× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Abnormal share price Rise again in the investigation
google_news print-icon

অস্বাভাবিক শেয়ার দর: তদন্তের মধ্যেই আরও বৃদ্ধি

অস্বাভাবিক-শেয়ার-দর-তদন্তের-মধ্যেই-আরও-বৃদ্ধি
গত ৯ আগস্ট তদন্তের নির্দেশ আসার পর এই ৫টি কোম্পানির শেয়ারদর আরও বেড়েছে।
পুঁজিবাজারে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে গত ৯ আগস্ট ৯টি কোম্পানির বিষয়ে তদন্ত করতে ডিএসইকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। ১৩ সেপ্টেম্বর আসে আরও চারটির বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ। এর মধ্যে একটির বিষয়ে আদেশ ছিল আগের নির্দেশেই।

পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হলেও সেসব কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে এমন নয়।

বরং গত আগস্ট ও পরে সেপ্টেম্বরে মোট ১২টি কোম্পানির দর বৃদ্ধি তদন্ত করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে বেশির ভাগ কোম্পনির শেয়ার দর আরও বেড়েছে। এর মধ্যে একটির দর আছে অপরিবর্তিত। আর চারটির দর সামান্য কমেছে।

এই তিনটি কোম্পানির শেয়ার দরই তদন্তের আদেশ দেয়ার আগে থেকেই সংশোধনের মধ্যে ছিল।

গত ৯ আগস্ট ৯টি এবং ১৩ সেপ্টেম্বর ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানিকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এর মধ্যে ১৩ সেপ্টেম্বর যে চারটি কোম্পানি নিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে, তার মধ্যে একটির নাম ছিল ৯ আগস্টের আদেশে। বিএসইসির সেই আদেশের পর দাম বেড়েছে আরও ৩০ শতাংশের বেশি।

দুবারই দেখা গেছে, আদেশ আসার পরপর বিনিয়োগকারীদের একাংশ আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু পরে আফসোস করেছেন।

অস্বাভাবিক শেয়ার দর: তদন্তের মধ্যেই আরও বৃদ্ধি
বিএসইসির আদেশে অস্বাভাবিকভাবে মোট ১২টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্ত করছে ডিএসই

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দর বৃদ্ধির তদন্তের খবরে স্বাভাবিকভাবে সেই কোম্পানির শেয়ার কিছুটা প্রভাব পড়ে সত্য। কিন্তু তদন্ত করলেই যে শেয়ার দর কমবে, সেটি সত্য নয়। বরং পুঁজিবাজারে শেয়ারের চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতেই শেয়ার দর নির্ধারিত হয়ে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘যে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ তদন্ত করতে বলা হয়েছে, সেগুলোর সবগুলোই দুর্বল ও স্বল্প মূলধনি। ফলে এসব কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগাকরীদের আগ্রহ পুঁজিবাজারের জন্য খবুই ঝুঁকিপূর্ণ। এসব শেয়ারে বিনিয়োগ না করাই উত্তম।’

ডিএসই যে তদন্ত করছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য এখনও প্রকাশ হয়নি। জানতে চাইলে ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তদন্তের জন্য ডিএসইর আলাদা বিভাগ আছে। তারই এটি দেখভাল করে থাকে। আরএনডি বিভাগ এ সম্পর্কে বলতে পারবে।’

তবে আরএনডি বিভাগ সাধারণত গণমাধ্যমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে না।

সেই কোম্পানির চিত্র

৯ আগস্ট যে ৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ আসে, তার মধ্যে ৫টির দাম আরও বেড়েছে। সামান্য কমেছে তিনটি দর। তবে এই আদেশ দেয়ার আগেই কোম্পানি তিনটির শেয়ার দর সংশোধনের মধ্যেই ছিল।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিং

এই কোম্পানিটির শেয়ার দরও গত এক বছরে বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এ সময়ে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দর ৪৬৪ টাকা ৫০ পয়সা। গত দুই বছরে সর্বনিম্ন দর ছিল ৫৭ টাকা ৮০ পয়সা।

তবে উত্থান শুরু হয় মূলত গত ১১ এপ্রিল থেকে। সেদিন শেয়ার দর ছিল ৯৫ টাকা ২০ পয়সা। এরপর থেকে তেজি ষাঁড়ের মতো ছুটতে ছুটতে ৯ আগস্ট ৩১৯ টাকা ৮০ পয়সায় উঠে যাওয়ার পর আসে তদন্তের আদেশ।

পরদিন শেয়ারপ্রতি দর ৯ টাকা ৩০ পয়সা কমে ৩১০ টাকা ৫০ পয়সা হয়ে যায়। কিন্তু এরপর আবার বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৫২ টাকা ২০ পয়সা।

পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং

ওটিসি থেকে ১৩ জুন মূল মার্কেটে আসার পর চারটি কোম্পানির শেয়ার দর যে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে, তার একটি এটি।

ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরার দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৬ টাকা। তদন্তের আদেশ আসার দিন দর ছিল ১৬৪ টাকা ৭০ পয়সা। আদেশ আসার খবরে পরদিনই দাম কমে হয়ে যায় ১৫৫ টাকা ৩০ পয়সা। কিন্তু পরে আবার বাড়তে থাকে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় তদন্তের আসার আদেশ আসার দিন শেয়ারপ্রতি দর ছিল ২১৮ টাকা। সেটি আরও বেড়ে এখন হয়েছে ২২৫ টাকা ৩০ পয়সা।

গত এক বছরে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ১৭ টাকা ৬০ পয়সা হলেও এই দরে শেয়ার বিক্রি হয়েছে খুবই কম। ওটিসি মার্কেট থেকে আসার পর গত ১৪ এপ্রিল ৩০ হাজারের কিছু বেশি শেয়ার বিক্রি হয়। সেদিন এর দাম ছিল ১১৫ টাকা ৮০ পয়সা।

পরের দিন ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৯৪টি শেয়ার বিক্রি হয়, সেদিনই মূলত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কেনার সুযোগ পেয়েছেন। সেদিন দর ছিল ১২৭ টাকা ৩০ পয়সা।

এমারেল্ড অয়েল

তদন্তের জন্য এই কোম্পানিটিকে বাছাই করা নিয়েই ছিল প্রশ্ন। স্পষ্টত কোম্পানিটির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছিল আর সেটি ছিল প্রকাশিতই।

বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারিতে ২০১৬ সালে কোম্পানি বন্ধ করে গিয়ে মালিকপক্ষ লাপাত্তা হয়ে গিয়েছিল। সেই কোম্পানিটিতে প্রাণ ফেরাতে বিএসইসির উদ্যোগে ব্যবস্থাপনায় এসেছে জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশির কোম্পানি মিনোরি বাংলাদেশ।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদন শুরু হওয়ারও কথা ছিল। তবে বেসিক ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে জটিলতা এবং আরও কিছু লাইসেন্সের কাজ শেষ না হওয়ায় সেই উৎপাদন শুরু করা যায়নি।

তবে ব্যাংকের সঙ্গে জটিলতার অবসান এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ, আগের পর্ষদের নেয়া ঋণের সুদ মওকুফে অনুরোধ করেছে বিএসইসি। আর ব্যাংকটি তা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে আবার উৎপাদন শুরু হতে পারে।

অস্বাভাবিক শেয়ার দর: তদন্তের মধ্যেই আরও বৃদ্ধি
ডিএসইর তদন্ত চলাকলে এই চারটি কোম্পানির শেয়ার দর সামান্য কমেছে

তদন্তের আদেশ আসার দিন এমারেল্ডের শেয়ার দর ছিল ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা। পরে তা কমে একপর্যায়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে। তবে পরে সেখান থেকে বেড়ে ৪৪ টাকাও উঠে যায় গত বৃহস্পতিবার। তবে শেষ পর্যন্ত সেদিন লেনদেন শেষ করেছে ৪২ টাকায়।

গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর সর্বোচ্চ দর ছিল ৪৪ টাকা।

জিবিবি পাওয়ার

গত এক বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে এটির শেয়ার দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এক বছরে সর্বনিম্ন দর ছিল ১২ টাকা ৮০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দর ৫১ টাকা ১০ পয়সা। গত ২ বছরে সর্বনিম্ন দর ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা।

৯ আগস্ট তদন্তের নির্দেশ আসার দিন শেয়ার দর ছিল ৩৭ টাকা ১০ পয়সা। পরের দিন দাম কমে হয় ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে ছাড়ায় ৫০ টাকা। সেখান থেকে খানিকটা কমে গত বৃহস্পতিবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৮০ পয়সা।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স

এই কোম্পানিটির শেয়ার দর এক বছরে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বোচ্চ ১৬৯ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল। গত ২ বছরের সর্বনিম্ন দর ১৪ টাকা ৭০ পয়সা।

শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখার দিন শেয়ারমূল্য ছিল ১১৯ টাকা। সে সময় সংশোধনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল এই কোম্পানিটির পাশাপাশি গোটা খাত। তদন্ত চলাচালেই দাম গত ৫ সেপ্টেম্বর একপর্যায়ে বেড়ে ১৬১ টাকা ৬০ পয়সায় উঠে যায়। এরপর ৯ কর্মদিবসের মধ্যে ৮ কর্মদিবস দরপতন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩০ টাকা ৪০ পয়সা। এটিও তদন্তের আদেশ দেয়ার দিনের চেয়ে ১১ টাকা ৪০ পয়সা বেশি।

যেগুলোর দর সামান্য কমেছে

বিকন ফার্মা

এই কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধির বিষয়টিও বিস্ময়কর। গত দুই বছরে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দর ছিল ২৫ টাকা আর সর্বোচ্চ দর ২২৪ টাকা ৯০ পয়সা। এক বছরে সর্বনিম্ন দর ৬৫ টাকা ৯০ পয়সা।

৯ আগস্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়ার দিন শেয়ারমূল্য ছিল ২২২ টাকা ১০ পয়সা। এই আদেশ আসার পর দুই কর্মদিবস কমে ১৯৯ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে। পরে আবার বাড়তে থাকে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর ৯ সেপ্টেম্বরের দামকে ছাড়িয়ে শেয়ার দর দাঁড়ায় ২২৭ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে কিছুটা কমে বৃহস্পতিবার দর দাঁড়িয়েছে ২১৭ টাকা ৩০ পয়সা।

ঢাকা ডাইং

গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দর ২৯ টাকা ৫০ পয়সা। গত ২ বছরের সর্বনিম্ন দর ২ টাকা ৮০ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ার দর গত বছরের এপ্রিল থেকেই বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। ২০১৫ সালের পর ২০২০ সালের জন্য প্রথমবারের মতো ১ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর আগের দুই বছর আয় ব্যয়ের হিসাব না দেয়া কোম্পানিটি চলতি বছর তিন প্রান্তিকেও মুনাফায় ফিরেছে।

কোম্পানিটি গত বছর যে মুনাফায় ফিরেছে, সেই ইঙ্গিতও ছিল না। তার পরেও এই সময়ে ৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৬ টাকা ৭০ পয়সায় উঠে যায় তদন্তের আদেশ আসার দিন।

বিএসইসির নির্দেশ আসার পর দাম কমে ২৩ টাকায় নেমে এলেও পরে তা আবার বাড়তে শুরু করে। সবশেষ দাম দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৭০ পয়সা। যদিও একপর্যায়ে দাম ২৬ টাকা ৭০ পয়সাকে ছাড়িয়ে ২৮ টাকায় উঠেছিল। এখন গোটা বস্ত্র খাতের শেয়ার দরই সংশোধনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

ন্যাশনাল ফিড মিলস

গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বনিম্ন ছিল ৯ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে ৪৪ টাকা ৮০ পয়সায় উঠে গিয়েছিল। পরে কমতে শুরু করে।

তদন্তের আদেশ আসার দিনও দাম ১০ পয়সা কমে ৩৩ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়ায়। এরপর ২ কর্মদিবসে আরও কমে দাঁড়ায় ৩১ টাকা।

পরে ওঠানামা করতে করতে গত বৃহস্পতিবারও এই দামেই লেনদেন শেষ করেছে। মাঝে একবার অবশ্য তদন্তের নির্দেশ আসার দিনের দামকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত ৫ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষ করে ৩৪ টাকা ৫০ পয়সায়।

ফুওয়াং সিরামিক

গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বনিম্ন ৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছে। গত ২ বছরের সর্বনিম্ন দর ৫ টাকা ৭০ পয়সা।

৯ আগস্ট তদন্তের নির্দেশ আসার দিন শেয়ারমূল্য ছিল ২৬ টাকা ৩০ পয়সা। এরপর ওঠানামা করে সর্বোচ্চ দাম হয় ৫ সেপ্টেম্বর ২৬ টাকা ২০ পয়সা।

এরপরের ৯ কর্মদিবসের মধ্যে ৮ কর্মদিবস দরপতন হয়েছে। এক দিন বেড়েছে। সবশেষ শেয়ারমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৪০ পয়সা।

অস্বাভাবিক শেয়ার দর: তদন্তের মধ্যেই আরও বৃদ্ধি
ওটিসি থেকে ফেরা চারটি কোম্পানির তদন্তের আদেশ দেয়ার পর তিনটি দর আরও বেড়েছে, একটির কমে আবার সমান হয়েছে

ওটিসিফেরত কোম্পানির কী চিত্র

এই চারটির মধ্যে পেপার প্রসেসিংয়ের নাম আগের ৯ কোম্পানির মধ্যেই ছিল।

বাকি তিনটির মধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর তদন্তের আদেশ আসার দিন তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ার দর ছিল ১৮০ টাকা ৪০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফিরেছে ১৩ টাকায়। তবে শুরুতে শেয়ার বিক্রি হয়নি বললেই চলে। প্রথমবারের মতো এক দিনে ৫০ হাজারের বেশি শেয়ার বিক্রি হয়েছে গত ১২ জুলাই। সেদিন দর ছিল ৭১ টাকা ৭০ পয়সা।

১৫ জুলাই শেয়ার দর ৯০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর কিছুদিন ওঠানামা করতে থাকে। ওটিসিফেরত চারটি কোম্পানির মধ্যে একটি নিয়ে তদন্তের আদেশ আসার দিন এই কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৭৭ টাকা ৯০ পয়সা। পরদিন ২ টাকা ৪০ পয়সা কমে দাম দাঁড়ায় ৭৫ টাকা ৫০ পয়সা।

এরপর রীতিমতো উড়তে থাকে শেয়ারটি। গত ৯ সেপ্টেম্বর তা ২০২ টাকায় পৌঁছে।

১৩ সেপ্টেম্বর তদন্তের আদেশ আসার দিন দাম কিছুটা কমে হয় ১৮০ টাকা ৪০ পয়সা। পরের কর্মদিবসে সেখান থেকে প্রায় ১০ শতাংশ কমে ১৬২ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়ায় শেয়ার দর। কিন্তু তার পরের দুই কর্মদিবসে আবার বেড়ে হয় ১৮৪ টাকা ৫০ পয়সা।

ওটিসি থেকে মনোস্পুল পেপার ফিরেছে ৫০ টাকা দর নিয়ে। তবে ১০০ টাকার নিচে শেয়ার বিক্রি হয়েছে কমই। গত ২৭ জুন ২৫ হাজার ১৯৫টি শেয়ার হাতবদলের দিন দাম ছিল ১৪২ টাকা ১০ পয়সা। তার পরদিন ২ লাখ ২৮ হাজার ৬১৭টি শেয়ার বিক্রি হয় ১৫৬ টাকা ৩০ পয়সায়। সেদিনই মূলত ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি পেয়েছেন।

গত ৯ আগস্ট ৯টি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে তদন্তের নির্দেশ আসার দিন ১৭৫ টাকা ৯০ পয়সা দর ছিল কোম্পানিটির। যদিও সেই তদন্তে এই কোম্পানিটির নাম ছিল না, তারপরেও পরের দিন শেয়ার দর খানিকটা কমে হয় ১৬৮ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর তা বাড়তে বাড়তে সেপ্টেম্বরে একপর্যায়ে ২৪৯ টাকা ৮০ পয়সায় পৌঁছে।

১৩ সেপ্টেম্বর তদন্তের নির্দেশ আসার দিন শেয়ার দর ছিল ২২৩ টাকা ৯০ পয়সা। পরের দিনই দরপতন হয় ২০৮ টাকা ১০ পয়সায় বিক্রি হয় শেয়ার। কিন্তু এরপরের দুই কর্মদিবস বেড়ে গত বৃহস্পতিবার দাম দাঁড়িয়েছে ২২৯ টাকা ৫০ পয়সা।

ওটিসিফেরত চারটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে কম বেড়েছে মুন্নু ফেব্রিক্সের দর। ১০ টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ফিরেছে মূল মার্কেটে। আর আসার পর টানা বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে উঠে যায় ৩৭ টাকা ২০ পয়সায়।

মূল মার্কেটে ফেরার দিন প্রথম উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার বিক্রি হয়েছে গত ২১ জুন। সেদিন হাতবদল হয় ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৫টি শেয়ার। সেদিন দর ছিল ১৯ টাকা ৩০ পয়সা।

গত ৯ আগস্ট ওটিসির একটিসহ ৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্তের আদেশ আসার দিন দর ছিল ২৬ টাকা ১০ পয়সা। পরের দিন দাম সামান্য কমে ২৫ টাকা ৮০ পয়সা হয়ে যায়। একপর্যায়ে দাম কমে ২৪ টাকা ৫০ পয়সা হয়ে যায়। পরে তা বাড়ার বেড়ে ৩১ টাকা ৬০ পয়সা হয়ে যায়।

১৩ সেপ্টেম্বর তদন্তের নির্দেশ আসার দিন দর ছিল ২৯ টাকা ৯০ পয়সা। আদেশের খবরে পরদিনই দাম কমে ২৮ টাকা ৫০ পয়সা হয়ে যায়। এরপর দুই দিন দাম বেড়ে গত বৃহস্পতিবার আবার ২৯ টাকা ৯০ পয়সা হয়ে যায়।

আরও পড়ুন:
উড়তে থাকা সোনালী পেপারে ২০ শতাংশ বোনাস, শেয়ারে ২ টাকা লভ্যাংশ
সূচক বাড়লেও স্বস্তির ঘাটতি পুঁজিবাজারে
পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব: ৩১ ফেসবুক পেজ বন্ধ
চাপ কাটিয়ে ঝলমলে পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে ‘কালো ছায়া’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Capital Market Index is increasing transactions

পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।

সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।

এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transaction is going on in the capital market of Dhaka Chittagong

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
At the end of the holidays the capital market starts with the big ups

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the first hour of the capital market the rise in the index has risen to most companies

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

p
উপরে