× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অনুসন্ধান
সাউথইস্ট ব্যাংক নিয়ে অপপ্রচারের নেপথ্যে কাশেম আজিম সিন্ডিকেট
google_news print-icon

সাউথইস্ট ব্যাংক নিয়ে অপপ্রচারের নেপথ্যে কাশেম-আজিম সিন্ডিকেট

সাউথইস্ট-ব্যাংক-নিয়ে-অপপ্রচারের-নেপথ্যে-কাশেম-আজিম-সিন্ডিকেট
সাউথইস্ট ব্যাংকের দুই পরিচালক এম এ কাশেম ও আজিম উদ্দীন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ব্যাংকটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপপ্রচারের পেছনে রয়েছেন ব্যাংকটিরই চারজন পরিচালক। তারা ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পেরে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। চাইছেন চেয়ারম্যান পদ থেকে আলমগীর কবীরকে সরিয়ে দিতে এবং এ পদে তাদের একজনকে বসাতে। ওই চার পরিচালক হলেন আজিম উদ্দীন আহমেদ ও তার স্ত্রী দুলুমা আহমেদ এবং এম এ কাশেম ও তার স্ত্রী জুসনা আরা কাশেম।

১৯৯৫ সালে বেসরকারি খাতে ব্যাংক স্থাপনের অনুমতির কিছু দিনের মধ্যেই যাত্রা শুরু হয় সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের। সেই সময় সরকারে ছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি।

বেসরকারি এই ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন এম এ কাশেম। ২০০০ সালে চেয়ারম্যান হন আবদুল্লাহ ইউসুফ হারুন। এরপর আবারও চেয়ারম্যান হন এম এ কাশেম। পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান আজিম উদ্দীন আহমেদ ও রাগীব আলী।

তাদের নেতৃত্বে সংকটে পড়ে ব্যাংকটি। ২০০৪ সালে সেই সংকটের মুহূর্তে হাল ধরেন আলমগীর কবীর। তার দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে সব সমস্যা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে চলছে সাউথইস্ট ব্যাংক। তার সময়ে মুনাফা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৭ গুণ।

অভিযোগ আছে, গত ১৭ বছরে আলমগীর কবীর যে সফলতা দেখিয়েছেন, তাতে লাগাম টানতে এবং তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে কাশেম-আজিম সিন্ডিকেট।

সাউথইস্ট ব্যাংকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংকটিরই চারজন পরিচালক তাদের ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পেরে এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা চাইছেন চেয়ারম্যান পদ থেকে আলমগীর কবীরকে সরিয়ে দিতে এবং এ পদে তাদের একজনকে বসাতে। ওই চার পরিচালক হলেন আজিম উদ্দীন আহমেদ ও তার স্ত্রী দুলুমা আহমেদ এবং এম এ কাশেম ও তার স্ত্রী জুসনা আরা কাশেম।

এদের মধ্যে আজিম উদ্দীন মিউচ্যুয়াল গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান এবং এম এ কাশেম মিউচ্যুয়াল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান। তারা দুজনই নর্থ সাউথ ইউনির্ভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিতে রয়েছেন। বোর্ডের চেয়ারম্যান এখন আজিম উদ্দীন।

আজিম ও কাশেমের বিরুদ্ধে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিকে দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের কবল থেকে রক্ষার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়।

সাউথইস্ট ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, ২০২০ সালে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পরিচালক আজিম উদ্দীনের মেয়ে তার এক পরিচিতকে ইভ্যালির মতো কোম্পানি খুলতে ১০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেয়ার তদবির করেন। কিন্তু সেই ঋণ দিতে রাজি হয়নি সাউথইস্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ কারণেই চেয়ারম্যান আলমগীর কবীরের ওপর ক্ষুব্ধ আজিম উদ্দীন।

অভিযোগ আছে, মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে না পারা এম এ কাশেম আবারও ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হতে চাইছেন। তিনি চেয়ারম্যান থাকার সময় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ২৫০ জনকে নিয়োগ দেন। আলমগীর কবীর এদের সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করে অর্ধশত কর্মকর্তার ভুয়া সনদ পান। পরবর্তী সময়ে তাদের সবার চাকরি চলে যায়, যারা সবাই ছিলেন কাশেম-আজিম সিন্ডিকেটের আত্মীয়।

আরও অভিযোগ আছে, আরেক পরিচালকের ছেলে একটি কোম্পানিকে সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে ৫২ কোটি টাকার ঋণ তুলে দেয়ার কথা বলে বিলাসবহুল গাড়ি নেন। এই ঋণের জন্য আবেদন করা হয় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় ঋণ আবেদনটি বাতিল করে দেয় সাউথইস্ট ব্যাংক।

এ ঘটনায়ও চেয়ারম্যান আলমগীর কবীরের ওপর ক্ষুব্ধ কাশেম-আজিম সিন্ডিকেট।

ব্যাংকটি নিয়ে অপপ্রচার ও চেয়ারম্যান আলমগীর কবীরকে সরানোর ষড়যন্ত্র এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে নিউজবাংলা কথা বলেছে পরিচালক আজিম উদ্দীন ও এম এ কাশেমের সঙ্গে। তারা দুইজনই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তাদের কথায় চেয়ারম্যান আলমগীর কবীরের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।

সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম. কামাল হোসেন বলছেন, সাধারণ মানুষ ও গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করে ব্যাংকটির সুনাম ক্ষুণ্ন করতে মনগড়া প্রতিবেদন প্রচার করা হচ্ছে। ব্যবহার করা হয়েছে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সব তথ্য।

সাউথইস্ট ব্যাংক নিয়ে অপপ্রচারের নেপথ্যে কাশেম-আজিম সিন্ডিকেট

ব্যাংকটির কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন মাধ্যমে সাউথইস্ট ব্যাংক নিয়ে ব্যাপক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, দুর্নীতির উৎসবে যেন গা ভাসিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। মালিকদের স্বার্থে নিরাপত্তা সঞ্চিতির খাতাতেও রয়েছে বড় গরমিল; দুর্বল হচ্ছে মূলধন কাঠামো। ফলে ঝুঁকি বাড়ছে গ্রাহকের আমানতে।

তাদের ভাষ্য, প্রণোদনা বিতরণ হয়েছে বড় অনিয়ম করে। বাণিজ্যের কোটা থেকে গ্রাহকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের বিল গেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। আর সব ছাপিয়ে গেছে পরিচালনা পর্ষদের গৃহবিবাদ।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসব অভিযোগ করা হচ্ছে সাউথইস্ট ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২০ সালের ৩০ জুনের স্থিতিভিত্তিক বিশদ পরিদর্শনের প্রতিবেদনকে ভিত্তি ধরে। এই প্রতিবেদনটি খুবই গোপনীয়, যা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক এবং যে ব্যাংকের ওপর করা সেই বাংকের কাছে সংরক্ষিত থাকে।

এ বিষয়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্মকতারা জানিয়েছেন, এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মিত কাজ। কোনো ব্যাংক পরিদর্শনে কোনো বিষয় নিয়ে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে ব্যাখ্যা চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই ব্যাংক সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিলে বিষয়টির সুরাহা হয়ে যায়। আর ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে নিজস্ব আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যাখ্যার পর এখনও কোনো প্রশ্ন তোলেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ক্রেডিট কার্ড ইস্যু

বাণিজ্যের কোটা থেকে গ্রাহকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের বিল গেছে বলেও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাউথইস্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিউজবাংলাকে বলা হয়, ‘উক্ত কার্ডদ্বয়ের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার অংশটুকু তারা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যেই (তৈরি পোশাকশিল্পের বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, তাদের উপহার প্রদান, আপ্যায়ন ও বিদেশে তাদের গোডাউন পরিদর্শন ইত্যাদিতে) খরচ করেছেন বলে আমাদের নিশ্চিত করেছেন।

‘এমতাবস্থায় উক্ত কার্ডদ্বয়ের বৈদেশিক মুদ্রার অংশটুকু (paragraph-28-(A)(i), Chapter-13 of GFET-এ বর্ণিত বিধানের ভিত্তিতে ERQ Account থেকে পরিশোধিত হয়ে থাকে। উল্লেখিত ক্রেডিট কার্ডসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য গ্রাহকদ্বয়কে বিশেষ পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।’

ব্যাংকটির এমডি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের ইআরকিউ হিসাব থেকে গ্রাহকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের বিল প্রদান একটি অনুমোদিত বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ গাইডলাইনের চ্যাপ্টার ১৯ অনুযায়ী একটি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ তিনজন টপ টায়ার নির্বাহীর নামে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা যায় এবং উক্ত কার্ডে কোম্পানির ইআরকিউ হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তর কারা যায়।’

ঋণখেলাপি: বাড়েনি, বরং কমেছে

সাউথইস্ট ব্যাংকের নথি বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের খেলাপি ঋণ বাড়েনি, বরং কমেছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সাউথইস্ট ব্যাংকের মোট শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৩৭ দশমিক ৫৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর শ্রেণিকৃত ঋণ কমে দাঁড়ায় ৯৯৩ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে শ্রেণিকৃত ঋণ কমেছে ৩০ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

ব্যাংকটির এমডি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অভিযোগ করা হয়েছে, সাউথইস্ট ব্যাংকের মন্দ ঋণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে পরিলক্ষিত হয় যে, ২০১৯ সালে মন্দ ঋণ ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা ২০২০ সালে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩ দশমিক ১০ শতাংশে উপনীত হয়।’

মুনাফা বেড়েছে সাড়ে ৭ গুণ

আলমগীর কবীর চেয়ারম্যান হওয়ার পর সাউথইস্ট ব্যাংকের ধারাবাহিক উন্নতির চিত্র পাওয়া গেছে ব্যাংকটির ওয়েবসাইট ঘেঁটেও।

এতে দেখা যায়, ২০০৪ সালে আলমগীর কবীর যখন দায়িত্ব নেন তখন ব্যাংকটির ডিপোজিট ছিল ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা এখন বেড়ে হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা। ২০০৪ সালে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০২০ সালে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৩২ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। ২০০৪ সালে ব্যাংকটি মুনাফা করেছিল ২৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ২০২০ সালে তা প্রায় সাড়ে ৭ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

সংস্থান ঘাটতি নিয়ে অপপ্রচার

ব্যাংকটির এমডি কামাল হোসেন বলছেন, সংস্থান ঘাটতির কারণে সাউথইস্ট ব্যাংক ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

নিউজবাংলাকে কামাল হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার নং- DOS-01 ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ অনুযায়ী সংস্থান ঘাটতি থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ লভ্যাংশ প্রদানের অনুমতি প্রদান করতে পারে না। কিন্তু ২০২০ সালে সাউথইস্ট ব্যাংক ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দল কর্তৃক নিরীক্ষা কার্যক্রম শেষে ২০২০ সালে সাউথইস্ট ব্যাংকের ঋণের বিপরীতে ৫২৭ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত সংরক্ষণের পরামর্শ দেয়া হয়, যার মধ্যে ১২৭ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা ২০২০ সালে লাভ-ক্ষতি হিসাব থেকে সংরক্ষণ করা হয়।

‘অবশিষ্ট ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে ২১৫ কোটি টাকা অবণ্টিত মুনাফা (Retained Earnings) থেকে সাধারণ সংস্থানে স্থানান্তর করা হয়। বাকি ১৮৫ কোটি টাকা সাধারণ সংস্থান থেকে স্থানান্তর করে ঘাটতি সংস্থান পূরণ করা হয়। এমতাবস্থায় ব্যাংকের CRAR (Capital to Risk-weighted Asset Ratio) ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশে উপনীত হয় (পরিগণনা সংযুক্ত)।’

কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাউথইস্ট ব্যাংক ঝুঁকি হ্রাসের উদ্দেশ্যে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের বিপরীতে ৩৫৬ কোটি টাকা ইতিমধ্যে সংস্থান করেছে এবং সাধারণ সঞ্চিতিতে ২৪ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত সংস্থান করা রয়েছে।’

প্রণোদনা বিতরণ

অনিয়ম করে প্রণোদনা বিতরণ হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডি।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘প্রণোদনা বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বর্ণিত নিয়ম-কানুন পরিপালন করে ইতিমধ্যে ২৩০৬ জন গ্রাহকের অনুকূলে বিভিন্ন প্রণোদনার অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রকৃত ক্ষতি নিরূপণ ও প্রয়োজনীয়তা যাচাইপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সার্কুলারের নির্দেশনা পূর্ণ প্রতিপালন সাপেক্ষে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে।’

কাশেম-আজিমের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

সেগুনবাগিচায় মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনটি করে প্রটেকশন ফর লিগ্যাল হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন।

সাউথইস্ট ব্যাংক নিয়ে অপপ্রচারের নেপথ্যে কাশেম-আজিম সিন্ডিকেট
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ট্রাস্টি আজিম উদ্দীন ও এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয় মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে। ছবি: নিউজবাংলা

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও পরিচালনা পর্ষদের দুয়েকজন ব্যক্তির কারণে ডুবতে বসেছে প্রতিষ্ঠানটি। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে। এই ট্রাস্টি বোর্ড একটি মানবহিতৈষী, দানশীল, জনহিতকর, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু আজিম উদ্দীন আহমেদ ও এম এ কাশেম মানবহিতৈষী ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানটিকে বেআইনিভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপদান করে শত শত কোটি টাকা বাণিজ্য করছেন এবং সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি-জঙ্গিবাদের কবল’ থেকে নর্থ সাউথকে রক্ষার দাবি

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের স্বার্থে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন লাগামহীন দুর্নীতি ও বিশ্ববিদ্যালয়টিকে জঙ্গি তৈরির কারখানায় রূপান্তর করা দুই ট্রাস্টি আজিম উদ্দীন ও এম এ কাশেমের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির হাত থেকে প্রতিষ্ঠান ও দেশকে বাঁচানোর দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস্ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ট্রাস্টির দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন।

সুফি সাগর বলেন, দুই ট্রাস্টি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আশালয় হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে জমি কিনে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৯ সালে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে ২১ কোটি টাকা অপব্যয় ও আত্মসাৎ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনের বাইরে ১০টি সেকশন চালু করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক বিশাল অঙ্কের টাকা বাণিজ্য করেন এবং এই টাকা বিভিন্নভাবে আত্মসাৎ করেন।

এসব অভিযোগ নিয়ে নিউজবাংলার প্রশ্নের জবাবে আজিম উদ্দীন বলেন, ‘আমি আর আমার স্ত্রী শুধু ডাইরেক্টরই না, স্পন্সর প্রতিষ্ঠাতা ডাইরেক্টর। আমরা তো কোনো গণমাধ্যমে যাইনি, কে কে গেছে, কেন গেছে, আমরা তো বলতে পারব না।

‘আমরা সেদিন এজিএমে যাইনি। আমরা অনুপস্থিতি ছিলাম। কারণ এটার ভেতরে আমাদের একটা ক্ষোভ ছিল। কারণ কিছু কর্মকাণ্ডের প্রতি আমাদের সমর্থন ছিল না।’

‘ব্যাংকটি কি সঠিক পথেই আছে, নাকি বেঠিক পথে আছে?’

নিউজবাংলার এ প্রশ্নে সাউথইস্ট ব্যাংকের এই পরিচালক বলেন, ‘সঠিক পথেই তো চলে। এর ভেতরে কিছু ব্যত্যয় থাকতে পারে। সেটাই আমরা প্রতিবাদ করেছি। অনিয়ম কিছু আছে। সেটা আমি বিশদভাবে বলতে পারব না।

‘আমাদের চেয়ারম্যান আলমগীর সাহেব এককভাবে ১৭ বছর ধরে ব্যাংকটি চালাচ্ছেন। তাকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। তিনি চালিয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যে কিছু অভিযোগ, অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের কানে আসছে। সেটার প্রতিবাদস্বরূপ আমরা সেই এজিএমে যাই নাই।’

‘অভিযোগ আছে, ব্যাংক নিয়ে অপপ্রচারের নেপথ্যে রয়েছেন আপনি আর এম এ কাশেম।’

এ প্রশ্নের জবাবে আজিম উদ্দীন বলেন, ‘আমরা তো কোনো মাধ্যমেই আসি নাই, আমরা তো কিছুই জানি না।’

‘অভিযোগ আছে, আপনার পরিবারের সদস্যরা ঋণের তদবির করে সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু সেই ঋণ আটকে যায়। আর এ কারণে আপনি নাকি চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ।’

এ প্রশ্নে আজিম উদ্দীন বলেন, ‘আজ থেকে ২৬ বছর আগে এই ব্যাংক আমরা প্রতিষ্ঠা করি। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন কাশেম সাহেব। আলমগীর সাহেব চাকরি করতেন। এরপর এখানে এসে উনি সবকিছুর মালিক হয়ে গেছেন। আমরা তাকে চালাতে দিয়েছি, তিনি চালিয়ে গেছেন।

‘কিন্তু উনি যে এত নিচে নামতে পারেন, এটা আমাদের ধারণা ছিল না। যেভাবে তিনি আমাদের নিয়ে মিডিয়াতে কথা বলেছেন তা অসত্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাশেম সাহেবের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু তা উনিই জানেন, আমি জানি না। তবে তিনি এফবিবিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।’

এম এ কাশেম চেয়ারম্যান থাকার সময় নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আজিম উদ্দীন বলেন, ‘সব ব্যাংকেই তো দুই-একটা সার্টিফিকেট এদিক-ওদিক গোলমাল করে। তাই দুয়েকটা ওই রকম তো হতেই পারে।’

এম এ কাশেমের কাছেও এসব অভিযোগ নিয়ে বক্তব্য জানতে চায় নিউজবাংলা। জবাবে তিনি জানান, আজিম উদ্দীন যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, একই বক্তব্য তারও।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অনুসন্ধান
The 400th meeting of the Board of Directors of Shahjalal Islami Bank was held

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৪০০তম সভা অনুষ্ঠিত

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৪০০তম সভা অনুষ্ঠিত
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর পরিচালক পর্ষদের ৪০০তম সভা ২২ অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখে ব্যাংকের কর্পোরেট প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব এ. কে. আজাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। পরিচালক পর্ষদের ৪০০তম সভা কেক কেটে উদযাপন করা হয়। সভায় বেশ কিছু সংখ্যক বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ ইউনুছ ও জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ জনাব আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা, জনাব খন্দকার শাকিব আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো: তৌহীদুর রহমান, জনাব মো: মশিউর রহমান চমক, জনাবা তাহেরা ফারুক, জনাব ফকির মাসরিকুজ্জামান, জনাব ফকির মনিরুজ্জামান, স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব নাসির উদ্দিন আহমেদ ও জনাব মো: রিয়াজুল করিম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ এবং কোম্পানি সচিব জনাব মো: আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Bengal Commercial Banks month long entrepreneurship development program concluded and awarded certificates

বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাসব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির সমাপনী ও সনদ প্রদান

বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাসব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির সমাপনী ও সনদ প্রদান

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাসব্যাপী ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি’র সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়নে এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পরিচালিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি “স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি)” প্রকল্পের অংশ হিসেবে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, রাজধানীর দিলকুশায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও কে. এম. আওলাদ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমইএসপিডি এর পরিচালক নওশাদ মোস্তফা। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমইএসপিডি এর অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, এসএমইএসপিডি এর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াসিম, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান রফিক আহমেদ ও এসএমই বিভাগের প্রধান জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫ জন উদ্যোক্তার মাঝে সনদপত্র ও ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে সেরা তিনজন উদ্যোক্তাকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Sarails initiative to produce and market greyhound dogs commercially

সরাইলের গ্রে-হাউন্ড কুকুর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করার উদ্যোগ

সরাইলের গ্রে-হাউন্ড কুকুর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করার উদ্যোগ

শক্ত গড়নের পাঁজর আর দীর্ঘদেহী গ্রে-হাউন্ড কুকুর জেলার সরাইল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একটি প্রাণী। সাহস আর রণকৌশলে অন্যসব কুকুরের চেয়ে আলাদা। দৌড়ের গতিও অন্যসব কুকুরের চেয়ে বেশি। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আর শিকারে পারদর্শিতার কারণে গ্রে-হাউন্ড কুকুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ডগ স্কোয়াডেও ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা যায়।
ঐতিহ্যবাহী এই গ্রে-হাউন্ড কুকুর এখন অস্তিত্ব সংকটে। পুরো সরাইল জুড়ে হাতেগোনা কয়েকটি বাড়িতে দেখা মেলে এই কুকুরের। ঐতিহ্যবাহী ও দামি বিরল প্রজাতির এই কুকুরকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে গ্রে-হাউন্ড প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা ভাবছে প্রশাসন। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন বাসসের সাথে আলাপকালে একথা জানান।
তিনি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে গ্রে-হাউন্ড কুকুর উৎপাদন ও বাজারজাত করার বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রাথমিক আলোচনা ও সম্ভাব্যতা যাচাই করেছি। গ্রে-হাউন্ড কুকুরের জাত টিকিয়ে রাখার জন্য একটি প্রজনন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সম্মলিতভাবে কাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঐতিহ্য ধরে রাখতে একটি পরিবার এখনও বংশ পরম্পরায় গ্রে-হাউন্ড কুকুর পালন করছে। সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চৌরাগুদা গ্রামের দুই ভাই তপন লাল রবিদাস ও যতন লাল রবিদাস বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রে-হাউন্ড কুকুর পালন করছেন। তবে ব্যয়বহুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে গ্রে-হাউন্ড কুকুর পালন তাদের জন্য কষ্টসাধ্য।
জনশ্রুতি আছে, প্রায় দুইশ বছর আগে সরাইলের জমিদার দেওয়ান মোস্তফা আলী হাতি নিয়ে কলকাতা যাচ্ছিলেন। পথে এক ইংরেজ সাহেবের কাছে একটি সুন্দর কুকুর দেখতে পান। তিনি কুকুরটি কেনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি একটি হাতির বিনিময়ে ইংরেজ সাহেবের কাছ থেকে ঐ স্ত্রী কুকুরটি নিয়ে আসেন।
এলাকার প্রবীণদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একসময় সরাইল উপজেলার প্রতিটি বাড়িতে দেখা মিলত গ্রে-হাউন্ড কুকুরের। মূলত বাড়ির নিরাপত্তা এবং শেয়াল তাড়ানোর জন্য গ্রে-হাউন্ড কুকুর পালনে উৎসাহী হন সরাইলের বাসিন্দারা। ধীরে ধীরে এই কুকুর বাণিজ্যিকভাবেও লালন-পালন শুরু করেন অনেকে। তবে অন্যসব কুকুরের তুলনায় গ্রে-হাউন্ড পালন কিছুটা ব্যয় সাপেক্ষ। এর ফলে অনেকেই গ্রে-হাউন্ড কুকুর পালন বন্ধ করে দেন। এতেই কমতে থাকে গ্রে-হাউন্ড কুকুরের সংখ্যা। এখন হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার শখের বশে গ্রে-হাউন্ড কুকুর পালন করছে। তবে ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে মাত্র তপন রবিদাস ও যতন রবিদাস গ্রে-হাউন্ড কুকুর পালন করছেন।
কুকুর ছানাগুলো বিক্রি করা হয় স্ট্যাম্প করে। তবে পেশায় মুচি তপন ও যতনের জন্য গ্রে-হাউন্ড পালন করা এখন কষ্টকর হয়ে উঠেছে। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় তাদের। এর ফলে অর্থের অভাবে ঠিকভাবে গ্রে-হাউন্ড কুকুরের পরিচর্যা করতে পারছেন না দুই ভাই।
তপন লাল রবিদাস বলেন, বড় প্রত্যেকটি কুকুরের জন্য প্রতিদিন অন্তত ৩০০ টাকার খাবারের প্রয়োজন হয়। ভাত, মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ ছাড়া অন্য কোনো খাবার খায় না গ্রে-হাউন্ড কুকুর। কিন্তু সবসময় আমরা এই খাবার খাওয়াতে পারি না। আর্থিক টানাপোড়নের সংসারে আমাদের নিজেদের চলতেই কষ্ট হয়। এর মধ্যে কুকুরের খাবারের জন্য বাড়তি টাকা খরচ করা আমাদের জন্য কষ্টকর। শুধুমাত্র পূর্ব পুরুষরা কুকুর পালন করতেন বলেই আমরা এখনও পালন করছি।
প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের মতে, ঐতিহ্যবাহী এই কুকুরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। এই কুকুর কেবল সরাইলের ঐতিহ্যই নয়, এটি নিরাপত্তার কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এর সঠিক প্রজনন, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজেও এদের ব্যবহার করা সম্ভব।
তাদের মতে, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতায় ঐতিহ্যবাহী সরাইলের বিরল প্রজাতির মূল্যবান গ্রে-হাউন্ড কুকুরকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সরাইল উপজেলা সদরে একটি গ্রে-হাউন্ড কুকুর সংরক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছিল।
তবে উপযুক্ত চিকিৎসা, সুষ্ঠু পরিচালনা ও আর্থিক সংকটের কারণে কয়েক বছর পরই কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা সদরের বড়দেওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান ঠাকুর ২০০১ সালে সরাইলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুকুর প্রজননের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার উদ্যোগটিও টেকেনি।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, সরাইলের ঐতিহ্যের কথা বলতে গেলে বিখ্যাত গ্রে-হাউন্ড কুকুরকে বাদ দেওয়া যাবে না। দেশ বিদেশে এই কুকুর সরাইলের পরিচিতি বহন করে। এছাড়া গ্রে-হাউন্ড কুকুর প্রভুভক্ত। পাশাপাশি গ্রে-হাউন্ড কুকুর বাড়িঘর পাহারা দেয়। গোয়েন্দা তৎপরতার মত গুণও রয়েছে তাদের। সূত্র: বাসস

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Prime Academia Memorandum of Understanding was signed between Green University and Prime Bank

গ্রিন ইউনিভার্সিটি ও প্রাইম ব্যাংকের মধ্যে ‘প্রাইম একাডেমিয়া’ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

গ্রিন ইউনিভার্সিটি ও প্রাইম ব্যাংকের মধ্যে ‘প্রাইম একাডেমিয়া’ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় সম্প্রতি আয়োজন করেছে “ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন: এঙ্গেজিং অ্যান্ড ইনস্পায়ারিং ইয়ুথ ইন ব্যাংকিং” শীর্ষক এক সেমিনার। অনুষ্ঠানটি ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ ‘প্রাইম একাডেমিয়া’ প্ল্যাটফর্মের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। তিনি বলেন, “টেকসই উন্নয়ন ও যুবশক্তির ক্ষমতায়নে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অপরিহার্য।” এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. ফাইজুর রহমান, ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ, এবং রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (নৌ.) এস. এম. সালাউদ্দিন (এনজিপি, পিএসসি) সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শায়লা আবেদিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব লায়াবিলিটি, যিনি তরুণদের জন্য ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।

এছাড়া এম এম মাহবুব হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ও স্কুল ব্যাংকিং, ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে আর্থিক সচেতনতার ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারের শেষে প্রাইম ব্যাংক ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে শিল্প ও শিক্ষাঙ্গনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক কর্মসূচি এবং যৌথ উদ্যোগ আরও জোরদার হবে।

প্রাইম একাডেমিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে একীভূত আর্থিক সমাধান প্রদান করছে—যার আওতায় রয়েছে ডিজিটাল ফি সংগ্রহ, পেরোল সেবা, স্কুল ব্যাংকিং এবং শিক্ষার্থী উপযোগী একাউন্ট সুবিধা—সবকিছু এক প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত।

শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে তরুণরা অনুপ্রাণিত হয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে নিজেদের স্বপ্নকে যুক্ত করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
The 69th meeting of the Board of Directors of Community Bank was held

কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬৯তম সভা অনুষ্ঠিত

কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৬৯তম সভা অনুষ্ঠিত

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি.’র পরিচালনা পর্ষদের ৬৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর, ২০২৫) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম বিপিএম। উক্ত সভায় কয়েকটি বিনিয়োগ প্রস্তাব ও ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জনাব এ কে এম শহিদুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম, এনডিসি, মহাপরিচালক, র‌্যাব; জনাব এ. কে. এম. আওলাদ হোসেন, অ্যাডিশনাল আইজি (অ্যাডমিন), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব মোঃ আকরাম হোসেন, বিপিএম (সেবা), অ্যাডিশনাল আইজি (ফিন্যান্স), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ, বিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি (এইচআরএম), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব মোঃ ছিবগাত উল্লাহ, বিপিএম (সেবা), পিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি (সিআইডি), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব সরদার নূরুল আমিন, বিপিএম (সেবা), অ্যাডিশনাল আইজি (ডেভেলপমেন্ট), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব কাজী মো. ফজলুল করিম, বিপিএম (সেবা), অ্যাডিশনাল আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব কামরুল আহসান, ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব মুনতাসিরুল ইসলাম, পিপিএম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (হাইওয়ে পুলিশ), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব আহম্মদ মুঈদ, বিপিএম (সেবা), অ্যাডিশনাল ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব কামরুল হাসান তালুকদার, ইন্সপেক্টর, বাংলাদেশ পুলিশ; ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান, স্বতন্ত্র পরিচালক; জনাব সৈয়দ রফিকুল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক; জনাব মোহাম্মদ তফাজ্জুল হোসেন, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক; জনাব কিমিয়া সাআদত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি. এবং কোম্পানি সচিব জনাব সাইফুল আলম এফসিএস সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
BRAC Bank Dhaka Region Agent Meet 2025 held

ব্র্যাক ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের এজেন্ট মিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ব্র্যাক ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের এজেন্ট মিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের সম্পৃক্ততা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ঢাকা অঞ্চলের জন্য এজেন্ট মিট ২০২৫ আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
১০ অক্টোবর ২০২৫ কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এই এজেন্ট মিটে অংশ নেন ব্র্যাক ব্যাংকের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর অঞ্চলের মোট ১১৬টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের এজেন্ট প্রতিনিধিরা। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রসারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই আয়োজনটি ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এজেন্টদের সরাসরি মতবিনিময়ের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিএফও এম. মাসুদ রানা এফসিএ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার মো. সাব্বির হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব অল্টারনেট ব্যাংকিং চ্যানেলস নাজমুল রাহিম এবং হেড অব এজেন্ট ব্যাংকিং মো. নাজমুল হাসান। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি এই আয়োজনকে তাৎপর্যপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক করে তুলেছে।
দিনব্যাপী এই আয়োজনে মতবিনিময়, এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্য, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণ এবং মাঠ পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। ব্যাংকটির কর্মকর্তারা এজেন্টদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন, যাতে তাঁরা দেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত করতে উদ্বুদ্ধ হন।
অনুষ্ঠানে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে অসামান্য অবদান রাখা সেরা পারফর্মিং এজেন্টদের ‘ডায়মন্ড’ ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতি শুধু তাঁদের ব্যক্তিগত অর্জনই নয়, বরং ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সক্ষমতার প্রতিফলন।
এজেন্টদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, আলোচনা ও আইডিয়া শেয়ারিং অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত ও অর্থবহ করে তোলে। এটি এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারে ব্যাংকটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
ব্যাংকের প্রযুক্তি সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ, সুরক্ষিত ও সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজেই অ্যাকাউন্ট খোলা, টাকা জমা দেওয়া, লোন নেওয়া ও রেমিটেন্সের টাকা উত্তোলন করতে পারছেন।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৮টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
42 English medium students received British Council awards for outstanding academic achievement

অসাধারণ অ্যাকাডেমিক অর্জনে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পুরস্কার পেলেন ইংরেজি মাধ্যমের ৪২ শিক্ষার্থী

ও লেভেল, আইজিসিএসই ও ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনকারীদের স্বীকৃতি প্রদান
অসাধারণ অ্যাকাডেমিক অর্জনে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পুরস্কার পেলেন ইংরেজি মাধ্যমের ৪২ শিক্ষার্থী

দেশের ২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ৪২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর অ্যাকাডেমিক সাফল্য উদযাপন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এ উপলক্ষে গতকাল ২১ অক্টোবর র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন ঢাকায় আয়োজিত হয় ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কলার্স’ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫।’

২০২৫ সালের মে/জুন সেশনের কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এবং পিয়ারসন এডএক্সেল-এর (ও লেভেল/আইজিসিএসই/ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই) পরীক্ষায় নয়টি বা তার বেশি বিষয়ে সর্বোচ্চ গ্রেড অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের এ সম্মানজনক পুরস্কার প্রদান করা করা হয়। যুক্তরাজ্যের এক্সাম বোর্ডগুলোর পক্ষে ব্রিটিশ কাউন্সিল এই পরীক্ষা পরিচালনা করে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পুরস্কারপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও শেখার আগ্রহের প্রতিফলন, যারা দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর বাংলাদেশ, স্টিফেন ফোর্বস বলেন,
“আজ আমরা শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠা ও সাফল্য উদযাপন করছি; একইসাথে শিক্ষার্থীদের সাফল্যে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষা ও কর্মজীবন, উভয় ক্ষেত্রেই তরুণদের পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশে ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুক্তরাজ্যের এক্সাম বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল তাদের ভবিষ্যতের যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী। যারা এবার কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করতে পারেননি, তাদের প্রচেষ্টাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ; সামনে নিশ্চয়ই তারা প্রচেষ্টার সুফল পাবেন। সকল শিক্ষার্থীকে স্বপ্নপূরণের পথে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই।”

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্কুলের দুই শ’রও বেশি শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, অভিভাবক ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের পার্টনার স্কুলের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়, যেখানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বৈশ্বিক শিক্ষা কার্যক্রমের প্রভাব এবং পূর্বে পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তর্জাতিক সাফল্য তুলে ধরা হয়। এরপর, কীভাবে বাংলাদেশের আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে এগিয়ে যেতে পারেন এ নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা দেন সংস্থাটির এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রাইমান।

আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিল পুরস্কার প্রদান পর্ব। ৪২ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অনন্য ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত দু’জন শিক্ষার্থী তাদের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর তাহনি ইয়াসমিনের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে এক প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনটি শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এক্সাম বোর্ডের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্টের কান্ট্রি লিড সারওয়াত রেজা; পিয়ারসন এডএক্সেল বাংলাদেশ ও নেপালের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিন কুদ্দুস; পিয়ারসন এডএক্সেল বাংলাদেশের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার জান্নাতুল ফেরদৌস সিগমা; এবং অক্সফোর্ড একিউএ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর বাংলাদেশ শাহিন রেজা।

বাংলাদেশের তরুণদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা, সৃজনশীলতা ও ব্যক্তিগত বিকাশের মাধ্যমে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কলার্স’ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ ব্রিটিশ কাউন্সিলের সে অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বাঙ্গীণ শিক্ষাই আত্মবিশ্বাসী ও নেতৃত্বগুণসম্পন্ন নাগরিক তৈরি করতে পারে বলে বিশ্বাস করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।

মন্তব্য

p
উপরে