দায়িত্ব নেয়ার ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এর মধ্যে দিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকার তকমা জুটল ট্রাসের কপালে। ডাউনিং স্ট্রিটে নিজ কার্যালয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার পদত্যাগের কথা জানান ট্রাস।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হয়েও সরকার গঠনে ম্যান্ডেট অর্জন করতে পারিনি। রাজাকে আমার পদত্যাগ করার বিষয়টি জানিয়েছি।’
এ সময় ট্রাস স্বীকার করেন, কনজারভেটিভ নেতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এতে দলের মধ্যে আস্থা হারিয়েছেন তিনি।
ট্রাস বলেন, ‘যে ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছি, আমি তা পূরণ করতে পারিনি। তাই মহামহিম রাজার সঙ্গে কথা বলেছি; তাকে অবহিত করেছি যে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করছি আমি।’
আগামী সপ্তাহের মধ্যে কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্ব প্রশ্নে ভোট হবে। নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকবেন ট্রাস।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ব্যাকবেঞ্চ এমপিদের ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে পদত্যাগের আগে দেখা করেছিলেন ট্রাস। সেখানে অনেক টোরি তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানের পদত্যাগ এবং তার উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে হট্টগোলে নতুন করে চাপে পড়েছিল ট্রাসের প্রধানমন্ত্রীত্ব। বুধবার সন্ধ্যায় ভোট ঘিরে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয় কনজারভেটিভদের মধ্যে।
Liz Truss joins ranks of shortest-serving world leaders https://t.co/3IIwT4bRBQ
— The Guardian (@guardian) October 20, 2022
কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি বলেন, ‘নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা ২৮ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়া উচিত।
এদিকে বিরোধী লেবার পার্টি অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। বিরোধী নেতা স্যার কির স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘টোরিরা ব্রিটিশ জনগণের সম্মতি ছাড়ায় এসব কর্মকাণ্ড চালাতে পারে না। আসলে আমাদের একটি সাধারণ নির্বাচন দরকার।
‘কনজারভেটিভ পার্টি প্রমাণ করেছে যে তাদের আর শাসন করার ম্যান্ডেট নেই।’
৪৭ বছর বয়সী ট্রাস পার্লামেন্টে আসেন ২০১০ সালে। চার বছর এমপি পদে থাকার পর মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেন ট্রাস। দায়িত্ব পালন করেন ডেভিড ক্যামেরন সরকারের পরিবেশ, খাদ্য এবং গ্রামীণবিষয়ক সচিব হিসেবে।
পরে টেরিজা মে সরকারেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ট্রাস। ২০২১ সালে হন পররাষ্ট্র সচিব।
ট্রাস অবশ্য শুরু থেকেই রক্ষণশীল ছিলেন না। বামপন্থি মা-বাবার কাছে তার বেড়ে ওঠা। ছিলেন মধ্যপন্থি লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের কিশোরী সদস্য। মাত্র ১৯ বছর বয়সে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তির আহ্বান জানিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নিয়ে ২০১৬ সালের জুনে হওয়া গণভোটে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। ট্রাস চাইছিলেন ব্লকে থেকে যেতে।
৫ মে’র ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে প্রায় ২০ হাজার ভোটে হারিয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হন লিজ। তিনি পান ৮১ হাজার ৩২৬ ভোট; ঋষি সুনাকের পক্ষে যায় ৬০ হাজার ৩৯৯ ভোট।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা পরোয়ানা অনুযায়ী কোনো দেশ তাকে গ্রেপ্তার করলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।
পুতিনের এই সহযোগী বুধবার এমন হুঁশিয়ারি দেন।
গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বরাবরই আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা মেদভেদেভ।এরমধ্যে পরমাণু হামলারও হুমকি ছিল।
পুতিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে মেদভেদেভ বলেন, ‘আসুন কল্পনা করা যাক । এটা স্পষ্ট যে, পুতিনকে গ্রেপ্তার করা এমন একটি পরিস্থিতি যা কখনই ঘটবে না , কিন্তু ধরুন সে যদি জার্মানিতে যায় ও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাহলে কি হলো? রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হলো।’
‘যদি এমনটি হয় তাহলে আমারা সর্বশক্তি দিয়ে তাদের চ্যান্সেলরের অফিসে হামলা করব। ’
গত শনিবার ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজ দেশে থাকতে পুতিনের গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি নেই। যদি ক্রেমলিন তাকে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করে তবে পুতিনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব। তবে রাশিয়ার বাইরে কোনো দেশ চাইলে পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
ইউক্রেনে এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে রুশ সেনারা। এসময়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠলেও মস্কো তা অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে খরচ হবে ৪১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি, সময়ও দরকার হবে অন্তত ১০ বছর।
বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বৃহস্পতিবার এ তথ্য দিয়েছে।
অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে যে অর্থ খরচ হবে তার একটি বড় অংশই যাবে বিভিন্ন শহর ও এলাকায় ধসে পড়ে ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরাতে বা পরিষ্কার করতে। এতেই লাগবে ৫ বিলিয়ন ডলার।
বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, ন্যূনতম হিসাবে এ অর্থ খরচ হবে বলে ধরা হয়েছে। তবে যুদ্ধ যতদিন চলতে থাকবে খরচও বাড়বে।
গত সেপ্টেম্বরে অবশ্য এই খরচ ধরা হয়েছিল ৩৪৯ বিলিয়ন ডলার। এরপর এবার বিশ্ব ব্যাংক, ইউক্রেন সরকার, ইউরোপিয়ান কমিশন ও জাতিসংঘ এবার নতুন করে খরচের হিসাব দিলো।
প্রতিবেদন বলছে, যুদ্ধে ইউক্রেনের ২০ লাখ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতি পাঁচটির মধ্যে একটি স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ৬৫০টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪৬১টি শিশুসহ ৯৬৫৫ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট আনা বজেরদে বলেন, ইউক্রেনের পুনর্গঠনে কয়েক বছর সময় লাগবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনও। যুদ্ধে প্রতিদিনই আসছে প্রাণহানির খবর।
পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়াকে এই হামলা বন্ধের অনুরোধ করলেও তাতে সাড়া দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ ছাড়া কয়েক দফা দুই দেশের বৈঠকেও আসেনি কোনো সমাধান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। বেড়েছে জ্বালানি, খাদ্যপণ্যসহ নানা পণ্যের দাম। ইউক্রেন থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে অসংখ্য মানুষ।
আরও পড়ুন:চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের রাশিয়া সফরে ইউরোপের পরাশক্তিটির সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত হয়েছে পূর্ব এশিয়ার বৈশ্বিক শক্তিটির।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যৌথ বিবৃতিতে সমালোচনা করেছেন পশ্চিমের।
এমন বাস্তবতায় সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। রাশিয়ার সঙ্গে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধরত দেশটিতে দ্রুত সময়ে ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাশিয়া সফরে মঙ্গলবার বন্ধুত্বের বেশ কিছু নিদর্শন দেখিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। শি ও পুতিন পরস্পরকে প্রিয় বন্ধু হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে বলে দাবি করেছেন।
দুই নেতার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে ম্লান করছে এবং ন্যাটো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নাক গলাচ্ছে।
ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে গত মাসে প্রকাশিত চীনের ১২ দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করে সেটি প্রত্যাখ্যান করায় কিয়েভ ও পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনা করেন পুতিন। অন্যদিকে শি যুদ্ধের বিষয়টি উল্লেখ করেননি বললেই চলে। তিনি এ সংঘাতে চীন নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
রাশিয়া ও চীনের এমন অবস্থানের সময় আইএমএফ জানিয়েছে, ইউক্রেনকে চার বছরে ১ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার দিতে প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে সংস্থাটি। এ অর্থ বিধ্বস্ত অবকাঠামো মেরামত ও অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবনে কাজে লাগানো হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার জানিয়েছেন, ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দ্রুত ইউক্রেনের কাছে পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন সংকট নিরসনের যৌক্তিক পথ খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং বলেছেন, এ সমস্যার সমাধান সহজ হবে না।
সোমবার রাশিয়ার মস্কোতে পা রাখার আগে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত রুশ সংবাদপত্র রশিসকায়া গ্যাজেটায় লেখা নিবন্ধে তিনি এ কথা বলেন।
শিকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলার পর সৃষ্ট সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের আলোচনার ভিত্তি হতে পারে গত মাসে প্রকাশিত চীনের ১২ দফা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত দফাগুলোতে সব দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান, স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা পরিহার, যুদ্ধবিরতি, শান্তি আলোচনা শুরু, মানবিক সংকট নিরসনসহ বিভিন্ন আহ্বান জানানো হয়।
শি বলেন, ‘(ইউক্রেন) সংকটের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো ও এর রাজনৈতিক সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে এই নথি (১২ দফা প্রস্তাব) ইতিবাচক বিষয় হিসেবে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জটিল সমস্যার সহজ কোনো সমাধান নেই।’
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশটির ১২ দফায় যতটা সম্ভব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামতের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন শি চিনপিং।
ইউরোপের দুই প্রতিবেশীর সংঘাতে চীন নিজেকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে, তবে দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও বজায় রেখেছে।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর প্রথম কোনো বিশ্বনেতা হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শি চিনপিং।
আরও পড়ুন:কৃষ্ণ সাগর দিয়ে নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির চুক্তির মেয়াদ আরও ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তখন বিশ্ববাজারে শস্যের সরবরাহ কমায় দাম বেড়ে যায়। সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে প্রথম এ চুক্তি হয়। ওই সময় চুক্তির মেয়াদ ছিল ১২০ দিন।
মাঝে চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় রাশিয়া। তবে অনেক আলোচনার পর নভেম্বরেও আবারও চুক্তি নবায়ন করা হয়। যেটির মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ শেষ হয়।
রাশিয়া বলেছে, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে হলে কিছু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কমাতে হবে।
শনিবার জাতিসংঘ ও তুরস্ক চুক্তি নবায়নের কথা জানালেও মেয়াদ কতদিন বাড়ল তা সুনির্দিষ্ট করে বলেনি।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববাজারে রাশিয়ার খাদ্যপণ্য এবং সারের প্রসারের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি দ্য ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ নামের চুক্তিটি বিশ্বের বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সরবরাহকারী দেশ। আবার রাশিয়া শীর্ষস্থানীয় সার রপ্তানিকারক দেশও।
ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী মিকোলা সোলস্কি জানিয়ুএছেন, জাতিসংঘের ত্রাণ কর্মসূচির জন্য তার দেশ প্রায় ৫ লাখ টন গম সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। অনেকেরই প্রশ্ন এ পরোয়ানা বাস্তবায়ন হবে কি না আর হলেও তা কীভাবে সম্ভব?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ দেশে থাকতে পুতিনের গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকি নেই। যদি ক্রেমলিন তাকে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করে তবে পুতিনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব। তবে রাশিয়ায় এ মুহূর্তে পুতিনের তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। সেই হিসেবে পুতিনকে রাশিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা আইসিসির পক্ষে অসম্ভব।
তবে রাশিয়ার বাইরে থেকে গ্রেপ্তার হতে পারেন পুতিন। সে জন্য তাকে দেশের বাইরে যেতে হবে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোতে সফরে যাবেন না পুতিন। সুতরাং এসব মিলিয়ে বলা যেতে পারে রুশ প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা প্রায় অসম্ভব।
পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো ‘তাৎপর্য নেই’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই সিদ্ধান্তের কোনো অর্থ আমাদের কাছে নেই। আইনগত দিক দিয়েও এর কোনো অর্থ নেই।’
ইউক্রেনে এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে রুশ সেনারা। এসময়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠলেও মস্কো তা অস্বীকার করেছে।
শিশুদের বেআইনি নির্বাসন এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে লোকজনকে রাশিয়ায় বেআইনিভাবে স্থানান্তরের অভিযোগে পুতিনের গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি। আন্তর্জাতিক এ আদালত একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেকসেয়েভনা লভোভা-বেলোয়ার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
শুক্রবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এদিকে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো ‘তাৎপর্য নেই’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই সিদ্ধান্তের কোনো অর্থ আমাদের কাছে নেই। আইনগত দিক দিয়েও এর কোনো অর্থ নেই।’
ইউক্রেনে এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে রুশ সেনারা। এসময়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠলেও মস্কো তা অস্বীকার করেছে।
শিশুদের বেআইনি নির্বাসন এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে লোকজনকে রাশিয়ায় বেআইনিভাবে স্থানান্তরের অভিযোগে পুতিনের গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি। আন্তর্জাতিক এ আদালত একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেকসেয়েভনা লভোভা-বেলোয়ার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য