× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Concerns over e commerce escrow system
google_news print-icon

ই-কমার্সে এসক্রো ব্যবস্থাতেও শঙ্কা

ই-কমার্সে-এসক্রো-ব্যবস্থাতেও-শঙ্কা
প্রতীকী ছবি
ই-কমার্সে পেমেন্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ক্রেতার অর্থের সুরক্ষা দিতে চালু হয়েছে গেটওয়ে পদ্ধতি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। একাধিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, গেটওয়েতে আটকে গেছে শত শত কোটি টাকা। অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনাসহ অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছে দু’একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তবে, গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ফস্টারের দাবি, অর্থ তছরুপ হয়নি, ব্যাংকে জমা আছে গ্রাহকের অর্থ।

ক্রেতার অর্থের সুরক্ষায় নতুন নিয়ম করেও কমছে না দুশ্চিন্তা। ই-কমার্স থেকে পণ্য কিনে অর্থ পরিশোধের টেকসই উপায় বের করা যায়নি। সরাসরি ই-কমার্সে অর্থ না দিয়ে, গেটওয়ে বা এসক্রো পদ্ধতি চালু করা হলেও তাতেও নিশ্চিত হয়নি সুরক্ষা। শৃংখলা আনতে কি করা প্রয়োজন তাও বের করতে পারছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

ই-কমার্সে পেমেন্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ক্রেতার অর্থের সুরক্ষা দিতে চালু হয়েছে গেটওয়ে পদ্ধতি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। একাধিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, গেটওয়েতে আটকে গেছে শত শত কোটি টাকা। অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনাসহ অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছে দু’একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তবে, গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ফস্টারের দাবি, অর্থ তছরুপ হয়নি, ব্যাংকে জমা আছে গ্রাহকের অর্থ।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘এসক্রো পদ্ধতিই এখন পর্যন্ত শক্তিশালী পেমেন্ট করার উপায়। তবে এই পদ্ধতিতে কিছু স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা দরকার। তিনি বলেন, অটোমেশন না করা গেলে ধীর গতির কারণে পণ্য পৌঁছানো যাবে না।

গেটওয়ে পদ্ধতি কী?

নতুন নিয়মে, গ্রাহক পণ্যের জন্য অর্থ পরিশোধ করলে প্রথমে পাবে পেমেন্ট গেটওয়ে বা পিএসও। গ্রাহক পণ্য পেয়ে নিশ্চিত করার পর সার্ভিস চার্জ কেটে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেই অর্থ পরিশোধ করবে গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান। তারপর সেই টাকা পেয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উৎপাদনকে অর্থ পরিশোধ করবে। কিন্তু অর্থ পরিশোধ করা নিয়ে উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বলছে, গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান অর্থ ছাড় করছে না। আর গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের দাবি, দ্রুত সময়ে অর্থ ছাড় করা কঠিন।

কিউকমের অভিযোগ

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম বরাবরই অভিযোগ করছে, গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ফস্টার পেমেন্ট-এর কাছে আটকে আছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। যে টাকাগুলো গ্রাহক পণ্য কেনার জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে। কিন্তু ফস্টার পণ্য ছাড়ে সংকেত না দেয়ায় আটকে গেছে ডেলিভারি। ক্ষুব্ধ হচ্ছে গ্রাহক।

কিউকম-এর ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ তানভীর চৌধুরী জানান, কিউকমের হাতে কিছুই নেই। ফস্টার সব অর্থ আটকে রেখেছে। তারা ছাড় করলেই পণ্য পাবে গ্রাহক।

অর্থ আছে বলছে ফস্টার

গ্রাহকের একটি অর্থও তছরুপ হয়নি বলে দাবি করেছে ফস্টার পেমেন্ট। প্রতিষ্ঠানের হেড অব পিআর মুনতাসির আহমেদ বলেন, ‘ফস্টার পেমেন্টের মাধ্যমে লেনদেনের একটি টাকাও দেশের বাইরে যায়নি। সব টাকা বিভিন্ন ব্যাংকের চলতি হিসাবে রক্ষিত আছে’।

পেমেন্ট সিস্টেমে গলদ আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘এসক্রো পদ্ধতি গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার একটা ভালো উপায়। পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবস্থায় ব্যাংকে টাকা রক্ষিত আছে। ভ্যারিফিকেশনের মাধ্যমে টাকা ছাড় করা হচ্ছে। টাকা অন্য কোনো দেশে যায়নি। দেশের ব্যাংকেই আছে। গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা করে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রেগুলেটর অথরিটির নির্দেশনায় টাকা বিতরণ করা হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতির কারণে সময় লাগছে। এ সময়টা আমাদের দিতে হবে।’

ই-কমার্সে এসক্রো ব্যবস্থাতেও শঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, ‘ফস্টার পেমেন্টের সব কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস করছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে আমরা কাজ করছি। নির্দশনা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট ব্যাংক ও মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে টাকা দেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের চুক্তি করা আছে। চুক্তি অনুযায়ী টাকা গ্রাহক পেয়ে যাবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতির কারণে দেরি হচ্ছে।’

অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা

অভিযোগ উঠেছে ফস্টার পেমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়নি। অভিযোগের সত্যতাও স্বীকার করেছে এই প্রতিষ্ঠান।

ফস্টার পেমেন্ট-এর হেড অব পিআর মুনতাসির আহমেদ বলেন, ‘২০১৬ সালে লাইসেন্স অনুমোদেনের জন্য আবেদন করা হয়। এটা চলমান প্রক্রিয়া। আশা করছি শিগগির লাইসেন্স পাওয়া যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এনওসির (নো অবজেকশন লেটার) মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’

ফস্টারের সন্দেহজনক লেনদেন

ফস্টার পেমেন্ট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলেও এখনও তা বিবেচনায় নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই লাইসেন্স দেয়া হয়নি। বিভিন্ন পর্যায়ে অনুসন্ধান শেষে সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ উঠায়, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অনুরোধে গেল ৯ সেপ্টেম্বর ফস্টারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। শুধু ফস্টারই নয়, অন্য আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ।

গেটওয়ে ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা

ই-পেমেন্ট গেটওয়ে বা ই-ওয়ালেট সেবা দিতে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস রেগুলেশনস-২০১৪-এর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। এখন পর্যন্ত ৯টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর বা ই-পেমেন্ট গেটওয়ে সেবার জন্য লাইসেন্স পেয়েছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। আর চারটি প্রতিষ্ঠানকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার বা ই-ওয়ালেট সেবার জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পেয়েছে পোর্টোনিক্স লিমিটেড।

কে দেবে গ্রাহকের টাকা

প্রশ্ন হচ্ছে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেবে কে? কিউকম, আলিশামার্ট কিংবা ই-অরেঞ্জ। যারা এসব প্রতিষ্ঠানে অর্থ বিনিয়োগ করেছে তাদের টাকা কে ফেরত দেবে?

ই-কমার্সে এসক্রো ব্যবস্থাতেও শঙ্কা
ই-কমার্স। ফাইল ছবি

গ্রাহকরা অভিযোগ করছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বলে টাকা আছে গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের কাছে। আর গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান বলে ব্যাংকে আছে টাকা। তাহলে টাকা দেবে কে?

বাংলাদেশ ই-কমার্স কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশন ও কিউকম কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বলেন, গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এসক্রো সিস্টেম চালু করা হলেও এটিই এখন গ্রাহক ভোগান্তির মূল কারণ।

সরকারের তরফ থেকে গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা জমা অর্থ ফিরিয়ে দেবার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। অথবা আদৌ টাকা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন:
ইভ্যালি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করবে হাইকোর্ট
টোয়েন্টিফোর টিকেটি ডটকমের আরেক পরিচালক গ্রেপ্তার
আরও চার ই-কমার্সকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
তিনজনের অর্ডার ২৩ বাইক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
India will export one lakh tons of onions to 6 countries including Bangladesh

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে এক লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে এক লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কায় এসব পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। দুই হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।

বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। অন্য দেশগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। এ ছাড়া দুই হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।

দেশটির ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয় শনিবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি ও আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে নিম্ন খরিপ ও রবি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদনকারীরাই পেঁয়াজ সরবরাহ করবেন এবং এর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আসবে বৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে।

ভারত সরকারের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে নিম্ন খরিপ ও রবি মৌসুমে দেশের ভেতরে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এসব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেড (এনসিইএল)।

সর্বনিম্ন দর (এল১) মূল্যে ই-প্লাটফর্মের মাধ্যমে তারা অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে। তারপর শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে রেট নির্ধারণ করে গন্তব্য দেশগুলোতে এজেন্সি বা সরকার মনোনীত এজেন্সিকে সরবরাহ দিয়ে থাকে।

যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে এনসিইএল।

বর্তমানে যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র। তারাই এনসিইএল-কে রপ্তানির জন্য সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ সরবরাহ দিয়ে থাকে।

এ ছাড়া দুই হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। এসব পেঁয়াজ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কিছু দেশে রপ্তানি করা হয়। সাধারণ পেঁয়াজের চেয়ে এই পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশি। কারণ এর বীজের দাম অনেক বেশি হয়। প্রয়োজন হয় উন্নত কৃষি রক্ষণাবেক্ষণের। দামেও এর প্রভাব থাকে।

ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত ১ মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে দেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ১২০ টাকা। গত বছর একই সময়ে তা ছিল ৩৫ টাকা।

অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে ৮ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার সময়কাল ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।‌এর মধ্যে ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিবেশী দেশটি।

আরও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে খালাস হচ্ছে ভারতীয় ১৬৫০ টন পেঁয়াজ
ভারত থেকে দর্শনায় পৌঁছেছে পেঁয়াজের প্রথম চালান
ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি
তিন দিনের মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে: প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
For the fourth time in five days the price of lotus gold rose by Rs 112931

পাঁচ দিনে চতুর্থবারের মতো কমল স্বর্ণের দাম, ভরি ১১২৯৩১ টাকা

পাঁচ দিনে চতুর্থবারের মতো কমল স্বর্ণের দাম, ভরি ১১২৯৩১ টাকা
বাজুস এর আগে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা এবং ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা কমানো হয় প্রতি ভরিতে।

দেশের বাজারে পাঁচ দিনে চতুর্থবারের মতো কমল স্বর্ণের দাম। শনিবার ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। সে হিসাবে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি দাঁড়াচ্ছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা।

জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) শ‌নিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বাজুস এর আগে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল দুই হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা কমানো হয় প্রতি ভরিতে।

এর আগে টানা তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল এক হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল এক হাজার ৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম শনিবার বিকেল ৪টা ৫০ মি‌নিট থেকেই কার্যকর হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেট এক লাখ সাত হাজার ৭৯৯ টাকা ও ১৮ ক্যারেট ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের স্বর্ণের দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম বা‌ড়ি‌য়ে প্রতি ভরি ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম দুই হাজার ছয় টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম দুই হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম এক হাজার ২৮৩ টাকা।

আরও পড়ুন:
টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশে স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমে ভরি ১১৪১৫১ টাকা
কমানোর পর দিনই বাড়ল স্বর্ণের দাম
স্বর্ণের দাম এবার কমেছে, তবে নামমাত্র
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three arrested for destabilizing the capital market

পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে তিনজন গ্রেপ্তার

পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে তিনজন গ্রেপ্তার রাজধানীতে শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ছবি: নিউজবাংলা
ডিবির আইসিটি বিভাগের উপকমিশনার শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ডিএমপি ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সর্বদা কাজ করে চলেছে। এ বিষয়ে নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং এবং সাইবার পেট্রলিং পরিচালনা হচ্ছে। পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উসকানি দিয়ে কেউ যাতে স্বার্থ হাসিল করতে না পারে, সে বিষয়ে অভিযান চলছে।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পুঁজিবাজার, পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বিভিন্ন শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজি ও গুজব রটিয়ে মার্কেটকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

রাজধানীতে শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আমির হোসাইন ওরফে নুরনুরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২) ও আবদুল কাইয়ুম (৩৯)।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার একটি স্পর্শকাতর জায়গা; দেশের অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করে থাকেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, কমিশনের চেয়্যারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা, ভুয়া এবং প্রতারণামূলক তথ্য সরবরাহ করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে আসছে। ‘সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে আসছে। এ বিষয়ে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় উক্ত মামলায় তদন্ত করে মামলা সংশ্লিষ্ট তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।’

হারুন বলেন, ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন রমনা মডেল থানায় মামলা করার পর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ এই চক্রটির সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করতে থাকে। গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রুপগুলোতে আসামিরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, কমিশনের চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ও পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার নামে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য প্রদান করে বিভিন্ন প্রকার প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন (মূল্য সংবেদনশীল তথ্য) আগেভাগে প্রকাশ করে দেয়, যা বেশির ভাগ সময় বানোয়াট ও মিথ্যা, যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে রাস্তা দখল করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে।

‘তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ওইসব কোম্পানি সম্পর্কে অনলাইনে অপপ্রচার শুরু করে। এমনকি কোম্পানির অফিসগুলোতেও হামলা করে।’

ডিবির আইসিটি বিভাগের উপকমিশনার শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ডিএমপি ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সর্বদা কাজ করে চলেছে। এ বিষয়ে নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং এবং সাইবার পেট্রলিং পরিচালনা হচ্ছে। পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উসকানি দিয়ে কেউ যাতে স্বার্থ হাসিল করতে না পারে, সে বিষয়ে অভিযান চলছে।

ডিএমপি ডিবিপ্রধান বলেন, ‘পুঁজিবাজার ও দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য দেশের চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি জড়িত, যারা এই চক্রের বিভিন্ন গ্রুপে সক্রিয়।

‘চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন কৌশলে চাঁদাবাজি করে আসছে। এদের সঙ্গে যুক্ত আট থেকে ১০টি গ্রুপ শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে গুটিকয়েক ট্রেডারের কারসাজি
শেয়ারের দাম দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমবে না
ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে সূচক ১৫ মাসে সর্বোচ্চ
পুঁজিবাজারে সুবাতাস, ‘ফ্লোর প্রাইস’মুক্ত আরও ২৩ কোম্পানি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Farooq Ahmed is the Chairperson of RDRS Board of Trustees

আরডিআরএস ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন হলেন ফারুক আহমেদ

আরডিআরএস ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন হলেন ফারুক আহমেদ ফারুক আহমেদ
ফারুক আহমেদ ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে আরডিআরএস-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন চেয়ারপারসন নির্বাচিত হলেন ফারুক আহমেদ।

ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৬তম সভায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফারুক আহমেদ ২৭ এপ্রিল থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ফারুক আহমেদের উন্নয়ন খাতে রয়েছে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা।

তিনি এক সময় ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন এবং ঢাকায় বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেনেভাভিত্তিক গ্যাভি, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (এঅঠও)-এর বোর্ড সদস্য ছিলেন, এছাড়া তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ফারুক আহমেদ সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) এন্টারপ্রাইজের পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ওয়ার্কিং গ্রুপেরও একজন সদস্য।

ফারুক আহমেদ ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে আরডিআরএস-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

আরডিআরএস বিশ্বাস করে, ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে সংস্থাটি দেশজুড়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখতে এবং এ সম্পর্কিত কার্যক্রমকে বেগবান করতে সক্ষম হবে। প্রেস রিলিজ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gold prices fell for the third consecutive day

টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম

টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম
বৃহস্পতিবার ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।

দেশের বাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকে স্বর্ণের নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হবে।

বাজুস এর আগে চলতি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর ম‌ধ্যে ভালো মানের স্বর্ণের ভরিতে ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। মাঝে ২০ এপ্রিল ভরিতে ৮৪০ টাকা দাম কমানোর পরদিন ২১ এপ্রিল আবার ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এবার শুরু হয় দাম কমানোর পালা। সবশেষ দাম বাড়ানোর দু’দিন পর ২৩ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে তিন হাজার ১৩৮ টাকা ও ২৪ এপ্রিল দু’হাজার ৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। আর বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ টানা তিন দিনে স্বর্ণের দাম ভ‌রি‌তে ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।

সোনার দামে এমন উত্থান-পতনের কারণ জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন নতুন পদ্ধতি বা পলিসি অনুসরণ করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করি। সেটি হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল পলিসি।

‘এতদিন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করতাম। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে যখন স্বর্ণের দাম কমত তখন আমরা কমাতাম। আর যখন বাড়ত তখন বাড়াতাম।’

তিরি আরও বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের স্বর্ণের সবচেয়ে বড় বাজার তাঁতীবাজারের বুলিয়ান মার্কেট ফলো করে দর নির্ধারণ করি। এই বাজারে স্বর্ণের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় উঠা-নামা করে। সেটা অনুসরণ করে আমরা নতুন দর নির্ধারণ করে থাকি। সেক্ষেত্রে দিনে দু’বারও গোল্ডের দাম বাড়ানো-কমানো হতে পারে।’

আরও পড়ুন:
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ আটক ২
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Islami Bank declared 10 percent cash dividend

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের একাংশ। ছবি: নিউজবাংলা
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে।

ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৬ মে।

সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সঙ্গে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

আরও পড়ুন:
১২ বছরে পদার্পণসহ তিন উপলক্ষ বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন এনআরবিসি ব্যাংকের 
বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম
কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা লুটের অভিযোগ
রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুট: গ্রেপ্তার আরও চার আসামি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The manipulation of a few traders behind the instability in the capital market

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে গুটিকয়েক ট্রেডারের কারসাজি

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে গুটিকয়েক ট্রেডারের কারসাজি ফাইল ছবি
শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিএসইর আদেশে জানানো হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সমগ্র বিশ্ব যখন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হয়, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

যদিও একটি শ্রেণি বাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে বরাবরই সক্রিয় ছিল। তবে দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে বিনিয়োগকারীদের অর্থের সুরক্ষা দিতে বারবার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেননি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে পুঁজিবাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এ পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে বাজারকে স্থিতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে গতকাল ফ্লোর প্রাইসমুক্ত সব শেয়ারে একদিনের দর কমার নিম্নসীমা (সার্কিট ব্রেকার) ৩ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সময়োপযোগী এমন পদক্ষেপ বাজারকে আবারও টেনে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সন্দেহভাজন বেশকিছু লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে বাজারে। এতে বিশেষ একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বাজারকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করছে। কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও এতে জড়িত রয়েছে। বাজারে অবাঞ্ছিত বিক্রির আদেশ দিয়ে তারা অস্থিরতা তৈরি করছে। তাছাড়া বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে বাজারে একটা শ্রেণি স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে বাজার কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।

এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু ট্রেডার নিজেদের মধ্যে যোগশাজসের মাধ্যমে প্রথমে কম দরে শেয়ার বিক্রি করত। পরে তাদের দেখাদেখি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যখন প্যানিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করত তখন তারা আবার কম দরে শেয়ারগুলো কিনে নিত। এভাবে তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার লেনদেন করে প্যানিক সৃষ্টির মাধ্যমে ভালো শেয়ারগুলোর দাম কমাত। এই কাজে তাদের বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও সহযোগিতা করত।’

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ারের দর কমার কথা নয়। গুটি কয়েক অসাধু ট্রেডারের কারসাজিতে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে বড় বড় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, ‘এক শ্রেণির অসাধু বিনিয়োগকারী চাচ্ছেন বর্তমান কমিশন বিদায় হয়ে নতুন কেউ দায়িত্বে আসুক, যাতে তারা নতুন করে আরও সুযোগ নিতে পারেন। তারাই বিভিন্ন দুর্বল শেয়ারে কারসাজি করে সুবিধা নিচ্ছেন।

‘ফোর্সড সেলের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার তারা কম দরে কিনে নিচ্ছেন। কমিশনের উচিত হবে কারসাজিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, যাতে তারা বারবার বাজারকে ম্যানিপুলেট করার সাহস না পায়।’

এদিকে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।

ওই আদেশে বলা হয়, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। বর্তমানে দরভেদে কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।

দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের এ সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকর করতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আজকের এই সার্কিট ব্রেকার আরোপ বাজারে কারসাজি রোধ করবে। এটি সন্দেহভাজন লেনদেন বন্ধ করবে। আর এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো শেয়ার বর্তমানে আন্ডারভ্যালুতে আছে। এখানে তারা বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

সার্কিট ব্রেকার বাজারের দরপতন ফেরাতে ব্যর্থ হলে আবারও ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশা করছি, আমাদের বাজারে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস দিতে হবে না। শিগগিরই বাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরবে।’

আরও পড়ুন:
শেয়ারের দাম দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমবে না
ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার

মন্তব্য

p
উপরে