× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অনুসন্ধান
মগবাজার বিস্ফোরণ উৎস চোরাই গ্যাসলাইন?
google_news print-icon

মগবাজার বিস্ফোরণ: উৎস চোরাই গ্যাসলাইন?

মগবাজার-বিস্ফোরণ-উৎস-চোরাই-গ্যাসলাইন?
মগবাজারে বিস্ফোরণ ঘটা ভবনে রয়েছে একটি চোরাই গ্যাসলাইন। ছবি: নিউজবাংলা
তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, মগবাজারে বিস্ফোরণের মূল উৎস মিথেন গ্যাস। কিন্তু এই মিথেন গ্যাস সেখানে জমা হলো কীভাবে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেছেন, তারা ঘটনাস্থলে চোরাই গ্যাসলাইনের অস্তিত্ব পেয়েছেন।

গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে মগবাজারের তিনতলা ভবনের নিচতলার কোনো কক্ষে মিথেন গ্যাস জমা হয়েছিল। সেই গ্যাস কোনো দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শে এসে মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে করছেন একাধিক কর্মকর্তা।

বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা পরও ভবনটির নিচতলায় ১২ শতাংশ মিথেনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর এত বিপুল পরিমাণের মিথেন শুধু গ্যাসের পাইপলাইন থেকেই পাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে তিতাস গ্যাসের তদন্ত দল বলছে, ওই ভবনে বৈধ-অবৈধ কোনো গ্যাসের সংযোগই পাওয়া যায়নি। তাহলে এত মিথেনের উৎস কী?

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেছেন, তারা ঘটনাস্থলে একটি চোরাই গ্যাসলাইনের অস্তিত্ব পেয়েছেন।

১২ শতাংশ মিথেন

ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর কারণ উদঘাটনে একাধিক সংস্থার তদন্তকারীরা আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করেন মগবাজারের তিনতলা ভবনটির নিচতলায়।

মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা নিচতলার কক্ষে ১২ শতাংশ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছেন, যা পাইপলাইনের প্রাকৃতিক গ্যাসের পাশাপাশি সেপটিক ট্যাংকেও জমা হয়।

মগবাজার বিস্ফোরণ: উৎস চোরাই গ্যাসলাইন?

সমপরিমাণ মিথেন পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটিও। তবে মিথেনের সঙ্গে আরও দুটি গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা নিউজবাংলাকে জানান তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারী পরিচালক ছালেহ উদ্দিন। এ দুটি গ্যাস হলো হাইড্রোজেন সালফাইড ও ফসজিন।

সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে যেসব গ্যাস জমা হয়, তার একটি হাইড্রোজেন সালফাইড। আর ফ্রিজ ও এসির কম্প্রেশারে ফসজিন গ্যাস পাওয়া যায়।

ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংক দোকানের ভেতরে থাকায় আর বিস্ফোরণের কারণে এসি ফ্রিজ ধ্বংস হওয়ায় এই দুই ধরনের গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া স্বাভাবিক বলে মনে করছেন তদন্তকারী একাধিক কর্মকর্তা।

মগবাজার বিস্ফোরণ: উৎস চোরাই গ্যাসলাইন?

মিথেনের ভয়াবহতা

মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও এ ঘটনা তদন্তে গঠিত পুলিশের কমিটির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, মিথেন গ্যাসের কারণেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। তিনি বলেন, কোনো বদ্ধ জায়গার বাতাসে ১৫ শতাংশ মিথেন গ্যাস জমা হলে তা এমন বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।

একই তথ্য দিলেন বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতানা রাজিয়া।

তিনি বলেন, ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর ১২ শতাংশ মিথেন পাওয়া মানে ঘটনার সময় তার পরিমাণ আরো বেশি ছিল। কারণ বিস্ফোরণের পর সব দেয়াল ভেঙে গ্যাস বেরিয়ে যাওয়ার অনেক রাস্তা তৈরি হয়েছে।

যে মাত্রায় মিথেন পাওয়া গেছে, তাতে এর চেয়েও বড় বিস্ফোরণ ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে জানান সুলতানা রাজিয়া। ১০ শতাংশ মিথেনের প্রভাবে বিশ্বের অনেক দেশেই আরও বড় বিস্ফোরণের নজির রয়েছে।

মগবাজার বিস্ফোরণ: উৎস চোরাই গ্যাসলাইন?

কোথা থেকে এলো মিথেন

কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সুলতানা রাজিয়া জানান, মিথেন হলো প্রাকৃতিক গ্যাস, যার অস্তিত্ব পাওয়া যায় বাসাবাড়ির রান্নার গ্যাসে। সেপটিক ট্যাংকের আবর্জনা থেকেও এই গ্যাস পাওয়া যায়। তবে এত বিপুল পরিমাণ মিথেন সেপটিক ট্যাংক থেকে জমা হবে না বলে মনে করেন তিনি।

সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘পাইপলাইনে ধারাবাহিক সরবরাহ ছাড়া এত মিথেনের উপস্থিতি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেখানে গ্যাসের লাইন থাকতে পারে। যেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে গ্যাস লিক করে ভবনের কোনো কক্ষে অল্প সময়ে জমা হয়ে থাকতে পারে। তা ছাড়া ভবনের সেপটিক ট্যাংকও অক্ষত আছে। তাই সেপটিক ট্যাংক এই গ্যাসের উৎস হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।’

মগবাজার বিস্ফোরণ: উৎস চোরাই গ্যাসলাইন?

চোরাই গ্যাসলাইন?

ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কয়েক দফা ভবনটিতে গ্যাসলাইন-সংযোগ খোঁজার চেষ্টা করেছে তিতাস গ্যাসের তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তাদের কাছে ভবনের গ্যাসলাইন সম্পর্কে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যান তারা।

ঘটনার পরদিন তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে কয়েকটি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করা হয়, ওই ভবেনে বৈধ বা অবৈধ কোনো গ্যাসের লাইনের সংযোগ নেই।

ভবনের গ্যাস-সংযোগের বিষয়ে পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আসাদুজ্জামানকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, তদন্তে শেষ না হলে কিছু জানা যাবে না।

মগবাজার বিস্ফোরণ: উৎস চোরাই গ্যাসলাইন?

অধ্যাপক সুলতানা রাজিয়ার মতো একই কথা জানালেন ফায়ার সার্ভিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাংক থেকে এত মিথেন গ্যাস আসা সম্ভব না। এটা অবশ্যই গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে হয়েছে।

কিন্তু গ্যাসের লাইন কোথায়, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, প্রথমে ধ্বংসস্তূপের কারণে চোখের আড়ালে থাকলেও অনুসন্ধানে ভবনে একটি চোরাই গ্যাসের লাইন আবিষ্কার করা গেছে। তবে সেটি দিয়ে গ্যাসের প্রবাহ ছিল কি না, তা তারা যাচাই করে দেখছেন।

ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা জানান, ভবনটি প্রথমে আবাসিক ছিল। তখন মালিক হয়তো কারসাজি করে ভবনের পেছন থেকে মাটির নিচে দিয়ে এই চোরাই গ্যাসলাইন টেনেছিলেন। তারপর এটি যখন বাণিজ্যিক ভবন করে ফেলা হয়, তখন থেকে আর গ্যাস-সংযোগের প্রয়োজন পড়েনি। এমনও হতে পারে, লাইনটি তারা ম্যানুয়ালি বন্ধ করলেও এই চোরাই লাইন দিয়ে লিকেজ হয়ে গ্যাস নিচতলার কোথাও জমা হয়েছিল।

মগবাজার বিস্ফোরণ: উৎস চোরাই গ্যাসলাইন?

ওই কর্মকর্তার কথার সূত্র ধরে ভবনের নিচতলার মূল ফটকের ভেতরে একটি গ্যাসলাইন খুঁজে পাওয়া যায়। যার একটি অংশ প্রক্রিয়াজাত মাংসের চেইনশপ বেঙ্গল মিটের দেয়াল ঘেঁষে ভবনটির ওপরে চলে গেছে আর অপর অংশ ভবনের মাটির নিচে চলে গেছে। বিস্ফোরণের আঘাতে লাইনটি দুই ভাগ হয়ে আছে। তবে সেটি থেকে কোনো ধরনের গ্যাস লিকেজ হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় ভবনের দ্বিতীয় তলার ইলেকট্রনিকস পণ্যের গোডাউনের এক কর্মচারীর সঙ্গে। তার নাম মো. তামজীদ। তিনি গোডাউনের মালামাল আনা-নেয়ার কাজ করেন।

তামজীদ বলেন, ‘আমি রেগুলার এখানে মাল আনা-নেয়া করি। ঘটনার দিন দুপুর থেকে এই লাইন দিয়ে গ্যাসের গন্ধ পাইছি। অনেক গন্ধ ছিল।’

আরও পড়ুন:
মগবাজারে বিস্ফোরণ: কী আছে মামলার এজাহারে
মগবাজারে বিস্ফোরণ: দগ্ধ বেঙ্গল মিট কর্মীর মৃত্যু
বেঙ্গল মিটের পেছনে ছিল শরমা হাউসের রান্নাঘর
মগবাজারের মতো দুর্ঘটনা আরও ঘটতে পারে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অনুসন্ধান
Former senior secretary Abu Alam Shahid Khan arrested

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার মামলায় আজ সোমবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
DMP 2 cases in violation of traffic law in Dhaka

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,৫৬৭ মামলা ডিএমপির

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৬৭টি মামলা করেছে ঢাকা

মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, রোববার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
The contaminated air is taking the life expectancy of the residents of Dhaka for about 5 years

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ু প্রায় ৭ বছর আয়ু কেড়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্দাদের

দূষিত বায়ুদূষণ বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫ বছর ৫ মাস কমিয়ে দিচ্ছে। বিষাক্ত বায়ুর এই প্রভাব রাজধানী ঢাকায় বিশেষভাবে তীব্র। বায়ুদূষণ এই শহরের মানুষের গড় আয়ু ৬ বছর ৯ মাস কমিয়ে দেয়।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গত সপ্তাহের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশকে বায়ুদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণ হলো আয়ুর জন্য সবচেয়ে বড় বহিরাগত হুমকি। বাংলাদেশে, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ।

রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষের সবাই এমন এলাকায় বাস করে, যেখানে বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট দূষণের বার্ষিক গড় মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) এবং দেশের জাতীয় সীমা (৩৫ মাইক্রোগ্রাম) উভয়ই ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার মতো জায়গায় এই মাত্রা ৭৬ মাইক্রোগ্রামের ওপরে দেখা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা মেনে চললে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫.৫ বছর বেশি হতে পারে।’

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সরকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছে।

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। আমার সন্দেহ আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী আছে কিনা।’

তিনি বলেন, ‘এখানে বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি শনাক্ত করার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি খালি চোখেই দেখা যায়।’

বাংলাদেশের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য ‘ধোঁয়াশা’ একটি নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রায় প্রতিদিন সকালেই তাদের ঢেকে রাখে এই ‘ধোঁয়াশা’। কিন্তু আরও বিপজ্জনক হলো, দূষণ যেগুলো চোখ দেখতে পায় না: কণা পদার্থ, PM2.5 — ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম প্রশস্ত বায়ুবাহিত ক্ষুদ্র কণা- এগুলো ফুসফুস এবং রক্তপ্রবাহের গভীরে প্রবেশ করে মারত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে PM2.5-এর মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ই কেবল এই মাত্রা কমেছিল। কিন্তু সেই প্রবণতা স্থায়ী হয়নি।

ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘গত বছরের AQLI রিপোর্টে, আমাদের গড় আয়ু ৪.৮ বছর কমেছে, এবং এই বছর তা ৫.৫ বছর হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এটি দেখায় যে, রাষ্ট্র তার জনগণের সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেনি, যার অর্থ বাংলাদেশ সরকারও এই প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে একমত। রাষ্ট্র এখানে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’

দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে তালিকাভুক্ত করেন, বিশেষত ইটের জন্য কয়লা বা কাঠ পোড়ানো।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঢাকার রাস্তায় অতিরিক্ত ১ লাখ যানবাহন চলাচল করে। এই যানবাহনগুলোর অনেকগুলো যথাযথ ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই চলে। এটি বায়ু দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণও আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। খোলা জায়গায় পোড়ানোসহ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও একটি বড় কারণ।’

সর্বশেষ বায়ুদূষণ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বছরের শেষ নাগাদ তার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কাজটি সহজ নয়, তবুও পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মান ব্যবস্থাপনার পরিচালক ড. জিয়াউল হক স্বীকার করেছেন, ‘বায়ু দূষণের প্রতিটি উৎস’ বাংলাদেশের পরিবেশে বিদ্যমান।

তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা থেকে ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই খাতে আমরা এখনো কোনো সাফল্য দেখতে পাচ্ছি না।’

ড. জিয়াউল হক বলেন, ‘যেসব বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, আমরা তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় আনব। তাদের কারখানার চুল্লিতে একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে এবং আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্গমনের ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করব। ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার বায়ু’ প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।’

যদিও দূষণের সমস্ত উৎস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু উৎস এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত দূষণ ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার ৩৫ শতাংশ বায়ু দূষণ দেশের বাইরে থেকে আসে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকার বায়ু দূষণের ২৯ শতাংশই বর্জ্য এবং জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর কারণে হয়। আমরা এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান করতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা সেখানেই আছে।’

সূত্র: আরব নিউজ

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Police have been injured in the movement of students in Shahbag

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
BUET students are still in Shahbag blockade today

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
DMP 2 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,৩৪৪টি মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩৪৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে বিষপানে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।

সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে