× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
ডাক্তারকে বিয়ে করা সেই নাপিত জেলে
google_news print-icon

ডাক্তারকে বিয়ে করা সেই নাপিত জেলে

ডাক্তারকে-বিয়ে-করা-সেই-নাপিত-জেলে
গত ২৩ ডিসেম্বর রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে নাপিত-ডাক্তার দম্পতিকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। পরে তাদের আদালতে তোলা হয়। ছবি: সংগৃহীত
এই দম্পতিকে ২৩ ডিসেম্বর রংপুর মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তোলা হয়। বিচারক চিকিৎসককে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দিলেও আটকে দেন তার স্বামীকে। ওই চিকিৎসক আদালতকে জানান, তিনি অপহৃত হননি, তারা বিয়ে করেছেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আতিউর রহমান এ বিষয়ে বলেন, এটি আদালতের এখতিয়ার।

চিকিৎসককে বিয়ে করে অপহরণ মামলার আসামি হওয়া নাপিত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি।

যদিও তদন্ত সংস্থা সিআইডি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিল, অপহরণের ঘটনা ঘটেনি, দুজন ভালোবেসে বিয়ে করেছেন, তার পরেও বিচারক তাকে কারাগরে পাঠিয়েছেন।

সম্প্রতি এই দম্পতিকে উদ্ধার করে গণমাধ্যমের সামনে আনার ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মধ্যেই এই আদেশ এসেছে রংপুরের একটি আদালত থেকে। ওই চিকিৎসক প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তাকে স্বামীছাড়া থাকতে হবে। তিনি নিজেও আদালতে গিয়ে বলেছেন, তিনি অপহৃত হননি।

একটি অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমকে ওই নারী বলেন, ‘আমি জানি না কোর্ট কেন তাকে আটক করে দিল। আমি তো কোর্টে সাক্ষ্য দিয়েছি, সব বলেছি; তারপরও ওকে কেন আটক করল, আমি জানি না।’

গত ২৩ ডিসেম্বর রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে পুলিশ ওই দম্পতি ও তাদের সন্তানকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করে। পুলিশের বক্তব্য ছিল, নাপিত প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার ২১ মাস পর সন্তানসহ ওই গাইনি চিকিৎসককে উদ্ধার করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে নারী চিকিৎসক স্পষ্টতই বলেন, তিনি নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করে সুখী আছেন। তাকে কেউ অপহরণ করেনি।

এরপর দুই জনকে আদালতে তোলে পুলিশ। বিচারক নারী চিকিৎসককে জামিন দিলেও আটকে দেন তার স্বামীকে।

ওই চিকিৎসকের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সম্পর্ক তৈরি হয় আরেক জনের সঙ্গে। পরিবারের অমতে বিয়ে করে চলে আসেন ঢাকায়। রোগী দেখে চালান সংসার। একটি সন্তানও হয়েছে। আগের সংসারের সন্তানকেও দেখাশোনা করেন তিনি।

চিকিৎসকের সন্ধান না পাওয়ার পর তার বাবা ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ রংপুরের কোতয়ালি থানায় অপহরণ মামলা করেন। আসামি করা হয় ওই নারীর বর্তমান স্বামীকে।

থানা পুলিশ ব্যর্থ হওয়ার পর তদন্তের ভার পায় সিআইডি। তারা ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাড়িতে দম্পতির অবস্থানের কথা জানতে পারে। সেখান থেকে ধরে নিয়ে রংপুর সিআাইডি কার্যালয়ে হাজির করা হয় দুই জনকে। সাংবাদিক ডেকে ছবিও তোলা হয়।

এরপর তাদেরকে হাজির করা হয় রংপুর মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আতিউর রহমান বলেন, ‘চিকিৎসকের বাবার করা অপহরণ মামলায় তাকে (স্বামী) আদালত জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মেয়ে (নারী চিকিৎসক) যেহেতু সাবালক, সেহেতু তাকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছেন (বিচারক)। আগের সংসারের বাচ্চাকেও মায়ের জিম্মায় দিয়েছেন। তবে তার বাবা যখন ইচ্ছা করে দেখা করতে পারবেন।’

তাহলে কেন স্বামীকে আটকে দেয়া হলো, এমন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সেটা আদালতের এখতিয়ার, আমি বলতে পারব না।’

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক ইউনুস আলী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করি। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোহাম্মদপুরের চানমিয়া হাউজিং থেকে (দম্পতিকে) গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসি। যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে মামলা ছিল, আদালতে হস্তান্তর করি।’

‘কিন্তু চিকিৎসক তো বললেন তিনি অপহৃত হননি’- এমন প্রশ্নে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘সেটা আদালতের বিষয়।’

ডাক্তারকে বিয়ে করা সেই নাপিত জেলে
চিকিৎসকের বাবার করা অপহরণ মামলায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি সেই যুবক

শিগগির তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হবে বলেও জানান এই সিআইডি কর্মকর্তা।

অপহরণ যে হয়নি, সেটা নিশ্চিত করেছেন রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাসও। গত ২৬ ডিসেম্বর নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সিআইডি অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারে যে, বাদীর মেয়ে অপহৃত হননি বরং তিনি নিজের ইচ্ছায় ঢাকায় এসে বিয়ে করেছেন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। তবে মেয়েটির আগে এক বার বিয়ে হয় সেখানেও আট বছরের একটি সন্তান আছে।’

তদন্ত কর্মকর্তা ইউনুস আলী জানান, ওই চিকিৎসক যাকে বিয়ে করেছেন, তার নামে কয়েকটি মামলা আছে। তবে তিনি চালান দিয়েছেন এই একটি মামলাতেই।

ওই চিকিৎসক যা বলেছেন, তাতে তদন্তের আর কী বাকি থাকে- এমন প্রশ্নে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, ‘ডাক্তার ওনার বক্তব্য আদালতে দিয়ে চলে গেছেন। এখন আমরা বাকিটা তদন্ত করে দেখব, এর মধ্যে আর কিছু আছে কিনা। সে বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো যাবে।’

এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন

ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। কমিশনের উপপরিচালক সুস্মিতা পাইক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এর থেকে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন আর হতে পারে? একজন নারী কাকে বিয়ে করবেন, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের সংবিধান, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র, সমস্ত জায়গাতেই নারীকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।’

ওই নারীকে সামনে এনে সংবাদ সম্মেলনের তীব্র সমালোচনা করেন মানবাধিকার কমিশনের এই কর্মী। বলেন,‘পাবলিকলি তাকে একটা শিশুসহ এভাবে হেনস্থা করা, এর থেকে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন আর কী হতে পারে। তার মানবিক মর্যাদায় আঘাত হেনেছে এটা, তার আত্মসম্মানে আঘাত হেনেছে।’

ব্যাখ্যা দিতে হবে রংপুর সিআইডি প্রধানকে

ওই নারী চিকিৎসক ও তার স্বামীকে গণমাধ্যমের সামনে এনে ছবি তোলানো ও তার বিয়ে নিয়ে রংপুর সিআইডির প্রধান মিলু মিয়া বিশ্বাসের আপত্তিকর মন্তব্য ভালো চোখে দেখছে না পুলিশ সদরদপ্তরও।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি খুবই স্পর্শকাতর একটি ঘটনা, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। রংপুরের ঘটনা একজন পুলিশ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত অভিমত।’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আইজিপি মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তার (সিআইডি) এই অভিমত সমস্ত পুলিশের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে একটা প্রভাব পড়বে। মানুষের মানবিক মর্যাদার জায়গাগুলো নিয়ে এভাবে কথা বলা কোনোভাবেই তার (সিআইডি কর্মকর্তা) কাছ থেকে আশা করা যায় না।’

যা বলেছিলেন রংপুর সিআইডির প্রধান

এই ঘটনাটি নিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর রংপুর সিআইডির এসপি মিলু মিয়া বিশ্বাসের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। তার মতে, নাপিতকে বিয়ে করা ডাক্তারের উচিত হয়নি। এটা নৈতিক অপরাধ হয়েছে।

কীভাবে নৈতিক অপরাধ হয়েছে, তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘তার আগে একটা বাচ্চা ছিল; সাত-আট বছর বয়স। সেই বাচ্চাসহ তিনি চলে গেছেন। আরেকজনের বাচ্চা নিয়ে গেছেন। যদি আপনার বাচ্চা নিয়ে যেতেন তবে আপনি কি অপহরণ মামলা দিতেন না? আপনি যখন মামলা দেবেন, তখন আমার দায়িত্ব বাচ্চা খুঁজে বের করার। সেই বাচ্চার বৈধ মালিক তো মা না, আগের ওই স্বামী।’

সিআইডি কর্মকর্তা এই দাবি করলেও দেখা যায়, ওই নারী চিকিৎসকের আগের স্বামী মামলা করেননি, তার সন্তানকে কাছে রাখার দাবি করে আদালতেও যাননি।

এরপর সিআইডি কর্মকর্তা টানেন নারী চিকিৎসকের স্বামীর পেশাগত পরিচয়ের প্রসঙ্গ। তার দাবি, একজন নাপিতের সঙ্গে একজন চিকিৎসকের বিয়ে হওয়া উচিত না।

তিনি বলেন, ‘তিনি (নারী চিকিৎসক) একে তো আইনগত অপরাধ করেছেন (যদিও কোন আইনে অপরাধ তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি)। তারপর নৈতিক অপরাধ করেছেন। তিনি একজন ডাক্তার। তিনি যার সঙ্গে চলে গিয়েছেন, তার সঙ্গে তার যাওয়া মানায় না।

‘তিনি ডাক্তার সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। একজনের আট বছরের বাচ্চাকে নিয়ে ভেগে গেছেন। সেই বাচ্চার সঙ্গে বাবার কোনো যোগাযোগ করতে দেননি। একদম গায়েব হয়ে গেছেন। এইগুলো তো অপরাধ।

‘এইগুলা নৈতিক অপরাধ। এটা বিচারাধীন বিষয়, তবে তাতে সমস্যা নেই। আমরা মিডিয়ার সঙ্গে কাজ করি। আর আমরা যদি এই তথ্য প্রকাশ না করি তবে সমস্যা হবে। সমাজের তো বোধোদয় হতে হবে। এমন বোধোদয় আমাদের হওয়া উচিত।’

সেই সংবাদ সম্মেলনে সচেতনতা তৈরি হবে দাবি করে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এই উদাহরণগুলো কেন দেই? যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। তিনি একজন ডাক্তার। তাকে কি এমন কারও সঙ্গে চলে যেতে হবে? তার কাছে কি আর কোনো রাস্তা ছিল না? আমরা এটা জানান দিতে চেয়েছি।’

আরও পড়ুন:
নাপিত-ডাক্তারের বিয়ে মানেন না সিআইডি এসপি
বিয়ে করে কানাডা নেয়ার টোপ: ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
This time the maximum fitrah per person is 2640 taka and the minimum is 115 taka

এবার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ফিতরা ২৬৪০ টাকা, সর্বনিম্ন ১১৫

এবার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ফিতরা ২৬৪০ টাকা, সর্বনিম্ন ১১৫ প্রতীকী ছবি

১৪৪৪ হিজরি সালের জন্য জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা ও সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করেছে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি।

আরও আসছে…

আরও পড়ুন:
জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭৫ টাকা
নীলফামারীতে ফিতরা সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা
এবার ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০ টাকা

মন্তব্য

জাতীয়
Journalism cannot be mixed with crime and propaganda Information Minister

অপরাধ ও অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতা মেলানো যাবে না: তথ্যমন্ত্রী

অপরাধ ও অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতা মেলানো যাবে না: তথ্যমন্ত্রী শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ-এর ইফতার আয়োজনে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে ১০ টাকা দিয়ে ফুঁসলিয়ে একটি ১০ বছরের ছেলেকে দিয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা এবং সে না বললেও তার বক্তব্য হিসেবে সেটি প্রচার করা শুধু বাংলাদেশের সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতিরও পরিপন্থী।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের অনুন্মোচিত বিষয় তুলে আনেন, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেন। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। অপরাধ ও অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে মেলানো যাবে না।’

শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ইফতার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আহসান সোহেল সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। সংগঠনের সহ-সভাপতি দীপু সারোয়ারসহ বর্তমান ও সাবেক নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে ১০ টাকা দিয়ে ফুঁসলিয়ে একটি ১০ বছরের ছেলেকে দিয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা এবং সে না বললেও তার বক্তব্য হিসেবে সেটি প্রচার করা শুধু বাংলাদেশের সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থী নয়, সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতিরও পরিপন্থী।

‘এখানে স্পষ্টত জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ লংঘিত হয়েছে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে। এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেই মামলা হয়েছে, এর সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর অনুরোধ জানাই। তবে কারও কোনো হয়রানি যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'দ্রব্যমূল্য নিয়ে, সরকারের সমালোচনা করে প্রায় প্রতিদিন দেশের পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়, টেলিভিশনে রিপোর্ট প্রচার হয়। এ নিয়ে কোনো মামলা তো দূরের কথা, কোনোদিন কাউকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশ্নও করা হয়নি।

‘অথচ এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পত্রিকা থেকে বিদেশি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে তাদের সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা বলে তাদেরকে উস্কানি দেয়া হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট এই অসত্য অপপ্রচার আসলে দেশবিরোধিতা।’

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর অপরাধ এক বিষয় নয়। দেশের সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো, সম্পাদক, প্রকাশক, শিক্ষক, শিল্পী, সুশীল সমাজও স্বাধীনতাকে কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে, বিবৃতি দিয়েছে। কারণ এখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ভারতে বিবিসি কার্যালয়ে তল্লাশি নিয়ে তো উদ্বেগ দেখলাম না: তথ্যমন্ত্রী
বাসন্তীর জালের মতোই শিশুর নামে অসত্য লেখা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
এক-এগারোর কুশীলব ও বিএনপি এক হয়ে ষড়যন্ত্রে: তথ্যমন্ত্রী
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী: তথ্যমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন জিয়া: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

জাতীয়
Bangladesh is working as a model for the world

‘বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য মডেল হিসেবে কাজ করছে’

‘বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য মডেল হিসেবে কাজ করছে’ যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত ও সম্প্রসারণে আগ্রহী, যাতে তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে ও রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানকে এগিয়ে নিতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন এবং বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়নের পথ তৈরি করে বাকি বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে।

শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। সূত্র: বাসস

জুলিয়েটা নয়েস তার বক্তব্যে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয়দানে বাংলাদেশি নেতৃত্ব ও উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, ‘২০১৭ সালে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে সংঘটিত গণহত্যা থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে এসেছিল এবং বাংলাদেশ তাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের সাহায্যের হাত ও হৃদয় উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বন্ধুত্বের অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক পরিসরে সহযোগিতা জোরদার করেছে। দুই দেশ অভিবাসীদের এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক সংযোগের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

‘দুই দেশ বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে প্রতিরক্ষা ও উন্নয়ন অংশীদারত্ব আরও জোরদার করছে। আমি গর্বিত যে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকটে একক বৃহত্তম দাতা দেশ।’

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত ও সম্প্রসারণে আগ্রহী, যাতে তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে ও রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানকে এগিয়ে নিতে পারে।’

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান অংশীদার মনে করে এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।’

ভার্জিনিয়ার স্টেট সিনেটর জে চ্যাপম্যান পিটারসেন, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের নির্বাচন ও দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

জাতীয়
BSP editors forum and Dhaka bar protest against the report that criticizes independence

স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা প্রতিবেদনের প্রতিবাদ সম্পাদক প্রকাশক আইনজীবীদের

স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা প্রতিবেদনের প্রতিবাদ সম্পাদক প্রকাশক আইনজীবীদের

সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফাইল ছবি
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোয় যেভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন করে রাষ্ট্র ও জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি), বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম ও ঢাকা বার এসোসিয়েশন।

সংগঠন তিনটির পক্ষ থেকে শনিবার পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

তিন শতাধিক পত্রিকার প্রকাশকদের সংগঠন বিএসপি’র সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু ও সাধারণ সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরী বিবৃতিতে বলেন, ‘২৬ মার্চ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত ও প্রচারিত দেশের স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে ভুয়া, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ।

‘এই প্রতিবেদন সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার নীতিমালা এবং নৈতিকতার পরিপন্থী। আশা করি এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’

সম্পাদক ফোরামের বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা দ্য ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন ও সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোয় যেভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন করে রাষ্ট্র ও জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

একইসঙ্গে রাতের অন্ধকারে গ্রেপ্তার এড়িয়ে সুনির্দিষ্ট মামলায় দোষীদের বিচারের দাবি জানান তারা।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান (মামুন) ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রথম আলো পত্রিকায় মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, রাষ্ট্র ও স্বাধীনতা বিরোধী সংবাদ প্রকাশ করায় সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

মন্তব্য

জাতীয়
Light to moderate rain may occur in 8 categories

হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে ৮ বিভাগে

হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে ৮ বিভাগে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজেছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে যাওয়া লোকজন । ফাইল ছবি
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে; বাড়তে পারে তাপমাত্রা।

দেশের আটটি বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম/দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।

ঢাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে সূর্য অস্ত যাবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ৫টা ৫০ মিনিটে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে; বাড়তে পারে তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় মাদারীপুরে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে।

আরও পড়ুন:
তিন জেলায় তাপদাহ
বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরতে পারে সাত বিভাগে
দেশে বিক্ষিপ্ত শিলা বৃষ্টির আভাস
প্রথম রোজায় বৃষ্টি হতে পারে দেশের যে বিভাগে
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে সব বিভাগে

মন্তব্য

জাতীয়
Canadian Parliament passes International Mother Language Day Bill

কানাডার সংসদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিল পাস

কানাডার সংসদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিল পাস
এই বিল পাস হওয়ার মাধ্যমে কানাডা এখন থেকে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করবে।

কানাডিয়ান হাউস অফ কমন্স আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (আইএমএলডি) আইনের বিল এস-২১৪ পাস করেছে।

এই বিল পাস হওয়ার মাধ্যমে কানাডা এখন থেকে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করবে। খবর ইউএনবির

শুক্রবার কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, বাংলাদেশি কানাডিয়ান এবং বিশ্বব্যাপী মাতৃভাষার সমর্থকদের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশন ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো এবং পরে জাতিসংঘ কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রয়াত রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালামের অবদানের স্বীকৃতি দেয়।

মিশন বলেছে, ‘কানাডার পার্লামেন্টে বিল এস-২১৪ পাশ করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমিনুল ইসলামের অবদানকেও আমরা স্বীকৃতি দিই।’

বিলটির আলোচনা ও পাশের সময় হাউস অফ কমন্সে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

কেন হার্ডি এমপি বিলটি হাউসে উত্থাপন করেছিলেন এবং এসময় সিনেটর মবিনা এস জাফর উপস্থিত ছিলেন। মবিনা এস জাফর এর আগে কানাডিয়ান সিনেটে বিলটি পাশের নেতৃত্ব দেন।

বাংলাদেশ মিশন বলেছে, ‘বিল এস-২১৪ পাশ করা ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি কানাডার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। বিলটি স্বীকৃতি দেয় যে ভাষা একজন ব্যক্তির পরিচয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অপরিহার্য দিক এবং ভাষাগত বৈচিত্র্যকে উদযাপন করা, প্রচার করা এবং সংরক্ষণ করা উচিত।’

মন্তব্য

জাতীয়
I saw no concern about the search of the BBC office in India Information Minister

ভারতে বিবিসি কার্যালয়ে তল্লাশি নিয়ে তো উদ্বেগ দেখলাম না: তথ্যমন্ত্রী

ভারতে বিবিসি কার্যালয়ে তল্লাশি নিয়ে তো উদ্বেগ দেখলাম না: তথ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রের বিকাশ, গণতন্ত্রের বিকাশ জড়িত। এর ওপর গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চার আমাদের যে সংস্কৃতি সেটিকে আরও গভীরে প্রোথিত করা নির্ভর করে। একইসঙ্গে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও আছে। স্বাধীনতার নামে যদি আমরা কেউ অপসাংবাদিকতা করি তাহলে দেশের আপামর জনগণ এবং সাংবাদিক সমাজ নিশ্চয় সেটিকে সমর্থন করে না।

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের গ্রেপ্তার বিষয়ে আমেরিকাসহ ১২টি দেশের বিবৃতির সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি তাদের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। ভারতের দিকে তাকান, সেখানে কয়েকদিন ধরে বিবিসির কার্যালয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। সেখানে কি বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিবৃতি দিয়েছে ? দেয়া হয়নি। কারণ ভারত বড় দেশ, ভারতের শক্তি-সামর্থ্য বেশি, সেজন্য সেখানে সেই সাহস দেখাতে পারেনি।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরে দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসায় সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে রাষ্ট্রের বিকাশ, গণতন্ত্রের বিকাশ জড়িত। এর ওপর গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চার আমাদের যে সংস্কৃতি সেটিকে আরও গভীরে প্রোথিত করা নির্ভর করে। একইসঙ্গে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও আছে। স্বাধীনতার নামে যদি আমরা কেউ অপসাংবাদিকতা করি তাহলে দেশের আপামর জনগণ এবং সাংবাদিক সমাজ নিশ্চয় সেটিকে সমর্থন করে না। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার নামে রাজনীতি করা যে সমীচীন নয় সেটিও নিশ্চয়ই আপনারা আমার সঙ্গে একমত হবেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কূটনীতিকদের সহায়তা কামনা করেছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা তো প্রথম থেকেই বলে আসছি যে তারা (বিএনপি) জনগণের কাছে যায় না। তারা বিদেশি কূটনীতিকদের ধারে গিয়ে পদলেহন করে। আমি আশা করেছিলাম, তারা দুস্থ মানুষের সঙ্গে ইফতার করবে। সেটি না করে তারা ফাইভ স্টার হোটেলে বসে কূটনীতিকদের সঙ্গে ইফতার করেছে। সেখানে গিয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য অনুনয়-বিনয় করেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে দোষটা কূটনীতিকদের চেয়েও আমাদের অনেকের অনেক বেশি। কারণ আমরা গিয়ে তাদের হাতে-পায়ে ধরি একটু কিছু বলার জন্য। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য। এটি আসলে দেশবিরোধী এবং দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শামিল।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগর সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সফর আলী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ গেছে হাসের আমন্ত্রণে, বিএনপির মতো পদলেহনে না: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির নেতারাই খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতাও প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

p
উপরে