× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
ডেল্টা প্লাস ধরন কি ডেকে আনবে তৃতীয় ধাক্কা
google_news print-icon

ডেল্টা প্লাস ধরন কি ডেকে আনবে তৃতীয় ধাক্কা

ডেল্টা-প্লাস-ধরন-কি-ডেকে-আনবে-তৃতীয়-ধাক্কা
নতুন ডেল্টা প্লাস ধরন করোনার তৃতীয় ধাক্কার কারণ হতে পারে বলে শঙ্কা অনেকের। ছবি: ডিএনএইন্ডিয়া
ভারতে এখন পর্যন্ত ৪০ জন ডেল্টা প্লাস ধরনে আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ মিলেছে। এরই মধ্যে তিন রাজ্য- মহারাষ্ট্র, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশে বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। সংক্রমণ রুখতে কন্টেনমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

ভারতের তিন রাজ্যে করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্লাস ধরনের খোঁজ মিলতেই তৈরি হয়েছে নতুন উদ্বেগ। ডেল্টা প্লাস ধরনে আক্রান্ত হওয়া এক নারীর মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে।

এ ধরনে আক্রান্ত হওয়া রোগীর মধ্যে ওই রাজ্যে এটাই প্রথম মৃত্যু। মৃত নারী উজ্জয়িনীর বাসিন্দা।

সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন বুধবার তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

অনেকেরই আশঙ্কা, তৃতীয় ধাক্কার কারণ হয়ে উঠতে পারে করোনার এই নতুন ধরন।

তবে ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটেড বায়োলজির পরিচালক ড. অনুরাগ আগরওয়াল জানান, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার জন্য ডেল্টা ধরনই দায়ী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ভাইরাসের এই ধরনের প্রথম খোঁজ মিলেছিল ভারতেই। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে তা শনাক্ত হয়।

ভাইরাসের মিউটেশন হয়েছে কি না, তা জানার জন্য প্রয়োজন জিনোম সিকোয়েন্সিং। করোনায় আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেই অস্তিত্ব মিলেছে ডেল্টা প্লাস ধরনের।

এ বিষয়ে আগরওয়াল বলেন, ‘আপাতত এমন কোনো প্রমাণ নেই যে, তৃতীয় ধাক্কার কারণ হিসেবে ডেল্টা প্লাস ধরনই দায়ী থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘কেবল জুন মাসেই মহারাষ্ট্র থেকে সংগৃহীত ৩ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। এ নমুনাগুলো এপ্রিল ও মে মাসে সংগ্রহ করা হয়। নমুনাতেই ডেল্টা প্লাস ধরনের খোঁজ মেলে।

‘তবে এখন পর্যন্ত এতে সংক্রমণের হার ১ শতাংশের কম। তৃতীয় ধাক্কা আসার আগে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার চেয়ে দ্বিতীয় ধাক্কা এখনও কেন শেষ হয়নি, তা নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত।’

একই সঙ্গে সংক্রমণ রুখতে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আবেদনও জানান তিনি।

ভারতে এখন পর্যন্ত ৪০ জন ডেল্টা প্লাস ধরনে আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ মিলেছে। এরই মধ্যে তিন রাজ্য- মহারাষ্ট্র, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশে বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। সংক্রমণ রুখতে কন্টেনমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টই ভরসা রামদেবের
হাত মেলাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান
ভারতে রেকর্ড টিকাদানের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন
ভারতে সীমা ছাড়াচ্ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম
ছত্তিশগড়ে ৮০০ কেজি গোবর চুরি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
US suspends decision to sanction Israeli battalion
ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসন। ছবি: সংগৃহীত
চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এক ইসরায়েলি সেনা ব্যাটালিয়নের ওপর সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই সিদ্ধান্ত এখনই কার্যকর করতে চান না দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসনের কাছে লেখা ব্লিংকেনের এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শুক্রবার এপির হাতে আসা ওই চিঠিতে জনসনকে ব্লিংকেন বলেছেন, নিজেদের অন্যায় সংশোধনের জন্য তিনি ওই সামরিক ইউনিটটিকে (ব্যাটালিয়ন) আরও সময় দিতে চান।

চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা তহবিল প্রদানে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিল পাস করতে মাইক জনসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ইসরায়েলের ঠিক কোন সেনা ইউনিটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তটি আপাতত স্থগিত করছে, ব্লিংকেনের চিঠিতে তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এপির প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, ‘নেটজাহ ইয়েহুদা’ নামের একটি ইউনিট যুক্তরাষ্ট্রের কোপে পড়েছে। এই সেনা ইউনিটটি ঐতিহাসিকভাবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থান করে আসছে।

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত সহায়তা স্থগিতের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ওই ইউনিট ও এর কিছু সদস্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মানবিক আইনের অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ২০২২ সালে ওই ইউনিটের হাতে আটক হওয়া এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নাগরিকের নিহত হওয়ার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।

চিঠিতে ব্লিংকেন বলেন, ‘ওই ব্যাটালিয়নের অন্যায়ের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকারও এখনও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ইউনিটটির অবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তারা আমাদের তথ্য দিয়ে চলেছে এবং আমরাও ব্যাটালিয়নটির সংশোধনী কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও তা করার (সংশোধনের) পথ চিহ্নিত করতে সর্বদা নিযুক্ত থাকব।’

আন্তর্জাতিক আইন বা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে একটি আইন পাস করে। ব্যাত্যয় ঘটলে ‘লেহি আইন’ নামের ওই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো বিদেশি সেনা ইউনিটকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে বাধ্য করে। তবে সেই দেশের সেনাবাহিনী যদি ওই ইউনিটের করা অপরাধের বিচার করে এবং তাদের সংশোধনের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর এই আইন কার্যকর হবে না বলেও আইনটির একটি ধারায় উল্লেখ রয়েছে। ব্লিংকেন এই বিষয়টি উল্লেখ করেই মূলত এখনই সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে যেতে নারাজ।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজমান। দুই বাহিনী নিয়মিত নিজেদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান করে থাকে। তবে সম্প্রতি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবস্থান ও ইসরায়েলকে সহযোহিতা করায় সমালোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এরই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের ব্যাপারে সম্প্রতি ইসরায়েলকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জো বাইডেন। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি উগ্রবাদী সেটেলারের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
US suspends decision to sanction Israeli battalion
ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসন। ছবি: সংগৃহীত
চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এক ইসরায়েলি সেনা ব্যাটালিয়নের ওপর সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই সিদ্ধান্ত এখনই কার্যকর করতে চান না দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসনের কাছে লেখা ব্লিংকেনের এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শুক্রবার এপির হাতে আসা ওই চিঠিতে জনসনকে ব্লিংকেন বলেছেন, নিজেদের অন্যায় সংশোধনের জন্য তিনি ওই সামরিক ইউনিটটিকে (ব্যাটালিয়ন) আরও সময় দিতে চান।

চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা তহবিল প্রদানে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিল পাস করতে মাইক জনসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ইসরায়েলের ঠিক কোন সেনা ইউনিটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তটি আপাতত স্থগিত করছে, ব্লিংকেনের চিঠিতে তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এপির প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, ‘নেটজাহ ইয়েহুদা’ নামের একটি ইউনিট যুক্তরাষ্ট্রের কোপে পড়েছে। এই সেনা ইউনিটটি ঐতিহাসিকভাবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থান করে আসছে।

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত সহায়তা স্থগিতের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ওই ইউনিট ও এর কিছু সদস্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মানবিক আইনের অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ২০২২ সালে ওই ইউনিটের হাতে আটক হওয়া এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নাগরিকের নিহত হওয়ার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।

চিঠিতে ব্লিংকেন বলেন, ‘ওই ব্যাটালিয়নের অন্যায়ের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকারও এখনও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ইউনিটটির অবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তারা আমাদের তথ্য দিয়ে চলেছে এবং আমরাও ব্যাটালিয়নটির সংশোধনী কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও তা করার (সংশোধনের) পথ চিহ্নিত করতে সর্বদা নিযুক্ত থাকব।’

আন্তর্জাতিক আইন বা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে একটি আইন পাস করে। ব্যাত্যয় ঘটলে ‘লেহি আইন’ নামের ওই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো বিদেশি সেনা ইউনিটকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে বাধ্য করে। তবে সেই দেশের সেনাবাহিনী যদি ওই ইউনিটের করা অপরাধের বিচার করে এবং তাদের সংশোধনের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর এই আইন কার্যকর হবে না বলেও আইনটির একটি ধারায় উল্লেখ রয়েছে। ব্লিংকেন এই বিষয়টি উল্লেখ করেই মূলত এখনই সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে যেতে নারাজ।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজমান। দুই বাহিনী নিয়মিত নিজেদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান করে থাকে। তবে সম্প্রতি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবস্থান ও ইসরায়েলকে সহযোহিতা করায় সমালোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এরই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের ব্যাপারে সম্প্রতি ইসরায়েলকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জো বাইডেন। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি উগ্রবাদী সেটেলারের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
US suspends decision to sanction Israeli battalion
ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসন। ছবি: সংগৃহীত
চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এক ইসরায়েলি সেনা ব্যাটালিয়নের ওপর সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই সিদ্ধান্ত এখনই কার্যকর করতে চান না দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসনের কাছে লেখা ব্লিংকেনের এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শুক্রবার এপির হাতে আসা ওই চিঠিতে জনসনকে ব্লিংকেন বলেছেন, নিজেদের অন্যায় সংশোধনের জন্য তিনি ওই সামরিক ইউনিটটিকে (ব্যাটালিয়ন) আরও সময় দিতে চান।

চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা তহবিল প্রদানে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিল পাস করতে মাইক জনসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ইসরায়েলের ঠিক কোন সেনা ইউনিটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তটি আপাতত স্থগিত করছে, ব্লিংকেনের চিঠিতে তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এপির প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, ‘নেটজাহ ইয়েহুদা’ নামের একটি ইউনিট যুক্তরাষ্ট্রের কোপে পড়েছে। এই সেনা ইউনিটটি ঐতিহাসিকভাবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থান করে আসছে।

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত সহায়তা স্থগিতের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ওই ইউনিট ও এর কিছু সদস্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মানবিক আইনের অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ২০২২ সালে ওই ইউনিটের হাতে আটক হওয়া এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নাগরিকের নিহত হওয়ার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।

চিঠিতে ব্লিংকেন বলেন, ‘ওই ব্যাটালিয়নের অন্যায়ের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকারও এখনও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ইউনিটটির অবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তারা আমাদের তথ্য দিয়ে চলেছে এবং আমরাও ব্যাটালিয়নটির সংশোধনী কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও তা করার (সংশোধনের) পথ চিহ্নিত করতে সর্বদা নিযুক্ত থাকব।’

আন্তর্জাতিক আইন বা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে একটি আইন পাস করে। ব্যাত্যয় ঘটলে ‘লেহি আইন’ নামের ওই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো বিদেশি সেনা ইউনিটকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে বাধ্য করে। তবে সেই দেশের সেনাবাহিনী যদি ওই ইউনিটের করা অপরাধের বিচার করে এবং তাদের সংশোধনের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর এই আইন কার্যকর হবে না বলেও আইনটির একটি ধারায় উল্লেখ রয়েছে। ব্লিংকেন এই বিষয়টি উল্লেখ করেই মূলত এখনই সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে যেতে নারাজ।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজমান। দুই বাহিনী নিয়মিত নিজেদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান করে থাকে। তবে সম্প্রতি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবস্থান ও ইসরায়েলকে সহযোহিতা করায় সমালোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এরই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের ব্যাপারে সম্প্রতি ইসরায়েলকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জো বাইডেন। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি উগ্রবাদী সেটেলারের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Britneys legal battle with her father ends

বাবার সঙ্গে ব্রিটনির বিরোধের অবসান

বাবার সঙ্গে ব্রিটনির বিরোধের অবসান জেমি স্পিয়ার্স ও তার মেয়ে ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ছবি: সংগৃহীত
আদালত ২০২১ সালের শেষের দিকে পপ তারকার ১৩ বছরের কনজারভেটরশিপ অবসানের পক্ষে রায় দেয়। এর ফলে তার ব্যক্তিগত ও আর্থিক লেনদেনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান তার বাবা। তবে জেমি স্পিয়ার্স মেয়ে ব্রিটনির কাছে প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার আইনি ফি দাবি করে বসেন। এ নিয়ে নতুন করে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন বাবা ও মেয়ে।

বাবা জেমি স্পিয়ার্সের সঙ্গে চলা আইনি বিরোধ মিটিয়ে ফেলছেন আমেরিকান পপ আইকন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। বিষয়টির নিষ্পত্তি করা নিয়ে দু’পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ব্রিটনির অ্যাটর্নিরা।

লস অ্যাঞ্জেলেস সুপিরিয়র কোর্টে নিষ্পত্তিটি দায়ের করা হযয়েছে। তাদের চলমান আইনি বিরোধের বিষয়ে চুক্তির কোনো শর্ত প্রকাশ করা হয়নি।

আদালত ২০২১ সালের শেষের দিকে পপ তারকার ১৩ বছরের কনজারভেটরশিপ অবসানের পক্ষে রায় দেয়। এর ফলে তার ব্যক্তিগত ও আর্থিক লেনদেনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান তার বাবা। তবে জেমি স্পিয়ার্স মেয়ে ব্রিটনির কাছে প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার আইনি ফি দাবি করে বসেন। এ নিয়ে নতুন করে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন বাবা ও মেয়ে।

বিরোধ নিষ্পত্তির ফল সম্পর্কে উভয় পক্ষের অ্যাটর্নিরা ইতিবাচক কথা বলেছেন।

গায়িকার অ্যাটর্নি ম্যাথিউ রোজেনগার্ট সিএনএনকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তিনি বিষয়টি নিয়ে আদালতে উপস্থিত হতে বা জড়িত থাকতে চাননি। তার স্বাধীনতার ইচ্ছা এখন সত্যিকার অর্থেই পূর্ণতা পেয়েছে।’

জেমি স্পিয়ার্সের অ্যাটর্নি অ্যালেক্স উইনগার্টেন বলেন, ‘এসব শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি আনন্দিত। আমার মেয়েকে আমি খুব ভালোবাসি। তাকে রক্ষা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। ব্রিটনির জন্য সেরাটা আশা করি।’

আদালতের নির্দেশিত কনজারভেটরশিপের আওতায় ২০০৮ সালে ব্রিটনির বাবা ১৩ বছর তার কনজারভেটর হিসেবে কাজ করেন। তিনি তার প্রাপ্তবয়স্ক কন্যার সব আর্থিক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করেন।

তবে ২০২১ সালের জুনে ব্রিটনি বিচারকের কাছে কনজারভেটরশিপকে অপমান হিসেবে উল্লেখ করে এর থেকে তাকে মুক্ত করার অনুরোধ জানান।

তিনি অভিযোগ করেন, কনজারভেটরশিপ চলাকালীন ম্যানেজমেন্ট তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সফরে যেতে বাধ্য করে। তাকে লিথিয়াম দেয়া হয়, যার কারণে তিনি মাতাল বোধ করেন এবং তাকে বিয়ে করার বা সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। এ কারণে তিনি জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য আইইউডি ব্যবহার করতে বাধ্য হন।

ব্রিটনির কনজারভেটরশিপ শেষ হওয়ার দু’মাস আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে একজন বিচারক স্পিয়ার্সের বাবা জেমিকে তার মেয়ের সংরক্ষকের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন।

আরও পড়ুন:
অনাগত সন্তান হারানোর কথা জানালেন ব্রিটনি

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Trumps former aide saw Daniels at Trump Tower

ট্রাম টাওয়ারে ড্যানিয়েলসে দেখেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী

ট্রাম টাওয়ারে ড্যানিয়েলসে দেখেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী স্টর্মি ড্যানিয়েলস। ছবি: সংগৃহীত
হাশ মানি ট্রায়ালের শুনানিতে ট্রাম্পের সাবেক সহকারী রোনা গ্রাফ আদালতকে জানান, তার অস্পষ্টভাবে মনে আছে যে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ থাকা পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে তিনি ট্রাম্প টাওয়ারের ২৬ তলার রিসেপশনে দেখেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাশ মানি ট্রায়ালের অষ্টম দিনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ থাকা পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্পের কার্যালয়ে দেখেছেন বলে আদালতে দাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক সহকারী রোনা গ্রাফ।

এবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলার শুনানি কার্যক্রমে শুক্রবার দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয় রোনা গ্রাফকে।

ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে ৩৪ বছর কাজ করা গ্রাফ আদালতকে জানান, তার অস্পষ্টভাবে মনে আছে যে তিনি স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্প টাওয়ারের ২৬ তলার রিসেপশনে দেখেছেন।

ট্রাম্পের আইনজীবী অবশ্য এ দাবিকে খারিজ করে দিয়ে আদালতকে বলেন, ওই সময় ট্রাম্প রিয়েলিটি টিভি শো ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ নিয়ে কাজ করছিলেন। ওই শো-র জন্য অনেককেই নিজের অফিসে ডাকতেন ট্রাম্প।

গ্রাফের পর সাক্ষ্য দিতে আসেন ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকের সিনিয়ন ম্যানেজিং ডিরেক্টর গ্যারি ফারো। তিনি জানান, ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে রেসোল্যুশন কনসালট্যান্টস এলএলসি নামে নতুন একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে সাহায্য করেন তিনি।

সরকার পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে এই কোম্পানির মাধ্যমেই কোহেন ট্রাম্পের হয়ে ড্যানিয়েলসকে ১৩০ হাজার ডলার দিয়েছেন। এটিই ‘হাশ মানি’ হিসেবে পরিচিত।

এদিন শুনানির শুরুতে চতুর্থবারের মতো আদালতে হাজির হন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়্যারারের প্রকাশক ডেভিড পেকার। তাকেও নানাভাবে প্রশ্ন করেন দু’পক্ষের আইনজীবীরা।

পেকার জানান, ২০১৫ সালে ট্রাম্প টাওয়ারে এক আলোচনার পর তিনি এনকোয়্যারার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নেতিবাচক প্রতিবেদন সম্পর্কে আগে থেকেই কোহেনকে অবহিত করতে রাজি হন।

পেকার এও দাবি করেন যে ট্রাম্প টাওয়ারের ওই বৈঠকে তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন অর্থের বিনিময়ে না ছাপতে দেয়া বা ‘ক্যাচ অ্যান্ড কিল’ কৌশল নিয়ে আলোচনা করেননি।

তিনদিন বিরতি শেষে মঙ্গলবার পুনরায় এই মামলার শুনানি শুরু হবে।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন যুবকের
ট্রাম্পের আবেদন বাতিল

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Qatar will give 3 million dollars to the human rights organization of Ukraine

ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাকে ৩০ লাখ ডলার দেবে কাতার

ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাকে ৩০ লাখ ডলার দেবে কাতার কাতারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ললওয়াহ আল-খাতের গত ২৪ এপ্রিল দোহায় ইউক্রেনের শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানান। ছবি: এএফপি
শিশু, সহিংসতায় আক্রান্ত নাগরিকসহ ইউক্রেনের সর্বসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগে সহায়তার অংশ হিসেবে কাতার এ অর্থ দিচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইউক্রেনের পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনারের কার্যালয়কে ৩০ ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাতার।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটির ‘কল্যাণ ও সুরক্ষা’য় সহায়তার জন্য এ অর্থ দেয়া হচ্ছে বলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, শিশু, সহিংসতায় আক্রান্ত নাগরিকসহ ইউক্রেনের সর্বসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগে সহায়তার অংশ হিসেবে কাতার এ অর্থ দিচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়টির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনে সংঘাতপীড়িত পরিবারগুলোকে সাহায্যের জন্য ক্রমবর্ধমান আইনি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এ অর্থ।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, মানুষের মর্যাদাকে সম্মান করা হয় এবং প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকারের সুরক্ষা দেয়া হয়, এমন বিশ্ব গড়ে তোলার প্রয়াসের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থাটি।

এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানান, কাতারে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ইউক্রেনে ২০২২ সালে রুশ হামলার পর জোর করে রাশিয়ায় পাঠানো ইউক্রেনীয় ১৬ শিশু।

জেলেনস্কি বুধবার জানান, কাতারের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সুবাদে শিশুরা মুক্ত হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছে।

আরও পড়ুন:
ইউক্রেন যুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত
ন্যাটো দেশে হামলা নয়, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে ধ্বংস করা হবে
কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়
ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা এলেই পারমাণবিক যুদ্ধ: পুতিন
ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না ন্যাটো

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two CRPF personnel killed two injured in attack in Manipur

মণিপুরে হামলায় দুই সিআরপিএফ সদস্য নিহত, দুজন আহত

মণিপুরে হামলায় দুই সিআরপিএফ সদস্য নিহত, দুজন আহত ভারতের মণিপুরে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য। ছবি: এনডিটিভি
পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, মণিপুরে সংকট শুরুর প্রথম বার্ষিকীর ছয় দিন আগে এ হামলা হলো। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হামলা আগামী দিনগুলোতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় হামলায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) দুই সদস্য নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয়, যেটি জঙ্গিরা করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের একটি দল নারানসেইনা গ্রামের পাহাড়ি অংশ থেকে উপত্যকা অঞ্চলের দিকে সিআরপিএফের চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর জবাবে সিআরপিএফ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এরই মধ্যে চৌকিতে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বাহিনীর চার সদস্য।

এ চারজনকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও দুজনের মৃত্যু হয়। অপর দুজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, মণিপুরে সংকট শুরুর প্রথম বার্ষিকীর ছয় দিন আগে এ হামলা হলো। পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের হামলা আগামী দিনগুলোতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রাণ হারানো দুই সিআরপিএফ সদস্য ১২৮ ব্যাটালিয়নের হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন, যাদের কর্মস্থল ছিল নারানসেইনা এলাকায়। এ দুজন হলেন উপপরিদর্শক এন সরকার ও প্রধান কনস্টেবল অরূপ সাইনি।

আহত দুজন হলেন পরিদর্শক যাদব দাস ও কনস্টেবল আফতাব দাস।

হামলাকারীরা শুক্রবার মধ্যরাতে হামলা শুরু করে বলে খবর পাওয়া যায়, যেটি চলে রাত সোয়া দুইটা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন:
ভারতে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন: শীর্ষ ধনী প্রার্থীর ৬২২ কোটি রুপির সম্পদ
ভোটকেন্দ্রে টানতে ভারতে ‘ফ্রি বিয়ার’
ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ
মুসলিমদের জড়িয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ মোদির, সমালোচনার ঝড়
মালদ্বীপের নির্বাচনে ভারতবিরোধী মুইজ্জুর দলের বিশাল জয়

মন্তব্য

p
উপরে