× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অনুসন্ধান
কাশেম আজিম সিন্ডিকেটের দুর্নীতি ডুবছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
google_news print-icon

কাশেম-আজিম সিন্ডিকেটের দুর্নীতি, ডুবছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি

কাশেম-আজিম-সিন্ডিকেটের-দুর্নীতি-ডুবছে-নর্থ-সাউথ-ইউনিভার্সিটি
অভিযোগ আছে, নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে চলেছে কাশেম-আজিম সিন্ডিকেট। তাদের কাছে অসহায় ট্রাস্টি বোর্ডের অধিকাংশ সদস্য। কাশেম-আজিম সিন্ডিকেটের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করে ব্যর্থ হয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর যান না ট্রাস্টি বোর্ডের স্থায়ী সদস্য ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল।

দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করা এই উচ্চ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন ডুবতে বসেছে ট্রাস্টি বোর্ডের প্রভাবশালী দুই সদস্য এম এ কাশেম ও আজিম উদ্দীন আহমদের দৌরাত্ম্যে।

অভিযোগ আছে, নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে চলেছে কাশেম-আজিম সিন্ডিকেট। তাদের কাছে অসহায় ট্রাস্টি বোর্ডের অধিকাংশ সদস্য। কাশেম-আজিম সিন্ডিকেটের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করে ব্যর্থ হয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর যান না ট্রাস্টি বোর্ডের স্থায়ী সদস্য ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত কয়েক বছর কাশেম-আজিম সিন্ডিকেটই ঘুরেফিরে ট্রাস্টি বোর্ডের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেনায় অনিয়ম করেছেন, ভর্তি-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর। তাদের এসব অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে বোর্ডের কোনো সদস্য প্রতিবাদ করলেই তাকে কৌশলে কোণঠাসা করে দেয়া হয়। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির দখল নিয়ে আছে এই সিন্ডিকেট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিল থেকে ট্রাস্টিদের আর্থিক সুবিধা ও সিটিং অ্যালাউন্সের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ গ্রহণ ও বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা তদন্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

ইউজিসির তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির আর্থিকসহ সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২৮ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব পুনর্নিরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের মনোনীত প্রতিষ্ঠান দিয়ে।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি যে ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত তার ডিডে বলা আছে, মানবহিতৈষী, দানশীল, জনহিতকর, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও অবাণিজ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হবে। ট্রাস্টের অর্থের জোগান দেবে।

কাশেম-আজিম সিন্ডিকেটের দুর্নীতি, ডুবছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি

জানা গেছে, গাড়িগুলো কেনার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন ট্রাস্টি এম এ কাশেম। তিনি এ পর্যন্ত চারবার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান আজিম উদ্দীন এর আগে তিনবার চেয়ারম্যান ছিলেন।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে। এই ট্রাস্টি বোর্ড একটি মানবহিতৈষী, দানশীল, জনহিতকর, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু আজিম উদ্দীন আহমেদ ও এম এ কাশেম মানবহিতৈষী ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানটিকে বেআইনিভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপদান করে শত শত কোটি টাকা বাণিজ্য করছেন। সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের স্বার্থে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন লাগামহীন দুর্নীতি ও বিশ্ববিদ্যালয়টিকে জঙ্গি তৈরির কারখানায় রূপান্তর করা দুই ট্রাস্টি আজিম উদ্দীন ও এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির হাত থেকে প্রতিষ্ঠান ও দেশকে বাঁচানোর দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

কাশেম-আজিম সিন্ডিকেটের দুর্নীতি, ডুবছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ট্রাস্টি আজিম উদ্দীন ও এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয় মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে। ছবি: নিউজবাংলা

সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস্ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ট্রাস্টির দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, দুই ট্রাস্টি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আশালয় হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে জমি কিনে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৯ সালে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে ২১ কোটি টাকা অপব্যয় ও আত্মসাৎ করেন। ইউজিসির অনুমোদনের বাইরে ১০টি সেকশন চালু করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক বিশাল অঙ্কের টাকা বাণিজ্য করেন এবং এই টাকা বিভিন্নভাবে আত্মসাৎ করেন।

তবে নিউজবাংলার কাছে সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন এম এ কাশেম ও আজিম উদ্দীন।

আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি-জঙ্গিবাদের কবল’ থেকে নর্থ সাউথকে রক্ষার দাবি


দুর্নীতিবাজদের কারণে ক্যাম্পাসেই যান না ট্রাস্টি আব্দুল আউয়াল

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের স্থায়ী সদস্য আব্দুল আউয়াল বুধবার নিউজবাংলাকে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, মূলত দুর্নীতিবাজদের কারণেই ক্যাম্পাসে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

আব্দুল আউয়াল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তারা তিনজন পরিশ্রম করেছেন; অনুমোদনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করেছেন। ক্যাম্পাস গড়ে তোলা থেকে শুরু করে সরকারি অনুমোদন সব কাজই করেছেন তারা তিনজন।

কাশেম-আজিম সিন্ডিকেটের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘যেহেতু তারা দুনীতি করে, তাই আমি ওইদিকে যাই না। ওরাও আমাকে কোনো নোটিশ পাঠায় না। আমি তো ওইখানের পার্মানেন্ট ট্রাস্টি মেম্বার। কাশেম, আজিম, শাহজাহান সিন্ডিকেট মিলে এই দুর্নীতিগুলো করছে। এই কারণে আমি ওইদিকে যাই না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ট্রাস্টি সদস্য তালিকায় নাম নেই কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে বাদ দেয়ার ক্ষমতা নেই ওদের। নর্থ সাউথের ২০১০ সালে যে ট্রাস্টি বোর্ড হইছিল, ওইখানে আমার নাম ট্রাস্টি বোর্ডের পার্মানেন্ট মেম্বার হিসেবে আছে। আমাকে বাদ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

‘কাশেম-আজিমদের আমি পরে নিয়েছি’

আব্দুল আউয়াল আক্ষেপ করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করার মূল লোক আমি। সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন, তারা মারা গেছেন। আর এই যে কাশেম-আজিমরা এখন আছে, এদের আমি পরে নিয়েছি।

‘এটা প্রতিষ্ঠা করা, সরকার থেকে পারমিশন নেয়া- সবই আমরা করেছি। পুরো ক্যাম্পাসই আমার হাতে হয়েছে। কিন্তু যখনই তারা চুরি শুরু করল, তখনই আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। পরে একটা মামলা করি।’

দুর্নীতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের এই স্থায়ী সদস্য আরও বলেন, ‘এই যে গাড়িঘোড়া কিনছে ১০ কোটি, ১২ কোটি টাকায়। কিন্তু এটা তো একটা ট্রাস্ট। এটা একটা নন-প্রফিটেবল প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে তো ১০ টাকাও কেউ নিতে পারবে না।

আরও পড়ুন: সাউথইস্ট ব্যাংক নিয়ে অপপ্রচারের নেপথ্যে কাশেম-আজিম সিন্ডিকেট


‘কোনো সিটিং অ্যালাউন্সও নিতে পারে না। আমি কখনোই এক টাকাও সিটিং অ্যালাউন্স নিতাম না। কিন্তু এরা নিয়েছে। এখন দেখতেছি, এরা লাখ লাখ টাকা নিচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যায়, এদের চরিত্র কী। এসব তো আমার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না। তাই আমি যাই না।’

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি কেনা অবশ্যই অনিয়ম’

অভিযোগ আছে, বোর্ড অফ ট্রাস্টিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় তিন কোটি টাকার গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু এটি তো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত। সে ক্ষেত্রে এটা তারা করতে পারেন কি না?

নিউজবাংলার এমন প্রশ্নে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে স্পষ্ট বলা আছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় যত আয় করবে তা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ চালিয়ে যা অতিরিক্ত থাকবে, সেটা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উন্নয়নকাজ করা হবে।

‘এখানে গাড়ি কেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা যে কমিটমেন্ট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করেছেন, তার সঙ্গে এটা কোনোভাবেই যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি কেনা অবশ্যই অনিয়ম। এটা আর্থিক স্বেচ্ছাচারিতা। এখন এগুলোই হচ্ছে আর কী।’

কাশেম-আজিম সিন্ডিকেটের দুর্নীতি, ডুবছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি
গত কয়েক বছর কাশেম-আজিম সিন্ডিকেটই ঘুরেফিরে ট্রাস্টি বোর্ডের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে

বোর্ড অফ ট্রাস্টির সদস্যরা সিটিং অ্যালাউন্স হিসেবে কখনো কখনো এক লাখ টাকা নিয়েছেন, কখনো কখনো ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এটা ইউজিসির প্রতিবেদনের তথ্য। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা এটা করতে পারেন কি না?

এমন প্রশ্নে ড. আলমগীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিটিং অ্যালাউন্স নেয়ার যে সংস্কৃতি, সেটা অন্য কোথাও আছে কি না আমার জানা নেই। তবে বাংলাদেশে এটা ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ড মিটিংয়ে সিটিং অ্যালাউন্স নেয়াটা যুক্তিযুক্ত না। ইউজিসির নির্দেশনায় বলা আছে, কিছু ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সিটিং অ্যালাউন্স নিতে পারে, এর বেশি না।’

‘শিক্ষার্থীদের ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে’

এক প্রোগ্রামের কথা বলে দশটা প্রোগ্রাম চালাচ্ছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।

এমন সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে ইউজিসির এই সদস্য বলেন, ‘এটা তারা কোনোভাবেই করতে পারে না। একটা ডিপার্টমেন্টের অধীনে আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রাম একটাই থাকতে পারবে। তারা যেটা করছে, সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ। শুধু তা-ই না, এসব প্রোগ্রামের অধীনে যেসব শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট নিচ্ছে, সেগুলোরও কোনো বৈধতা নেই।

‘এভাবে শিক্ষার্থীদের ব্ল্যাইমেইল করা হচ্ছে। এটা যেকোনো ধরনের গুরুতর অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। কারণ কোনো শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে খেলার অধিকার নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তারা এটা জেনেশুনে করেছে। এখন ভাব দেখাচ্ছে যে তারা এটা জানে না। এখন অনুমতির জন্য বলছে। এটা হয় নাকি?’

‘সবার মনোরঞ্জন করে চলি, নোংরামি পছন্দ করি না’

এসব অভিযোগের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আজিম উদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি তো শুধু আমাদের দুজনের না। প্রায় ২৬ জন মিলে আমরা এটা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা সেখানে ট্রাস্টি।

‘আমি চতুর্থবার নর্থ সাউথের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলাম। এই প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। আমি সবার মনোরঞ্জন করে চলি। এত নোংরামি আমি পছন্দ করি না। আমরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, আমাদের সবাই চেনে।’

আজিম উদ্দীন বলেন, ‘নর্থ সাউথে বাই রোটেশন চেয়ারম্যান হয়। আগে আমরা ১০ বছরে হয়তো বাই রোটেশন হয়ে যেতাম। এখন সদস্য কমে যাওয়ার কারণে আমরা আগে হচ্ছি। আমি চার বছর পরেই চলে আসছি।

‘আগে এত তাড়াতাড়ি আসা সম্ভব হতো না। এটা বাই রোটেশনে হয়। এখানে কোনো ইলেকশন হয় না। এটা আমাদের একটা ট্রাস্ট, আমরা এটা সুন্দরভাবে করে যাচ্ছি।’

‘যখন যে রাজা তখন তাকে সালাম দিতে হয়’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এম এ কাশেম দাবি করেন, তার সময়ে কোনো গাড়িই কেনা হয়নি। কোনো রকম দুর্নীতি হয়নি।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার সময় কোনো গাড়িই কেনা হয় নাই। কোনো টাকাও দেয়া হয় নাই। কোনো রকম দুই নম্বর কাজও হয় নাই।’

এম এ কাশেম এ সময় পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, কিছু লোক তাদের ব্যাপারে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে সব সরকারের সঙ্গেই তার সুসম্পর্ক ছিল। এখনো আছে।

এম এ কাশেম বলেন, ‘যখন যে রাজা তখন তাকে সালাম দিতে হয়। যখন এরশাদ ছিল তখন তাকে সালাম দিয়েছি, যখন খালেদা ছিল তখন তাকে দিয়েছি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছি, এখনো দিচ্ছি। দান-অনুদানেও জড়িত আছি।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অনুসন্ধান
Students death in DU swimming pool Committee to probe

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্তে কমিটি

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্তে কমিটি মোহাম্মদ সোয়াদ। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কি না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে গোসলে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।

ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. সোহাদ হকের এ মৃত্যুকে অপমৃত্যু দাবি করে এর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য কমিটিকে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কি না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই কমিটি গঠন করেন।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।

এর আগে সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যান মোহাম্মদ সোয়াদ।

পরে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে পুলে সোয়াদ তলিয়ে যায় সেটির গভীরতা ছিল ৮ থেকে ১০ ফিট। এটাতে কেউ ডুবে মারা যাবে, এটা স্বাভাবিকভাবে কারোর চিন্তায়ই আসবে না। পানির তলে গিয়ে ওপরের দিকে লাফ দিলেই ওপরে উঠে আসার কথা!’

তিনি বলেন, ‘আমরা শতাধিক ছাত্র ছিলাম, কিন্তু কেউই খেয়াল করিনি যে সে ডুবে গেছে।’

আরও পড়ুন:
জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিবনারায়ণ দাশের মৃত্যু
ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ৪
মানিকগঞ্জে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে বড় ভাই নিহত
কুড়িগ্রামে নানা বাড়ির পুকুরে প্রাণ গেল খালাতো ভাইবোনের
নারায়ণগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে চীনা প্রকৌশলীর মৃত্যু

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Two Chuet students killed 1 injured in bus collision

বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১ দুর্ঘটনার পর শাহ আমানতের একটি বাসে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহ আমানতের কয়েকটি বাস আটক করার পর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। একটি বাসে আগুনও দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও একজন।

সোমবার বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, এদিন বিকেলে জিয়ানগরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে যায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা, দ্বিতীয় বর্ষের তাওফিক হোসাইন ও জাকারিয়া হিমু। পথিমধ্যে শাহ আমানত নামের একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন শান্ত সাহা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তাওফিক হোসাইন। মোটরসাইকেলের আরেক যাত্রী জাকারিয়া হিমুকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম শহরের এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহ আমানতের কয়েকটি বাস আটক করার পর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। একটি বাসে আগুনও দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (২১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী পল্লব ঘোষ বলেন, ‘শান্ত ভাই আমার খুবই কাছের বড় ভাই এবং একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন, কিন্তু বাসের বেপরোয়া গতির জন্য আজ একটি প্রাণ ঝরে গেল। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি উপযুক্ত বিচার দাবি করি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ব্যাবস্থা করা হবে। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Student dies after taking a bath in DUs swimming pool

ঢাবির সুইমিংপুলে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ঢাবির সুইমিংপুলে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু মোহাম্মদ সোয়াদ
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে গোসল করতে গিয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ সোয়াদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যান তিনি।

পরে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, যে পুলে সোয়াদ তলিয়ে যায় সেটির গভীরতা ছিল ৮/১০ ফিট। এটাতে কেউ ডুবে মারা যাবে, এটা স্বাভাবিকভাবে কারোর চিন্তায়ই আসবে না। পানির তলে গিয়ে ওপরের দিকে লাফ দিলেই ওপরে উঠে আসার কথা!

তিনি বলেন, আমরা শতাধিক ছাত্র ছিলাম। কিন্তু কেউই খেয়াল করিনি যে সে ডুবে গেছে!

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, পানিতে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর মেডিক্যালে নিয়ে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারা গেছেন। মরদেহ মর্গে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক শাহজাহান আলী বলেন, দর্শন বিভাগের সোয়াদ নামে এক শিক্ষার্থী সুইমিংপুলের পানিতে লাফালাফি করতে গিয়ে পানির সাথে ধাক্কা বা আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। তখন সেখানে তার বন্ধুবান্ধব ছিল এবং আশেপাশে আমাদের লোকজনও ছিল।

তিনি বলেন, এ সময় তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হয়। বিষয়টি আমি আমাদের প্রক্টর মহোদয়কেও জানিয়েছি।

আরও পড়ুন:
ঢাবিতে নিয়োগ পাচ্ছেন জাবিতে যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত শিক্ষক
ঢাবির আবাসিক ভবনে ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ
ঢাবিতে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চয়তায় সাইফুল

মন্তব্য

অনুসন্ধান
After correcting errors in the evaluation of the answer sheet the result will be published at night
প্রাথমিকে তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ ফাইল ছবি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার প্রকাশিত ফল স্থগিত করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত ফলাফলে দুটি সেট কোডের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফল পুনরায় মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম। পুনঃমূল্যায়ন শেষে রোববার রাত ১২টার মধ্যেই সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি, সংশোধন শেষে রাতেই ফল প্রকাশ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ফল রোববার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৫৭ জন প্রার্থী। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে।

মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আইআইসিটি, বুয়েটের কারিগরি টিম ইতোমধ্যে পুনঃমূল্যায়নের কাজ শুরু করেছে। রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রোববার দুপুরে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। অনেক প্রার্থী ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে মেঘনা ও যমুনা কোডের প্রার্থীরা গ্রুপ খুলে সেখানে কারা কারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফল পাননি তা জানাতে থাকেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিপদপ্তরের দৃষ্টিগোচর করলে দুই সেটের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন:
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: ঈদের পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল
৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

অনুসন্ধান
DB will also interrogate the arresting board chairman

সার্টিফিকেট বাণিজ্যকাণ্ডে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যান ওএসডি

সার্টিফিকেট বাণিজ্যকাণ্ডে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যান ওএসডি মো. আলী আকবর খান
ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সার্টিফিকেট-বাণিজ্যের এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন কাউকে ছাড় দেব না। তথ্য-উপাত্তে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব। যেকোনো সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকব।’

সার্টিফিকেট বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরই মধ্যে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

রোববার এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ বিষয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আলী আকবরকে ওএসডি করে তার জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বোর্ডের পরিচালক অধ্যাপক মামুন উল হককে। এ ঘটনায় কারিগরি বোর্ডের সচিবও নজরদারিতে আছেন।

এর আগে শনিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট-বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রাজধানীর মিণ্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে রোববার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘সার্টিফিকেট-বাণিজ্যের এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন কাউকে ছাড় দেব না। তথ্য-উপাত্তে কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব। যেকোনো সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকব।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে জাল সার্টিফিকেট তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ এপ্রিল রাজধানীর পীরেরবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান এবং একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের ব্যক্তিগত বেতনভুক্ত সহকারী ফয়সাল।

এরপর ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়ার সদর থানা এলাকা থেকে গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার কলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এই তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র এবং শত শত সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরির মতো বিশেষ কাগজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, শতাধিক সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি জব্দ করা হয়।

ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চক্রের সঙ্গে জড়িত কামরাঙ্গীরচর হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বি এম কলেজের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানকে ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর চক্রের সঙ্গে জড়িত ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ এপ্রিল।

চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সবশেষ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে শনিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার এ কে এম শাসমুজ্জামান ও তার ব্যক্তিগত সহযোগী ফয়সাল গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে হস্তান্তর করেছে। একইসঙ্গে সরকারি ওয়েবসাইটে সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের মধ্যে বিক্রি করা সার্টিফিকেটগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে কোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর গুগলে সার্চ করলে তা সঠিক পাওয়া যায়।

এই অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর তথ্য সংযোজন, বিয়োজন ও পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদন-নিবেদনের ফোকাল পারসন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; কোনোক্রমেই ই-সিস্টেম অ্যানালিস্ট বা কম্পিউটার অপারেটররা নন।

সিস্টেম অ্যানালিস্ট বা কম্পিউটার অপারেটররা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে সংবেদনশীল এই কাজগুলো করার কথা। কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় শহরে অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজ, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রিন্সিপালরা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর তৈরি, রেজাল্ট পরিবর্তন-পরিবর্ধন, নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে টাকার বিনিময়ে আদান-প্রদান করেছেন কম্পিউটার অপারেটর ও সিস্টেম এনালিস্টদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, এরকম প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিপরায়ণ ২৫/৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

ডিবি প্রধান বলেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কিছু দুর্নীতিপরায়ণ সিবিএ দালাল কর্মচারী-কর্মকর্তা, কম্পিউটার ও পরিদর্শন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে রেজাল্ট পরিবর্তন, নাম-ঠিকানা পরিবর্তন, প্রার্থীদের বয়স পরিবর্তন ও সময়ে অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও রোল নম্বর প্রদান সংক্রান্ত কাজগুলো করার জন্য সিন্ডিকেট বানিয়েছে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Heatwave Decisions about online classes at different universities

তাপপ্রবাহ: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

তাপপ্রবাহ: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসের সময়সীমা কমিয়ে এনেছে। আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলো ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের তাপ থেকে সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

নিউজবাংলার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন বিস্তারিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস তাদের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ছাড়াও বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বৈঠক ডেকেছে। আর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসের সময়সীমা কমিয়ে এনেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ রাখা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।

চলমান তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে পরীক্ষাগুলো শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত থেকে দিতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো নিজেদের মতো করে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এসব তথ্য জানানো হয়।

তীব্র দাবদাহের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলতি সপ্তাহে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসময় সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।

তীব্র দাবদাহের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাসও অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পরীক্ষা সশরীরেই হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের অন্যতম বাহন শাটল ট্রেন ও শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাস নিয়মিত সূচিতে চলবে।

এক জরুরি সভা শেষে এসব সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, অফিস খোলা থাকবে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বিবেচনায় ক্লাস অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তীব্র দাবদাহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ২২ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওই সময়ে অনুষ্ঠিতব্য সব পরীক্ষা যথারীতি চলমান থাকবে।

সশরীরে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইনে চলবে।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসের সময়সীমা কমিয়ে এনেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্লাস সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলবে। আগে তা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত হতো।

আরও পড়ুন:
তীব্র দাবদাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.৫ ডিগ্রিতে
তাপপ্রবাহে আমের গুটি টেকাতে যে পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞ
সপ্তাহজুড়ে বাড়বে তাপপ্রবাহ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অস্বস্তি বাড়াবে
তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ঢাকার তাপমাত্রা কমাতে ‘চিফ হিট অফিসার’ নিয়োগ

মন্তব্য

অনুসন্ধান
HSC form filling till May 5

এইচএসসির ফরম পূরণ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ল

এইচএসসির ফরম পূরণ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ল ফাইল ছবি।
এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোনালী সেবার মাধ্যমে ৬ মে পর্যন্ত ফি পরিশোধ করা যাবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত। আর সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোনালী সেবার মাধ্যমে ৬ মে পর্যন্ত ফি পরিশোধ করা যাবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত। আর সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।

এবার বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের দুই হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য দুই হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ করা হবে।

এছাড়া পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্ল গাইডস ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেয়া হবে।

অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ এবং রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি ১০০ টাকা।

কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি দিতে হবে ২০ টাকা।

প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয় ১৬ এপ্রিল। এই কার্যক্রম ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর করার সময়সূচি ছিল। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণের সুযোগ ছিল ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত।

আরও পড়ুন:
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, রুটিন প্রকাশ
পূর্ণ নম্বরে হবে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা

মন্তব্য

p
উপরে