টাকা-পয়সা নেই পকেটে অনেকেরই, কারো কারো সংসার চলছে কার্যত খুঁড়িয়ে। বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব পড়ছে এসব মানুষের ওপর। একসময় অর্থনীতির জন্য আদর্শ জায়গা বলে বিবেচিত ইউরোপের বিভিন্ন দেশের চিত্র এখন এমন।
৫০ দেশের মহাদেশ ইউরোপের ছয়টি দেশের ওপর এক জরিপ চালিয়ে ফ্রান্সের দারিদ্র্যবিরোধী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিকিউরস পপুলাইরি এমন বিস্ময়কর তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
জরিপে উঠে এসেছে ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, পোল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের মানুষ কীভাবে তাদের নিত্যদিনের খরচ কমিয়েছেন। এতে অংশ নেয়া ৬ হাজার জনের অর্ধেকের বেশিই বলেছেন, তারা ব্যয় নিয়ে সংকটে পড়েছেন।
অর্থনীতি নিয়ে খুব বিপজ্জনক অবস্থায় থাকার কথা জানিয়েছেন প্রতি চারজনে একজন। সামনের দিনগুলো নিয়ে বেশ শঙ্কায় আছেন তারা।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ ভাগ মানুষ জানিয়েছেন, তারা সংসারের খরচে কাটছাঁট করেছেন। আগে ভ্রমণে তারা যে ব্যয় করতেন তা ৬২ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছেন। বন্ধুবান্ধুব ও পরিবারের অন্যদের কাছে ধারদেনা করছেন ৪২ ভাগ মানুষ, ৪০ ভাগ মানুষ খুঁজছেন দুটি করে চাকরি। আর ২৯ ভাগ জানিয়েছেন, তারা একবেলার খাবার খাচ্ছেন না।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের। দাম বেড়েছে জ্বালানিরও, সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে একটির পর একটি দেশ। ইউরোপের বাইরে এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের অবস্থাও ভয়াবহ।
করোনা ছড়ানো শুরু হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এক সংকট কাটিয়ে ওঠার পথে থাকা বিশ্বকে দমিয়ে দিয়েছে আরেক সংকট।
অর্থনীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে গ্রিস। দেশটির ৬৮ ভাগ মানুষ বলেছেন, ২০১৯ সাল থেকে তাদের ব্যয়ক্ষমতা কমে গেছে অনেক। ফ্রান্সের ৬৩, ইতালির ৫৭, জার্মাানির ৫৪, যুক্তরাজ্যের ৪৮ ও পোল্যান্ডের ৩৮ ভাগ মানুষ জানিয়েছেন একই কথা।
জরিপে অংশ নেয়া ছয়টি দেশের ৬৪ ভাগ মানুষ বলেছেন, তারা এরই মধ্যে খরচ কমিয়েছেন, এখন আর কোথায় খরচ কমাবেন তা তারা বুঝতে পারছেন না। ২৮ ভাগ বলেছেন, মাসের মাঝখানে এসে তাদের হাতে আর টাকা থাকে না। ভাড়া বাসা ছেড়ে দিতে হয় কি না চিন্তায় পড়েছেন ২৭ ভাগ মানুষ।
ছয়টি দেশের বেশির ভাগ পরিবারের অভিভাবকরা আর্থিক অবস্থা নিয়ে চাপ অনুভব করছেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। অংশগ্রহণকারীদের ৭২ ভাগ জানিয়েছে, সন্তানের জীবনযাত্রার মান রক্ষার জন্য তারা তাদের অবসর কার্যক্রম, সৌন্দর্য চর্চা, চিকিৎসা ও পোশাক কেনা কমিয়েছেন।
ওই দেশগুলোর প্রায় ৪৮ ভাগ অভিভাবক বলেছেন, বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য তারা নিজেদের খাওয়ার খরচ কমিয়েছেন। আর ৬৬ ভাগ অভিভাবক জানিয়েছেন, বাচ্চাদের জন্য আগে যে খরচ করতেন সে জায়গায় তারা লাগাম টানতে বাধ্য হয়েছেন।
ইউরোপের এই দেশগুলো বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে আর্থিক দিক দিয়ে সামনের দিনগুলোতে আরও ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছে সিকিউরস পপুলাইরির জরিপ।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনারের কার্যালয়কে ৩০ ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটির ‘কল্যাণ ও সুরক্ষা’য় সহায়তার জন্য এ অর্থ দেয়া হচ্ছে বলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, শিশু, সহিংসতায় আক্রান্ত নাগরিকসহ ইউক্রেনের সর্বসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগে সহায়তার অংশ হিসেবে কাতার এ অর্থ দিচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়টির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে সংঘাতপীড়িত পরিবারগুলোকে সাহায্যের জন্য ক্রমবর্ধমান আইনি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এ অর্থ।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, মানুষের মর্যাদাকে সম্মান করা হয় এবং প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকারের সুরক্ষা দেয়া হয়, এমন বিশ্ব গড়ে তোলার প্রয়াসের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাটি।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানান, কাতারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ হামলার পর জোর করে রাশিয়ায় পাঠানো ইউক্রেনীয় ১৬ শিশু।
জেলেনস্কি বুধবার জানান, কাতারের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সুবাদে শিশুরা মুক্ত হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছে।
আরও পড়ুন:নিরাপত্তা খাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে একটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেছে রাশিয়া ও ইরান।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বুধবার নিরাপত্তা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের আন্তর্জাতিক বৈঠকের ফাঁকে এমওইউটি সই করে দুই দেশ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এসএনএসসি) সচিব আলি আকবর আহমেদিয়ান ও তার রাশিয়ার সমকক্ষ নিকোলাই পাত্রুশেভ এমওইউতে সই করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, কৌশলগত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করবে তেহরান ও মস্কো।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক গভীরতর করেছে ঘনিষ্ঠ ও কৌশলগত দুই মিত্র ইরান ও রাশিয়া।
সেন্ট পিটার্সবার্গে গত ২৩ এপ্রিল থেকে নিরাপত্তা বিষয়ে ১২তম আন্তর্জাতিক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠক শুরু হয়, যা শেষ হবে ২৫ এপ্রিল। এতে অংশ নেন ১০৬টি দেশের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে দেয়া ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগ্রহী যেকোনো অংশীদারের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতায় প্রস্তুত মস্কো।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছে ইউক্রেন, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র গোপনে সরবরাহ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
বিবিসি বৃহস্পতিবার জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনুমোদিত ৩০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অংশ। চলতি বছরের মার্চে সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়। এপ্রিলে অস্ত্রগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য অন্তত একবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ছয় হাজার ১০০ কোটি ডলার সহায়তার প্যাকেজে সই করেছেন বাইডেন।
ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে বিভিন্ন সময়ে ওয়াশিংটনকে তাগিদ দিয়ে আসছিল কিয়েভ, তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এর আগে ইউক্রেনকে মধ্যমপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমস তথা এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেয়া হয়েছিল।
ইউরোপের দেশটিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিতে রাজি হচ্ছিল না বৈশ্বিক পরাশক্তিটি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিতে বাইডেন ফেব্রুয়ারিতে সবুজ সংকেত দেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস সরবরাহ করেছে বলে আমি নিশ্চিত করতে পারি।’
আরও পড়ুন:নথিপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে আইন পাস করেছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউজ অফ লর্ডসের বিরোধিতা এবং নানা বিতর্কের পর পার্লামেন্টে মঙ্গলবার সকালে এ সংক্রান্ত বিলটি পাস করে আইনে পরিণত করা হয় বলে জানায় বিবিসি।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসে বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ৩১৭টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩৭ টি। মোটামুটি বড় ব্যবধানেই বিলটি পাস হয়।
এ আইনে রুয়ান্ডাকে একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সেখানে কিছু আশ্রয়প্রার্থী পাঠানো সরকারের পরিকল্পনার একটি মূল অংশ।
হাউস অব লর্ডস থেকে এই বিলের বিষয়ে দুটি আপত্তি জানানো হয়। সেই বিষয়ে হাউস অব কমনসে বিতর্ক শুরু হয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে। পরে দীর্ঘ বিতর্ক শেষে মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে বিলটি পাস হয়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সোমবার জানান, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর ফ্লাইট ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই শুরু করতে চান। প্রথম ফ্লাইট জুলাইয়ে রুয়ান্ডায় রওনা হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার ঋষি বলেন, ‘আমরা বিমানঘাঁটি প্রস্তুত রেখেছি। বাণিজ্যিক বিমান ভাড়া করেছি এবং অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরকে পাহারা দিয়ে রুয়ান্ডায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ৫০০ স্টাফকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আর কোনো যদি এবং কিন্তু নেই। ফ্লাইটগুলো রুয়ান্ডায় যাচ্ছে। আমরা প্রস্তুত, ফ্লাইটগুলো পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’
এর আগে নথিপত্রবিহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরের জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাজ্য। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিনসেন্ট বাইরুতার সঙ্গে এ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নিজ দেশের অভিবাসী কেন্দ্রগুলো থেকে সব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে রুয়ান্ডা পাঠাবে ব্রিটেন। সেই সঙ্গে ব্রিটেন থেকে যাওয়া অভিবাসীদের অন্য কোনো দেশে পাঠানো যাবে না বলে রুয়ান্ডারকে শর্ত দেয়া হয়েছে।
ওই সময় চুক্তিতে মতানৈক্য থাকায় যুক্তরাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন রবার্ট জেনরিক।
আরও পড়ুন:গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নেয়া বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত পুরুষ ব্রিটন জন টিনিসউড জানালেন তার ১১১ বছরের দীর্ঘ জীবনের রহস্য।
টিনিসউডকে উদ্ধৃত করে শনিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, টিনিসউড মনে করেন, এত বছর বেঁচে থাকাটা তার ভাগ্যে ছিল। তার ডায়েটে বিশেষ কোনো গোপনীয়তা ছিল না। প্রতি শুক্রবার টিনিসউডের প্রিয় খাবার মাছ এবং চিপস।
এর আগে ১১৪ বছরের দীর্ঘজীবন শেষে ২ এপ্রিল মারা যান বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ হুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ মোরা। ‘তিও’ ডাকনামে পরিচিত এ ব্যক্তি ছিলেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার নাগরিক।
ভিসেন্তে পেরেজ মারা যাওয়ায় উত্তরাধিকারসূত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত পুরুষ হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসটি পান ব্রিটন জন টিনিসউড।
উত্তর ইংল্যান্ডের মার্সিসাইডে ১৯১২ সালে জন্মগ্রহণ করেন টিনিসউড। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং প্রাক্তন ডাক পরিষেবা কর্মী। টিনিসউডের বয়স ১১১ বছর এবং ২২২ দিন।
দীর্ঘায়ুর রহস্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আপনার আয়ু হয়ত দীর্ঘ হবে অথবা কম হবে। এখানে আপনার কিছুই করার নেই।’
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ছিলেন জাপানের জিরোইমন কিমুরা। তিনি ১১৬ বছর ৫৪ দিন বেঁচে ছিলেন। সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত নারী এবং সামগ্রিকভাবে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হলেন স্পেনের মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা। তার বয়স বর্তমানে ১১৭ বছর।
পশ্চিমা ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এমনকি এর বাইরে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না তারা। তবে ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিলে তা ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় বুধবার রাশিয়ার বিমান বাহিনীর পাইলটদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেছেন তিনি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে পূর্ব দিক থেকে রাশিয়ার দিকে অগ্রসর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে রাশিয়ার এসব অঞ্চলের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ওপর হামলার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন পুতিন।
তিনি বলেন, ‘এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।’
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করার অভিযোগ এনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ কারণেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।’
পশ্চিমারা ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেয়ার বিষয়ে পুতিন বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ইউক্রেনের পরিস্থিতি পাল্টাবে না। আর ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও রকেট লঞ্চারের মতো ওগুলোকেও (এফ-১৬) আমরা ধ্বংস করব।’
তিনি বলেন, ‘এসব যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, তবে সেসব স্থানও আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, তা সে যে স্থানই হোক না কেন।’
এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কাও বাড়াবে বলে এ সময় সতর্ক করেন তিনি।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার মস্কোতে গত শুক্রবার কনসার্ট হলে ব্যাপক প্রাণঘাতী হামলার দায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) স্বীকার করলেও এ ধরনের আক্রমণের সামর্থ্য জঙ্গি সংগঠনটির আছে বলে বিশ্বাস করে না রাশিয়া।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার তার দেশের এ অবস্থান ব্যক্ত করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জাখারোভা বলেন, মস্কোর কনসার্ট হলে হামলা চালানোর মতো সামর্থ্য আইএসের আছে, এমনটি বিশ্বাস করা অত্যন্ত কঠিন।
সাম্প্রতিক ওই হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ১৪৩ জন। আহত অনেককে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
মস্কোর উপকণ্ঠে ক্রোকাস সিটি হলে হামলায় ইউক্রেনের জড়িত থাকার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। যদিও এ দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তিনি।
রাশিয়ায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার পর দায় স্বীকার করে আইএস। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেন, তাদের কাছে থাকা গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, হামলাটি চালায় আইএসের আফগান শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান।
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার নাকচ করেছে ইউক্রেন, তবে জাখারোভার ভাষ্য, ইউক্রেনকে হামলার দায় থেকে বাঁচাতে ত্বরিত গতিতে আইএসের ওপর দায় চাপায় পশ্চিমা দেশগুলো।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য