× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The committee of Sylhet Chhatra League is stuck due to lack of coordination
google_news print-icon

সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি আটকে ‘সমন্বয়হীনতায়’

সিলেট-ছাত্রলীগের-কমিটি-আটকে-সমন্বয়হীনতায়
কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ১৩ মার্চ সিলেটে কর্মীসভা করে ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এ কর্মীসভা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ। তবে সভার ৫ মাস পরও নতুন কমিটি হয়নি।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বিগত কমিটিতে সদস্য পদেও ছিলেন। নতুন কমিটিতে আরও ভালো পদ পেতে লবিংও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে চার বছরেও নতুন কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় পদ পাওয়ার নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে যায় তার। ছাত্রত্বও শেষ হয়ে গেছে। হতাশ হয়ে সম্প্রতি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই ছাত্রনেতা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তরুণ বলেন, ‘কলেজজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করছি। ভালো পদ-পদবি পাব সেই আশা ছিল। এমন আশায় সুযোগ পেয়েও চাকরিতে যোগ দেইনি; বিয়ে করিনি। জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছি। অথচ কমিটি হবে-হচ্ছে করে আমাদের বুড়ো করে দিল ছাত্রলীগ।’

জেলা ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। নানা বিতর্ক ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের অক্টোবরে এ কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তখনই নতুন কমিটির পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়। এরপর চার বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন কমিটি আর হয়নি।

কমিটিহীন অবস্থায় আছে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগও। ২০১৫ সালে সবশেষ সংগঠনটির কমিটি গঠন করা হয়েছিল। জেলা কমিটির মতোই মহানগর কমিটিও নানা অভিযোগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বিলুপ্ত করা হয়। এরপর তিন বছরে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও গঠিত হয়নি নতুন কমিটি।

দল ক্ষমতায় থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় সিলেটে প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ। নেতৃত্বহীনতার কারণে ছোট ছোট বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ছে সংগঠনটি। কমিটি না থাকার সুযোগে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে।

এদিকে পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যেও বাড়ছে হতাশা।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য গত ১৩ মার্চ সিলেটে এসে কর্মীসভা করেন। সেখানে দ্রুত কমিটি গঠনের আশ্বাসও দেন তারা। এরপর সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের তৎপরতাও শুরু হয়। পদপ্রত্যাশী নেতাদের তালিকা নেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে অজ্ঞাত কারণে আটকে যায় সে উদ্যোগ।

নেতারা বলছেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া, লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধে সব কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়নি। চলমান শোকের মাসেও কমিটি দেয়া হবে না। সেপ্টেম্বরে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আসতে পারে।

জেলা ছাত্রলীগের সবশেষ কমিটির সভাপতি ছিলেন শাহরিয়ার আলম সামাদ।

সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি আটকে ‘সমন্বয়হীনতায়’

তিনি শনিবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কমিটি না থাকার কারণে সংগঠনের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। নতুন সদস্য সংগ্রহও হচ্ছে না। পুরোনো নেতা-কর্মী, যারা ত্যাগী ও যোগ্য ছিল, তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

‘ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ অপরাধ করলেও কেউ দায়ভার নিচ্ছে না। ফলে সিলেটে ছাত্রলীগ অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সংগঠন অগোছালো ও নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’

গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্তি

দলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, নেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ আর গ্রুপিংয়ের কারণেই আটকে আছে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি।

সিলেটে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করেন কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। নিজেদের পছন্দের লোকদের কমিটির শীর্ষ পদ পাইয়ে দিতে সবসময়ই লবিং-তদবির করে থাকেন তারা।

আগে সিলেটে ছাত্রলীগ দর্শন দেউড়ি গ্রুপ, তেলিহাওর গ্রুপ, টিলাগড় গ্রুপ ও কাশ্মীর গ্রুপে বিভক্ত ছিল। এই চার গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন যথাক্রমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রনজিত সরকার এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা।

ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ চার পদ এই চার নেতার অনুসারীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেয়া হতো। ফলে কমিটি নিয়ে তেমন ঝামেলা হতো না।

তবে কয়েক বছর ধরে এই চার গ্রুপ ভেঙে নতুন আরও কয়েকটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ভাঙন ধরেছে টিলাগড় গ্রুপে। এই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করা দুই নেতা আজাদুর রহমান আজাদ ও রনজিত সরকার বিভক্ত হয়ে আলাদা দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এ দুই গ্রুপের বিভক্তি সশস্ত্র বিরোধে রূপ নেয় মাঝে মাঝে।

সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি আটকে ‘সমন্বয়হীনতায়’

এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুর রহমান আসাদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি পীযূষ কান্তি দের অধীনে নতুন আরও কয়েকটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে।

ছাত্রলীগ নেতারা জানান, নতুন নতুন গ্রুপের সৃষ্টি হওয়ায় কমিটি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সব গ্রুপের নেতারাই নিজেদের অনুসারীদের শীর্ষ পদে আসীন করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সব নেতাদের সন্তুষ্ট করতে না পারায় আটকে আছে কমিটি গঠন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সিলেটের আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ার কারণে নতুন কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ।

তিনি বলেন, ‘কমিটি ঘোষণা করে কেউ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। সিলেটে ছাত্রলীগ অনেক গ্রুপে বিভক্ত থাকায় যোগ্য নেতাদের খুঁজতে ও সব গ্রুপের সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি দিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তা ছাড়া সিলেটে এখন আগের মতো জাতীয় পর্যায়ের নেতাও নেই, যার ওপর ভর করে কমিটি দেয়া যায়। এসব কারণে কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে।’

যা বলছেন পদপ্রত্যাশীরা

সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটির চার শীর্ষ পদ পেতে অন্তত ৩৫ জন নেতা চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমালোচিত অনেকেও আছেন।

প্রতিটি গ্রুপ থেকেই শীর্ষ চার পদের জন্য তাদের অনুসারী নেতাদের নাম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। নিজেদের বলয়ের নেতাদের পদ নিশ্চিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এসব গ্রুপ পরিচালনাকারী আওয়ামী লীগ নেতারা।

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত মার্চে সিলেট সফরে এলে তাদের বরণ করতে বিমানবন্দরে হাজির হন ছাত্রলীগের গ্রুপ পরিচালনাকারী সব আওয়ামী লীগ নেতারা। কমিটিতে নিজেদের বলয়ের অবস্থান সুসংহত করার জন্যই তারা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের খুশি করার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

নেতাদের এ ছাড় না দেয়ার মানসিকতার কারণেও সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি আটকে ‘সমন্বয়হীনতায়’

এ অবস্থায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনের প্রচারে আবারও সিলেট আসছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তাদের সফরকে কেন্দ্র করে আবার সামনে এসেছে ছাত্রলীগের কমিটিহীনতার বিষয়টি। পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে উৎসাহ।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশীদের তালিকায় নাম রয়েছে নাজমুল ইসলামের। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগস্ট শোকের মাস। এই মাসে কোনো কমিটি হবে না। তবে আশা করছি সেপ্টেম্বরে নতুন কমিটি গঠন হবে। কমিটিতে নিশ্চয়ই যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে।’

কমিটি গঠনের বিষয়টি পুরোটাই কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে জেলা কমিটির আরেক সভাপতি প্রার্থী কনক পাল অরুপ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ায় কমিটি হচ্ছে না। এতে করে নতুন নেতৃত্ব উঠছে না। সংগঠনও দুর্বল হয়ে পড়ছে।’

মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন ৮ থেকে ৯ জন নেতা। তাদের একজন কাওসার জাহান সৌরভ। তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাসে কমিটি ঘোষণা হবে না। এরপর সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন। আমরা আশা করছি নির্বাচনের পরে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’

সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের ব্যাপারে আলাপ করতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পলের মৃত্যু
জগন্নাথে ছাত্রলীগের ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
আহত ছাত্রলীগ নেতা মাসুদকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অনুদান
আ. লীগের ত্রাণ বিতরণে বিশৃংখলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
No legal bar to give Shapla symbol to NCP Sarjis Alam

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাঁধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন কাউকে খুশি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের দেখাক কোন আইনে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দেওয়া যাবে না। রোববার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য মার্কা দেয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারে না, আমরা মনে করি সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এই বাংলাদেশে হতে পারে না। এনসিপি আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রত্যাশা করি, যে আমরা শাপলা প্রতীক পেয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো। এটা যদি তারা আমাদের সাথে অন্যায় করে, তাহলে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তাঘাটে নেমে হাহাকার করতো। কর্মসূচী দিয়ে হাহাকার করতো। আমরা অনেক অফিস দেখেছি যে, অফিসের সামনে ১০ জন লোক দাড়ানোর মতো ছিল না, বড় বড় রাজনৈতিক দলের অফিস। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনগণ তখনই রাস্তায় নেমেছে, যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছে। এখন যদি জনগণের ওই আস্থার প্রতিদান কেউ কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল না দেয়, জনগণ তাদের মতো করে আগামীতে যখন সুযোগ হবে জনগণ তার সুফল দেখাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলি, আপনারা ইতিহাস থেকে দয়া করে শিক্ষা নেন। জুলাই সনদ আপনারাও চান, আমরাও চাই। আপনারা যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্রের মতো নাম কাওয়াস্তে একটি পেপার চান, ওই সনদ আমরা চাই না।

এর আগে তিনি জেলা এনপিসির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা এনপির প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সনাল করিম সোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুল আহাদসহ প্রমুখ নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If BNP comes to power allowances will be given to unemployed youth SA Jinnah Kabir

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের ভাতা দেওয়া হবে: এস.এ জিন্নাহ কবির

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের ভাতা দেওয়া হবে: এস.এ জিন্নাহ কবির

বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য মানিকগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এস.এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে ঘোষিত রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফায় বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ কীভাবে চলবে, শিক্ষিত যুবকদের চাকরি ব্যবস্থা করা হবে, চাকরী যতদিন না হবে তাদের বেকার ভাতা দেওয়া হবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সরকার ক্রয় করবে। ৩১ দফায় কৃষকদের কৃষি উপকরণ, কৃষক-শ্রমিক গ্রাম-গঞ্জে খেটে খাওয়া দিনমুজুর, মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কথা রয়েছে। শনিবার রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা কলিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বিএনপির উদ্যোগে তালুকনগক ডিগ্রী কলেজ মাঠে তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণা সভা ও লিফলেট বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে হবে। আমি নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরের উন্নয়ন ও কৃষক শ্রমিক, দু:স্থ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব।

তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে ও কলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক আব্দুস সামাদ এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউজ্জল রবির সঞ্চলানায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপি সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি লোকমান হোসেনসহ নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dr Priyanka expressed solidarity with the demands of the teachers

শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা

শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করলেন ডা. প্রিয়াঙ্কা

শেরপুর-১ (সদর) আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলোচিত নেত্রী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, আমি সংসদে যেতে পারলে শেরপুরের দেড় থেকে দুই লাখ বেকারের চাকরির ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, আমাকে আপনারা জাতীয় সংসদে যাওয়ার ব্যবস্থা করলে নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীরা যাতে শুধু ঘরে বসে না থাকে সে জন্য তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আমি সম্মানিত শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন করি এবং একাত্মতা প্রকাশ করছি। তাদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য আমি চেষ্টা করব।

ডা. প্রিয়াঙ্কা গত শনিবার সন্ধায় শহরের ৫নং ওয়ার্ডের খরমপুর মহল্লার ডা. সেকান্দর আলী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজিত এক নারী সমাবেশে এসব কথা বলেন।

জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ নারী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলী, সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. জাফর আলী. বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন, প্রভাষক শফিউল আলম চান, রেজাউল করিম রুমি, শ্রমিক দল নেতা মো. শওকত হোসেনসহ আরও অনেকে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়। তারপরেও এ আসনের সকল নারীরা আমার সাথে ছিলেন সে জন্য আমি এই নারীদের ছেড়ে কখনোই চলে যাব না। আমি আপনাদের ঋণের কথা কখনোই ভুলতে পারব না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no obstacle to elections after signing the July Charter Shamsuzzaman Dudu

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নির্বাচন হতে বাধা নেই: শামসুজ্জামান দুদু

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নির্বাচন হতে বাধা নেই: শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর হওয়ার পর দেশে নির্বাচন নিয়ে আর কোন সমস্যা নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলে বিএনপি প্রত্যাশা করে।

শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা প্রসঙ্গে দুদু বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। সকলের ভিন্নমত পোষনের সুযোগ আছে। যেসব দল ভিন্নমত পোষণ করে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি আমাদের ধারণা তারা ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবে। কেননা, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, যেসব দল স্বাক্ষর করেনি, তাদের জন্য ভবিষ্যতেও সুযোগ আছে।

বিএনপি সরকার গঠন করলে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে দেশের উন্নয়ন গতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলেও মন্তব্য করেন শামসুজ্জামান দুদু।

নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Injured and martyred families were disrespected at the July charter signing ceremony

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারকে অসম্মান করা হয়েছে

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারকে অসম্মান করা হয়েছে

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে অভিযোগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, শহীদ পরিবার অনুষ্ঠানে প্রাপ্য সম্মান পাননি বরং প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আখতার হোসেন বলেন, শহীদ পরিবাররাই জুলাই সনদ আয়োজনের মূল আকর্ষণ হলেও, তাদের মঞ্চ থেকে দূরে সরিয়ে বসিয়ে অমর্যাদা করা হয়েছে। আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে এবং অসম্মান করে জুলাই সনদকে ‘পাওয়ার এলিট’-এর সেটেলমেন্ট বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতরা কিছু দাবি নিয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঐক্যবদ্ধ কমিশন জুলাই সনদের অঙ্গীকারের পঞ্চম দফা সংশোধনের ঘোষণা দিলেও, শুরুতে যদি বিষয়টি আমলে নেওয়া হতো তাহলে তাদের রাজপথে নামতে হতো না।

তিনি বলেন, সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান না করে আহত যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করছি।

এনসিপি সদস্য সচিব আরও বলেন, জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও বৈধতা নিশ্চিত না করেই এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জাতিকে পরিষ্কার ধারণা না দিয়েই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। জুলাই সনদের কোনো আইনভিত্তি না দেওয়া, বাস্তবায়ন আদেশ প্রকাশ না করা এবং পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা জাতির সামনে না আনার কারণে আমরা আনুষ্ঠানিকতার জন্য স্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছি।

তিনি বলেন, এনসিপি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ৭২ সালের বন্দোবস্ত বিলোপ করে নতুন সাংবিধানিক অগ্রযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে। বিচার সংস্কারের অংশ হিসেবে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে ‘জুলাই পথযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপি। রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জনগণ এই দাবিতে এনসিপিকে দৃঢ় সমর্থন দিয়েছে। একই সঙ্গে আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কারে জোরালো ভূমিকা রেখেছি।

আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে। সনদের আইনিভিত্তি হিসেবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’-এর উল্লেখ নেই। আমরা বলেছি, অভ্যুত্থান-পরবর্তী যেকোনো বন্দোবস্তের নৈতিক ও আইনিভিত্তি থাকতে হবে। কিন্তু সনদে জনগণের সার্বভৌম ও গাঠনিক ক্ষমতার প্রকৃত মৌলিক সত্যের কোনো উল্লেখ নেই।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের আওতাভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের এমন কিছু অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যা বিদ্যমান সংবিধানের তথাকথিত বেসিক স্ট্রাকচারের আওতাভুক্ত। ফলে ৭২ সালের সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে থেকে এই পরিবর্তনগুলো ভবিষ্যতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এতে জুলাই সনদ জনগণের সঙ্গে একটি সাংবিধানিক প্রতারণায় পরিণত হবে।

এ কারণে এনসিপি সরকারপ্রধান ড. ইউনূসকে গণভোটের পূর্বে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির আহ্বান জানিয়েছে—যাতে এর আইনভিত্তি, বৈধতা ও জুলাই অবস্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।

শেষে আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিয়ে আগামী কয়েকদিনের আলোচনায় আমরা জনগণের পাশে থাকব। কোনো অবস্থাতেই জুলাই সনদকে জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো আইনিভিত্তিহীন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল বা ‘জেন্টলম্যানস অ্যাগ্রিমেন্টে’ পরিণত করা যাবে না। আমরা আশা করছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের ইচ্ছাকে ধারণ করে জুলাই সনদের আইনিভিত্তি ও বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The image of Daksu Jaksu Chaksu will be seen by the nation in the future Jamaat Amir

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যুব ও নারী সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঢাকসু, জাকসু ও চাকসুতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে। সব জায়গায় একই চিত্র। মেয়েদের ও তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে। এর প্রতিচ্ছবি জাতি আগামীতে দেখবে ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন বক্তব্যজুড়ে।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ্য করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটি আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেছে। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসূলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে পরিচালনা করব।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রাধান্য আছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাইছি, যেখানে শাসকেরা জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি ও ঘাটতির জন্য মাফ চাইবে। তারা কারও কাছ থেকে প্রশংসা চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, যেমন “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।

তিনি বলেন, যে সমাজে যুব সমাজ সিদ্ধান্ত নেয় এবং নারীরা এগিয়ে আসে, সেই সমাজ ও জাতি কখনো পরিবর্তন না হয়ে পারে না।

তিনি জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার তুলে ধরে বলেন, আমাদের প্রথম অঙ্গীকার, একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো। শিক্ষা ভালো না হলে জাতি কখনো ভালো হতে পারে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।

দ্বিতীয়ত, সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি বাসা গেঁড়ে বসে আছে। এই দুর্নীতি থাকবে না। এজন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, করবো ইনশাআল্লাহ। লড়াই করবো, হিমালয়ের মতো পর্বত সমান বাধা আসলেও দুর্নীতির অস্তিত্ব যেন আসমান থেকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারি।

তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি মানুষ যেন তার প্রাপ্ত হক বা ন্যায়বিচার পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এজন্য যেন আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা, নারী ও শিশু কাউকে চেষ্টা করতে না হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no option but to have national elections and referendum together Ruhul Kabir Rizvi

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে করার বিষয়ে আবারও জোরালো মত দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ গণভোট আগে হলে জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব হবে। আর জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত না এলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যে যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই এমন এক জায়গায় উপনীত হবেন যাতে আমাদের পরবর্তী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার পথে আমাদের যেন বিঘ্ন না ঘটে। তা না হলে কালো ঘোড়া প্রবেশ করতে পারে, কালো ঘোড়া ঢুকে যেতে পারে।
রিজভী বলেন, উন্নত দেশ দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র চর্চার দেশেও এখন কথা উঠেছে, এই পদ্ধতিতে (পিআর) জনমতের ট্রু রিফ্লেকশন হয় না। এ নিয়ে সেইসব দেশে আলাপ-আলোচনা, বির্তক চলছে। আপনি জানেন যে, জাপান গণতন্ত্রের দিক থেকে অতি উন্নত একটি দেশ এবং সেখানেও ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু আছে। যেখানে সারাবিশ্বেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, কোথাও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি, সেখানে হঠাৎ করে আমাদের এখানে কেনো চালু করতে চাইবেন?
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনি হঠাৎ করে পিআরের কথা বলেন, এতে জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করবে। আমি এ পর্যন্ত যত জরিপ দেখেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমে- সেখানে অধিকাংশ মানুষের আনুপাতিক হারে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। অনেকেই কনফিউজড অবস্থায় আছেন।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ যেগুলো অতি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ব্রিটেন, আমেরিকা যদি আমরা বলি বা আরও অন্য দেশে প্রতিনিধি নির্বাচনের যে পদ্ধতিটা চালু আছে- সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। আমাদের এখানে কী এমন ঘটনা ঘটলো যে পিআর উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের মডেল? এটা আমার মনে হয়, অবান্তর কথা তারা (জামায়াতে ইসলামী) বলছেন। এটা বলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করছেন অথবা তাদের অন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কি না আমি জানি না।

মন্তব্য

p
উপরে