× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
The health sector also failed to spend the allocated money in Corona
google_news print-icon

করোনায়ও বরাদ্দের টাকা ব্যয়ে ব্যর্থ স্বাস্থ্য খাত

করোনায়ও-বরাদ্দের-টাকা-ব্যয়ে-ব্যর্থ-স্বাস্থ্য-খাত
মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে গড়ে তোলা হয়েছে দেশের বৃহত্তম করোনা হাসপাতাল। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুটি কারণে স্বাস্থ্য খাতের এ অবস্থা। একটি দুর্বলতা, অপরটি করাপশন। এ দুটি সমস্যা এক সঙ্গে আসে। দুর্বলতার কারণে প্রকল্পের টাকা ব্যয় করতে পারে না।’

চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে ব্যয় কমানোর জন্য সব মন্ত্রণালয়ের অর্থ ব্যয়ে লাগাম টানতে বলা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতের খরচের হাত খুলে দেয় সরকার। তবে বরাবরের মতোই করোনার এসময় অর্থ ব্যয়ের সে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে স্বাস্থ্য খাত।

দক্ষতা ও সক্ষমতার অভাবে প্রায় সোয়া ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা যায়নি এ খাতে। অথচ করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যুর সময় উন্নত সেবার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ ও অর্থ ব্যয়ের কথা ছিল স্বাস্থ্য খাতের।

টাকা পেয়েও সেটি খরচ করতে না পারায় এ খাতের অদক্ষতা, দুর্নীতিকে দায়ী করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে স্বাস্থ্য খাতের অক্ষমতার চিত্রই ফুটে উঠে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য খাতের দুটি বিভাগের মোট বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা ১১ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা পেলেও পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) এই বিভাগ খরচ করতে পেরেছে ৬ হাজার ৯৩৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, ৫৮ শতাংশের কম।

অপর দিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ১ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা পেয়ে খরচ করেছে ১ হাজার ৫৭৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

এ দুটি বিভাগ সম্মিলিতভাবে খরচ করতে পেরেছে ৮ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। বরাদ্দ বাস্তবায়নের হার ৬১ দশমিক ৪০ শতাংশ। ফেরত গেছে ৫ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা। অথচ দুই বিভাগ মিলে উন্নয়ন বাজেটের ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ পেয়েছিল।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বছর আমাদের নানা সমস্যা ছিল, তাই এডিপি বাস্তবায়ন কম হয়েছে, খরচ কম হয়েছে। এ বছর আমরা চেষ্টা করছি শুরু থেকেই, জুলাই থেকেই কীভাবে বাস্তবায়ন ভালো করা যায়।’

টাকা অব্যয়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে টাকা খরচ আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, যেমন টিকা কেনার ক্ষেত্রে। আমরা এখন যেভাবে খরচ করতে পেরেছি, গত মাসে অবস্থা সে রকম ছিল না। যেসব জায়গায় আগে ব্যয় হয়নি, এখন সেসব জায়গায় কাজ করা হচ্ছে। যেন সব জায়গায় সঠিকভাবে ব্যয় করা যায়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনার সরঞ্জাম ও টিকা কেনার প্রকল্পগুলোও মনিটরিং হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য খাতের দুটি বিভাগের অধীনে ৬৮টি প্রকল্প চলছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার এখন পর্যন্ত দুটি বড় প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যার একটিতে অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, অন্যটিতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক।

গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর তড়িঘড়ি করে দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় গত অর্থ বছরে দুটি প্রকল্পে আশানুরূপ টাকা খরচ হয়নি।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা মহামারিতে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য খাত। এই সময়ে চিকিৎসার অপ্রতুলতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে হাসপাতালগুলো ধুঁকছে। তখন বাজেটে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কিনতে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটি খরচ করতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এটি মেনে নেয়া যায় না।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনার যে ঘাটতি, করোনা সবার চোখে সেটি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এ খাতে উন্নয়ন প্রকল্পে যা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে তার বেশিরভাগ তো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করে। এরা যদি বলে, যে কাজটা আগামী বছরের জন্য এডিপি এবং অপারেটিং বাজেটের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে, সেটা আমরা করতে পারব না।

‘কিন্তু তারা না করবে না। তবুও তারা তা ঠিক মতো করতে পারছে কি না, তা তো টাকা ব্যবহারের মধ্যেই দেখাই যাচ্ছে। এমনকি যেটা ব্যবহার হচ্ছে সেখানেও তো দুর্নীতি অপচয় এগুলোর অভিযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দশ টাকার জিনিস ৩০-৫০ টাকায় কেনা হচ্ছে। কেনা হলেও তা ঠিকমতো খালাস করা হচ্ছে না। পণ্য ঠিক মতো ব্যবহার হচ্ছে না। যেটা প্রয়োজন সেটা কেনা হচ্ছে কি না, যা কিনছে তা সত্যিই দরকার আছে কি না, যার দরকার আছে তাকে সময় মতো দেয়া হচ্ছে কি না, এমন অনেক প্রশ্নই রয়েছে।’

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এরকম একটা জাতীয় দুর্যোগের মধ্যে শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানে পারছে না, তাদের ওপর একচেটিয়া নির্ভরশীলতা থেকে বের হওয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখা যাচ্ছে না। সামাজিকভাবেই এসব সেবা গ্রাহকদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সেটি না করে ডিজিএইচএস এর ওপর শুধু নির্ভরশীল থাকলে হবে না। তাদের সক্ষমতার বাইরে তো পারবে না। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা রয়েছে, বিশেষ করে ব্যবস্থপনার ক্ষেত্রে। সোজা কথায় দুর্নীতির ক্ষেত্রে যদি দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে এ অবস্থার উন্নতি হবে না।’

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবসময়ই হেলথ সেক্টরের ব্যয় তারা করতে পারতো না। আগে ব্যয়টা একটু কম ছিল, তাদের ওপর এতো চাপ ছিল না। কিন্তু এটা তো ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি। এই সিচুয়েশনে এটা হওয়া উচিত না, কিন্তু হচ্ছে। এখন ব্যয় করতে না পারা দুর্ভাগ্যজনক।

‘দুটি কারণে স্বাস্থ্য খাতের এ অবস্থা। একটি দুর্বলতা, অপরটি করাপশন। এ দুটি সমস্যা এক সঙ্গে আসে। প্রকল্পের দুর্ললতার কারণে প্রকল্পের টাকা ব্যয় করতে পারে না। এক দিকে টাকা খরচ করে পারে না, অপর দিকে আনফেয়ার ওয়েতে বিভিন্ন কন্ট্রাক্টগুলো যায়। যে কারণে প্রকিউরমেন্ট (কেনাকাটা) বন্ধ হয়ে যায়। এতে ডিসভার্সমেন্টও (অর্থ ছাড়) বন্ধ হয়ে যায়। এর সঙ্গে সক্ষমতার অভাব তো রয়েছেই।’

অর্থ প্রাপ্তিতে শীর্ষ পাঁচে, খরচে তলানির দশে স্বাস্থ্য

আইএমইডির প্রতিবেদন বলছে, গত অর্থ বছরের এডিপির বরাদ্দে শীর্ষ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের একটি ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু বছর শেষে কাজের দিক দিয়ে সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যের অবস্থান ৪৯তম বা তলানিতে থাকা ১০টির একটি।

বরাদ্দে স্বাস্থ্যের ওপরে থাকা মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগে ৮৯ দশমিক ৭১ শতাংশ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ৮৮ শতাংশ, স্থানীয় সরকার বিভাগ ৮১ দশমিক ৪৪ শতাংশ অর্থ খরচ করেছে।

শীর্ষ বরাদ্দ পাওয়াদের মধ্যে স্বাস্থ্যের চেয়ে কম বরাদ্দ পেয়েও রেলপথ মন্ত্রণালয় ৮৫ শতাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১০১ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রায় ৮২ শতাংশ এবং ১০৪ দশমিক ২৭ খরচ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এমনকি কৃষি মন্ত্রণালয়ও ৯৭ দশমিক ৫২ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন দেখিয়েছে।

খরচের সামর্থ্য না থাকলেও নিয়েছে বাড়তি অর্থ

বছরের শুরু থেকেই ভালো অবস্থায় ছিল না স্বাস্থ্য খাত। গত অর্থ বছরের মূল এডিপিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ৭৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভাগটি খরচ করতে পেরেছিল মাত্র ২ হাজার ৮১ কোটি টাকা যা বরাদ্দের ২১ শতাংশ।

এরপরও মার্চ মাসে এডিপি সংশোধনের সময় আরও ২ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ নেয় বিভাগটি। তবে বছর শেষে মূল বরাদ্দ থেকেই ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা কম খরচ করেছে তারা।

খরচের হাত খোলা ছিল স্বাস্থ্যের জন্য

করোনার সময় অর্থ ব্যয়ে লাগাম টানতে বিভিন্ন খাতের কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে খরচ কমানোর পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্পের একটা অংশও সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস মহামারিতে ব্যয় কমানো নীতিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সরকারি অংশ থেকে ২৫ শতাংশ অর্থ আটকে রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় এর আওতাভুক্ত ছিল না।

এ বছরের মার্চে অর্থ বিভাগের অপর নির্দেশনায় বলা হয়, উন্নয়ন প্রকল্পের সরকারি অংশের ১৫ শতাংশ অব্যয়িত রেখে বাকি ৮৫ শতাংশ খরচ করা যাবে। এখানেও স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতকে আওতার বাইরে রাখা হয়। এর আগে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন খাতে গাড়ি কেনা স্থগিত করা হয় আগামী জুন পর্যন্ত।

আরও পড়ুন:
স্বাস্থ্যে দুর্নীতি রোধে শিগগিরই ক্র্যাশ প্রোগ্রাম
‘স্বাস্থ্য খাতে গুণগত ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে’
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে আরও গবেষণা জরুরি: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
করোনাকালেও ঢিমেতেতালা স্বাস্থ্য খাত
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাভ কী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Karona died in 24 hours

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ২৬

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ২৬

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আট দশমিক ৯৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তার বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। তার বাড়ি ঢাকা বিভাগে। তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০৩ জন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
I would like to implement thirty one points of BNP acting chairman Tarique Rahman
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একত্রিশ দফা বাস্তবায়ন করতে চাই

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একত্রিশ দফা বাস্তবায়ন করতে চাই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান

নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলা এই একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত মহান জাতীয় সংসদীয় আসন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভৌগলিক অবস্থান পূর্বধলা উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে নেত্রকোণা জেলা শহর এবং এটি ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত। পূর্বধলা উপজেলা গঠিত হয়েছে ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে, যেগুলো স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

আয়তন ৩০৮.০৩ বর্গ কিঃমিঃ। মোট জনসংখ্যা-৩,১০,৮৩৪। পুরুষ-৪৯.২৭%, মহিলা-৫০.৭৩%। মুসলমান-৯৪.৮০%, হিন্দু-৪.৮১%, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান- ০.১৯% এবং অন্যান্য-০.২০%। এখানে গারো ও হদি নামক দু’টি আদিবাসী সম্প্রদায় আছে। তাদের পরিবারের সংখ্যা- ৪৪৫টি। মোট ভোটার-২,৭০,৬৯৯ জন ২০২৩ সালের ১১অক্টোবর পর্যন্ত। পুরুষ ভোটার: ১,৩৭,৯১৬জন ২০২৩ সালের ১১অক্টোবর পর্যন্ত। মহিলা ভোটার:১,৩২,৭৮২ জন ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রাপ্ত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্র সংখ্যা: ২,৩৬,১০৩। বিতরণকৃত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যা: ২,১০,৭৯১। অবিতরণকৃত র্স্মাট জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যা: ২৫,৩১২।

এবার পূর্বধলা সংসদীয় আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান। তিনি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস (তথ্য ক্যাডার)। সাবেক বিসিএস জুডিশিয়ারী (সহকারী জজ) (কোয়ালিফায়েড ফর বিসিএস-২২)। সাবেক লেকচারার, আইন বিভাগ, কুইন'স ইউনিভার্সিটি।

সলিসিটর ফর ইংল্যান্ড, এন্ড ওয়েলস হাইকোর্ট। প্রিন্সিপাল সলিসিটার অফ মওদুদ ল'চেম্বার্স সলিসিটর্স, লন্ডন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা ও এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

এছাড়াও তিনি বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি চেয়ারম্যান। বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আইন বিষয়ক সম্পাদক। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান বলেন, ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী নিয়ে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামে প্রতিটি ঘরে বিএনপি'র একত্রিশ দফা বার্তা নিরচ্ছন্ন ভাবে পৌছানোর দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়ীতে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে একেকটি পরিবারের ও গ্রাম্য জীবন তথা উপজেলার সার্বিক জাতীয় সমস্যা, উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে বিএনপির পাশাপাশি সার্বিকভাবে ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী কাজ করে যাবে। আমাদের স্লোগান ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে যেই আগামীর নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে আসবে আমরা তার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবো। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, দুর্নীতিবাজ, চরিত্রিহীন, অসৎ লোক, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, ব্যাক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে এমন স্বার্থপর তথা জনগণের আস্থার পরীক্ষায় ফেল করা কোনো ব্যাক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে আমাদের প্রাণের সংগঠন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র হাই কম্যান্ডসহ বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চাইবেন না। ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী চাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পূর্বধলাসহ সারা বাংলাদেশে বিএনপি'র দলের হয়ে জনগণের সেবায় বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখুক। আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক কঠিন ও কঠিনতর হবে। পেশিশক্তির দিন শেষ এবং দিন শেষে জনগণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিশ্বাস করি পূর্বধলার জনগণ জননেতা নির্বাচনে কোনোক্রমেই ভুল করবেনা। প্রাণের পূর্বধলার সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের নিমিত্তে অবশ্যই একজন সৎ, যোগ্য, দুর্নীতি বিরোধী, দেশপ্রেমিক, নিঃস্বার্থ একজন যোগ্য ব্যক্তিকে খোঁজে নেবে পূর্বধলাবাসী। সে জন্য দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বধলার মনোনয়ন বিএনপির হাইকমান্ড ভেবেচিন্তে নির্ধারণ করবে। সকল জাতীয়দাবাদী নেতৃবৃন্দ, কর্মী সমর্থক, শুভানুদ্ধায়ীদেরকে ধানের শীষের সমর্থনে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে পূর্বধলা ধানের শীষ সমর্থক গোষ্ঠী দলীয় সংহতির ভিত্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের দৃপ্ত আহবান জানাই। ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই, একতাই বল। পূর্বধলার সার্বিক উন্নয়নে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেতা তারেক রহমানের একত্রিশ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র মেরামতে ঐতিহাসিক ভাবে জাতীয় মুক্তির ভূমিকা পালনে সবাই অংশগ্রহণ করি। পূর্বধলার সকল সম্মানিত নাগরিকের আস্থা, ভালোবাসা, কল্যাণ ও পছন্দের প্রতীক হউক ধানের শীষ।

তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একত্রিশ দফা বাস্তবায়ন করতে চাই। তাই শতভাগ আশাবাদী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড আমাকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিবেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Vending machine installation and awareness workshops are underway at the university nationwide by the initiative of Fresh Ananya Sanitary Napkin

ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর উদ্যোগে দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনা এবং সচেতনতামূলক কর্মশালা

ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর উদ্যোগে দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনা এবং সচেতনতামূলক কর্মশালা

ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে ২০১৮-এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মাত্র ২৯ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে। অর্থাৎ প্রায় ৭১ শতাংশ নারী এখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে না। পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহার করার ফলে সার্ভিক্যাল ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহারের ফলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এমনকি ক্যান্সার-এরও ঝুঁকি থাকে। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা।

এ লক্ষ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন’ দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। ‘এক্সিলেন্স বাংলাদেশ’-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। ক্যাম্পেইন-এর অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ওয়ার্কশপ ও সেশন। এর বাইরে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের নারীদের জন্য সহজে ও সুলভ মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহরে সুবধর্িাথরে জন্য ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করছে ফ্রেশ অনন্যা।

ফ্রেশ অনন্যা-ই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র স্যানিটারি ন্যাপকিন, যাতে রয়েছে ডাবল লেয়ারড অ্যাডভান্সড অ্যাবজর্পশন টেকনোলজি। সুবিধা ও উপযোগিতার কথা বিবেচনায় রেখে, ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এ ব্যবহার করা হয়েছে এয়ারলেইড পেপার এবং এডিএল লেয়ার। যা নিশ্চিত করে আরও দ্রুত শোষণ এবং সুরক্ষা। তাই পিরিয়ডের দিনগুলো কাটে আরও বেশি স্বস্তিতে।

ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন ইত্যাদি।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
This time the passenger helicopter was killed in India

এবার ভারতে যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত ৭

এবার ভারতে যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত ৭

ভারতে এবার উড়াল দেওয়ার পরই বিধ্বস্ত হয়েছে যাত্রীবাহী একটি হেলিকপ্টার। এতে, পাইলটসহ সাত আরোহী নিহত হয়েছেন।

রবিবার (১৫ জুন) সকালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে এ ঘটনা ঘটে। রাজ্যের কেদারনাথ ধাম থেকে গুপ্তকাশী তীর্থস্থানের উদ্দেশে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় হেলিকপ্টারটি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উড্ডয়নের মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনার পর উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে।’

অ্যারিয়ান অ্যাভিয়েশন নামের একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার সংস্থার পরিচালিত হেলিকপ্টারটি কেদারনাথ তীর্থপথের নিকটবর্তী একটি বনাঞ্চলে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিধ্বস্ত হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পাইলট ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে আসা তীর্থযাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার পর আগুন ধরে যাওয়ায় মরদেহগুলো মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।

ভারতের অন্যতম চারটি তীর্থস্থানের একটি কেদারনাথ। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী সেখানে ভ্রমণ করেন। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলটিতে পৌঁছাতে অনেকেই হেলিকপ্টার সেবার ওপর নির্ভর করেন।

ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটলো। মাত্র তিন দিন আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দেশটির আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যাত্রীবাহী এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।

এ ঘটনায় বিমানে থাকা ২৩২ যাত্রী ও ১০ ক্রুর মধ্যে ২৪১জনই নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৭০ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

বিমানটি আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এ সময় ছাত্ররা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় মেডিকেল হোস্টেলের ৫ শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Give the nation a fair and acceptable election gift CEC

জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেব: সিইসি

জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেব: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া হবে।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সাথে কর্মকর্তাদের ঈদুল আজহা পরবর্তী মতবিনিময় সভায় সিইসি এ কথা বলেন।

সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময়ে সিইসি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আপনাদেরকে যতকাজ দিয়েছি, কোন কাজে আপনারা ব্যর্থ হননি। টাইম ফ্রেমের মধ্যেই আপনারা সব কাজ করেছেন। সুতরাং নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ যা বাকি আছে, অনেকগুলো আমরা এগিয়ে নিয়েছি। আমাদের কাজ অনেকদূর এগিয়ে আছে। এখন সবাই মিলে ফিনিশিং দিতে হবে। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিব, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, আমাদের শপথ হবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা, কোনো দলের জন্য লেজুড়বৃত্তি না করা, আইন অনুযায়ী কাজ করা, বিবেক সম্মতভাবে কাজ করা।

সিইসি আরো বলেন, ‘আমরা থাকব রেফারির ভূমিকায়। যারা খেলবে খেলুক। খেলে যারা জিতবে জিতুক।

আমাদের দায়িত্ব হবে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে দেয়া। সেটা করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সবসময় বলে যাচ্ছেন, আমি একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। কিসের ওপর ভিত্তি করে উনি কথাটা বলছেন। এই যে উনি ওয়াদাটা দিচ্ছেন, বিশ্বব্যাপী দিচ্ছেন। আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই ওয়াদাটা দিচ্ছেন।’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The son of the former MP of Satkhira with drugs and weapons is detained

মাদক ও অস্ত্রসহ সাতক্ষীরার সাবেক এমপির ছেলে আটক

মাদক ও অস্ত্রসহ সাতক্ষীরার সাবেক এমপির ছেলে আটক

সাতক্ষীরার আ.লীগের সংরক্ষিত আসেনের সাবেক এমপি রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তার ছেলে সাফায়েত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে শহরের আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বিলাশবহুল বাড়িতে ২ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে নেতৃত্ব দেন সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের মেজর ইফতেখার আহমেদ।

সাফায়াত সরোয়ার রুমন আশাশুনির কাদাকাটি গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে এবং তার মা রিফাত আমিন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আ.লীগের সাবেক সভানেত্রী ও আ.লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ছিলেন।

যৌথবাহিনীর অভিযানের শুরুতেই দুইতলা হতে রুমন লাফিয়ে নিজতলা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন যৌথবাহিনী রুমনকে আটক করে বাড়িতে তল্লাশি করে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করে।

সেনাবাহিনীর মেজর ইফতেখার আহম্মেদ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাত আমিনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ৩ শতাধিক ইয়াবা বড়ি ও একটি রাইফেল, একটি তলোয়ার এবং মদ ও খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে এবং সাবেক এমপির ছেলে সাফায়াত সরোয়ার রুমনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

পুলিশের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল

পুলিশের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল

বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদের চার কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল ও পদোন্নতি হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অধিশাখার উপসচিব মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট আলি আকবর খানকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. শামসুল হককে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে।

এ ছাড়াও ঢাকা আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। আর সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি রোমানা আক্তারকে ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট করা হয়েছে।

জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে