× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
নাপিত ডাক্তারের বিয়ে মানেন না সিআইডি এসপি
google_news print-icon

নাপিত-ডাক্তারের বিয়ে মানেন না সিআইডি এসপি

নাপিত-ডাক্তারের-বিয়ে-মানেন-না-সিআইডি-এসপি
গত ২৩ ডিসেম্বর রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে চিকিৎসক-নাপিত দম্পতিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আমরা এই উদাহরণগুলো কেন দেই? যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। তিনি একজন ডাক্তার। তাকে কি এমন কারও সঙ্গে চলে যেতে হবে? তার কাছে কি আর কোনো রাস্তা ছিল না? আমরা এটা জানান দিতে চেয়েছি: রংপুর সিআইডির এসপি মিলু মিয়া বিশ্বাস।

এক প্রাপ্তবয়স্ক নারী চিকিৎসক ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। তদন্তে নেমে সেটি জানতেও পেরেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। তবুও ওই চিকিৎসক ও তার স্বামীকে ধরে এনে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য দিয়েছে তারা। সাংবাদিক ডেকে ছবিও তোলা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরে। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম রগরগে শিরোনাম দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে, সমালোচনা হচ্ছে এটারও।

ওই নারী যাকে বিয়ে করেছেন, তিনি পেশায় নাপিত। তার পেশার পরিচয় সামনে এনে বক্তব্য দিয়েছে সিআইডি। বলা হয়েছে, এই দম্পতি ব্যভিচার করেছেন। তাদের দাবি, এই দুই পেশার মানুষের মধ্যে বিয়ে হতে পারে না। আর এই বার্তাই দিতে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি)।

ওই চিকিৎসকের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সম্পর্ক তৈরি হয় আরেক জনের সঙ্গে। পরিবারের অমতে বিয়ে করে চলে আসেন ঢাকায়। রোগী দেখে চালান সংসার। একটি সন্তানও হয়েছে। আগের সংসারের সন্তানকেও দেখাশোনা করেন তিনি।

এই নারী চিকিৎসকের বাবা মামলা করেছিলেন ‘মেয়েকে অপহরণের’ অভিযোগ এনে। দুই বছর পর তাদের সন্ধান পায় সিআইডি। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে আটক করে রংপুর নিয়ে গিয়ে ২৩ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে আনা হয় এই দম্পতিকে। সেখানে বড় করে বলা হয় পুরুষটির পেশাগত পরিচয়, যা আপাতদৃষ্টিতে একজন নারী চিকিৎসকের সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’।

দুই জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করেছেন। এখানে আইনি কোনো ব্যত্যয় হয়নি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কেউ যদি আপাতদৃষ্টিতে অপরাধ করেও থাকে, তার পরেও আসামিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে ছবি তোলার সুযোগ নেই।

২০১২ সালে একজন বিচারককে আটক করে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করার পর হাইকোর্ট এক আদেশে পুলিশকে ভর্ৎসনা করে। এরপর কিছুদিন আসামিদের গণমাধ্যমের সামনে এনে ছবি তোলার প্রবণতা বন্ধ হয়, কিন্তু পরে আবার আগের ধারায় ফিরে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গত ২৩ ডিসেম্বর রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে এনে পুলিশ ওই দম্পতি ও তাদের সন্তানকে সামনে নিয়ে আসে। বক্তব্য ছিল, নরসুন্দর প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার ২১ মাস পর সন্তানসহ ওই গাইনি চিকিৎসককে উদ্ধার করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে নারী চিকিৎসক স্পষ্টতই বলেন, তিনি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করে সুখী আছেন। তাকে কেউ অপহরণ করেনি।

রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেছেন, ‘পুলিশ চেষ্টা করেও তার (বাদী) মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে দেয়া হয়।… সিআইডি অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারে যে, বাদীর মেয়ে অপহৃত হয়নি বরং তিনি নিজের ইচ্ছায় ঢাকায় এসে বিয়ে করেছেন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। তবে মেয়েটির আগে এক বার বিয়ে হয় সেখানেও আট বছরের একটি সন্তান আছে।’

নাপিত-ডাক্তারের বিয়ে মানেন না সিআইডি এসপি
রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস

তাহলে এখানে অপরাধটা কী হলো, আর এই দম্পতিকে গণমাধ্যমের সামনে এনে হেনস্থা কেন করলেন?- এমন প্রশ্ন ছিল সিআইডির রংপুরের এসপির কাছে।

জবাবে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, আইনের লঙ্ঘন না হলেও এতে নীতির লঙ্ঘন হয়েছে বলে তার বিশ্বাস।

-কোন নীতির লঙ্ঘন হয়েছে?

জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা অপরাধ করেছে, ব্যভিচার করেছে।’

-কীভাবে ব্যভিচার হলো?

সিআইডির পুলিশ সুপার বলেন, ‘আপনি আগে আইন বোঝেন। মনে করেন, আপনার ওয়াইফ বাচ্চাসহ আপনার কাছ থেকে চলে গেল। এটা সে করতে পারে না। আইনে এটা নিষেধ আছে। ব্যভিচার করেছে সে। যদি সে মেয়ে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায় তাইলে এটা ঠিক আছে।’

কিন্তু ওই নারী তো তার স্বামীকে আগেই তালাক দিয়েছিলেন, তাহলে এমন কথা কেন- এই প্রশ্ন অবশ্য সিআইডি কর্মকর্তার কাছে আগেই রাখা ছিল, যেটার কোনো জবাব তিনি দেননি।

দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় ব্যাভিচারের সংজ্ঞা ও শাস্তির উল্লেখ আছে। এতে বলা হয়েছে, ‘কোনো পুরুষ যদি জেনেশুনে কোনো বিবাহিত নারীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্মতি না নিয়ে বা তার অজান্তে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন, এবং অনুরূপ যৌন সঙ্গম যদি ধর্ষণ না হয় তাহলে তা ব্যভিচারের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং শাস্তিস্বরূপ সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা কিংবা উভয়ই প্রযোজ্য হতে পারে। এক্ষেত্রে ওই বিবাহিত স্ত্রী অপরাধের সহযোগী রূপে কোনো শাস্তি পাবে না।’

সিআইডি সংবাদ সম্মেলন করার পর পুলিশ এই দম্পতিকে আদালতে তোলে। আদালত ওই নারীকে ছেড়ে দিলেও তার স্বামীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

নাপিতের সঙ্গে ডাক্তারের বিয়ে নৈতিক অপরাধ

কোন বিবেচনায় এই দম্পতিকে গণমাধ্যমের সামনে এনে ছবি তোলানো হলো?- এমন প্রশ্নে সিআইডির সুপার বলেন, ‘তার আগে একটা বাচ্চা ছিল; সাত-আট বছর বয়স। সেই বাচ্চাসহ তিনি চলে গেছেন। আর এক জন লোকের বাচ্চা নিয়ে গেছেন। যদি আপনার বাচ্চা নিয়ে যেতেন তবে আপনি কি অপহরণ মামলা দিতেন না? আপনি যখন মামলা দেবেন তখন আমার দায়িত্ব বাচ্চা খুঁজে বের করার। সেই বাচ্চার বৈধ মালিক তো মা না, আগের ওই স্বামী।’

সিআইডি কর্মকর্তা এই দাবি করলেও ওই নারী চিকিৎসকের আগের স্বামী মামলা করেননি, তার সন্তানকে কাছে রাখার দাবি করে আদালতেও যাননি।

এরপর সিআইডি কর্মকর্তা টানেন নারী চিকিৎসকের স্বামীর পেশাগত পরিচয়। তার দাবি, এক জন নাপিতের সঙ্গে এক জন চিকিৎসকের বিয়ে হওয়া উচিত না।

তিনি বলেন, ‘তিনি (নারী চিকিৎসক) একে তো আইনগত অপরাধ করেছেন (যদিও কোন আইনে অপরাধ তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি)। তারপর নৈতিক অপরাধ করেছেন। তিনি এক জন ডাক্তার। তিনি যার সঙ্গে চলে গিয়েছেন, তার সঙ্গে তার যাওয়া মানায় না।

‘তিনি ডাক্তার সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। এক জনের আট বছরের বাচ্চাকে নিয়ে ভেগে গেছেন। সেই বাচ্চার সঙ্গে বাবার কোনো যোগাযোগ করতে দেননি। একদম গায়েব হয়ে গেছেন। এইগুলো তো অপরাধ।

‘এইগুলা নৈতিক অপরাধ। এটা বিচারাধীন বিষয়, তবে তাতে সমস্যা নেই। আমরা মিডিয়ার সঙ্গে কাজ করি। আর আমরা যদি এই তথ্য প্রকাশ না করি তবে সমস্যা হবে। সমাজের তো বোধোদয় হতে হবে। এমন বোধোদয় আমাদের হওয়া উচিত।’

সেই সংবাদ সম্মেলনে সচেতনতা তৈরি হবে দাবি করে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এই উদাহরণগুলো কেন দেই? যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। তিনি এক জন ডাক্তার। তাকে কি এমন কারও সঙ্গে চলে যেতে হবে? তার কাছে কি আর কোনো রাস্তা ছিল না? আমরা এটা জানান দিতে চেয়েছি।’

আদালতের আদেশের লঙ্ঘন

২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর ভোলার বিচারক জাবেদ ইমামকে ঢাকার নীলক্ষেত থেকে ফেনসিডিলসহ আটকের কথা জানায় পুলিশ। সে সময় তাকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়।

সে সময় এই ঘটনাটি নিয়ে আদালত উষ্মা প্রকাশ করে। কেন তাকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হলো, সে প্রশ্নে পুলিশ কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

হাইকোর্ট তখন নির্দেশ দেয় গ্রেপ্তার বা সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর কোনো ব্যক্তিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা যাবে না।

২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ওই বিচারককে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। সেই সঙ্গে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্ট আরেক আদেশে বলে, আদালতে হাজির করার আগে কোনো আসামিকে প্রচার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমের (মিডিয়া) সামনে উপস্থাপন করা যাবে না। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজির) প্রতি নির্দেশও দেয়া হয়।

ওই ঘটনার আগে পুলিশের প্রবণতা ছিল আসামিকে হাজির করে তার বুকে কথিত অপরাধের বিবরণসহ স্টিকার ঝুলিয়ে রাখা। এখন অবশ্য সে প্রবণতা কমেছে।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রংপুরে যা হয়েছে, সেটাই আইনের লঙ্ঘন। দুইজনই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তারা নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন। সেখানে অপহরণ মামলাই তো হয় না।’

মেয়ের বাবা অপহরণ মামলা করেছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মেয়ের বাবা এটা করতে পারেন। কিন্তু পুলিশ যখন তদন্ত করে দেখল যে, এটা অপহরণ না, তখন তারা এটার ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দেবে। এখানে তাদের আর কিছু করার নেই।’

সিআইডি খুবই অনুচিত কাজ করেছে দাবি করে এই আইনজীবী বলেন, ‘তদন্তে তারা যা যা পেয়েছেন সেটা আদালতে দেবেন। এটা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত না। এত এত মামলা হচ্ছে, অপহরণ হচ্ছে সেখানে তারা একটা দম্পতিকে ধরে মিডিয়ার সামনে নিয়ে যাবে?’

গণমাধ্যমের কী দায়িত্ব?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদের ছবি মিডিয়াতে প্রকাশ করা একদম নীতিবিরুদ্ধ ও গর্হিত কাজ। তাদেরকে মিডিয়াতে দেখানো যাবে না।

‘তারা প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের বিয়ে করার অধিকার আছে। এখানে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। মিডিয়াতে দেখানোর ফলে যে এথিক্যাল সাংবাদিকতা সেখানে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। এটা খুবই অনৈতিক সাংবাদিকতা হয়েছে।’

এসব ঘটনায় হাইকোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবেদন করা হয়েছিল জানিয়ে এই গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের পক্ষে তখন রায় এসেছিল। তারপরেও এটা মানছে না।’

আরও পড়ুন:
বিয়ে করে কানাডা নেয়ার টোপ: ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
The issues that will be important in the visit of the Emir of Qatar to Bangladesh

কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ছবি: ইউএনবি
কাতারের আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে সূত্রটি বলেছে, সফরকালে এসব এমওইউ ও চুক্তি সই করা হবে।

আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বাংলাদেশ সফরে কিছু বিষয়ে গুরুত্ব পাবে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।

ওই সূত্র বার্তা সংস্থাটিকে জানায়, শেখ তামিমের সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।

কাতারের আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে সূত্রটি বলেছে, সফরকালে এসব এমওইউ ও চুক্তি সই করা হবে।

ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের আমিরের দুই দিনের সফরটি হতে পারে আগামী ২১ থেকে ২২ এপ্রিল।

বার্তা সংস্থাটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব এমওইউ ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে। সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় সভা করেছে।

গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিষয়ে জাতিসংঘের সম্মেলন এলডিসি-৫-এর পার্শ্ববৈঠকে কাতারের আমির শেখ তামিমের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই বৈঠকে কাতারের কাছে বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর একই বছরের ৪ মার্চ বাংলাদেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কাতার।

১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে কাতার।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে বৈশ্বিক গণমাধ্যম তৈরিতে সহযোগিতা করবে কাতার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
আবুধাবিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি চালক নিহত
কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে শোক পালন করছে বাংলাদেশ
কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে সোমবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক
কুয়েতে ৪০ দিনের শোক ঘোষণা, নতুন আমির শেখ মেশাল

মন্তব্য

বিশেষ
Rain with gusty winds may occur in seven divisions

ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে সাত বিভাগে

ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে সাত বিভাগে দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফাইল ছবি
পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থান নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আজকের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা আছে, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা সোমবার সকালে ছিল ৮৫%।

আরও পড়ুন:
বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে পাঁচ বিভাগে
কোথাও কোথাও হতে পারে শিলা বৃষ্টি
কালিয়াকৈরে শিলাবৃষ্টিতে তছনছ গ্রামের পর গ্রাম
দিন রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি
ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে চার বিভাগে

মন্তব্য

বিশেষ
A Bangladeshi youth was killed by police in the United States

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার নিউ ইয়র্কের কুইন্সের একটি বাসায় মানসিক অবসাদে ভোগা ওই যুবককে বাধ্য হয়েই গুলি করতে হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে।

নিউ ইয়ক টাইমস বলছে, ১৯ বছর বয়সী উইন রোজারিওকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি ওজোন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটে দ্বিতীয় তলার বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

পুলিশ জনিয়েছে, ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই যুবকের বাসায় গিয়েছিল। এ সময় কাঁচি দিয়ে অফিসারদের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। এরই এক পর্যায়ে তার পায়ে গুলি চালানো হয়।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও বলেন, মা উইনকে ফেরাতে চেষ্টা করছিলেন। তবে এর মধ্যেই পুলিশ গুলি ছুড়েছে। এই গুলি ছোড়ার কোনো দরকার ছিল না।

পুলিশ ডিপার্টমেন্টের টহল প্রধান জন চেল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দুজন অফিসার মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ব্যক্তি সম্পর্কে ৯১১ নম্বরে একটি কল পেয়ে সেখানে যায়। বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয়েছে। বেশ উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছিল। রোজারিও ৯১১ নম্বরে কল করেছিলেন।

উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে যান। উইনের স্বপ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া। পরিবারের গ্রিন কার্ড পেতে দেরি হওয়ায় সেটি আর হয়নি।

নিহতের ভাই উশতো রোজারিও জানান, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক করেছে। সম্প্রতি বিষণ্ণ ছিলেন তিনি। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে।

মন্তব্য

বিশেষ
Yunus Centers information on UNESCO award is misleading Education Minister

ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী

ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী ছবি: সংগৃহীত
এই বিষয়টি যেহেতু প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার, সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার ব্যাখা চাওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কো থেকে যে ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন বলে প্রচার করা হয়েছে, তা প্রতারণামূলক এবং সর্বৈব মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এ ধরনের মিথ্যাচার দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে।

বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকে তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, ইউনেস্কো ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ ধরনের কোনো সম্মাননা প্রদান করেনি।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গজনভি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে ইসরায়েলের ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের তাকে ‘ট্রি অফ পিস’ সম্মাননা স্মারক দেন।’

ভাস্কর হেদভা সেরও নিশ্চিত করেছেন যে, এটি ইউনেস্কোর সম্মাননা বা পুরস্কার নয়। এটি গজনভি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত একটি পুরস্কার।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইউনেস্কো সদর দপ্তরকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করব। ড. ইউনূস ও ইউনেস্কোর নাম নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে সেটি অনৈতিক এবং অপরাধমূলক। সেটি আমাদের দেশের জন্য মানহানিকর- এ তথ্যও জানাব।’

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পীর দেয়া পুরস্কারকে ড. ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছেন। এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অপমানকরও বটে।

‘ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে এটি ইউনেস্কোর পুরস্কার হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। ইউনূস সেন্টারকে অনুরোধ করব যে, এভাবে এ ধরনের ভয়াবহ মিথ্যাচার প্রচারণা থেকে তারা যেন বিরত থাকে। তা না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে বুধবার ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটি সঠিক নয় এবং ইউনুস সেন্টার কর্তৃক দাবিকৃত সম্মাননা ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননাও নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।

এ ধরনের সংবাদ প্রচারকে ‘প্রতারণামূলক ও পরিকল্পিত মিথ্যাচার’ বলে আখ্যায়িত করে ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে ইউনূস সেন্টারকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিশিয়াল ওয়েব পেইজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

“ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ ছাপা হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরোমে ড. ইউনূসকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়, কিন্তু ইউনেস্কো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসস্থ ইউনেস্কো সদরদপ্তর এই বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়।

“১১তম বাকু ফোরাম যেখানে এই সম্মাননা দেয়ার সংবাদ প্রচার হয়েছে, সেখানে ইউনেস্কোর কোন অফিশিয়াল প্রতিনিধিই ছিল না। অধিকন্তু, ইউনূস সেন্টার কর্তৃক দাবিকৃত সম্মাননা ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননাও নয়।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “ড. ইউনুসকে ‘ট্রি অফ পিস’ নামক একটি ভাস্কর্য স্মারক/সম্মাননা প্রদান করেন ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের। মিজ হেদভা নিজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ‘ট্রি অফ পিস’ প্রদানে ইউনেস্কোর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

“নিজামী গনজবী ইন্টারন্যাশন্যাল সেন্টারের আমন্ত্রণে ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের ড. ইউনুসকে এটি প্রদান করেন। মিস হেদভা সের ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক কূটনীতি বিষয়ক গুইউইল অ্যাম্বাসেডর, কিন্তু ইউনেস্কোর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি নন এবং ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার/সম্মাননা দেয়ার এখতিয়ারও রাখেন না।

“সুতরাং, উল্লিখিত বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত এবং প্রচারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতারণামূলক বলে মনে করে তার নিন্দা জানাচ্ছে।

“বাংলাদেশ ইউনেস্কোর অন্যতম সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র। ভবিষ্যতে ইউনেস্কোর মতো জাতিসংঘের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ এবং সুখ্যাতিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম অপব্যবহার থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ইউনূস সেন্টারকে সতর্ক করা হলো।”

এই বিষয়টি যেহেতু প্রতারণামূলক এবং পরিকল্পিত মিথ্যাচার, সেহেতু তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার ব্যাখা চাওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিনজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সহযোগীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন, যেটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।

এ ছাড়াও আয়কর আইন লঙ্ঘনের জন্য তার ব্যক্তিগত আয়কর দাবি আদালতে বিচারাধীন। সুতরাং, তিনি যতদিন আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণিত না হন, ততদিন তাকে কোনো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার কিংবা সম্মাননা প্রদান সমীচীন নয় বলেও উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশে ইউনেস্কোর সঙ্গে কার্যক্রমের জন্য সরকারের ফোকাল পয়েন্ট হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন। কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে, কেউ যাতে ইউনেস্কোর নামের অপব্যবহার কিংবা অপপ্রয়োগ না করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা। সে হিসেবে ইউনেস্কোর নাম অপব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস এবং ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে পরামর্শ করে ইউনেস্কো সদর দপ্তরকে অবহিত করা হবে।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

বিশেষ
On March 25 Xiao attacked the Bengalis Prime Minister

২৫ মার্চ জিয়াও বাঙালিদের আক্রমণ করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী

২৫ মার্চ জিয়াও বাঙালিদের আক্রমণ করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সোয়াত জাহাজে অস্ত্র এসেছিল পাকিস্তান থেকে। সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে সেও পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাঙালিদের ওপরে আক্রমণ করেছিল।’

একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও বাঙালিদের ওপর আক্রমণ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন দাবি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সোয়াত জাহাজে অস্ত্র এসেছিল পাকিস্তান থেকে। সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে সেও পাকিস্তানিদের সঙ্গে বাঙালিদের ওপরে আক্রমণ করেছিল।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পালিয়েছিলেন বলে বিএনপির এক নেতার মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে?’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির এক নেতাকে বলতে শুনলাম, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নাকি পালিয়ে গিয়েছিল। আমি তাদের কাছে জানতে চাই, তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আজকে যে দলটি বড় বড় কথা বলছে, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ পালিয়েছিল, তাহলে যে মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠন করা হলো, সেক্টর ভাগ করা হলো, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জিয়াউর রহমান ছিল একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী।

‘জিয়াউর রহমান যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো এই প্রমোশনটা কে দিল? আওয়ামী লীগ দিয়েছে৷’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল, আমি প্রশ্ন করি, আপনারা কোথায় ছিলেন?’

ভারতীয় পণ্য বর্জনের অংশ হিসেবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর চাদর পোড়ানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা না বলে পারলাম না। বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে পুড়ল। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে?

‘আমি জানি, ঈদের আগে দেখি বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত। আমি এখন বলব বিএনপি নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করব আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কি না এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কি না, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই।’

কিছু বুদ্ধিজীবীর সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু আঁতেল আছে। বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন যিনি। বাংলাদেশে একটা কাণ্ড আমরা দেখি, অতি বাম, অতি ডান। স্বাভাবিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারাটা তারা পছন্দ করেন না।’

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকে সময় দেয়া হয়নি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা না করে উল্টো বিরোধিতা করা হয়েছিল। যারা এখন দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না, তারাই জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করেছিল।’

আরও পড়ুন:
স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানিকে সংবর্ধনা
স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
পরাজিত শক্তি দেশের অভিযাত্রা স্তব্ধ করতে ওত পেতে আছে: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

বিশেষ
Passenger welfare association demands extension of Eid holiday by two days

ঈদের ছুটি দুই দিন বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

ঈদের ছুটি দুই দিন বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির ঈদযাত্রা নিরাপদ ও ভোগান্তিমুক্ত করতে বুধবার সকালে ডিআরইউ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংস্থাটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সকল পথে যাতায়াত পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে।’

আসন্ন ঈদে যাতায়াতে দুর্ভোগ, পথে পথে যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ভাগে ভাগে যাওয়ার সুবিধার্থে ছুটি দুই দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

ঈদযাত্রা নিরাপদ ও ভোগান্তিমুক্ত করতে বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানান সংস্থাটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে মোজাম্মেল জানান, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে এক কোটি, গাজীপুর থেকে ৪০ লাখ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১২ লাখসহ ঢাকা ও আশেপাশের জেলা থেকে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। ঈদের আগের চার দিনে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ, ট্রেনে চার লাখ, প্রাইভেট কার, জিপ ও মাইক্রোবাসে ৩৫ লাখ, মোটরসাইকেলে ১২ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, উড়োজাহাজে প্রায় এক লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।

তিনি জানান, গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে এবং খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনে ১৮ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এ ছাড়াও আন্তজেলায় যাতায়াত করবে প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি যাত্রী।

গণপরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘কেননা এবার রোজা ৩০টি সম্পন্ন হলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। ঈদের আগে ১০ এপ্রিল মাত্র এক দিন সরকারি ছুটি রয়েছে। ঈদের পরে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের লম্বা ছুটি রয়েছে। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় মুসলমানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে লম্বা ছুটির সুবাদে গ্রামের বাড়ি যাবে। তাই যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।

‘৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সকল পথে যাতায়াত পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে। তাই ৮ এবং ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হলে ৫ এপ্রিল থেকে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে, ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবে। গণপরিবহন সংকট ও যাত্রী ভোগান্তি থেকেও মুক্তি মিলবে।’

আরও পড়ুন:
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ২৮ সেপ্টেম্বর 
সাঈদীকে নিয়ে স্ট্যাটাস: কুমিল্লায় ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকে অব্যাহতি
সাঈদীকে নিয়ে শোক: পদ গেল কিশোরগঞ্জ ছাত্রলীগের ৭ নেতার
সাঈদীকে নিয়ে পোস্ট: ময়মনসিংহে ৮ ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি
সাঈদীকে নিয়ে শোক: পদ গেল নওগাঁ ছাত্রলীগের ১৪ নেতার

মন্তব্য

বিশেষ
Rain with thunder may occur in five categories

বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে পাঁচ বিভাগে

বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে পাঁচ বিভাগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফাইল ছবি
বৃষ্টিপাত নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

দেশের পাঁচটি বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থান নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা হয়, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:
কোথাও কোথাও হতে পারে শিলা বৃষ্টি
দিন রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি
ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে চার বিভাগে
বজ্রবৃষ্টি হতে পারে আট বিভাগে
বৃষ্টি নামতে পারে

মন্তব্য

p
উপরে