× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
This time Iran stopped the oil tanker of Greece
google_news print-icon

এবার গ্রিসের তেলের ট্যাংকার আটকাল ইরান

এবার-গ্রিসের-তেলের-ট্যাংকার-আটকাল-ইরান
ইরানের ট্যাংকার জব্দ করে তা দখলে নেয় গ্রিস। এরই প্রেক্ষাপটে গ্রিসের ট্যাংকার আটক করেছে ইরান। ফাইল ছবি
সম্প্রতি ইরানের ছয় লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্র। গ্রিসের উপকূলে একটি ট্যাংকার থেকে এই তেল জব্ধ করা হয়।

পারস্য উপসাগর থেকে গ্রিসের দুটি তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান।

আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইজিআরসি) বরাতে শনিবার জানিয়েছে আল জাজিরা

সম্প্রতি ইরানের ছয় লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্র। গ্রিসের উপকূলে একটি ট্যাংকার থেকে এই তেল জব্দ করা হয়।

পেগাস নামের ইরানের ট্যাংকারটি রাশিয়ার মালিকানাধীন; গ্রিস এটিকে আটক করে ইরান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া নিষেধাজ্ঞার অধীনে।

আইজিআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরব উপসাগরে গ্রিসের দুটি তেলবাহী জাহাজ আটক করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে ঠিক কোনো সীমা বা এর পেছনে স্পষ্ট কারণ কী তা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি বিবৃতিতে।

গ্রিক সরকার ইরানি ট্যাংকার আটক করলে তেহরানে নিযুক্ত সে দেশের রাষ্ট্রদূত ডেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। ট্যাংকারটিকে ছেড়ে দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।

তবে গ্রিস ইরানি তেল ট্যাংকারটির তেল অন্য একটি ট্যাংকারে স্থানান্তর করে তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।

তেল জব্দের ঘটনায় গ্রিসের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিল ইরান। এরই প্রেক্ষাপটে দুটি ট্যাংকার আটক করল তারা।

গ্রিসের পক্ষ থেকে দুটি তেলবাহী ট্যাংকার আটকের তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে এখনও এ নিয়ে কোনো যোগাযোগ হয়নি।

আরও পড়ুন:
ইরানে বিপ্লবী গার্ডের কর্নেলকে হত্যা
গোপন যুদ্ধে মোসাদকে পাল্টা জবাব ইরানের
ইরাকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় নিল ইরান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
US suspends decision to sanction Israeli battalion
ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসন। ছবি: সংগৃহীত
চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এক ইসরায়েলি সেনা ব্যাটালিয়নের ওপর সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই সিদ্ধান্ত এখনই কার্যকর করতে চান না দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসনের কাছে লেখা ব্লিংকেনের এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শুক্রবার এপির হাতে আসা ওই চিঠিতে জনসনকে ব্লিংকেন বলেছেন, নিজেদের অন্যায় সংশোধনের জন্য তিনি ওই সামরিক ইউনিটটিকে (ব্যাটালিয়ন) আরও সময় দিতে চান।

চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা তহবিল প্রদানে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিল পাস করতে মাইক জনসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ইসরায়েলের ঠিক কোন সেনা ইউনিটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তটি আপাতত স্থগিত করছে, ব্লিংকেনের চিঠিতে তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এপির প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, ‘নেটজাহ ইয়েহুদা’ নামের একটি ইউনিট যুক্তরাষ্ট্রের কোপে পড়েছে। এই সেনা ইউনিটটি ঐতিহাসিকভাবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থান করে আসছে।

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত সহায়তা স্থগিতের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ওই ইউনিট ও এর কিছু সদস্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মানবিক আইনের অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ২০২২ সালে ওই ইউনিটের হাতে আটক হওয়া এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নাগরিকের নিহত হওয়ার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।

চিঠিতে ব্লিংকেন বলেন, ‘ওই ব্যাটালিয়নের অন্যায়ের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকারও এখনও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ইউনিটটির অবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তারা আমাদের তথ্য দিয়ে চলেছে এবং আমরাও ব্যাটালিয়নটির সংশোধনী কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও তা করার (সংশোধনের) পথ চিহ্নিত করতে সর্বদা নিযুক্ত থাকব।’

আন্তর্জাতিক আইন বা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে একটি আইন পাস করে। ব্যাত্যয় ঘটলে ‘লেহি আইন’ নামের ওই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো বিদেশি সেনা ইউনিটকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে বাধ্য করে। তবে সেই দেশের সেনাবাহিনী যদি ওই ইউনিটের করা অপরাধের বিচার করে এবং তাদের সংশোধনের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর এই আইন কার্যকর হবে না বলেও আইনটির একটি ধারায় উল্লেখ রয়েছে। ব্লিংকেন এই বিষয়টি উল্লেখ করেই মূলত এখনই সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে যেতে নারাজ।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজমান। দুই বাহিনী নিয়মিত নিজেদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান করে থাকে। তবে সম্প্রতি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবস্থান ও ইসরায়েলকে সহযোহিতা করায় সমালোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এরই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের ব্যাপারে সম্প্রতি ইসরায়েলকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জো বাইডেন। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি উগ্রবাদী সেটেলারের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
US suspends decision to sanction Israeli battalion
ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসন। ছবি: সংগৃহীত
চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এক ইসরায়েলি সেনা ব্যাটালিয়নের ওপর সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই সিদ্ধান্ত এখনই কার্যকর করতে চান না দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসনের কাছে লেখা ব্লিংকেনের এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শুক্রবার এপির হাতে আসা ওই চিঠিতে জনসনকে ব্লিংকেন বলেছেন, নিজেদের অন্যায় সংশোধনের জন্য তিনি ওই সামরিক ইউনিটটিকে (ব্যাটালিয়ন) আরও সময় দিতে চান।

চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা তহবিল প্রদানে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিল পাস করতে মাইক জনসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ইসরায়েলের ঠিক কোন সেনা ইউনিটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তটি আপাতত স্থগিত করছে, ব্লিংকেনের চিঠিতে তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এপির প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, ‘নেটজাহ ইয়েহুদা’ নামের একটি ইউনিট যুক্তরাষ্ট্রের কোপে পড়েছে। এই সেনা ইউনিটটি ঐতিহাসিকভাবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থান করে আসছে।

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত সহায়তা স্থগিতের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ওই ইউনিট ও এর কিছু সদস্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মানবিক আইনের অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ২০২২ সালে ওই ইউনিটের হাতে আটক হওয়া এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নাগরিকের নিহত হওয়ার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।

চিঠিতে ব্লিংকেন বলেন, ‘ওই ব্যাটালিয়নের অন্যায়ের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকারও এখনও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ইউনিটটির অবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তারা আমাদের তথ্য দিয়ে চলেছে এবং আমরাও ব্যাটালিয়নটির সংশোধনী কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও তা করার (সংশোধনের) পথ চিহ্নিত করতে সর্বদা নিযুক্ত থাকব।’

আন্তর্জাতিক আইন বা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে একটি আইন পাস করে। ব্যাত্যয় ঘটলে ‘লেহি আইন’ নামের ওই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো বিদেশি সেনা ইউনিটকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে বাধ্য করে। তবে সেই দেশের সেনাবাহিনী যদি ওই ইউনিটের করা অপরাধের বিচার করে এবং তাদের সংশোধনের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর এই আইন কার্যকর হবে না বলেও আইনটির একটি ধারায় উল্লেখ রয়েছে। ব্লিংকেন এই বিষয়টি উল্লেখ করেই মূলত এখনই সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে যেতে নারাজ।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজমান। দুই বাহিনী নিয়মিত নিজেদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান করে থাকে। তবে সম্প্রতি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবস্থান ও ইসরায়েলকে সহযোহিতা করায় সমালোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এরই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের ব্যাপারে সম্প্রতি ইসরায়েলকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জো বাইডেন। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি উগ্রবাদী সেটেলারের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
US suspends decision to sanction Israeli battalion
ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসন। ছবি: সংগৃহীত
চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এক ইসরায়েলি সেনা ব্যাটালিয়নের ওপর সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই সিদ্ধান্ত এখনই কার্যকর করতে চান না দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসনের কাছে লেখা ব্লিংকেনের এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শুক্রবার এপির হাতে আসা ওই চিঠিতে জনসনকে ব্লিংকেন বলেছেন, নিজেদের অন্যায় সংশোধনের জন্য তিনি ওই সামরিক ইউনিটটিকে (ব্যাটালিয়ন) আরও সময় দিতে চান।

চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা তহবিল প্রদানে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিল পাস করতে মাইক জনসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ইসরায়েলের ঠিক কোন সেনা ইউনিটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তটি আপাতত স্থগিত করছে, ব্লিংকেনের চিঠিতে তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এপির প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, ‘নেটজাহ ইয়েহুদা’ নামের একটি ইউনিট যুক্তরাষ্ট্রের কোপে পড়েছে। এই সেনা ইউনিটটি ঐতিহাসিকভাবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থান করে আসছে।

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত সহায়তা স্থগিতের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ওই ইউনিট ও এর কিছু সদস্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মানবিক আইনের অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ২০২২ সালে ওই ইউনিটের হাতে আটক হওয়া এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নাগরিকের নিহত হওয়ার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।

চিঠিতে ব্লিংকেন বলেন, ‘ওই ব্যাটালিয়নের অন্যায়ের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকারও এখনও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ইউনিটটির অবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তারা আমাদের তথ্য দিয়ে চলেছে এবং আমরাও ব্যাটালিয়নটির সংশোধনী কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও তা করার (সংশোধনের) পথ চিহ্নিত করতে সর্বদা নিযুক্ত থাকব।’

আন্তর্জাতিক আইন বা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে একটি আইন পাস করে। ব্যাত্যয় ঘটলে ‘লেহি আইন’ নামের ওই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো বিদেশি সেনা ইউনিটকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে বাধ্য করে। তবে সেই দেশের সেনাবাহিনী যদি ওই ইউনিটের করা অপরাধের বিচার করে এবং তাদের সংশোধনের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর এই আইন কার্যকর হবে না বলেও আইনটির একটি ধারায় উল্লেখ রয়েছে। ব্লিংকেন এই বিষয়টি উল্লেখ করেই মূলত এখনই সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে যেতে নারাজ।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজমান। দুই বাহিনী নিয়মিত নিজেদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান করে থাকে। তবে সম্প্রতি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবস্থান ও ইসরায়েলকে সহযোহিতা করায় সমালোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এরই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের ব্যাপারে সম্প্রতি ইসরায়েলকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জো বাইডেন। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি উগ্রবাদী সেটেলারের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Britneys legal battle with her father ends

বাবার সঙ্গে ব্রিটনির বিরোধের অবসান

বাবার সঙ্গে ব্রিটনির বিরোধের অবসান জেমি স্পিয়ার্স ও তার মেয়ে ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ছবি: সংগৃহীত
আদালত ২০২১ সালের শেষের দিকে পপ তারকার ১৩ বছরের কনজারভেটরশিপ অবসানের পক্ষে রায় দেয়। এর ফলে তার ব্যক্তিগত ও আর্থিক লেনদেনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান তার বাবা। তবে জেমি স্পিয়ার্স মেয়ে ব্রিটনির কাছে প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার আইনি ফি দাবি করে বসেন। এ নিয়ে নতুন করে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন বাবা ও মেয়ে।

বাবা জেমি স্পিয়ার্সের সঙ্গে চলা আইনি বিরোধ মিটিয়ে ফেলছেন আমেরিকান পপ আইকন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। বিষয়টির নিষ্পত্তি করা নিয়ে দু’পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ব্রিটনির অ্যাটর্নিরা।

লস অ্যাঞ্জেলেস সুপিরিয়র কোর্টে নিষ্পত্তিটি দায়ের করা হযয়েছে। তাদের চলমান আইনি বিরোধের বিষয়ে চুক্তির কোনো শর্ত প্রকাশ করা হয়নি।

আদালত ২০২১ সালের শেষের দিকে পপ তারকার ১৩ বছরের কনজারভেটরশিপ অবসানের পক্ষে রায় দেয়। এর ফলে তার ব্যক্তিগত ও আর্থিক লেনদেনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান তার বাবা। তবে জেমি স্পিয়ার্স মেয়ে ব্রিটনির কাছে প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার আইনি ফি দাবি করে বসেন। এ নিয়ে নতুন করে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন বাবা ও মেয়ে।

বিরোধ নিষ্পত্তির ফল সম্পর্কে উভয় পক্ষের অ্যাটর্নিরা ইতিবাচক কথা বলেছেন।

গায়িকার অ্যাটর্নি ম্যাথিউ রোজেনগার্ট সিএনএনকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তিনি বিষয়টি নিয়ে আদালতে উপস্থিত হতে বা জড়িত থাকতে চাননি। তার স্বাধীনতার ইচ্ছা এখন সত্যিকার অর্থেই পূর্ণতা পেয়েছে।’

জেমি স্পিয়ার্সের অ্যাটর্নি অ্যালেক্স উইনগার্টেন বলেন, ‘এসব শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি আনন্দিত। আমার মেয়েকে আমি খুব ভালোবাসি। তাকে রক্ষা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। ব্রিটনির জন্য সেরাটা আশা করি।’

আদালতের নির্দেশিত কনজারভেটরশিপের আওতায় ২০০৮ সালে ব্রিটনির বাবা ১৩ বছর তার কনজারভেটর হিসেবে কাজ করেন। তিনি তার প্রাপ্তবয়স্ক কন্যার সব আর্থিক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করেন।

তবে ২০২১ সালের জুনে ব্রিটনি বিচারকের কাছে কনজারভেটরশিপকে অপমান হিসেবে উল্লেখ করে এর থেকে তাকে মুক্ত করার অনুরোধ জানান।

তিনি অভিযোগ করেন, কনজারভেটরশিপ চলাকালীন ম্যানেজমেন্ট তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সফরে যেতে বাধ্য করে। তাকে লিথিয়াম দেয়া হয়, যার কারণে তিনি মাতাল বোধ করেন এবং তাকে বিয়ে করার বা সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। এ কারণে তিনি জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য আইইউডি ব্যবহার করতে বাধ্য হন।

ব্রিটনির কনজারভেটরশিপ শেষ হওয়ার দু’মাস আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে একজন বিচারক স্পিয়ার্সের বাবা জেমিকে তার মেয়ের সংরক্ষকের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন।

আরও পড়ুন:
অনাগত সন্তান হারানোর কথা জানালেন ব্রিটনি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trumps former aide saw Daniels at Trump Tower

ট্রাম টাওয়ারে ড্যানিয়েলসে দেখেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী

ট্রাম টাওয়ারে ড্যানিয়েলসে দেখেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী স্টর্মি ড্যানিয়েলস। ছবি: সংগৃহীত
হাশ মানি ট্রায়ালের শুনানিতে ট্রাম্পের সাবেক সহকারী রোনা গ্রাফ আদালতকে জানান, তার অস্পষ্টভাবে মনে আছে যে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ থাকা পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে তিনি ট্রাম্প টাওয়ারের ২৬ তলার রিসেপশনে দেখেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাশ মানি ট্রায়ালের অষ্টম দিনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ থাকা পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্পের কার্যালয়ে দেখেছেন বলে আদালতে দাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী রোনা গ্রাফ।

এবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলার শুনানি কার্যক্রমে শুক্রবার দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয় রোনা গ্রাফকে।

ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে ৩৪ বছর কাজ করা গ্রাফ আদালতকে জানান, তার অস্পষ্টভাবে মনে আছে যে তিনি স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্প টাওয়ারের ২৬ তলার রিসেপশনে দেখেছেন।

ট্রাম্পের আইনজীবী অবশ্য এ দাবিকে খারিজ করে দিয়ে আদালতকে বলেন, ওই সময় ট্রাম্প রিয়েলিটি টিভি শো ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ নিয়ে কাজ করছিলেন। ওই শো-র জন্য অনেককেই নিজের অফিসে ডাকতেন ট্রাম্প।

গ্রাফের পর সাক্ষ্য দিতে আসেন ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের সিনিয়ন ম্যানেজিং ডিরেক্টর গ্যারি ফারো। তিনি জানান, ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে রেসোল্যুশন কনসালট্যান্টস এলএলসি নামে নতুন একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে সাহায্য করেন তিনি।

সরকার পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে এই কোম্পানির মাধ্যমেই কোহেন ট্রাম্পের হয়ে ড্যানিয়েলসকে ১৩০ হাজার ডলার দিয়েছেন। এটিই ‘হাশ মানি’ হিসেবে পরিচিত।

এদিন শুনানির শুরুতে চতুর্থবারের মতো আদালতে হাজির হন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়্যারারের প্রকাশক ডেভিড পেকার। তাকেও নানাভাবে প্রশ্ন করেন দু’পক্ষের আইনজীবীরা।

পেকার জানান, ২০১৫ সালে ট্রাম্প টাওয়ারে এক আলোচনার পর তিনি এনকোয়্যারার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নেতিবাচক প্রতিবেদন সম্পর্কে আগে থেকেই কোহেনকে অবহিত করতে রাজি হন।

পেকার এও দাবি করেন যে ট্রাম্প টাওয়ারের ওই বৈঠকে তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন অর্থের বিনিময়ে না ছাপতে দেয়া বা ‘ক্যাচ অ্যান্ড কিল’ কৌশল নিয়ে আলোচনা করেননি।

তিনদিন বিরতি শেষে মঙ্গলবার পুনরায় এই মামলার শুনানি শুরু হবে।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের
ট্রাম্পের আবেদন বাতিল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
We are ashamed to see the progress of Bangladesh Pakistan PM

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি: সংগৃহীত
শাহবাজ শরিফ বলেন, “যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়।

দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

তিনি বলেছেন, “যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমি লজ্জিত হই। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনও অনেক পিছিয়ে আছে।”

সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে, কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গত বুধবার সিন্ধ সিএম হাউসে একটি মতবিনিময় সভা করেন শাহবাজ শরিফ।

সে সভায় মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শাহবাজ শরিফ বলেন, “আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম...তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।”

এদিকে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গেও ব্যবসাবিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সঙ্কটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

এ ছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার’ জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শাহবাজ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Russia vetoes proposal to ban nuclear weapons in space

মহাকাশে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো

মহাকাশে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বুধবার ভোটাভুটির পর তার বক্তব্যে রাশিয়ার উদ্দেশে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘কেন? আপনি যদি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে কেন এমন একটি প্রস্তাব সমর্থন করবেন না? আপনি কী লুকাতে পারেন? এটা বিস্ময়কর এবং এটি লজ্জাজনক।’

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অপরদিকে রাশিয়া ও চীনের উত্থাপিত সংশোধনী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে পরিষদ।

মস্কো স্যাটেলাইট ধ্বংস করতে সক্ষম এমন একটি পারমাণবিক ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সমর্থিত উদ্বেগের মধ্যে বুধবার এমন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।

রাশিয়ার অ্যাম্বাসেডর ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জাতিসংঘের খসড়াটিকে একটি ‘নোংরা প্রদর্শনী’ এবং প্রস্তাবের সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তৈরি করা ‘খামখেয়ালি চাল’ বলে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ফেব্রুয়ারিতে নিশ্চিত করে বলেন, রাশিয়া স্যাটেলাইট বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন করছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্র পরে সিএনএনকে জানায়, এই অস্ত্র বিস্ফোরিত হয়ে ব্যাপক শক্তির তরঙ্গ তৈরি করে স্যাটেলাইটকে ধ্বংস করতে পারে।

জাতিসংঘে ভোটাভুটির আগে যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, ওই প্রস্তাবে ভেটো দিলে বুঝতে হবে রাশিয়া কিছু গোপন করার চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বুধবার ভোটাভুটির পর তার বক্তব্যে এসব দাবির প্রতিধ্বনি করেন।

প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘কেন? আপনি যদি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে কেন এমন একটি প্রস্তাব সমর্থন করবেন না? আপনি কী লুকাতে পারেন? এটা বিস্ময়কর এবং এটি লজ্জাজনক।’

ভোটাভুটির সময় চীনের অনুপস্থিতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বেইজিং দেখিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী বিস্তার রোধ ব্যবস্থাকে রক্ষা করার পরিবর্তে তারা বরং রাশিয়াকে তাদের অংশীদার হিসেবে রক্ষা করবে।’

থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘বুধবারের ভোটে অনুপস্থিতি বিদ্যমান অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বাধ্যবাধকতার ওপর অতিপ্রয়োজনীয় আস্থা পুনর্নির্মাণের একটি সত্যিকারের সুযোগ হারানো।’

যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের খসড়া প্রস্তাব ৬০টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে আন্তঃআঞ্চলিক সমর্থন পেয়েছে।

জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপনের জন্য পরিকল্পিত পারমাণবিক অস্ত্র বা গণবিধ্বংসী অন্যান্য অস্ত্র তৈরি না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে