× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The OTC return company has no control over the SME board
google_news print-icon

ওটিসি-ফেরত কোম্পানির দাপট নেই এসএমই বোর্ডে

ওটিসি-ফেরত-কোম্পানির-দাপট-নেই-এসএমই-বোর্ডে
মূল মার্কেটে ওটিসি-ফেরত দুটি কোম্পানির শেয়ার দর ১৫ গুণের বেশি বাড়লেও এসএমই বোর্ডে টানা দর বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। যে চারটি কোম্পানি ওটিসি থেকে ফিরেছে, তার মধ্যে দুটির শেয়ার যে দর নিয়ে ফিরেছে, এখন দাম তার চেয়ে কম। বাকি দুটির দাম বেড়েছে কিছুটা। নতুন তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানির শেয়ার দরেও উল্লম্ফন হয়নি, যা মূল মার্কেটের এক সাধারণ প্রবণতা। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, এসএমই বোর্ডের প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ শিক্ষা বেশি থাকায় তারা গুজবে ছোটেন না। কোম্পানির মৌলভিত্তির বিবেচনায় শেয়ার কেনেন। তাই এমনটা ঘটছে।

ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরার পর চারটি কোম্পানির শেয়ার দর ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীদের এসএমই বোর্ডে সেটা হচ্ছে না।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হওয়া এসএমই বোর্ডে কোম্পানির সংখ্যা মোট ছয়টি। এর মধ্যে ওটিসি থেকে ফেরা কোম্পানি চারটি। বাকি দুটি নতুন তালিকাভুক্ত।

এই ছয়টি কোম্পানির মধ্যে প্রথম দিন একটির লেনদেন হয়নি। বাকি পাঁচটির সবগুলোর দর ১৮ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ে।

সেদিন যে কোম্পানির লেনদেন হয়নি, সেটির দামও পরে ২০ শতাংশ বাড়ে।

তবে পরে দুটি কোম্পানির শেয়ার দর অনেকটাই কমে যায়। একটি দর ধরে রাখে আর একটির দর সেদিনের তুলনায় বাড়ে।

ঠিক বিপরীত চিত্র দেখা যায় মূল মার্কেটে। গত ১৩ জুন ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফেরা চার কোম্পানির দর বাড়ে ১০ শতাংশ করে। এরপর টানা বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে দুটির দর ১৫ গুণের বেশি, একটির দর প্রায় চার গুণ, একটির দর পাঁচ গুণের মতো হয়ে যায়।

পরে এই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির তদন্ত শুরু হওয়ার পর সেখান থেকে ব্যাপক দরপতন ঘটে। এতে বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।

এর আগেও দুটি কোম্পানি ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরার পর একই ধরনের ঘটনা ঘটে। বাধাহীন গতিতে শেয়ার দর বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বী হয়ে যায়। পরে পড়তে পড়তে ক্ষতির মুখে পড়েন শেয়ারধারীরা।

মূল মার্কেটে এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দর বাড়ার সুযোগ থাকলেও এসএমই বোর্ডে দর বৃদ্ধি বা হ্রাসের সার্কিট ব্রেকার ২০ শতাংশ। এ কারণে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে যাদের মনে ধারণা ছিল যে, সেখানে শেয়ারের দর আরও বেশি গতিতে বাড়বে, সেটি ভুল প্রমাণ হয়ে গেছে এরই মধ্যে।

কেবল ওটিসি মার্কেট নয়, নতুন তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানির শেয়ার দরও বাড়েনি এসএমই বোর্ডে। অথচ মূল মার্কেটে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলেও শেয়ার দর দ্বিগুণ, তিন গুণ, চার গুণ এমনকি আট গুণ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে।

এসএমই বোর্ডে যারা শেয়ার কিনতে পারেন, তারা হয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ আছে, এমন বিনিয়োগকারী।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় বিনিয়োগারীদের সঙ্গে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিশ্লেষণ আর হিসাব-নিকাশের পার্থক্য এখানেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যাচাই-বাছাই ছাড়াই শেয়ার কিনে থাকেন। যেগুলোর দাম বাড়ছে, সেগুলোর শেয়ার বেশি কেনেন। আর তাদের এই প্রবণতার সুযোগ নিয়ে চতুর বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের দর কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দিতে পারেন। কিন্তু সেটি এসএমই বোর্ডে ঘটছে না।

যে দুটি কোম্পানি এসএমই বোর্ডে নতুন তালিকাভুক্ত হয়েছে, সেগুলোর একটির দর ছয় কর্মদিবসে বেড়েছে ৩০ শতাংশ, একটির ৩৫ শতাংশ।

অথচ মূল মার্কেটে দেখা গেছে, নতুন তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তিন থেকে সাত গুণ হতে সময় লাগেনি মোটেও। সম্প্রতি এক দিনে নতুন শেয়ারও সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে বলে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেও দ্বিগুণের বেশি হওয়ার আগ পর্যন্ত সাউথবাংলা ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়নি বললেই চলে।

আর সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর প্রায় প্রতিদিনই ১০ শতাংশ বাড়তে বাড়তে পরে লভ্যাংশ ঘোষণার পর মূল্যসীমা না থাকার দিন এক দিনে বেড়ে অভিহিত মূল্যের ৮ গুণ ছাড়িয়ে যায়।

এসএমই বোর্ড চালুর পর এখন পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে ছয় দিন। এর মধ্যে প্রথম দিন বাড়লেও পরে একটি কোম্পানির দর প্রথম দিনের তুলনায় ৪০ শতাংশ কমে যায়।

একটি যত টাকায় ওটিসি থেকে ফিরেছিল, সেখান থেকে ১০ শতাংশ কমে গেছে, যদিও প্রথম দিন বেড়ে গিয়েছিল ২০ শতাংশ।

কেবল একটি কোম্পানির শেয়ার দর ওটিসি থেকে ফেরার দিনের দামের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনে অংশগ্রহণ করছে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। তারা সব জেনে-বুঝে শেয়ার কেনাবেচা করে। ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে নিয়ে গেলেই দাম বাড়বে, কেবল শেয়ার সংখ্যা কম বলেই দাম বাড়বে- এমন হিসাব-নিকাশ তারা করে না।’

তিনি বলেন, ‘মূল মার্কেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে। তাদের একটি বড় অংশ গুজবে কান দেয়। মূল মার্কেটে আসার ফলে কোম্পানি ভালো হবে, এমন কথা ছড়ানো হয়। কিন্তু বাস্তবে এর কিছুই হয় না।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনিয়োগ শিক্ষার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ওটিসি মার্কেট থেকে ফিরলেই সেই কোম্পানির শেয়ার দর বাড়বে, সেটি ঠিক নয়। বরং কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল অনুযায়ী শেয়ার দর নির্ধারিত হবে, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই বোর্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার উচিত।’

ওটিসি-ফেরত কোম্পানির দাপট নেই এসএমই বোর্ডে

ওটিসি থেকে ফেরা এসএমই চার কোম্পানি

বেঙ্গল বিস্কুট

এই কোম্পানিটি ফেরার দিন সবচেয়ে বেশি দাম নিয়ে এসেছে। ওটিসিতে শেষ লেনদেন হয়েছিল ১৮০ টাকায়।

লেনদেনের প্রথম দিন দাম বেড়ে হয়ে যায় ২১৩ টাকা ৩০ পয়সা। পরে সর্বোচ্চ ২৫২ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ কর্মদিবসে সেখান থেকে দাম কমে দাঁড়ায় ১২০ টাকায়।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এই কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৭ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৭৯ লাখ ৩৮ হাজার। এর মধ্যে আবার ৩০ দশমিক ৬০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে, যা বিক্রি করা যাবে না। ফলে বাজারে লেনদেনযোগ্য শেয়ার সংখ্যা খুবই কম।

বাজারে লেনদেনযোগ্য শেয়ারের সংখ্যা ৫২ লাখ ৭০ হাজার ৮৩২টি।

ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ

একমাত্র এই কোম্পানিটির শেয়ার দর প্রথম দিনের দরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

এই কোম্পানিটি লেনদেন শুরু করে ১৬ টাকা ৬০ পয়সায়। প্রথম দিনে দিনের সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়ে হয় ১৯ টাকা ৯০ পয়সা। পরে আরও কয়েক দিন বেড়ে সর্বোচ্চ দর হয়েছে ৩৪ টাকা ২০ পয়সা।

তবে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ দশমিক ৪৮ শতাশ কমে ২৯ টাকা থেকে হয়েছে ২৭ টাকা ৭০ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। যা এই মুহূর্তে বিক্রিতে আছে বিধিনিষেধ। ফলে বাজারে বিক্রয়যোগ্য শেয়ারের সংখ্যা ৫৩ লাখের কিছু কম।

অ্যাপেক্স ওয়েভিং

বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটি এসএমই বোর্ডে আসে ১২ টাকা দর নিয়ে। প্রথম দিনই সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা। এই দরে সেদিন হাতবদল হয়েছিল ৫টি শেয়ার। পরে সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ২০ টাকা ৬০ পয়সা।

তবে গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার দর কমে হয়েছে ৯ টাকা। অর্থাৎ যে দর নিয়ে ওটিসি থেকে এসেছিল, এখন কমে গেছে তার চেয়ে বেশি।

হিমদ্রি

এই কোম্পানিটি এসেছে ৮ টাকা দর নিয়ে। প্রথম দিন লেনদেনই হয়নি। পরে এক দিন ২০ শতাংশ বেড়ে ৯ টাকা ৬০ পয়সা হয়।

কোম্পানিটির পরিশোধিত ‍মূলধনের পরিমাণ ৭৫ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার। তবে বাজারে বিক্রয়যোগ্য শেয়ারের পরিমাণ খুবই কম।

কারণ, মোট শেয়ারের ৯৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। সরকারের শেয়ার আছে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ আছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, অর্থাৎ ৬৭৫টি। এখানে হতে পারে, এই শেয়ারের মালিকরা কেউ বিক্রি করতে রাজি নন।

বিবিধ খাতের এই কোম্পানিটির রিজার্ভে জমা আছে ১৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ হাজার ৮০৫ টাকা।

নতুন তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির যে চিত্র

নতুন তালিকাভুক্ত হয়ে এসএমই বোর্ডে নাম লিখিয়েছে অরিজা অ্যাগ্রো ও মাস্টার ফিড।

এর মধ্যে অরিজার শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০। এর মধ্যে ৪৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩ কোটি ৪১ লাখ ৬৪ হাাজর ১৬টি শেয়ার সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে।

প্রথম দিন এই কোম্পানির শেয়ার দর অভিহিত মূল্যের ২০ শতাংশ বেড়ে হয় ১২ টাকা। পরে দাম বাড়তে বাড়তে সর্বোচ্চ দর দাঁড়ায় ২০ টাকা ৬০ পয়সা। তবে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকায়।

কোম্পানিটিও প্রাতিষ্ঠানিক বা যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ০২ পয়সা।

মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেকের শেয়ার দরও বেড়ে গিয়ে একইভাবে কমেছে। এটিও ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়ে প্রথম দিনই শেয়ার দর হয়ে যায় ১২ টাকা। এটিরও সর্বোচ্চ দর ছিল ২০ টাকা ৬০ পয়সা। আর বৃহস্পতিবারের দর ছিল ১৩ টাকা ২০ পয়সা।

কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৮ পয়সা।

এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০। এর মধ্যে ৪ কোটি ১০ লাখ ২ হাজার ৯৫টি আছে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে।

ওটিসি-ফেরত কোম্পানির দাপট নেই এসএমই বোর্ডে

মূল মার্কেটে ওটিসি ফেরা কোম্পানির উল্টো চিত্র

ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তর না করা, লোকসানসহ নানা অনিয়মের কারণে চার কোম্পানিকে মূল মার্কেট থেকে সরিয়ে ওটিসিতে পাঠানো হয়। সুশাসনের দিক থেকে উন্নতি ও মুনাফায় ফেরার কারণে গত ১৩ জুন সেখান থেকে মূল মার্কেটে আনা হয় কোম্পানিগুলোকে।

এই স্থানান্তরের পর থেকে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর।

তবে দর বৃদ্ধি নিয়ে তদন্তের ঘোষণা আর দুটি কোম্পানির আগের শতভাগের বেশি বোনাস শেয়ার যুক্ত হওয়ার পর শেয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার খবরে ক্রমেই কমছে।

মূল মার্কেটে ফেরার দিন তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ার দর ছিল ১৩ টাকা। এ সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২০২ টাকা। অর্থাৎ শুরুর দিনের তুলনায় দাম এখন প্রায় ১৫ গুণ।

বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। ফরে সর্বোচ্চ দরে যারা শেয়ার কিনেছেন, তাদের এখন শেয়ারপ্রতি লোকসান ৬৩ টাকা ৬০ পয়সা।

৩০ কোটি টাকার কিছু বেশি পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিতে শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৬৪ হাজার ৭৬৭। এর মধ্যে ৫৬ দশমিক ২২ শতাংশ ধারণ করে আছেন উদ্যোক্তা-পরিচালকরা। ফলে বাজারে লেনদেনযোগ্য শেয়ারের সংখ্যা ১ কোটি ৩১ লাখ ৬২ হাজার ৩৫৫টি।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেড়েছে পেপার প্রসেসিংয়ের। এই কোম্পানিটি মূল মার্কেটে ফিরেছে ১৬ টাকায়। গত ১০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ২৪৭ টাকা। অর্থাৎ দাম বাড়ে ১৫ গুণের বেশি।

বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৫৬ টাকা ৮০ পয়সা।

মূল মার্কেটে ফেরার সময় কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন দেখানো হয় ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার।

তবে মূল মার্কেটে ফেরার আগে ২০০ শতাংশ বোনাস যোগ করে ২০ সেপ্টেম্বর রোববার মূলধন দেখানো হয় ১০ কোটি ৪৫ লাখ। শেয়ার সংখ্যা বেড়ে হয় ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৬ হাজার।

এরপর থেকে টানা কমছে শেয়ার দর। বৃহস্পতিবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৫৬ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ দাম ৯০ টাকার বেশি কমেছে।

৫০ টাকা নিয়ে ফেরা মনোস্পুল পেপারের সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ২৪৯ টাকা ৮০ পয়সা। এখন লেনদেন হচ্ছে ১৬০ টাকা ৪০ পয়সা।

এই কোম্পানিটির ক্ষেত্রেও পরিশোধিত মূলধন হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পর দরপতন ঘটতে থাকে।

এই কোম্পানিটিও মূল মার্কেটে ফেরার আগে ঘোষণা করা লভ্যাংশ সমন্বয়ের কারণে এ ঘটনা ঘটে।

এই কোম্পানিটি মূল মার্কেটে ফেরার সময় পরিশোধিত মূলধন দেখানো হয় ৩ কোটি ৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০টি।

কিন্তু ২০ সেপ্টেম্বর মূলধন উল্লেখ করা হয় ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা দেখানো হয় ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৫টি।

কোম্পানি দুটির সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুটি কোম্পানিই ২০১৮ সালে ২০০ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে, তাদের অনুমোদন ছাড়া ওটিসির কোনো কোম্পানির বোনাসের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায় না। তাই মূল মার্কেটে ফেরার সময় ওই বোনাসের আলোকে শেয়ার সংখ্যা দেখানো যায়নি। সম্প্রতি বিএসইসি তাদের বোনাস অনুমোদন করায় এ তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে।

এই তিনটি কোম্পানির তুলনায় মুন্নু ফেব্রিক্সের শেয়ার সংখ্যা বেশি। আর এটির দামও বেড়েছে তুলনামূলক কম।

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৫ কোটি টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ফেরার দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১০ টাকা। প্রায় প্রতিদিন ১০ শতাংশ করে বাড়তে বাড়তে ৩০ জুন ৩৭ টাকা ২০ পয়সা হয়ে যায়। কিন্তু পরে কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৬০ পয়সায়।

আরও পড়ুন:
এসএমই বোর্ড: শেয়ারদরে লাফ, লেনদেন খুবই কম
ওটিসি থেকে ফিরেই ধামাকা, পরে হতাশা
ওটিসি থেকে ফিরেই নাগালের বাইরে চার কোম্পানি
সোনালী পেপার: ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফিরেই চমক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

p
উপরে