× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
হেফাজত বিলুপ্ত ভিডিও বার্তায় বাবুনগরী
google_news print-icon

হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত

হেফাজতের-কমিটি-বিলুপ্ত
‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন, দ্বীনি সংগঠন ইমান আক্বিদার সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিলুপ্ত… কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের পরামর্শক্রমে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। ইনশাআল্লাহ আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আবার হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম শুরু হবে।’

গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় ব্যর্থ হওয়ার পর কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

সংগঠনের ২৫ জনের বেশি নেতা গ্রেপ্তার এবং সরকার পতনের ষড়যন্ত্রের সম্পৃক্ততার অভিযোগের মধ্যে আচমকা এ সিদ্ধান্ত এলো।

রোববার রাতে ফেসবুক পেজে ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের এক ভিডিওবার্তায় এই ঘোষণা দেন জুনায়েদ বাবুনগরী, যিনি গত নভেম্বরের সম্মেলনের পর সংগঠনের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সংক্ষিপ্ত বার্তায় তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন, দ্বীনি সংগঠন ইমান আক্বিদার সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিলুপ্ত… কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের পরামর্শক্রমে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

‘ইনশাআল্লাহ আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আবার হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম শুরু হবে।’

বাবুনগরী কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন তার কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। তবে গত কয়েক দিনে হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতা সংগঠন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আরও বহু নেতা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন।

একটি অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমে তারা বলেছেন, হেফাজত তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে বলেই তারা মনে করছেন। এ কারণে এই সংগঠনে থাকার কোনো দরকার আছে বলে মনে করছেন না তারা।

বিষয়টি নিয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে হেফাজতের নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী ফোন ধরেননি।

সংগঠনের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

আমির বাবুনগরী ফোন ব্যবহার করেন না। তার ব্যক্তিগত সহকারী ইনামুল হাসান ফারুকী বলেন, ‘কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ভিডিওতে এর কারণ বলা হয়েছে।’

যদিও বাবুনগরী আসলে কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি।

কারণ স্পষ্ট করেননি হেফাজত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদীও। কমিটি বিলুপ্তের কারণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উনি (বাবুনগরী) তো কারণ বলেই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন। আবার নতুন কোনো কারণ বলতে পারব না।’

কিন্তু তিনি তো বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে-এমন মন্তব্যের জবাবে হেফাজতের মহাসচিব বলেন, ‘সেটাই সেটাই।’

কী পরিস্থিতি আপনি যদি একটু খুলে বলতেন- এমন কথা বললে নূরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, ‘আমি খুলে বলতে পারব না।’

এটুকু বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।

সমঝোতায় মরিয়া ছিল হেফাজত

গত ১৮ এপ্রিল যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক গ্রেপ্তারের পরদিন ১৯ এপ্রিল ভিডিওবার্তায় এসে বাবুনগরী ‘মাননীয় সরকার’ উল্লেখ করে ২৬ মার্চের তাণ্ডবের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। যদিও এর আগে তিনি কোনো সহিংসতায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছিলেন।

একই দিন নয়জন কেন্দ্রীয় নেতাকে নিয়ে নুরুল ইসলাম জেহাদী দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায়। আহ্বান জানান সমঝোতার। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দেন গ্রেপ্তার অভিযান চলবে।

এরপর ২৩ এপ্রিল আবার বিবৃতি দিয়ে আলোচনার জন্য আকুতি জানান হেফাজত মহাসচিব। এমনও বলেন, হেফাজতের ভেতরে কেউ অপতৎপরতা চালালে তারা নিজেরাই ব্যবস্থা নেবেন।

মার্চের সহিংসতাকে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা উল্লেখ করে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন হেফাজত মহাসচিব। বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল বলে আমরা মনে করি।’

তবে এই বিবৃতি দেয়ার দুই দিন পর ২৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন নায়েবে আমির আহমাদ আবদুল কাদের।

হঠাৎ করেই তাণ্ডব

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদ থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে স্থানীয় ডাকবাংলো ও এসিল্যান্ড অফিসে হামলা করেন হেফাজত কর্মীরা। আক্রমণ হয় থানাতেও। তখন পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন চারজন।

একই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হামলা ছিল আরও ব্যাপক।

সেদিন স্থানীয় রেলস্টেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় ও আনসার ক্যাম্প আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলা হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন একজন।

এর প্রতিবাদে ২৮ মার্চ হরতাল ডাকে সংগঠনটি।

শান্তিপূর্ণ হরতালের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেদিন তাণ্ডব ছিল ভয়াবহ। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যে সহিংসতা চালানো হয় তাতে আঁতকে ওঠে মানুষ।

হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত
২৮ এপ্রিলের হরতালে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়

জেলা পরিষদ কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, ভূমি অফিস, গ্যাস বিতরণ সংস্থার কার্যালয়ের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের যত স্মৃতিচিহ্ন ছিল বেছে বেছে হামলা হয় সব জায়গায়। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, বাদ যায়নি কিছুই।

একই দিন নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জেও ব্যাপক সহিংসতা চালায় তারা। আক্রমণ হয় সাংবাদিকদের ওপরও।

আওয়ামী লীগের ওপর আক্রমণ

সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের অফিস, সরকার সমর্থকদের বাড়িঘরেও হামলা চলতে থাকে।

৩ এপ্রিল হেফাজত নেতা মামুনল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে এক নারী নিয়ে অবরুদ্ধ হন স্থানীয়দের হাতে। বিব্রতকর অবস্থায় পড়া মামুনুলকে উদ্ধার করতে গিয়ে হেফাজত কর্মীরা ত্রাস চালায় সেখানে।

হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত
২৮ মার্চ হরতাল মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকে দেশের নানাপ্রান্তে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও নেতা-কর্মীরাও আক্রান্ত হতে থাকে

স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়, ছাত্র ও যুবলীগ নেতাদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও আক্রান্ত হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়িতেও চলে বেপরোয়া ভাঙচুর।

একই দিন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, সুনামগঞ্জের ছাতকে আওয়ামী লীগের কার্যালয় হয় আক্রান্ত।

গ্রেপ্তার অভিযান

পরদিন সংসদে হেফাজতকে সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এর এক সপ্তাহ পর শুরু হয় গ্রেপ্তার অভিযান।

১১ এপ্রিল ধরা পড়েন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। সে সময়ও বোঝা যায়নি গ্রেপ্তার অভিযান এত লম্বা হবে।

হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত
মামুনুল হকসহ সংগঠনের ২৫ জনের বেশি শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তারের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হেফাজতের মধ্যে

এরপর একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকেন বেশ কয়েকজন সহকারী মহাসচিব, সহপ্রচার সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। আর ১৮ এপ্রিল ধরা পড়েন আলোচিত নেতা মামুনুল হক।

এই অভিযান শুরুর পরই হেফাজতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হেফাজতের উত্থান যেভাবে

২০১০ সালে নারীনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে কওমি ঘরানার সব দল ও সংগঠন মিলে গঠন করে হেফাজতে ইসলাম। আমির করা হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান শাহ আহমেদ শফীকে। কওমি আলেমদের মধ্যে তিনি মুরুব্বি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তবে সংগঠনটি আলোচিত হয়ে উঠে ২০১৩ সালের এপ্রিল-মে মাসে।

ওই বছর যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণমঞ্চ নামে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে, সেই আন্দোলনের নেতাদের ধর্মদ্রোহী আখ্যা দিয়ে তাদের ফাঁসি দাবি করে হেফাজত। তারা নানা কর্মসূচি দিয়ে ৫ মে ঢাকা অবরোধের ঘোষণা দেয়।

সেদিন বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের পর হঠাৎ করে বিকেলে সংগঠনটি শাপলা চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। আর বিকেলে সেখানে জড়ো হওয়ার পর সেখান থেকে সরে দাঁড়াতে অস্বীকার করে। একপর্যায়ে তারা সরকার পতনের দাবি করতে তাকে।

দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় হেফাজত কর্মীরা। ওই সমাবেশে অংশ নিয়ে পরদিন থেকে নতুন সরকারের ঘোষণাও দেয়া হয়।

হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের মামলাগুলো আবার সচল হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে হেফাজত

সেই সমাবেশকে ঘিরে হেফাজত সে সময়ের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছিল বলে হেফাজতের গ্রেপ্তার এক নেতা আদালতে জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিএনপির এক নেতা তাদের পাঁচ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছিলেন। ‍পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সেই নেতা হলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু।

যদিও হেফাজতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

তবে হেফাজত যখন শাপলা চত্বরে অবস্থান করে, সে সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার কর্মী-সমর্থকদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান। যদিও বিএনপির সেই স্বপ্ন সে সময় পূরণ হয়নি।

ওই রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে হেফাজত কর্মীরা শাপলা চত্বর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। আর অভিযানের পর হাজার হাজার মানুষকে হত্যার গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

বিএনপি ঘরানা ত্যাগ করে সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক

যদিও পরে কারও নাম দিতে পারেননি হেফাজত আর সংগঠনের সে সময়ের শীর্ষ নেতারা। পরে বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গ ত্যাগ করে সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।

এর একপর্যায়ে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্সের সমমান দিয়ে কওমি অঙ্গনের দীর্ঘ বছরের দাবি পূরণ করে সরকার। এই সনদের স্বীকৃতির আশায় ১৯৯৯ সালে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছিল কওমি রাজনৈতিক দলগুলোর জোট ইসলামী ঐক্যজোট।

পরিস্থিতি পাল্টে যায় গত সেপ্টেম্বরে

গত সেপ্টেম্বরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হাঙ্গামায় আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর পরিস্থিতি আবার ঘোলাটে হয়।

গত ১৫ নভেম্বর বাবুনগরীকে আমির করে হেফাজতের ইসলামের ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।

সংগঠনটি বরাবর নিজেদের অরাজনৈতিক দাবি করে আসলেও এই ১৫১ জনের সিংহভাগেরই রাজনৈতিক পরিচয় আছে। আর এদের বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক।

হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত
গত সেপ্টেম্বরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হাঙ্গামায় আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতের নেতৃত্বে আসেন বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গীরা

এবার কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোট ছেড়ে আসা দলগুলোর নেতাদের বাদ দেয়ার পরই হেফাজতের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মাওলানা রুহুল আমিন দুটি কওমি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। তাকেও কোনো পদে রাখা হয়নি, যদিও বাকি চারটি বোর্ডের চেয়ারম্যানদের রাখা হয়েছে।

রুহুল আমিন আওয়ামী ঘনিষ্ঠ আলেম হিসেবে পরিচিত। তিনিও কওমি সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

বাদ পড়েছেন বিএনপি-জামায়াত জোট থেকে বের হয়ে যাওয়া ইসলামী ঐক্যজোটর মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ। তিনি আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

তবে ২০ দল ছাড়ার পর ইসলামী ঐক্যজোট থেকে বের হয়ে অন্য দলে যোগ দেয়া জুনায়েদ আল হাবিবকে ঠিকই কমিটিতে রাখা হয়েছে।

রাজনীতি নিয়ে নাক গলানো শুরু

হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পরেই সংগঠনের নেতারা রাজনৈতিক বিষয়ে নানা বক্তব্য দিতে থাকেন।

হেফাজত নেতারা নানা সভা সমাবেশ ও ওয়াজে বলতে থাকেন, তাদের কথা শুনে দেশ চালাতে হবে। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তারা। এমন বক্তব্যও আসে যে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হলে, তা টেনে ফেলে দেয়া হবে। আবার শাপলা চত্বর পরিস্থিতি তৈরি করা হবে।

হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত
গত নভেম্বরে নতুন কমিটি গঠনের পর থেকেই রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে থাকেন হেফাজত নেতারা

তবে হেফাজত সহিংস হয়ে ওঠে গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ভারতের সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে।

মোদি ঠেকাতে হঠাৎ করেই মাঠে নামে সংগঠনটি। যদিও সফরের চার দিন আগে ২২ মার্চ ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি ঘোষণা দেয়, মোদির সফরের বিরোধী হলেও তারা কোনো কর্মসূচি দেবে না।

তবে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ২৫ মার্চ বায়তুল মোকাররমের সামনের সমাবেশে ঘোষণা করেন, মোদি দেশে এলে সরকার পতনের ক্ষেত্র তৈরি করবেন তারা।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
In the summer the ducks have increased in the Santoshpur forest

গরমে হাঁসফাঁস,সন্তোষপুর বনে বেড়েছে দর্শনার্থীদের সমাগম

গরমে হাঁসফাঁস,সন্তোষপুর বনে বেড়েছে দর্শনার্থীদের সমাগম

মধুপুর বনাঞ্চলের কুল ঘেঁষা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সন্তোষপুর বনাঞ্চল। ৩ হাজার ৬৩৯ একর আয়তনের সংরক্ষিত এ বনে সামাজিক বানর, শাল,গজারী, রাবার,আগর বাগান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।

ঈদকে ঘিরে যান্ত্রিক জীবনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে কুরবানি ঈদের তৃতীয় দিনেও আনন্দ উপভোগ করতে সন্তোষপুর বনাঞ্চলে দেখা গেছে হাজারো মানুষের উচ্ছ্বাস। ভ্যাপসা গরম কিংবা তপ্ত রোদের তীব্রতাও যেনো থামাতে পারেনি তাদের এই আনন্দযাত্রা।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সরেজমিনে সন্তোষপুর শাল, গজারি, রাবার ও আগর বাগানে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। আগত পর্যটকরা খাবার ছিটিয়ে বানরকে কাছে ভিড়ানোর চেষ্টা করছেন। পরে তা আবার ক্যামেরায় বন্দি করে নিচ্ছেন। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেশের নানা প্রান্তের বিনোদন প্রেমী লোকজন পরিবার-

পরিজন ও প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠছেন। দর্শনার্থীদের এ সমাগমকে কেন্দ্র করে ফরেস্ট বিট অফিস সংলগ্ন মাঠে ভ্রাম্যমান খাবার ও বাচ্চাদের খেলাধূলার দোকানের পসরা বসিয়েছে দোকানিরা। একই অবস্থা উপজেলার পদ্মবিল খ্যাত বড়বিলা ও আলাদিনস পার্কের।

স্থানীয় হেলাল মিয়া ও আইনুদ্দিন বলেন, সন্তোষপুর রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে । এতে করে বনে থাকা বানরের খাদ্য ঘাটতিও পূর্ণ হচ্ছে।

রাজধানীর উত্তরা ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী থেকে ঘুরতে আসা রাহিম, শফিকুল ইসলামসহ একাধিক দর্শনার্থীদের দাবি সন্তোষপুর বনে প্রবেশের কাচা রাস্তাঘাটগুলো সংস্কার ও স্পটটিতে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা করা হলে এ পর্যটন স্পটটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

উর্মি রানী জানান, প্রথমবারের মতো সন্তোষপুরে ঘুরতে এসেছি। এখানকার সামাজিক বানরের দল ও বনের সবুজায়ন দেখে আমি মুগ্ধ। এখানে গণশৌচাগার ও বসার নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা থাকলে আরও অনেক সুন্দর হতো।

শিল্পী আক্তার জানান, ঈদের মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে এমন প্রাকৃতিক জায়গাগুলোতে ঘুরতে ফিরতে পেরে বেশ ভালোই লেগেছে। এখানে না আসলে এ সৌন্দর্য উপভোগ করার শান্তি উপলব্ধি করতে পারতাম না। রাস্তার অবস্থা ভালো হলে লোকজনের উপস্থিতি আরও বাড়বে। এতে করে এখানকার পরিবেশও উন্নত হবে। তাই সরকারের নিকট রাস্তা সংস্কার ও বসার ছাউনী তৈরীর দাবি জানান তিনি।

মন্তব্য

জাতীয়
5 in the country in 24 hours in the dengue

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩৮ জন আক্রান্ত

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩৮ জন আক্রান্ত

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (৯ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন।

মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৫ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ১৫ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

জাতীয়
BSF pushed 12 more people in Meherpur of Bangladesh

আরো ১২ জনকে বাংলাদেশের মেহেরপুরে ঠেলে দিলো বিএসএফ

আরো ১২ জনকে বাংলাদেশের মেহেরপুরে ঠেলে দিলো বিএসএফ

মেহেরপুর মুজিবনগরে আবারো নারী পুরুষ শিশুসহ ১২ জনকে পুশ ইন করলো ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

আজ মঙ্গলবার ভোররাতে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত পিলার ১০১ কাগমারী মাঠ দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ।

তারা সীমান্ত পার হয়ে আসলে আনন্দবাস বিওপি ক্যাম্পের টহলরত বিজিবি সদস্যরা আনন্দবাস মাঠ থেকে তাদের আটক করে।

পরে তাদের মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের থানা হেফাজতে নেই।

আটকৃত হল

১। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪২), পিতা- মৃত রহমত আলী, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।

২। মোছাঃ শাহাজাদী খাতুন (৩০), পিতাঃ মৃত শাফেলা ব্যাপারী, সাং- চৌধুরীটারি, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

৩। মোঃ মিরাজ আলী (১৫), পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।

৪। মোঃ হাছেন আলী(২০), পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

৫। মোহাঃ জান্নাতী (১৮), পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।

৬। মোছাঃ হাসিনা খাতুন (১০ দিন), পিতা- মোঃ হাছেন আলী, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

৭। মোছাঃ লাভলী খাতুন (৪২), স্বামী- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

৮। মোঃ বাবুল হোসেন (২৪), পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

৯। মোছাঃ জেসমিন খাতুন (২০), স্বামী- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

১০। মোঃ জাহিদ হোসেন (০৩), পিতা- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

১১। মোঃ জাকের হোসেন (০১), পিতা- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।

১২। মোঃ ইয়াছিন হোসেন (২৫), পিতা- মৃত আজিজুল, সাং- আর্ডিয়েন্স, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম।

অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া মানুষদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক দীর্ঘ ১২/১৪ বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাশিয়াবাড়ি সীমান্ত দিয়ে কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করত এবং সেখানে বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করে জীবন জাপন করে আসছিলো।

হঠাৎ গত ছয়-সাত দিন আগে তাদেরকে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ বিভিন্ন এলাকার ইটভাটা থেকে আটক করে গাড়ি করে নিয়ে এসে সোমবার ভোরবেলায় সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়।

পুলিশ হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুজিবনগর থানার তদন্ত অফিসার জাকির হোসেন জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএফএস তাদেরকে সীমান্তের কাঁটাতার পার করে দেয় পরে বিজিবি তাদের আটক করে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

তারা এখন থানা হেফাজতে আছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
Rangamati on Eid holidays
কাপ্তাইয়ের প্রকৃতির টানে মুগ্ধ ভ্রমণপিপাসুরা

ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল

ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল

ঈদের ছুটিকে ঘিরে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পাহাড়, হ্রদ আর ঝরনার টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। ঈদের ছুটির চতুর্থ দিনেও পর্যটন শহর হিসেবে খ্যাত রাঙামাটি ও কাপ্তাইয়ের জনপ্রিয় বিনোদন স্পটগুলোতে শত শত পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাঙামাটির পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, কাপ্তাই হ্রদ, পর্যটন ঝুলন্ত সেতু, আসামবস্তি কাপ্তাই সড়ক এবং শুভলং ঝরনায় পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝরনা ও নিসর্গ রিভার ভ্যালিসহ পর্যটন স্পটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। হোটেল-মোটেলেও ৭০-৮০% বুকিং আছে।

রাঙামাটি হোটেল কসমস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে আমাদের হোটেলে আগামী শনিবার পর্যন্ত রুম পুরোপুরি বুকিং আছে।

হেটেল হিল অ্যাম্বাসেডর এর রায়হান বলেন, আমাদের হোটেলে প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ রুম বুকিং আছে আগামী কয়েকদিন।

রাঙামাটি পলওয়েল পার্কে সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো বল পার্ক এলাকারজুড়ে শতশত পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। পলওয়েল পার্কের টুরিস্টরা ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই লেকে ভ্রমণ ও পলওয়েল পার্কের বিভিন্ন স্পটগুলোতে পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।

পলওয়েল পার্কে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা নিখিল দাশ দম্পতি বলেন, এখানকার কাপ্তাই লেক ও পলওয়েল পার্ক খুবই সুন্দর। আমরা এখানকার প্রাকৃতিক রুপ দেখে খুবই বিমোহিত।

এদিকে, কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউসে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অসংখ্য পর্যটকের উপস্থিতি। চট্টগ্রামের সিটি গেইট এলাকা থেকে আসা পর্যটক আলাউদ্দিন ও টিপু বলেন, ‘কাপ্তাইয়ে আমরা বন্ধুরা ঘুরতে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে। আমরা বোট রাইডিং করেছি, অসাধারণ প্রকৃতি।’

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা এলাকা থেকে আসা জাহাঙ্গীর, নাছির, ফারুক সিকদার ও তৌহিদ জানান, ‘কাপ্তাই আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। পরিবেশ দারুণ। পর্যটন শিল্পে কাপ্তাইয়ে প্রচুর উন্নতি হয়েছে।’

নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউসের পরিচালক মো. আফসার উদ্দিন জানান, ‘ঈদের টানা ছুটিতে আমাদের বিনোদন কেন্দ্রে প্রচুর পর্যটক এসেছে। আমাদের ১৭টি কটেজ ঈদের দিন থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত পুরোপুরি বুকিং। পাশাপাশি, আমাদের নিসর্গ রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে দেড় থেকে দুই শতাধিক মানুষ খাবার উপভোগ করছেন।’

এদিকে, কাপ্তাই নৌবাহিনীর শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটি পরিচালিত লেক প্যারাডাইসে গিয়েও দেখা গেছে পর্যটকের ভিড়। কাপ্তাই লেকের এক বোট চালক মো. জাহাঙ্গীর জানান, ‘এখানে প্রচুর পর্যটক এসেছে। অনেকে বোট নিয়ে কাপ্তাই লেক ঘুরছেন।’

এছাড়া কাপ্তাই ৪১ বিজিবি পরিচালিত ওয়াগ্গা প্যানোরোমা জুম রেস্তোরাঁ, কাপ্তাই রিভার ভিউ পার্ক, সেনাবাহিনী পরিচালিত জীবতলি লেকশোর ও লেকভিউ আইল্যান্ড, ফ্লোটিং প্যারাডাইস, বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অসংখ্য পর্যটক ঈদের ছুটি উপভোগ করছেন।

চট্টগ্রামের পর্যটক সাবরিনা সুলতানা জানান, শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি আর কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এখানকার পরিবেশও বেশ পরিচ্ছন্ন। খুব ভালো সময় কাটাচ্ছি।’

রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, আজকে রাঙামাটি পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুতে প্রচুর পর্যটক ভ্রমণ করছেন। মোটেলেও আাগামী ১৩ জুন পর্যন্ত রুম বুকিং আছে। এই ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে প্রচুর টুরিস্ট ভ্রমণ করছেন।

মন্তব্য

জাতীয়
A special operation in Mohammadpur was arrested

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সেলিম (৪৫), রফিক (৪০), সাদ্দাম (৩০), উজ্জ্বল (৩২) ও শামীম (২৫)।

গতকাল সোমবার (৯জুন) মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১জন, মাদক মামলায় ১জন, দূস্যতার মামলায় ১জন এবং অন্যান্য মামলায় ২জন।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
The body of a student of the Faculty of Fine Arts in Manikganj is recovered

মানিকগঞ্জে ঢাবি চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ঢাবি চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ করে পুলিশ।

নিহত শাকিল ঢাবির চারুকলা অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দক্ষিণ জামশা গ্রামের নাসিরুদ্দিন আহমেদের ছেলে।

সিঙ্গাইর পুলিশ জানায়, প্রায় সাত থেকে আট মাস আগে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে অন্যের পোস্টে ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকর মন্তব্য করেন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি কমেন্ট মুছে ফেলেন। এরপর গত সোমবার ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে নতুন করে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ফেসবুকে শাকিলকে অনেকে হুমকি দেন। সোমবার রাতে নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন বাড়িতে গিয়ে শাকিলকে ও তার পরিবারকে হুমকি দেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Fakhrul calls for the interim government to rewrite the election schedule

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

অন্তবর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের

এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’

অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’

ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।

তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’

ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।

ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’

ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।

মন্তব্য

p
উপরে