হেফাজতে ইসলামের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে অনেকটা আতঙ্ক বিরাজ করছে রাজধানী ঢাকায়। সড়কগুলোকে মানুষের চলাফেরা যেমন কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তেমনি যানবাহনও চলছে কম।
সায়েদাবাদ-সাইনবোর্ড
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল দেখা যায়, সকাল থেকে দূর পাল্লার বাস ছেড়েছে কমই। তবে হরতালকারীদের আধিপত্য বেশি নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায়। পৌনে একটার দিকেও এলাকাটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ছিল হরতালকারীদের। এই এলাকায় কোনো যানবাহন চলাচল দেখা যায়নি।
সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ থাকার পর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কিছুটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটকে পড়া গাড়িগুলো সামনে গার্ড দিয়ে সাইনবোর্ড মোড় থেকে কাঁচপুরের দিকে কিছুটা এগিয়ে যায়। সানারপাড় পর্যন্ত আসার পর হরতাল সমর্থকদের বাধায় থামতে হয়।
গাড়িগুলো আটকে পড়ার পর ইট পাটকেল ছুড়া শুরু করে হরতাল সমর্থকরা। বিজিবি পাল্টা গুলি ছুড়ে। হরতাল সমর্থকদের অন্তত ১০টি বাস ও প্রাইভেটকার ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।
গুলি ছোড়ার শব্দও শোনা গেছে। হরতাল সমর্থকদের দাবি, গুলিতে দুজন আহত হয়েছে।
অবশ্য সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম জানালেন, হরতালের কারণে বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো রুটের বাস চলাচল থেমে নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবহন মালিক শ্রমিকরা এই অবৈধ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছি। সকাল থেকে সাইনবোর্ড এলাকা অবরুদ্ধ থাকায়, ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের বাসগুলো আটকা পড়ে আছে। ঢাকা সিলেট রুটের বাস চলছে ডেমরা রাস্তা ধরে। অন্যদিকে খুলনা বরিশালের বাসগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।’
মহাখালী
বাস ও যাত্রী চলাচলও কম দেখা গেছে মহাখালী বাস টার্মিনালে। আশপাশের দোকানপাটও বন্ধ। এই এলাকার ফিলিং স্টেশনগুলোতে অন্যান্য দিন ভিড় থাকলেও এদিন দেখা গেল অনেকটা ফাঁকা।
আবেদিন সুলতান নামে এক পথচারী নিউজবাংলাকে বলেন, টিভিতে দেখে ভাবলাম রাস্তাতেই বের হওয়া যাবেনা। বাট ইমার্জেন্সি হওয়ায় ভয়ে ভয়েই বের হলাম। দেখলাম যে পরিস্থিতি মোটামোটি স্বাভাবিকই আছে।
পল্টন-শাহবাগ
একই চিত্র পল্টন, বায়তুল মোকাররম প্রেস ক্লাব, শাহবাগ ও সায়েন্সল্যাব এলাকায়। যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম। আর হরতাল থাকায় প্রেস ক্লাব ঘিরেও নেই তেমন কোনো কর্মসূচি। জনমনে যেন আতঙ্ক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
শাহবাগ মোড়ে প্রতিদিন তীব্র যানজট লেগে থাকলেও হরতালে অনেকটাই ফাঁকা। যাত্রীদের ভিড়ও খুব বেশ দেখা যায়নি ৷
তবে সকাল থেকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে নিউজবাংলাকে জানান দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য।
নাম প্রকামে অনিচ্ছুক এই পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ভোর থেকেই দায়িত্ব পালন করছি৷ এখন পর্যন্ত খারাপ কিছু ঘটতে দেখিনি ৷ তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ি কম চলছে।’
অফিসের উদ্দেশে শাহবাগ মোড়ে গাড়ির অপেক্ষায় থাকা কামরুল ইসলাম নামের এক কর্মজীবী বলেন, ‘আমার কাজ তো বন্ধ হয়নি৷ হরতাল, তারপরও রিস্ক নিয়ে যেতে হচ্ছে।’
হেফাজতের হরতালে বিরক্ত প্রকাশ করেন দেওয়ান গাড়ির চালক নুরুল ইসলাম। বলেন, ‘তাদের লোক মারা গেছে ঠিক আছে৷ কিন্তু এটির প্রতিবাদ তারা অন্যভাবেও করতে পারতো। এখন আমাদের রিস্ক নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। যাত্রীও তেমন নেয়।’
হাতিরঝিল থেকে মিরপুর
মোটরসাইকেলে করে হাতিরঝিল, ফার্মগেট, সংসদ ভবন, শ্যামলী, টেকনিক্যাল হয়ে মিরপুর এলাকা ও গাবতলী এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে যান ও যাত্রী চলাচল অনেক কম। কিছু বাস চলতে দেখা গেলেও তেমন যাত্রী ছিল না। মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
টেকনিক্যাল মোড়ে অপেক্ষমান শহিদুল ইসলাম নামে এক পাঠাও চালক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হরতাল তেমন বেশি দেখা না গেলেও মানুষ আতঙ্কে বের হচ্ছে না। ফলে যাত্রীও পাচ্ছি না। অন্যদিন দাঁড়াতেই যাত্রী পেয়ে যাই। আজ দাঁড়িয়ে থেকেও যাত্রী পাচ্ছি না।’
গাবতলী বাস টার্মিনাল
গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে দূর পাল্লার রুটের যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। ফলে কম সংখ্যায় গাড়ি ছাড়ছেন বলে জানালেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
মাগুরা মোহাম্মদপুর রুটে চলাচল করে গোল্ডেন লাইন পরিবহন। ওই পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জসিমউদ্দিন জানান, ‘আজকে গাড়ি অন্য স্বাভাবিক দিনের চেয়ে কম, কারণ যাত্রী সংখ্যা কম। না হলে আমরা গাড়ি ছাড়তাম। সকালে একটি গাড়ি গাবতলী ছেড়ে গেছে। তবে দুপুর থেকে গাড়ি আছে।’
সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. উজ্জ্বল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে অন্য স্বাভাবিক দিনের চেয়ে কম। এ কারণে গাড়িও আমরা কম ছেড়েছি।’
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের যাত্রী রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে তবে কম। তিনি বলেন, ‘হরতালে কোনো জরুরি কাজ ছাড়া আসলে কেউ কোথাও যেতে চায় না। মানুষের মধ্যে তো আতঙ্ক রয়েছেই।’
সদরঘাট
মাঝেমধ্যে দু একটি লোকাল পাবলিক বাস চলাচল করলেও তেমন কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। রাস্তা-ঘাট অনেকটাই ফাঁকা। সদরঘাট এলাকা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।
তবে বাবুবাজার ব্রিজের নিচে থেকে বেড়িবাঁধ দিয়ে লোকাল বাস, লেগুনা, সিএনজি চলাচল সাভাবিকভাবেই করছে। তবে সদরঘাট থেকে খুবই কম সংখ্যক পরিবহন গাজীপুর বা গাবতলীর দিকে ছেড়ে গেছে বলে জানলেন বাংলা বাজারের বইয়ের ব্যবসায়ী নিরুপ ঘোষ।
নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে মানুষ অনেকটা শঙ্কার যায়গা থেকেই সাভাবিক চলাচল বন্ধ করেছে। কারণ, হরতালকারীরা যদি হঠাৎ করে আক্রমণ চালায় তাতে সমস্যা বা ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।’
তবে আদালতের কার্যক্রম সাভাবিকভাবেই চলছে।
সদরঘাট এলাকায় বিভিন্ন মোড়ে কড়া পুলিশ পাহারা চলছে। যদিও সকাল থেকে হরতালকারীদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। তবে সাধারণ মানুষ বিষয়টি নিয়ে খানিকটা আশঙ্কায় রয়েছে।
গুলশান রামপুরা বাড্ডা
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা, গুলশান-১ পুলিশ প্লাজা, রামপুরা, মেরুল বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা, উত্তর ও দক্ষিণ বাড্ডা এলাকায় যান চলাচল অন্য দিনের তুলনায় কম দেখা গেছে। যাত্রীও কম।
এসব এলাকায় অন্যান্য দিন যানজট দেখা গেলেও এদিন ছিল অনেকটাই ফাঁকা। মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান দেখা যায়। তবে সকাল থেকে এসব এলাকায় কোথাও হরতালে সমর্থনে কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
মালিবাগ বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী আশরাফুল ইসলাম, ‘আমার কর্মস্থল গুলশান প্রতিদিন মগবাজার পার হয়ে হাতিরঝিল মধ্যে দিয়ে অফিসে যেতে হয়। অন্যদিন মগবাজার মোড়ে ১৫ মিনিট জ্যামে বসে থাকতে হয়। তবে আজ হরতাল থাকার কারণে জ্যাম ছিল না। যানবাহন অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল। ফলে ১৫ মিনিট আগেই তিনি অফিসে পৌঁছেছেন তিনি।’
এয়ারপোর্ট-উত্তরা
এয়ারপোর্ট ও উত্তরা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে স্থানীয় পর্যায়ে সিএনজি চালিত অটো রিকশা অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক। তবে টঙ্গী, গাজীপুর রোডে বাস চলাচল তুলনামূলক কম। রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেলেও হরতালের কোনো আলামত চোখে পড়েনি।
ফুডপান্ডার এককর্মী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্যদিন সাইকেলে চলাচল করলে জ্যামের কারণে মোড়ে মোড়ে থেমে যেতে হয়। আজ যানবাহন কম থাকায় রাস্তা ফাঁকা। চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
হরতালে বাস চলাচলে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করলেন পরিবহন মালিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আবুল কালাম। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সকাল ছয়টা থেকে নিয়মিত আমাদের মহাখালী টার্মিনাল থেকে সকল রুটের বাস চলাচল করছে। যাত্রীরা আসছেন আমরাও যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
‘গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। আমরা হরতালের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। সকাল থেকে এখন পযর্ন্ত আমাদের গাড়ি চলাচলে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি। তবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চুরখাই বাজারে ঢিল ছুড়ে আমাদের চার-পাঁচটি গাড়ির গ্লাস ভেঙে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:দেশের তিন জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র এবং পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার পাশাপাশি রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়।
তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।
চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার বেলা তিনটায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ। একই দিনে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তাপমাত্রার বিষয়ে অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির গভর্নর হাউসে শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি ও আইসিটি খাতে সহযোগিতা জোরদারের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে অনুভব করি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি, আইসিটি, জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগ ও সংযোগের ক্ষেত্রে এবং বিমসটেকের অধীনে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।’
এর আগে দুই নেতা গভর্নর হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেয়ার আগে ১৫ মিনিটের জন্য একান্ত বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি—একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) সই করা হয়।
মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগ ও সংযোগসহ সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন ও তিনি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করতে এবং দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে আরও আলাপ-আলোচনাকে উৎসাহিত করতে সম্মত হয়েছি। একইভাবে দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগের প্রসার ও সুবিধার্থে আমাদের সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার ঢাকা ও ব্যাংকক যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে, তা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো প্রদান করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সফরটি ‘প্রতিবেশী’ নীতির বৃহত্তর ফোকাসের অংশ, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতি আরও নবায়নের জন্য দুই দেশকে চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, এই সফর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সাহায্য করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গতি সঞ্চার করবে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
‘আগামী দিনগুলোয় আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্কের নতুন গতি বজায় রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কেও থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ কামনা করেছেন।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে শুক্রবার গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসাকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণেরও প্রস্তাবও দিয়েছি।’
বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি, একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি লেটার অফ ইনটেন্টে (এলওআই) সই করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত।
‘সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গতিশীল অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডকে আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখি।’
বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান পরিসর বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি প্রধানমন্ত্রীকে (থাভিসিন) আশ্বস্ত করেছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার ও শুধু থাইল্যান্ডের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:দেশের দুটি জেলায় অতি তীব্র ও ১৬টিতে তীব্র দাবদাহ চলছে জানিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, সেটি অব্যাহত থাকতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে জানানো হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা এবং খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার (১০ জেলার মধ্যে বাকি আটটি) ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়।
তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।
তাপমাত্রার বিষয়ে অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইউএনবি জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান থাই প্রধানমন্ত্রী।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় নথিতে সই করা হয়। দুই নেতার মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিট একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গভর্নমেন্ট হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দলের দেয়া গার্ড অফ অনার পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইয়ে সই করার আগে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন।
গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগ করার আগে শেখ হাসিনা সেখানে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন:মেট্রোরেলের চলমান প্রকল্পটি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় নাগরিক সমাজ।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মেট্রোরেলের এমআরাটি-৫ ও এমআরটি-৬-এর চলমান প্রকল্পটি হেমায়েতপুর থেকে নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ অথবা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পে সরকার যদি কোনোরকম জটিলতা মনে করে তাহলে এমআরটি-৬ প্রকল্প উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে বিরুলিয়া হয়ে সাভার রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে তা নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিও জানান তারা।
কর্মসূচিতে সড়কের উপর দিয়ে সম্ভব না হলে মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের যে প্রকল্প রয়েছে, সেই প্রকল্পে সাভারকে যুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সাভার নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি কামরুজামান খান।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের প্রকল্প সাভার পৌর এলাকার শেষ সীমানা পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবকে এ ব্যাপারে অবগতপত্র দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রেলমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকে পত্র দিয়ে এবং সরাসরি সবকিছু অবগত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত সাভারবাসী রেলসেবা পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাভারের লাখ লাখ মানুষ মেট্রেরেলের সুবিধা প্রত্যাশা করেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হক, সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষানুরাগী সালাহউদ্দিন খান নঈম, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ, সংস্কৃতিকর্মী স্বরণ সাহা, প্রভাত ডি রোজারিও, বন্ধুরহাট যুব সংগঠনের আলোকুর রহমান, জাগরণী থিয়েটারের সভাপতি আজিম উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য