× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Tongi Bridge closed Northern part of Dhaka is almost impassable
google_news print-icon

টঙ্গী ব্রিজ বন্ধ: ঢাকার উত্তর অংশ অচলপ্রায়

টঙ্গী-ব্রিজ-বন্ধ-ঢাকার-উত্তর-অংশ-অচলপ্রায়
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজটের কারণে থমকে আছে গাড়ির চাকা। ছবি: নিউজবাংলা
শ্যামলী পরিবহনের চালক খোরশেদ বলেন, আগে ঢাকা থেকে শেরপুর গিয়ে আবার যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরতে পারতাম। কিন্তু গত চার-পাঁচ দিন ধরে একবারের বেশি ট্রিপ হয় না। চান্দনা চৌরাস্তার পর আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত আসতে সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে।

টঙ্গী ব্রিজের স্ল্যাব ধসে পড়ার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে, রোববার প্রথম কর্মদিবসে তার মাত্রা বাড়িয়েছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি।

এ পথে চলাচলকারীরা বলছেন, অন্য দিনগুলোতে অনেকেই নিকট গন্তব্যে হেঁটে পৌঁছেছেন। তবে এদিন তাও ছিল ভীষণ কষ্টের। এমনিতেই ফুটপাত নেই, যতটুকু আছে কাদা-জলে তা ছিল চলাচলের অনুপযোগী। এ অবস্থায় বেশি বিপাকে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।

গাজীপুর থেকে রোববার সকালে রাজধানীর পরীক্ষাকেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিল নীলিমা আক্তার। সে বলে, ‘পরীক্ষায় অংশ নিতে সকাল ৭টায় টঙ্গী কলেজ গেট থেকে রওনা হয়েছিলাম। এয়ারপোর্টে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে সকাল ১০টা বেজে গেছে। যানজটের কারণে টঙ্গী বাজার থেকে উত্তরা পর্যন্ত হেঁটে এসে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। এভাবে দুঃশ্চিন্তা নিয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো কীভাবে দেব?

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের (বিআরটি) কারণে গেল ৫ বছর ধরে এ পথে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যানজটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের আটকে থাকতে হচ্ছে সড়কে। খোদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রকল্পটিকে ‘গলার কাঁটা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সেই গলার কাঁটার অস্বস্তি বাড়িয়েছে টঙ্গী ব্রিজের স্ল্যাব ধসের ঘটনা।

টঙ্গী ব্রিজ বন্ধ: ঢাকার উত্তর অংশ অচলপ্রায়
হাঁটার পথেও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ

টঙ্গী ব্রিজের অংশবিশেষ মঙ্গলবার হঠাৎ ধসে পড়ে। এর পর থেকেই ব্রিজের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ হয়ে কামারপাড় দিয়ে মিলগেট এলাকায় উঠতে হচ্ছে। এই পথে আগে থেকে দূরপাল্লার গাড়ির চাপ থাকায় মাত্র দুই কিলোমিটার যেতে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

টঙ্গী ব্রিজের এই সমস্যায় রাজধানীর উত্তরা, আশুলিয়া, গাজীপুরের যাত্রীরা ছাড়াও দূরপাল্লায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। উত্তরা পাড়ি দিতেই যে সময় লাগছে, কোনো কোনো জেলায় পৌঁছে যাওয়া যেত তার চেয়ে আগে।

যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কের টঙ্গী ব্রিজ থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যানজট তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরা থেকে বনানী পর্যন্ত সড়কেও তীব্র যানজট রয়েছে।

সাইফুল ইসলাম গুলশানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত ৮ বছর ধরে গাজীপুর থেকে ঢাকায় গিয়ে অফিস করছি। এর মধ্যে পাঁচ বছর ধরে বিআরটি প্রকল্পের কারণে যানজটের দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। অফিস শেষে বাসায় ফিরতেও গভীর রাত হয়ে যায়। তার মধ্যে আবার টঙ্গী ব্রিজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ। এই দুর্ভোগের শেষ কবে?

টঙ্গী ব্রিজ বন্ধ: ঢাকার উত্তর অংশ অচলপ্রায়
টঙ্গী ব্রিজের ধসে পড়া অংশ। ছবি: নিউজবাংলা

ঢাকা-শেরপুর রুটে চলাচল করা শ্যামলী পরিবহনের চালক খোরশেদ বলেন, আগে ঢাকা থেকে শেরপুর গিয়ে আবার যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরতে পারতাম। কিন্তু গত চার-পাঁচ দিন ধরে একবারের বেশি ট্রিপ হয় না। চান্দনা চৌরাস্তার পর আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত আসতে সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শুক্রবার আর শনিবারের তুলনায় সড়কে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। সকালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অফিসগামী যাত্রীরা একই সঙ্গে সড়কে বের হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি রেখেছিলাম। সড়কের শৃঙ্খলায় ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশ একযোগে কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, এই মহাসড়ক দিয়ে অন্তত ২০টি রুটের যানবাহন চলাচল করে। ঢাকায় ঢুকতে ও বের হতে টঙ্গী ব্রিজের বিকল্প কোনো সড়ক নেই। কামাড়পাড়া দিয়ে ঢাকার এবং আশুলিয়া বাইপাসের গাড়িগুলো গাজীপুরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে ওই সড়কটিও বেশ সরু। এ ছাড়া গাজীপুর থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত বাইপাস সড়কটি বেহাল। তাই যানজট মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
টঙ্গীর ব্রিজ সংস্কারে লাগবে দু'সপ্তাহ
টঙ্গী ব্রিজ বন্ধ: উত্তরের পথে যাত্রায় ভোগান্তি চরমে
সেতু বন্ধ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ জট
টঙ্গী ব্রিজের স্ল্যাবধস, ঝুঁকি নিয়েই যান চলাচল
পাটুরিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

বাংলাদেশ
Passenger bus ditches to avoid collision with easy bikes

ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে

ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে যাত্রীবাহী বাস খাদে ছবি: নিউজবাংলা
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী সজীব হোসেন বলেন, ‘ইজিবাইক পাশ দিতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ইজিবাইক নছিমন বন্ধ করা উচিত।’

মাদারীপুরে ইজিবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে সেটিকে পাশ দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস খাড়ে পড়ে যায়। এতে অল্পের জন্যে জীবন রক্ষা পেয়েছে বাসের অন্তত ৬৫ যাত্রীর। তবে এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর জেলার ঘটকচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে বাস ও আহতদের উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হাওলাদার পরিবহনের একটি বাস প্রায় ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘটকচর এলাকায় আসলে একটি ইজিবাইক রাস্তার মাঝে চলে আসে। দুর্ঘটনা এড়াতে ইজিবাইকটিকে পাশ দিতে বাসচালক দ্রুত মোড় নেয়ায় বাসটি রাস্তার পাশের খাদে চলে যায়। তবে খাদটি বেশি গভীর না হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছে বাসের যাত্রীরা। তবে আঘাত পেয়ে বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীদের হাত-পায়ে একাধিক স্থানে কেটে গেছে। এ ঘটনায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে মোস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় যাত্রীদের উদ্ধার করে।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী সজীব হোসেন বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজে সাতক্ষীরা যাচ্ছিলাম। ঘটকচর স্ট্যান্ডের কিছুটা দূরে আসার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ একটা ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে গেলাম। পরে দেখি বাসটি খাদে পড়ে গেছে। আমার নাকে কিছুটা আঘাত পেয়েছি। অন্য যাত্রীদেরও বেশ আঘাত লেগেছে।’

তিনি বলেন, ‘ইজিবাইক পাশ দিতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে ইজিবাইক নছিমন বন্ধ করা উচিত।’

এ ব্যাপারে মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মারুফ রহমান বলেন, ‘বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে অন্তত ৬৫ জন যাত্রী। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ইজিবাইকটি আটক করা যায়নি।’

আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A 48 hour transport strike has been called in Greater Chittagong from Sunday
চুয়েট শিক্ষার্থীদের গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদ

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু বলেন, ‘চার দফা দাবি আদায়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলায় এই ধর্মঘট পালিত হবে।’

বৃহত্তর চট্টগ্রামে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত ও অপর একজন আহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক ও হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু শনিবার বলেন, ‘কয়েক দিনে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে আমাদের তিনটি বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গাড়ি পোড়ানো ও সড়কে নৈরাজ্যের প্রতিবাদসহ চার দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল (রোববার) সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এবং কক্সবাজার জেলায় এই ধর্মঘট পালিত হবে।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে সোমবার বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিবাদে ওইদিন থেকেই ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাসে আগুন দেয়া হয়।

বুধবার ওই বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিন ঘণ্টা বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনের সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন। যদিও জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সে সঙ্গে দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mango pulp is falling in flames

দাবদাহে ঝরছে আমের গুটি

দাবদাহে ঝরছে আমের গুটি গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে নওগাঁয়। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মেহেদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়ার পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব, তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা আম চাষিদের মাঠ পর্যায়ে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আশড়ন্ড গ্রামের আম চাষি রবিউল ইসলাম ১০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আমের গুটি ঝড়ে পড়েছে। পানি ও ওষুধ স্প্রে করেও মিলছে না সুফল।

শুধু রবিউল নয়, নওগাঁর সব আম বাগানগুলোতে বর্তমানে একই অবস্থা।

আমের নতুন রাজধানী হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আম চাষিরা জানান, টানা দুই সপ্তাহ ধরে গরম ও তাপপ্রবাহে কারণে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না আমের গুটি। তাই চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

এমন অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন বাড়তি যত্ন নিলে গুটি পড়া রোধ অনেকটাই সম্ভব।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর নওগাঁয় ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, এবার আশানুরূপভাবে আমের দেখা নেই। আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে রোদের তীব্রতায়।

চাষিরা জানান, খরা দীর্ঘস্থায়ী হতে থাকলে গুটিও ঝরতে থাকবে।

বৈশাখের শুরু থেকে তাপদাহে পুড়ছে নওগাঁ। শনিবার বেলা ১১টায় নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ উঠে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানায় জেলার বদলগাছী স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

আম চাষি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘১২ বিঘা জমিতে আমের বাগান আছে আমার। এবার সব গাছে মুকুল কম এসেছিল। যেটুকু ছিল, তা নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকে তীব্র গরমে অধিকাংশ গাছের গুটি ঝরে গেছে। অনেক গাছ গুটিশূন্য হয়ে আছে। এতে উৎপাদন অনেক কম হবে বলে ধারণা করছি।’

পোরশা উপজেলার আম চাষি মোজাম্মেল ইসলাম বলেন, ‘এবার ৩০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গাছে গুটি কম থাকায় হতাশা ও দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। গত বছর প্রচুর আম হয়েছিল। সে তুলনায় এবার অনেক কম পাব। অধিকাংশ গুটি ঝরে গেছে। ফলনে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে মনে করছি।’

নিয়ামতপুর উপজেলার আম চাষি বিজন ঘোষ বলেন, ‘এবার ১৫ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছি। গুটি পড়া রোধে পানি, ওষুধ দেয়ার পরও তীব্র গরম আর রোদের কারণে আমগুলো ঝরে পড়ছে। গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না। আবার কালবৈশাখি ঝড় হলে আম নষ্ট হতে পারে মারাত্মকভাবে।’

সাপাহার উপজেলার স্থানীয় বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, ‘এ এলাকা এমনিতেই পানি সংকটাপন্ন এলাকা। এর মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ, কোনো বৃষ্টি নেই। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে যাবে।

‘যে সব বাগানগুলোতে সেচের ব্যবস্থা আছে সে সব বাগানগুলোতে সেচ দেয়া হচ্ছে। আর যে সব বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই, সে সব বাগানগুলো থেকে আম ঝরে যাচ্ছে।’

এমন অবস্থায় তিনি সরকারের কাছে বাগানগুলোতে যেন সেচের ব্যবস্থা করে দেয়া হয় তার দাবি জানান।

এ বিষয়ে নিয়ে কথা হলে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মেহেদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে, তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে।

‘আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়ার পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব, তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা আম চাষিদের মাঠ পর্যায়ে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ
দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত
আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে দাবদাহ
কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A mother and two children died due to a broken electric wire

ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেল মা দুই সন্তানের

ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেল মা দুই সন্তানের বরিশালের বাকেরগঞ্জে শনিবার পল্লী বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়ে থাকা তারে স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারানো নারী ও তার দুই শিশু সন্তান। ছবি: নিউজবাংলা
পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে পৃথক দুইটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বরিশালের বাকেরগঞ্জে শনিবার পল্লী বিদ্যুতের ছিঁড়ে পড়ে থাকা তারে স্পৃষ্ট হয়ে দুই শিশু সন্তানসহ এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

প্রাণ হারানো তিনজন হলো উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের ঢালমারা গ্রামের রিয়াজ মোল্লার স্ত্রী সনিয়া বেগম (২৫), তার ৯ বছর বয়সী ছেলে সালমান ও ১২ বছরের মেয়ে রেজবীনা।

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে মা ও তার দুই শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ‘বাগানের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পানির মধ্যে পড়ে রয়েছে। পাশে লেবু গাছ রয়েছে।

‘প্রথমে শিশু ছেলে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়। তাকে রক্ষা করতে মা ও বোন গিয়ে তারাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে।’

ইউএনও জানান, ঘটনাস্থলে তিনিসহ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম রয়েছেন। তারা ঘটনার তদন্ত করছেন। এ ঘটনায় দায়িত্বের অবহেলার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিয়ামতি ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা কামাল হাওলাদারের স্ত্রী মমতাজ বেগম জানান, বাড়ির পাশে বাগানের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ডোবায় পড়ে ছিল। দুই ভাই-বোন লেবু ছিঁড়ে খেলছিল। ওই সময় লেবু ডোবায় পড়ে যায়। ওই লেবু আনতে ছেলে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তখন মেয়ের চিৎকারে মা এসে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তখন মাকে ধরে মেয়েও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।

তার কীভাবে ছিঁড়ে পড়ে ছিল, তা কেউ জানাতে পারেনি জানিয়ে মমতাজ বেগম বলেন, ‘বিদ্যুতের লোকদের বলা হয়েছিল বাগানের ওপর দিয়ে যাওয়া তার যেকোনো সময় ছিঁড়ে পড়তে পারে, কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি।’

পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে পৃথক দুইটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের রোববারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন না পেলে বিষয়টি বলতে পারব না।’

আরও পড়ুন:
সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
এসির সুইচ অন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
ববি ছাত্রলীগের কমিটি শিগগিরই: ইনান
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছয়জনের মৃত্যু: পবিসের তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত
ঈদের আগে-পরে ১৯ দিনের ছুটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 killed in Mymensingh autorickshaw hit by bus

ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২ দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা। ছবি: নিউজবাংলা
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলার তারাকান্দা থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। ময়মনসিংহ সদরের আলালপুর এলাকা পর্যন্ত আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।’

ময়মনসিংহ সদরে বাসের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

উপজেলার আলালপুর এলাকা শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদরের আলালপুর এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জেলার তারাকান্দা থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। ময়মনসিংহ সদরের আলালপুর এলাকা পর্যন্ত আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান।’

তিনি জানান, এ সময় আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি মাঈন উদ্দিন।

আরও পড়ুন:
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত
মানিকগঞ্জে মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রী নিহত
কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত
ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chairman Tapan and member Ajith announced the award
ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা

চেয়ারম্যান তপন ও মেম্বার অজিতকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা

চেয়ারম্যান তপন ও মেম্বার অজিতকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা ফরিদপুরের ডিসির সম্মেলনকক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় মধুখালীর ঘটনা পরবর্তী বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ফরিদপুরের ডিসি কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও মেম্বার এখন পলাতক। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করেছে। বিমানবন্দর ও সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, যাতে তারা দেশত্যাগ করতে না পারে।’

ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বারের সম্পৃক্ততার তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় মধুখালীর ঘটনা পরবর্তী সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিসি কামরুল আহসান তালুকদার।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ওয়ার্ড মেম্বার অজিত কুমার সরকারকে ধরিয়ে দিতে পারলে বা তাদের ধরতে কোনো প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেন তিনি।

ডিসি বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও মেম্বার এখন পলাতক। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করেছে। বিমানবন্দর ও সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, যাতে তারা দেশত্যাগ করতে না পারে।

‘এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে যেকোনো প্রকার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে তাদের পুরস্কৃত করা হবে।’

গত ১৮ এপ্রিল রাতে ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহের জেরে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচ শ্রমিক।

পিটুনিতে হতাহতের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়। এরই মধ্যে তিন মামলায় পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আসামি বাসচাপায় নিহত
ছাত্রদল নেতা হত্যায় কুমিল্লায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
মাথায় গুলি করে ইউএনও’র দেহরক্ষীর ‘আত্মহত্যা’
কক্সবাজারে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, দুই ছেলে পলাতক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tourists arrived at the beach and were declared dead at the hospital

সমুদ্র সৈকতে এসে পর্যটক অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা

সমুদ্র সৈকতে এসে পর্যটক অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মীরা অসুস্থ পর্যটককে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ছবি: নিউজবাংলা
ওসমান গণি বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মীরা গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সৈকতের বালিয়াড়িতে ওই পর্যটক ঘোরাঘুরি করছিলেন। একপর্যায়ে ফোনে কথা বলার সময় তিনি বালিয়াড়িতে ঢলে পড়ে অবচেতন হন।’

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ঢলে পড়া এক পর্যটককে মৃত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানান সাগরে গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মো. ওসমান গণি।

প্রাণ হারানো মতিউর রহমানের (৪০) বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়।

ওসমান গণি বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মীরা গোসলরত পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে সৈকতের বালিয়াড়িতে ওই পর্যটক ঘোরাঘুরি করছিলেন। একপর্যায়ে ফোনে কথা বলার সময় তিনি বালিয়াড়িতে ঢলে পড়ে অবচেতন হন।’

তিনি জানান, লাইফ গার্ড কর্মীরা ঘটনাটি দেখে তাৎক্ষণিক ওই পর্যটককে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, ‘সকাল ৯টার পরপরই সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মীরা এক পর্যটককে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন, কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু ঘটে।’

আরএমও বলেন, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে নাকি অন্য কোনো কারণে ওই পর্যটক মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মতিউরের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান এ চিকিৎসক।

আরও পড়ুন:
উখিয়া সীমান্তে অনুপ্রবেশ চেষ্টাকারীর গ্রেনেডে আহত যুবকের মৃত্যু
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি, কক্সবাজারে ৭ হোটেল-রেস্তোরাঁকে জরিমানা
সুগন্ধা বিচকে ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ নামকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
চকরিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক বিতরণ সাবেক এমপি জাফরের
বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার সৈকতের দুই পয়েন্টের নাম

মন্তব্য

p
উপরে