× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
What will the Taliban regime look like this time?
google_news print-icon

তালেবানের এবারের শাসন কেমন হবে

তালেবানের-এবারের-শাসন-কেমন-হবে
গত রোববার কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্যালেস দখল করে তালেবান। ছবি: এএফপি
দীর্ঘ দুই দশক ধরে তালেবান ভেবেছে, ফের ক্ষমতায় গেলে তারা কীভাবে দেশ শাসন করবে। আফগানিস্তানের শাসনব্যবস্থা কেমন হতে যাচ্ছে, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে পুরো বিশ্ব।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল গত রোববার তালেবান ঘিরে ফেলার একপর্যায়ে দেশবাসীকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে যান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

ঘানির পলায়নের খবর জানাজানি হওয়ার পর কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে কোনো বাধা ছাড়াই একে-৪৭ রাইফেল হাতে ঢোকে আফগান যোদ্ধারা।

প্রেসিডেন্ট প্যালেসের কয়েক মাইল দূরে ওই সময় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শত শত আফগান নাগরিক জড়ো হয়েছে। তারা সবাই দেশ ছাড়তে উন্মুখ।

বিদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরাতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। চারদিকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।

বিদেশি সামরিক বিমানে উঠতে মরিয়া বিপুলসংখ্যক আফগান। তাদের সরাতে ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়। মানুষজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিলও করা হয়।

রোববার কাবুলে প্রবেশের আগে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেছিল তালেবান।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গ টেনে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সে সময় টুইটবার্তায় জানান, দেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ড. আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ ও সাবেক মুজাহিদীন নেতা গুলবুদ্দিন হিকমতিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় পরিষদ গঠন করা হচ্ছে।

অবশ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের বক্তব্য খুব একটা আমলে নেয়নি তালেবান। রাষ্ট্রক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে তারা।

বিদায়ী আফগান সরকারের সঙ্গে যতটুকু কথা তালেবান নেতারা বলবেন, তা আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার স্বার্থেই। এর বেশি কিছু নয়।

দি ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো ধরনের লড়াই ছাড়াই ক্ষমতা হস্তান্তর হচ্ছে দেখে কাবুলের অনেক নাগরিক কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।

১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কাবুল দখল নিয়ে ২৫ হাজারের বেশি আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়।

তালেবান আগের মতো নেই, তাদের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে- সংগঠনটির নেতাদের এসব বক্তব্য শুরুতে কিছু মানুষ বিশ্বাস করে। তাদের বিশ্বাসে খুব দ্রুতই আঘাত হানতে সক্ষম হয় তালেবান।

ক্ষমতায় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বসেনি তালেবান। তবে কয়েকটি প্রদেশে নারীদের কর্মস্থলে যেতে নিষেধ করেছে সংগঠনটি।

নিজেদের যোদ্ধাদের সঙ্গে মেয়েদের বিয়ে দিতে বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম বলেন, যুদ্ধ শেষ হয়েছে। তালেবান বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে চায় না। এবারের শাসনকাঠামো শিগগিরই সবাইকে জানানো হবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কেরও আহ্বান জানান তিনি।

তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও উপনেতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদর বলেন, ‘এবারের যুদ্ধে আমরা জয়ী হব, এমন আশা ছিল না।

‘দেশকে আমরা কীভাবে সেবা করতে পারি, তাতেই এখন জোর দেয়া হবে।

‘আমরা আশ্বস্ত করে বলতে চাই, দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।’

তালেবানের প্রধান নেতা এ মুহূর্তে হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা হলেও দেশের ক্ষমতা গ্রহণের পর মোল্লা বারাদরই জনসমক্ষে বেশি হাজির হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আফগানিস্তান দখলের মিশন তালেবানের শেষ।

পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা সংগঠনটির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতাকে এখন আফগান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে। তাদের মধ্যে সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব উল্লেখযোগ্য।

আফগান সরকারের মন্ত্রীদের বিষয়ে বেলজিয়ামভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সদস্য অ্যান্ডরু ওয়াটকিন্স বলেন, ‘তালেবানের মধ্যে কি সরকারের কার্যক্রম চালানোর মতো জনবল রয়েছে, নাকি তারা মন্ত্রণালয়ের বর্তমান কর্মকর্তাদের আপৎকালীন সময়ে কাজ চালিয়ে নিতে বলবে?’

এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি তালেবান। তাদের নিয়ে পশ্চিমা দেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে। তারা তালেবান সরকারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে চায় না।

তবে মানবিক সহায়তার মাধ্যমে আফগানিস্তানের নতুন শাসকের কাছ থেকে যৌক্তিক ব্যবহার পেতে আগ্রহী কয়েকটি দেশ।

আফগানিস্তানের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তালেবানের জয়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে মানসিক দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙেছে তালেবান।’

অন্যরা পাকিস্তানের মতো অতটা উচ্ছ্বসিত নয়।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘তালেবানকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে কেউ স্বীকৃতি দিক, তা আমরা চাই না।

‘সন্ত্রাসবাদ, মানবাধিকারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে তালেবান শর্ত মানলে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয় ভাবা যেতে পারে।’

তালেবানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান শাসনের নতুন মডেল হাজির করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের নতুন সরকারকাঠামো পশ্চিমা গণতন্ত্রের আদলে হবে না। তবে এটি সবার অধিকার রক্ষা করবে।’

দীর্ঘ দুই দশক ধরে তালেবান ভেবেছে, ফের ক্ষমতায় গেলে তারা কীভাবে দেশ শাসন করবে।

আফগানিস্তানের শাসনব্যবস্থা কেমন হতে যাচ্ছে, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে পুরো বিশ্ব।

আরও পড়ুন:
আফগানিস্তানে আফিম নির্মূল কেন অসম্ভব?
সামাজিকমাধ্যমে কোন কৌশলে এগোচ্ছে তালেবান
হুড়োহুড়িতে কাবুল বিমানবন্দরে নিহত ৭
কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় ঠেকাচ্ছে তালেবান
দেশের পথে শতাধিক ভারতীয়, কাবুলে আটকে সহস্রাধিক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Very intense fire in Chuadanga Pabna Rajshahi

রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ

রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনায় অতি তীব্র দাবদাহ দাবদাহের মধ্যে পাবনার একটি অঞ্চলে টিউবওয়েল থেকে পানি পান করছেন তৃষ্ণার্ত লোকজন। ছবি: নিউজবাংলা
তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার পাশাপাশি রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের তিন জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র এবং পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার পাশাপাশি রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়।

তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।

চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার বেলা তিনটায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ। একই দিনে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

তাপমাত্রার বিষয়ে অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত
৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা
তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ
দুই জেলায় অতি তীব্র, ১৬টিতে তীব্র দাবদাহ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
15 were injured in the attack due to filing a case of assault

হামলার মামলা করায় ফের হামলা, আহত ১৫

হামলার মামলা করায় ফের হামলা, আহত ১৫ আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছবি: নিউজবাংলা
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রিপন হাওলাদারের আগের ঘটনার মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা করায় ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় ‘হাতবোমার’ আঘাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কানাইপুরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় দক্ষিণ কানাইপুরের প্রয়াত মালেক সরদারের ছেলে দুবাই প্রবাসী রিপন সরদার বাড়িতে আসেন। এ খবর পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ একই এলাকার আনসার হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার লোকজন নিয়ে রিপনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় পরবর্তীতে গত ২৩ এপ্রিল রিপন সরদারের স্ত্রী রুনিয়া বেগম বাদী হয়ে কালকিনি থানায় ২২ জনের নামে একটি মামলা করেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য, এরই জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় রিপনের চাচাত ভাই ও আলীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীদ পারভেজের সমর্থক জামাল সরদার স্থানীয় বাজারে যান। মাঝপথে সাবেক চেয়ারম্যান মিলন সরদারের কর্মী মহসিন লোকজন নিয়ে কুপিয়ে তাকে জখম করে বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় একাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রিপন হাওলাদারের আগের ঘটনার মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন:
শেরপুরে ‘ভূমিদস্যুদের’ হামলায় ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা আহত
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় নারীর শাস্তি
ট্রান্সকম গ্রুপের ৩ কর্মকর্তা দুর্নীতির মামলায় রিমান্ডে
সিংড়া উপজেলা নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ
‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The jute field is burning

দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত

দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে পাটক্ষেত বৈশাখের তপ্ত রোদে পাটক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ছবি: নিউজবাংলা
কৃষকরা জানান, এবার প্রতি বিঘা পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ টাকার মতো। যা গতবারের চেয়ে অন্তত দুই হাজার বেশি। এরপরে গাছ শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য সেচ দিচ্ছেন তারা। ফলে আরও বাড়তে পারে উৎপাদন ব্যয়।

দাবদাহ আর বৃষ্টিহীনতায় পুড়ছে মাদারীপুরের পাটক্ষেত। বৈশাখের তপ্ত রোদে পাটক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পাটের জমিতে ঘন ঘন সেচ দেয়ায় যেমন উৎপাদন খরচ বাড়ছে, তেমনি খরায় জমির আগাছা পরিষ্কার করতে পারছেন না কৃষকরা।

এমনটা চলতে থাকলে উৎপাদন অনেকটা হুমকির মুখে পড়বে বলেও আশঙ্কা কৃষকদের।

সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচক এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনের তীব্র দাবদাহে পাট গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতেই মরে যাচ্ছে পাট গাছ। কোথাও শুকিয়ে মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে ঘন ঘন সেচ দিয়েও গাছের আশানুরূপ পরিবর্তন আনতে পারছেন না।

অনাবৃষ্টির কারণে পাট গাছের বৃদ্ধি না হওয়ায় জমিতে আগাছার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্বিগুণ হারে।

কৃষকরা জানান, এবার প্রতি বিঘা পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ টাকার মতো। যা গতবারের চেয়ে অন্তত দুই হাজার বেশি। এরপরে গাছ শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য সেচ দিচ্ছেন তারা। ফলে আরও বাড়তে পারে উৎপাদন ব্যয়।

খোয়াজপুরের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে মাঠ ফেটে চৌচির। পাটগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। একটুখানি বড় হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন চললে এবার পাট আবাদ ধসে পড়বে। অনেকেই সেচ দিলেও এক দুই দিন পরে আবার শুকিয়ে যায়। এতে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে উঠছে।’

আর মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এবার ৩৭ হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ জমিতে বপন কাজ শেষ হয়েছে এবং অনেক স্থানে চারা বড় হয়ে গেছে, কিন্তু রোগের কারণে পাটের ক্ষতি হওয়ায় চাষিদের বিকেলে পানি সেচ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আবদুল মতিন বিশ্বাস বলেন, ‘এই গরমে পাটের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই, তবে কৃষকদের বলছি, যেন বিকেলে সেচের মাধ্যমে পাট গাছ জীবিত রাখে। এতে গাছ মরবে না।’

মাদারীপুর জেলায় অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে পাটের অবস্থান শীর্ষে। গত বছর পাটের মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকরাও এবার বেশি জমিতে পাট চাষ করেছেন।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ: ৭ দিন বন্ধ স্কুল কলেজ
‘১০০ কেজি বেগুন ৫০০ টাকায় বিক্রি করি’
বেগুনে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক, ‘সেক্স ফেরোমন ফাঁদ’ পাতার পরামর্শ
১৫২ কৃষক পেলেন কোটি টাকার বেশি ঋণ
দিল্লি অভিমুখে লক্ষাধিক কৃষক, আটকাতে সড়কে কংক্রিটের দেয়াল

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The child fell from the roof while playing and died

খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত

খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশু নিহত প্রতীকী ছবি
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।

নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।

খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।

তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The temperature in Pabna has exceeded 42 degrees

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা

৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পাবনার তাপমাত্রা ছবি: নিউজবাংলা
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The robber who killed the driver to rob a rickshaw is in jail

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে

রিকশা ছিনতাই করতে চালককে খুন, ছিনতাইকারী কারাগারে ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে আশরাফ আলী কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন।

গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।

ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Even if the heat wave remains it may rain

তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে

তাপপ্রবাহ থাকছেই, বৃষ্টি হলেও হতে পারে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, নগরীতে পানিতে লাফাচ্ছে শিশুরা। ছবি: নিউজবাংলা
রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে।

শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মন্তব্য

p
উপরে