× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The index is steadily declining in a rising and falling cycle
google_news print-icon

উত্থান পতনের বৃত্তে সূচক স্থিতিশীল, কমছে শেয়ারদর

উত্থান-পতনের-বৃত্তে-সূচক-স্থিতিশীল-কমছে-শেয়ারদর
দুই সপ্তাহ ধরে পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে শেয়ারদরের হিসাব মিলাতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। সূচক বাড়লে পোর্টফোলিওতে যত টাকা যোগ হচ্ছে, কমলে তার চেয়ে অনেক বেশি হারিয়ে যাচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
১২ সেপ্টেম্বর সূচক কমে ৫৬ পয়েন্ট, পরের দিন বাড়ে ১৬ পয়েন্ট। ১৪ সেপ্টেম্বর আবার কমে ৭৮ পয়েন্ট। পরের দুই দিন বাড়ে ৮৮ পয়েন্ট। চলতি সপ্তাহেও এভাবে সূচক উঠানামা করছে। রোববার সূচক কমে ৩৭ পয়েন্ট, পরের দুই দিন বাড়ে যথাক্রমে ১৪ ও ৫২ পয়েন্ট। কিন্তু চতুর্থ কর্মদিবসে আবার পতন দেখল পুঁজিবাজার।

লেনদেনের শুরুতেই উত্থান, কিন্তু দিন শেষে পতন। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এমন প্রবণতা আরও একদিন দেখা গেল দেশের পুঁজিবাজারে।

এই বিষয়টির পাশাপাশি আরও একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সেটি হলো সূচক এক বা দুই দিন বাড়ছে, পরে এক দিন কমছে। এক বা দুই দিন কমছে, পরে এক বা দুই দিন বাড়ছে।

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন সূচক পতনের পর দুই দিন উত্থান শেষে চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার আবার পতন হলো। আবার এই পতনে গত সপ্তাহের একটি স্মৃতিকে ফিরিয়ে এনেছে। পুঁজিবাজারের সূচক ১০ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ২৫৮ পয়েন্ট উঠার পর ১২ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে এক ঘণ্টায় বাড়ে আরও ৭৮ পয়েন্ট। কিন্তু দিনের বাকি সময়ে সেখান থেকে ১২৪ পয়েন্ট পতন হয়।

তার পরের দিন ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে পতন হয় ১২১ পয়েন্ট।

একইভাবে বুধবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যে সূচক বেড়ে যায় ৪৭ পয়েন্ট। কিন্তু পরে সেখান থেকে পড়তে পড়তে দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় কমে যায় ১৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ সূচকে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থানের চেয়ে সর্বনিম্ন অবস্থানের মধ্যে পার্থক্য ৬৩ পয়েন্ট।

পতনের মধ্যে স্বস্তি একটিই, দুই কর্মদিবস পর লেনদেন আবার দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে উঠল। সোমবার ৩০ কর্মদিবস পর সর্বনিম্ন লেনদেন হয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। তার পরদিন লেনদেন কিছুটা বাড়লেও তা দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নামে।

গত ২৭ জুলাইয়ের পর পর পর দুই কর্মদিবসে দুই হাজার কোটি টাকার নিচে শেয়ার হাতবদল হয় এই প্রথম।

অবস্থান ধরে রাখছে সূচক, কমছে শেয়ারমূল্য

সূচকের এই উঠানামা শুরুর হওয়ার দিন থেকে বুধবারের অবস্থান খুব একটা নিচে নয়। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা খুব একট স্বস্তিতে, এমন নয়। বরং বেশিরভাগ শেয়ারের দর পতনে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।

এই সময়ে বড় মূলধনি বেশ কিছু কোম্পানির উত্থানে সূচকে পয়েন্ট যোগ হলেও স্বল্প মূলধনি আর জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। আর গত কয়েক মাসে এসব শেয়ারে বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করেছে বেশ।

এই সময়ের মধ্যে ৯ কর্মদিবসে সূচকের একদিন পতন হলে দুই দিন উত্থান হয়েছে। আবার দুই দিন পতন হলে উত্থান হয়েছে একদিন। এভাবে সূচক অবস্থান ধরে রাখলেও সংশোধনের বৃত্তে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার।

৯ সেপ্টেম্বরের পর দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ১২ সেপ্টেম্বর সূচক কমে ৫৬ পয়েন্ট, পরের দিন বাড়ে ১৬ পয়েন্ট। ১৪ সেপ্টেম্বর আবার কমে ৭৮ পয়েন্ট। পরের দুই দিন বাড়ে ৮৮ পয়েন্ট।

উত্থান পতনের বৃত্তে সূচক স্থিতিশীল, কমছে শেয়ারদর
গত ১১ কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক উঠানামার চিত্র

চলতি সপ্তাহেও এভাবে সূচক উঠানামা করছে। রোববার সূচক কমে ৩৭ পয়েন্ট, পরের দুই দিন বাড়ে যথাক্রমে ১৪ ও ৫২ পয়েন্ট। কিন্তু চতুর্থ কর্মদিবসে আবার পতন দেখল পুঁজিবাজার।

১৬ পয়েন্ট সূচক হারানোর দিন ১২৫টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমে গেছে ২০৯টির দর, অপরিবর্তিত ছিল ৪২টির।

ওয়ালটন, ডেল্টালাইফ, ওরিয়ন ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, জিপিএইচ ইস্পাত, একটিভ ফাইন, ন্যাশনাল লাইফ, প্রাইম ব্যাংক, আরএকে সিরামিকস ও ম্যারিকোর শেয়ার দর বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট।

এই ১০টি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ২৯ দশমিক ১৯ পয়েন্ট।

উত্থান পতনের বৃত্তে সূচক স্থিতিশীল, কমছে শেয়ারদরউত্থান পতনের বৃত্তে সূচক স্থিতিশীল, কমছে শেয়ারদর

বুধবার সূচক উত্থান ও পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ২০টি কোম্পানি

অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সূচক হারিয়েছে যে ১০টি কোম্পানির কারণে, সেগুলো হলো রবি, বেক্সিমকো লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, লাফার্জ হোলসিম, ইউনাইটেড পাওয়ার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিকন ফার্মা, সামিট পাওয়ার, গ্রামীণ ফোন ও বেক্সিমকো ফার্মার কারণে।

এই ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় সূচক হারিয়েছে ২৭ দশমিক ০২ পয়েন্ট।

দুই খাতে এক তৃতীয়াংশ লেনদেন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে যে পরিমাণ লেনদেন হয়েছে তার এক তৃতীয়াংশই হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন এবং বস্ত্র খাতে।

এর মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতে হাতবদল হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৬৪ কোটি ১০ লাখ টাকার আর বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬১ কোটি ১৩ লাখ টাকার।

অর্থাৎ এই দুই খাতেই লেনদেন হয়েছে ৭২৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেন ২ হাজার ১৫০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ৩৩.৭২ শতাংশ।

আগের দিন এই দুই খাতে লেনদেন হয়েছিল যথাক্রমে ২০৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং ২৭৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

লেনদেন ব্যাপকহারে বাড়লেও শেয়ারের দাম খুব বেশি বেড়েছে এমন নয়। বস্ত্র খাতে ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩০টির, কমেছে ২২টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৬টির দর।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে প্যাসিফিক ডেনিমের, ৮.৩৭ শতাংশ। শেয়ার দর ১৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮ টাকা ১০ পয়সা।

তসরিফার দর বেড়েছে ৭.৯১ শতাংশ বেড়ে ২০ টাকা ২০ পয়সা থেকে হয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা।

কাট্টালি টেক্সটাইলের দর ৬.৬৬ শতাংশ বেড়ে ২৮ টাকা ৫০ হয়েছে ৩০ টাকা ৪০ পয়সা।

উত্থান পতনের বৃত্তে সূচক স্থিতিশীল, কমছে শেয়ারদর
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এই পাঁচটি খাতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে

দর পতনের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল দেশ গার্মেন্টস, যার দর কমেছে ৬.৩০ শতাংশ। তারপরই আছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, যার প্রতি দর কমেছে ৪.১৮ শতাংশ।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ১১টির, একটির লেনদেন স্থগিত আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি একটির দর।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যাকটিভ ফাইন ক্যামিকেলের ৮.৪৬ শতাংশ। শেয়ার দর ২৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬ টাকা ৯০ পয়সা।

ওরিয়ান ফার্মার দর ৭০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৭.৪০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৫ টাকা ৪০ পয়সা।

ইমামবাটনের দর ৫.২৮ শতাংশ বেড়ে ৩৪ টাকা থেকে হয়েছে ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা।

করোনার বছরে আগের বছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি আয় করে ৯ শতাংশ বেশি লভ্যাংশ দেয়া ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের দর কমেছে ৫.৩০ শতাংশ।

কোম্পানিটি শেয়ারধারীদেরকে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছর লভ্যাংশ ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা।

এই খাতে বিকন ফার্মার দর ১.২৯ শতাংশ. জেএমআই সিরিঞ্জের দর কমেছে দশমিক ৯৮ শতাংশ।

কেপিসিএল চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ার পর বিদ্যুৎ জ্বালানিতে পতন

মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া যে পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর ফাইলে প্রধানমন্ত্রী সই করেছেন, সেগুলোর সঙ্গে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভাগের বৈঠক হলেও বেশি কিছু বিষয়ে এখনও ঐক্যমত হয়নি।

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিদ্যুৎ না কিনলে আগের মতো কেন্দ্র বসিয়ে ভাড়া দেবে না। কিন্তু কেম্পানিগুলো সে ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ কেনার গ্যারান্টি চাইছে। আবার সরকার বিদ্যুতের দাম কমাতে চাইছে, কিন্তু কোম্পানিগুলো তাতে রাজি নয়। এ নিয়ে আবার বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল বিশেষ করে কেপিসিএলের বিনিয়োগকারীরা। চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে শেয়ারদর।

শেয়ার প্রতি দর এক টাকা হারিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে ৪৯ টাকা ১০ পয়সায়। বিদ্যুৎ খাতের তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ারেরও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির অপক্ষোয় আছে। এই কোম্পানিরও দর কমেছে ৬০ পয়সা।

মেয়াদ বাড়তে যাচ্ছে আরও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের, যেটি অরিয়ন ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানিটির দর অবশ্য বেড়েছে, তবে এটি বিদ্যুৎখাতে তালিকাভুক্ত নয।

চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ার পরদিন জ্বালানি খাতে আগ্রহ কমেছে। আগের দিন এই খাতে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সেটি কমে হয়েছে ১০৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫টি কোম্পানির, কমেছে ১৪টির আর অপরিবির্তত ছিল বাকি ৪টির দর।

তবে দর বৃদ্ধি আর পতনের হার খুব একটা বেশি ছিল না। এই খাতে সবচেয়ে বেশি পতন হওয়া কেপিসিএলের শেয়ারদর কমেছে ২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা শাহজিবাজার পাওয়ারের দর কমেছে ১.৫৫ শতাংশ।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বিডিওয়েলডিংয়ের দর। ২.৬৯ শতাংশ বেড়ে ২২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়েছে ২২ টাকা ৯০ পয়সা।

বিমায় হতাশা

দরপতনের পাশাপাশি লেনদেনও কমে গেছে এই খাতে। ৫১টি কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে কেবল আটটির, কমেছে ৪১টির আর দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

লেনদেনও কমে গেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। আগের দিন যেখানে ২৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল, সেখানে আজ হয়েছে ২৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ডেল্টা লাইফের। ১৫৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭১ কোটি টাকা।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফের দর ৩.৩৯ শতাংশ বেড়ে ৭০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে হয়েছে ৭৩ টাকা ৩০ পয়সা।

সবচেয়ে বেশি দর পতন হওয়ার তালিকায় আছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, যেটির পতন হয়েছে ৬.১৭ শতাংশ। রূপালী লাইফের দর ৫.০২ শতাংশ আর ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৪.৮৪ শতাংশ।

ব্যাংক আরও ঘুমে, আর্থিক খাতও ঝিমিয়ে

গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে খাতভিত্তিক সবচেয়ে ভালো লভ্যাংশ দেয়া ব্যাংক খাতের মন্দাভাব আরও বেড়েছে। শেয়ারদর কমার মধ্যে লেনদেন এবার নেমে এসেছে একশ কোটি টাকার নিচে।

এই খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে কেবল তিনটির দর। নয়টির দর ছিল অপরিবর্তিত, কমেছে বাকি ২০টির দর।

যে তিনটির দর বেড়েছে, সেগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার যোগ হয়েছে ১.৩৩ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংকে যোগ হয়েছে ০.৫৬ শতাংশ আর পূবালী ব্যাংকে ০.৩৯ শতাংশ।

উত্থান পতনের বৃত্তে সূচক স্থিতিশীল, কমছে শেয়ারদর
ব্যাংক খাতে লেনদেন বুধবার ১০০ কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে

দর হারিয়েছে যেগুলো, শতকরা হারে, সেগুলোরও খুব একটা পতন হয়নি।

সবচেয়ে বেশি ১.৮২ শতাংশ দর কমেছে রূপালী ব্যাংকের। ফার্স্ট সিকিউরিটজ ইসলামী ব্যাংকের দর ১.৬৪ শতাংশ ও ওয়ান ব্যাংকের দর কমেছে ১.৪৬ শতাংশ।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৯৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা, আগের দিন যা ছিল ১০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

আর্থিক খাতেও দিনটি ভালো যায়নি। আগের দিন লেনদেন যেখানে ছিল ১৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, সেটি কমে হয়েছে ১৬৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে বেড়েছে কেবল ৫টির দর, কমেছে ১৫টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ২টির।

অন্যান্য খাতের লেনদেন

প্রধান অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে বিবিধ খাতের ১৪টি লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১৭২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

এই খাতের প্রধান কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের দর কমার পর লেনদেনও কমে গেছে। শেয়ার প্রতি ২ টাকা ২০ পয়সা দর হারানোর পাশাপাশি লেনদেনও ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

কোম্পানিটির ৯৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় অনেক কম।

এই খাতে ১১টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ৩টির দর।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯টির, কমেছে ১১টির। লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৫০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

লেনদেন কমেছে তথ্য প্রযুক্তি খাতে। আগের দিন এই খাতের ১১টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছিল ৪৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সেটি কমে কিছুটা কমে হয়েছে ৪১ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

লেনদেন হওয়া ১১টি কোম্পানির মধ্যে সবকটির দাম কমেছে।

দারুণ লভ্যাংশের পর ঘুমে যাওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ২৪ কোটি টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ৩২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

দামও কিছুটা বেড়েছে। ১৮টি ফান্ডের দর বাড়ার বিপরীতে ১০ পয়সা করে কমেছে ২টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১৪টির দর।

সূচক ও লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৪১ পয়েন্টে।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৪ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৮২ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস ৩০ সূচক ১২ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৭৩ পয়েন্টে।

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৮২ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১৫৭ দশমিক ৬০ পয়েন্টে।

৩২০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ১৭১টির ও পাল্টায়নি ৩৪টির।

লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি টাকা, আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
সূচকের উত্থানেও উচ্ছ্বাসের ঘাটতিতে লেনদেনে ‘খরা’
সাত কারণে বিনিয়োগে আকর্ষণীয় বাংলাদেশ, জুরিখে রোড শো
বিভ্রান্তিতে লেনদেনে খরা, ৩০ কর্মদিবসে সর্বনিম্ন
রিংসাইনে চালু হচ্ছে আরও ইউনিট, ২৭ কোটি শেয়ার বাতিলের উদ্যোগ
এবার বহুজাতিক ও বড় মূলধনির পতনে কমল সূচক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
At the end of the holidays the capital market starts with the big ups

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the first hour of the capital market the rise in the index has risen to most companies

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে