নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান বিক্ষোভের জন্য আমেরিকা ও ইসরায়েলকে দুষলেন ইরানে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, ইরানের অগ্রগতি ঠেকাতে বিক্ষোভ উসকে দিচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেল আবিব।
২০১৯ সালের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখছে ইরান। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে সোমবার ‘দাঙ্গা’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন ৮৩ বছরের খামেনি।
হিজাব ইস্যুতে গ্রেপ্তার কুর্দি নারী মাহসা আমিনি ১৬ সেপ্টেম্বর মারা গেলে, বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরানের জনগণ। পুলিশ মাহসাকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও, পরিবারের অভিযোগ গ্রেপ্তারের পর তাকে পেটানো হয়।
মাহসার মৃত্যুর পর রাস্তায় বিক্ষোভের পাশাপাশি ফেসবুক টুইটারে #mahsaamini এবং #Mahsa_Amini হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চলছে প্রতিবাদ। নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের মধ্যেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে গোটা ইরানে।
চলমান বিক্ষোভ নিয়ে সোমবার মুখ খুলেন ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা খামেনি। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের স্নাতক ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই দাঙ্গা এবং বিশৃঙ্খলার নকশা করেছে আমেরিকা ও ইহুদিগোষ্ঠী ইসরায়েল। তারা বিক্ষোভকারীদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। কিছু দেশদ্রোহী প্রবাসী ইরানিও অর্থ ঢালছে।
‘যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে এক তরুণী মারা গেছে। এই মৃত্যু আমাদেরও কষ্ট দিয়েছে। তবে তদন্তের আগেই জনগণ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, কেউ কেউ কোরআন পুড়িয়ে দিচ্ছে, নারীরা হিজাব খুলে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মসজিদ ও বেসামরিক নাগরিকের গাড়িও রেহাই পাচ্ছে না। এগুলো কোনো স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া না।’
ইরানকে অস্থিতিশীল করতে সামনে আরও বিদেশি তৎপরতা দেখা যাবে বলে সতর্ক করেছেন খামেনি। বলেছেন, আমিনির মৃত্যু না হলে অন্য ‘অজুহাত’ বের করত তারা।
অস্থিরতা ছড়িয়ে ইরানের অগ্রগতি ঠেকাতে চাচ্ছে আমেরিকা ও ইসরায়েল। ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফা সরে গিয়ে ওয়াশিংটন ২০১৮ সালেই তা প্রমাণ করেছে।
খামেনি বলেন, ‘আমরা যে পূর্ণ শক্তির একটি দেশে পরিণত হতে এগিয়ে যাচ্ছি, সেটা তারা বুঝতে পারছে। তাই তারা আমাদের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছে না।’
চলমান বিক্ষোভে বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় অন্তত ১৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এই অবস্থায় ইরানে আরও নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে আমেরিকা। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ইরান সরকার ইন্টারনেট সেবা সীমিত করলে, নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে বিক্ষোভকারীদের সহায়তা করছে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন:ভারতের শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের এমপিরা এই অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তের দাবি জানিয়ে সংসদের অধিবেশন শুক্রবারও দ্বিতীয় দিনের মতো ভণ্ডুল করে দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
অনেকের অভিযোগ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে গৌতম আদানি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিপুল ধন-সম্পদের মালিক হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিনডেনবার্গ রিসার্চ নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে গত সপ্তাহে গৌতম আদানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারসাজি ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগ ওঠার পর থেকেই আদানি গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্য আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংসদ লোকসভায় শুক্রবার সকালের অধিবেশনে বিরোধী নেতারা অভিযোগের তদন্ত দাবি করলে উভয় কক্ষের অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়।
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি অথবা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি প্যানেল গঠনের দাবি জানায় বিরোধীরা।
আরও পড়ুন:অর্থনীতিসহ নানা সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। কমতে কমতে দেশটির রিজার্ভ নেমেছে ৩১০ কোটি ডলারে। এই পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে দেশটির তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের (এসবিপি) সর্বশেষ ২৭ জানুয়ারির তথ্যের বরাতে বিশ্লেষকরা এমন ধারণা করছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর এই মুহূর্তে পাকিস্তানের রিজার্ভ সবচেয়ে কম। এখন যে রিজার্ভ আছে তাতে সবমিলিয়ে হয়তো ১৮ দিনের আমদানি ব্যয়ের খরচ মেটানো যাবে।
স্থানীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আরিফ হাবিব লিমিটেডের (এএইচএল) গবেষক তাহির আব্বাস রয়টার্সকে বলেছেন, দেশের সঙ্কট এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন অর্থপ্রবাহ এবং আইএমফের সহায়তা দরকার।
অর্থাভাবে বিদেশ থেকে আমদানি যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, সে সময় বাজারে অনেক নিত্যপণ্য নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এর কারণ, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য পর্যাপ্ত ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে চাইছে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, তারা এই ধরনের কোনো নির্দেশ দেয়নি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সুনির্দিষ্ট, আর সেই বিষয়টি কেবল একজন বলেননি, বহু ব্যবসায়ীই দিচ্ছেন একই তথ্য।
সম্প্রতি স্থবিরতা কাটিয়ে আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছেছে পাকিস্তানে।
এ অবস্থায় শুক্রবার টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমরা অকল্পনীয় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। আইএমএফের যেসব শর্ত, সেগুলো ধারণাতীত। তবে আমাদের শর্তগুলো মেনে নিতে হবে।’
রিজার্ভে নতুন অর্থ যোগ না হলে এই মজুদ দিয়ে যে আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে তা সত্যিকার অর্থেই আশঙ্কাজনক। অবশ্য একটি দেশের আমদানির জন্য তিন মাসের রিজার্ভকে ধরা হয় নিরাপদ।
রিজার্ভে প্রতিনিয়ত অর্থ যোগ হতে থাকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের কারণে। পাকিস্তানে এই দুটি আয়েও দেখা দিয়েছে ভাটা।
বিপদের এই সময়ে রেমিট্যান্স গতি হারিয়েছে দেশটিতে। ব্যাংকিং চ্যানেলের বদলে হুন্ডিতেই অর্থ পাঠাচ্ছে প্রবাসীদের একটি বড় অংশ। কারণ, ব্যাংকের চেয়ে সেখানে দর পাওয়া যায় বেশি। খোলাবাজারে এক ডলারে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৭১ রুপিতে।
যদি আইএমএফ হাত বাড়িয়ে না দেয় এবং আরও কিছু সহায়তা না আসে, তাহলে শ্রীলঙ্কার পর দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তানও। চলতি বছরও কয়েক বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধ করতে হবে তাদের। কিন্তু রিজার্ভ যেভাবে কমছে, তাতে নিত্যপণ্য আমদানিতেই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা, সেখানে ঋণ পরিশোধ হবে বিলাসিতা।
দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইতোমধ্যেই পাকিস্তানে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। গত জুলাই-নভেম্বর অর্থবছরে পাকিস্তানে ৪৩০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে; যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫১ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন:চীনের একটি গুপ্তচর বেলুন কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় উড়ছে জানিয়ে দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির শঙ্কায় বস্তুটিকে গুলি না করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পরামর্শ দিয়েছেন সামরিক কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা বেলুনের অবস্থানের বিষয়ে জানান বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমেরিকার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আকাশসীমায় বেলুন দেখে একে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক যুদ্ধবিমান, তবে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বাইডেনকে পরামর্শ দেন, বেলুনের ধ্বংসাবশেষ নাগরিকদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা মেনে নেন প্রেসিডেন্ট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের একজন সাংবাদিকদের বলেন, আকাশসীমায় প্রবেশের পর বেলুনটিকে ‘হেফাজতে’ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। চালকসহ সামরিক বিমান দিয়ে একে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে ‘বেশি উচ্চতার নজরদারি বেলুন’ শনাক্তের কথা জানিয়েছে কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও।
ওই বেলুনটি চীনের কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে দরপতনের হিড়িকের মধ্যে স্বল্পমেয়াদি বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থায় (এএসএম) রাখা হয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে।
ভারতের মুম্বাইভিত্তিক বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) থেকে বৃহস্পতিবার পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার এ খবর জানায় এনডিটিভি।
নজরদারিতে থাকা প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনোমিক জোন এবং আম্বুজা সিমেন্টস।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গ্রুপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে লেনদেনে প্রতারণা ও শেয়ার দরে কারসাজির অভিযোগ করা হয়। এর পর থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরে ধস নামে।
ওই প্রতিবেদনকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে আদানি গ্রুপ বলেছে, তাদের কোম্পানিগুলো সব আইন মেনে চলছে।
বেশ কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে কোনো কোম্পানিকে এএসএমের আওতায় রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির আয়ের ওপর গ্রাহকদের অংশীদারত্ব, প্রাইস-আর্নিং রেশিও ইত্যাদি।
এনএসই ও বিএসই জানিয়েছে, আদানি গ্রুপের তিনটি কোম্পানি নির্ধারিত মানদণ্ডে পড়ায় এগুলোকে এএসএমের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও আদানি গ্রুপের হোল্ডিং কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ার ২৬ শতাংশের বেশি দর হারিয়েছে। গ্রুপের অন্য কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতনও অব্যাহত রয়েছে।
সব মিলিয়ে ছয় দিনে পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিগুলোর ৮ লাখ ৭৬ হাজার কোটি রুপি উধাও হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:১২ স্ত্রীর ঘরে ১০২ সন্তান আর নাতি-নাতনির সংখ্যা ৫৭৮ জন। এটি হচ্ছে উগান্ডার বুতালেজা জেলার বুগিসা গ্রামের বাসিন্দা মুসা হাসহ্যা কাসেরার সংসারে চিত্র।
৬৮ বছর বয়সী মুসা এএফপিকে বলেন, ‘প্রথমে এটি মজার বিষয় ছিল। এখন এটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এত বিশাল পরিবারের জন্য মাত্র দুই একর জমি রয়েছে। আমার দুই স্ত্রী চলে গেছেন কারণ আমি খাদ্য, শিক্ষা, পোশাকের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারিনি। ’
এক সময়ের গরু ব্যবসায়ী মুসার এখন বেকার, তবে তাকে দেখতে অনেক পর্যটক তার বাড়িতে ভিড় জমান।
৬৮ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ বলেন, ‘আমার স্ত্রীরা গর্ভনিরোধক ব্যবহার করছে, কিন্তু আমি নই। আমি আর সন্তানের আশা করি না কারণ আমি আমার দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ থেকে শিক্ষা নিয়েছি।’
মুসা প্রথম বিয়ে করেন ১৯৭২ সালে। ১৮ বছর বয়সে তিনি প্রথম সন্তানের বাবা হন।
মুসা জানান, পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতেই আত্মীয় স্বজনদের পরামর্শ শুনে বেশি স্ত্রী ও সন্তান নিয়েছেন তিনি।
মুসার ১০২ সন্তানের বয়স ১০ থেকে ৫০-এর মধ্যে ও সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রীর বয়স ৩৫।
সন্তানদের নাম জিজ্ঞেস করা হলে মুসা বলেন, ‘আমি শুধু প্রথম ও শেষ জনের নাম মনে রাখতে পারি। বাকিদের নাম মনে নেই।
আরও পড়ুন:ভারতের উত্তর প্রদেশে দলিত তরুণীকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যার বিষয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া কেরালার আলোচিত সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান বৃহস্পতিবার কারামুক্ত হয়েছেন।
দুই মামলায় জামিন পাওয়ার এক মাসের বেশি সময় পর লক্ষ্ণৌর বিশেষ আদালত কাপ্পানের মুক্তির আদেশে সই করে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের রাজধানীর কারাগার থেকে বের হয়ে এনডিটিভিকে কাপ্পান বলেন, ‘নির্মম আইনের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখব। জামিন পাওয়ার পরও তারা আমাকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে।
‘আমাকে জেলে রেখে কার লাভ হয়েছে, জানি না। এ দুই বছর খুবই কঠিন ছিল, তবে আমি কখনোই শঙ্কিত ছিলাম না।’
কারাগার থেকে কাপ্পানের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল বুধবার সন্ধ্যায়, তবে অর্থপাচার প্রতিরোধবিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক বার কাউন্সিল নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মুক্তির আদেশে সই করতে পারেননি।
উত্তর প্রদেশে দলিত তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ পর হত্যার সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থল হাথরাসে যাওয়ার পথে ২০২০ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হন সিদ্দিক কাপ্পান।
রাজ্য পুলিশ সে সময় জানিয়েছিল, দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা ঘটনা কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিক হাথরাসে অস্থিরতা তৈরি করতে যাচ্ছিলেন।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের দুই সপ্তাহ পর দিল্লির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল দলিত তরুণীর। পরে মধ্যরাতে তরুণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে হাথরাস জেলা প্রশাসন, যাকে অনেকে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করে ব্যাপক সমালোচনা করে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের।
কাপ্পানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ করা হয়, যাকে অভিযুক্ত করা হয় সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর আইন ইউএপিএতে। নিষিদ্ধ সংগঠন পিপল’স ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার নামে অর্থ পাচারের মামলা করে ভারতের অর্থ গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠনিক কোনো অভিযোগ গঠন না করায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন:১২০ কোটি ডলারে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হাইফা কিনে নিল ভারতের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ।
হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনের জেরে বিধ্বস্ত আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার কমার মধ্যেই মঙ্গলবার ওই বন্দর কেনার ঘোষণা আসে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সুউচ্চ বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করে ভূমধ্যসাগরীয় শহরটিকে পাল্টে দেয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে ভারতীয় এই ব্যবসায়ী গ্রুপের পক্ষে।
আদানি গ্রুপ ইসরায়েলে অধিকতর বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে তারা হাইফা বন্দর কিনল। এছাড়া তারা তেল আবিবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবরেটরি) চালু করতে যাচ্ছে।
জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে গৌতম আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে সম্প্রতি বড় ধরনের ধস নেমেছে।
কৌশলগত কারণে হাইফা বন্দরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে এবং সবচেয়ে বড় পর্যটকবাহী বিলাসবহুল জাহাজও (ক্রুজ শিপ) এই বন্দরে ভিড়ে। এছাড়া এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য