× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
নাপিত ডাক্তারের বিয়ে মানেন না সিআইডি এসপি
google_news print-icon

নাপিত-ডাক্তারের বিয়ে মানেন না সিআইডি এসপি

নাপিত-ডাক্তারের-বিয়ে-মানেন-না-সিআইডি-এসপি
গত ২৩ ডিসেম্বর রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে চিকিৎসক-নাপিত দম্পতিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আমরা এই উদাহরণগুলো কেন দেই? যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। তিনি একজন ডাক্তার। তাকে কি এমন কারও সঙ্গে চলে যেতে হবে? তার কাছে কি আর কোনো রাস্তা ছিল না? আমরা এটা জানান দিতে চেয়েছি: রংপুর সিআইডির এসপি মিলু মিয়া বিশ্বাস।

এক প্রাপ্তবয়স্ক নারী চিকিৎসক ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। তদন্তে নেমে সেটি জানতেও পেরেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। তবুও ওই চিকিৎসক ও তার স্বামীকে ধরে এনে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য দিয়েছে তারা। সাংবাদিক ডেকে ছবিও তোলা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরে। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম রগরগে শিরোনাম দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে, সমালোচনা হচ্ছে এটারও।

ওই নারী যাকে বিয়ে করেছেন, তিনি পেশায় নাপিত। তার পেশার পরিচয় সামনে এনে বক্তব্য দিয়েছে সিআইডি। বলা হয়েছে, এই দম্পতি ব্যভিচার করেছেন। তাদের দাবি, এই দুই পেশার মানুষের মধ্যে বিয়ে হতে পারে না। আর এই বার্তাই দিতে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি)।

ওই চিকিৎসকের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সম্পর্ক তৈরি হয় আরেক জনের সঙ্গে। পরিবারের অমতে বিয়ে করে চলে আসেন ঢাকায়। রোগী দেখে চালান সংসার। একটি সন্তানও হয়েছে। আগের সংসারের সন্তানকেও দেখাশোনা করেন তিনি।

এই নারী চিকিৎসকের বাবা মামলা করেছিলেন ‘মেয়েকে অপহরণের’ অভিযোগ এনে। দুই বছর পর তাদের সন্ধান পায় সিআইডি। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে আটক করে রংপুর নিয়ে গিয়ে ২৩ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে আনা হয় এই দম্পতিকে। সেখানে বড় করে বলা হয় পুরুষটির পেশাগত পরিচয়, যা আপাতদৃষ্টিতে একজন নারী চিকিৎসকের সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’।

দুই জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করেছেন। এখানে আইনি কোনো ব্যত্যয় হয়নি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কেউ যদি আপাতদৃষ্টিতে অপরাধ করেও থাকে, তার পরেও আসামিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে ছবি তোলার সুযোগ নেই।

২০১২ সালে একজন বিচারককে আটক করে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করার পর হাইকোর্ট এক আদেশে পুলিশকে ভর্ৎসনা করে। এরপর কিছুদিন আসামিদের গণমাধ্যমের সামনে এনে ছবি তোলার প্রবণতা বন্ধ হয়, কিন্তু পরে আবার আগের ধারায় ফিরে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গত ২৩ ডিসেম্বর রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে এনে পুলিশ ওই দম্পতি ও তাদের সন্তানকে সামনে নিয়ে আসে। বক্তব্য ছিল, নরসুন্দর প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার ২১ মাস পর সন্তানসহ ওই গাইনি চিকিৎসককে উদ্ধার করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে নারী চিকিৎসক স্পষ্টতই বলেন, তিনি নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করে সুখী আছেন। তাকে কেউ অপহরণ করেনি।

রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেছেন, ‘পুলিশ চেষ্টা করেও তার (বাদী) মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে দেয়া হয়।… সিআইডি অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারে যে, বাদীর মেয়ে অপহৃত হয়নি বরং তিনি নিজের ইচ্ছায় ঢাকায় এসে বিয়ে করেছেন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। তবে মেয়েটির আগে এক বার বিয়ে হয় সেখানেও আট বছরের একটি সন্তান আছে।’

নাপিত-ডাক্তারের বিয়ে মানেন না সিআইডি এসপি
রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস

তাহলে এখানে অপরাধটা কী হলো, আর এই দম্পতিকে গণমাধ্যমের সামনে এনে হেনস্থা কেন করলেন?- এমন প্রশ্ন ছিল সিআইডির রংপুরের এসপির কাছে।

জবাবে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, আইনের লঙ্ঘন না হলেও এতে নীতির লঙ্ঘন হয়েছে বলে তার বিশ্বাস।

-কোন নীতির লঙ্ঘন হয়েছে?

জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা অপরাধ করেছে, ব্যভিচার করেছে।’

-কীভাবে ব্যভিচার হলো?

সিআইডির পুলিশ সুপার বলেন, ‘আপনি আগে আইন বোঝেন। মনে করেন, আপনার ওয়াইফ বাচ্চাসহ আপনার কাছ থেকে চলে গেল। এটা সে করতে পারে না। আইনে এটা নিষেধ আছে। ব্যভিচার করেছে সে। যদি সে মেয়ে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায় তাইলে এটা ঠিক আছে।’

কিন্তু ওই নারী তো তার স্বামীকে আগেই তালাক দিয়েছিলেন, তাহলে এমন কথা কেন- এই প্রশ্ন অবশ্য সিআইডি কর্মকর্তার কাছে আগেই রাখা ছিল, যেটার কোনো জবাব তিনি দেননি।

দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় ব্যাভিচারের সংজ্ঞা ও শাস্তির উল্লেখ আছে। এতে বলা হয়েছে, ‘কোনো পুরুষ যদি জেনেশুনে কোনো বিবাহিত নারীর সঙ্গে তার স্বামীর সম্মতি না নিয়ে বা তার অজান্তে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন, এবং অনুরূপ যৌন সঙ্গম যদি ধর্ষণ না হয় তাহলে তা ব্যভিচারের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং শাস্তিস্বরূপ সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা কিংবা উভয়ই প্রযোজ্য হতে পারে। এক্ষেত্রে ওই বিবাহিত স্ত্রী অপরাধের সহযোগী রূপে কোনো শাস্তি পাবে না।’

সিআইডি সংবাদ সম্মেলন করার পর পুলিশ এই দম্পতিকে আদালতে তোলে। আদালত ওই নারীকে ছেড়ে দিলেও তার স্বামীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

নাপিতের সঙ্গে ডাক্তারের বিয়ে নৈতিক অপরাধ

কোন বিবেচনায় এই দম্পতিকে গণমাধ্যমের সামনে এনে ছবি তোলানো হলো?- এমন প্রশ্নে সিআইডির সুপার বলেন, ‘তার আগে একটা বাচ্চা ছিল; সাত-আট বছর বয়স। সেই বাচ্চাসহ তিনি চলে গেছেন। আর এক জন লোকের বাচ্চা নিয়ে গেছেন। যদি আপনার বাচ্চা নিয়ে যেতেন তবে আপনি কি অপহরণ মামলা দিতেন না? আপনি যখন মামলা দেবেন তখন আমার দায়িত্ব বাচ্চা খুঁজে বের করার। সেই বাচ্চার বৈধ মালিক তো মা না, আগের ওই স্বামী।’

সিআইডি কর্মকর্তা এই দাবি করলেও ওই নারী চিকিৎসকের আগের স্বামী মামলা করেননি, তার সন্তানকে কাছে রাখার দাবি করে আদালতেও যাননি।

এরপর সিআইডি কর্মকর্তা টানেন নারী চিকিৎসকের স্বামীর পেশাগত পরিচয়। তার দাবি, এক জন নাপিতের সঙ্গে এক জন চিকিৎসকের বিয়ে হওয়া উচিত না।

তিনি বলেন, ‘তিনি (নারী চিকিৎসক) একে তো আইনগত অপরাধ করেছেন (যদিও কোন আইনে অপরাধ তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি)। তারপর নৈতিক অপরাধ করেছেন। তিনি এক জন ডাক্তার। তিনি যার সঙ্গে চলে গিয়েছেন, তার সঙ্গে তার যাওয়া মানায় না।

‘তিনি ডাক্তার সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। এক জনের আট বছরের বাচ্চাকে নিয়ে ভেগে গেছেন। সেই বাচ্চার সঙ্গে বাবার কোনো যোগাযোগ করতে দেননি। একদম গায়েব হয়ে গেছেন। এইগুলো তো অপরাধ।

‘এইগুলা নৈতিক অপরাধ। এটা বিচারাধীন বিষয়, তবে তাতে সমস্যা নেই। আমরা মিডিয়ার সঙ্গে কাজ করি। আর আমরা যদি এই তথ্য প্রকাশ না করি তবে সমস্যা হবে। সমাজের তো বোধোদয় হতে হবে। এমন বোধোদয় আমাদের হওয়া উচিত।’

সেই সংবাদ সম্মেলনে সচেতনতা তৈরি হবে দাবি করে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এই উদাহরণগুলো কেন দেই? যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। তিনি এক জন ডাক্তার। তাকে কি এমন কারও সঙ্গে চলে যেতে হবে? তার কাছে কি আর কোনো রাস্তা ছিল না? আমরা এটা জানান দিতে চেয়েছি।’

আদালতের আদেশের লঙ্ঘন

২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর ভোলার বিচারক জাবেদ ইমামকে ঢাকার নীলক্ষেত থেকে ফেনসিডিলসহ আটকের কথা জানায় পুলিশ। সে সময় তাকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়।

সে সময় এই ঘটনাটি নিয়ে আদালত উষ্মা প্রকাশ করে। কেন তাকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হলো, সে প্রশ্নে পুলিশ কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

হাইকোর্ট তখন নির্দেশ দেয় গ্রেপ্তার বা সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর কোনো ব্যক্তিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা যাবে না।

২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ওই বিচারককে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। সেই সঙ্গে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্ট আরেক আদেশে বলে, আদালতে হাজির করার আগে কোনো আসামিকে প্রচার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমের (মিডিয়া) সামনে উপস্থাপন করা যাবে না। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজির) প্রতি নির্দেশও দেয়া হয়।

ওই ঘটনার আগে পুলিশের প্রবণতা ছিল আসামিকে হাজির করে তার বুকে কথিত অপরাধের বিবরণসহ স্টিকার ঝুলিয়ে রাখা। এখন অবশ্য সে প্রবণতা কমেছে।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রংপুরে যা হয়েছে, সেটাই আইনের লঙ্ঘন। দুইজনই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তারা নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন। সেখানে অপহরণ মামলাই তো হয় না।’

মেয়ের বাবা অপহরণ মামলা করেছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মেয়ের বাবা এটা করতে পারেন। কিন্তু পুলিশ যখন তদন্ত করে দেখল যে, এটা অপহরণ না, তখন তারা এটার ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দেবে। এখানে তাদের আর কিছু করার নেই।’

সিআইডি খুবই অনুচিত কাজ করেছে দাবি করে এই আইনজীবী বলেন, ‘তদন্তে তারা যা যা পেয়েছেন সেটা আদালতে দেবেন। এটা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত না। এত এত মামলা হচ্ছে, অপহরণ হচ্ছে সেখানে তারা একটা দম্পতিকে ধরে মিডিয়ার সামনে নিয়ে যাবে?’

গণমাধ্যমের কী দায়িত্ব?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদের ছবি মিডিয়াতে প্রকাশ করা একদম নীতিবিরুদ্ধ ও গর্হিত কাজ। তাদেরকে মিডিয়াতে দেখানো যাবে না।

‘তারা প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের বিয়ে করার অধিকার আছে। এখানে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। মিডিয়াতে দেখানোর ফলে যে এথিক্যাল সাংবাদিকতা সেখানে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। এটা খুবই অনৈতিক সাংবাদিকতা হয়েছে।’

এসব ঘটনায় হাইকোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবেদন করা হয়েছিল জানিয়ে এই গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের পক্ষে তখন রায় এসেছিল। তারপরেও এটা মানছে না।’

আরও পড়ুন:
বিয়ে করে কানাডা নেয়ার টোপ: ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
New Member of the Press Council Matiur Rahman Chowdhury

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’

বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।

এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।

মন্তব্য

বিশেষ
Meeting the Religion Advisor with the Prime Minister of Pakistan

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।

এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Decision to form an independent investigation service of the police

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’

সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

বিশেষ
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

বিশেষ
The government will take drastic action to collect interest free loans M Sakhawat Hossain

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Foreign Adviser

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলের নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।

বাংলাদেশে সফররত ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. মাহমুদ সিদকি আল-হাব্বাশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানান।

ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. আল-হাব্বাশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের স্থায়ী সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।

ফিলিস্তিনিদের নিরন্তর সমর্থনের জন্য দেশটির প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ওপরও জোর দেন।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে ড. আল-হাব্বাশ তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে