বেইজিংভিত্তিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা জোট সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) পূর্ণ সদস্য হতে ১৫ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরান। গত শুক্রবার এর ফল পেয়েছে দেশটি। ওই দিন জোটের স্থায়ী সদস্য সাত রাষ্ট্র ইরানকে এসসিওর পূর্ণ সদস্য করার পক্ষে সায় দেয়।
এসসিওর সিদ্ধান্তের পর আরও কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে ইরানকে। প্রক্রিয়াগত ও আইনি ধাপগুলো পাড়ি দিতে দেশটির লেগে যেতে পারে দুই বছর। এরপরই এমন জোটে যোগ দেবে ইরান, যার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আয়তন বিশ্বের মোট ভূখণ্ডের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
এ রাষ্ট্রগুলো বছরে হাজার হাজার কোটি ডলার রপ্তানি করে। তাদের জোটসঙ্গী হওয়ার মধ্য দিয়ে এশিয়ার বিশাল অবকাঠামোয় যোগ দিল যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধে কোণঠাসা ইরান।
জোটের সদস্যদের মধ্যে চীন, রাশিয়া, ভারত ছাড়াও মধ্য এশিয়ার কিছু দেশ রয়েছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, তাজিকিস্তানের দুশানবেতে এসসিওর সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এসসিওর অনুমোদনকে ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ আখ্যা দেন।
এর আগে তাজিকিস্তানে দুই দিনের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘একতরফাবাদের’ নিন্দা জানান রাইসি। ওই সময় তিনি অবরোধের বিরুদ্ধে সমন্বিত লড়াইয়ের আহ্বান জানান।
এসসিও সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এগুলোর ফলও পেয়েছেন তিনি। তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাহমোনের সঙ্গে আটটি চুক্তিতে সই করেন ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান।
এসব চুক্তির মাধ্যমে দেশ দুটি বার্ষিক বাণিজ্য ৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায়, যা বর্তমান অঙ্কের প্রায় ১০ গুণ।
এসসিওর পূর্ণ সদস্য হওয়ার গুরুত্ব রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের চেয়েও বেশি ইরানের মর্যাদা ও কূটনৈতিক সাফল্যের প্রশ্ন।
জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের গবেষক হামিদরেজা আজিজি বলেন, ‘পশ্চিমা নয়, এমন পরাশক্তিগুলোর মঞ্চ হিসেবেই এসসিওর প্রতি আগ্রহ ইরানের। কোনো আধুনিক আন্তর্জাতিক সংগঠনের চেয়ে এটি পশ্চিমাবিরোধী বা যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বেশি।
‘ভারত-পাকিস্তানের মতো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। কিন্তু তাও এসসিওর সদস্য দেশগুলো এবং এর কারণও তাদের যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি। আবার রাশিয়া আর চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধ পক্ষ বলে স্বীকৃত হলেও কখনোই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়নি। তারাও এসসিওর সদস্য।
‘এই দুটি ধারণার সমন্বয় এবং এশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শক্তি ইরানের এসসিওতে যোগ দেয়া মানে ইরানের জন্য পশ্চিমাবিরোধী শক্তিশালী একটি জোট গড়ে তোলা, যে জোট যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে।’
আজিজির মতে, ইরানের শত্রুতার মধ্যে অবশ্য নিজেদের জড়াতে চাইবে না অন্যান্য এসসিও সদস্যরা। সে কারণেই ভারসাম্য রক্ষায় শুক্রবারের বৈঠকে ‘আলোচনার অংশীদার’ হিসেবে সৌদি আরব, কাতার আর মিসরকেও রাখা হয়েছিল।
কূটনৈতিক দিক থেকেও এসসিওর পূর্ণ সদস্য হিসেবে ইরানের অনুমোদনপ্রাপ্তি তাৎপর্যপূর্ণ। ২০০৫ সাল থেকে এসসিওর ‘পর্যবেক্ষক সদস্য’ ছিল রাষ্ট্রটি।
গত মাসে ইরানের নিরাপত্তাপ্রধান আলি শামখানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানান, এসসিওর পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার ‘রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা’ দূর হয়েছে।
ফার্সি ভাষার সঙ্গে ইংরেজি, আরবি আর হিব্রুতেও বার্তাটি দেন তিনি, যার অর্থ পুরো মধ্যপ্রাচ্য আর পশ্চিমা বিশ্ব সম্পর্কিত বার্তা এটি।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ছিল বলে এর আগে ইরানের এসসিও সদস্যপদ পাওয়ার পথ বন্ধ ছিল। তার ওপর কিছু সদস্য, যার অন্যতম তাজিকিস্তান, ইরানের এসসিও সদস্যপদের বিরুদ্ধে ছিল। কারণ তাজিকিস্তানে কট্টর ইসলামপন্থিদের পেছনে ইরানের সমর্থন আছে বলে অভিযোগ তাজিক প্রশাসনের।
১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর এটাই ইরানের প্রথম কোনো আঞ্চলিক জোটের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার ঘটনা।
তেহরানের সেন্টার ফর মিডল ইস্ট স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক আবাস আসলানি বলেন, ‘ইরানের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। এসসিও সদস্যপ্রাপ্তির অর্থ হলো- এসব নিষেধাজ্ঞায় জোটের অন্য সদস্যদের সমর্থন নেই। সে জন্যই তারা ইরানকে পূর্ণ সদস্যপদ দিয়েছে।’
ইরান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায় বলেও উল্লেখ করেন আসলানি। চলতি বছরের মার্চে চীনের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি একটি সহযোগিতামূলক চুক্তি করেছে ইরান। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গেও আগের সহযোগিতামূলক চুক্তি পুনর্বহাল করতে চায়।
আসলানি বলেন, ‘এ ছাড়া মধ্য এশিয়ায় আরও বড় পরিসরে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারে ইরান। ইরানের রপ্তানি পণ্যের সম্ভাব্য বড় বাজার এ অঞ্চল। সময়ই বলে দেবে যে এসব সম্ভাবনার কতটা সদ্ব্যবহার করতে পারবে ইরান।’
আসলানির মতে, এ পথে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ইরানের জন্য বড় বাধা। কিন্তু ইরানের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তাতে থমকে যাবে না।
২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে পশ্চিমা পরাশক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ছয় দফা আলোচনায় বসেছে ইরান। আলোচনা শেষ পর্যন্ত সফল হলে শিথিল হবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা।
ইরানে নতুন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণ ও নতুন সরকার গঠনের পালাবদলের মধ্যে চলতি বছরের জুলাইয়ের পর আলোচনা থমকে আছে। তবে শিগগিরই শুরু হবে আলোচনা।
আসলানি বলেন, ‘পরমাণু চুক্তি পুনর্বহাল হলে তাতে ইরানের জয়ের মুকুটে একটি পালক যোগ হবে। এ ছাড়া পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গেও জোরদার সম্পর্ক গড়ে তোলার পথে অনেকটা এগিয়েছে ইরান। পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনা সফল হোক বা না হোক, পূর্বে ইরানের অগগ্রতি নিশ্চিত।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাশ মানি ট্রায়ালের অষ্টম দিনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ থাকা পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্পের কার্যালয়ে দেখেছেন বলে আদালতে দাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী রোনা গ্রাফ।
এবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলার শুনানি কার্যক্রমে শুক্রবার দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয় রোনা গ্রাফকে।
ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে ৩৪ বছর কাজ করা গ্রাফ আদালতকে জানান, তার অস্পষ্টভাবে মনে আছে যে তিনি স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্প টাওয়ারের ২৬ তলার রিসেপশনে দেখেছেন।
ট্রাম্পের আইনজীবী অবশ্য এ দাবিকে খারিজ করে দিয়ে আদালতকে বলেন, ওই সময় ট্রাম্প রিয়েলিটি টিভি শো ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ নিয়ে কাজ করছিলেন। ওই শো-র জন্য অনেককেই নিজের অফিসে ডাকতেন ট্রাম্প।
গ্রাফের পর সাক্ষ্য দিতে আসেন ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের সিনিয়ন ম্যানেজিং ডিরেক্টর গ্যারি ফারো। তিনি জানান, ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে রেসোল্যুশন কনসালট্যান্টস এলএলসি নামে নতুন একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে সাহায্য করেন তিনি।
সরকার পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে এই কোম্পানির মাধ্যমেই কোহেন ট্রাম্পের হয়ে ড্যানিয়েলসকে ১৩০ হাজার ডলার দিয়েছেন। এটিই ‘হাশ মানি’ হিসেবে পরিচিত।
এদিন শুনানির শুরুতে চতুর্থবারের মতো আদালতে হাজির হন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়্যারারের প্রকাশক ডেভিড পেকার। তাকেও নানাভাবে প্রশ্ন করেন দু’পক্ষের আইনজীবীরা।
পেকার জানান, ২০১৫ সালে ট্রাম্প টাওয়ারে এক আলোচনার পর তিনি এনকোয়্যারার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নেতিবাচক প্রতিবেদন সম্পর্কে আগে থেকেই কোহেনকে অবহিত করতে রাজি হন।
পেকার এও দাবি করেন যে ট্রাম্প টাওয়ারের ওই বৈঠকে তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন অর্থের বিনিময়ে না ছাপতে দেয়া বা ‘ক্যাচ অ্যান্ড কিল’ কৌশল নিয়ে আলোচনা করেননি।
তিনদিন বিরতি শেষে মঙ্গলবার পুনরায় এই মামলার শুনানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনের পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনারের কার্যালয়কে ৩০ ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটির ‘কল্যাণ ও সুরক্ষা’য় সহায়তার জন্য এ অর্থ দেয়া হচ্ছে বলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, শিশু, সহিংসতায় আক্রান্ত নাগরিকসহ ইউক্রেনের সর্বসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগে সহায়তার অংশ হিসেবে কাতার এ অর্থ দিচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়টির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে সংঘাতপীড়িত পরিবারগুলোকে সাহায্যের জন্য ক্রমবর্ধমান আইনি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এ অর্থ।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, মানুষের মর্যাদাকে সম্মান করা হয় এবং প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকারের সুরক্ষা দেয়া হয়, এমন বিশ্ব গড়ে তোলার প্রয়াসের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাটি।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানান, কাতারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ হামলার পর জোর করে রাশিয়ায় পাঠানো ইউক্রেনীয় ১৬ শিশু।
জেলেনস্কি বুধবার জানান, কাতারের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সুবাদে শিশুরা মুক্ত হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছে।
আরও পড়ুন:ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় হামলায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) দুই সদস্য নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয়, যেটি জঙ্গিরা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের একটি দল নারানসেইনা গ্রামের পাহাড়ি অংশ থেকে উপত্যকা অঞ্চলের দিকে সিআরপিএফের চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর জবাবে সিআরপিএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এরই মধ্যে চৌকিতে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বাহিনীর চার সদস্য।
এ চারজনকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও দুজনের মৃত্যু হয়। অপর দুজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, মণিপুরে সংকট শুরুর প্রথম বার্ষিকীর ছয় দিন আগে এ হামলা হলো। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হামলা আগামী দিনগুলোতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাণ হারানো দুই সিআরপিএফ সদস্য ১২৮ ব্যাটালিয়নের হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন, যাদের কর্মস্থল ছিল নারানসেইনা এলাকায়। এ দুজন হলেন উপপরিদর্শক এন সরকার ও প্রধান কনস্টেবল অরূপ সাইনি।
আহত দুজন হলেন পরিদর্শক যাদব দাস ও কনস্টেবল আফতাব দাস।
হামলাকারীরা শুক্রবার মধ্যরাতে হামলা শুরু করে বলে খবর পাওয়া যায়, যেটি চলে রাত সোয়া দুইটা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:ভারতের ১৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এর আগে ভারতের ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল।
দ্বিতীয় দফার ভোটে সবচেয়ে বেশি ও সবচেয়ে কম সম্পদ নিয়ে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের তথ্য দিয়ে শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হলেন কর্নাটকের কংগ্রেস প্রার্থী ভেঙ্কটরমন গৌড়া। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা অনুযায়ী, ৬২২ কোটি রুপি সমমূল্যের সম্পদ রয়েছে তার। তিনি এ নির্বাচনে এইচডি কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন।
দ্বিতীয় ধনী প্রার্থী হলেন কংগ্রেসের ডিকে সুরেশ। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৯৩ কোটি রুপি। ডিকে সুরেশ বেঙ্গালুরু গ্রামীণ আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন।
তৃতীয় ধনী প্রার্থী হলেন বিজেপি নেত্রী এবং অভিনেত্রী হেমা মালিনী। তিনি মথুরা লোকসভা আসন থেকে লড়ছেন। তার সম্পদের পরিমাণ ২৭৮ কোটি রুপি। মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় শর্মা চতুর্থ ধনী প্রার্থী, তার সম্পদের পরিমাণ ২৩২ কোটি রুপি।
সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে কম যাদের
লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে কম সম্পদ নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন নাগোরাও পাটিল। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার সম্পদ রয়েছে ৫০০ রুপি এবং তার কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই।
এরপরেই আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজেশ্বরী কেআর। তিনি কেরালার কাসারাগড় আসন থেকে লড়ছেন। তার সম্পদের পরিমাণ ১০০০ রুপি।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লোকসভায় ৩৫৩টি আসন পায় এনডিএ, যেখানে বিজেপির একক আসনের সংখ্যা ৩০৩টি।
ভারতে এবার ১৮তম লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে, যার ব্যাপ্তিকাল ৪৪ দিন। দেশটিতে মোট সাত দফায় এ ভোট হবে। লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট ১ জুন।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়।
দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
তিনি বলেছেন, “যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদের বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা’। কিন্তু ওই ‘বোঝাই’ এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমি লজ্জিত হই। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনও অনেক পিছিয়ে আছে।”
সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে, কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গত বুধবার সিন্ধ সিএম হাউসে একটি মতবিনিময় সভা করেন শাহবাজ শরিফ।
সে সভায় মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শাহবাজ শরিফ বলেন, “আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম...তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।”
এদিকে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গেও ব্যবসাবিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ। বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সঙ্কটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার’ জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শাহবাজ।
মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অপরদিকে রাশিয়া ও চীনের উত্থাপিত সংশোধনী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে পরিষদ।
মস্কো স্যাটেলাইট ধ্বংস করতে সক্ষম এমন একটি পারমাণবিক ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সমর্থিত উদ্বেগের মধ্যে বুধবার এমন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।
রাশিয়ার অ্যাম্বাসেডর ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জাতিসংঘের খসড়াটিকে একটি ‘নোংরা প্রদর্শনী’ এবং প্রস্তাবের সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তৈরি করা ‘খামখেয়ালি চাল’ বলে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ফেব্রুয়ারিতে নিশ্চিত করে বলেন, রাশিয়া স্যাটেলাইট বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জন করছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্র পরে সিএনএনকে জানায়, এই অস্ত্র বিস্ফোরিত হয়ে ব্যাপক শক্তির তরঙ্গ তৈরি করে স্যাটেলাইটকে ধ্বংস করতে পারে।
জাতিসংঘে ভোটাভুটির আগে যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, ওই প্রস্তাবে ভেটো দিলে বুঝতে হবে রাশিয়া কিছু গোপন করার চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বুধবার ভোটাভুটির পর তার বক্তব্যে এসব দাবির প্রতিধ্বনি করেন।
প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘কেন? আপনি যদি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে কেন এমন একটি প্রস্তাব সমর্থন করবেন না? আপনি কী লুকাতে পারেন? এটা বিস্ময়কর এবং এটি লজ্জাজনক।’
ভোটাভুটির সময় চীনের অনুপস্থিতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বেইজিং দেখিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী বিস্তার রোধ ব্যবস্থাকে রক্ষা করার পরিবর্তে তারা বরং রাশিয়াকে তাদের অংশীদার হিসেবে রক্ষা করবে।’
থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘বুধবারের ভোটে অনুপস্থিতি বিদ্যমান অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বাধ্যবাধকতার ওপর অতিপ্রয়োজনীয় আস্থা পুনর্নির্মাণের একটি সত্যিকারের সুযোগ হারানো।’
যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের খসড়া প্রস্তাব ৬০টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে আন্তঃআঞ্চলিক সমর্থন পেয়েছে।
জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপনের জন্য পরিকল্পিত পারমাণবিক অস্ত্র বা গণবিধ্বংসী অন্যান্য অস্ত্র তৈরি না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। দেশের নাগরিকদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি।
দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে নাগরিকদের ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করতে অনেক কোম্পানি বিনামূল্যে খাবার থেকে শুরু করে ফ্রিতে ট্যাক্সি পর্যন্ত অফার করেছে।
প্রতিবারই কম ভোটার উপস্থিতির জন্য খবরের শিরোনাম হয় কর্ণাটক রাজ্যের শহর বেঙ্গালুরু। তাই ভোটারদের ভোটের মাঠে আকৃষ্ট করতে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। ভোট দেয়ার পুরস্কার হিসেবে সেখানে হোটেল, ট্যাক্সি পরিষেবা এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রণোদনা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এসব সুবিধার মধ্যে ফ্রি বিয়ার, বিনামূল্যে ট্যাক্সি রাইড এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মতো সুবিধাকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করছে বিবিসি।
এছাড়া আঙুলে ভোটের কালি দেখাতে পারলে অনেক হোটেল ক্রেতাদের বিনামূল্যে খাবার খাওয়াবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার নির্বাচনি আইন লঙ্ঘন না করার শর্তে স্থানীয় হোটেল মালিক সমিতিকে ফ্রিতে বা বিশেষ ছাড়ে খাবার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।
এ বিষয়ে ব্যাঙ্গালুরুর হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি পিসি রাও ডেইলি মিররকে বলেন, ‘ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে হোটেলগুলো বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে। কেউ কেউ বিনামূল্যে কফি, ডোসা দেবে। আবার কেউ কেউ গরমে ভোটারদের জুস খাওয়াবে। কিছু হোটেল তো খাবারের ওপর বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।’
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটক রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে দক্ষিণ ব্যাঙ্গালুরুতে। সেবার ওই নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারদের ৫৩.৭ শতাংশ নাগরিক ভোট দিয়েছিলেন।
ব্যাঙ্গালুরুর জনপ্রিয় পার্ক ‘ওয়ান্ডারলা’ ভোটারদের জন্য টিকিটে বিশেষ মূল্যছাড় দিয়েছে। অন্যদিকে ভোট দিয়ে আসা প্রথম পঞ্চাশ জন ক্রেতাকে বিনামূল্যে বিয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ‘ডেক অফ ব্রুস’ নামের একটি পানশালা।
স্থানীয় রাইড শেয়ার অ্যাপ ‘ব্লু-স্মার্ট’ ভোটকেন্দ্রের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোটারদের রাইডে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। এছাড়া ‘র্যাপিডো’ নামের ট্যাক্সি শেয়ারিং কোম্পানি ভোটারদের বিনামূল্যে রাইড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মিস্টার ফিলি’স নামের একটি ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ প্রথম ১০০ জন ভোটারকে বার্গার ও মিল্কশেকের ওপর ৩০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘এটি আসলে নাগরিকদের ভোটের গুরুত্ব বোঝানো এবং আমাদের গণতন্ত্র উদযাপনের উপায়।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এই উদ্যোগটি ব্যাঙ্গালুরুর নাগরিকদের মধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও পরিবর্তন আনতে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।’
উল্লেখ্য, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম দফা নির্বাচনে সব রাজ্যে গড়ে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে শুক্রবার ভোটগ্রহণ হবে।
এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে সাত ধাপে, চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হবে আগামী ১ জুন এবং ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে।
মন্তব্য