সিলেট জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিগত কমিটিতে সদস্য পদেও ছিলেন। নতুন কমিটিতে আরও ভালো পদ পেতে লবিংও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে চার বছরেও নতুন কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় পদ পাওয়ার নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে যায় তার। ছাত্রত্বও শেষ হয়ে গেছে। হতাশ হয়ে সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই ছাত্রনেতা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তরুণ বলেন, ‘কলেজজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করছি। ভালো পদ-পদবি পাব সেই আশা ছিল। এমন আশায় সুযোগ পেয়েও চাকরিতে যোগ দেইনি; বিয়ে করিনি। জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছি। অথচ কমিটি হবে-হচ্ছে করে আমাদের বুড়ো করে দিল ছাত্রলীগ।’
জেলা ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। নানা বিতর্ক ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের অক্টোবরে এ কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তখনই নতুন কমিটির পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়। এরপর চার বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন কমিটি আর হয়নি।
কমিটিহীন অবস্থায় আছে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগও। ২০১৫ সালে সবশেষ সংগঠনটির কমিটি গঠন করা হয়েছিল। জেলা কমিটির মতোই মহানগর কমিটিও নানা অভিযোগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বিলুপ্ত করা হয়। এরপর তিন বছরে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও গঠিত হয়নি নতুন কমিটি।
দল ক্ষমতায় থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় সিলেটে প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ। নেতৃত্বহীনতার কারণে ছোট ছোট বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ছে সংগঠনটি। কমিটি না থাকার সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে।
এদিকে পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যেও বাড়ছে হতাশা।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য গত ১৩ মার্চ সিলেটে এসে কর্মীসভা করেন। সেখানে দ্রুত কমিটি গঠনের আশ্বাসও দেন তারা। এরপর সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের তৎপরতাও শুরু হয়। পদপ্রত্যাশী নেতাদের তালিকা নেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে অজ্ঞাত কারণে আটকে যায় সে উদ্যোগ।
নেতারা বলছেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া, লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধে সব কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়নি। চলমান শোকের মাসেও কমিটি দেয়া হবে না। সেপ্টেম্বরে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আসতে পারে।
জেলা ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটির সভাপতি ছিলেন শাহরিয়ার আলম সামাদ।
তিনি শনিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কমিটি না থাকার কারণে সংগঠনের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। নতুন সদস্য সংগ্রহও হচ্ছে না। পুরোনো নেতা-কর্মী, যারা ত্যাগী ও যোগ্য ছিল, তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
‘ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ অপরাধ করলেও কেউ দায়ভার নিচ্ছে না। ফলে সিলেটে ছাত্রলীগ অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সংগঠন অগোছালো ও নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্তি
দলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, নেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ আর গ্রুপিংয়ের কারণেই আটকে আছে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি।
সিলেটে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করেন কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। নিজেদের পছন্দের লোকদের কমিটির শীর্ষ পদ পাইয়ে দিতে সবসময়ই লবিং-তদবির করে থাকেন তারা।
আগে সিলেটে ছাত্রলীগ দর্শন দেউড়ি গ্রুপ, তেলিহাওর গ্রুপ, টিলাগড় গ্রুপ ও কাশ্মীর গ্রুপে বিভক্ত ছিল। এই চার গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন যথাক্রমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিত সরকার এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা।
ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ চার পদ এই চার নেতার অনুসারীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেয়া হতো। ফলে কমিটি নিয়ে তেমন ঝামেলা হতো না।
তবে কয়েক বছর ধরে এই চার গ্রুপ ভেঙে নতুন আরও কয়েকটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ভাঙন ধরেছে টিলাগড় গ্রুপে। এই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করা দুই নেতা আজাদুর রহমান আজাদ ও রনজিত সরকার বিভক্ত হয়ে আলাদা দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এ দুই গ্রুপের বিভক্তি সশস্ত্র বিরোধে রূপ নেয় মাঝে মাঝে।
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুর রহমান আসাদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি পীযূষ কান্তি দের অধীনে নতুন আরও কয়েকটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতারা জানান, নতুন নতুন গ্রুপের সৃষ্টি হওয়ায় কমিটি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সব গ্রুপের নেতারাই নিজেদের অনুসারীদের শীর্ষ পদে আসীন করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সব নেতাদের সন্তুষ্ট করতে না পারায় আটকে আছে কমিটি গঠন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সিলেটের আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ার কারণে নতুন কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ।
তিনি বলেন, ‘কমিটি ঘোষণা করে কেউ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। সিলেটে ছাত্রলীগ অনেক গ্রুপে বিভক্ত থাকায় যোগ্য নেতাদের খুঁজতে ও সব গ্রুপের সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি দিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তা ছাড়া সিলেটে এখন আগের মতো জাতীয় পর্যায়ের নেতাও নেই, যার ওপর ভর করে কমিটি দেয়া যায়। এসব কারণে কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে।’
যা বলছেন পদপ্রত্যাশীরা
সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটির চার শীর্ষ পদ পেতে অন্তত ৩৫ জন নেতা চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমালোচিত অনেকেও আছেন।
প্রতিটি গ্রুপ থেকেই শীর্ষ চার পদের জন্য তাদের অনুসারী নেতাদের নাম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। নিজেদের বলয়ের নেতাদের পদ নিশ্চিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এসব গ্রুপ পরিচালনাকারী আওয়ামী লীগ নেতারা।
ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত মার্চে সিলেট সফরে এলে তাদের বরণ করতে বিমানবন্দরে হাজির হন ছাত্রলীগের গ্রুপ পরিচালনাকারী সব আওয়ামী লীগ নেতারা। কমিটিতে নিজেদের বলয়ের অবস্থান সুসংহত করার জন্যই তারা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের খুশি করার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
নেতাদের এ ছাড় না দেয়ার মানসিকতার কারণেও সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ অবস্থায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনের প্রচারে আবারও সিলেট আসছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তাদের সফরকে কেন্দ্র করে আবার সামনে এসেছে ছাত্রলীগের কমিটিহীনতার বিষয়টি। পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে উৎসাহ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশীদের তালিকায় নাম রয়েছে নাজমুল ইসলামের। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগস্ট শোকের মাস। এই মাসে কোনো কমিটি হবে না। তবে আশা করছি সেপ্টেম্বরে নতুন কমিটি গঠন হবে। কমিটিতে নিশ্চয়ই যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে।’
কমিটি গঠনের বিষয়টি পুরোটাই কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে জেলা কমিটির আরেক সভাপতি প্রার্থী কনক পাল অরুপ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ায় কমিটি হচ্ছে না। এতে করে নতুন নেতৃত্ব উঠছে না। সংগঠনও দুর্বল হয়ে পড়ছে।’
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন ৮ থেকে ৯ জন নেতা। তাদের একজন কাওসার জাহান সৌরভ। তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাসে কমিটি ঘোষণা হবে না। এরপর সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন। আমরা আশা করছি নির্বাচনের পরে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’
সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের ব্যাপারে আলাপ করতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘তিন বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল। আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।’
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শনিবার জাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে।
‘নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কী না সন্দেহ ছিল। তাই নির্বাচনে গিয়েছি।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি। মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিল।
‘আর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে- এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। ফলে বিএনপি এক কিংবা ১০ লাখ বা এক কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও তাদের আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝতে পেরেছিলাম।’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে নির্বাচন ভালো হয়নি। সরকার জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায়। তবে তা কখনও সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী দল ছিল না এবং আমরা গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি নই।’
বিএনপির সঙ্গে দাসত্বের তকমা লেগে আছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতা পাওয়ার জন্য বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে সাবেক ক্ষমতাসীন দলটি।
জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিন নেতার মাজারে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির বিষয়ে কাদের বলেন, ‘তারা জনগণের সমর্থনকে মূল মনে করে না। তারা মনে করে যে, বিদেশি প্রভুরদের দাসত্ব করলে ক্ষমতা রক্ষা করা যায়, ক্ষমতায় যাওয়া যায়।’
তার অভিযোগ, দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়, সেই দুরভিসন্ধি করছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল আমি মনে করি না। কারণ তাদের ইতিহাসটাই হলো গণতন্ত্র হত্যার। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে এবং গণতান্ত্রিক বিধি-বিধান তারা দলের মধ্যে কোনোদিন মানেনি।
‘আজকে দলটির যে নেতারা বড় কথা বলেন, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে এবং তাদের কোথায় কাউন্সিল হয়েছে? সাত-আট বছর আগে লা মেরিডিয়ানে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে। ৫০১ জনের জাম্বুজেট মার্কা কমিটি। কাজেই যাদের নিজেদের দলের ভেতরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, এ আশা আমরা করি না।’
তিন নেতার মাজারে শনিবার আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ও পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ওই সময় উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
পরে সাংবাদিকদের কাছে বাংলার সাধারণ মানুষের কল্যাণে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অবদান তুলে ধরেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘তিনি (শেরো বাংলা) আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন। এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। সাধারণ মানুষকে এই দেশে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন সর্বকালের সবার সেরা বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম- বাংলার কৃষকরা কোনোদিন ভুলতে পারবে না।
‘তিনি চিরদিন তাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন প্রজাস্বত্ব আইন এবং ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে তিনি মহাজনদের নিপীড়ন-অত্যাচার থেকে বাংলার কৃষককূলকে রক্ষা করেছিলেন। সে জন্য তিনি এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন। আজকের দিনে আমাদের যে প্রত্যয়, যে অঙ্গীকার, সেটা হচ্ছে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক—অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের।’
আরও পড়ুন:পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।
থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বঙ্গবন্ধু তার অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতাকে অসময়ে হত্যা করা হলেও ‘তার আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমি তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন।
গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান। এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে থাই সরকারের সাথে কথা বলবেন।
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ অংশ নিচ্ছেন, এমন ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সমস্ত নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে দেশের ১৫২টি উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে যায়নি বিএনপি। এর আগে-পরে সব নির্বাচনই বয়কট করে নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে দলটি।
বহিষ্কার হলেন যারা
চট্টগ্রাম বিভাগ
মোসা. শিরীন আক্তার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, বান্দরবান জেলা মহিলা দল বান্দরবান জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
মো. রিটন মো. রিটন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক, আলীকদম উপজেলা বিএনপি বান্দরবান জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
মোসা. জাহানারা জাহাঙ্গীর সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা মহিলা দল। জেলা কক্সবাজার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
জাহাদুল হুদা সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা যুবদল। জেলা কক্সবাজার। ভাইস চেয়ারম্যান রাজশাহী বিভাগ
কায়সার আহমেদ সাবেক সহ—সভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
মো. কামাল উদ্দীন সদস্য, ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
মোসা. রেশমাতুল আরস রেখা মহিলাদল নেত্রী, ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
মোহা. আনোয়ারুল ইসলাম সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
বাবর আলী বিশ্বাস সদস্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
আতাউর রহমান খসরু আহ্বায়ক, মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপি কালাই উপজেলা, জয়পুরহাট জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান ১১. শামীমা আক্তার (বেদেনা) সদস্য, জয়পুরহাট জেলা মহিলাদল ও সহ-সভাপতি, ক্ষেতলাল উপজেলা মহিলাদল।
জয়পুরহাট জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
ইমতিয়াজ আহমেদ হীরা সাবেক ভিপি, নাটোর সদর উপজেলা। নাটোর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
আফজাল হোসেন সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, নাটোর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
মোসা. মহুয়া পারভিন সভাপতি নলডাঙ্গা উপজেলা মহিলাদল নাটোর জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
ময়মনসিংহ বিভাগ
এ বি এম কাজল সরকার সাবেক ছাত্রনেতা হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
মোসা. সুমি বেগম সহ-কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলাদল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
মোসা. মনোয়ারা বেগম সহ-সভাপতি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলাদল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
হাসনাত তারেক সদস্য, আইনজীবী ফোরাম হালুয়াঘাট উপজেলা ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
জাহাঙ্গীর আলম খান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদল, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
শামসুর রশিদ মজনু সাবেক সহ-সভাপতি ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
ইমরান হাসান পল্লব সাবেক সাধারণ সম্পাদকফুলপুর পৌর বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
কামাল উদ্দীন যুগ্ম আহ্বায়ক পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
(প্রত্যাহার করেছেন)
নাজমুল আলম সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি ও ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক, সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
নাজমুল আলম সদস্য, হোসেনপুর উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
ফরিদ আল-রাজি সাবেক সদস্য, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদল। কুমিল্লা বিভাগ
সাজ্জাদ মোর্শেদ সহ—প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল, নাসিরনগর উপজেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
ওমরাহ খান সাবেক সহ-সভাপতি নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
শামীম ইস্কান্দার সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জিয়া পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
হানিফ আহমেদ সবুজ সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, সরাইল উপজেলা যুবদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
রৌমারী উপজেলা মহিলাদল, কুড়িগ্রাম জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
শাহ মো. ফরহাদ হোসেন অনু যুগ্ম আহ্বায়ক, পীরগাছা উপজেলা বিএনপি, রংপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
ফরিদপুর বিভাগ
জানে আলম সদস্য সচিব, চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষকদল, ফরিদপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
ফারুক মৃধা প্রাথমিক সদস্য, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
শাহিদ আল-ফারুক যুগ্ম আহ্বায়ক, ফরিদপুর জেলা কৃষকদল, সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা। ভাইস চেয়ারম্যান
এ কে এম নাজমুল হাসান সাবেক সদস্য কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল ও সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
রউফ উন-নবী সাবেক সভাপতি, সদর উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা। উপজেলা চেয়ারম্যান
শারমিন আক্তার টুকটুকি সহ-সভাপতি, রাজবাড়ী জেলা মহিলা দল, সদর, রাজবাড়ী জেলা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেন, অথচ বিএনপি দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।’
শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। খবর বাসসের
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে বিএনপি নেতাদের প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত। তখন পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপি যতটা অপপ্রচার করে তাদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বৃহস্পতিবার করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে তাকালে এখন তাদের লজ্জা হয়। সে সময় ‘পূর্ব পাকিস্তানকে’ দেশের বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু তারা শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধিতে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ-সংঘাতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আগ্রাসী অভিযান শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সব প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মৌলভীবাজারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিতসহ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের মঞ্জুরকৃত জামিন শেষ হওয়ায় তারা আদালতে হাজির হন।
মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, যুবদলের এমএ নিশাদ, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুল ইসলাম, যুবদলের ওয়াহিদুর রহমান জুনেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের রোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুনুর রশিদ ও যুবদলের জাহেদ আহমেদ।
মৌলভীবাজার জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ইউনুছ মিয়া জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মন্তব্য