি পালিয়ে যায় আসামি শহিদুল।

ডিএমপির প্রসিকিশন বিভাগের এডিসি মাইন উদ্দিন বলেন, আসামির হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। তিনি ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া ঢিলা করে কৌশলে খুলে ফেলে। পরে পুলিশ কনস্টেবলের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলমান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The 5th Annual Senate Meeting in the BUP

বিইউপিতে ১৭তম বার্ষিক সিনেট সভা অনুষ্ঠিত

বিইউপিতে ১৭তম বার্ষিক সিনেট সভা অনুষ্ঠিত

১৯ জুন ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর ১৭তম বার্ষিক সিনেট সভা বিইউপির বিজয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিইউপির উপাচার্য ও সিনেট চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ মাহ্বুব-উল আলম, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, পিএইচডি।

সভার শুরুতে বিইউপির উপাচার্য ও সিনেট চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ মাহ্বুব-উল আলম বিদায়ী সদস্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং নবনিযুক্ত সদস্যদের স্বাগত জানান। পরে বিইউপির ট্রেজারার এয়ার কমডোর মোঃ রেজা এমদাদ খান, জিইউপি, বিইউপি, এনডিসি, পিএসসি, জিডি(পি), ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ১৩৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ও ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের ১৩৪ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।

সিনেট সদস্যগণ ট্রেজারার এর বক্তৃতার ওপর আলোচনা করেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন করেন। এছাড়াও সিনেট সভায় ১৭তম বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপিত ও সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৭তম বার্ষিক সিনেট সভাটি সার্বিকভাবে সঞ্চালনা করেন বিইউপির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ রাব্বি আহসান, এনডিসি, পিএসসি।

সভায় সিনেট চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মাহ্বুব তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিইউপি বয়সে নবীন হলেও এর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকগণের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও গবেষণা ভিত্তিক কার্যক্রমের অর্জনসমূহ জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুনাম বয়ে আনছে। যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদান, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নিত হওয়ার লক্ষ্যে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক একটি সুনির্দিষ্ট Academic Strategic Plan –২০৫০ প্রণয়ন করা হয়েছে।

Academic Strategic Plan এর মাধ্যমে পাঠ্যক্রমের আধুনিক মান নির্ধারণ, Outcome Based Education (OBE) কারিকুলাম প্রনয়ণ, গবেষণা, উদ্ভাবন, প্রকাশনা ও গবেষণা সহায়তার সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মাননীয় উপাচার্য সকলকে অবহিত করেন যে বিইউপি’র গবেষণাভিত্তিক অগ্রযাত্রায় BUP Research Centre (BRC) অংঙ্গীভূত ফ্যাকাল্টি ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে গবেষণা, উদ্ভাবন ও পরামর্শমূলক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। 'Inspiring Innovation for Advancing Knowledge' শ্লোগানকে ধারণ করে, BUP Research Centre, গবেষকদের মানসম্মত গবেষণায় উৎসাহ দিচ্ছে এবং শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান প্রসারের উদ্দেশ্যে বিইউপি থেকে ৫টি জার্নাল প্রতিবছর নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে যা সকলের মাঝে সমাদৃত। সিনেট চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন যে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি একজন সুশৃঙ্খল, নৈতিকতা সম্পন্ন সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিইউপি বদ্ধপরিকর এবং সে লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক গুণাবলি ও আত্মিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সকল প্রোগ্রামের পাঠ্যক্রমে নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে Need Based Education - কেও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন যে, আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের মানসম্মত কারিকুলাম ও শিক্ষা পরিবেশের পাশাপাশি বৈচিত্র‍্যময় সাংস্কৃতিক সান্নিধ্যের গুরুত্বকে সামনে রেখে বিইউপি'তে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, নবপ্রজন্মের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সততা, চরিত্র গঠন ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং দেশপ্রেম জাগ্রত করতে পড়াশোনার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, জাতীয় দিবসগুলোর তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য তুলে ধরে বিইউপি’র বিভিন্ন আলোচনা সভা, সিম্পোজিয়াম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের কথা উল্লেখ করেন।

এই সিনেট সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বিইউপির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP does not support the electoral college in the presidential election

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থা সমর্থন করে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থা সমর্থন করে না বিএনপি

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রস্তাবিত ইলেকট্রোরাল কলেজব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণে এই ব্যবস্থাকে আরেকটি ছলচাতুরী হিসেবে দেখা হচ্ছে।’

গতকাল বুধবার বিকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কমিশনের যে প্রস্তাব তাতে একটা ইলেক্টোরাল কলেজ করা হবে। এবং প্রায় ওনাদের ভাষ্য অনুযায়ী ৭০ হাজারের মতো ভোটার থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ এখানে ভোটার হবেন। এবং রাষ্ট্রপতিকে সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ওখানে প্রস্তাব করা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবে আগের মতোই একমত নয় বিএনপি।

এই কাউন্সিলের জবাবদিহি না থাকায় সমর্থন করে না বিএনপি। এই কাউন্সিলে আরেকটি ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি হবে বলে মনে করি আমরা।’

স্বাধীন বিচারব্যবস্থার দাবি জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীন বিচারব্যবস্থা হলে ভারসাম্যহীনতা দূর হবে, ফ্যাসিবাদ দমন করবে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, অন্য সাংবিধানিক পদ, সংস্থা স্বাধীন করতে পারলে সমস্যা থাকবে না।’

বিএনপি মনে করে সুশাসন নিশ্চিত করতে ন্যায়পাল করা যেতে পারে। বিদ্যমান ব্যবস্থা বজায় রেখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হলে তাদের যোগ করা যেতে পারে, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন সংশোধন করা যেতে পারে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি মনে করে, দুদক ও মানবাধিকার কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করতে বিদ্যমান আইনগুলো সংস্কারের প্রয়োজন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bhawal Chandipur Agrakhola road is like a death

ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়ক যেন মরণফাঁদ

চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী   
ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়ক যেন মরণফাঁদ

কেরানীগঞ্জের শাক্তা ও তারানগর ইউনিয়নের বুক চিরে চলা ভাওয়াল-চন্ডিপুর-অগ্রখোলা সড়কের বেহাল দশায় নিত্যদিন ভোগান্তিতে পড়ছে হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কজুড়ে এখন গর্ত আর ধুলাবালি। সামান্য বৃষ্টিতে কাদায় যানবাহন আটকে যায়, আর শুকনো মৌসুমে উড়ে ধূলোর ঝড়।

রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী ও যানবাহনের চালকরা। ছোট-বড় গর্তে হোঁচট খেয়ে পড়ে আহত হন অনেক পথচারী। অন্যদিকে, যানবাহন চলাচলের অযোগ্য এই সড়কে প্রতিনিয়তই নষ্ট হয়ে পড়ে ভ্যান, অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি। আকিজ ফাউন্ডেশন স্কুল, মেকাইল মাদ্রাসা ও অগ্রখোলা কমিউনিটি হাসপাতালের সামনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে মাঝে মাঝেই উল্টে যায় যাত্রী বোঝাই যানবাহন ।

সড়কের করুণ অবস্থার কারণে অনেক চালক ও পথচারী এখন পাশের বেলনা, কলাতিয়া ও নয়াবাজার হয়ে বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত করছেন। এতে সময়, অর্থ ও দুর্ভোগ বাড়ছে।

এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কেরানীগঞ্জ ছাড়াও নবাবগঞ্জ, দোহার, সিরাজদিখানসহ দক্ষিণবঙ্গের হাজার হাজার মানুষ মোহাম্মদপুর হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করে। অথচ বছরের পর বছর ধরে অবহেলায় পড়ে আছে সড়কটি।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, ‘রাস্তাটার অবস্থা এমন যে, অটোরিকশা সিএনজিতে ওঠা মানেই কোমর ভাঙা। মাঝে মাঝেই যানবাহন পড়ে মানুষ আহত হয়। স্কুলের বাচ্চারা পর্যন্ত ভয়ে এই রাস্তায় যেতে চায় না। কোন এমপি-মন্ত্রী একবার এই রাস্তা দিয়ে গেলে বুঝত কষ্টটা কেমন।

একই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পণ্যবাহী ট্রাকচালক রাকিব হাওলাদার। তিনি বলেন, একবার গর্তে পড়লে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ট্রাকে থাকা জিনিসপত্র পড়ে যায়, এভাবে থাকলে এই রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা সম্ভব নয়। এটি দ্রুত সংস্কার করা উচিত।

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সড়কটি ইতোমধ্যে ডিপিপিতে অনুমোদন পেয়েছে। তাই এখন সংস্কার করা হচ্ছেনা। বছরের শেষ দিকে ২০ ফুট প্রশস্ত করে এবং আরও শক্তিশালী করে কাজ শুরু হবে। তখন রাস্তাটি আরো টেকসই হবে।

এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, সংস্কার কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত অন্তত গর্ত ভরাট করে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে। নইলে প্রতিদিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Twenty four bucks the family of four runs a family of four

আড়াইশ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল!

আড়াইশ টাকা আয়ে চারজনের সংসার চালায় কিশোর তোফাজ্জল!

একটা ভাঙাচোরা বাইসাইকেলই তার ভরসা। এ সাইকেল চালিয়ে ১৫ কিলোমিটার দুরের দুর্গম খাসিয়া পল্লীতে কাজ করে দুই-আড়াইশ টাকা রোজগার করে কিশোর তোফাজ্জল (১৪)। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দী গ্রামের আলী আহমেদ (৬৫) এর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন। পরিবারে সে একমাত্র উপার্জনক্ষম। বাবা হার্টের রোগী, বোন আয়েশা খাতুন (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন আর বয়োবৃদ্ধ দাদী সমিতা বিবি (৮২) দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী।

তোফাজ্জল কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিদিনি সকালে ভাঙাচোরা একটি সাইকেল নিয়ে ১৫ কিলোমিটার দুরের খাসিয়া পল্লীতে কাজে যাই। সন্ধ্যায় ফিরি। যা রোজগার হয়, দুবেলাও খেতে পাইনা। এ দুনিয়ায় আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কেউ নাই। প্রতিবেশী ফজল মিয়া, আবু শহীদ এ পরিবারের দুরাবস্থার কথা জানিয়ে বলেন, প্রকৃতই তারা খুব অসহায় ও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। তিনজনই অসুস্থ। মাঝে মধ্যে আমরা যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

সরেজমিন তোফাজ্জলদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি আবাসন প্রকল্পের ছোট্ট একটি ঘরে মেঝেয় জীর্ণ-শীর্ণ কাঁথায় শুয়ে আছেন সমিতা বিবি। অপুষ্টি আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় ক্লান্ত। ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। যা বললেন বোঝা গেলো, ডালভাত খেয়ে ঈদের দিন পার করেছি। ক্ষিদের জ্বালায় রাতে ঘুম আসে না। একরত্তি নাতি আর কিইবা করবে। তবু যা করছে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। চাল ডাল আনলে ওষুধ আনতে পারে না। তবু প্রায়ই অনাহারে থাকতে হয়। ঈদে চান্দে প্রতিবেশীরা কেউ খাবার দেয়, কেউ সামান্য টাকা-পয়সা দেয়। এইভাবেই টিকে আছি।

স্থানীয়দের সহযোগিতাই একমাত্র ভরসা। মানুষের সাহায্যে দুমুঠো ভাত খেতে পারেন, যদি কেউ সাহায্যে না করে তাহলে না খেয়েই থাকতে হয়। তার বিলাপে চোখে জল চলে আসে। এ যেন দারিদ্র্যের এক করুণ চিত্র। এই অসহায় নারীর জীবন কাটছে অভাব আর কষ্টে। পা ভেঙে এক বছর ধরে শয্যাশায়ী। ছেলে আলী আহমেদও হার্টের রোগী। কোন কাজকর্ম করতে পারেন না। তাই ১৩/১৪ বছরের নাতি তোফাজ্জলের কাঁধেই সংসারের ভার। দুর্গম খাসিয়া পুঞ্জিতে কাজ করে দিনে আয় করে দুই-আড়াইশ টাকা মাত্র। এ টাকায় দুবেলা খাবার যোগানোই মুশকিল। তার ওপর অসুস্থ দাদি, বাবা আর মরার উপর খাঁড়ার ঘা মানসিক প্রতিবন্ধী বড় বোন আয়েশা খাতুন।

ইসলামপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ জানান, একসময় তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলো না। কয়েক বছর আগে সরকারি আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে এ পরিবারের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোফাজ্জলদের দুরাবস্থা জেনে অনেকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তাদের সহায়তা করছেন। তবে বয়োবৃদ্ধ সমিতা বিবি ও মানসিক প্রতিবন্ধী আয়েশা খাতুনের সুচিকিৎসা ও তোফাজ্জলদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ব্যবস্থা জরুরি।

মন্তব্য

p
উপরে