× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The committee of Sylhet Chhatra League is stuck due to lack of coordination
google_news print-icon

সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি আটকে ‘সমন্বয়হীনতায়’

সিলেট-ছাত্রলীগের-কমিটি-আটকে-সমন্বয়হীনতায়
কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ১৩ মার্চ সিলেটে কর্মীসভা করে ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এ কর্মীসভা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ। তবে সভার ৫ মাস পরও নতুন কমিটি হয়নি।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিগত কমিটিতে সদস্য পদেও ছিলেন। নতুন কমিটিতে আরও ভালো পদ পেতে লবিংও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে চার বছরেও নতুন কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় পদ পাওয়ার নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে যায় তার। ছাত্রত্বও শেষ হয়ে গেছে। হতাশ হয়ে সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই ছাত্রনেতা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তরুণ বলেন, ‘কলেজজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করছি। ভালো পদ-পদবি পাব সেই আশা ছিল। এমন আশায় সুযোগ পেয়েও চাকরিতে যোগ দেইনি; বিয়ে করিনি। জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছি। অথচ কমিটি হবে-হচ্ছে করে আমাদের বুড়ো করে দিল ছাত্রলীগ।’

জেলা ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। নানা বিতর্ক ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের অক্টোবরে এ কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তখনই নতুন কমিটির পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়। এরপর চার বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন কমিটি আর হয়নি।

কমিটিহীন অবস্থায় আছে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগও। ২০১৫ সালে সবশেষ সংগঠনটির কমিটি গঠন করা হয়েছিল। জেলা কমিটির মতোই মহানগর কমিটিও নানা অভিযোগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বিলুপ্ত করা হয়। এরপর তিন বছরে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও গঠিত হয়নি নতুন কমিটি।

দল ক্ষমতায় থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় সিলেটে প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ। নেতৃত্বহীনতার কারণে ছোট ছোট বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ছে সংগঠনটি। কমিটি না থাকার সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে।

এদিকে পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যেও বাড়ছে হতাশা।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য গত ১৩ মার্চ সিলেটে এসে কর্মীসভা করেন। সেখানে দ্রুত কমিটি গঠনের আশ্বাসও দেন তারা। এরপর সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের তৎপরতাও শুরু হয়। পদপ্রত্যাশী নেতাদের তালিকা নেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে অজ্ঞাত কারণে আটকে যায় সে উদ্যোগ।

নেতারা বলছেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া, লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধে সব কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়নি। চলমান শোকের মাসেও কমিটি দেয়া হবে না। সেপ্টেম্বরে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আসতে পারে।

জেলা ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটির সভাপতি ছিলেন শাহরিয়ার আলম সামাদ।

সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি আটকে ‘সমন্বয়হীনতায়’

তিনি শনিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কমিটি না থাকার কারণে সংগঠনের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। নতুন সদস্য সংগ্রহও হচ্ছে না। পুরোনো নেতা-কর্মী, যারা ত্যাগী ও যোগ্য ছিল, তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

‘ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ অপরাধ করলেও কেউ দায়ভার নিচ্ছে না। ফলে সিলেটে ছাত্রলীগ অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সংগঠন অগোছালো ও নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’

গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্তি

দলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, নেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ আর গ্রুপিংয়ের কারণেই আটকে আছে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি।

সিলেটে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করেন কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। নিজেদের পছন্দের লোকদের কমিটির শীর্ষ পদ পাইয়ে দিতে সবসময়ই লবিং-তদবির করে থাকেন তারা।

আগে সিলেটে ছাত্রলীগ দর্শন দেউড়ি গ্রুপ, তেলিহাওর গ্রুপ, টিলাগড় গ্রুপ ও কাশ্মীর গ্রুপে বিভক্ত ছিল। এই চার গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন যথাক্রমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিত সরকার এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা।

ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ চার পদ এই চার নেতার অনুসারীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেয়া হতো। ফলে কমিটি নিয়ে তেমন ঝামেলা হতো না।

তবে কয়েক বছর ধরে এই চার গ্রুপ ভেঙে নতুন আরও কয়েকটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ভাঙন ধরেছে টিলাগড় গ্রুপে। এই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করা দুই নেতা আজাদুর রহমান আজাদ ও রনজিত সরকার বিভক্ত হয়ে আলাদা দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এ দুই গ্রুপের বিভক্তি সশস্ত্র বিরোধে রূপ নেয় মাঝে মাঝে।

সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি আটকে ‘সমন্বয়হীনতায়’

এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুর রহমান আসাদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি পীযূষ কান্তি দের অধীনে নতুন আরও কয়েকটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে।

ছাত্রলীগ নেতারা জানান, নতুন নতুন গ্রুপের সৃষ্টি হওয়ায় কমিটি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সব গ্রুপের নেতারাই নিজেদের অনুসারীদের শীর্ষ পদে আসীন করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সব নেতাদের সন্তুষ্ট করতে না পারায় আটকে আছে কমিটি গঠন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সিলেটের আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ার কারণে নতুন কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ।

তিনি বলেন, ‘কমিটি ঘোষণা করে কেউ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। সিলেটে ছাত্রলীগ অনেক গ্রুপে বিভক্ত থাকায় যোগ্য নেতাদের খুঁজতে ও সব গ্রুপের সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি দিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তা ছাড়া সিলেটে এখন আগের মতো জাতীয় পর্যায়ের নেতাও নেই, যার ওপর ভর করে কমিটি দেয়া যায়। এসব কারণে কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে।’

যা বলছেন পদপ্রত্যাশীরা

সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটির চার শীর্ষ পদ পেতে অন্তত ৩৫ জন নেতা চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমালোচিত অনেকেও আছেন।

প্রতিটি গ্রুপ থেকেই শীর্ষ চার পদের জন্য তাদের অনুসারী নেতাদের নাম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। নিজেদের বলয়ের নেতাদের পদ নিশ্চিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এসব গ্রুপ পরিচালনাকারী আওয়ামী লীগ নেতারা।

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত মার্চে সিলেট সফরে এলে তাদের বরণ করতে বিমানবন্দরে হাজির হন ছাত্রলীগের গ্রুপ পরিচালনাকারী সব আওয়ামী লীগ নেতারা। কমিটিতে নিজেদের বলয়ের অবস্থান সুসংহত করার জন্যই তারা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের খুশি করার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

নেতাদের এ ছাড় না দেয়ার মানসিকতার কারণেও সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি আটকে ‘সমন্বয়হীনতায়’

এ অবস্থায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনের প্রচারে আবারও সিলেট আসছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তাদের সফরকে কেন্দ্র করে আবার সামনে এসেছে ছাত্রলীগের কমিটিহীনতার বিষয়টি। পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে উৎসাহ।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশীদের তালিকায় নাম রয়েছে নাজমুল ইসলামের। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগস্ট শোকের মাস। এই মাসে কোনো কমিটি হবে না। তবে আশা করছি সেপ্টেম্বরে নতুন কমিটি গঠন হবে। কমিটিতে নিশ্চয়ই যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে।’

কমিটি গঠনের বিষয়টি পুরোটাই কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে জেলা কমিটির আরেক সভাপতি প্রার্থী কনক পাল অরুপ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ায় কমিটি হচ্ছে না। এতে করে নতুন নেতৃত্ব উঠছে না। সংগঠনও দুর্বল হয়ে পড়ছে।’

মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন ৮ থেকে ৯ জন নেতা। তাদের একজন কাওসার জাহান সৌরভ। তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাসে কমিটি ঘোষণা হবে না। এরপর সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন। আমরা আশা করছি নির্বাচনের পরে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’

সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের ব্যাপারে আলাপ করতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পলের মৃত্যু
জগন্নাথে ছাত্রলীগের ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
আহত ছাত্রলীগ নেতা মাসুদকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অনুদান
আ. লীগের ত্রাণ বিতরণে বিশৃংখলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Jamaat did not join the consensus commission discussion

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় যোগ দেয়নি জামায়েতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি। বিএনপি ও এনসিপির মাঝে জামায়াতের জন্য সংরক্ষিত আসনটি মধ্যাহ্নভোজের আগ পর্যন্ত ছিল ফাঁকা।

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়ায় নানা রাজনৈতিক দল নানা মত দিয়েছেন। অনেকে বলছেন, কমিশনের বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াতের বনিবনা না হওয়ায় মঙ্গলবারের আলোচনায় তারা যোগ দেননি।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কেন জামায়াত আলোচনায় যোগ দেয়নি সেই উত্তর কমিশনই ভালো দিতে পারবে।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি জামায়াত আজকের বৈঠক প্রতীকী বয়কট করেছে। ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচ্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াত হয়তো একমত হতে পারেনি। তাই আলোচনায় অংশ নেয়নি।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে আজকের আলোচনায় জামায়াতের থাকা উচিত ছিল। তারা এই আলোচনা বয়কট করেছে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি। যদি মধ্যাহ্নভোজের পরেও জামায়াত আলোচনায় না আসে তাহলে পুরো ব্যাপারটি বোঝা যাবে।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আদর্শিক জায়গা থেকে আমরা বেশিরভাগ বিষয়েই একমত হয়েছি। কিন্তু নারীদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার প্রয়োজন দেখি না। নারীর ক্ষমতায়ন আমরাও চাই, কিন্তু কোনো বৈষম্যমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না।’

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল মনে করছে, নারী আসনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় আলোচনার প্রথম পর্যায়ে জামায়াত যোগ দেয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Opposition Party of Chairman of Four Standing Committee in Parliament Salahuddin

সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন

সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের সভার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদে ৫০টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে চারটি বিরোধী দলের জন্য ধার্য হয়েছে এবং সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের (১৭ জুন) সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট, প্রিভিলেজ, ইস্টিমেশন এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সবাই একমত বলে জানিয়েছে তিনি।

বাকি স্থায়ী কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শুধু এই চারটি কমিটি না, সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে বাকি কমিটিতেও আনুপাতিক হারে বিরোধীদলের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে।’

‘এছাড়া সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ যেখানে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সদস্য পদ বাতিলের বিধান আছে, সে বিষয়ে আস্থা ভোট এবং অর্থ বিল বাদে অন্য কোনো বিষয়ে ভোটদানে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সবাই একমত,’ বলেন তিনি।

তবে বিএনপির পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা এই দুই বিষয়েও দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না এমন মত দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এই দুই বিষয়ে অটল থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হলে ৭০নং অনুচ্ছেদে এ দুটি বিষয়ও যুক্ত করা হবে।’

নারীদের ১০০ সংরক্ষিত আসন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে একমত। তবে নির্বাচন পদ্ধতি কেমন হবে তা নিয়ে মতানৈক্য আছে। আশা করছি, আজকের আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সমাধানে আসা যাবে ‘

এছাড়া জুলাই সনদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা ইশতেহার গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fakhrul calls for the interim government to rewrite the election schedule

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’

অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’

ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।

তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’

ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।

ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’

ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Yunus Tarek meeting is the main event of politics right now Fakhrul

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক এই মুহূর্তে রাজনীতির প্রধান ইভেন্ট: ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠক রাজনীতিতে এই মুহূর্তে প্রধান ইভেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেক বেশি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেও এই ইভেন্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে রাজনীতির নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ অনেক কিছুর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতারা সেটাকে কীভাবে নেবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এই সাক্ষাৎকারে তার সাফল্য প্রার্থনা করছি।

বৈঠকের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকলেও আগামী নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা এর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাদের যথেষ্ট রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। তবে, তারা প্রত্যেকে নিজ-নিজ সেক্টরে যথেষ্ট অভিজ্ঞ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP wants elections next December

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি

আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীর উদ্দেশ‌্যে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিহিত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ‌্যেই নির্বাচনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি।

শনিবার (৭ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দলটি।

বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও জনতার বিপুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের অযৌক্তিক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।’

এ সময় রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি।

এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়বস্তু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এই ঘোষণা দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ঐকমত্য গঠনের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব‌্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

তারা বলেন, ‘এ কারণে বৈঠকে মনে করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না; তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাষ‌্যে, এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন দিলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, যা পরবর্তীতে নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়— এমন কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এক পর্যায়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে রূপ নেয়।

দীর্ঘ ওই ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন বন্দর ও করিডর ইস্য অন্তবর্তী সরকারের তিনটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

এ ছাড়াও ওই ভাষণে ব্যবহৃত কিছু শব্দ রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mirza Fakhrul is returning home at night after treatment

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

চোখের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ড থেকে আজ শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মির্জা ফখরুলের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান শুক্রবার দুপুরে বাসস’কে জানান, দলের মহাসচিব রাতে দেশে ফিরবেন।

তিনি আরও বলেন, ‘রাত ১১টায় ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মির্জা ফখরুল। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এর আগে, চোখের জটিলতাসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে গত ১৩ মে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP called the budget a one sided void

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে অকার্যকর ও গতানুগতিক এবং একতরফা বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও দরিদ্রতার মতো অর্থনৈতিক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে এবারের বাজেট সুর্নিদিষ্ট কৌশল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে অন্তর্বতী সরকারকে। আমরা আশা করেছিলাম যে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট তৈরি করবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ন্যূনতম স্তর তৈরি হয়।’

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও যুব প্রতিনিধিদের নিকট থেকে মতামত নিতে পারত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি এমনটি হতো, তাহলে বাজেট একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হত। এটি দেশের বিভিন্ন অংশের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করত। কিন্তু সেই সুযোগটি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে, বাজেটটি একপেশে, অংশগ্রহণমূলক নয় এবং গতানুগতিক হয়ে গেছে। এতে নতুন চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন নেই।’

বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বাজেট চূড়ান্ত করার আগে এই ধরনের আলোচনা আরও জরুরি ছিল, যেহেতু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।

প্রস্তাবিত বাজেটের উপর তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে বিএনপি।

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।

বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানকে মাথায় রেখে তৈরি করা উচিত উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সেই বৈষম্যমুক্ত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি, যার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর যেমন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, দরিদ্রতা বৃদ্ধি, কম বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের কম সুযোগের স্পষ্ট সমাধান দেওয়া হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, বাজেটটি অপ্রয়োজনীয় এবং দুর্নীতিপ্রবণ প্রকল্পগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে